Blog

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • Ohio: অক্টোবরকে ‘হিন্দু হেরিটেজ’ মাস ঘোষণার দাবি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্টেট সেনেটরের

    Ohio: অক্টোবরকে ‘হিন্দু হেরিটেজ’ মাস ঘোষণার দাবি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্টেট সেনেটরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবরকে হিন্দু হেরিটেজ মাস (Hindu Heritage Month) হিসেবে ঘোষণা করার রেজ্যুলিউশন নিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি নিতাজ আন্তানি। আমেরিকার ওহিও-র (Ohio) ইন্দো-মার্কিন স্টেট সেনেটর। সম্প্রতি ওহিও স্টেট সেনেটে তিনি দাবি জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসকে যাতে হিন্দু হেরিটেজ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বুধবার ওই মার্কিন স্টেট সেনেটর জানান, আমেরিকায় হিন্দুদের (Hindu) অবদান স্মরণ করতেই এই রেজ্যুলিউশন নিয়েছেন তিনি।

    নীরজ…

    নীরজ জানান, যদি এই রেজ্যুলিউশন পাশ হয়ে যায়, তাহলে ওহিও-ই হবে আমেরিকার তৃতীয় রাজ্য যারা একে আইনে পরিণত করল। ট্যুইটারে এ খবর শেয়ার করেছেন ওই সেনেটর। তিনি লিখেছেন, ওহিও-র প্রথম হিন্দু এবং ইন্দো-আমেরিকান স্টেট সেনেটর আমি। কনিষ্ঠতমও। আমি আজ এসবি ৭০ পেশ করেছি। এতে অক্টোবর মাসকে হিন্দু হেরিটেজ মাস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছি। এটা হলে ওহিও হবে আমেরিকার তৃতীয় রাজ্য যেখানে এটাকে আইনে পরিণত করা হবে।

    আন্তানি রিপাবলিক পার্টির নেতা। তিনি বলেন, অক্টোবরকে হিন্দু হেরিটেজ মাস ঘোষণা করা হলে ওহিওতে (Ohio) হিন্দু-আমেরিকানদের বিরাট পরিচিতি হবে। এ রাজ্যে আমাদের অবদানের কথা সবাই স্মরণে আনবে। তিনি বলেন, অক্টোবরের এই পরিচিতি পেতে  ওহিওতে এই প্রস্তাব আনতে পেরে আমি গর্বিত। কবে এসবি ৭০ পাশ হয়, আমি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। সম্প্রতি সেটেল সিটি কাউন্সিলে শ্রেণি বৈষম্য নিয়ে একটি রেজলিউশন পাশ হয়। আন্তানি বলেন, এই পদক্ষেপই বলে দিচ্ছে আমেরিকায় হিন্দু ফোবিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    তিনি বলেন, সেটেল সিটি কাউন্সিলে যে এই অর্ডিন্যান্স পাশ হয়েছে, আমি তার প্রতিবাদ করি। শ্রেণি বৈষম্য এখন আর নেই। আন্তানি বলেন, হিন্দু ফোবিয়া একটি হাতিয়ার যেটি হিন্দু বিরোধী। এটি হিন্দু বিরোধীরা আমেরিকা, ভারত এবং তামাম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, সেটেল সিটি পুলিশের উচিত ছিল শ্রেণি বৈষম্য থেকে হিন্দুদের রক্ষা করার নীতি গ্রহণ করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

  • TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জেলেই পার্থ ও মানিকের থেকে ‘ধমক’ খেতে হল কুন্তল ঘোষকে। “আমাদের নাম ইডিকে বলেছ কেন? আগে জেরার সময় নিশ্চয়ই সিবিআইকেও জানিয়েছ আমাদের নাম।” জেলে কুন্তলকে রীতিমত বকাবকি পার্থর। ধমক দিয়েছেন মানিকও। এমনটাই সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। এমনকী এই বিষয়টি ইডির আধিকারিকদেরও বলেছেন কুন্তল। ফলে তিনি এখন আশঙ্কায় রয়েছেন যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে ধমক শুনতে হবে।

    পার্থ ও মানিকের বিষয়ে কী কী জানিয়েছিলেন কুন্তল?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এর পর তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়। ইডি জেরার মুখেই কুন্তল জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে দফায়-দফায় কুন্তল কোটি-কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি টাকায় কুন্তল বেনামে যে শতাধিক গাড়ি কিনেছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই পার্থকে দেন তিনি। ফলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে  তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কুন্তল।

    এরপর মানিকের সঙ্গেও কুন্তলের যোগাযোগ ছিল তাও স্বীকার করে নেয় কুন্তল। টেট পরীক্ষার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, সেই টাকার একটি বড় অংশ মানিক ভট্টাচার্যের কাছেই যে গিয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা।

    পার্থ ও মানিকের ‘হুমকি’ ও ‘ধমক’

    কুন্তলের এই স্বীকারোক্তির বিষয়ে মানিক ও পার্থ জানতেই জেলেই কুন্তলকে হুমকি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পার্থবাবু প্রত্যেকদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর সেলের সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। তাঁর সেলের কাছ দিয়ে অন‌্যান‌্য বন্দিরাও যাতায়াত করেন। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে ইডির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল তাঁর ওয়ার্ড থেকে পার্থবাবুর সেলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই পার্থবাবু দেখতে পেয়ে তাঁকে ডাকেন। তখনই তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়ে কুন্তলকে বলেন, কেন তিনি তাঁর নাম ইডি-র কাছে বলেছেন?  

    আবার এই ঘটনার দু’একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সামনে পড়ে যান কুন্তল। ফলে কুন্তলকে ধমক ও হুমকি দেন মানিকও। বিষয়টি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, জেলের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন কুন্তল ঘোষ। ফলে কুন্তলের আশঙ্কা যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার পার্থ ও মানিকের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হবে। ফলে ফের যাতে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে না হয় সেই ব‌্যাপারে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

  • Pawan Khera: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে, কেন জানেন?

    Pawan Khera: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস (Congress) নেতা পবন খেরাকে (Pawan Khera)। রায়পুরগামী বিমান থেকে নামানো হয় এআইসিসির অন্যতম মুখপাত্র পবনকে। সেখানেই অসম পুলিশ গ্রেফতার করে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে। অসম (Assam) পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অনুরোধে দিল্লি পুলিশ পবনকে বিমান থেকে নামিয়ে নেয়। কারণ পবনের বিরুদ্ধে রয়েছে এফআইআর। এরপর পবনকে গ্রেফতার করা হয়।

    পবন…

    বৃহস্পতিবার সতীর্থদের সঙ্গে দিল্লি থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর যাচ্ছিলেন পবন। কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে বিমানের আসনে বসে পড়ার পর তাঁকে বিমানকর্মীরা জানান, তাঁর সঙ্গে ডিপিসি দেখা করবেন। তাই নীচে নামতে হবে তাঁকে। তাঁকে রায়পুরগামী বিমানে নেওয়ার অনুমতি নেই বলেও বিমানকর্মীরা জানান। পবন নীচে নামতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঘটনার প্রতিবাদে টারম্যাকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে, রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালা প্রমুখ।

    গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পবন (Pawan Khera)। সুপ্রিম কোর্টকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বারাণসী, লখনউ, অসমে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। আদালতে পবন জানান, তাঁকে রায়পুরগামী বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। আদালত থেকে রক্ষাকবচেরও আবেদন করেছেন পবন।

    আরও পড়ুুন: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর প্রথমবার কাশ্মীর থেকে সেনা সরানোর পথে মোদি সরকার?

    দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকাণ্ডে মোদিকে কটাক্ষ করেন পবন। প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির বদলে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদি বলে কটাক্ষ করেন। এর পরেই পবনের (Pawan Khera) গ্রেফতারির দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে অসমের ১৫টি জেলায় পবনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই কারণেই পবনকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ওই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুমান কংগ্রেসের। ভয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বিজেপি এসব করছে বলেও অভিযোগ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে রায়পুরে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী প্লেনারি। কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাই উপস্থিত থাকবেন সেখানে। এই প্লেনারিতে যোগ দিতেই রায়পুরে উড়ে যাচ্ছিলেন পবন। তিনি বলেন, আমাকে প্রথমে বলা হয়েছিল আপনার লাগেজে সমস্যা রয়েছে। পরে ফ্লাইট থেকে নেমে যেতে বলা হয়। তার পর বলা হয় ডিসিপি আপনার সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তিনি বলেন, কোনও নিয়মকানুন, আইনশৃঙ্খলা, যুক্তিবু্দ্ধির কোনও চিহ্নই ছিল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘শেহবাজ-ইমরান নয়, আমাদের মোদিকে প্রয়োজন’’! দাবি পাক নাগরিকদের, দেখুন ভিডিও

    Narendra Modi: ‘‘শেহবাজ-ইমরান নয়, আমাদের মোদিকে প্রয়োজন’’! দাবি পাক নাগরিকদের, দেখুন ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাকিস্তানে দাবি উঠল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narandra Modi) চাই। শুনতে আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি। পাকিস্তানি ইউটিউবার সানা আমজাদ এমনই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। বর্তমানে ব্যাপক আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান ঠিক সেসময়ই পাকিস্তানের এক তরুণকে ওই ভিডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (Narandra Modi) তাঁদের চাই। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narandra Modi) পাকিস্তানে পেতে, তাঁদের কত খরচ করতে হবে! সেটাও সবার কাছে জানতে চেয়েছেন ওই যুবক। পাকিস্তানি ইউটিউবার সানা আমজাদ সেদেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক। পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমের অফিসে চাকরি করেছেন তিনি।

    ওই ভিডিওতে কী কী বলতে শোনা যাচ্ছে পাক নাগরিকদের

    তিনি যে ভিডিও শেয়ার করেন, সেখানে পাকিস্তানের একাধিক মানুষকে বর্তমানে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পাকিস্তান সে জিন্দা ভাগো, চাহে ইন্ডিয়া চলে যাও।’ প্রবল আর্থিক সংকটে এই মুহুর্তে পাকিস্তানে হাহাকার অবস্থা চলছে, মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আটা, ময়দা কিনতে কার্যত মানুষের ভিড়ে অনেকে চাপা পড়ছেন। ফলে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে জোর আলোচনা চলছে। ওষুধ কোম্পানিগুলি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে,  সুজুকির মতো গাড়ি উৎপাদন সংস্থা বন্ধ রেখেছে নিজেদের ব্যবসা। রাস্তাঘাটে বর্তমানে শেহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা যদি পাকিস্তানে না জন্মাতেন, তাহলে ভাল হত বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

    অনেককে ওই ভিডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে ভারত যদি ভাগ না হত, তাহলে একসঙ্গে দেশের সব মানুষ থাকতেন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তাঁরা সুলভ দামে কিনতে পারতেন। এখন বর্তমানে পাকিস্তানে বেঁচে থাকাটাই কঠিন বলছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ির এক পরীক্ষার্থীর। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটার পরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছে, তা জানতে চান। পাশাপাশি, হাতির হানা রুখতে বন দফতরকে আরও সক্রিয় হতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার্থে আসরে নামে বন-দফতর। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রকাশ করা হয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা।

    কী রয়েছে নির্দেশিকায়?

    এদিন সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই হাতির হামলায় মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির মহারাজঘাটের বাসিন্দা এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের। এর পরেই বন দফতর থেকে ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হল। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য নেওয়া হল ব্যবস্থা।

    যে সমস্ত এলাকায় হাতির হানার প্রকোপ বেশি, সেই এলাকায় পুলিশ ও বনকর্মীদের পাহারায় জোর দেওয়া হল।

    এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে ক্রমাগত মাইকে প্রচার করা হবে।

    পরীক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য আলাদা লক গেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    বিশেষ গাড়ি ‘ঐরাবতি’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সাহায্যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই থাকবে ব্যবস্থা।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বন দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

    যতদিন না পরীক্ষা শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বন দফতরের কাছে প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে, এই সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে কিনা।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিল ছাত্রটি। তখন জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় এক দাঁতালের সামনে পড়ে যায় তাঁরা। সেখান থেকে ভয়ে পালানোর মুহূর্তেই হাতি পা দিয়ে পিষে মারল ছাত্রটিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম অর্জুন দাস।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মোটরবাইকে করে ছেলেকে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন বাবা বিষ্ণু দাস। হঠাৎ করেই মোটরবাইকের সামনে চলে আসে হাতিটি। মোটরবাইক দেখে তেড়ে আসে হাতিটি। অর্জুনকে ধরে ফেলে হাতি। সেখানেই শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে। তারপর পা দিয়ে পিষে যান। আশঙ্কাজনক ছাত্রটির বাবাও। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজা ঘাটের বাসিন্দা অর্জুন। সে জলপাইগুড়ির পাচিরাম নাহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অর্জুনের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বেলাকোবা কেবলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর জীবনের এই প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে গিয়েই প্রাণ হারাল এই ছাত্র।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৭-১০ দিন আগেও ওই হাতি একজনকে পিষে মেরেছে। বন দফতরের থেকে সেরকম কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। কার্যত অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। মিল্টন দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “প্রতি বছর হাতির হামলা হলেও বনদফতর কোনও দায়িত্ব নেয় না। এই ভাবে কারও মৃত্যু হওয়ার পর চাকরি দিলেই কি সান্ত্বনা পাওয়া যায়?”

    হাতির পদপিষ্ট হয়ে অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। সেখানে পৌঁছেছেন পুলিশ এবং বনকর্মীরা। নিহত ছাত্রটির পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ

    প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সিবিআই -এর দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kashmir: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর এবার কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের পথে মোদি সরকার?

    Kashmir: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর এবার কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের পথে মোদি সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের জমানায় নেওয়া হয় এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সংবিধান থেকে অবলুপ্ত করে দেওয়া হয় ধারা ৩৭০, বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। সেসময় উপত্যকা জুড়ে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘটনার এখন তিন বছর পার হয়েছে। ফলে এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ভূস্বর্গ থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

    সূত্রের খবর, বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সাড়ে তিন বছর পর উপত্যকা থেকে সেই সেনা প্রত্যাহারের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষস্তর থেকে এই প্রস্তাব মঞ্জুর হলেই এই প্রস্তাব কেবল নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সশস্ত্র বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ফলে এই প্রস্তাবনা গৃহীত হলে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ছাড়া আর কোথাও সেনা মোতায়েন থাকবে না। সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরেই এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।

    নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআরপিএফ

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাকে কাশ্মীরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেখানে সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্যই সিআরপিএফ মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

    কেন এই পরিকল্পনা?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, সরকার দাবি করেছে যে ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিরাপত্তা কর্মীদের হত্যার ঘটনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। কমেছে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর সেখানকার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, উপত্যকার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসকেও তিনটি ভাগে তুলে নেওয়া হবে। সিআরপিএফকে দিয়ে তাদের আংশিক প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য সংখ্যা হ্রাস করা হবে, তাদেরকে একেবারে প্রত্যাহার করা হবে না। এইভাবে প্রায় ১৫ হাজার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

    উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে তৈরি করা হয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। তখন থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ দমনে নেতৃত্বে দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। তবে ২০০৫ সাল থেকে শ্রীনগরে জঙ্গি দমন অভিযান পরিচালনা করে সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।

  • Earth: কেন্দ্রে ৬৪০ কিমি প্রশস্ত কঠিন লৌহ-গোলক! চার নয়, পৃথিবী পাঁচ স্তরের, দাবি বিজ্ঞানীদের

    Earth: কেন্দ্রে ৬৪০ কিমি প্রশস্ত কঠিন লৌহ-গোলক! চার নয়, পৃথিবী পাঁচ স্তরের, দাবি বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মহাকাশ বিজ্ঞান নয়, মাটির অভ্যন্তরে অনবরত কী ঘটে চলেছে তা নিয়েও নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রক অবধি পৌঁছাতে ভূত্বক থেকে যেতে হবে ম্যান্টেল অঞ্চলে এবং তার অভ্যন্তরে পড়বে পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রক। সেটিও আবার দুটি ভাগে বিভক্ত। ভূগোল বইতে এমনটাই পড়েছি আমরা এতদিন। এমনকি গবেষণার ক্ষেত্রেও এতদিন ধরে নেওয়া হত, পৃথিবীর বাইরের অংশটি কঠিন এবং কেন্দ্রে আবর্তন করে চলেছে গলিত-উত্তপ্ত লৌহ আয়ন। তবে চিরাচরিত এই ধারণা এবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।

     অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কুল অফ আর্থ সায়েন্সেসের গবেষকরা বলছেন পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রে আছে একটি কঠিন লৌহগোলক

    সম্প্রতি, ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কুল অফ আর্থ সায়েন্সেসের গবেষকরা দাবি করেছেন, পৃথিবীর (Earth) গলিত কেন্দ্রকের মধ্যেই নাকি ভেসে বেড়াচ্ছে প্রকাণ্ড একটি কঠিন লৌহগোলক (Iron Ball)।  নেচার কমিউনিকেশন সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই বিশেষ গবেষণাপত্রটি।  এই গবেষণার ফলাফল সত্যি হলে, চারটির বদলে পাঁচটি স্তর রয়েছে পৃথিবীতে। অথচ, ভূতাত্ত্বিক গণনার ক্ষেত্রে এতদিন গাণিতিক দিক থেকে ৪টি স্তরই ধরে এসেছি আমরা। কাজেই এই গবেষণা বদলে দিতে পারে গোটা ভূ-বিদ্যাকে।

    কীভাবে আবিষ্কৃত হল পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকা এই কঠিন স্তরটি

    সিসমিক তরঙ্গ বা ভূমিকম্পন নিয়েই গবেষণা করছিলেন ক্যানবেরার গবেষকরা। সে-সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই তাঁদের চোখে পড়ে এক আশ্চর্য ঘটনা। সাধারণত, ভূমিকম্পের তরঙ্গ বা সিসমিক তরঙ্গ পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়, তার গতিবেগ পরিবর্তন করে। অনেকটা শব্দের মতোই। যেমন গ্যাসীয় পদার্থের থেকে তরলে শব্দের গতি বেশি, কঠিন পদার্থে তার চেয়েও বেশি— তেমনই পৃথিবীর ঘনত্বের ওপর নির্ভর করেই সিসমিক তরঙ্গের গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস পায় পৃথিবীর অভ্যন্তরে। ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করতে গিয়ে, এই একই ঘটনা লক্ষ করেছিলেন ক্যানবেরার গবেষকরা। পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রকের অর্থাৎ ‘কোর’-এর একটি বিশেষ অঞ্চলে সিসমিক তরঙ্গের গতিবেগ বেড়ে যায় হঠাৎ করেই। অর্থাৎ, গলিত কেন্দ্রকের তুলনায় তার ঘনত্ব অনেকটাই বেশি। সম্ভবত সেটি কঠিন গোলক।

    কঠিন লৌহ গোলকটি ৬৪৪ কিমি প্রশস্ত

    ৬৪৪ কিলোমিটার বা ৪০০ মাইল ব্যাসের এই গোলকটি নির্মিত মূলত লোহা দিয়েই। তাছাড়াও তার বাইরের অংশে স্বল্পমাত্রায় রয়েছে নিকেল ও অন্যান্য ধাতু। এমনটাই অনুমান গবেষকদের। যদিও এই মডেল নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করার বিস্তর প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Pakistan: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    Pakistan: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) জব্দ করতে গিয়ে বন্ধু দেশের কাছে ডাহা ঠকল পাকিস্তান। পাকিস্তান (Pakistan) সম্প্রতি বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র কেনে চিনের (China) কাছ থেকে। সেই অস্ত্রেই ধরা পড়ল ত্রুটি। দামে সস্তা হওয়ায় বাজারে চিনা পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। তবে সেগুলির কোনওটিই বেশি দিন টেঁকে না। তবে দামে সস্তা হওয়ায় অনেকেই তা কেনেন। ঠকেনও। এই যেমন পাকিস্তান। সম্প্রতি বেজিং থেকে আননেমড এরিয়াল ভেহিক্যাল কিনেছিল ইসালামাবাদ। চিনের তরফে মানববিহীন এই ড্রোন পাকিস্তানে পাঠানোও হয়েছিল। সেই ড্রোনগুলিতেই মিলেছে মারাত্মক ত্রুটি।

    ত্রুটির পর ত্রুটি…

    কেবল ওই ড্রোনগুলিই নয়, আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের বরাতও চিনকে দিয়েছিল পাকিস্তানের সরকার। সেই ক্ষেপণাস্ত্র এসেও গিয়েছে পাকিস্তানে। ত্রুটি মিলেছে তাতেও। জানা গিয়েছে, সিএইচ ৪ মানববিহীন ড্রোন তৈরি করে চিনা সংস্থা এলিট। সেই সংস্থাই পাঠিয়েছিল ড্রোনগুলি। কিন্তু সেগুলির অবস্থা দেখে মাথায় হাত পাকিস্তানের সামরিক কর্তাদের। তাঁরা দেখেছেন, চিন থেকে আমদানি করা ওই ড্রোনগুলির কোনওটির ডানা ভাঙা, তো কোনওটায় রয়েছে বড় মাপের যান্ত্রিক ত্রুটি। একটি ড্রোনের তো আবার এক্সস্ট ম্যানিফোল্ড ভাঙা। ড্রোনের ভেতরে থাকা গ্যাস নির্গমণে সাহায্য করে এই এক্সস্ট ম্যানিফোল্ড। অন্য একটি ড্রোনের টার্বোচার্জারেই রয়েছে একটি বড়সড় ফাটল। সমস্যা রয়েছে ইঞ্জিনেও। চিন থেকে আমদানি করা আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা শত্রু সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করতে ব্যবহৃত এআর ২ ক্ষেপণাস্ত্রেও ত্রুটি রয়েছে (Pakistan)।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    একটি ক্ষেপণাস্ত্রে আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছে। সেই কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। চিন থেকে কেনা ওই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মেরামত করতে ফের চিনে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেগুলি আদৌ মেরামত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পাক সেনার শীর্ষ কর্তাদের একাংশ। বন্ধু দেশ চিনের কাছে ঠকে গিয়ে হতাশ পাকিস্তান। সেই কারণে চিন নয়, পশ্চিমের দেশগুলি থেকে ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র কিনতে চাইছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শোনা যাচ্ছে, এস ১০০ ইউএভি ড্রোন কিনতে অস্ট্রিয়ার অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা স্কিবেলের দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। এজন্য ওই ড্রোনের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে পাক সরকার। দেশের (Pakistan) অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। এমতাবস্থায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনতে গিয়ে ডাহা ঠকেছে পাকিস্তান। এখন দেখার, এই ঘটনা পাক-চিন সম্পর্কে ছাপ ফেলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share