Blog

  • Bogtui Massacre: বগটুই গণহত্যার তদন্তে রাজ্যে আসছে ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’-এর প্রতিনিধি দল

    Bogtui Massacre: বগটুই গণহত্যার তদন্তে রাজ্যে আসছে ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’-এর প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুই গণহত্যার তদন্তের স্বার্থে বেসরকারি সংস্থা ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’–এর প্রতিনিধিরা ফেব্রুয়ারি মাসেই আবার কলকাতায় আসছেন।  এই প্রতিনিধিদের মুখ্য গন্তব্যই হবে বগটুই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা আগামী শনিবার, রবিবার ও সোমবার বীরভূম জেলায় থাকবে। ওই দল রাজ্যে আসবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রথমে রায়গঞ্জে যাবেন তাঁরা। সেদিনই মালদা হয়ে বোলপুরে চলে যাবেন। টানা দু’দিন বীরভূমে থাকবেন তাঁরা। সেখানে বগটুই কাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করবেন তাঁরা। পরে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’–এর প্রতিনিধিরা। 

    বগটুইয়ের স্মৃতি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রভূমের বগটুইকাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিতে তৎপর গেরুয়া শিবিরও। রাজ্যে ভোট সন্ত্রাস বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। গত বছর ২১ মার্চ গণহত্যার অভিযোগ ওঠে বগটুইয়ে। রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার ‘প্রতিক্রিয়া’য় বগটুইয়ের গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাতে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয় দশ জনের। সেই সময়ে এ নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যো‌পাধ্যায় বগটুই গিয়ে ক্ষতিপূরণ ও তদন্তের ঘোষণা করেন। যদিও পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘লইয়ার্স ফর জাস্টিস’–এর ওই দল রাজ্যে আসবে আগামী শুক্রবার। রায়গঞ্জে হামলার অভিযোগ ওঠা একটি মন্দির পরিদর্শন করবেন তাঁরা। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরে তাঁরা ওই দিনই মালদহ হয়ে বোলপুরে আসবেন। পরের দু’দিন বীরভূমে থাকার কথা। সেখানে বগটুইকাণ্ডের তথ্যানুসন্ধার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন। প্রসঙ্গত, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা কলকাতায় এসেছিলেন। সেই দলে ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রাজপাল সিংহ, মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করা আইনজীবী চারু ওয়ালি খান্না,সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং দুই আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস এবং রোজি তাবা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI: এবার বেআইনি নজরদারি চালানোর অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পথে সিবিআই

    CBI: এবার বেআইনি নজরদারি চালানোর অভিযোগে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পথে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করতে চলেছে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে সবুজ সংকেতও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিল্লির অন্দরের খবর প্রধানমন্ত্রীর অফিস দিল্লির উপ-রাজ্যপাল বিকে সাক্সেনার পাঠানো এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। সাক্সেনার কাছে সিবিআই (CBI) এই মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিল।
    আপাতত সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে দিল্লির মদনীতি কেন্দ্রীক অনিয়মের মামলার তদন্ত চলছে। সেই মামলায় তাঁকে আবারও তলব করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, মদনীতি সংক্রান্ত অনিয়মের ঘটনায় মণীশই মূল অভিযুক্ত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আবগারি নীতি তৈরি করা হয়েছিল যাতে ব্যবসায়ীরা উপরি লাভ করতে পারে। অভিযোগ, যে আপ সবসময় দুর্নিতীমুক্ত প্রশাসনের কথা বলে অতিরিক্ত লাভের একটি অংশ গিয়েছে তাদের নির্বাচনী তহবিলে।

    সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে নতুন কী অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে সিবিআই (CBI)

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, দিল্লির আম আদমি সরকারের অধীনে ‘ফিডব্যাক ইউনিট’ নামে একটি সেল আছে। দিল্লি সরকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মের দিকে নজর রাখা, অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখাই এই ইউনিটের কাজ বলে জানানো হয়। অথচ দিল্লির রাজ্যপালকে এর বিন্দু বিসর্গও জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হওয়ার সুবাদে দিল্লির যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ দেখভাল কেন্দ্র সরকারই করে থাকে।

    কিন্তু সিবিআই (CBI) বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েছে, ওই ইউনিট রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, আমলা, ব্যবসায়ী-সহ প্রায় সাতশো জনের উপর নজরদারি চালিয়েছে, যা তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। জানা গেছে, ফিডব্যাক ইউনিট এভাবে বেআইনি নজরদারি চালিয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর অবধি।
    সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ওই ইউনিটটির কাজকর্ম নিয়মিত দেখভাল করে থাকেন মণীশ এবং তিনিই ঠিক করতেন কাদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। শুধু বিরোধী দলের নেতা কর্মী নয়, নিজেদের দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের উপরেও নজরদারি চালাত এই ইউনিট।  ২০১৫-র শেষপ্রান্তে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফিডব্যাক ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মন্ত্রিসভায় এজন্য কোনও নোট পেশ করা হয়নি। মৌখিকভাবে জানিয়ে প্রস্তাবটি পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। এটাও বেনিয়ম বলছে সিবিআই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Sania Mirza: ক্রীড়া জগতকে বিদায় সানিয়ার, জীবনের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি হাসা হল না

    Sania Mirza: ক্রীড়া জগতকে বিদায় সানিয়ার, জীবনের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি হাসা হল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের জলেই টেনিস কোর্টকে বিদায় জানালেন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। জীবনের শেষ ম্যাচে জয়ের মুকুট পরা হল না টেনিস সুন্দরীর। টেনিস জীবনকে বিদায় জানালেন চিরতরে। আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আগেই। এবার বিদায় জানালেন ডাবলসকেও। মঙ্গলবার দুবাই ওপেনের ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে পরাজিত হন সানিয়া। 

    ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে আমেরিকার ম্যাডিসনকে নিয়ে কোর্টে নামেন সানিয়া। রুশ জুটি ভেরোনিকা কুদেরমেতোভা ও লিউদমিলা স্যামসোনোভা এক ঘণ্টার লড়াইয়ে সানিয়াদের (৪-৬, ০-৬) হারিয়ে দেন। ইতি হল এক বর্ণময় কেরিয়ারের। জলে ভেজা চোখ নিয়ে নিঃশব্দে টেনিস কোর্ট ছাড়লেন ৩৬ বছরের এই টেনিস তারকা।

    গত জানুয়ারিতেই আন্তর্জাতিক টেনিসকে আলবিদা জানিয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে উঠেও ফাইনাল হার্ডল আর পার করা হয়নি তাঁর (Sania Mirza)। সেই সময় জুটি বেঁধেছিলেন রোহন বোপান্নার সঙ্গে। ৬-৭, ২-৬ ব্যবধানে তাঁরা পরাজিত হন ব্রাজিলিয়ান জুটি লুসিয়া স্টেফানি ও রাফায়েল ম্যাটোসের কাছে। ছ’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মেলবোর্নের মাটিতেই ইতি টেনেছিলেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ারের। টেনিসকে বিদায় জানালেও ক্রীড়া জগতেই থাকছেন সানিয়া। এবার তিনি ক্রিকেটের মাঠে। অবাক হচ্ছেন? তাহলে শুনুন। আসন্ন উইমেন’স প্রিমিয়র লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মেন্টর সানিয়া মির্জা।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ফিরে  দেখা সানিয়ার ঝকঝকে কেরিয়ার 

    ২০০৩ সালে প্রো হয়েছিলেন সানিয়া। সুইস সুন্দরী মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাবলসে তিনবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবও জিতে নেন (Sania Mirza)। সানিয়া কেরিয়ারে তিনটি মিক্সড ডাবলসের মধ্যে দু’বারই (২০০৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ২০১২ ফরাসি ওপেন) জিতেছেন মহেশ ভূপতির সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতেন ব্রুনো সোরেসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। সানিয়ার টেনিস থেকে সরে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই শেষ হল এক অধ্যায়। শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বের টেনিস ইতিহাসে সানিয়ার নাম লেখা হবে স্বর্ণাক্ষরে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    SSC Scam: ‘‘নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার সেটা করুন’’! কমিশনকে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার যে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হবে সে আর রত্নাকরের রূপে ফেরত যাবে না, অভিমত হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘দস্যু রত্নাকর, বাল্মীকি হয়েছেন, কিন্তু বাল্মীকি যদি রত্নাকর হয় তাহলে? আদালতে মন্তব্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের একাংশের। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই অভিমত জানান বিচারপতি বসু।

    নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করে বেআইনি ভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি এর আগে এসএসসিকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এঁদের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন। এসএসসি সেই নির্দেশ পালন করার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান। তবে ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। নবম-দশমের নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    বুধবার এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, এসএসসি যে পরিজনদের ত্যাগ করেছেন, তাঁরা এখন জেলে। তারা এখন সিবিআই – ইডির হেফাজতে রয়েছে। ’’ এসএসসির পাশাপাশি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়েও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৯৫২ জন শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতিতে আপনাদের কী ভূমিকা সেটা দেখুন। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তারা দুজনেই সমান অপরাধী।’’  কমিশনকে উদ্দেশ করে বিচারপতি বসু আরও বলেন,  ‘আপনি এখন বাল্মীকি, নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য যেভাবে কাজ করার দরকার সেটা করুন।’  বুধবার এই মামলার শুনানি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    অন্যদিকে বিকৃত ৯৫২ ওএমআর শিটে নাম বেরোয় সোনারপুর পৌরসভার একজন কাউন্সিলরের। তিনি নিজের সম্মানহানি হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। শুনানির জন্য উঠেছে তার মামলাটিও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Naushad Siddique Case: ‘কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন?’, নওশাদ জামিন মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddique) জামিন মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টে উঠল ভাঙড়ের বিধায়কের জামিন সংক্রান্ত মামলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। ধর্মতলার কর্মসূচিতে একসঙ্গে ৮৮ জনকে কেন গ্রেফতার করা হল, পুলিশের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে এত দিন ধরে জেলে রাখা নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও তিনি বিধানসভার স্পিকার নয়, একজন আইনজীবী হিসেবে প্রশ্ন করেছেন, নওশাদ (Naushad Siddique) এতদিন জেলে কেন?

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখান থেকে নওশাদ-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একাধিক মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন নওশাদ (Naushad Siddique)। আর এই নিয়েই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের রাজ্যকে প্রশ্ন, একই ঘটনায় কেন ৮৮ জনকে গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারিতে কেন এতদিন ধরে জেলে ৮৮ জন? বিচারপতির আরও প্রশ্ন, ‘এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতা বা নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিকে হেফাজতে নিলেন সেটা ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মত ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?’

    বুধবার হাইকোর্টে নওশাদের (Naushad Siddique) হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক মাসের বেশি সময় জেলে রয়েছেন তাঁরা।’ যা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এমন কী গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল যে একসঙ্গে এতজনকে গ্রেফতার করতে হল পুলিশকে?’ একদিকে বিচারপতি যেমন রাজ্য ও পুলিশকে এই ঘটনায় তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন, অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। বেঞ্চ বলে, ‘নেতাদেরও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।’

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির প্রশ্নের পর রাজ্যের বক্তব্যে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের যুক্তি, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের নামে সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশের মতে, এগুলি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। কিন্তু বিচারপতিরও প্রশ্ন, একটা মিছিল থেকে ৮৮ জনকে কী করে গ্রেফতার করা হয়। ফলে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির জামিন সংক্রান্ত মামলায় সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও কারা আহত হয়েছে সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট পুলিশকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    নওশাদের জামিন মামলায় মন্তব্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    জেলে থাকার কারণেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি নওশাদ (Naushad Siddique)। সম্প্রতি, ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদকেও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বুধবার নওশাদের জেল হেফাজতে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে গিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর মতামত একজন আইনজীবী হিসেবে। এরপর আজ বিধানসভার স্পিকারকে নওশাদের (Naushad Siddique) পক্ষে বলতে শোনা গেল। তিনি তাঁর জেলে থাকা নিয়ে বলেন, ওনার আইনজীবীদের উচিত ছিল এ বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ভাবে পদক্ষেপ করা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এত দিন জেলে রাখার মত কারণ আছে বলে মনে করি না।” আবার বিচারপতির মন্তব্যেও বলেন, “বিচারপতিরা তো বেল দিতেই পারেন। এমন কথা বলার কী মানে আছে? তিনি তো নির্দেশ দিতেই পারেন। বিচারপতি হিসেবে যদি উনি মনেই করেন যে, জামিন হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সে ভাবে তিনি নির্দেশ দিতেই পারেন। বেল হয়ে যাবে বলেই আইনজীবী হিসেবে মনে করি।” 

  • Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    Madhyamik 2023: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, নবম-দশম সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। তার আগে বোর্ডকে মাধ্যমিকের সিলেবাস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    কী বলেন বিচারপতি? 

    বুধবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু ডেকে বলেন, “মাধ্যমিকে এত পড়ুয়া কমে যাচ্ছে। এখন থেকেই রাজ্যের সতর্ক হওয়া উচিত। মাধ্যমিকের সিলেবাস ঠিক করুন। সিলেবাস ঠিক না হলে সমস্যা বাড়বে। দয়া করে এ দিকে নজর দিন।”  

    এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবেন ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী (Madhyamik 2023)। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেকটাই কম। বিচারপতি বসু বলেন, “এ বছর মাধ্যমিকে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। এটা কেন হল রাজ্যকে ভাবতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করলে, সেই শিক্ষকেরা কাদের পড়াবেন সেটা আগে চিন্তা করা প্রয়োজন। পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক থেকে লাভ কী?”

    বিচারপতি আরও বলেন, “নবম-দশম শ্রেনির সিলেবাস ৪ বছরেরও বেশি পুরোনো। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিলেবাসে সংস্কার করুক রাজ্য। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা।”

    আরও পড়ুন: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, “শুধু শিক্ষক নিয়োগ হলে তাতে লাভ কী হবে (Madhyamik 2023)! ছাত্র সংখ্যা ৩০ আর সেখানে শিক্ষক ১২। দিনভর ঝগড়া চলছে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে। সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্য।”     

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। সেই মামলা এখন চলছে হাইকোর্টে। নতুন শিক্ষক নিয়গ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা  কমে যাওয়ায় চিন্তিত সকলে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসের কারণেই রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল। বুধবার দুপুরে আচমকাই কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। জানা গিয়েছে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ নেপালে একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিমি।

    রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি ভূমিকম্পের অভিঘাত অনুভূত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন দুপুর দেড়টায় উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়েও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৪। পিথোরাগড় থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

    ভূমিকম্প অনুভূত মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারতে

    এর আগে রবিবার অর্থাৎ, ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের মালওয়া এলাকায় ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র) ট্যুইট করে জানিয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর সদর দফতর থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে ধার জেলায় রবিবার দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভুপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নিচে ৩.০ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ধার জেলার গুজরাট ও মহারাষ্ট্র সীমান্তে। মৃদু এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ধার ছাড়াও বারওয়ানি ও আলিরাজপুরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

    রবিবার শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৮। জাতীয় ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুসারে, ওই দিন সকাল ৬টা বেজে ২৬ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মেঘালয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে। শুধু মেঘালয় নয়, অসম ও গুয়াহাটির বেশ কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

    রবিবার সকাল ৭টা ৩ মিনিটে ভারত মহাসাগরে রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্যাম্পবেল সৈকত থেকে ৬২৩ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমদ্রতলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৬ কিলোমিটার গভীরে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    ভয়াবহ ভূমিকম্পের শঙ্কা

    ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এইসব রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। সাম্প্রতিক তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অতটা না থাকায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ভারতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত ভূ-বিজ্ঞানীদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে ভারতীয় টেকটনিক প্লেট। হায়দরাবাদের ন্যাশন্যাল জিও ফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান আবহবিদ এবং ভূবিজ্ঞানী ডঃ এন পূর্ণ চন্দ্র রাও জানান, পৃথিবীর ভূত্বকে বহু রকমের প্লেট রয়েছে। যেগুলি প্রতিনিয়ত চলমান। ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে হিমালয় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এর ফলে সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে ভূমিকম্পের।

    ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানা গেছে সোমবার উত্তরাখন্ডের ধর্মশালা থেকে ৫৬ কিমি উত্তরে ৩.৬ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১০ কিমি গভীরে। এছাড়া ফ্রেবরুয়ারির ১৯ তারিখেও অন্ধ্রপ্রদেশের  এনটিআর জেলার নন্দিগামা এলাকা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Women’s T20 World Cup: মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ, আত্মবিশ্বাসী হরমনপ্রীতরা

    Women’s T20 World Cup: মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ, আত্মবিশ্বাসী হরমনপ্রীতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতই মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তান পরাজিত হয় ইংল্যান্ডের কাছে। গতকাল, ইংল্যান্ড ১১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত হয় বি-গ্রুপের ক্রমতালিকা ও সেমিফাইনালের সূচি। পাকিস্তান হারতেই জানা গেল ভারতীয় দল ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালের ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। ফলে টি-২০ মেয়েদের বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে ভারতীয় দল এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ফলে গ্রুপ পর্ব শেষ করে এ বার শেষ চারে চারটি টিম। আগামীকালের সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় দল বিশ্বাসী বলে জানিয়ে দিয়েছেন হরমনপ্রীতরা।

    সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হরমনপ্রীত ব্রিগেড

    মেয়েদের অধিনায়ক হরমনপ্রীত আগেই জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়াকে খেলতে হবে এমনটা ভেবেই মানসিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। এরপর পাকিস্তানের হারে তা ঠিক হয়ে গেল যে, হরমনরা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাঠে নামতে চলেছেন। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে হরমনপ্রীত বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে মানের ক্রিকেট আমরা খেলেছি তাতে আমাদের মনোবল অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা ভাল করেই জানি, পরবর্তী ম্যাচে আমাদের কী করতে হবে। সেই মত আমরা পরিকল্পনাও তৈরি করব। বিশ্বকাপে যে টিমই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কাউকেই সহজ বলে ধরা যায় না।”

    আরও পড়ুন: মাইল ফলক ছুঁলেন হরমনপ্রীত! আইসিসি টি-২০ মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত

    উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালেও সেই ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। তারপরের খেলায় দুর্বল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ভারত। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন স্মৃতি মন্ধানা। তাঁর ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করেই সম্মানজনক রানে পৌঁছয় ভারত। তবে ১৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫৪ রান করার পরেই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। এরপর আর খেলা শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে জিতে যায় ভারত।

    সেমিফাইনালের সূচি

    ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া- ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার), সন্ধ্যে ৬.৩০

    ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যে ৬.৩০

  • TET Scam: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    TET Scam: অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কীভাবে নিতে হয় জানতেন না টেট পরীক্ষকরাই! মন্তব্যে ‘বিস্মিত’ বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন পদক্ষেপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার পরীক্ষার মুখে খোদ পরীক্ষকরাই। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই পরীক্ষকদের জিজ্ঞাসা করতেই বেরিয়ে এল আরও এক আশ্চর্যকর তথ্য। টেট পরীক্ষার অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া সেই পরীক্ষকদের একাংশ জানালেন, তাঁদের অনেকে জানতেনই না অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট কী ভাবে নিতে হয়। আর এমনকী পরীক্ষকদের মধ্যে একজন বিচারপতিকে বলেছেন, বাংলায় কথা বলতে, ইংরেজি বুঝতে পারবেন না। ফলে খোদ পরীক্ষকদের এমন পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।

    কী ঘটেছিল?

    ২০১৪-এর টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। নিয়োগের পরীক্ষায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে নিয়ম না মানার অভিযোগ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতে এবার হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউয়ারদের তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, পর্ষদের হলফনামা থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রাথমিকের ২০১৬-র নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ৪০ জনের সঙ্গে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার কথা থাকলেও এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে উপস্থিত ছিলেন না হাওড়ার ইন্টারভিউয়াররা। ফলে মোট ৩০ জনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বিচারপতি।

    পরীক্ষকদের কথা শুনে ‘স্তম্ভিত’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    গতকাল এজলাসে নয়, হাইকোর্টের সার্ধশতবর্ষ ভবনের একটি ঘরে পরীক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। ১১টা ৪৫ থেকে শুরু হয় সেই প্রক্রিয়া। পরীক্ষকদের আশ্বস্ত করে বিচারপতি জানান, সামান্য কিছু প্রশ্ন করা হবে। এরপর নাম ডেকে একে একে ওই পরীক্ষকদের ঘরে ডাকা হয়। তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বিচারপতি।

    আইনজীবী সূত্রে খবর, বন্ধ ঘরে উপস্থিত ইন্টারভিউয়ারদের প্রথমেই বিচারপতি অভয় দিয়ে বলেন, “আপনাদের কোনও ভয় নেই। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। যা সত্যি তা আমায় জানাবেন। তবে বিচারকক্ষের বাইরে এ নিয়ে কোনও কথা বলবেন না।” এর পর সেখানেই কেউ কেউ বিচারপতিকে জানান, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না তাঁরা। এই পরীক্ষা কী, কীভাবে নিতে হয়, তা কিছুই জানতেন না তাঁরা। আবার তাঁদের কারও কারও ‘জ্ঞানের দৌড়’ দেখেও বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। খবর মিলছে, এই ‘পরীক্ষক’-দের একজন নাকি জেরার শুরুতেই আর্জি জানান “বাংলায় বলুন সার! ইংরেজি বুঝতে পারব না।” যা শুনে স্তম্ভিত বিচারপতি।

    ফলে যাঁরা পরবর্তীতে শিক্ষক হতে চলেছেন, তাঁদেরই পরীক্ষা নিতে পারেননি এই ইন্টারভিউয়ার বা পরীক্ষকরা। ফলে তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেছে বিচারপতি। এমনকী প্রাথমিকে ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে সে দিন আর রুদ্ধদ্বার শুনানি নয়। নিজের এজলাসেই মামলাটি শুনবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    Adeno Virus: মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা ঘর! অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট থাকবে মার্চ পর্যন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যে আগামী কাল, বৃহষ্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সকল পরীক্ষার্থী যাতে সুস্থভাবে মাধ্যমিক দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে সাবধানী ভূমিকা নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যে গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে যাতে সর্দি কাশি কিংবা জ্বর নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে না যায়। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনও মূল্যেই পরীক্ষা দিতে চাইবেন ছাত্রছাত্রীরা। তাই প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে “সিক রুম” রাখতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    সতর্ক পর্ষদ

    পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারের তরফে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলার জন্য যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবরকম সতর্কতা নেবে পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকতে চলেছে “সিক রুম”। পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ বোধ করলে যাতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেই কারণেই এই সিক রুমের ব্যবস্থা থাকছে সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই। সব কটি ভেন্যুতেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো থাকবে। যেভাবে জ্বর বা অসুস্থতা দেখা যাচ্ছে, তার জেরেই এই বাড়তি ব্যবস্থা বলে জানান রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ক্লান্ত লাগছে, দুর্বল! ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি নয় তো?

    মার্চ পর্যন্ত সাবধানে থাকুন

    ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অ‌্যাডিনো (Adenovirus) সংক্রমণের দাপট অন্তত মার্চ পর্যন্ত চলবে। তাই সকলকে আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রাজ‌্যজুড়ে সিংহভাগ বাচ্চার মধ্যে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের জন‌্য দায়ী অ‌্যাডিনো ভাইরাসের চরিত্র বদল হয়নি। যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে সেটি পুরনো। এবং আগেও ছিল, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৮ সালেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছিল, তবে এবছর এই ভাইরাস সংক্রমণ লাগাম ছাড়া। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে উপচে পড়ছে ভিড়। পেডিয়াট্রিক আউটডোরে থিক থিক করছে লোক। ভিড় উপচে পড়েছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। বি সি রায় হাসপাতালের আউটডোরে। তাই আপাতত আরও একমাস সকলকে সাবধানে থাকতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share