Blog

  • Partha Chatterjee:  ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    Partha Chatterjee: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। মাসের পর মাস খারিজ হয়ে যাচ্ছে জামিনের আবেদন। এই দুঃখের মধ্যেও নতুন জ্বালাতনে পড়েছেন পার্থ। আগে দলের ভিতরে নিজের দেহের ওজনের কারণে মস্করার শিকার হতেন। তবে তা হত আড়ালে। কিন্তু এখন টিটকিরি শুনতে হচ্ছে জেলের মধ্যেও। তাও আবার ছিচকে চোরেদের কাছে। দুই ছিঁচকে চোর নাজেহাল করে তুলেছে পার্থর জেল-জীবন।   

    গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আলিপুর প্রেসিডেন্সির জেলে নিজের সেল থেকে বের হন না তিনি। কিন্তু নিজের সেলের ভিতরেও দুদণ্ড শান্তি নেই! দিনেরবেলায় যখন বিশ্রাম নিচ্ছেন কিংবা পায়চারি করছেন, ঠিক তখনই ভেসে আসছে ‘মোটু টুকি, মোটু টুকি’ ডাক। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিনিয়ত চলছে এমনটা। ঘটনায় রেগে আগুন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee)। তাঁকে কি না বডি শেমিং! অভিযোগ জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে।   

    এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে পার্থর (Partha Chatterjee) পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোরই ‘মোটা মোটা’ বলে জ্বালাচ্ছে তাঁকে। শেষ অবধি ওই দু’জনকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।

    মুসা অধ্যায় 

    এদিকে কয়েক দিন আগেই জঙ্গি মুসার তাড়া খেয়ে জেলের ভিতর পড়ে গিয়ে থুতনি ফেটে গিয়েছে তাঁর! তাতেও রক্ষা নেই। এ আবার এক নতুন জ্বালা (Partha Chatterjee)। জানা গিয়েছে, ঠোঁট কেটে গেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। আঘাত লেগেছে থুতনিতেও। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম জেলে গিয়ে দেখেও আসেন তাঁকে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মুসা পার্থর দিকে তাক করে মলভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। এরপরই পালাতে গিয়ে মুখে, কাঁধে চোট পান তিনি। আঘাত পেয়েছেন ঠোঁটেও।

    আরও পড়ুন: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    গ্রেফতারির পর থেকেই বার বার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একেবারে শুরুর দিয়ে তাঁকে দেখা মাত্রই কিছু বন্দি অনবরত “চোর, চোর’’ বলে টিপ্পনি কাটত। তখনও জেল কর্তৃপক্ষ উৎপাত করা ওই বন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Asansol: জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি-সহ পাঁচ জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ আদালতের

    Asansol: জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি-সহ পাঁচ জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পদপিষ্ট মামলায় প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষা কবচের আবেদন করেছিলেন চৈতালি। বৃহস্পতিবার চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। চৈতালির এই মুহূর্ত থেকে আর কোনও রক্ষাকবজ থাকল না।

    এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু চৈতালি (Asansol) তদন্তে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করে পুলিশ। তাঁকে বারবার নোটিস দিয়েও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকী, তিওয়াড়ি দম্পতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

    আসানসোলে (Asansol) কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। এই কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় চৈতালির। বাড়িতে পুলিশ এসে খোঁজ পর্যন্ত করেছিল। নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি আগাম জামিনের আবেদন করেন। যা দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    কী অভিযোগ চৈতালির বিরুদ্ধে? 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে (Asansol) শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। আসানসোলের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। শুভেন্দু নিজের হাতে কিছু কম্বল বিতরণ করেছিলেন। শুভেন্দু ওই অনুষ্ঠান স্থল ছাড়ার পরেই কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ওই এলাকায়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন অনেকে।

    এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালির (Asansol)। অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছ থেকে ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। আর তাতেই বিপাকে পড়েন জিতেন্দ্র-জায়া।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আবহেই বেজিংয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল। মাঝে কোভিড এর কারণে এই বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। এই বৈঠকে দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দেয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে ভারত। বেজিং থেকেই চিনকে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    সেনা সরানোর দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদিও পূর্বাঞ্চলে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যকরী কোনও আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুই দেশের আলোচনার পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “কোনও বিবাদ কিংবা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের সেনাবাহিনী আলোচনার ভিত্তিতে কিংবা কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজবে।”  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত নিয়ে বুধবার বেজিংয়ে ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব।

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    ২০২০ সালের মে’তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরুর পর ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন’ সক্রিয় করা হয়। একাধিকবার দু’দেশের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তাতে কিছুটা বরফ গললেও স্থায়ী সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তে সংঘাতের সমাধান না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকত্ব ফিরবে না। যদিও চিনের বরাবরের দাবি, সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। অবশেষে বহুবার আলোচনার পর লাদাখের প্যাংগঙ হ্রদ, গোগরা এবং হট স্প্রিং অ়ঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দু’পক্ষ। তবে দেপসাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়ে এখনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বিতর্কিত দুই অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI: এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    CBI: এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনিই করতেন বিচার। এবার তাঁরই বিচার হবে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস এন শুক্ল ও তাঁর স্ত্রী শুচিতা তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দায়ের ওই হয়েছে মামলা। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ এনেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad HC) বিচারপতি থাকাকালীন এস এন শুক্ল ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৪৫ কোটি টাকা।

    সিবিআই…

    এই প্রথম নয়, এর আগেও এস এন শুক্লর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। সেটা ২০১৯ সাল। তখন এলাহাবাদ হাইকোর্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে, বেআইনিভাবে প্রসাদ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তির পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এস এন শুক্ল। সেই মামলা এখনও সিবিআইয়ের আদালতে বিচারাধীন। বস্তুত, সেই প্রথম কোনও কর্মরত বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল।

    দ্বিতীয় বার যে মামলা শুক্লর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে, তাতে সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকার সময় বিচারপতি শুক্ল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শুচিতার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ২ কোটি ৪৯ টাকা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, বিচারপতি পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই ওই সম্পত্তি সংগ্রহ করেছেন শুক্ল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    এর আগে শুক্লর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ফেডারেল এজেন্সি। সেটা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস। লখনউ ভিত্তিক প্রসাদ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি জুডিশিয়ার কোরাপশন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার ভিত্তিতেই জমা দেওয়া হয় চার্জশিট। বুধবার সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, আগে যে তদন্ত হয়েছে, সূত্র মারফত তাতে জানা গিয়েছে এস এন শুক্ল একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে ছিলেন তিনি। দুর্নীতিমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ করেছেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী শুচিতা তিওয়ারিও একই অভিযোগে অভিযুক্ত। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে অবসর নেন বিচারপতি শুক্ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sourav Ganguly: মহারাজের ভূমিকায় কে প্রায় নিশ্চিত! সৌরভের বায়োপিকের শ্যুটিং শুরু শীঘ্রই

    Sourav Ganguly: মহারাজের ভূমিকায় কে প্রায় নিশ্চিত! সৌরভের বায়োপিকের শ্যুটিং শুরু শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক তৈরির আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সৌরভের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন তা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে চলছিল। সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে রণবীর কাপুরকেই বায়োপিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। এ জন্য তিনি শীঘ্র কলকাতাতেও আসবেন। আরও জানা গেছে তিনি ইডেন গার্ডেন্স, সৌরভের বাড়ি, বরিশা ক্লাব, মোহনবাগান ক্লাবের মত জায়গায় তিনি ঘুরে দেখবেন। প্রতিটা জায়গার সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। অর্থাৎ, সৌরভের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটা জায়গায় তিনি ঘুরবেন। শ্যুটিং শুরু হলে তাঁকে এইসব জায়গাতেই আসতে হবে। সৌরভের চরিত্রে কে মানানসই হবেন তা নিয়েও তুঙ্গে ওঠে চর্চা। সৌরভ আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি চান রণবীর কপুর বা হৃত্বিক রোশনকে। সিদ্ধার্থ মালহোত্রাদের নামও শোনা যাচ্ছিল। এরমধ্যে হৃত্বিককে না পাওয়া যাওয়ায় রণবীরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

    কবে থেকে শুরু হবে শ্যুটিং

    সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। অতীতে সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকে অভিনয় করেছিলেন রণবীর কপুর। ফলে তাঁর কেরিয়ারে এটা দ্বিতীয় বায়োপিক হতে চলেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে সৌরভের জীবনী চিত্র তৈরির কাজ। প্রাথমিক ভাবে খরচ ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা মতো। প্রয়োজনে বাড়তে পারে টাকার অঙ্ক। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগে একাধিক ক্রিকেটারের বায়োপিক তৈরি হয়েছে। সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, মহম্মদ আজহারউদ্দিনের বায়োপিক আগেই তৈরি হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সৌরভের বায়োপিক তৈরি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেই সময় থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষের দিকে বলে জানা গিয়েছে। তবে চিত্রনাট্যের কাজ এগিয়ে গেলেও কাস্টিং নিয়ে এতদিন সমস্যা চলছিল, অবশেষে সেটা মিটল।

    আরও পড়ুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • IND-W Vs AUS-W: মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ, কখন-কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

    IND-W Vs AUS-W: মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ, কখন-কোথায় দেখবেন ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে আজ মাঠে নামছে ভারতের মেয়েরা। দক্ষিণ আফ্রিকায় আইসিসি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। ইতিহাস অজিদের পক্ষে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে তিনবার মুখোমুখি সাক্ষাতে তিনবারই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ইতিহাস বদলানোর চ্যালেঞ্জ রিচাদের সামনে।

    পালা বদলের লড়াই

    ছোটদের পর এবার বড়দের পালা। কিছুদিন আগেই প্রথমবার মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেতাব দেশে এনেছিলেন শেফালি ভার্মা, রিচা ঘোষরা। এ বার রিচাদের সামনে সিনিয়র মেয়েদের টিমকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার লড়াই। টুর্নামেন্টে সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন হার্ডল টপকাতে পারলেই কাপ জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাবে হরমনপ্রীতরা। প্রতিপক্ষ পাঁচবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া। গতবার এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরেই তীরে এসে তরী ডোবে হরমনপ্রীত কউর অ্যান্ড কোম্পানির। তবে এবার পালা বদলের লক্ষ্যে টিম ইন্ডিয়া। ভারতের সেরা বাজি শিলিগুড়ির মেয়ে রিচার কথায়,’যাই ঘটুক, ওরা আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা থেকে সরে না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অ্যাটাক করে। আমাদের টিমেও এমন ব্যাটার আছে, যারা আক্রমণাত্মক খেলতে পারে। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারি। এমন নয় যে আমরা ওদের হারাতে পারি না বা পারব না। আমরা দেশের মাটিতে গত সিরিজেই ওদের হারিয়েছি। এর আগেও আমরা ওদের হারিয়েছি। তবে এটা সত্যি যে ওরা শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা ওদের হারাতেই পারি।’

    আরও পড়ুন: মাইল ফলক ছুঁলেন হরমনপ্রীত! আইসিসি টি-২০ মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত

    ম্যাচ-এর সময়

    কোথায় ম্যাচ?

    নিউল্যান্ডস স্টেডিয়াম, কেপ টাউনে ম্যাচ আয়োজিত হবে।

    কখন শুরু ম্যাচ?

    ম্যাচ শুরু সন্ধে ৬.৩০টায়, টস হবে তার আধ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ ৬টায়।

    কোথায় দেখা যাবে খেলা?

    ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। পাশাপাশি হটস্টার অ্যাপেও এই ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে।

    ভারতীয় দলের টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াড: হরমনপ্রীত কউর, স্মৃতি মান্ধানা, যস্তিকা ভাটিয়া, হারলিন দেওল, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, জেমাইমা রডরিগজ, অঞ্জলি সারভানি, দীপ্তি শর্মা, রেণুকা সিং, দেবিকা বৈদ্য, পূজা বস্ত্রকার, শেফালি ভার্মা, রাধা যাদব, রিচা ঘোষ, শিখা পাণ্ডে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kalighater Kaku: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    Kalighater Kaku: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক দিন ধরেই ‘কালীঘাটের কাকু’- কে (Kalighater Kaku) নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম নিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বেহালার বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এক বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমার সাহেব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। 

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁর পর্যন্ত (Kalighater Kaku) এসে থেমে যাচ্ছে তদন্ত। সুজয়কৃষ্ণ আরও বলেন, “আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ তাঁর নাম কেউ নিতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। সেই অবধি কোনও লোক পৌঁছতে পারবে না। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, আপনারা ভাল বুঝবেন, সেই করতে গিয়ে আমি অবধি এসে থেমে যেতে হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku) আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিষেকের হয়ে নিউআলিপুরে চাকরি করেন। কী কাজ করেন তা পরিষ্কার করে বলেননি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি অভিষেকের অফিসে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু চাকরিই করেন, প্রোমোটিং বা কোনও ব্যবসা নেই বলে দাবি করেন।  

    কীভাবে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো এই ‘কালীঘাটের কাকুর’? 

    তাপস মণ্ডল এবং দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত গোপাল দলপতিদের থেকে এই (Kalighater Kaku) নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কতটা ভূমিকা রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয়কৃষ্ণ  বলেন, “আমার নিজের দাদার মেয়ে, তার একটা চাকরি করে দিতে পারিনি। আমি যদি এতই প্রভাবশালী হতাম, তাহলে দাদার মেয়ের একটা চাকরি করে দিতে পারতাম না! নিজের মেয়ের একটা চাকরি করে দিতে পারতাম!” 

    এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সম্পর্কে আমাদের কাছে যা তথ্য উঠে আসছে, ২০০৯ সাল থেকে ইনি…কোম্পানিতে যুক্ত ছিলেন। সেখানে অমিত, লতা, রুজিরা যুক্ত। কালীঘাটের কাকু হচ্ছে কান। এ বার কানে হাত পড়েছে যখন, মাথা টানতে আর বেশি দেরি নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Land Reforms Act: ভূমি সংস্কার আইনে বদল আনল রাজ্য, কেন জানেন?

    Land Reforms Act: ভূমি সংস্কার আইনে বদল আনল রাজ্য, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন পরে মঙ্গলবার সংশোধন করা হল ভূমি সংস্কার আইন (Land Reforms Act)। এদিন বিধানসভায় সংশোধন করা হল এই আইন। এর ফলে সিলিং বহির্ভূত অকৃষি জমিকে (Non Agricultural Land) টাউনশিপ করতে ফ্রি হোল্ড দেবে রাজ্য সরকার। ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, যে জমি পড়ে রয়েছে, জনস্বার্থে তা ব্যবহারের জন্যই শর্তসাপেক্ষে এই মনিটাইজেশেনর উদ্যোগ। তিনি বলেন, এটা রাজ্যের বিনিয়োগকারীদের কাছে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসের হাতিয়ার হয়ে উঠবে। জানা গিয়েছে, নয়া সংশোধনীতে জমির মিউটেশনের ক্ষেত্রে মালিকানা নিয়ে কোনও ত্রুটি থাকলে, যে কোনও সময় তা সংশোধনের ক্ষমতা ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে।

    সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা…

    এতদিন নিয়ম ছিল, আবেদন জানাতে হলে তা জানাতে হত এক থেকে পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যে। নয়া আইনে বলা হয়েছে, সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা পাবে কোনও ব্যক্তি, শিল্পসংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ট্রাস্ট বা সমবায়। এ জন্য সরকারকে নির্ধারিত প্রিমিয়াম দিতে হবে। এও জানা গিয়েছে, যে কাজের (Land Reforms Act) জন্য জমি নেওয়া হবে, শুধুমাত্র সেই কাজেই ব্যবহার করা যাবে। শিল্পতালুক, ফিনানশিয়াল হাব, বায়োটেক পার্ক, লজিস্টিক্স হাব বা ফুড পার্কের পাশাপাশি এই জমি টাউনশিপ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকারের আশা, এই সংশোধনের ফলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে লাভ হবে, তেমনিই বড় শিল্প সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানও উপকৃত হবে। যদিও বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, অম্বিকা রায়দের বক্তব্য, নয়া আইনে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, অকৃষি জমির সিলিং ২৪.৩ একর।

    আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    এদিকে, প্রয়োজনে জমি কিনতে হবে সরকারকে,  অধিগ্রহণ (Land Reforms Act) করতে পারবে না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে কল্যাণ বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের পর এই রাজ্যই জমি সংক্রান্ত এমন আইন করেছে। তাই বাস্তবে সেটাই মানতে হবে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ এলাকায় একটি চিড়িয়াখানা করতে জমি নিয়েছিল রাজ্য সরকার। চিড়িয়াখানার বাইরেও কিছু জমি রয়েছে, যে জমি ব্যবহার করতে পারছেন না জমির মালিক-মামলাকারীরা। এদিন তাঁদের হয়েই সওয়াল করছিলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, সিঙ্গুরের আন্দোলনের জেরে এই সরকার অন্তত জমি অধিগ্রহণে হ্যাঁ বলতে পারবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) কান অবধি পৌঁছে গেছে, এবার মাথা পাওয়া যাবে। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলকে জেরা করে জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর নাম। ওই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতিও তাঁর নাম নিয়েছেন। কালীঘাটের কাকু যে আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, মঙ্গলবার তা জানান তাপস। তার পরেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।

    সুকান্ত বলেন…

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে আমাদের কাছে যা তথ্য উঠে আসছে, ব্যানার্জি পরিবারের বিশেষ ঘনিষ্ঠ। উনি ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসেই বসেন। উনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ। ২০০৯ সালথেকে সলিটিয়ার প্লেসমেন্ট সার্ভিস নামে একটি কোম্পানিতে ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এখানেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিরেক্টর ছিলেন। বিভিন্ন নথি জমা না দেওয়ার জন্য এই কোম্পানি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

    সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের ঘরের লোক তিনি। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন এই ভদ্রলোক। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিরেক্টর পদে ইস্তফা দেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে ডিরেক্টর পদে ছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্ত বলেন, তাঁরা কারা, বাংলার মানুষ জানেন। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমার মনে হয় সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে, এবার মাথা পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুুন: বেতন বন্ধ হল অনুব্রতকন্যার, স্কুলে না গিয়েই মাইনে নেওয়ার অভিযোগ

    কয়লা মামলায় তলব করা হয়েছিল সুজয়কে। তিনি বলেন, উপেন বিশ্বাস দেখিয়ে গিয়েছেন সিবিআইয়ের সিস্টেম। …যেখানে দেখিবে ছাই, ওড়াইয়া দেখ তাই..। ইডি-সিবিআই মারফত বিরোধীরাই চক্রান্ত করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। সুজয়ের দাবি, তিনি কোনওদিন কুন্তলের বাড়িতে যাননি। বলেন, আমি কোনওদিন কুন্তলের বাড়িতে যাইনি। কুন্তল আমার বাড়িতে এক দুবার এসেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে তাঁর যোগাযোগ ছিল, তা অবশ্য স্বীকার করেন সুজয়। বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। তিনি আমার এমএলএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • TET: ২০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে

    TET: ২০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের টেট (TET) পরীক্ষার প্রশ্নে একাধিক ভুলের অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করেছেন পরীক্ষার্থীরা। শীঘ্রই শুনানি হবে এই মামলার। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর নেওয়া হয় টেট পরীক্ষা। প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ পরীক্ষার পরেই প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল ছাপার ভুল, পরীক্ষার হলে সেটা পরীক্ষার্থীদের জানানো হয়েছিল। তবে ভবিষ্যৎ যাতে এই রকম না হয়, সেই চেষ্টা করা  হবে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন আইনজীবী?    

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট (TET) পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্নের উত্তরে ভুল ছিল। সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। পরে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রায় পাঁচ বছর পরে পরীক্ষা নিয়েও ভুল এড়াতে পারল না পর্ষদ। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত রাজ্য সরকার। তার ওপর আরও এক অভিযোগ যে বিপাক বাড়াবে বই কমাবে না, তা বেশ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: বেতন বন্ধ হল অনুব্রতকন্যার, স্কুলে না গিয়েই মাইনে নেওয়ার অভিযোগ 
     
    আইনজীবী আলি আহসান আলমগীর (TET) বলেন, “আমাদের হিসাবে অন্তত দশটি প্রশ্নে একাধিক উত্তর সঠিক। সেক্ষেত্রে প্রার্থী যদি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে তাঁকে নম্বর দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও তা স্বীকার করে ইতিমধ্যে চারটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে নম্বরও দিয়েছে। কিন্তু অন্তত ১০টি প্রশ্নের উত্তরে এটা হয়েছে জানিয়ে আমরা মামলা করছি।” উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৬টি  প্রশ্ন ভুলের মামলাটি এখন সিবিআই তদন্তের অধীনে। অনেকেই চাকরি যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। মামলাটি এই মুহূর্তে আদালতে বিচারাধীন। এই অবস্থায় ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে এই পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এখনও নিয়োগ হয়নি।

    ২০১৪ সালের এই মামলায় মামলাকারীর সংখ্যা হাজার (TET) ছাড়িয়েছে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, শুধু মামলাকারীরা নন, যাঁরা ওই ভুল প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই নম্বর দেওয়া হোক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই দাবি খারিজ করে জানিয়েছে, এত জনকে নম্বর ফের দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এই নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়নি। তার মধ্যেও আবার টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের অভিযোগ উঠল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share