Blog

  • Prime Minister: ‘ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না কেউ কেউ’, বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    Prime Minister: ‘ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না কেউ কেউ’, বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ কেউ ভারতের (India) অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না। বুধবার এই ভাষায়ই বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন বাজেটের জবাবী ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ কেউ ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না। শেষ ন বছর ধরে সারা দেশে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ চালু হয়েছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে এটিই তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ তৈরির দেশ। সেই উন্নতি কেউ কেউ সহ্য করতে পারছে না। ইউপিএ জমানায় যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুর্নীতি দেখে ভারত। সেই সময় ভারতে সব চেয়ে বেশি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। সেই দশ বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত নিজের অবস্থান নষ্ট করেছে। 

    মোদি উবাচ…

    বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা যে ভাল, এদিন সে প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন মোদি (Prime Minister)। বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখেছে। কোনও কোনও দেশে মুদ্রাস্ফীতি তীব্র আকার ধারণ করেছে, কোথাও কোথাও বেকারত্বের করাল থাবা এসে গ্রাস করেছে। তার মধ্যে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশও। এই কঠিন সময়েও ভারত পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উপস্থিত হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    আদানি বিতর্ককে হাতিয়ার করে মঙ্গলবার লোকসভায় ঝড় তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সে প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল দেখেছিলাম, একজনের ভাষণের সময় বেশ কয়েকজন তো আনন্দের সঙ্গে বলেছিলেন যে এটাই হতে হত। ওঁরা হয়তো ভালভাবে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে পারেননি। তিনি বলেন, দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যে ঘটনার জন্য গর্বিত, তাতে কয়েকজন মানুষ দুঃখিত। এই ধরনের মানুষদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত। 

    প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) বলেন, নৈরাশ্যে ডুবে থাকা কিছু লোক দেশের উন্নতি মেনে নিতে পারছেন না। দেশের মানুষের উন্নতি তাঁদের নজরে আসছে না। এই নৈরাশ্য এমনি এমনি আসেনি। বারবার জনতার কাছে ধাক্কা খেয়ে এই অবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Manik Bhattacharya: মিলল না জামিন, মানিকের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Manik Bhattacharya: মিলল না জামিন, মানিকের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আবেদন খারিজ। আরও ৩৫ দিন জেলে থাকার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন তিনি তাঁর জামিনের জন্য ফের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও কিছুই কাজে দিল না। শেষপর্যন্ত আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৪ মার্চের পরেই মানিক মামলার আবার শুনানি হবে আদালতে।

    জেলে বন্দি থাকায় আপত্তি মানিকের

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য জেলবন্দি। ফলে তাঁকে জেলে আটকে রাখা নিয়ে আজ আদালতে আপত্তি করেছেন তিনি। তিনি গতকালও বলেছিলেন, “আমি আর কত জ্বলব? আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ আনা হচ্ছে যার প্রমাণ আমি বাড়িতে থাকলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো বন্দি!” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ইডির আইনজীবী গতকাল সওয়াল করেননি। তবে আজ, বুধবার বেলা ১১টার সময়ে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ ইডি আদালতে ফিরোজ এডুলজি মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন। বুধবারও ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিকের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁর হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। তবে তা শোনেনি আদালত।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    ইডির বিস্ফোরক দাবি

    অন্যদিকে আজ ইডির আইনজীবী আদালতে কুন্তল ও মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র ব্যবহার করে বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ পাঠানো হত দুর্নীতির জন্য। এর সঙ্গে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষও যুক্ত ছিলেন। তবে, এসব সমস্ত কিছুই মানিকের নজরদারিতেই হত। ফলে এই সব দাবি করে ইডির আইনজীবী মানিকের জামিনের বিরোধিতা করেন। আর আদালতও আজ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মানিকের আবেদন খারিজ করে দেয় ও আর ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nagpur: নাগপুরে ঘূর্ণি উইকেটই চান দ্রাবিড়! কাল থেকেই শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট

    Nagpur: নাগপুরে ঘূর্ণি উইকেটই চান দ্রাবিড়! কাল থেকেই শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচের প্রথম থেকেই যাতে ঘূর্ণি উইকেটের সামনে ফেলা যায় অস্ট্রেলিয়াকে নাগপুরের কিউরেটরকে এরকমই নির্দেশ দিলেন টিম ইন্ডিয়ার কোচ রাহুল দ্রাবিড়।

    ঘূর্ণি উইকেট চাই

    প্রথমে নাগপুরের পিচ দেখে রীতিমতো রেগে যান দ্রাবিড়। কিউরেটর অভিজিৎ পিপ্রোদের সঙ্গে জোর ঝামেলাও হয় তাঁর। রাহুল দ্রাবিড় বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে স্পিনার সুবিধার জন্য স্পিনিং ট্র্যাক চেয়েছিলেন। কিন্তু দ্রাবিড় নাকি তাঁর দাবি অনুযায়ী, পিচ পাননি এবং সেই কারণেই ভারতীয় কোচ চটে যান।  দ্রাবিড় ভালো করেই জানেন যে, স্পিন বোলিং ভারতের শক্তি, অন্য দিকে এটি অস্ট্রেলিয়ার বড় দুর্বলতা। যদি উইকেটে টার্ন বেশি হয়, তবে এটি ভারতের বোলারদের অনেক সাহায্য করবে এবং বোলাররা অস্ট্রেলিয়ান দলকে চাপে রাখতে পারবে। এতে ভারতের জয়ের সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হচ্ছে না এশিয়া কাপ, কোথায় হবে জানেন?

    প্রথমে মনে করা হয়েছিল এমন উইকেট তৈরি হবে যা দুদিন পর থেকে ঘোরা শুরু করবে। কিন্তু এবার তিনজন স্পিনার (অশ্বিন, কুলদীপ, অক্ষর/ রবীন্দ্র জাদেজা) প্রথম থেকেই আক্রমণ করবেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা নিশ্চিত করবে ভারত। তাই হোম অ্যাডভান্টেজ হাতছাড়া করতে রাজি নয় রাহুল।

    রান চান কোহলি

    এই ম্যাচেই টেস্টে রানে ফিরতে মরিয়া বিরাট কোহলি। আসন্ন বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ নিয়ে আশাবাদী তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেট বরাবরই সফল কোহলি। এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০টি টেস্ট খেলে করেছেন ১৬৮২ রান। সাতটি শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। আসন্ন সিরিজে দলের জন্য প্রত্যাশিত ছন্দে খেলতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী কোহলি সমাজমাধ্যমে অনুশীলনের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ শুরু হবে কাল থেকে। সে দিকেই দৌড়চ্ছি। এই সিরিজ সব সময়ই খুব উত্তেজক হয়।’’


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়া থেকে অনায়াসে পৌঁছনো যাবে হাওড়া, জানুন নয়া রুট সম্পর্কে

    Bankura: বাঁকুড়া থেকে অনায়াসে পৌঁছনো যাবে হাওড়া, জানুন নয়া রুট সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি বাঁকুড়া (Bankura) থেকে হাওড়া (Howrah) জুড়তে চলেছে রেলপথে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বাঁকুড়ার বাসিন্দারা সরাসরি ট্রেনে চেপে আসতে পারবেন হাওড়ায়। এই খবরে খুশি বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব রেল এই পরিষেবা চালু করুক। তাহলে কেবল সাধারণ মানুষই নয়, উপকৃত হবেন দুই জেলার কৃষকরাও।

    মসাগ্রাম…

    প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন। তার পরেই ন্যারো গেজের এই রেলপথটিকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ শুরু করে পূর্ব রেল। ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় সেই কাজ। বাঁকুড়া (Bankura) থেকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মসাগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হয়। মসাগ্রামকে জংশন স্টেশনে পরিণত করা হয়। নয়া এই রেলপথের উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালে। এর পর শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত ১১৮ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল পথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ। ২০২১ সালের প্রথম দিকে সেই কাজ শেষ হয়। এবার এই রেলপথ দিয়েই যাত্রিবাহী ট্রেন যাবে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    সূত্রের খবর, পুরো কাজটি করবে পূর্ব রেল। ১০ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, লাইন সংযুক্তিকরণ কাজের জন্য খরচ হবে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা দেশের মানুষের বিকাশের কথা ভাবে। তাই বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির কথা ভেবে কেন্দ্রের রেল দফতরও বাঁকুড়া ও বর্ধমান দুই জেলার মানুষের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যেমন বাংলার রেলপথ দিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটছে, তেমনই আর কয়েক মাস পর জঙ্গলমহল বলে পরিচিত এলাকার মানুষজন এক ট্রেনে চেপেই বাঁকুড়া থেকে সোজা পৌঁছে যাবেন হাওড়া। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ তৃণমূলের (TMC) সুনীল মণ্ডল বলেন, বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে চাষের সবজি নিয়ে চাষিরা হাওড়া ও কলকাতার বাজারে বিক্রি করতে যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের অধিবেশনে নাম না করে কটাক্ষ করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

    সুকান্ত যা বললেন

    লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী জেলে, উপাচার্য জেলে, আরও অনেককে যেতে হবে।” সুকান্তর দাবি,”তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি করলে শাস্তি হবেই।” লোকসভায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার থেকেই সংসদে মহুয়া মৈত্রর  অসংসদীয় মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সংসদ। মহুয়া ক্ষমা চান, চাইছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও।

    উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

    সুকান্তর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, “আজ রাজ্যপালের উপরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল। কেন বিরোধিতা করা হবে না?” সুকান্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের হলেও তাঁর আচার্য রাজ্যপাল। অথচ, তাঁকে না জানিয়েই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অধ্যাপক ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে, তবেই তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেন। পাশাপাশি, উপাচার্য হতে হলে তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ, সুকান্তর অভিযোগ, কলেজের প্রিন্সিপালকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম নীতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi Jacket: প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি জ্যাকেট পরে সংসদে হাজির প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi Jacket: প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি জ্যাকেট পরে সংসদে হাজির প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোশাক নিয়ে সবসময়ই চর্চা করতে দেখা যায় দেশবাসীদের। তাঁর কোনও কোনও পোশাক তাক লাগিয়ে দেয় বিশ্ববাসীর। আজও ফের পোশাকের জন্য নজর কাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে আকাশি নীল রংয়ের জ্যাকেট পরে দেখা গেল তাঁকে। তবে জানেন কি এই জ্যাকেট সাধারণ কোনও জ্যাকেট নয়! কারণ এই জ্যাকেট কাপড়ের নয়, প্লাস্টিক বোতলের তৈরি। প্রধানমন্ত্রীর এই জ্যাকেটের বিশেষত্বই হল, সেটি কাপড়ের তৈরি নয়, বরং ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতলের রিসাইকেল ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর এই নিয়েই এখন হইহই পড়ে গিয়েছে দেশে।

    মোদির পরনে প্লাস্টিকের বোতলের জ্যাকেট

    গত সোমবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ইন্ডিয়ান অয়েল-এর তরফে তাঁকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা একটি জ্যাকেট উপহার দেওয়া হয়। আর আজ, বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁর পরনে দেখা যায় এক বিশেষ ধরণের জ্যাকেট। পরিবেশ রক্ষার লড়াই করতে হবে সকলকে। এই বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদি আগেই দিয়েছিলেন। আর এবার তিনি আবার সেই বার্তাই দিলেন, তবে অন্যভাবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    ‘আনবটলড ইনিশিয়েটিভ’

    ইন্ডিয়া অয়েল কর্পোরেশন তাদের পেট্রোল পাম্প এবং এলপিজি এজেন্সি-র কর্মীদের জন্য এই পোশাক তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। প্লাস্টিক বোতল রিসাইকেল করে পোশাক তৈরির এই উদ্যোগকে বলা হচ্ছে, ‘আনবটলড ইনিশিয়েটিভ’। ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি প্রেস রিলিজ অনুসারে, তেল কোম্পানির ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য ইউনিফর্ম প্রস্তুত করতে ২০ মিলিয়ন বাতিল পিইটি বোতল পুনর্ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ ইন্ডিয়ান অয়েল ফুয়েল স্টেশন অ্যাটেনডেন্ট এবং ইন্ডেন এলপিজি গ্যাস ডেলিভারি কর্মীদের জন্য ইউনিফর্ম ডিজাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

    এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একটি ইউনিফর্ম তৈরি করতে মোট ২৮টি প্লাস্টিকের বোতল রিসাইকেল করা হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন প্লাস্টিক বোতল রিসাইকেল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েলের এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সবুজের বৃদ্ধি এবং শক্তি পরিবর্তনে দেশের এই প্রচেষ্টা আমাদের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। আমাদের মূল্যবোধেই রয়েছে, রিডিউস, রিইউস এবং রিসাইকেল-এর মন্ত্র।”

    প্রসঙ্গত, পরিবেশ রক্ষার জন্যে ভারতে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন’ চালু করা হয়েছে। বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯,৭০০ কোটি টাকা। যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে কার্বন নিঃসরণে লাগাম টানবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earth Quake) বিপর্যস্ত তুরস্ক (Turkey)। বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত (India)। সোমের পর মঙ্গলবারও ওষুধপত্র এবং ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের উদ্ধারকারী দল। প্রবল ঠান্ডায় কার্যত প্রাণ বাজি রেখে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাদের সাহায্য করতেই ভারত থেকেও গিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এই দলের সঙ্গেই গিয়েছে ডগ স্কোয়াডের (Dog Squad) চারটি সারমেয়। এরা হল জুলি, রোমিও, হানি এবং র‌্যাম্বো। শেষতক পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তুরস্কে গিয়ে উদ্ধারকাজে ‘হাত’ও লাগিয়েছে এই চার সারমেয়।

    বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর…

    তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্যও। ল্যাব্রেডর প্রজাতির এই চারটি কুকুর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। গন্ধ শুঁকে জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশের হদিশ দিতে পারে এরা। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওই কুকুরগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। এই দুই দলে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমান্ডান্ট গুরুমিন্দর সিং। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক্স এবং চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার ‘বিস্ময় শিশু’

    মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্য করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ সালে জাপানে তিনবার এবং ২০১৫ সালে নেপালে একবার প্রবল ভূমিকম্প হয়। তখনও ভারতের তরফে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তুরস্কে যাওয়ার আগে প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে কীভাবে কাজ করতে হয়, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গঠিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করতে তারা প্রথম যায় জাপানে, ২০১১ সালে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে। ২০১৪ সালে ভুটানে রিভার রেসকিউ অপারেশনেও যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

    প্রসঙ্গত, সোমবার কাকভোরে আচমকাই কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। প্রথমবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৮। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অসংখ্য বহুতল। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘দুর্নীতি খুনের সমান’, মানিকের জামিনের বিরোধীতায় ইডি টানল ‘ম্যাকবেথ’- এর তুলনা

    Recruitment Scam: ‘দুর্নীতি খুনের সমান’, মানিকের জামিনের বিরোধীতায় ইডি টানল ‘ম্যাকবেথ’- এর তুলনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধিতায় শেক্সপিয়রের (Recruitment Scam) ম্যাকবেথ নাটকের তুলনা টানল ইডি। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য ও কুন্তল ঘোষের অপরাধ খুনের সমান। এই সময়ই ম্যাকবেথের নাটকের একটা বিষয়ের উত্থাপন করেন। ইডি-র আইনজীবী বলেন, একটা সময়ে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ছিল সেরা। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে দুর্নীতি যেভাবে ঘিরে ধরেছে, এখানকার পড়ুয়ারা ভীত। তাঁরা বাইরে পড়াশোনার জন্য চলে যাচ্ছে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কুন্তল-মানিকের ষড়যন্ত্র খুনের সমতুল্য বলে সওয়াল করে, মানিকের জামিনের বিরোধীতা করেন ইডির আইনজীবী। 

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা (Recruitment Scam) হয়েছিল। তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ইডির আইনজীবী গতকাল সওয়াল করেননি। বুধবার বেলা ১১টার সময়ে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ ইডি আদালতে ফিরোজ এডুলজি মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন।

    মঙ্গলবার আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের দেখে মেজাজ হারান মানিক। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই নিয়োগ মামলার শুনানিতে মানিকের লন্ডনে বাড়ি আছে বলে দাবি করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেদিন সিবিআই-কেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘কত বার লন্ডনে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য? তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন? আমি বলতে পারি। শুনবেন? লন্ডনে তাঁর বাড়ির পাশে কার বাড়ি জানেন?” সেই প্রসঙ্গের প্রেক্ষিতে মানিকের আইনজীবী মঙ্গলবার বলেন, “আমার মক্কেলের নদিয়ায় বাড়ি আছে। ওটা যদি লন্ডন টেকওভার করে, তবে তাঁর লন্ডনে বাড়ি আছে।”

    পার্থ মানিক দ্বৈরথ 

    এদিকে, এদিন আদালতে ভট্টাচার্যর জামিনের বিরোধিতায় বিস্ফোরক দাবি করে ইডি (Recruitment Scam)। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, বেসরকারি বিএড কলেজ, ডিএলএড কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে অনুমোদন ও এনওসি পাইয়ে দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কটা ছিল ৬-৮ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ২-৫ লক্ষ টাকা নিতেন।

    আরও পড়ুন: প্রেম থেকে পরিণয়, রাজস্থানে শাহি আয়োজনে বিয়ে সারলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা

    ইডি-র দাবি, পার্থর কোনও চেনা লোকের হাতে তুলে দেওয়া হত তাঁর টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া (Recruitment Scam) একটি সিডি-র একটিমাত্র ফোল্ডারে প্রায় ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম মিলেছে। এদের মধ্যে আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরি পেয়েছেন। অথচ জেরায় মানিক দাবি করেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না। 

    ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, বাতিল ও ফেল করা চাকরিপ্রার্থীদের পাশ করাতে ১ লক্ষ ও নিয়োগ পাইয়ে দিতে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন মানিক। এই সমস্ত অভিযোগ জানিয়েই আজ আদালতে মানিকের জামিনের বিরোধিতা করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BJP: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের ভাষণে দুর্নীতিকে আড়াল করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তার আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পদ্ম-বিধায়করা। বুধবার বিধানসভায় শুরু হয় বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিন বছর পর এবার সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল রাজ্যপালের ভাষণ।

    রাজ্যপাল…

    রাজ্যপালের বক্তৃতায় দুর্নীতিকে আড়াল করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর, চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। তার আগে রাজ্যপালের সামনেই কাগজ ছুড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে ছিঁড়ে ফেলা হয় রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপিও। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও থামেননি রাজ্যপাল। পুরো বক্তব্যই পেশ করেন তিনি। এক সময় তুমুল বিক্ষোভ ও স্লোগান দেওয়ার জেরে বক্তব্য শোনা না গেলেও, থামেননি রাজ্যপাল। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও বিজেপি (BJP) বিধায়করা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।  

    আরও পড়ুুন: ‘দোষী হলে টাকাও যাবে, জেলও হবে’, গ্রুপ-ডির ‘ভুয়ো’ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু

    এদিন প্রথা মেনে প্রথমে শোক প্রস্তাব পেশ করা হয়। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে কেন, সরকার পক্ষের কাছে সে ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপাল বক্তব্য পেশ করতে শুরু করতেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁরা বলতে থাকেন, চাকরি চোর সরকার, আর নেই দরকার। রাজ্যপাল ন নম্বর অনুচ্ছেদ পড়তেই স্লোগান দেওয়ার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, ওই অনুচ্ছেদে লেখা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে শান্তির আবহ বজায় রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, রাজ্যের পর্বত সমান দুর্নীতিকে আড়াল করে রাজ্যের গুণগান গাইছেন রাজ্যপাল। এর পরেই রাজ্যপালের মিথ্যা ভাষণ মানছি না, মানব না, স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। বলতে থাকেন, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর। এসব বলতে বলতেই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Border Gavaskar: বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নজির গড়তে পারেন কোহলি-পুজারা, ভেঙে যেতে পারে সচিন- দ্রাবিড়-কুম্বলেদের রেকর্ড

    Border Gavaskar: বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নজির গড়তে পারেন কোহলি-পুজারা, ভেঙে যেতে পারে সচিন- দ্রাবিড়-কুম্বলেদের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বর্ডার গাভাসকর টেস্ট সিরিজ। ৪ ম্যাচের এই সিরিজ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই সিরিজের মাধ্যমেই গড়তে পারে একের পর এক রেকর্ড। ৪ ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজে মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের দুই তারকা রয়েছেন তাঁরা হলেন ব্যাটার বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পুজারা। তাঁদেরই এই ম্যাচে বেশি সংখ্যক রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও রেকর্ড গড়ার তালিকায় পিছিয়ে নেই। এই তালিকায় রয়েছেন স্টিভ স্মিথ ও লিয়নের মত ক্রিকেটাররা।

    বিরাটের নজির গড়ার সুযোগ

    আন্তর্জাতিক স্তরে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ২৫ হাজার রান পূর্ণ করার এক রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে এই ম্যাচে। তার জন্য বিরাটের দরকার মাত্র ৬৪ রান।

    আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তার জন্য দরকার ১৫৩ রান। তা হলে দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে চার হাজার রান পূর্ণ হবে বিরাটের। এখনও পর্যন্ত ভারতে ৪৬টি টেস্ট খেলে কোহলির সংগ্রহ ৩৮৪৭ রান।

    বর্ডার গাভাসকার সিরিজে কোহলি সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এখনও পর্যন্ত ৩৬টি ইনিংসে ১৬৮২ রান করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও নিজের অবস্থান উন্নত করার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে সবথেকে বেশি রান স্কোরারের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (৩২৬২)।  বাকি পাঁচ জন ব্যাটার হলেন রিকি পন্টিং (২৫৫৫), ভিভিএস লক্ষ্ণণ (২৪৩৪), রাহুল দ্রাবিড় (২১৪৩), মাইকেল ক্লার্ক (২০৪৯) এবং চেতেশ্বর পুজারা (১৮৯৩)। ফলে বর্ডার গাভাসকর সিরিজে ২০০০ রানের ক্লাবে প্রবেশের খুব কাছে রয়েছেন বিরাট কোহলি। কোহলি করেছেন ১৬৮২ রান।

    নজির গড়তে পারেন পুজারাও

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে টেস্টে দু’হাজার রান পূর্ণ করার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে। এখনও পর্যন্ত ২০টি ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৮৯৩ রান।

    আরও পড়ুন: নাগপুরে ঘূর্ণি উইকেটই চান দ্রাবিড়! কাল থেকেই শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট

    অন্যান্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের রেকর্ড গড়ার সুযোগ

    নজির গড়তে পারেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। একটি উইকেট পেলেই তিনি হবেন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দ্রুততম ৪৫০টি টেস্ট উইকেটের মালিক। বর্ডার গাভাসকার সিরিজে অনিল কুম্বলের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও ভাঙতে পারেন অশ্বিন। এই সিরিজে কুম্বলের উইকেট সংখ্যা ১১১টি। অশ্বিনের এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ ৮৯টি উইকেট।

    মাইল ফলক ছুঁতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজাও। এখনও পর্যন্ত ৬০টি টেস্টে জাডেজা পেয়েছেন ২৪২টি উইকেট। টেস্টে ২৫০ উইকেটে মাইল ফলক স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের সামনে।

    রেকর্ড গড়ার সামনে রয়েছেন বাংলার জোরে বোলার মহম্মদ শামিও। মাত্র একটি উইকেট পেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট হবে শামির।

    অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ক্রিকেটারও গড়তে পারেন নজির

    রেকর্ড গড়ার প্রথমেই রয়েছেন স্টিভ স্মিথ। তাঁর দরকার ৩৫৩ রান। তা হলেই টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ন’হাজার রান পূর্ণ করার রেকর্ড গড়বেন তিনি।

    বর্ডার গাভাসকার সিরিজে সব থেকে বেশি শতরানের মালিক হওয়ারও সুযোগ রয়েছে স্মিথের সামনে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক দু’দেশের টেস্টে করেছেন আটটি শতরান। তাঁর সামনে শুধু সচিনের ন’টি শতরান।

    রেকর্ড গড়তে পারেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়নও। আর ছ’টি উইকেট পেলেই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করবেন লিয়ন। অশ্বিনের মত বর্ডার গাভাসকার সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনেও। বরং অশ্বিনের থেকেও সুবিধাজনক জায়গায় আছেন অসি স্পিনার। কুম্বলকে ছাড়িয়ে যেতে তাঁর দরকার মাত্র ১৮টি উইকেট।

LinkedIn
Share