Blog

  • Shiv Sena: সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর, কেন জানেন?   

    Shiv Sena: সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর, কেন জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath shinde)। নির্বাচন কমিশন শিন্ডে শিবিরকে আসল শিবসেনা (Shiv Sena) ঘোষণা করেছে। শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক ব্যবহারের অধিকারও দেওয়া হয়েছে তাদের। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের শীর্ষ আদালতকে শিন্ডে এও জানিয়েছেন, কোনও অর্ডার পাশ করার আগে মহারাষ্ট্র সরকারের বক্তব্য যেন শোনা হয়।    

    শিবসেনা…

    মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরলে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। পরে মতাদর্শের প্রশ্নে শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে যান একনাথ শিন্ডে। বেশিরভাগ বিধায়ক শিন্ডে শিবিরে নাম লেখানোয় পড়ে যায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্ডে। তার পরেই আসল শিবসেনা কে এই প্রশ্নে বিবাদ বাঁধে শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে ঠাকরে শিবিরের। তার পরেই দু পক্ষকেই দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিল নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্র বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে অন্তবর্তীকালীন এক রায়ে কমিশন জানায়, জ্বলন্ত মশালের প্রতীক নিয়ে লড়বে উদ্ধবের দল ‘শিবসেনা’ (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)।বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা নাম ও জোড়া তরোয়াল-ঢাল প্রতীক পেয়েছিল শিন্ডে শিবির। সেই বিবাদের মীমাংসা হয় শুক্রবার। নির্বাচন কমিশন শিবসেনা নাম ও প্রতীকের অধিকার তুলে দেয় শিন্ডে শিবিরের হাতে।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন উদ্ধব ঠাকরে। শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবন মাতোশ্রীতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন উদ্ধব ঠাকরে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর শিবিরের সাংসদ, বিধায়ক ও অন্য পদাধিকারীরা। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা ঘোষণা করে উদ্ধব বলেন, বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। বিশ্বাসঘাতক একনাথ শিন্ডে ইতিহাসের ধারা বদলাতে পারবে না। উদ্ধব ঠাকরে শিবির সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন একনাথ শিন্ডে। দাখিল করেন ক্যাভিয়েট। প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে শিবসেনা গঠন করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালাসাহেব ঠাকরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nikki Yadav Murder: নিক্কি হত্যাকাণ্ডে জড়িত দিল্লি পুলিশের কনস্টেবলও! বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে

    Nikki Yadav Murder: নিক্কি হত্যাকাণ্ডে জড়িত দিল্লি পুলিশের কনস্টেবলও! বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে ফের এক চমকে দেওয়ার মত তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, শুধু বাবা, ভাই-বন্ধুরা নয়, নিক্কিকে খুনের পর তাঁর দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবলও। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই কনস্টেবল আর কেউ নন, সাহিলেরই খুড়তুতো ভাই নবীন গেহলট। নিক্কিকে খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই সাহিল, তাঁর বাবা, দুই তুতো ভাই এবং সাহিলের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    নিক্কি খুনে জড়িত দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল!

    সূত্রের খবর, সাহিলের এক খুড়তুতো ভাই নবীন গেহলট দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। নিক্কিকে হত্যার ঘটনায় ওই ব্যক্তির সক্রিয় হাত ছিল বলেই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। নিক্কিকে হত্যা করার পর তাঁর দেহ গাড়িতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘুরেছিলেন সাহিল। এরপর তাঁর দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন সেই কনস্টেবল ভাই।

    পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল নিক্কিকে

    প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, পরিবারের দেখা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য নিক্কির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সাহিল। এরপর রাগের মুহূর্তে গাড়িতে থাকা ডেটা কেবল জড়িয়ে সাহিল তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু, তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের অনুমান, হঠাৎ নয়, নিক্কিকে খুনের জন্য রীতিমত পরিকল্পনা করেন সাহিল। আর এতে তাঁকে সাহায্য করেছিল পরিবারের কিছু সদস্য। আর এদিন খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যে, সাহিলের খুড়তুতো ভাই নবীন, যিনি একজন কনস্টেবলও, তিনিও নিক্কি যাদবের দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়

    পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানের পরই সেই দেহ সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা। বিয়ের ঠিক আগের দিনই নিক্কিকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নিক্কিকে খুনের পর তাঁর দেহ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার বিষয়টিও আগে থেকে স্থির করা ছিল। অভিযুক্তরা ভেবেছিলেন যে, ফ্রিজে দেহ রাখলে পচন ধরবে না। কোনও গন্ধও বেরোবে না। ফলে কারও সন্দেহ হবে না।

    এছাড়াও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালে নিক্কিকে বিয়ে করার পর থেকেই সাহিলকে তাঁর বাড়ি থেকে চাপ দেওয়া শুরু হয়েছিল। নিক্কির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ দেওয়া হত। এরপর নিক্কিকে সাহিলের জীবন থেকে সরানোর জন্য এই খুন করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

    উল্লেখ্য, শনিবারই পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, ২০২০ সালে নিক্কির সঙ্গে নয়ডার এক মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন সাহিল গেহলট। কিন্তু এতে একেবারেই খুশি ছিলেন না সাহিলের বাড়ির লোকজন। এরপর নিক্কিকে যখন খুন করা হয়, সেই হত্যাকাণ্ডে সামিল ছিলেন সাহিলের বাড়ির বাবা, ভাইরাও। এরপরই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

  • Nirmala Sitharaman: রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস নির্মলা সীতারামণের

    Nirmala Sitharaman: রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস নির্মলা সীতারামণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। জিএসটি (GST) কাউন্সিলের ৪৯তম বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। তবে যে সব রাজ্য অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেবল তারাই পাবে ক্ষতিপূরণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, যে সব রাজ্য এখনও পর্যন্ত তাদের রাজ্যের অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় এখনই বকেয়া টাকা পাবে না রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০১৭-’১৮ এবং ’১৮-’১৯ অর্থবর্ষের অডিট রিপোর্ট দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    নির্মলা সীতারামণ…

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, ডেটা লগার বা ট্র্যাকিং ডিভাইসের ওপর জিএসটির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বার্ষিক জিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হলে তার জরিমানার অঙ্ক কমানোর সুপারিশও করেছে জিএসটি কাউন্সিল। নির্মলা সীতারামণ বলেন, মে মাসের ৩১ পর্যন্ত সব বকেয়া আমরা মিটিয়ে দিয়েছি। জুনের জন্য কিছু বকেয়া রয়েছে। সেটাও ক্লিয়ার করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব রিসোর্স থেকে ওই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে সেস বাবদ যে বকেয়া রয়েছে, কেন্দ্র সেটা মিটিয়ে দেবে। এই টাকার অঙ্ক ১৬ হাজার ৯৮২ টাকা। ২০১৭ সালে আইন মোতাবেক ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ষীয়ান আধিকারিকরা এই বৈঠকে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, পানমশলা ও গুটখা শিল্পে যে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে ঝোলা গুড়, পেন্সিল শার্পনার ও কিছু কিছু ট্র্যাকিং ডিভাইসে পণ্য এবং পরিষেবা করও কমিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জিএসটি আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির প্রাপ্য শুল্কের একটা পরিমাণ সরাসরি কেন্দ্রের কাছে যাচ্ছে। কিন্তু সেজন্য রাজ্যগুলির যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে স্থির হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    Amit Shah: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে, তারা দেখছে সত্য কোন দিকে রয়েছে’। শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) শিবিরকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েছে জোট। নির্বাচন কমিশন শিন্ডে শিবিরকেই আসল শিবসেনা ঘোষণা করেন তির-ধনুক চিহ্ন দিয়ে দিয়েছে। সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সত্যি প্রকাশ্যে এসেছে। আমি বলব, সত্যমেব জয়তে প্রতিষ্ঠিত হল। তিনি বলেন, যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বড় বড় কথা বলত, তারা যেন দেখে নেয় সত্য কাদের সঙ্গে রয়েছে। শাহ বলেন, আমাদের কথা ভুলে যান, ওরা বালাসাহেবের আদর্শকে পর্যন্ত জলাঞ্জলি দিয়েছে।

    শাহ উবাচ…

    ‘মোদি@২০’-র মারাঠি সংস্করণ প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। তিনি বলেন, উনিশের বিধানসভা নির্বাচনের কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে কারও সঙ্গে কোনও চুক্তি করা হয়নি। শাহ বলেন, উনিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলেই জানত আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জোট করে লড়ছি। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আমাদের নেতা। ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগির কোনও প্রশ্নই ছিল না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, অথচ ভোটের পর স্রেফ মুখ্যমন্ত্রিত্বের লোভে ওরা ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীদের পা চাটা শুরু করল। শাহ বলেন, ভোটে হারজিত রয়েইছে। কিন্তু যারা বেইমানি করে, তাদের ছাড়া উচিত হবে না। কারণ বেইমানদের ছেড়ে দিলে তাদের সাহস আরও বেড়ে যায়।

    আরও পড়ুুন: ‘প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে, তাই বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন’, বললেন জয়শঙ্কর

    মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরলে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। পরে মতাদর্শের প্রশ্নে শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে যান একনাথ শিন্ডে। বেশিরভাগ বিধায়ক শিন্ডে শিবিরে নাম লেখানোয় পড়ে যায় উদ্ধব ঠাকরের সরকার। বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ শিন্ডে। শাহ (Amit Shah) বলেন, উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে আমি দলের প্রধান ছিলাম। আমরা এক সঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। তাঁর (উদ্ধব ঠাকরে) চেয়ে অনেক বড় মোদিজির ছবি নিয়ে আমরা ভোটে লড়েছিলাম। ফড়নবিশ নেতা জেনেই লড়াই করছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হতে ওরা পা চাটা শুরু করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Kamala Harris: ইউক্রেনে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ করেছে রাশিয়া, দাবি মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের

    Kamala Harris: ইউক্রেনে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ করেছে রাশিয়া, দাবি মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এবারে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল আমেরিকা। ইউক্রেনের নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে রাশিয়া ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করেছে, এমনটাই বলতে দেখা গেল প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে। ইউক্রেনীয় জনগণকে নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও নির্বাসনে পাঠানোর মত জঘন্য কাজ করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রায় ১ বছর হতে চলেছে, তবে কোনও দেশই থামার নয়। রুশ বাহিনী চালিয়ে যাচ্ছে একের পর এক মিসাইল হামলা। পালাটা জবাব দিয়ে চলেছে ইউক্রেনও। এরই মধ্যে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বলতে দেখা গেল।

    কমলা হ্যারিস কী কী বললেন?

    আজ থেকে এক বছর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। যুদ্ধের একবছরে ইউক্রেনের সর্বভৌমত্ব রক্ষা-সহ বিভিন্ন দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। সেই প্রয়াসেরই অংশ হিসেবে মিউনিখ শহরে সভা করেন হ্যারিস। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে আয়োজিত নিরাপত্তা সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তুমুল সমালোচনাও করেন তিনি।

    কমলা হ্যারিস বলেন, “আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে ও আমরা আইন জানি। কোনও সন্দেহ নেই যে, রাশিয়ার কাজগুলো মানবতার বিরুদ্ধে। আর আমেরিকা ঘোষণা করেছে, পুতিনের দেশ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। পুতিন যদি মনে করেন, আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া থেকে পিছিয়ে আসব, তাহলে তিনি খুব খারাপভাবে ভুল করেছেন। সময় আসলে তার পক্ষে নয়।” রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জনগণের ওপর আক্রমণ-নির্যাতন চালিয়েছে। এ অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত রুশ কর্মকর্তাদের সবাইকে উত্তর দিতে হবে। ওয়াশিংটন কিয়েভকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার সবই পূরণ করবে বলে জানান কমলা হ্যারিস।

    আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানেন কে তিনি?

    কমলার মন্তব্যকে সমর্থন ইউক্রেনের

    এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সমর্থন করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তিনি বলেন, আমেরিকার মত তাঁরাও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, ইউক্রেনে অতি জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে রাশিয়া।

    তবে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো বরাবরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ তুললেও, শুরু থেকেই বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে মস্কো। প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন উপরাষ্ট্রপতিও অংশ নিয়েছিলেন এতে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার সমালোচনা করছেন পশ্চিমা নেতারাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    Sisir Adhikari: শিশিরের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সাংসদ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ। শিশির কাঁথির সাংসদ। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর বাবা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake Bank Account) খোলা হয়েছে শিশিরের নামে। শনিবার সেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খবর পাওয়া মাত্রই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণের কাছে অভিযোগ জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    ভুয়ো অ্যাকাউন্ট…

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শিশিরের বাড়িতে চিঠি আসে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের মেচেদার মাছনা শাখা থেকে। এই চিঠি পাওয়ার পরেই তাঁর নামে থাকা ওই অ্যাকাউন্টটির কথা জানতে পারেন শিশির। আইনি পরামর্শ নিয়ে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে চিঠি পাঠান তিনি। জানা গিয়েছে, মাছনা শাখায় শিশিরের (Sisir Adhikari) নামে যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, তার অ্যাকাউন্ট নম্বর হল ১২০৯০১০০০০৫৩০৪৫। শিশিরের ছবি, স্বাক্ষর ও নথি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    যার অর্থ ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি রয়েছে। এই ব্যাঙ্ক থেকে শিশিরের কাছে চিঠি যাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে হইচই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে শিশির লিখেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অ্যাকাউন্টটি খুলতে কোনও তথ্য বা নথিও তিনি দেননি। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক অর্থমন্ত্রক। অশীতিপর এই সাংসদের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এ সব করা হয়েছে। শিশিরের অনুগামীরাও জানাচ্ছেন, কাঁথির তিনবারের সাংসদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই খোলা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    শিশিরের (Sisir Adhikari) পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ। তিনি বলেন, বাবা এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পেরেই অর্থমন্ত্রীকে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। আমরা চাই, যাঁরা তাঁর নাম ব্যবহার করে এ সব করেছেন, তাঁরা ধরা পড়ুন। কারণ এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাবার মতামত যেমন নেওয়া হয়নি, তেমনই বাবা কোনও তথ্য, নথি বা স্বাক্ষরও দেননি। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রের বিহিত চাইছি আমরা। তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন শিশির। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শিশির পুত্র শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, এসব কারণেই শিশিরকে ফাঁসানোর চেষ্ট চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Metro App: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! মেট্রো অ্যাপ এবার বাংলাতেও!

    Metro App: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! মেট্রো অ্যাপ এবার বাংলাতেও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় মেট্রো রাইড কলকাতা অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে চলেছে মেট্রো রেলওয়ে (Metro App)। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, মোট ২,৪৮,৪৭০ জন যাত্রী গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করেছেন। এই অ্যাপটি সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি করেছে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে আরও দুটি ভাষায় এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    অতএব, যে যাত্রীরা ইংরেজিতে তেমন দক্ষ নন তারা এই অ্যাপের হিন্দি বা বাংলা সংস্করণ (Metro App) ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে এই উদ্যোগ এই অ্যাপটিকে আরও সুবিধাজনক ও জনপ্রিয় করে তুলবে।

    গত বছরের ৫ মার্চ এই অ্যাপটি লঞ্চ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের তাদের স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে বা একটি অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর-কোড ভিত্তিক টিকিট বুক করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন যাত্রীরা। ফলে খুব সহজেই মেট্রো স্টেশনে দীর্ঘ লাইন এড়ানো যায়।

    মেট্রো স্টেশনগুলিতে মেট্রো কর্মীরা এই নতুন অ্যাপ সম্পর্কে প্রায়ই প্রচার (Metro App) করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও অ্যাপটির প্রচার চালানো হয়। অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার প্রক্রিয়া মেট্রোয় শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগেই। তবে প্রথম তৈরি অ্যাপটির নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় সেটি বাতিল করে পরে মেট্রো রাইড কলকাতা নামে অ্যাপ চালু করা হয়। স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা হু হু করে কমতে থাকায় সম্প্রতি ওই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাত্রীদের উৎসাহিত করতে মেট্রোর পক্ষ থেকে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যাত্রীদের সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন অ্যাপের ব্যবহার আরও সরল করতে নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    যাত্রীদের লেনদেন সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রেখে ব্যবহারের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে (Metro App) অ্যাপটিকে ওটিপি নির্ভর করা হয়েছে। অ্যাপ থেকে স্মার্ট কার্ডের ব্যালান্স জানা ছাড়াও শেষ বার কোথায়, কখন সেটি ব্যবহার হয়েছে সেই তথ্যও মেলে। একই অ্যাপ থেকে একাধিক স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার সুবিধা রয়েছে। অ্যাপে ট্রেনের সময়, গুগল ম্যাপে স্টেশন দেখার সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Vivek Ramaswami: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানেন কে তিনি?

    Vivek Ramaswami: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US Prez Polls) নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ওই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিমরাত রনধাওয়া ওরফে নিকি হ্যালি। আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীও (Vivek Ramaswami) নামতে পারেন প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে। বছর সাঁইত্রিশের বিবেক লেখক। বড় একটি সংস্থার সিইও। ধনকুবের। রাজনৈতিক কর্মী। সব কিছু ঠিকঠাক চললে রিপাবলিকান দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারেন তিনি।

    বিবেক রামস্বামী…

    আমেরিকার দক্ষিণ পশ্চিম ওহাইওতে বড় হয়েছেন বিবেক। তাঁর বাবা ইঞ্জিনিয়র, জেনারেল ইলেকট্রিকের পেটেন্ট অ্যাটর্নি ছিলেন। মা জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিস্ট। ছোট থেকে পড়াশোনায় ভীষণ ভাল বিবেক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। পরে আইনবিদ্যা পাশ করেন মার্কিন মুলুকেরই ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৪ সালে ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ ফার্ম রোইভেন্ট সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠা করেন। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করান বিবেক। বর্তমানে সম্পদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্ট্রাইভের চেয়ারম্যানের পদেও রয়েছেন তিনি।

    ফোবর্স ম্যাগাজিনের ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবেকের (Vivek Ramaswami) মোট সম্পদের মূল্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিপাবলিকানদের মতো পরিবেশ, সামাজিক ও শাসনব্যবস্থায় সরকারি নজরদারির বিরোধী তিনি। সামাজিক জাগরণ ও বিপুল ব্যবসায়িক বিনিয়োগে বিশ্বাসী। রিপাবলিকানদের নীতি মেনেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। বাজারে বিবেকের বইও রয়েছে। বইটির নাম ওক, আইএনসি: ইনসাইড কর্পোরেট আমেরিকাজ সোশ্যাল জাস্টিস স্ক্যাম। প্রসঙ্গত, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তার জেরে ক্রমেই বদলাচ্ছে ব্রিটেনের অর্থনীতির হাল। ব্রিটেনের পর এবার আমেরিকায়ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চলেছেন দুজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। একজন নিমরাত রনধাওয়া ওরফে নিকি হ্যালি। অন্যজন বিবেক রামস্বামী (Vivek Ramaswami)। নিমরাত, বিবেক আদৌ শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে থাকবেন কিনা, কিংবা শেষ হাসি হাসবেন কিনা, তা বলবে সময়। তবে বিশ্বের একাধিক দেশে যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা, তা গর্বের বই কি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    Pakistan: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্তাসবাদী হামলার কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি করাচিতে পুলিশের দফতরে জঙ্গি এবং পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই হয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। প্রায় চার ঘণ্টা চলে এই লড়াই।

    করাচি পুলিশে দাবি, গুলির লড়াইয়ে তিনজন জঙ্গি এবং চারজন পুলিশকর্মীর (Pakistan) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন ১৪ জন পুলিশ। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। এবার এই বিষয়ে পাকিস্তানকেই দায়ী করে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভেঙ্কটেশ প্রকাশ। প্রাক্তন এই ভারতীয় পেসারের দাবি, নিজেদের দোষেই এধরনের ঘটনা থেকে কোনওদিনই বেরিয়ে আসতে পারবে না পাকিস্তান। একটি ট্যুইট করে তিনি লেখেন, “জঙ্গিদের পুষলে এই পরিণতিই হয়। তবে সেই সমস্ত মানুষগুলোর জন্য খারাপ লাগছে যারা অসহায় ভাবে প্রাণ হারালেন। এর জন্য দায়ী সে দেশের সরকারই। কারণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়ায় না।”

     

    পাকিস্তান বিরুদ্ধে বারবারই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ (Pakistan) উঠে এসেছে। যদিও শাহবাজ শরীফের সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। এবার একই অভিযোগে পাকিস্তান সরকারকে অভিযুক্ত করলেন ভেঙ্কটেশ। তার দাবি পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া এই ঘটনার দায় পাকিস্তান সরকারেরই।

    আরও পড়ুন: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়  

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পাক প্রশাসন। কারণ করাচি (Pakistan) পুলিশের ওই সদর দপ্তর এলাকায় রয়েছে পুলিশের কোয়ার্টারও। সেখানে বহু উচ্চপদস্থ অফিসার পরিবার-সহ বাস করেন। এমন এক হাই প্রোফাইল এলাকা কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও এই হামলায় ভয় পেয়েছে পাকিস্তান সরকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IAS Lalithalakshmi: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    IAS Lalithalakshmi: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভাবধারায় বড় হয়েছেন। দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের বাসিন্দা, বাঙালি আমলাকে বিয়ে করে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। নিজেও তিনি ২০০৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার। অবসরে মীরার ভজন গান। করেন পুরাণ, উপনিষদ, মহাকাব্য চর্চা। সেই সব ভালো লাগা থেকেই ওঙ্কারনাথ মিশন আয়োজিত রামোৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। ‘প্রশাসনে রামায়ণ’-এর বিষয়ে তাঁর আধ ঘণ্টার ভাষণ ছিল। আর তা এতটাই ব্যতিক্রমী ছিল যে, মাত্র তিনশো দর্শকের সামনে দেওয়া রামায়ণের ব্যাখ্যা কয়েক দিনেই ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুগ্ধ হন তিনিও। খোঁজ পড়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার ভি ললিতালক্ষ্মীর (IAS Lalithalakshmi)। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় তাঁকে চলে যেতে হচ্ছে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও-র ডিরেক্টর হয়ে। যে বাংলায় আমলাদের দিল্লি যেতে হাজারো বাধা দেওয়া হয়, সেখানে পিএমও-র আগ্রহের কথা জেনে আপত্তি করার সাহস দেখায়নি নবান্ন।

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসন এবং আমলা মহলে বেশ চর্চা চলছে। অনেকের মতে, ২০১৪ সাল থেকে ললিতালক্ষ্মী (IAS Lalithalakshmi) এবং তাঁর আমলা স্বামীর কার্যত এ রাজ্যে বনবাস চলছিল। কারণ তাঁরা ‘চটি-আমলা’ ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রী এমন অফিসারকে খুঁজে সরাসরি পিএমও-তে নিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র আমলাদের অনেকেই খুশি। গরু-কয়লা-চাকরি চুরির রাজ্যে আমলা হিসাবে কাজ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে সব জুনিয়র আমলাদের সর্বভারতীয় স্তরে হাসি-মস্করার শিকার হতে হয়, তাঁরা এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন।

    তাঁর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। আমলার জীবনে বদলি থাকেই। যখন আইএএস হই তখন স্বপ্ন ছিল একদিন নর্থ ব্লক-সাউথ ব্লকে বসে কাজ করব। সেই সুযোগ এসেছে। এই ঘটনা রাজ্যের আমলাদের দেশের প্রশাসনিক তন্ত্রের উপর আস্থা বাড়াবে।” তবে ললিতাদেবী যাই বলুন না কেন, তাঁর পিএমওতে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা এখন রাজ্য প্রশাসনে সবার মুখে মুখে। 

    জানা যাচ্ছে, ওঙ্কারনাথ মিশনের রামোৎসবে অযোধ্যা সাহিত্য উৎসবে উদ্যোক্তারা তাঁকে রামায়ণের উপর বলতে অনুরোধ করেছিলেন। ললিতাদেবী (IAS Lalithalakshmi) নিজেই ‘রামায়ণে প্রশাসন’ বিষয় নির্বাচন করেন। মাত্র ৩০০ দর্শকের সামনে যজুর্বেদ, ঈষপোনিষদ, বাল্মিকী, তুলসীদাস থেকে রামায়ণের আধুনিক ব্যাখ্যাকারদের তত্ত্ব থেকে তিনি উপস্থাপন করেন রঘুপতি রামের আমলে প্রশাসন কেমন ছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেন গান্ধীজি যে রামরাজ্য চেয়েছিলেন, সেই রামরাজ্য রামায়ণে কীভাবে বর্ণিত আছে। ৩০ মিনিটের সেই প্রবচন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যায় নরেন্দ্র মোদীর মোবাইলেও। তিনি পিএমও-র আধিকারিকদের ললিতালক্ষ্মীর খোঁজ করতে বলেন। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু সিনিয়র আমলা দিল্লিকে জানান যে, এমন কোনও অফিসারের কথা তাঁদের জানা নেই। শেষ পর্যন্ত আরও খোঁজখবর নেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিস্তারিতভাবে জানেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির কলকাতা ক্যাম্পাসের ডিরেক্টর ভি ললিতালক্ষ্মীর (IAS Lalithalakshmi) সম্পর্কে। শোনা যাচ্ছে, এ সব যখন চলছে তার বিন্দু-বিসর্গও টের পাননি রামায়ণের ব্যাখ্যাকার আমলা। 

    হঠাৎ একদিন পিএমও-র এক সিনিয়র কর্তা ফোন করে তাঁকে তাঁর কাজ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন দিতে বলেন। বলা হয়, রামায়ণে প্রশাসন বিষয় নিয়েও তাঁর কথা শোনা হবে। পিএমওতে গেলে সিনিয়র কর্তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) কথা শোনেন। পিএমও-র কর্তারা জানতেন, কীভাবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর ২৪ পরগনার এডিএম থাকাকালীন নির্বাচনে কারচুপি করতে উদ্যত এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় আমলা দম্পতিকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ১২ বছর কার্যত গুরুত্বহীন দফতরে রেখে একপ্রকার নির্যাতন চালানো হয় ললিতা ও তাঁর বাঙালি আইএএস স্বামীর উপর। ১০-১১ বার কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে আসতে চাইলেও তাঁকে যে ছাড়া হয়নি তাও পিওমও-র কর্তারা জানতেন।
     
    ঘণ্টাখানেকের সাক্ষাৎকারের পর পিএমও-র শীর্ষ কর্তারা জানতে চান, ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) দিল্লি আসতে অসুবিধা আছে কি না? ফোন আসে নবান্নে। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ললিতাদেবী সাউথ ব্লকে কাজ করুন। ছাড়পত্র চায়। যে নবান্ন ১০-১১ বার ললিতাদেবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল, সেই নবান্ন তড়িঘড়ি এনওসি দিয়ে দেয়।
     
    ঘটনাচক্রে সাক্ষাৎকার পর্বে পিএমও-র এক কর্তা হালকাচ্ছলে ললিতাদেবীকে (IAS Lalithalakshmi) প্রশ্ন করেন, আপনি রামায়ণের ব্যাখ্যা করতে অযোধ্যা গিয়েছিলেন। রামরাজত্ব নিয়ে প্রবচন দিয়েছেন। আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের আমলামহলের কেউ এখনও ‘ভক্ত’ বলে ব্যঙ্গ করেননি? হাসির রোল ওঠে সেখানেই। আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ডিরেক্টর পদে যোগ দিচ্ছেন ললিতালক্ষ্মী। এ বছরই শেষ লগ্নে অযোধ্যায় প্রভু রামলালা গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা পাবেন। রামায়ণে প্রশাসনও প্রতিষ্ঠা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share