মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা যুদ্ধের সময় নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ কথা বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মোদির সেই ‘বাণী’ হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল বিশ্বের ছোট বড় দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের। তবে মোদির সে কথায় কান দেননি পুতিন (Putin)। সেই কারণে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে শুরু হওয়া এখনও চলছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine) যুদ্ধে যে দাঁড়ি টানতে পারেন একমাত্র মোদিই, এবার তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে আমেরিকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ…
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের পাশেও দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। আমেরিকা সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন। সেই কারণেই যুদ্ধ এখনও থামেনি। এমতাবস্থায় এল হোয়াইট হাউসের বিবৃতি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত শেষ করার যে কোনও প্রকার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনের হাতে এখনও সময় আছে। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia Ukraine) সংঘাত শেষ করার লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানাব।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পুতিনকেই দায়ি করেছেন কিরবি। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনই একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সরাসরি দায়ি। যুদ্ধ বন্ধে এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য একাধিকবার পুতিনকে আবেদন করেছেন, কিন্তু পুতিন তাতে সাড়া দেননি।
গত বছর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের (Russia Ukraine) সময় নয়। সে প্রসঙ্গ টেনে এদিন কিরবি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাস সঠিক এবং আমেরিকা সব সময় মোদির এই ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি আর কেউ নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। শনিবার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিওথেরাপিস্টের ন্যাশনাল কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট ও খেলো ইন্ডিয়া মুভমেন্ট ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগাসনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন…
সম্প্রতি চিকিৎসা ব্যবস্থার এই ক্ষেত্রকে পেশার সম্মান দিয়েছে কেন্দ্র। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হচ্ছে। কোনও চোট, ব্যাথার ক্ষেত্রে যুব থেকে বৃদ্ধ, খেলোয়াড় সকলের যাবতীয় সমস্যা দূর করেন ফিজিওথেরাপিস্টরা। তিনি বলেন, কঠিন সময়ে আশার আলো, সুস্থ হয়ে ওঠার আশা হয়ে উঠছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কোনও ব্যক্তি হঠাৎ আঘাত পান বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হন, তখন শুধুমাত্র শারীরিক চোটই নয়, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হয়। ফিজিওথেরাপি শুধু শারীরিকভাবে সুস্থই করে না, মানসিক শক্তিও জোগায়। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকেও মাঝে মধ্যে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়। তিনি বলেন, আপনাদের পেশা থেকে পেশাদারিত্ব থেকে প্রেরণা পাওয়া যায়। নিজেদের ক্ষেত্রে আপনারা নিশ্চয়ই এটা শিখেছেন যে চ্যালেঞ্জের থেকে অনেক বেশি মজবুত হয় আপনাদের ভিতরের ক্ষমতা। সামান্য উৎসাহ ও সাহায্যেই কঠিন থেকে কঠিনতর প্রতিবন্ধকতাকে হার মানানো সম্ভব।
মোদি (PM Modi) বলেন, সব থেকে ভাল ফিজিওথেরাপি তিনিই, যিনি রোগীর সমস্যা বুঝে চিকিৎসা করেন। অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে আপনার পেশাই আপনাকে আত্মনির্ভরতা শেখায়। মানুষকে আত্মনির্ভর করাই আপনাদের লক্ষ্য। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এটাও জানেন যে যখন চিকিৎসক ও রোগী মিলিতভাবে চেষ্টা করেন, তখনই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। একইভাবে সরকারের কাজও পরিচালিত হয়। জনগণের সমর্থনেই সরকারের সাফল্য সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তিতে আজাদির অমৃত মহোৎসব পালন করছে। আমি অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের সরকার ফিজিওথেরাপিকে পেশার স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতে, ফিজিওথেরাপির সঙ্গে যদি যোগাসন যুক্ত হয়, তাহলে তা আরও কার্যকরী হয়ে উঠবে। টেলিমেডিসিনেরও ব্যবহার করা উচিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আঁতুড়ঘরেই ‘বয়কটে’র হুমকি বিবিসিকে (BBC)। সম্প্রতি এক জঙ্গিকে নিয়ে ৯০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটেনের (Britain) এই সংবাদ সংস্থা। তার পরেই রাজার দেশে প্রশ্নের মুখে বিবিসি, জঙ্গির প্রতি সমবেদনা কেন? সেই কারণেই বিবিসিকে বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটেনবাসী।
‘জেহাদির স্ত্রী’
২০১৫ সালে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দেন জনৈক শামিমা বেগম। মায়ের সূত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। বছর তিনেক পরে জঙ্গি সংস্রব ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরেছেন শামিমা। তাঁর জীবনের নানা ওঠাপড়া নিয়েই বানানো হয়েছে তথ্যচিত্রটি। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তিন বন্ধুর সঙ্গে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন শামিমা। যোগ দিয়েছিলেন আইসিসে। সেখানেই জঙ্গি সংগঠনের এক শীর্ষ নেতাকে বিয়ে করেন তিনি। জঙ্গি শিবিরে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন জেহাদির স্ত্রী নামে। পরে মোহভঙ্গ হয় শামিমার। ২০১৯ সালে ফের ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন ‘জেহাদির স্ত্রী’। যদিও জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শামিমার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ব্রিটিশ প্রশাসন। তার পর থেকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শামিমা।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আরও একবার খবরের শিরোনামে এসেছিল সংবাদ সংস্থা বিবিসি (BBC)। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করে বিতর্কের মুখে পড়েছিল বিবিসি। গুজরাট হিংসায় মোদির ভূমিকা তুলে ধরার দাবি জানালেও, এই ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে মামলাও হয় সুপ্রিম কোর্টে। ভারত সহ বিশ্বের নানা দেশে হয় প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদের ঝড় পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের বিতর্কের মুখে বিবিসি। এবং সেটা স্বদেশেই।
এই প্রথম নয়, এর আগেও শামিমাকে নিয়ে ধারাবাহিক তৈরি করেছিল এই খবরওয়ালারা (BBC)। তখনও অভিযোগ উঠেছিল, ওই ধারাবাহিকে তাঁর জীবনসংগ্রামকে দেখানো হয়েছে সহানুভূতির সঙ্গে। সিংহভাগ ব্রিটেনবাসীর হুঁশিয়ারি, এমন চলতে থাকলে তাঁরা নতুন করে বিবিসির সাবস্ক্রিপশন নবীকরণ করবেন না। একজন জঙ্গির প্রতি সমবেদনা কেন? সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) কে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল পিএফআই। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল করতে বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করারও পরিকল্পনা রেখেছিল তারা। এটিএস বলছে, এজন্য বিশ্বের কট্টর মুসলিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছিল পিএফআই।
৫ জন গ্রেফতার হওয়া পিএফআই (PFI) কর্মীকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে এটিএস
মহারাষ্ট্রের স্থানীয় কোর্টে এটিএস যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সেখানেই উল্লেখ রয়েছে পিএফআই এর উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার। গত বছরে মহারাষ্ট্রের এটিএস গ্রেফতার করে পাঁচজন পিএফআই (PFI) কর্মীকে তাদের কাছ থেকেই জেরা করে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর এটিএস সূত্রে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় ৫ পিএফআই (PFI) কর্মীকে। তারা হল, মজহর খান, সাদিক সেখ, মহম্মদ ইকবাল খান, মোমিন মিস্ত্রি এবং আসিফ হুসেন খান। এদের বিরুদ্ধে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করা, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে এটিএস।
কী লেখা রয়েছে উদ্ধার হওয়া নথিতে
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেড শুরু করা হয় পিএফআই-র দফতরগুলিতে। ২ ফেব্রুয়ারি এটিএস চার্জশিট জমা দেয়। সেখানে তারা বলে, পিএফআই-র দফতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথি, ওই নথিগুলিতে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু প্রমান পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একটি ফাইল উদ্ধার হয়েছে যেখানে শিরোনাম রয়েছে, “২০৪৭ এর মধ্যে ভারত হবে মুসলিম দেশ”। ওই নথিতে আরও লেখা রয়েছে, ” মুসলিম শাসকদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা অনৈতিকভাবে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমরা সেই ভারতের কল্পনা করছি, যার রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে মুসলিম সমাজের হাতে। ওই লক্ষ্য অর্জন করতে মুসলিম সমাজকে প্রথমে আর্থিক এবং সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে”। রাস্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সম্পর্কে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র হিন্দুদের স্বার্থেই কাজ করে ওই সংগঠন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী সংগঠনের (Rail Roko Abhiyan) অবরোধের রাজ্যের ৩ জেলায় ব্যহত যান চলাচল। শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ‘আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান’। মালদা এবং পুরুলিয়া জেলাতেও চলছে আন্দোলন। আদিনা রেল স্টেশনে শুরু হয়েছে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন। আটকে পড়েছে লোকাল, এমনকি দূরপাল্লার ট্রেনও। ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
সারনা ধর্মের কোড (Rail Roko Abhiyan) চালু-সহ একাধিক দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, আসাম-সহ মোট পাঁচ রাজ্যে অনির্দিষ্টকাল বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সংগঠন। শনিবার সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলির কাছে রেলপথ অবরোধ করে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। ট্রেনের পাশাপাশি, কলকাতা-মুম্বাই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে। রেলের খড়্গপুর ডিভিশনে ইতিমধ্যেই টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস, টাটানগর প্যাসেঞ্জার, খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার, টিটলাগড় ইস্পাত এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে।
অবরোধ বিভিন্ন জেলায়
মালদহে রেল অবরোধের কারণে সামসি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দী এক্সপ্রেস (Rail Roko Abhiyan)। কুমারগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে কুলিক এক্সপ্রেস। একলাখি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে তেভাগা এক্সপ্রেস। মালদা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে গৌড় এক্সপ্রেস।
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে শিলিগুড়ি (Rail Roko Abhiyan) মোড়েও পথ অবরোধ চলছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রায়গঞ্জ বালুরঘাট ১০/এ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা। সেখান থেকে পরেশনাথ পাহাড় আদিবাসীদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি তোলা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে জাতীয় সড়কও অবরোধ হয় এদিন। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। তবে রাজ্যজুড়ে শনিবার এই কর্মসূচি যে পালন করা হবে তা আগেই জানিয়েছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এক নিত্যযাত্রীর কথায়, “আমি আদিনা থেকে ট্রেনে উঠে কর্মস্থলে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু, সাতটা নাগাদ স্টেশনে এসে দেখি বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। শুধু রেল পথ নয় শুনেছি রাস্তাও ঘেরাও করা হবে। কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছব বুঝে উঠতে পারছি না।” উদ্বেগের একই স্বর শোনা গেল অন্যান্য যাত্রীদের কণ্ঠেও।
প্রসঙ্গত, সারনা ধর্মের কোড চালু করার দাবিতে ২০২১ সালে খেমাশুলিতে (Rail Roko Abhiyan) রেল অবরোধ করে এই সংগঠন। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একাধিক কুড়মি সংগঠন খেমাশুলিতে রেল অবরোধ করেছিল। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের এক জনসভায় এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিএম ক্লাব থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিজেপি। এই মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। আলিপুরদুয়ার শহরে রেলের ফ্লাইওভারের পাশে রেলের মাঠে হয় প্রতিবাদ সভা। সেখানেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের দলবদলু বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকেও একহাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, একটি বোলেরো গাড়ি আর কিছু টাকার জন্য আপনি দল বদল করেছেন। ওই টাকা আপনি রাখতে পারবেন না। মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বার করব।
শুভেন্দু উবাচ…
বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে বলে প্রচার করছে তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। কেউ যদি এই বিষয়ে কিছু বলে থাকেন, তাহলে তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এটা আমরা বারবার বলেছি।
Participated in the Protest March & addressed the Protest Rally at Alipurduar. The passionate @BJP4Bengal Karyakartas & Supporters joined in huge numbers proving that BJP’s foundation in the district is so strong that nobody can inflict any damage. Lotus will keep blooming here. pic.twitter.com/n1CRtIykCS
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 10, 2023
বিজেপির এই প্রতিবাদ সভায় জেলাশাসকদেরও একহাত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হাইওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিচ্ছে। আর সেই টাকার সুদ জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মোচ্ছবে খরচ করছেন। শুভেন্দু বলেন, আমি এই মঞ্চ থেকে জেলাশাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, এভাবে আপনারা এই টাকা খরচ করতে পারেন না।
আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার হাত রয়েছে বলেও মনে করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, সুরেন্দ্র কুমার মিনা তৃণমূলের আসল জেলা সভাপতি। সুমন কাঞ্জিলালের সঙ্গে গত এক মাসে কতবার মিটিং করেছেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে। সুমনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে গত এক মাসে এসপি আর ডিএম কী কী করেছে, সব তথ্য নিয়ে আমি কথা বলছি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, তিনি (সুরেন্দ্র কুমার মিনা) কত পাথর, কত বালি তুলেছে, কত চন্দন কাঠ পাচার করেছেন, তার সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের জেলাশাসককে ঘেরাও করার নির্দেশও দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ডিএম অফিস ঘেরাও করতে হবে। আমি নেতৃত্ব দেব। সুরেন্দ্র মিনাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখলে তৃণমূলের ক্ষমতা অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার কাজ অচিরেই বন্ধ হবে এবং পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের মানুষের ভোট হবে। নিজের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়ায় ওঠানামা জারি। পারদের ওঠানামা অব্যহত (Weather Forecast)। তাই কখনও কম্বল চাপাতে হচ্ছে তো, কখনও ফ্যান চালাতে হচ্ছে। গতকাল যেমন এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি নেমে গিয়েছিল পারদ, তেমনই আজ তা ফের বেড়ে প্রায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার যে পাকাপাকি বিদায় নিচ্ছে শীত, তা প্রায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন আবহবিদরা। তবে শীতের এই বিদায় লগ্নে একধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এবার গোটা রাজ্যেই জমিয়ে পড়েছিল ঠাণ্ডা। বহু বছর পর এবার শীতের আমেজে মন ভরেছে কলকাতাবাসীরও (Weather Forecast)। এবার বিদায়ের পালা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে আপাতত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা চলতে থাকবে। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এবছরের মতো পাকাপাকিভাবে বিদায়ের পথ ধরে নেবে শীত।
শনিবার কলকাতায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৩৩ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Forecast)। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে অল্প বৃষ্টির সম্ভাবনা। যদিও রাজ্যের অন্যান্য এলাকা শুকনোই থাকবে। আগামী কয়েক দিন শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে রাজ্যজুড়ে। বিক্ষিপ্তভাবে কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। ভোররাতে এবং সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও পরে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। শনিবার এবং রবিবার আবারও বাড়বে তাপমাত্রা। সোম এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা ফের নিম্নমুখী হবে বাংলায়। মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ কিছুটা নীচে নামতে পারে পারদ।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে রাজস্থান পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে (Weather Forecast)। উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আবহাওয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। এই মুহূর্তে সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে উত্তর পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কাশ্মীর ভ্যালি, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায়। পঞ্জাব, চন্ডীগড় এবং হরিয়ানার কিছু অংশেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে। আসাম এবং মেঘালয়ে শনি ও রবিবার ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কয়লাপাচার দুর্নীতির সঙ্গে আরও জোরদারভাবে জড়িয়ে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পরিবারের নাম। কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে হরিশ মুখার্জি রোডেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই জিট্টি ভাইই ‘অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি’র হয়ে টাকা পার্কিংয়ের কাজ করতেন।
এই সম্পত্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাসভবন ‘শান্তিনিকেতন’ থেকে মাত্র আটটি প্লট দূরে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে সেই নথি। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেশ কয়েকবার তাঁকে দিল্লিতে ইডি দফতরের চক্করও কাটতে হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইডির ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের সেকন্ড ইন কম্যান্ড। একাধিকবার ইডি জেরার মুখে পড়েছেন অভিষেক-জায়া রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরও। এবার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নাম জড়াল পরিবারের আরও কিছু সদস্যের। মিলল যৌথ সম্পত্তির হদিশ।
২০৪, হরিশ মুখার্জি রোড, কলকাতা-৭০০০২৬, কালীঘাট থানার ভেতরে কলকাতা কর্পোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঠিকানায় ৩ কাঠা ৩ ছটাক ১৪ বর্গফুটের নির্মাণ সহ জমি। গ্রাউন্ড ফ্লোরের স্ট্রাকচার ১৭১০ বর্গফুট। প্রথম তলা ১৫০০ বর্গফুটের, দ্বিতীয় তলা ১৫০০ বর্গফুটের, তৃতীয় তলা ৫৬৬ বর্গফুটের এবং ৬৮৩ বর্গফুটের ছাদ। সম্পত্তিটি কোনও এক সেন পরিবারের ছিল। এই গোটা সম্পত্তি যৌথভাবে কেনেন দুজন। তাও জলের দরে। একজন ক্রেতা, মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টি ভাই। দ্বিতীয় জনের নাম কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের যৌথ সম্পত্তি হিসাবেই রয়েছে নথি। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। কাজরী, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী।
সৌজন্য – গণশক্তি
কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে চক্রবেড়িয়া লেনের বাসিন্দা, তৃণমূলের হিন্দি সেলের পদাধিকারী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইকে। বুধবার ইডির তরফে রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, এক অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা নয়ছয় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর এত বড় দুর্নীতির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, তাঁর সঙ্গেই যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ভাইয়ের স্ত্রীর। তাও আবার হরিশ মুখার্জি রোডেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
জানা গিয়েছে, সেন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তি মাত্র ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলেন জিট্টি ভাই ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছয় দফায় পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সম্পত্তির দলিলেই উল্লেখ রয়েছে সম্পত্তির সেই সময়ে বাজার মূল্য ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮১টাকা। সম্পত্তি কেনার সময় স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়েছে ৮লক্ষ ৩২হাজার টাকা। অথচ এত টাকার সম্পত্তি মাত্র ২৪ লক্ষ টাকায় দখলে নিয়েছিলেন জিট্টি ও কাজরী। এখন সেখানে একটি থ্রি স্টার হোটেল তৈরি হয়েছে।
মজার বিষয় হল, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ফেসবুক পেজ থেকেই ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর একটি লাইভ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি গুরুদ্বারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই জিট্টি ভাই। এরপরেও কি ‘আমরা চিনি না’ বলে পার পেয়ে যাবেন এই পিসি- ভাইপো?
তৃণমূলের ভোটের সময়ও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল এই জিট্টি ভাইকে। ভোটের খরচেরও অনেক দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। শুধু ৭৩ নম্বর অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ওয়ার্ডে এই জিট্টি ভাইয়ের তিনটি হোটেল রয়েছে, পাশের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে দুটি হোটেল। শরৎ বসু রোডে ‘জয় হিন্দ ধাবা’ তাঁর প্রথম হোটেল। ভিনরাজ্যেও একাধিক সম্পত্তি মিলেছে জিট্টি ভাইয়ের। ৩নম্বর রানি শঙ্করী লেনে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানাতেও রয়েছে তাঁর হোটেল। ভারতী সিনেমা হলের পাশে ‘জয় হিন্দ ব্যাঙ্কোয়েট হল’ও জিট্টি ভাইয়ের।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইডি খবর পেয়েছিল শরৎ বোস রোডে চক্রবেড়িয়ায় ‘সালাসার গেস্ট হাউস’ নামে একটি সম্পত্তি কিনেছেন মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টি ভাই। বুধবারই সেই সম্পত্তির রেজিস্ট্রি হয় আলিপুরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে। ঐ গেস্ট হাউসের বাজার দর এখন ১২কোটি টাকা। ৯ কোটি টাকা নগদ দিয়ে সেই সম্পত্তি কেনা হয়। যদিও খাতায়-কলমে দলিলে সম্পত্তির মূল্য মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখানো হয়। আর সেই নগদ টাকা লেনদেনের খবর মিলতেই ইডি হানা দিয়েছিল ৫এ, আর্ল স্ট্রিট ঠিকানায় গজরাজ গ্রুপ সংস্থার অফিসে যেখান থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ২ মাস পরে প্রকাশিত হল বহ প্রতীক্ষিত প্রাথমিক টেটের ফল (TET Result)। এই বছর টেটে উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য। এর মাঝেই এল খুশির খবর। এক থেকে দশম স্থানের মধ্যে রয়েছেন ১৭৭ পরীক্ষার্থী।
কারা কত নম্বর পেলেন?
প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিং (TET Result)। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৩৩। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চার জন। তাঁরা হলেন হুগলির মৌনিশা কুণ্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী ও দীপিকা রায় এবং পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার। প্রাপ্ত নম্বর ১৩২। পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ জন। তৃতীয় স্থানেও রয়েছেন ৪ জন। তাঁরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনার মেহদি হাসান, পূর্ব মেদিনীপুরের বিকাশ ভক্ত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মনামী অধিকারী এবং বাঁকুড়ার প্রহ্লাদ মণ্ডল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ১৩১।
উল্লেখ্য গত বছরের ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (TET Result)। এই বছর নাম নথিভুক্ত করান মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে পরীক্ষা দেন ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। পরীক্ষা নেওয়ার ২ মাস পর প্রাকাশিত হয়েছে ফল। পাশ করেছেন মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ৭৭ জন পুরুষ এবং ৬৯ হাজার ৪০৮ জন মহিলা।
পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজাল্ট দেখতে পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বেলা ৩টে থেকে ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে রেজাল্ট (TET Result)। ওএমআর বারকোড নম্বর-সহ ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “নিজের কপির সঙ্গে তুলনা করে দেখুন কোনও অসঙ্গতি আছে কি না।” পরীক্ষার্থীদের নিজেদের নম্বর নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকলে তাঁরা পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি ও ভেরিফিকেশনেরও সুযোগ পাবেন। দু’টি ওয়েবসাইটে জানা যাচ্ছে রেজাল্ট। ওয়েবসাইটে ওএমআর শিটও দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নে ‘টেকনিক্যাল গ্লিচ’ বা প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি থাকলে সকলে ৪ নম্বর করে পাবেন। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও জন্মের তারিখ দিয়ে ওয়েবসাইটেই দেখতে হবে রেজাল্ট। একইসঙ্গে এদিনও পর্ষদ সভাপতি ঘোষণা করেন, এই বছরও হবে টেট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (IND vs AUS 1st Test) নাগপুরের চ্যালেঞ্জিং পিচে শতরান করলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মূলত তাঁর ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিড পেতে চলেছে ভারত। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষে শুধু রোহিত নন প্রথম দিনের নায়ক রবীন্দ্র জাদেজাও উঠে এসেছেন শিরোনামে। বৃহস্পতিবার বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন জাদেজা। দ্বিতীয় দিনে জাদেজা অপরাজিত ৬৬ রানে। দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ৩২১। প্রথম ইনিংসে এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১৪৪ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত।
রোহিতের রেকর্ড
প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে শতরান করলেন রোহিত। টেস্ট কেরিয়ারের এটি রোহিতের নবম শতরান। তবে অধিনায়ক হিসাবেই এটিই তাঁর প্রথম টেস্ট শতরান। রোহিতই প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক যিনি টেস্ট, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে, তিন ফর্ম্যাটেই ভারতের হয়ে শতরান করলেন। চলতি টেস্টে দুরন্ত বোলিং করা টড মার্ফির বিরুদ্ধে চার মেরেই শতরানের গণ্ডি পার করেন রোহিত। ১২০ রান করে আউট হওয়ার আগেই এদিন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পাশে বসে পড়েন তিনি। ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি গড়ের ক্ষেত্রে ব্র্যাডম্যানের পরেই রয়েছেন রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলারই এদিন তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। যে ভাবে স্পিনারদের খেলেছেন,সে ভাবেই জোরে বোলারদের সামলেছেন।
রোহিত শতরান করলেও, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলিরা কিন্তু এদিন বড় রান করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন। পূজারা সাত ও কোহলি মাত্র ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। নাইট ওয়াচ ম্যান হিসাবে মাঠে নামা অশ্বিনও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। এই ম্যাচেই টেস্ট অভিষেক ঘটানো সূর্যকুমার যাদবও ব্যার্থ। তাঁর রান আট।