Blog

  • CV Ananda Bose: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    CV Ananda Bose: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রাজভবন অব্যাহতি দিল নন্দিনী চক্রবর্তীকে। রাজভবনের ইচ্ছায় সরানো হল রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। রবিবার বেশি রাতে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। শেষমেশ সেটাই হল। কেন এমন ঘটনা? অভিযোগ আনন্দ রাজভবনে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে শাসক তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আর এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে নন্দিনীর ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। এর পরেই গতকাল রাতে রাজভবনের থেকে এই খবর সামনে এল। শোনা যাচ্ছে নন্দিনীর বদলে নতুন কাউকে প্রধান সচিব হিসেবে সরকারের কাছ থেকে চাওয়া হবে। এমনটাও শোনা যাচ্ছে রাজ্যপাল তার নিজের পছন্দমত টিম নতুন করে তৈরি করতে চাইছেন। রাজভবন সূত্রে খবর আজ, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও হতে পারে আনন্দের।

    কেন এমন ঘটল?

    বিভিন্ন সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি এই অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের বক্তব্য নন্দিনী চক্রবর্তী সরাসরি রাজ্য সরকারের হয়ে রাজভবনকে পরিচালিত করছেন। এমন অফিসারকে দিয়ে রাজভবন পরিচালিত হলে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। ফলে গতকাল রাতেই প্রধান সচিবের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে সরব হয় রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বিষয়ে খোঁজ নেয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে ‘হাতেখড়ি’, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ— এ সবই নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে বিজেপি। মূলত সরব হন শুভেন্দু। প্রথম দিকে বিষয়টা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চুপ থাকলেও পরে শুভেন্দুর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরে শনিবার সন্ধ্যাতেই রাজভবনের পক্ষে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এবং রাজ্যপালের পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল রাজ্যপাল পথ বদলাচ্ছেন। এর পরেই গতকাল এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।

    রাজভবন সূত্রে খবর, আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিভি আনন্দ বোসের। ঠিক তার আগের রাতেই নন্দিনীকে সরিয়ে দিতে রাজ্যপাল নবান্নকে জানিয়ে দেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে রাজভবন বা নবান্নের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

  • Earthquake in Sikkim: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    Earthquake in Sikkim: সকাল সকাল ভূমিকম্প সিকিমে! কম্পনের মাত্রা ৪.৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম।  সোমবার ভোর ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ সিকিমের ইউকসাম শহরে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ভূমিকম্পে এখনও অবধি কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে রবিবারই অসমে ভূমিকম্প হওয়ার ঠিক পরেই এ দিন ভোরে এবার সিকিমেও ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

    জাতীয় ভূকম্পনকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সিকিমে ভূমিকম্পের উৎস ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইউকসাম শহরের ৭০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে মাটির গভীরে ভূমিকম্প হয়। তার জেরে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা।

    ভূমিকম্পের তীব্রতা

    সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে ইউকসাম শহরে বেড়াতে যান পর্যটকেরা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালের ভূমিকম্পে বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে পার্বত্য এলাকা হওয়ায় আফটারশক ও তার জেরে বাড়িঘরে ফাটলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। সপ্তাহ খানেক আগেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ৭.৮ মাত্রার সেই কম্পনের পর অন্তত ১০০ বার আফটার শক অনুভূত হয়। পর পর কম্পনে বিধ্বস্ত পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশে এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

    আরও পড়ুুন: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    রবিবারই ভূমিকম্প হয় অসমে। বিকেল ৪টে ১৮ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় অসমের নওগাঁওয়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নওগাঁও এলাকায়, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের মাত্রা কম থাকায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও ঘটনা ঘটেনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nitin Gadkari: “২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের হাইওয়েগুলিকে আমেরিকার মত করার চেষ্টা করব”, বললেন নিতিন গড়কড়ি

    Nitin Gadkari: “২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের হাইওয়েগুলিকে আমেরিকার মত করার চেষ্টা করব”, বললেন নিতিন গড়কড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়ের আজ উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিশাল সড়ক প্রকল্পের অন্যতম অংশ দিল্লি-দৌসা-লালসট ২৪৬ কিলোমিটার অংশটির উদ্বোধন করলেন তিনি। আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও সড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং এবং অন্যান্য নেতারা। এই মঞ্চ থেকেই আরও এক চমক দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যেই ভারতের রাস্তা আমেরিকার রাস্তার মত গড়ে তোলা হবে।

    নিতিন গড়করি কী বললেন?

    রাজস্থানের দৌসায় এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন নিতিন গড়কড়ি। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশের রাস্তার পরিকাঠামোকে আমেরিকার সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে৷ তিনি বলেন, “আমরা ভারতের হাইওয়েগুলিকে আমেরিকার মত করার চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে আত্মনির্ভরশীল করার কথা বলেছেন এবং বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো তৈরি করার কথা বলেছেন, যা তিনি বারবার আমাদের সামনে লক্ষ্য হিসাবে রেখেছেন। ২০২৪ সালের শেষের আগে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়, আমরা ভারতের রাস্তার পরিকাঠামোকে আমেরিকার সমান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিস্তারিত

    তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বপ্ন ছিল যে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির উন্নয়নকে আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে।” তিনি জানান, তিনি প্রায় ৫০০ টি ব্লক চিহ্নিত করেছেন, যেই জেলাগুলি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে রয়েছে এবং তাই, এই হাইওয়েটি সেই অঞ্চলগুলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”

    প্রসঙ্গত, আজ এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর এটি নিয়েও বক্তব্য রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, “গত ৯ বছর ধরে কেন্দ্র পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে। রাজস্থানকে জাতীয় সড়কের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের তুলনায় এ বছরও রাজস্থানে বহু গুণ বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। লাভ পাবে রাজস্থান, এখানকার গ্রাম, গরিবেরা।” তাঁদের আশ্বাস, পরিকাঠামোর যত উন্নয়ন হবে, ততই রোজগার বাড়বে। আর্থিক গতিও বাড়ে।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ ছেলেমেয়ে (Student)। এবার সেটাই কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ড্রপ (Drop) নথিভুক্ত করা হয়েছে। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ড্রপ আউট বা স্কুলছুট কেউ হয়নি। এ বার অনেক ছাত্রছাত্রী যে টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেটাও মনে রাখতে হবে। যদিও কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এই ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই ড্রপ আউট।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা…

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এবার সেই সংখ্যাটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। পর্ষদের ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বয়সের কারণে অনেকে ভর্তি হতে না পারায় এবং করোনাকালে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার অভাবে প্রস্তুতি ঠিকমতো না হওয়ায় কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

    অন্যরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, নাম নথিভুক্ত করেও যে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) দিচ্ছে না, তাদের অধিকাংশই স্কুলছুট। করোনার প্রকোপে গ্রামের বহু ছেলেমেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। অনেকে কাজে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, নানা প্রকল্প চললেও, বহু স্কুলে লেখাপড়ার পরিকাঠামোই নেই। স্কুল পরিকাঠামোর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। দেওয়াল চাপা পড়ে পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা…

    সরকার শিক্ষক নিয়োগে জোর না দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতেই ব্যস্ত। তার চেয়ে শিক্ষক নিয়োগের ওপর জোর দিলে ভাল হত। তিনি বলেন, এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Examination) ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যে বেশি, তার অন্যতম প্রধান কারণ কন্যাশ্রী প্রকল্প। ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক মেয়ে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমল, তা জানতে স্কুল শিক্ষা দফতর সমীক্ষা করবে বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তির পরেও কেন বহু পড়ুয়া মাধ্যমিকে বসার ফর্ম পূরণ করল না, তার কারণ জানতেই সমীক্ষা হবে। কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সমীক্ষা করানো হবে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    Coochbehar: কোচবিহার আদালতের মালখানা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। রবিবার সকালে কোচবিহার আদালতের মালখানার ভেতরে থাকা সেই হ্যান্ড গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ আধিকারিকরা। এদিন সকালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ৬ থেকে ৭জনের সদস্যের একটি দল আদালত চত্বরে এসে হ্যান্ড গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানা গেছে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় সাগরদিঘি চত্বরকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সেখানে এক দিকে যেমন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন তেমনি দমকল বাহিনীও মোতায়েন করা হয় সেখানে।

    কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন তিনেক আগে আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই গ্রেনেডটি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের কাছে। এরপর রাজ্য পুলিশের বোম স্কোয়াডের একটি দল পরবর্তীতে ওই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে এলে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাঁরা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। পরে কোচবিহার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য সফরে এসে মমতার কী নাম দিলেন নাড্ডা?

    সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা জানান ছুটির দিন রবিবার এই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে হবে। সেই মত রবিবার সকালেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়কারী দল যেখানে বোমা রাখা ছিল সেখানে পৌঁছে যান এবং তাঁরা দেখতে পারেন সেই বোমা বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা আদালতের বিচারপতির অনুমতি নিয়েই ওই মালখানার ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার বন্দোবস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে গ্রেনেড টি নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই কাজের ফলে আদালতের মালখানার ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।

    এই বিষয়ে এডিশনাল এসপি জানান, কোর্টের মালখনায় ০.৩৬ আর্মি গ্রেট গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যেহেতু আর্মি গ্রেনেড তাই পুলিশের টিম তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। জলপাইগুরির ইঞ্জিনিয়ারের রেজিমেন্ট এসে সব দেখে জানান গ্রেনেড টি ওখানেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

    বিন্নাগুড়ির ৬-৭ জন  ইঞ্জিনিয়ারের টিম এসে জেলা আদালত ও জেলা জর্জ এর অনুমতি নিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আশেপাশে। কীভাবে গ্রেনেড এল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    SLST Agitation: লজ্জার ৭০০ দিন! কালো পোশাক পরে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত। চাকরির দাবিতে যোগ্য প্রার্থীদের করতে হয়েছে বিক্ষোভ, অনশন, প্রতিবাদ, তবুও মেলেনি নিয়োগপত্র। আর এই চাকরির দাবিতেই এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আজ ৭০০ দিনে পড়ল। রবিবার ছুটির দিনেও ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের এক অভিনব পথে আন্দোলন করতে দেখা গেল। মহিলাদের দেখা যায় কালো পোশাকে ও পুরুষদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন করতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও এখনও তাদের নিয়োগ করা হয়নি, আর তারই প্রতিবাদে ফের সোচ্চার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    নবম-দশম চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

    আন্দোলন, বিক্ষোভ করতে করতে ৭০০ দিন পেরিয়ে গেল তবুও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা পেলেন না নিয়োগ। একদিকে যেমন রাজ্যে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে, প্রায় প্রতিদিনই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীরাও তাঁদের বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: চাকরি চেয়ে চ্যাংদোলা! মমতার বাংলায় এটাই বাস্তব?

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি

    ফাঁকা ওএমআর শিটের প্রতিলিপি নিয়ে কালো পোশাক পরে চলছে প্রতিবাদ। সঙ্গে চলছে স্লোগান শাউটিংও। এই বিক্ষোভ অবস্থান থেকে একটাই দাবি করা হয়েছে সেটি হল নিয়োগের দাবি। তাঁরা এই প্রতিবাদের মাধ্যমে রাজ্যে দুর্নীতির যে কঙ্কালসার ছবি, সেটিই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরা এমন পোস্টার বানিয়েছেন, যেখানে দেখা গিয়েছে, কীভাবে এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতি করা হয়েছে, কীভাবে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে, সেসবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এইসব পোস্টারের মাধ্যমে। সবার পোশাকে লেখা রয়েছে, ‘লজ্জার ৭০০ দিন”।

    এক চাকরিপ্রার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, আজকের এই প্রতিবাদে তাঁরা দুটো বিষয়কে তুলে ধরেছেন। এক, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে, তাঁর কথায় রাজ্যের শিক্ষায় কালো দিন চলছে, কালো অধ্যায় চলছে, তা বোঝতেই মহিলা আন্দোলনকারীরা কালো পোশাক পরেছেন। দুই, রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থাকে সামনে রেখে যেসব ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ চলছে, অযোগ্যরা চাকরি করছেন, যোগ্যরা রাস্তায় ৭০০ দিন ধরে প্রতিবাদ করছেন, অর্থাৎ রাজ্যের শিক্ষার সেই রূপ তুলে ধরতেই পুরুষ আন্দোলনকারীরা অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করছেন। 

  • Mumbai Murder: মুম্বাইয়ের একটি খুনের মামলায় ২০ বছর ধরে পলাতক অভিযুক্ত, আদতে তিনি ছিলেন জেলে

    Mumbai Murder: মুম্বাইয়ের একটি খুনের মামলায় ২০ বছর ধরে পলাতক অভিযুক্ত, আদতে তিনি ছিলেন জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ বছর পর এক হত্যা রহস্যের পর্দা উন্মোচন হল। এতদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ওই হত্যা মামলার (Mumbai Murder) মূল অভিযুক্ত। ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলায় ছোটা শাকিল গ্যাংয়ের একজন অভিযুক্ত শার্প শুটারকে ২০ বছর ধরে সনাক্ত করতে মুম্বাই পুলিশ নাকানি চোবানি খেয়েছে। এতদিন পরে জানা গেল সেই খুনি অন্য একটি মামলায় এতদিন ধরে জেলবন্দি ছিলেন।

    মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট (MCOCA) মামলার বিশেষ বিচারক, এ এম পাতিল ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ সালে বোম্বে আমান কমিটির সভাপতি ওয়াহিদ আলি খানকে হত্যার অভিযুক্ত মাহির সিদ্দিকীকে অন্য মামলায় মুক্তি দেন। 

    আদালত প্রসিকিউশনের মামলায় একাধিক অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করেছে আদালত (Mumbai Murder) । প্রসিকিউশন অনুসারে, সিদ্দিকী এবং আরও একজন অভিযুক্ত ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে  মুম্বাইয়ের এল টি মার্গ এলাকায় তার বাড়ির কাছে খানকে গুলি করে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরাধ করার পর দুজনেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    ২০১৯ সালের মে মাসে, পুলিশ সিদ্দিকীকে খুঁজে বের করে এবং তাঁকে গ্রেফতার (Mumbai Murder) করে। তারা তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছে এবং এর মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। তদন্তে পুলিশ সিদ্দিকী ও ছোট শাকিলসহ ছয়জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাঁরা এও জানতে পেরেছেন যে, ছো্টা শাকিলের নির্দেশেই এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। 

    আদালত জানায়, সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার সময় সময় প্রসিকিউশন (Mumbai Murder) দাবি করেছিল যে ঘটনার তারিখ থেকে গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত তিনি পলাতক ছিলেন।
    কিন্তু তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অন্য একটি মামলায় বিচারাধীন বন্দী ছিলেন। তাঁকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। এরপর কারাগারে থাকা  অবস্থায় পুলিশ কীভাবে তাঁকে খুঁজে বের করতে পারল না, সেই প্রশ্ন করে আদালত।

    বিচারক বলেন, “পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তাঁরা তো পলাতক আসামি এবং ইউটিপি (আন্ডারট্রায়াল বন্দী) এর রেকর্ড বজায় রাখে। এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিস্তারিত

    প্রসিকিউশনের মামলার অসঙ্গতিগুলিকে আরও স্পষ্ট করে (Mumbai Murder) তুলে ধরে আদালত বলে, কোনও প্রত্যক্ষদর্শী মৃত ব্যক্তির উপর গুলি চালানোর সময় অভিযুক্তকে দেখেছেন বলে দাবি করেননি। তথ্যদাতার সাক্ষ্যতেও অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে।

    আদালত আরও বলেন, “উপরের আলোচনা বিবেচনা করে, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে প্রসিকিউশন যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

       

       

  • Amit Shah: ‘ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন’, ত্রিপুরায় জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন’, ত্রিপুরায় জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ত্রিপুরায় (Tripura) দুটি জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত ওই জনসভায় তিনি ডবল ইঞ্জিন সরকারের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ত্রিপুরার চাঁদিপুর থেকে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে বক্তব্য রাখেন শাহ।

    শাহি বচন…

    তিনি বলেন, ত্রিপুরার জন্য কমিউনিস্ট, কংগ্রেস ভাল কোনও কিছুই করতে পারে না। তিপ্রা মোথার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। শাহ বলেন, উন্নয়ন করতে পারে কেবল ভারতীয় জনতা পার্টিই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৭ বছর ধরে ত্রিপুরায় মানিক সরকার কী কী করেছেন, রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন। আপনি যদি কিছু করেও থাকেন, আপনার দলের লোকেরা এক আদিবাসী নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দিল। আপনার নাম তোলেননি। আর আপনিও ত্রিপুরার জন্য কিছু করেননি। তিনি বলেন, আমরা দুটি বিমানবন্দর বানানোর কাজ করেছি।

    আরও পড়ুুন: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    বাঁশ এক্সপোর মাধ্যমে বাঁশ চাষ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান শাহ। তিনি বলেন, মৎস্য সহায়তা যোজনার মাধ্যমে সব মৎস্যজীবীদের ছ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে প্রতি বছর। আগামী পাঁচ বছরে চা বাগানের শ্রমিকদের ১৬০০ বর্গকিমি জমি দেওয়া হবে বিনামূল্যে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, পিএম কিষান সম্মাননিধি যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার এখন দেশের কৃষকদের বছরে ছ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকে। আগামী বছর বিজেপি সরকার গঠন করলে এই টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হবে।

    শাহ বলেন, ত্রিপুরা ট্রিপল ট্রাবলের মুখোমুখি হয়েছে। এই তিন ট্রাবল হল কংগ্রেস, সিপিএম এবং তিপ্রা মোথা। তিনি বলেন, আপনারা যদি ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চান, তাহলে ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকারে ভোট দিন। শাহ বলেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যখন এসেছিলাম তখন এখনকার সবাই কমিউনিস্টদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকত। পানীয় জলের সংযোগ নিতে হলে ওদের ক্যাডারদের কাছে যেতে হত, রেশন কার্ড, চাকরি পাওয়ার জন্যও ক্যাডারদের কাছে যেতে হত। ২৭ বছর পর ক্যাডারদের থেকে মুক্তি মিলেছে। তিনি (Amit Shah) বলেন, এইবার আর ক্যাডারদের ঢুকতে দেবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nagerbazar Police: নাগেরবাজার পুলিশের সাফল্য! গ্রেফতার বাইক পাচারকাণ্ডে জড়িত ১

    Nagerbazar Police: নাগেরবাজার পুলিশের সাফল্য! গ্রেফতার বাইক পাচারকাণ্ডে জড়িত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল নাগেরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ মুফাসসিল। বিগত কয়েক বছর ধরেই দমদম এলাকায় বেড়েছে বাইক চুরির ঘটনা। দমদম থানা এলাকায় একের পর এক এমন চুরির ঘটনা ঘটলেও ধরা পড়েনি এক জনও। হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার— সেই সব এলাকা থেকে নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যেত মোটরবাইক। তার পর তা চলে যেত বাইক পাচারকারীদের কাছে। তবে এবারে এই মোটর বাইক পাচার চক্রে পুলিশের জালে এসেছে এক ব্যক্তি।

    নাগেরবাজার পুলিশের জালে বাইক পাচারকারী

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ দমদম সেন্ট মেরিজ এর সামনে থেকে একটি হোন্ডা বাইক চুরি হয়। ওই মাসের ২৫ তারিখ বাইকের মালিক নাগেরবাজার থানায় বাইক চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ জানায়। এরপরে এই ঘটনার তদন্তে নামে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। সূত্র মারফত খোজ খবর পেয়ে পুলিশ শেখ মুফাসসিলকে ওই চুরির বাইকসহ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি করার পর বাইকের নম্বর প্লেট বদলে দিত ওই অভিযুক্ত, এরপর সেই বাইক বিক্রি করে দিত। কিন্তু শেষ চুরির বাইক বিক্রি করার আগেই ধরা পড়ে যায় সে।

    আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে এই বাইক চুরির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ পেতেই আজ ধৃতকে আদালতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পাঠানো হয়। পুলিশ ধৃতকে নিজের হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বাকিদের খোঁজ পেতে চাইছে।

    প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রের খবর, মোটরবাইক চুরি চক্রের একটি দল কিছু দিন পরপর জায়গা বদলে এ কাজ করে। এমনই একটি চক্র এখন দমদমে কাজ করছে। গত বছর ফের একটি মোটরবাইক চুরির অভিযোগ এলে পাচারকারীদের ধরতে তৎপর নাগেরবাজার থানার পুলিশ। পাচারকাণ্ডে একজন ধরা পড়ায় পরবর্তীতে আরও বাইক পাচারকারীর খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share