Blog

  • DA Protest: বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি, অনশন রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA Protest: বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি, অনশন রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতার (DA Protest) দাবিতে কর্মবিরতিতে অনড় রাজ্য সরকারের কর্মীরা। আজ, সোমবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই কর্মসূচি পেয়েছেন কো-অর্ডিনেশন কমিটি সমর্থন। কর্মবিরতির কথা জানিয়েই ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।     

    ২০০৯ থেকে এখনও পর্যন্ত এআইসিপিআই নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি মহার্ঘ ভাতা। এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতেই এই আন্দোলন। এছাড়াও শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিও জানানো হয়েছে। চলছে টানা অনশন। বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

    কী দাবি সরকারি কর্মীদের?   

    সংগঠনের সদস্যরা (DA Protest) জানিয়েছেন, “এ দিন অফিসে গিয়ে সই করলেও তাঁরা কোনও কাজ করবেন না। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।” এ দিন ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বহু সরকারি কর্মী যোগ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি বকেয়া ডিএ দিতে হবে ও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। যতদিন না বকেয়া টাকা না মিলবে, এই আন্দোলন চলবে।

    আরও পড়ুন: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    এই বিষয়ে বিজেপি সর্ব ভারতীয়সহ (DA Protest) সভাপতি বলেন, “সরকারি কর্মীদের কথা কেউ শোনেনি। একদিন না একদিন বিস্ফোরণ হবেই। রাজ্যের মানুষ একসময় ক্ষেপে যাবেন। আজ যদি এই কর্মচারিরা পেন ডাউন করেন তাহলে গোটা রাজ্যের কী হবে?”   

    কলকাতার বাইরে জেলাগুলিতেও একই চিত্র (DA Protest)। ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আসানসোল আদালত চত্বরে কর্মবিরতি পালন করা হয়। বারাসাত আদালতেও কর্মবিরতি চলে। বহরমপুরেও একই চিত্র।

    মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে পশ্চিমবঙ্গ আদালত কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে ডিএ (DA Protest) এর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ১৯ দফা দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা অভিযান এবং মার্চে আরও বড় আন্দোল কর্মসূচি নিতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। মিটিয়ে দিতে হবে যাবতীয় বকেয়া ডিএ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    SSC Scam: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট জালিয়াতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর (SSC Scam) চাকরি। হাইকোর্টের নির্দেশে এই কর্মীদের চাকরি বাতিল করেছে এসএসসি।  কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি? এখনও এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল গোয়েন্দাদের। কীভাবেই বা ধরা পড়লেন এই ভুয়ো শিক্ষকরা? কীভাবে এই জালিয়াতির হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা? শুরুতে বেগ পেলেও পরবর্তীতে গোয়েন্দারা ধরে ফেলেন কারচুপির পদ্ধতি। তদন্তকারীদের কাছ থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সব দুর্নীতির নেপথ্যে এক ফর্মুলা। সব চাকরি চুরিতেই এক ছকেই দুর্নীতি। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দালালের নিজস্ব ‘কোড’রয়েছে। কুন্তলের চাকরির কোড ২। পুরো বিষয়টাই হত ভীষণ নিয়ম মেনে। কুন্তলকে টাকা দিলে ওএমআর শিটে ২টি গোল দেওয়ার নির্দেশ থাকত। আরেক এজেন্টের কোড সাদা খাতা। কিন্তু সাদা খাতা জমা দিলে তো ফেল করার কথা। সেক্ষেত্রে, সাদা খাতা জমা চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হত। যার ফলে পরীক্ষার্থী পেয়ে যেতেন পাশ নম্বর। ওএমআর শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট হত সহজেই।

    আরও পড়ুন: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    রহস্যভেদ হল কীভাবে? 

    গাজিয়াবাদে নাইসার হার্ডডিস্কে সব ওএমআর শিটের তথ্য রয়েছে। সেখান থেকেই এই কারচুপির কথা জানতে পারে সিবিআই। ওএমআর ও সার্ভারের নম্বর মিলিয়ে দেখতেই পর্দাফাঁস।  তারপরেই সেই তথ্য হাইকোর্টকে দেয় আদালত।

    সব রাজ্য সরকারি চাকরিতেই একই ফর্মুলায় দুর্নীতি। কী সেই ফর্মুলা?

    • প্রত্যেক দালালের নিজস্ব ‘কোড’। 
    • কুন্তলের চাকরির কোড ২। 
    • কুন্তলকে টাকা দিলে ওএমআর-এ ২টি গোল। 
    • আরেক এজেন্টের কোড সাদা খাতা। 
    • সেক্ষেত্রে, সাদা খাতা জমা চাকরিপ্রার্থীর। 
    • ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে পাশ।
    • ওএমআর-এ শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট।

    এদিকে যে এজেন্টের মাধ‌্যমে কুন্তল ঘোষের টাকা মানিক ভট্টাচার্যর (SSC Scam) হাতে যেত, সেই এজেন্টের খোঁজ চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, রাজ‌্যজুড়ে এরকম প্রায় ৪০ জন এজেন্টের সন্ধান মিলেছে। যারা প্রভাবশালীদের হাতে দুর্নীতির টাকা তুলে দিতেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pravakaran: রাজীব গান্ধী হত্যায় যুক্ত প্রভাকরণ জীবিত! নয়া দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

    Pravakaran: রাজীব গান্ধী হত্যায় যুক্ত প্রভাকরণ জীবিত! নয়া দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তামিল টাইগার্স’-র (LTTE Chief) প্রাক্তন প্রধান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ (Prabhakaran)জীবিত বলে খবর। তামিল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্টের নেতা পি নেদুমারান (P Nedumaran) সোমবার সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন, বহাল তবিয়তে রয়েছে  প্রভাকরণ। এমনকি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে তার। উপযুক্ত সময় মতো সে প্রকাশ্যেও আসবে।

    প্রভাকরণ জীবিত

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রভাকরণের। উত্তর শ্রীলঙ্কার মুল্লিভায়াকালের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। সেই সময় তাঁর দেহ প্রকাশ্যে আনে তৎকালীন শ্রীলঙ্কা সরকার। মৃতদেহটি সনাক্ত করেছিলেন তৎকালীন আরেক এলটিটিই নেতা করুণা আম্মান। প্রভাকরণের জীবিত থাকার দাবি এই প্রথম নয়। বেশ কয়েক বছর আগেও LTTE প্রধান জীবিত আছেন বলে দাবি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার একজন তামিল জাতীয়তাবাদী নেতা। 

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    রাজীব গান্ধী হত্যার সঙ্গে যুক্ত

    শ্রীলঙ্কার বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। এটিই প্রভাকরণের ‘অন্তরাল’ ভেঙে সামনে আসার আদর্শ সময়, জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেদুমারান। তবে কখন কী ভাবে সে প্রকাশ্যে আসবে, সেটা স্পষ্ট নয়। যদিও একটি বিষয় নিয়ে ধন্দ নেই বর্ষীয়ান নেতার। ‘তামিল এলম’ তৈরির ব্যাপারে বিশদ পরিকল্পনা তৈরি প্রভাকরণের। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন তামিল জাতীয়তাবাদী নেতা আজও মনে করেন যে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রভাকরণে মৃত্যুর খবর বিশ্বাসযোগ্য নয়। এলটিটিই প্রধান সংঘর্ষ চলাকালীন পালিয়ে বেঁচেছেন বলে মনে করেন তাঁরা। ১৯৫৪ সালে ২৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার জাফনার উত্তরে অবস্থিত ভেলভেত্তিয়াথুরাই-তে জন্ম মৃত LTTE প্রধান ভেনুপিল্লাই প্রভাকরণের। তামিলদের প্রতি শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিদের বৈষম্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তামিলদের অধিকার রক্ষায় তৈরি করেছিলেন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE)।  ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা ঘটনায় প্রভাকরণের এলটিটিই-র হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Turkey Earthquake: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে চলছে দেদার লুটপাট, গ্রেফতার ৪৮

    Turkey Earthquake: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে চলছে দেদার লুটপাট, গ্রেফতার ৪৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ভোরে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে (Turkey Earthquake) কেঁপে ওঠে তুরস্ক। প্রভাব পড়ে সিরিয়াতেও। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। দুই দেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চারিদিকে শুধুই হাহাকার। আর এর মাঝেই এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল তুরস্ক। আর এরই মধ্যে চলছে দেদার লুটতরাজ। বিপর্যন্ত মানুষদের বোকা বানিয়ে জালিয়াতি এবং চুরির অভিযোগে গত ৬ দিনে মোট ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।      

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ হাতায় লুটতরাজের (Turkey Earthquake) অভিযোগে ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে তুরস্ক পুলিশ। অন্যদিকে গাজিয়ানটেপ এলাকায় এক ব্যক্তিকে ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করার চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।   

    সোমবারের ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দশটি এলাকায় আগামী তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট তায়ইপ এর্দোগান। এই অবস্থায় লুঠতরাজের অভিযোগে ৭ দিনের জন্যে আটক করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

    শনিবার ডিয়ারবাকির প্রদেশে ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট (Turkey Earthquake)। সেদিনই তিনি সাফ বলেন, লুঠতরাজের ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে যার অর্থ হল, লুঠপাট এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের জানা উচিত, রাষ্ট্র এই ধরনের অপরাধ কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    আফটারশক 

    এখনও বার বার আফটার শকে কেঁপে উঠছে তুরস্ক। গত রবিবারও এমনই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক (Turkey Earthquake)। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৭। ভূমিকম্পে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের শহর কাহরামানমারাস৷ এর পাশাপাশি আদিয়ামান, মালাটিয়া, দিয়ারবাকির শহরগুলিতেও ক্ষয়ক্ষতির ছবি সামনে এসেছে৷

    পৃথিবীর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম তুরস্ক৷ গত একশো বছরে এই অঞ্চলে এটিই অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প (Turkey Earthquake) বলে দাবি করা হচ্ছে৷ ১৯৯৯ সালে এই তুরস্কেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ তার মধ্যে ইস্তানবুলেই ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়৷ ২০২০ সালেও তুরস্কে দু’টি বড় ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা, আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা, আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনী ক্ষেত্রের পুনর্বিন্যাস বাতিলের আর্জি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, আজ সেই আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা শুরু করে কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা এবং বিধানসভা ভাগ করা হয়, তাতে দেখা যায় জম্মুর ৪৩ এবং কাশ্মীরের ৪৭টি বিধানসভা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। লোকসভার আসনও পুনর্বিন্যাস করা হয় একই সময়ে। আর এই পুনর্বিন্যাস নিয়েই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের মামলা আজ খারিজ করা হল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে।

    কী ঘটেছে?

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হয়েছিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে – জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ চালিয়েছে কেন্দ্রে। এই কাজের জন্য প্যানেলও তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর মে মাসে সেই কাজ সম্পন্নও হয়েছে। পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০। এর মধ্যে জম্মুর আসন সংখ্যা ৪৩। অন্যদিকে ৪৭টি আসন রয়েছে কাশ্মীরে। পাশাপাশি, ভূস্বর্গের লোকসভা আসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫। কিন্তু কেন্দ্রের এই পুনর্বিন্যাস নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। বিরোধীদের দাবি, পদ্ম শিবিরের রাজনৈতিক ফায়দার কথা মাথায় রেখে এই এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ করেছে সরকার। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতের

    এর পরই পুনর্বিন্যাসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশ্মীরের দুই বাসিন্দা আবদুল গনি ও মহম্মদ আয়ুব। আসন পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কোনও কমিশন নিতে পারেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল এবং এএস ওকা মামলাটি খারিজ করে দেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০১৯-র জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সঙ্গে আবেদনকারীদের আর্জির কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালতের তরফে আরও জানানো হয়, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে। সেগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস আইন, ২০১৯ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না সুপ্রিম কোর্ট। ফলে মোদি সরকারের আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তই বজায় থাকল।

  • ICC T20 World Cup: মাহির মতো ম্যাচ ফিনিশার হচ্ছেন রিচা! চাপের মধ্যে দুরন্ত ইনিংস বঙ্গতনয়ার

    ICC T20 World Cup: মাহির মতো ম্যাচ ফিনিশার হচ্ছেন রিচা! চাপের মধ্যে দুরন্ত ইনিংস বঙ্গতনয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের আদর্শ মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরজনের বিরাট কোহলি। রিচা ঘোষ ও জেমাইমা রড্রিগেজ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। যাঁদের হাত ধরেই মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে  সাত উইকেটে হারিয়ে যাত্রা শুরু করল ভারত। 

    ব্যাক টু ব্যাক দুটো বিশ্বকাপ

    কয়েক দিন আগেই ছোটদের ক্রিকেটে বিশ্বজয় করেছেন। মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে শিলিগুড়িতে ফিরতেও পারেননি রিচা ঘোষ। কারণ, হরমনপ্রীত কৌরদের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ব্যাক টু ব্যাক দুটো বিশ্বকাপ খেলার কোনও ধকল বা ক্লান্তি নিজের পারফরম্যান্সে এতটুকু পড়তে দেননি রিচা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে ম্যাচ ফিনিশ করলেন বঙ্গতনয়া তা এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলা যেন রিচার কাছে ভাত-ডাল। 

    আরও পড়ুন: দুরন্ত বাংলার রিচা! পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু ভারতের মেয়েদের

    মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর আদর্শ। মাহির মতো ম্যাচ ফিনিশার হতে চান। একাধিক সাক্ষাৎকারে এই কথা শোনা গিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেট কিপার-ব্যাটার রিচা ঘোষের কাছ থেকে। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ম্যাচ উইনিং ইনিংসটা খেললেন বঙ্গতনয়া তারপর বলাই যায় ফিনিশার ধোনির মতো অনেকটা গুনই রপ্ত করে ফেলেছেন রিচা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাজঘর থেকে তৈরি হয়ে এসেছিলেন রিচা। দেখালেন, কী ভাবে অবলীলায় ম্যাচ বার করে নিয়ে যেতে হয়। বার বার তিনি ভরসা দিচ্ছেন হরমনপ্রীতদের।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রিচা যখন ব্যাট করতে নামেন তখন অধিনায়ক হরমনকে হারিয়ে চাপে ভারত। পাকিস্তানকে হারাতে ৩৯ বলে দরকার ছিল ৫৭ রান। সেখান থেকে জেমাইমাকে সঙ্গে নিয়ে দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি।  ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৫টি চার মেরেছেন। 

    জেমাইমার জেদ

    একদিকে থেকে যখন রিচা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন তখন অপরদিক থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জেমাইমা রড্রিগেজও। ৫৮ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। চার মেরে ম্যাচ জিতিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন জেমাইমা। ৩৮ বলে ৫৩ করে অপরাজিত থাকেন কোহলি অনুরাগী জেমাইমা।

  • WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল ৫টি নতুন স্ট্যাটাস ফিচার, জানেন কি?

    WhatsApp: হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল ৫টি নতুন স্ট্যাটাস ফিচার, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্ক জুকেরবার্গের মেটা অধিকৃত হোয়াটসঅ্যাপ নতুন নতুন ফিচার এনেই চলেছে। এবার হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) স্ট্যাটাস ফিচারে যোগ হল আরও ৫টি নতুন পালক। হোয়াটসঅ্যাপ  (WhatsApp)  টিমের তরফে বলা হয়েছে, এই নতুন আপডেটের মাধ্যমে বাড়বে হোয়াটসঅ্যাপের উপযোগিতা। ব্যবহারকারীরা আরও সহজে বাড়াতে পারবেন তাঁদের যোগাযোগ, ভাববিনিময় আরও সহজ হবে।

    হোয়াটসঅ্যাপে  (WhatsApp) নতুন ৫টি ফিচার কী কী এল

    পাঁচটি আপডেটের মধ্যে অন্যতম প্রধান ফিচারটি হল ‘প্রাইভেট অডিয়েন্স সিলেক্টর’ এই ফিচারের মাধ্যমে প্রতিটি স্ট্যাটাসের জন্য প্রাইভেসি বজায় থাকবে।  আপনার স্ট্যাটাস কারা দেখতে পারবেন আর কারা দেখতে পারবেন না, তা ঠিক করবেন আপনি নিজেই। এতদিন পর্যন্ত এই অপশন চালু ছিল, তবে সেক্ষেত্রে সব স্ট্যাটাস থেকেই ব্লক রাখা যেত আপনার কনট্যাক্ট লিস্টের কোনও ব্যক্তিকে। এবার প্রতিটি স্ট্যাটাসের জন্য ব্যবহারকারীরা বেছে নিতে পারবেন এই অপশন। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপের  (WhatsApp)  স্ট্যাটাস ফিচার চালু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেটা ছিল হোয়াটসঅ্যাপের অষ্টম জন্মদিন। হোয়াটসঅ্যাপ  (WhatsApp)  টিম আরও জানিয়েছে, প্রাইভেট অডিয়েন্স সিলেক্টরের মাধ্যমে একবার বেছে নেওয়া কোনও স্ট্যাটাসের প্রাইভেসি সেটিংস পরের বার আপনা আপনি শো করবে।

    স্ট্যাটাস ফিচারের অন্য আপডেটগুলির মধ্যে রয়েছে ভয়েস স্ট্যাটাস যা ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভয়েস রেকর্ড এবং শেয়ার করার সুবিধা দেবে। এর মাধ্যমে পরিচিতদের সঙ্গে নিজেদের ভাববিনিময় এবং অনুভূতির প্রকাশ করা আরও সহজ হবে মনে করছে টিম হোয়াটসঅ্যাপ  (WhatsApp) । সেই সঙ্গে স্ট্যাটাসে রিঅ্যাক্ট করাও যাবে। এরজন্য থাকবে আটটি ইমোজি (Emoji)।

    স্ট্যাটাস রিয়্যাকশন ফিচার ব্যবহারকারীদের টেক্সট, ভয়েস মেসেজ, স্টিকার দেবে, এগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দমতো প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন। পাশাপাশি থাকবে স্ট্যাটাস প্রোফাইল রিং ফিচার, যা পরিচিতর প্রোফাইল ছবির চারপাশে দেখাবে যখনই তারা নতুন কোনও স্ট্যাটাস আপডেট শেয়ার করবে। চ্যাট লিস্ট এবং কনট্যাক্টসেও দেখা যাবে নতুন এই ফিচার। সবশেষে, স্ট্যাটাসে একটি নতুন লিঙ্ক প্রিভিউ ফিচারও থাকবে ব্যবহারকারীদের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kajal Sheikh: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত! বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ

    Kajal Sheikh: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত! বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। এতদিন এই একই অভিযোগ করছিল বিরোধী দলের নেতারাও। কিন্তু এবারে শাসকদলের নেতার গলাতেই অনুব্রতের বিরুদ্ধে সুর চড়তে দেখা গেল। রবিবার নানুরের উচকরণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দর বাসস্ট্যান্ডে দলের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রকাশ্যেই দাবি করলেন, নেত্রীর কথা শোনা হচ্ছে না। জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পরামর্শেই দল চালাচ্ছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। ইতিমধ্যেই এই দাবিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কাজল শেখের বিস্ফোরক দাবি

    গতকাল বীরভূম তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ দাবি করেন, “বিকাশদার সঙ্গে কেষ্টদার ফোনে কথা হচ্ছে সেই কারণেই উনি বলছেন কেষ্টদার কথামত চলছেন। হয়ত বিকাশদার সঙ্গে কেষ্টদার জেল থেকে ফোনে কথাবার্তা হচ্ছে। বিকাশের ফোন পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে কথা হচ্ছে কী না। কালকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞেস করে নিন বিকাশদা এটা বলেছেন কী না। আমি সত্য কথা বলি, সত্য পথে চলি।”

    আরও পড়ুন: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, শনিবারই বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান কাজল শেখ। জানা গিয়েছিল যে, কোর কমিটির বৈঠক না হওয়ায় ও দলে সম্মান না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে রবিবার তিনি জানান, বিষয়টা তেমন নয়। ব্যক্তিগত কাজেই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ওই বৈঠকেই বিকাশ রায়চৌধুরী দাবি করেছেন যে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই দল চলছে। এর প্রমাণ পেতে তিনি বিকাশের ফোন পরীক্ষা করার কথাও বলেন। বৈঠক চলাকালীন তিনি পিছনের দিকে বসে ছিলেন। কেন সামনে দিকে বসেননি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সামনে বসা আমার লক্ষ্য নয়, আমার লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল করা। চাইলে আমি অনেক আগে এমএলএ-এমপি হতে পারতাম। কিন্তু ও সব আমার লক্ষ্য নয়।”

    উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডে প্রায় পাঁচ মাস জেলবন্দি বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই অবস্থায় বীরভূমে পার্টি কে চালাবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বীরভূম সফরে এসে জেলায় সাতজনের কোর কমিটিও করে দিয়েছিলেন। প্রথম থেকে অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত নানুরে তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও এই কমিটিতে জায়গা দেন মমতা। প্রত্যেক সপ্তাহে কোর কমিটির সদস্যদের দলনেত্রী বৈঠক করার নির্দেশ দিলেও এখনও একটিও মিটিং হয়নি। গতকাল সেই নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন কাজল শেখ। আর সেই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ উগরে তিনি এমন দাবি করেন।

  • Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি চাকরির জন্য টাকা দিয়েও মেলেনি নিয়োগপত্র। ফলে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যারই পথ বেছে নিয়েছিলেন লালগোলার বাসিন্দা আবদুল রহমান। তাঁর মৃত্যুর পরই উদ্ধার করা হয়েছিল একটি সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের নাম। সেই মামলায় এবারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল লালগোলা থানার পুলিশ। তাঁরা একটি চার্জশিট পেশ করলে সেখানে দেখা যায়, তাঁরা মৃতের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করেছে। এর পরই পুলিশি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করে মৃতের পরিবার। আর আজ সেই দাবি মেনে মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিবিআইকে।

    সুইসাইড নোটে পার্থর নাম!

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুল রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। যেখানে জনৈক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘুষের টাকা তোলার কথা লিখে যান আবদুল। সেই নোট-এ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ কারা কারা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও উল্লেখ ছিল।

    আরও পড়ুন: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    আবদুলের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিটে রয়েছে মৃতেরই নাম!

    এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে লালগোলা থানার পুলিশ। প্রথমে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিবাকর কনুইকে গ্রেফতার করা হয়। সে কান্দির বাসিন্দা হলেও কলকাতা থেকে মিডলম্যান হিসেবে ভূমিকা পালন করছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এরপর আব্দুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিট পেশ করে লালগোলা থানার পুলিশ। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে মৃত আব্দুলেরই। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে ওঠে মামলাটি। চার্জশিট ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।

    এদিন এই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে, খোঁজার বদলে আত্মঘাতী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। পুলিশের এই কাজের নিন্দার ভাষা নেই। চোরেদের আড়াল করতে বুক চিতিয়ে নেমে পড়েছে গোটা প্রশাসন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”

  • SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    SSC Scam: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি থেকে বহিষ্কৃতরা। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের এজলাসে। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ। অন্যদিকে বিচারপতি বসুর রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ

    শুক্রবারই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এসএসসি নিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: বিদায় নিচ্ছে শীত! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়ছে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়ার দাপট

    এদের প্রত্যেকের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা, তাদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠরা। আদালতে কমিশন স্বীকারও করেছে ২৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৯১১ জন। ফলে এই ১৯১১জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেদিন বলেছিলেন, “অবিলম্বে ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে, দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।” তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না, সে বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি। আর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আজ ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হন চাকরি খোয়া কর্মীরা।

    বিচারপতি বসুর রায়কে চ্যালেঞ্জ নবম এবং দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের

    উত্তরপত্র বিকৃত করে ৯৫২ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই চাকরি খোয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই দুই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেয় সেদিকেই নজর রাজ্যবাসীর।

LinkedIn
Share