Blog

  • Tripura Assembly Election: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    Tripura Assembly Election: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election)। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। এই ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২৫৯ জন প্রার্থীর, তাঁদের মধ্যে ২০ জন মহিলা। এবার ভোট ময়দানে রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল, বাম-কংগ্রেস জোট ও তিপরা মোথা। দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে ২০১৮ সালে এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই ক্ষমতা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।

    কড়া নিরাপত্তা

    ত্রিপুরা নির্বাচনকে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল হিসেবেই দেখছে বিজেপি। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। যার মধ্যে ১১০০ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর এবং ২৮টিকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন৷ একদফাতেই ভোট হবে। সেহেতু ওই রাজ্যের প্রতিটি বুথে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৎপর রয়েছে কমিশন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে সে রাজ্যে। এর পাশাপাশি আরও ১৬টি রাজ্য থেকে পুলিশকর্মীও আনা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে চোখ জুড়ানো বহু মন্দির, দেখুন তারই কয়েকটি  

    বাম-বিজেপি লড়াই

    ত্রিপুরার এবারের নির্বাচনে যে সকল প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে তাঁদের মধ্যে অন্যতম, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সিপিএম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন। ত্রিপুরার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৫টি-তেই প্রার্থী দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাঁচটি আসন ছেড়েছে জোটসঙ্গী আইপিএফটি-কে। অন্যদিকে, রাজ্যপাট ফিরে পেতে কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছে সিপিএম’ও। তাই বাংলার পর ত্রিপুরাতেও এবার তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে। জোটের তরফে সিপিএম ৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছে ১৩টিতে এবং বাকি চারটি আসনে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য বাম দলের প্রার্থীরা। দেশের এই অংশের আরও দুই রাজ্য মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ভোট গণনা ২ মার্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে স্বাগত জানানোর সময় এসেছে। এই বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় সাধারণত বিভিন্ন রোগের ভয় থাকে। মরশুম বদলের এই সময় সাবধান থাকাটা সকলের জন্যই আবশ্যিক। এই সময়ে যে রোগটি বেশি দেখা যায় সেটি হল চিকেন পক্স বা বসন্ত রোগ। ফলে চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে আপনি খেতে পারেন সজনে ফুল। সজনে ফুল এই বসন্তে ভীষণ উপকারি। এই ফুল বসন্ত- প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বসন্তে মরশুম বদলের সময় সর্দি-জ্বর-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এই সব কিছু থেকেও রক্ষা পেতে সজনে ফুল উপকারি।

    সজনে কেন উপকারি?

    সজনে পাতা, সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। মোরিঙ্গা বা সজনে পাতা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রধানত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন এ, ডি, সি সমৃদ্ধ সজনে পাতা, ফুল ও ডাঁটা। সজনে নিয়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি প্রকৃতপক্ষে পুষ্টির পাওয়ার হাউস।

    এতে কী কী গুণ রয়েছে?

    সহজে ঠান্ডা লাগবে না- এই মরশুমে সর্দি,কাশির থেকে দূরে থাকতে সজনে ফুল উপকারি।

    বাতের ব্যথায় উপকারি- সজনে ডাঁটা বা ফলে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড আছে। বাতের রোগীদের পক্ষে দারুণ উপকারি। সজনের ডাঁটা থেকে বাতের তেল তৈরি হয়। যা বাত রোগীদের পক্ষে দারুন কার্যকরী।

    শক্তি বৃদ্ধি করে- শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে মুক্তি দেয় সজনে পাতা। প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরের দুর্বলতা ও তন্দ্রা কমাতে সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিসের জন্য ভালো– এই পাতায় শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে পারে। এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল, লিপিড এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রাও কমাতে পারে যা মানবদেহে ডায়াবেটিসের বিকাশে অবদান রাখতে পারে।

    স্বাস্থ্যকর চোখ- সজনে পাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা সুস্থ চোখ, পরিষ্কার দৃষ্টিশক্তি এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

    হার্টকে সুরক্ষিত রাখে- হৃদপিণ্ডকে রক্ষা করতে ও কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে সজনে পাতা।

    লিভারকে সুস্থ রাখে- এই পাতায় পলিফেনলের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা লিভারকে যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Nandini Chakraborty: রাজভবন থেকে সরানো হল নন্দিনীকে, সুকান্ত ‘এফেক্ট’?

    Nandini Chakraborty: রাজভবন থেকে সরানো হল নন্দিনীকে, সুকান্ত ‘এফেক্ট’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty)। তাঁকে সরানোর জন্য আর্জি জানিয়ে নবান্নকে বার্তা দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তার পরেও সরানো হয়নি তাঁকে। উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, নন্দিনী সামলাবেন পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব।

    সুকান্ত মজুমদার…

    শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর হাতে সুকান্ত তুলে দেন একটি চিঠিও। বৈঠকের শেষে সুকান্ত দাবি করেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের রেহাই নয় বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। উনি বলেছেন জিরো টলারেন্স টু কোরাপশন। এই নীতি নিয়ে তিনি চলছেন। শুধু তাই নয়, কোরাপশনের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে কোনওভাবে রেহাই দেওয়া হবে না।

    এদিকে, বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আনন্দের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে ছিল নন্দিনীর (Nandini Chakraborty) ভূমিকা। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে হাতেখড়ি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ এসব নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে পদ্ম শিবির। তার পরেই রাজ্যপাল-সুকান্ত বৈঠক। নন্দিনীকে সরানোর জন্য আর্জি জানিয়ে নবান্নকে বার্তা দেন রাজ্যপাল। বুধবার পদক্ষেপ করে নবান্ন।

    আরও পড়ুুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র তলব নিউ আলিপুরের বাসিন্দাকে, উঠে এল তৃণমূলের নামও

    ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী (Nandini Chakraborty)। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলেও, এক সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর দূরত্ব তৈরি হওয়ার গল্পও শোনা যায়। রাজ্যে পালাবদলের পর শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবের মতো গুরুদায়িত্ব এক সঙ্গে সামলেছিলেন তিনি। পরে মাঝখানে তাঁর গুরুত্ব কমতে থাকে। যার জেরে নিগম থেকে নন্দিনীকে সরিয়ে পাঠানো হয় তথ্য সংস্কৃতি দফতরে। সেই দফতরও কেড়ে নিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় স্টেট গেজেটিয়ারের এডিটর পদে। সেখান থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন। আরও পরে প্রায় গুরুত্বহীন প্রেসিডেন্সি ডিভিশনে। বুধবার রাজভবন থেকে সরিয়ে নন্দিনীকে পাঠানো হল বাবুল সুপ্রিয়ের দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অনগ্রসর শ্রেণীর আসন পুনর্বিন্যাস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে করা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল আদালত।

    মামলাটি কী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত বছরের শেষ দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবং আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে। মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। মামলাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আসন পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়ে মামলা করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটমুখী বাজেট, কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এরপরেই এই মামলার শুনানি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আজ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আর এদিনই বেঞ্চ ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতাও জারি থাকল।

  • Drone Delivery: আকাশপথেই পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা! শহরে এবার ড্রোন পরিষেবা

    Drone Delivery: আকাশপথেই পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা! শহরে এবার ড্রোন পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের মতো কলকাতাতেও এবার আকাশপথেই ড্রোনে করে পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা এবং রিপোর্ট এমনকি রেস্তোরাঁর খাবারও। প্রাথমিকভাবে ১৫টি কেন্দ্র থেকে ১৪টি রুটে ড্রোন পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে কলকাতা ও হাওড়ার ১৪টি স্থানে ড্রোনে ওষুধ, ল্যাব নমুনা ও রিপোর্ট ও খাবার ডেলিভারি করা হবে। এর জন্য এগিয়ে এসেছে দিল্লির এক স্টার্ট-আপ সংস্থা টিএসএডব্লু টেকনিট স্পেস অ্যান্ড অ্যারো ওয়ার্কস (TSAW Technit Space and Aero Works)।

    কেমন হবে পরিষেবা

    সপ্তাহখানেক আগেই ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে।  হাওড়ার কদমতলা থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত একটি ড্রোন পাঠায় দিল্লির সংস্থা। মালবাহী ড্রোনের বাক্সে ভরা ছিল প্যাথলজিকাল ল্যাবের সংগ্রহ করা নমুনা। গাড়ি বা মোটরসাইকেলে সাধারণত এমন নমুনা পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে সড়কপথে দূরত্ব পড়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সময় লাগে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা। সেখানে ড্রোনে সরাসরি আকাশপথে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। স্রেফ ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করে মালবাহী ড্রোন। নির্বিঘ্নে পৌঁছে যায় নমুনা। শুধু তাই নয়। রিপোর্ট নিয়ে ফের হাওড়া কদমতলায় ফিরেও আসে। ১৫ মিনিটেই। 

    আপাতত কলকাতায় ৬০ মিটার এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার উচ্চতায় ড্রোন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে এটিসি। শুধুমাত্র ড্রোন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। ড্রোন ওড়ানোর সময় আগে থেকে তাদের জানাতে হবে। বিমান চলাচলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাঁরা সময় ও রুট স্থির করে দেবেন। তবে ফোর্ট উইলিয়াম, নবান্নের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে নো ফ্লাইয়িং জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একজন ব্যক্তি বা কোনও এক চিন্তাধারা দেশকে গড়তে বা ভাঙতে পারে না’’, বললেন ভাগবত

    রাজ্যের সব প্রান্তেই পরিষেবা! 

    টিএসএডব্লু-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিত শর্মা জানিয়েছেন, “শুধুমাত্র ওষুধ সরবরাহের জন্য একটি নির্দিষ্ট ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কলকাতা এবং হাওড়ার তীব্র যানজটের কথা মাথায় রেখেই আমরা আকাশপথে ওষুধ সরবরাহের সুবিধার কথা ভেবেছি।” প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবা হাওড়া থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। এর জন্য ইতিমধ্যেই আরও আটটি জায়গা চিহ্নিত করেছে তারা।অর্পিত শর্মা বলেছেন, “একমাসের মধ্যেই আমরা দক্ষিণ কলকাতার কালিকাপুরে ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস চালু করব। আমরা মূলত ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা। ড্রোন মারফৎ ওষুধ সরবরাহের এই পরিষেবা সফল হলে আগামী দিনে এফএমসিজি (ভোগ্যপণ্য) এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রেও ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পারি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি একটি উচ্চ-পাল্লার ড্রোন চালু করব, যা কাছের শহরগুলি পর্যন্ত পরিষেবা দিতে পারবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ট্রেডমিলে তৈরি করা, কাঁচা কাজ’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: ‘ট্রেডমিলে তৈরি করা, কাঁচা কাজ’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই জ্বলন্ত ইস্যু, নেই মানুষের আকঙ্খা পূরণের ব্যবস্থা, নেই উন্নয়নের প্যাকেজ, নেই কর্মসংস্থানের কথা, বাংলার বাজেটে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থার প্রতিফলন, এমনটাই বলতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট পেশ করার পর এমনটাই বলে রাজ্য বাজেটের সমালোচনা করলেন শুভেন্দু। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, এই বাজেট ট্রেডমিলে তৈরি করা। ৩০ মিনিটেই যা শেষ হয়েছে। তাঁর কথায় “কাঁচা কাজ হয়েছে।”

    রাজ্য বাজেট নিয়ে কী কী বললেন শুভেন্দু?

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবারের বাজেটকে নিরর্থক অনুশীলন বলে বর্ণনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “এই বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের যে সব জ্বলন্ত ইস্যু আছে, মানুষের যে আকঙ্খা আছে, তা পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।” তাঁর কথায় বাজেটে অনেকগুলি ছিদ্রপূরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

    এছাড়াও তিনি বলেছেন, “কিছুটা ভোটমুখী করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজ্যে যে বিষয়গুলো সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন- রাস্তা, বিমানবন্দর, সেতু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা বাজেটে রাখা হয়নি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করার কথা বলা হয়নি। চা বাগানে পাট্টা দেওয়ার কথা আবার বলা হয়েছে। কিন্তু পাট্টা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট উল্লেখ রাখা হয়নি। এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, জঙ্গল মহল, রাঢ়বঙ্গ ও উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলির জন্য কোনও প্যাকেজের ঘোষণা নেই। বাজেটে হোমগার্ড, জুনিয়র কনস্টেবল, আশা কর্মী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি। কয়েক লক্ষ এমন কর্মীদের বঞ্চনা করেছে সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের এ রাজ্যে কীভাবে কাজ দেওয়া হবে, তার কোনও উল্লেখ নেই। অর্থমন্ত্রী বললেন ডিএ বাড়াবেন। কবে বাড়াবেন, তার কোনও তথ্য নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুস্মান ভারত চালু করা হবে কি না, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন পরিষেবা পেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে কি না তা জানানো হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে শূন্যপদ রয়েছে, তা কীভাবে পূর্ণ করা হবে, ২ কোটির বেশি বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের দিশা কী হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীকেও কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। মমতা ব্যানার্জিকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘ট্রেড মিলে হাঁটতে-হাঁটতে ৩০ মিনিটে বাজেট তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ এদিন অর্থমন্ত্রীর রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘১৫ মার্চ ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তা থেকে বাঁচতেই এই ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে সরকার। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।’ ফলে রাজ্য বাজেটে কোন কোন বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ও তার সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কীভাবে বেকারত্ব দূর করা হবে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

  • Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র তলব নিউ আলিপুরের বাসিন্দাকে, উঠে এল তৃণমূলের নামও

    Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র তলব নিউ আলিপুরের বাসিন্দাকে, উঠে এল তৃণমূলের নামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিরাম বের হচ্ছে কয়লার ময়লা! কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) এবার দিল্লিতে তলব করা হল নিউ আলিপুরের জ্যোতিষ রায় রোডের এক বাসিন্দাকে। আগামী শুক্রবার তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এদিকে, কলকাতার গরচার গজরাজ নির্মাণ সংস্থার অন্যতম মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে দীর্ঘ জেরার সূত্রে তৃণমূলের এক প্রভাবশালীর নাম জানতে পেরেছে ইডি (ED)। অভিযোগ, এই সব নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমেই সাদা করা হয়েছে কোটি কোটি কালো টাকা।

    ইডি-র দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কয়লার (Coal Scam) টাকা পাচারে নয়া যে নির্মাণ সংস্থার নাম উঠে আসছে, তার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে। ইডির দাবি, কালো টাকা সাদা করার নয়া পন্থাও আবিষ্কার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি গজরাজ নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পর ইডির অভিযোগ ছিল, রাজ্যের এক মন্ত্রী কয়লা পাচারের লভ্যাংশ পেয়েছেন। তাঁর সেই কালো টাকা নির্মাণ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সাদা করেছেন তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা ও তাঁর পরিবারের এক সদস্য। জানা গিয়েছে, কয়লাকাণ্ডে নিউ আলিপুরের যে নির্মাণ সংস্থার নাম উঠেছে, তার মালিক ও তাঁর পরিবারের সব সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খতিয়ান ও তাঁদের সব সংস্থার নথিপত্র সহ তলব করা হয়েছে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, যে দিন থেকে ওই সংস্থা ও তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, সেই দিন থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত সমস্ত নথি ও আয়করের রিটার্ন জমা দিতে বলে তলবি নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    এদিকে, বুধবারই দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হন মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল। শনিবারই কলকাতার এই ধাবা মালিককে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তার জেরেই এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। তাঁর দাবি, গজরাজের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, গজরাজ গ্রুপের মোট ৩০টি কোম্পানি রয়েছে। কয়লা পাচারের (Coal Scam) টাকা ঘুরপথে এসেছে এই কোম্পানিগুলিতে। ইডি সূত্রে খবর, ৯ কোটি টাকা দিয়ে একটি গেস্ট হাউস কেনাবেচা চলছিল বালিগঞ্জে গজরাজ গোষ্ঠীর দফতরে। যদিও ওই গেস্ট হাউসের আসল দাম ১২ কোটি টাকা। চুক্তিপত্রে দেখানো হয় ৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এভাবেই সাদা করা হচ্ছিল কালো টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আঁটা আকাশি রংয়ের মাস্ক। তার ওপর সাঁটা রয়েছে একটি ৫০০ টাকার নোট। বুধবার বিধানসভার (Assembly) অন্দরে এভাবেই প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির (BJP) বিধায়করা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলের বিধায়করা যখন এই অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন বিধানসভায় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 

    বিজেপি…

    বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণের বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে হায় হায় স্লোগানও দেওয়া হয়। সেদিনের পর এদিন কার্যত নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (Suvendu Adhikari)। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য, ফলে আবাসন শিল্প উপকৃত হবে, রাজ্যের সামাজিক প্রকল্প বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তিনি বলেন, আমাদের ধারাবাহিকভাবে মানুষের জন্য করা নানা কাজ দায়িত্বশীল পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আমরা কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। এর পরেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। চন্দ্রিমা বলেন, এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকারের ৩.৭১ লক্ষ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শিবিরে অংশ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন ৯.০৬ কোটি মানুষ। এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য আমরা মাননীয়া রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দু বছর কোভিড পরিস্থিতি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাকা সত্ত্বেও, আমরা উন্নয়ন করেছি। ২০২২-২৩ সালের প্রথম অর্ধে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৯৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই একই সময়ে সেই মাত্রাকে অতিক্রম করে বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৪১ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।

    এদিন বাজেট পেশের শুরুতেই চন্দ্রিমা জানান, বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ হবে। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সহ দুয়ারে সরকারের একাধিক সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। কর্মসংস্থান এবং বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিয়েও বাজেটে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন তিনি। চন্দ্রিমা যখন এসব করছেন, তখন মুখে মাস্ক পরে তার ওপর ৫০০ টাকার নোট সাঁটিয়ে প্রতিবাদ করছেন বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিয়ে বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদেই মাস্কের ওপর ৫০০ টাকার নোট সেঁটে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এসেছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনারের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনারের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের নতুন তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডিজিপি বীরেন্দ্র। কিন্তু এই নিয়োগ অবৈধ। এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ,  একেবারে অবৈধভাবে এবং একপেশে নির্বাচন করা হয়েছে।

    রাজ্য বাজেট পেশ করার আগে বিধানসভার বৈঠকে তথ্য কমিশনার নিয়োগের ঘোষণাটি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে সব বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বৈঠক বয়কট করেন। এক প্রকার বিরোধীহীন বৈঠকেই রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয় ডিজিপি বীরেন্দ্রকে।

    আরও পড়ুন: স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল এসবিআই, ৪০০ দিনে হার ৭.১ শতাংশ

    বৈঠক বয়কটের পর তৃণমূল সরকারকে ট্যুইটারে একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি পূর্ণ। কী নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে তার নথি তাঁকে দেওয়া হয়নি। তথ্য কমিশনার নিয়োগের কোনও বিজ্ঞাপনও সংবাদ পত্রে দেওয়া হয়নি। কী করে এই নিয়োগ হল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ শাসক দল নিজের পছন্দ মত লোককে এই পদে বসিয়ে ক্ষমকার অপব্যবহার করেছে। 

    বৈঠক শুরু হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করে জানান, তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না। আজ, বুধবার বিধানসভায় অধ্যক্ষ্যের ঘরে, বেলা ১২টা এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিরোধী দলনেতা বৈঠক বয়কট করায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই হয় এই বৈঠক।

    রাজ্যপালকে চিঠি 

    এদিন বৈঠকে না যাওয়ার কারণ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। চিঠিতে শুভেন্দু জানান, মুখ্য তথ্য কমিশনার নির্বাচন ও নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে সরকারের তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম মানা হয়নি। সেই কারণেই, তাঁর আশঙ্কা, কোনও পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীকেই ওই পদে বসাতে চলেছে রাজ্য। তাই, এদিনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মাস ধরে খালি পড়েছিল রাজ্যের তথ্য কমিশনারের পদ। মোট ১৫ জন আবেদন করেছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়স না থাকায় ৫ জনকে আগেই বাদ দেওয়া হয়। তারপরে ১০ জনের মধ্যে শেষ বাছাইপর্ব হয়। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের নিয়ে এই পদের প্রার্থী বাছাই করেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) না থাকায় একক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কমিশনার বীরেন্দ্রকে এই পদে এদিন মনোনিত করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Male Contraceptive Pill: এবার আসছে পুরুষদের কনট্রাসেপটিভ পিল! সাময়িক বন্ধ শুক্রাণু নির্গমন, নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও

    Male Contraceptive Pill: এবার আসছে পুরুষদের কনট্রাসেপটিভ পিল! সাময়িক বন্ধ শুক্রাণু নির্গমন, নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে তাক লাগানো এক আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এযেন যুগান্তকারী আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের! এবারে তৈরি করা হল পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। সাধারণত মহিলাদের জন্যই এই গর্ভনিরোধক পিল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার থেকে বাজারে মিলবে পুরুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলও। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আবিষ্কার একটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে গোটা বিশ্বে।

    পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল

    নেচার কমিউনিকেশন জার্নালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা ও গবেষণা চালানো হয় এই বিষয়ের উপর, যে কীভাবে পুরুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না করে গর্ভনিরোধক পিল তৈরি করা যায়। অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে। এই পিলের ফলে তাঁর সঙ্গীর গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করতে সফলভাবে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে এই পিল বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল মডেলের উপরে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল ভালো আসায় পরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    পুরুষদের জন্য এই সুখবরটি গতকাল বা ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতদিন শারীরিক সম্পর্কে নিরাপদ থাকতে পুরুষরা ব্যবহার করতেন কন্ডোম নয়ত ভ্যাসেকটমি। তবে এবার আরও বিকল্প হিসেবে বাজারে আসতে পারে যুগান্তকারী পুরুষ গর্ভনিরোধক পিল। যা গবেষণার বিভিন্ন স্তরে সাফল্য পেয়েছে। এই পিল শুক্রাণু নির্গমন বন্ধ করে দিয়েছে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হল, এই ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

    ইঁদুরের উপর পিলের ট্রায়াল

    ওয়েইল কর্নেল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রিসার্চ টিমের অন্যতম লিডার ডঃ জোচেন বাক এবং ডাঃ লনি লেভিন দাবি করেছেন, এই আবিষ্কার যুগান্তকারী প্রমাণিত হবে ভবিষ্যতে। ২০০০ বছরেরও বেশ সময় ধরে পুরুষরা ব্যবহার করে আসছেন ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি ও কন্ডোম। কিন্তু এই পিল পুরুষদের জন্য শুরু হয়ে গেলে এটি একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ পিলের ব্যবহার পুরুষের স্বাস্থ্য ক্ষতি না করে, সঙ্গীর গর্ভধারণ রোধ করতে পারে বলে গবেষকদের দাবি।  

    সূত্রের খবর, বিজ্ঞানীদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না এমন কোনও পিল বানানোর, কিন্তু হঠাৎই তাঁরা একদিন অ্যাডেনাইলাইল সাইক্লেস (sAC) নামক এনজাইম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ও এর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেলুলার সিগন্যালিং প্রোটিন বিচ্ছিন্ন করার জন্য চ্যালেঞ্জ নেন। এটিতে বিজ্ঞানী বাকের দুই বছর লেগেছিল। এর পর তাঁদের তৈরি করা পিলটি ট্রায়ালের সময় ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায় এটি শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে। দু থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় থাকে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের পর তা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডক্টর মেলানির মতে, গর্ভনিরোধকটি গ্রহণের ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে। ফলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি একবার বাজারে শুরু হলে পুরুষদের জন্য দারুণ সুখবর হবে।

LinkedIn
Share