Blog

  • SSC Scam: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    SSC Scam: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের নতুন নাম উঠে আসতেই আবারও হবু হাজতবাসের তালিকায় কারা থাকতে চলেছেন তা জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নাম না করেই সুকান্ত কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘কালীঘাটে যখন ব্যাপারটা ঢুকে গেছে তখন খুব শিগগির এই কাকুর ভাইপো, সেই ভাইপোর পিসির নামও চলে আসবে। দাঁড়ান, অপেক্ষা করুন, আস্তে আস্তে সব হবে।’

    সুকান্তের তোপ

    কলকাতা আইসিসিআর-এ বিজেপির ২০২৪ লোকসভার বিস্তারকদের কার্যকরণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার। সেখানে রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও একাধিক বিধায়ক। ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এই বৈঠক শেষে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে একহাত নেন। শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রদান থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ঘেরাও সংস্কৃতিকে তুলোধনা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ঘেরাও এই সংস্কৃতিকে আমরা বিশ্বাস করি না।’

    আরও পড়ুন: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    কুন্তলের মুখে নয়া নাম

    এদিন যখন কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথমবারের জন্য প্রকাশ্যে আনলেন তাপস মণ্ডল তখন কুন্তলের মুখে আবার শোনা গেল নতুন একটি নাম। নিজাম প্যালেসে ঢোকার সময়ে কুন্তল এদিন বিভাস অধিকারী বলে একজনের নাম বলেন। কে এই বিভাস অধিকারী? হাঁটতে হাঁটতে বলেন, ‘উনিও তাপস মণ্ডলের মতো একজন!’ বলেই লিফটে উঠে পড়েন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    সম্প্রতি, বালিগঞ্জে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর মতে, ‘কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kajal Sheikh: ‘যে কোনও দিন খুন হয়ে যেতে পারি’! কেন এই আশঙ্কা তৃণমূল নেতা কাজল শেখের?

    Kajal Sheikh: ‘যে কোনও দিন খুন হয়ে যেতে পারি’! কেন এই আশঙ্কা তৃণমূল নেতা কাজল শেখের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেকোনও দিন খুন হয়ে যেতে পারেন। বীরভূমের কর্মিসভায় প্রকাশ্যে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সে জেলার তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বীরভূম তৃণমূলের জেলা কোর  কমিটির সদস্য। কিন্তু শাসক দলের নেতা কেন এই ভয় পাচ্ছেন?

    কী বলেন কাজল? 

    মঙ্গলবার বোলপুরের কঙ্কালীতলার এক কর্মিসভায় যোগ দিয়ে কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বলেন, “বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমার মা মাথায় তিনটে চুমা দেয় এবং ঠাকুরের কাছে দোয়া করে যাতে আমি বাড়ি ফিরে আসি। কারণ আমার ঘরে শত্রু বাইরে শত্রু। আমি জানি যে কোন মুহূর্তে আমার প্রাণের বিপর্যয় ঘটতে পারে।”   

    অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর (Kajal Sheikh) লোক বলে পরিচিত কাজল। অনুব্রতর ভয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই একঘরে হয়ে আছেন তিনি। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন অনুব্রত। কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর থেকে এই বিরোধী গোষ্ঠীর ওপর আরও ক্রুদ্ধ হয়েছে তাঁর অনুগামীরা। সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে দলের নতুন জেলা কোর কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে ঠাঁই হয় কাজল শেখের। সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী জানান, এবার থেকে বীরভূমের সংগঠন দেখভাল করবেন তিনি নিজে।

    আরও পড়ুন: কর্মবিরতির পর ডিএ- র দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক সরকারি কর্মচারীদের

    এদিনের সভা থেকে অনুব্রত অনুগামীদের নিশানা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Kajal Sheikh)। কেষ্টর নাম না করে কাজলের দাবি, মানুষের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারেননি দলের কয়েক জন নেতা। তিনি বলেন, “আমাদের কিছু নেতা ছিলেন, যাঁরা মানুষের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। কালো কাচের গাড়িতে হাত নাড়িয়ে চলে যেতেন। কখনও করজোড় করেননি। তাই বিধানসভার ভোটে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে হেরে গিয়েছিলেন।”

    কাজল (Kajal Sheikh) আরও বলেন, “আমি কাউকে ভয় পাই না। আমি সত্যের পথে চলি। তাই কে কী বললেন, তাতে আমার কিছুই যায়-আসে না।” যদিও পরক্ষণেই তাঁর দাবি, “ঠিকমতো বাড়ি ফিরতে পারব কি না, সে আশঙ্কায় থাকি। ঘরেবাইরে অনেক শত্রু আমার। কখন কী করে দেবে! কিছু দিন আগেই বাইরে থেকে আসা দুষ্কৃতীরা আমাকে খুনের প্ল্যান করেছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • CM Meeting: সভায় আসা ছাত্রদের দেওয়া হল ‘পচা বিরিয়ানি’! শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিতর্ক

    CM Meeting: সভায় আসা ছাত্রদের দেওয়া হল ‘পচা বিরিয়ানি’! শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওার আগে ছাত্রদের দেওয়া হল পচা বিরিয়ানির প্যাকেট। খাওয়ার অযোগ্য ওই বিরিয়ানি ফেলে দেয় ছাত্ররা। খালি পেটেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেয় তারা। পরে অবশ্য তাদের হাতে ভাল প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে  শিলিগুড়িতে।

    অভুক্ত পড়ুয়ারা

    মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য স্থানীয় ১২টি স্কুলের প্রায় ১০০০ পড়ুয়াকে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলে জড়ো করেছিল প্রশাসন। দুপুরে তাদের বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই ছড়িয়ে পড়ে পচা গন্ধ। কয়েকজন ছাত্র শিক্ষকদের বিষয়টি বলে। শিক্ষকরা পরীক্ষা করে বলেন, এই বিরিয়ানি খাওয়ার যোগ্য নয়। এর পর বিরিয়ানি বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে ছাত্ররা ইতিমধ্যে বিরিয়ানির প্যাকেট পেয়েছিল তারা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। কয়েকজন পড়ুয়া ওই বিরিয়ানি খেয়ে রীতিমতো বমি করতে শুরু করে। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

    খাবারের গুণগত মান নিয়ে স্কুল পড়ুয়ারও ক্ষোভ উগরে দেয়। এক ছাত্র বলে, “অনেকক্ষণ হল বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। অনেকক্ষণ থাকতেও হবে। দুপুরে খাবার দেওয়া হবে বলে আগে থেকে জানানো হয়েছিল। তাই খাবার নিয়ে আসিনি। বিরিয়ানি খেতে গিয়ে দেখি পচা। বিকট গন্ধ বেরোচ্ছে। তাই ফেলে দিয়েছি।” পচা বিরিয়ানি কেন বিলি হল তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মমতা সভামঞ্চ থেকে এদিন পড়ূয়াদের জিজ্ঞেসও করেন যে তারা কিছু খেয়ে এসেছে কি না! উত্তরে পড়ুয়ারা গোটা ঘটনা জানায়। পড়ুয়াদের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘খিদে পেয়েছে?’’ মঞ্চের সামনের দিকে বসে থাকা পড়ুয়ারা একযোগে বলে ওঠে ‘‘হ্যাঁ।’’ এরপর তাদের খাবারের প্যাকেট দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।  

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ      

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের জন্য বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। তারা স্থানীয় এক ক্যাটারারকে কয়েকশো প্যাকেট বিরিয়ানি তৈরির দায়িত্ব দেয়। ওই ক্যাটারারের দাবি, তাঁকে সোমবার রাতের মধ্যে বিরিয়ানি তৈরি করে প্যাকট পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। তিনি নির্ধারিত সময়ে তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই বিরিয়ানি যদি পরদিন দুপুরে বিলি করা হয়, সেটা তাঁর দায় নয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA: কর্মবিরতির পর বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক সরকারি কর্মচারীদের, জানেন কবে?

    DA: কর্মবিরতির পর বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক সরকারি কর্মচারীদের, জানেন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে তত জোড়ালো হচ্ছে ডিএ- এর (DA) দাবিতে আন্দোলন। দুদিন ধরে কর্মবিরতির পর এবার ধর্মঘটের ডাক দিল সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। আগামী ৯ মার্চ রাজ্য জুড়ে স্কুল-সহ সমস্ত সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মীরা। ছাড় দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল-সহ বেশ কিছু জরুরী পরিষেবাকে।

    মঙ্গলবার, কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় আন্দোলনকারীদের (DA)। জেলায় জেলায় আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলা হয়েছে অভিযোগ রয়েছে। হয়েছে হাতাহাতিও। গত দু’দিন বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন ভাঙার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি মহিলাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলকারীরা। এর প্রতিবাদে বুধবার সমস্ত সরকারি দফতরে ধিক্কার কর্মসূচি পালন করা হবে। টিফিনের সময় কর্মীরা কালো ব্যাচ পরে ধিক্কার দিবস পালন করবেন।   এই পরিস্থিতিতে ৯ মার্চ যৌথ ভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মী সংগঠন। কো-অর্ডিনেশন কমিটিও এই ধর্মঘটে সামিল হওয়ার ঘোষণা করেছে।    

    মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে সরকারি কর্মীদের দু’দিনের কর্মবিরতি আন্দোলন। এর এদিন বিকালে বৈঠকে বসে যৌথ মঞ্চ (DA)। সেই বৈঠকে এই ধর্মঘটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের সরকার বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট ডাকতে হচ্ছে। শহীদ মিনারের পাদদেশে ২৬ দিন ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। ১২ দিন ধরে হচ্ছে অনশন। কিন্তু এরপরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।”

    আরও পড়ুন: প্রথমবার লোকসভায় গিয়েই দুরন্ত পারফরম্যান্স! ‘সংসদ রত্ন’ হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার”

    ধিক্কার কর্মসূচী 

    বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত দু’দিন ধরে যে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা (DA)। আন্দোলন সফল হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা (DA)। অন্যদিকে, গত এই কর্মবিরতি চলাকালীন বেশ কিছু জায়গায় সরকারের তরফে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে বুধবার সব সরকারি দফতরে ধিক্কার কর্মসূচির ডাকও দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদে বলেন, “দু’দিনের বন্‌ধে কিছু হবে না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ করে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ নিয়ে বাড়ি যাবেন কর্মীরা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Sansad Ratna Award 2023: প্রথমবার লোকসভায় গিয়েই দুরন্ত পারফরম্যান্স! ‘সংসদ রত্ন’ হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার

    Sansad Ratna Award 2023: প্রথমবার লোকসভায় গিয়েই দুরন্ত পারফরম্যান্স! ‘সংসদ রত্ন’ হচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জয়ের রথ যেন থামতেই চাইছে না। জীবনে প্রথমবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই হয়েছিলেন সাংসদ। এবার এল আরও এক সাফল্য। প্রথমবার আইনসভায় এসেই দেশের সেরা সাংসদ হওয়ার তালিকায় নাম জুড়ল তাঁর। পেতে চলেছেন ‘সাংসদ রত্ন’ সম্মান (Sansad Ratna Award 2023)। একসময় এই সম্মান পেয়েছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, লালকৃষ্ণ আদবানি, প্রণব মুখার্জিরা। সেই দলেই নাম লেখাতে চলেছেন সুকান্ত। এ যেন এক বিরল নজির। প্রথম বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েই এই সম্মান খুব কম মানুষই পেয়েছেন। 

    প্রথমবারের সাংসদ হলেও কোনও জড়তা ছিল না পেশায় অধ্যাপক সুকান্তর (Sansad Ratna Award 2023) মধ্যে। বরং প্রথম দিন থেকেই সাংসদে তাঁর উপস্থিতি, কড়া প্রশ্নবাণ, বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সকলের। আর সেই কারণেই তাঁর ঝুলিতে আসতে চলেছে এই সম্মান।

    তালিকায় দ্বিতীয় সুকান্ত   

    মঙ্গলবার দিল্লিতে সংসদ রত্ন পুরষ্কার কমিটি এই সম্মানের ঘোষণা করেছে। সেখানেই ঘোষণা করা হয় সুকান্ত মজুমদারের (Sansad Ratna Award 2023) নাম। প্রাইম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সেরা ১৩ জন সাংসদ এবং ১ জন বর্ষিয়ান সাংসদকে তাঁদের জনহিতকর প্রশ্ন ও সরকারকে দিশা দেখানোর কর্মকুশলতার জন্য এই সংসদ রত্ন সম্মানে ভুষিত করা হয়েছে। এই ১৩ জনের মধ্যে আটজন লোকসভার এবং পাঁচজন রাজ্যসভার। এই সাংসদের মধ্যে তিন আবার অবসরপ্রাপ্ত। এ ছাড়া ২টি সংসদীয় কমিটির সদস্য ও একজন সাংসদকে সারা জীবনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই ১৩ জন সাংসদের নামের তালিকার মধ্যে বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নাম রয়েছে দু’নম্বরে।

    আরও পড়ুন: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    জানা গিয়েছে, এই কয়েক বছরে সংসদ কক্ষে প্রশ্ন করায় সমস্ত রেকর্ড ভেঙেছেন সুকান্ত (Sansad Ratna Award 2023)। ৫২২ টি প্রশ্ন করেছেন তিনি। যা সাংসদদের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রশ্নগুলি মূলত স্বাস্থ্য পরিষেবা,  শিক্ষা, পরিকাঠামো, কৃষি এবং পরিবেশ সহ বিস্তৃত বিষয়ের উপর করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি সংসদে ৩২ টি বিতর্কেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে এসেছেন। তাঁর এই সম্মানে খুশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, এই সম্মান‌ই প্রমাণ করছে সাংসদ হিসেবে সুকান্ত মজুমদার ঠিক কতটা দক্ষ।

    সুকান্ত ছাড়াও এ রাজ্য থেকে এই সম্মান পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • SSC Scam: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    SSC Scam: কে ‘কালীঘাটের কাকু’ তা খোলসা করলেন তাপস মণ্ডল, জানেন তাঁর বাড়ি কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বার বার শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু প্রকাশ্যে আসেনি তাঁর পরিচয়। এবার কালীঘাটের কাকুর নাম ফাঁস করে দিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। তাপসের দাবি, কালীঘাটের কাকুর নাম সুজয় ভদ্র। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর গাড়িতে ওঠার সময়ই তাপসকে প্রশ্ন করা হয় কালীঘাটের কাকু কে? হেসে তাপস  উত্তর দেন, ‘সেটা কুন্তল বলবে’। আপনি জানেন না? ‘নামটা জানি, নামটা বলেছে.. কী যেন সুজয় ভদ্র নাকি’। কে সুজয় ভদ্র? হাত নেড়ে তাপসের জবাব, ‘আমি চিনি না, চিনি না।’

     কে সুজয় ভদ্র

    এর আগেও তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকের নাম সামনে এনেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছিল হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর বলেছিলেন, গোপাল দলপতি সব জানেন। সেই গোপালই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন এই কাকুর কথা। কুন্তলের সঙ্গে নাকি যাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার কোনও এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়ের। তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    কালীঘাটের কাকুর বাড়ি 

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন নাম কালীঘাটের কাকু। সুজয় ভদ্র নামে যে ব্যক্তিকে কুন্তল ঘোষ কালীঘাটের কাকু বলে ডাকতেন, তিনি কিন্তু আদপে কালীঘাটের বাসিন্দা নন। সূত্রের খবর, এই সুজয় ভদ্র-র বাড়ি  বেহালায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির সবচেয়ে বড় মাথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে। বেহালা পশ্চিম বিধানসভার ফকির পাড়ায় তাঁর বাড়ি। ১৭বি/১, রাধারাণি। এই হচ্ছে বাড়ির ঠিকানা। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কাকু, কাকুর ভাইপো, কাকীমা, মাসিমা, পিসিমা, ভাইপো সবার নামই এবার সামনে আসছে।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dadasaheb Phalke Award 2023: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ঝুলিতে দাদাসাহেব ফালকে! দেখুন বিজয়ীদের পুরো তালিকা

    Dadasaheb Phalke Award 2023: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ঝুলিতে দাদাসাহেব ফালকে! দেখুন বিজয়ীদের পুরো তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর মুকুটে জুড়ল ফের নয়া পালক। তুমুল বিতর্কের মধ্যেও সম্মানিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এবার দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির শিরোপা পেল বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এর আগেও একাধিক পুরস্কার জিতেছিল ছবিটি। ফের পুরস্কারে সম্মানিত হল এই সিনেমা। শুধু তাই নয়, এই চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন অনুপম খের। যিনি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সব মিলিয়ে সাফল্য ও পুরস্কার জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ টিম। বিবেক নিজেই তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পুরস্কার নেওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন।

    ‘দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার ২০২৩’

    সোমবার অনুষ্ঠিত হয় ‘দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার ২০২৩’। রেড কার্পেটে দেখা যায় বিনোদন দুনিয়ার একাধিক তারকার। আলিয়া ভাট থেকে বরুণ ধবন, তেজস্বী প্রকাশ থেকে রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন রেখাও। চলতি বছরে দাদাসাহেব ফালকে অন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর সেরা অভিনেতার খেতাব গিয়েছে রণবীর কাপুরের ঝুলিতে, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির জন্যে। অন্যদিকে ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ ছবির জন্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।

    ২০২৩ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার বিজেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা

    সেরা চলচ্চিত্র: দ্য কাশ্মীর ফাইলস

    সেরা পরিচালক: আর বাল্কি, (চুপ: রিভেঞ্জ অফ দ্য আর্টিস্ট)

    সেরা অভিনেতা: রণবীর কাপুর (ব্রহ্মাস্ত্র)

    সেরা অভিনেত্রী: আলিয়া ভাট (গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি)

    মোস্ট প্রমিসিং অভিনেতা: ঋষভ শেট্টি (কান্তারা)

    ক্রিটিক্স চয়েস সেরা অভিনেতা: বরুণ ধবন (ভেড়িয়া)

    ফিল্ম অফ দ্য ইয়ার: আর আর আর

    টেলিভিশন সিরিজ অফ দ্য ইয়ার: অনুপমা

    মোস্ট ভার্সেটাইল অভিনেতা: অনুপম খের (দ্য কাশ্মীর ফাইলস)

    সেরা সহ অভিনেতা: মণীশ পাল (যুগ যুগ জিও)

    ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান: রেখা

    সেরা ওয়েব সিরিজ: রুদ্র: দ্য এজ অফ ডার্কনেস

    সেরা টেলিভিশন সিরিজ অভিনেতা: জৈন ইমাম (ফনাহ- ইশক মে মরজাওয়ান)

    সেরা টেলিভিশন সিরিজ অভিনেত্রী: তেজস্বী প্রকাশ (নাগিন)

    সেরা গায়ক: সচেত টন্ডন (মাইয়া ম্যায়নু)

    সেরা গায়িকা: নীতি মোহন (মেরি জান)

    সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফার: পি এস বিনোদ (বিক্রম বেদা)

    সঙ্গীত জগতে অবদান: হরিহরণ

  • SSC Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! এবারে এসএসসির প্রাক্তন কর্মী শ্যামল কুমার সেনকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! এবারে এসএসসির প্রাক্তন কর্মী শ্যামল কুমার সেনকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী শ্যামল সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁকেই এবারে চলতি সপ্তাহে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হল। আনতে বলা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি এসএসসি-র প্রাক্তন আধিকারিক। সিবিআই আধিকারিকদের অভিযোগ, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসএসসির প্রাক্তন আধিকারিক শ্যামল সেনের সম্পত্তি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আকস্মিকভাবে এই সম্পত্তি বৃদ্ধির ব্যাপারটি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এবারে তাঁকে তলব করল সিবিআই।

    সিবিআই কী তথ্য পেল?

    সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল তাঁর বরানগরের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযানের পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ যা থেকে স্পষ্ট ভাবে তাঁরা বুঝতে পারছেন যে, এই প্রাক্তন আধিকারিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত ও অনেক তথ্যও জানেন তিনি। অভিযোগ, হিসাব বহির্ভূত লেনদেনও হয়েছে, তার তথ্য-প্রমাণ ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।

    আরও পড়ুন: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    কাদের সঙ্গে এবং কেনই বা এই কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন একজন সরকারি আধিকারিক? সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি তদন্তকারীদের কাছে। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চলতি সপ্তাহে শ্যামল সেনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

    এসপি সিনহার কাজ করতেন শ্যামল সেন!

    তদন্তে উঠে এসেছে যে, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ধৃত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি সিনহার হয়ে একাধিক কাজ করতেন এই শ্যামল কুমার সেন। অভিযোগ, তাঁর নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা তুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন শ্যামল। উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান এসপি সিনহার কাছ থেকে তার বদলে ‘কমিশন’ও পেতেন তিনি। ফলে এসএসসি-র এই প্রাক্তন আধিকারিক সরাসরি দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে শ্যামল সেনকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি এই সপ্তাহে হাজিরা দেন কিনা, সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হন কিনা, এটাই এখন দেখার।

  • Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা  বিচারকের

    Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারকের। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার ‘রঞ্জন’ চন্দন মণ্ডল। বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। চন্দন মণ্ডল যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত, তা হলে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে ৯ মাস সময় লাগল? সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন আলিপুরের দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতের বিচারক রানা দামের।

    সিবিআইের তরফে কী বলা হল?

    এদিন চন্দনের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল চাকরি দেওয়ার নামে মোট ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন। আদালতে আজ এমনই জানিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে চন্দনের ভূমিকা আছে। চন্দন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। সেখান থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে দিতেন। চন্দন কার থেকে টাকা নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন, সেগুলো এখনও জানা দরকার। তাই চন্দনের হেফাজত গুরুত্বপূর্ণ।” গ্রেফতারির আগে চন্দন অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক রাণা দাম প্রশ্ন করেন, “আপনারা চন্দন মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে চান না, তাহলে জামিন দিলে কী সমস্যা? এখন কান্নাকাটি করছেন জামিন দেবেন না, তাহলে এতদিন ছেড়ে রেখেছিলেন কেন?” এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, এতদিন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা। ফের বিচারকের প্রশ্ন, “৪ মাস ধরে চন্দনকে বাইরে রেখেছিলেন। বলেছেন, ও তদন্তে সহযোগিতা করেছে। তখন জানতেন না যে, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করবেন? বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ৯ মাস সময় লাগল চন্দনকে দোষী প্রমাণ করতে?”

    বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হঠাৎ করে এমন কী হল যে চন্দন দোষী হয়ে গেল? এখন বলছেন উনি সহযোগিতা করছেন না। তাহলে এত প্রমাণ পেলেন কীভাবে? আপনারা যা বলছেন সেটা আপনাদের কথায় প্রকাশ পাচ্ছে না।” সিবিআইয়ের দাবি, “চন্দন অনেক কিছু চাপা দিতে চাইছেন। সম্পূর্ণটা বলছেন না। মিডলম্যানের কাছ থেকে ৫-১৫ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।” ফের বিচারপতি বলেন, “চারটে নোটিস পাঠিয়েছেন। ওনাকে বাইরে থাকতে দিয়েছেন আপনারাই। হঠাৎ করে আপনাদের মনে হল একে জেলে পুড়তে হবে।”

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারকের, চন্দন এত গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন তাঁর জন্য শুধু জেল হেফাজত চাওয়া হচ্ছে? কেন পুলিশ হেফাজত চাওয়া হচ্ছে না? এর পাশাপাশি, চন্দন যে সব ধরনের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন, তার উল্লেখও চার্জশিটে নেই বলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ। ফলে এদিন চন্দন মণ্ডলের মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারক।  এখন এটাই দেখার, চন্দন মণ্ডলের থেকে আর কোনও তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে কিনা।

  • S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    S Jaishankar: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী?’, কংগ্রেসকে নিশানা জয়শঙ্করের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কে সেনা পাঠিয়েছিল? রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)?  মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, কংগ্রেসের নেতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। চিন যখন সেনা মোতায়েন করেছিল, তখন পাল্টা ভারতও সেনা মোতায়েন করেছিল সীমান্তে। তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে কী হয়েছিল, সেটা বিরোধীরা মনে করে দেখুন। জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে উন্নত পরিকাঠামো গড়তে মোদি সরকার বাজেট বরাদ্দ পাঁচ গুণ বাড়িয়েছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    গত বছর প্যাংগং লেকের ওপর ব্রিজ তৈরির চেষ্টা করেছিল চিন। এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ১৯৬২ সালের যুদ্ধ থেকেই ওই জায়গাটি চিন জোর করে দখল করে রেখেছে। জয়শঙ্কর বলেন, কখন ওই জায়গাটি চিনের নিয়ন্ত্রণে এল? আসলে ‘সি’ দিয়ে কোনও শব্দ শুরু হলে, বুঝতে সমস্যা হয় কংগ্রেসের। আমার মনে হচ্ছে, তারা বার বার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করে। চিনারা প্রথমে ওই জায়গায় এসেছিল ১৯৫৮ সালে। এর পর ’৬২ সালের অক্টোবর মাসে তারা জায়গাটি দখল করে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    তিনি বলেন, আর এখন ২০২৩ সালে আপনি মোদি সরকারকে ব্রিজ নিয়ে দুষছেন? বিদেশমন্ত্রী বলেন, ১৯৬২ সালেই ওই জায়গাটি দখল করেছিল ওরা। এখন আপনাদের সেটা স্বীকার করার মতো সততাও নেই। জয়শঙ্কর বলেন, রাজীব গান্ধী ১৯৮৮ সালে বেজিং গিয়েছিলেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালে তিনি চুক্তি সই করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি এটা মনে করছি না যে সেই চুক্তি ভুল ছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক দিক নয়। সেই সময় এটা করা হয়েছিল সীমান্তে স্থিতাবস্থা আনার জন্য। এর পরেই রাহুলকে নিশানা করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, কে সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন? রাহুল গান্ধী পাঠাননি। সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচুর ব্যয় করে আমরা সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখি। তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করেছি বাজেটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share