Blog

  • Mohan Bhagwat: “জাতিপ্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি”, দাবি আরএসএস প্রধানের

    Mohan Bhagwat: “জাতিপ্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি”, দাবি আরএসএস প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাস্ত্রে উঁচুনিচু জাত বলে কিছু হয় না। ঈশ্বরের সামনে সব মানুষই সমান। এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “জাতিভেদ প্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি।”

    কী বললেন মোহন ভগবত? 

    এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শাস্ত্র নিয়ে যারা ব্যবসা করেন, তাদের একহাত নেন মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ঈশ্বরের কাছে সকলেই সমান। সেখানে জাতি কিংবা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ নেই। শাস্ত্রের নামে অনেক পণ্ডিত যা বলেন, তা আসলে মিথ্যা। জাতির মধ্যে উঁচু নিচু ভেদাভেদ করার কথা শাস্ত্রে বলা হয়নি, তা আসলে পুরোহিত শ্রেণির তৈরি করা।”

    আরও পড়ুন: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    সন্ত শিরোমণি রোহিদাস-এর ৬৪৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুম্বইয়ের রবীন্দ্র নাট্য মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় এই উদারনীতির কথা। এর আগে সাধারণত আরএসএসের নেতাদের মুখে কট্টরনীতির কথাই শোনা গিয়েছে বার বার। কিন্তু এবারের আরএসএস প্রধানেফ মুখে শোনা গেল অন্যরকম সুর। জাতপাতের ভেদাভেদকে সরিয়ে রেখে মানবতার কথা বললেন সংঘ প্রধান। তুলসীদাস, কবীর, সুরদাসের মতো ধর্মপ্রচারকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই মনিষীদের মতোই সাধারণ মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিলেন সন্ত শিরোমণি রোহিদাস। শুনিয়েছিলেন সত্য, সংবেদন, পবিত্রতা এবং নিরন্তর কঠোর পরিশ্রমের মন্ত্র। শাস্ত্রের বিচারে ব্রাহ্মণদের হারানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঈশ্বরের অভিমুখী করে তুলতে পেরেছিলেন তিনি।”

    এরপরেই পুরোহিতদের (Mohan Bhagwat) একাংশকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমরা যে যাই কাজ করি না কেন, সবকিছুই সমাজের উপকার করে। আর সেই বিচারে কোনও কাজের ছোট বড় হয় না। তাহলে মানুষের মধ্যেই বা বৈষম্য থাকবে কেন?

    যদিও শাস্ত্রব্যবসায়ীদের বিঁধলেও হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তাঁর মত, “কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের ধর্ম ত্যাগ করা উচিত নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     
  • Turkey: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল! তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    Turkey: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল! তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরেই যখন একের পর এক আফটারশকে কাঁপছে তুরস্কর বিস্তীর্ণ এলাকা, তখনই জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা দলকে সেখানে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম বার কেঁপে ওঠে তুরস্ক। তার জেরে ধসে পড়ে আরও কিছু বহুতল, বাড়ি, হাসপাতাল। তার জেরে আরও হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হন। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল। আহত প্রায় ২০ হাজার। যে ক’টা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে আর তিলধারণের জায়গা নেই।

    কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী

    মঙ্গলবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে দলীয় বৈঠকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তুরস্ক ও সিরিয়ার এই ভূমিকম্প ২০০১ সালের গুজরাটের ভুজের ভূমিকম্পের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বলে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের মাঝেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, ত্রাণ, খাবার, ওষুধ সহ ভারতের এনডিআরএফ-এর বিশেষ দলকে পাঠানো হয়েছে সেখানে। ভূমিকম্পের পরে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। প্রচুর মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজে সহয়তার কাজও এই দলটি করবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার C-17 বিমান করে এনডিআরএফ এই দলটিকে পাঠানো হয়েছে। দলে পুরুষ এবং মহিলা উভয় কর্মীদের রাখা হয়েছে। তুরস্কে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই দলটি কাজ করবে। 

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    সোমবার ৭.৮ রিখটারের ভূমিকম্পে (Earthquake) বিধ্বস্ত  হয়েছে তুরস্ক (Turkey)। চাপ বাড়াচ্ছে তুরস্কের চরম ঠান্ডা। উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে। এই পরিস্থিতিতে রাতে উদ্ধারকাজ চালানো এক প্রকার অসম্ভব। বিপাকে ঘরছাড়ারা। ঘর হারিয়ে চরম ঠান্ডায় সারা রাত খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। তুরস্কের তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষিত হয়েছে।

    তুরস্কের দিল্লির দূতাবাসে অর্ধনমিত থাকে সেদেশের জাতীয় পতাকা। ভূমিকম্পের জেরে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। যুদ্ধের কারণে এমনিতেই সেখানে উদ্বাস্তু শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    SSC Scam: গোপাল হন আরমান! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ভাঁড়িয়ে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ হন গোপাল দলপতি। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই এই পরিচয় নেন তিনি। ইডির জেরায় গোপাল জানিয়েছে, আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম বদলে তিনি নথিপত্র বানিয়েছিলেন। সেবি যখন সব বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি নাম বদলাতে বাধ্য হয়েছিলাম। দাবি গোপালের। 

    আদালতে গিয়ে নাম বদল

    ইডি সূত্রে খবর,  ‘আরমান’ নামেই গোপাল তৈরি করেন যাবতীয় পরিচয়পত্র। সেই আধার কার্ড, প‌্যান কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) হাতে। ইডি জানিয়েছে, হুগলির (Hooghly) ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল গোপাল দলপতির নামও। কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি গোপালকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছেন। যদিও গোপাল ইডির কাছে তা অস্বীকার করেন। জেরার সময় ইডি আধিকারিকরা তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেখান থেকেই তাঁর আরমান পরিচয় সামনে আসে। সেবি (SEBI)তাঁর যাবতীয় অ‌্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে  আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ‌্যায়’ নাম নেন। 

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নাম ভাঁড়িয়ে কালো টাকা সাদা!

    ইডি আধিকারিকদের মতে, নাম ভাঁড়িয়ে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে সাহায‌্য করেন তিনি। গোপাল দলপতি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে চিনতাম। কোনও টাকা আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিইনি। কুন্তল প্রসঙ্গে বলেন, আমার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল। যখন অভাব পড়েছে কখনও ৭০ হাজার, কখনও ৩০ হাজার কখনও ১ লাখ টাকা দিয়েছে। অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল…হাত খরচার জন্য…সেই সময় তাপসদার কাজ দেখভাল করতাম। বলত প্রেসার দাও, ফান্ড যাতে তাড়াতাড়ি দেয়, সেকারণেই হয়তো টাকা দিত।” ইডির কাছে গোপালের দাবি, তাঁর সামনেই ৯৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আবার কুন্তলও তাঁকে টাকা দেওয়ার জন‌্য চাপ দিতেন। গোপাল বলেন, “আমি কুন্তলের কাছে কয়েকবার বলতে শুনেছি কাকু কাকু। কাকুর কাছে পেমেন্ট দিতে হবে। কাকু কে জানতাম না। কালীঘাটের কাকুর কাছে যেতে হবে বলত। কাকু আদৌ কে, তা জানি না।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Harvard Law Review: ১৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম! হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত অপ্সরা

    Harvard Law Review: ১৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম! হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত অপ্সরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের (Harvard Law Review) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রী অপ্সরা আইয়ার। আর ভাঙলেন ১৩৬ বছরের রেকর্ড। তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহিলা, যিনি এত বড় পদে বসলেন। দ্য হার্ভার্ড ক্রিমসন (The Harvard Crimson) সোমবার একটি রিপোর্টে বলেছে, অপ্সরা আইয়ার হার্ভার্ড ল রিভিউয়ের ১৩৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে পুরনো আইনি স্কলারশিপ প্রকাশনা।

    অপ্সরার কৃতিত্ব

    অপ্সরার এই কৃতিত্বে ফের একবার ভারতের মুখ বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল হল। হার্ভার্ড ল রিভিউ-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে অপ্সরা বলেন, “ল রিভিউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর লক্ষ্য হল, প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাছাই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি করে সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্ত করানো এবং উচ্চ-মানের কাজের যে খ্যাতি রয়েছে প্রকাশনার, সেই সুনাম বজায় রাখা।” অপ্সরা আগামী দিনের দিকে তাকিয়ে সঙ্কল্প নিয়েছেন এবং বলেছেন, প্রকাশ সংস্থা যাতে তার সুনাম বজায় রাখতে পারে এবং সবকিছু সুষ্ঠুভাবে চলে, তা সুনিশ্চিত করার জন্য মনোনিবেশ করতে চান।

    হার্ভার্ড ল রিভিউ

    হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংক্রান্ত এক প্রকাশনা সংস্থা হার্ভার্ড ল রিভিউ। ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রকাশনায় মূলত ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবেদন বা গবেষণা প্রকাশিত হয়। তাঁরাই চালান প্রকাশনাটি। আর এই ল রিভিউ-এর শীর্ষেই এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা। উল্লেখ্য, হার্ভার্ড ল রিভিয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এর আগে দায়িত্ব সামলেছেন সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ ব্যাডার জিন্সবার্গ এবং প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা।

    বিদায়ী প্রেসিডেন্ট প্রিসিলা করোনাডো বলেছেন, হার্ভার্ড ল রিভিউ অপ্সরাকে পাওয়ায় অত্যন্ত ভাগ্যবান বলতে হবে। তিনি এটাও বলেছেন, “অপ্সরা আইয়ার এর আগে অনেক সম্পাদকের জীবন বদলে দিয়েছেন এবং আমি জানি, তিনি সেই কাজ চালিয়ে যাবেন। শুরু থেকেই, তিনি তাঁর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, চিন্তাশীলতা দিয়ে তিনি তাঁর সহ সম্পাদকদের মুগ্ধ করেছেন।”

    অপ্সরার কর্মজীবন

    দ্য ক্রিমসন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন অপ্সরা। অর্থনীতি ও গণিত এবং স্প্যানিশে তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৮ সালে, আইনের ছাত্রী হওয়ার আগে তিনি চাকরিও করতেন। কর্মস্থল থেকে টানা ছুটি নিয়ে আইনের প্রথম বর্ষের পড়াশোনা শেষ করেন অপ্সরা। এরপর আইয়ার “রাইট-অন” নামে একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হার্ভার্ড ল রিভিউতে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ল স্কুলের হার্ভার্ড হিউম্যান রাইটস জার্নাল এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি জার্নালের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তিনি সাউথ এশিয়ান ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য।

  • Khatna: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    Khatna: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের (Khatna) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল, নারীর যৌন অঙ্গচ্ছেদের এই নির্মম প্রথা একেবারে নির্মূল করা। আজও পৃথিবীর অনেক দেশেই এই বর্বর প্রথা রয়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে বেশি দেখা যায় এই প্রথা। ভারতে এই প্রথার না ‘খৎনা’। 

    আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন কী এবং নারী যৌন অঙ্গচ্ছেদের জন্য আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবসের ইতিহাস। 

    আরও পড়ুন: জেইই মেইন সেশন ১ – এর ফল প্রকাশিত হল, কী করে দেখবেন? 

    নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দিবস কবে?

    ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের (Khatna) বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন ছিল গত সোমবার। নারীদের প্রতি এমন নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের লক্ষ্য হল, ২০৩০ সালের মধ্যে এই কুপ্রথা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা। 

    এই দিনটির ইতিহাস

    এই দিবসটি চালু করেন নাইজেরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্টেলা ওবাসাঞ্জো (Khatna)। তিনি নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ক্যাম্পেইনের মুখ ছিলেন। ২০০৩ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম এই দিনটি পালনের ঘোষণা করেন তিনি। পরবর্তীতে জাতিসংঘও এই দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।  

    জাতিসংঘ ২০০৭ সালে মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান (Khatna) শুরু করে। ২০১২ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৬ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জিরো টলারেন্স দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

    ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন কী?

    ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন বা নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ (Khatna) বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত এক প্রথা। যে প্রথা অনুযায়ী নারীর যৌনাঙ্গের বাহ্যিক অংশ, ক্লিটোরিস সাধারণত ব্লেড দিয়ে কেটে  ফেলা হয়। নারীর সতীত্ব রক্ষার দোহাই দিয়ে এই কাজ করা হয়। আসলে নারীর যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থেই পুরষতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথার প্রচলন করে। সাধারণত ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ক্লিটোরিস বা যৌন সুখানুভূতির প্রত্যঙ্গটি কেটে দেওয়া হয়! যুগ যুগ ধরে কন্যা শিশুদের উপর এই অত্যাচার চলে আসছে সামাজিক নিয়মের নাম করে।

    সাধারণত বাড়ির বয়স্ক মহিলারাই বাড়ির সম্ভ্রম রক্ষার জন্যে কন্যা সন্তানদের যৌন আনন্দকে দমিয়ে রাখতে এই প্রথা পালন করে থাকেন। তাদের বিশ্বাস মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদ করলে  তা তাদের শুদ্ধ করে তোলে। বেশিরভাগ সময়ই এই কাজের সময় মেয়েদের অজ্ঞান করা হয় না। ফলে নারীরা তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     
     

     

     

      

  • Ethanol: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোলের সরবরাহ ১১টি রাজ্যে

    Ethanol: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানো পেট্রোলের সরবরাহ ১১টি রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর সঙ্গেই ২০ শতাংশ ইথানল যুক্ত পেট্রোল (ফুয়েল E20) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল দেশের ১১ টি রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে ইথানল মিশ্রণে বড় সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। ঠিক ছিল, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে ২০ শতাংশ করে ইথানল মেশানো হবে পেট্রোলে। কিন্তু তার আগেই ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে এই উদ্যোগ শুরু করা হল। 

    ইন্ডিয়া এনার্জি উইক ২০২৩

    কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইক ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনের সময় মোদির সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও রাজ্যপাল ঠাওয়ার চাঁদ গেহলট। সোমবার এই এনার্জি উইকের সূচনা হয়। দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। আর এই দিনেই ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের সরবরাহের কথা বলা হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে, পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত হয় (১০শতাংশ ইথানল, ৯০ শতাংশ পেট্রোল) এবং সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চাইছে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা পেট্রোলে ইথানলের মিশ্রণ ১.৫ শতাংশ (২০১৪ সালে) থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছি এবং এখন ২০ শতাংশ মিশ্রণের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।” আরও জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে, ১৫টি শহরকে কভার করা হবে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি সারা দেশে সম্প্রসারিত হবে।

    ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলে কী কী সুবিধা হবে?

    প্রথমত, এতে কার্বন নিঃসরণ কমবে, যা পরিবেশের পক্ষে ভালো। গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব কমবে। দ্বিতীয়ত, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। ভারতের কৃষকদেরও খুবই উপকার হবে। এর ফলে ভারতের কৃষকদের ৪০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার উপকার হবে। পেট্রোলের দাম বৃদ্ধিতে রাশ টানতেও কার্যকর হতে পারে ইথানলের মিশ্রণ৷ পেট্রোলের সঙ্গে ইথানল মিশ্রণের ফলে ক্রুড অয়েল আমদানির ওপর ভারত যে আরব ডলার খরচ করে, তা অনেকটাই বেঁচে যাবে। কারণ প্রতি বছর ভারত অনেক টাকার ক্রুড অয়েল আমদানি করে বিভিন্ন দেশের থেকে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০ সালে ৫% ইথানল মিশ্রিত করা হয়েছিল পেট্রোলে। অন্যদিকে, ২০১৩-১৪ সালে ভারতে পেট্রোলে মাত্র ১.৫৩ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত করা হয়েছিল। বর্তমানে ভারত সরকার পেট্রলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। এর ফলে প্রায় ১০০০ কোটি লিটার ইথানলের প্রয়োজন হবে। ইথানলের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা তেল আমদানি করার প্রক্রিয়া কম হয়ে যাবে।

  • JEE Main: জেইই মেইন সেশন ১ – এর ফল প্রকাশিত হল, কী করে দেখবেন?

    JEE Main: জেইই মেইন সেশন ১ – এর ফল প্রকাশিত হল, কী করে দেখবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা মেইন (JEE Main) সেশন ১-এর ফল। মঙ্গলবার  ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা jeemain.nta.nic.in– এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল দেখতে পারেন। তার জন্যে লাগবে আবেদনপত্র নম্বর। এই নম্বর ব্যবহার করে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট  গিয়ে ফলাফল দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। খুব তারাতারি মেধা তালিকাও প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে এনটিএ। জেইই মেইন ২০২৩ সেশন ১ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২৪, ২৫, ২৯, ৩০, ৩১ জানুয়ারি এবং এই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি।    

    ৯ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী জেইই মেইন (JEE Main) সেশন ১-এর জন্যে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এর মধ্যে ৮.৬ লক্ষ পেপার ১ বিই, বিটেক এবং ০.৪৬ লক্ষ পেপার ২ বিআর্কিটেকচার এবং বিপ্ল্যানিং-এর জন্য নিজেদের রেজিস্ট্রার করেছিলেন। এবছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৯৫.৭৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। যা কিনা এযাবৎ কালে সর্বাধিক। 

    এক জাতীয় সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান (JEE Main) অনুযায়ী, এবছরও মহিলা পরীক্ষার্থীর থেকে পুরুষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। রেজিস্ট্রার প্রার্থীদের মধ্যে ৬ লক্ষেরও বেশি পুরুষ, যা কিনা প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রথমবার, মহিলা পরীক্ষার্থী প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি। গত বছরের তুলনায় সংখ্যাটা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২.৫ লক্ষ ছিল তা ২.৬ লক্ষে দাঁড়িয়েছে।

    কী করে দেখবেন ফল?

    • প্রথমে jeemain.nta.nic.in– লিঙ্কে যেতে হবে। 
    • ফলাফলের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। 
    • আবেদনপত্র নম্বর, জন্ম তারিখ এবং সিকিউরিটি পিন সহ প্রয়োজনীয় তথ‍্যগুলো দিতে হবে। 
    • আপনার জেইই মেইন সেশন ১ ফলাফল স্ক্রিনে দেখা যাবে। 

    রিপোর্ট অনুযায়ী, এনটিএ এইবার চূড়ান্ত উত্তর পত্র পাঁচটি প্রশ্ন বাদ দিয়েছে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য প্রার্থীরা চার নম্বর পাবেন। যারা বাদ দিয়েছে সেই প্রশ্নেগুলি তাঁদের কোনও নম্বর দেওয়া হবে না।

    আরও পড়ুন: ফের ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, এই নিয়ে তৃতীয়বার

    জেইই মেইন (JEE Main) সেশন ১ পরীক্ষা ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাটি, কন্নড়, অসমীয়া, বাংলা, মালয়ালম, মারাঠি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু সহ ১৩টি ভাষায় পরিচালিত হয়েছে। জেইই মেইনের পেপার ১ হল বিটেক/বিই কোর্সের জন্য, পেপার ২ হল ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচারের জন্য, এবং পেপার ৩ হল ব্যাচেলর অফ প্ল্যানিং প্রোগ্রামের জন্য৷ এই বছরের ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত জেইই মেইনের দ্বিতীয় সেশন হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Turkey: মঙ্গলে ফের কাঁপল তুরস্ক! ভারত থেকে রওনা দিল উদ্ধারকারী দল

    Turkey: মঙ্গলে ফের কাঁপল তুরস্ক! ভারত থেকে রওনা দিল উদ্ধারকারী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাহাকার-আতঙ্ক ছড়িয়ে শহর থেকে শহরে। ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তার মাঝেই ফের একবার কেঁপে উঠল তুরস্কের মাটি। এই নিয়ে দু’ দিনে চার বার। প্রথম মাটি কেঁপে উঠেছিল তুরস্কে সোম সকালে। মঙ্গলবার সকালে তুরস্কে যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটি ৫.৯ মাত্রার। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার সূত্রের খবর, সোমবারের প্রথম ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূগর্ভের ১৮ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। তার ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয়। সোমবার সন্ধের পর অনুভূত হয় তৃতীয়বারের কম্পন। সেই ভয়াবহতার রেশ কাটার আগেই ফের কেঁপে উঠল তুরস্কের মাটি। 

    ভারত থেকে উদ্ধারকারী দল

    ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধারকাজে ভারত থেকে রওনা দিল উদ্ধারকারী দলের প্রথম ব্যাচ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল (এনডিআরএফ)-এর এই ব্যাচটির সঙ্গে রয়েছে ত্রাণসামগ্রী, ওষুধপত্র এবং মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি। নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডও।

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দলের তুরস্কের রওনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তুরস্ক এবং সিরিয়ার এই ভয়াল ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ ভূমিকম্পের জেরে ২০ হাজার মৃত্যুর আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ তুরস্ক এবং সিরিয়ার এই বিপর্যয়ে দু’দেশে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।

    ইউএসজিএস-এর তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কম করেও ৬০টি আফটার শক হয়েছে। প্রথমবার কম্পনের পরে আফটার শকের মাত্রা ছিল ৬.৭ যা মূল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে অনুভূত হয়, দ্বিতীয় আফটার শক বোঝা যায় ১৯ মিনিট পরে। এর তীব্রতা ছিল ৫.৬।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Delhi Mayor Election: ফের ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, এই নিয়ে  তৃতীয়বার

    Delhi Mayor Election: ফের ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন, এই নিয়ে তৃতীয়বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারও ভেস্তে গেল দিল্লির মেয়র, ডেপুটি মেয়র নির্বাচন (Delhi Mayor Election)। এই নিয়ে তিনবার এমনটা ঘটল। মেয়র নির্বাচনের জন্য ফের পরবর্তী দিন ঘোষণা করবেন দিল্লির উপ রাজ্যপাল। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শুরু হয় দিল্লির পুর অধিবেশন। প্রথমে ঘোষণা মতো মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার সত্য শর্মা।

    কী জানা গেল? 

    কিন্তু এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন, মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন অল্ডারম্যান সদস্যেরা (Delhi Mayor Election)। এই ঘোষণা আসা মাত্রই অশান্তি শুরু হয়ে যায়। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সদস্যেরা। স্লোগান, পাল্টা স্লোগান দিতে থাকে আপ এবং বিজেপি। এর কিছুক্ষণ পরেই মেয়র নির্বাচন না করেই মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন।

    আপ নেতাদের দাবি, আপ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রশ ভোটিং-এর সম্ভাবনা থাকছে। তাছাড়া, বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর,  আগামী ১০ দিনের মধ্যে মেয়র নির্বাচন সারতে এবং শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে সেই নির্বাচন করানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে আপ।

    এর আগে ৬ এবং ২৪ জানুয়ারিও মেয়র নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে (Delhi Mayor Election)। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেই অধিবেশনও ভন্ডুল হয়ে যায়। সোমবার তৃতীয় বার নির্বাচনের জন্য দু’দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, মেয়র নির্বাচন ঘিরে রাজধানীতে জট রয়েই গেল।

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন হয় দিল্লি পুরসভায়। নির্বাচন শেষে ২৫০ আসনের পুরনিগমের ১৩৪টিতে জয়ী হয় আপ (Delhi Mayor Election)। গত ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুরনিগম ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু এবার তারা পেয়েছে ১০৪টি আসনে। কংগ্রেস পায় ৯ টি আসন। সেই হিসাবে দিল্লি পুরসভার মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র প্রার্থী আপ-এরই হওয়ার কথা। দিল্লি পুরনিগম আইন, ১৯৫৭ অনুযায়ী নির্বাচনের পরই প্রথম অধিবেশনেই মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে ২মাস কেটে গেলেও মেয়র নির্বাচন করতে পারেনি পুরনিগম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Turkey: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    Turkey: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুঃসময়ে তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে ভারত। সোমবার প্রবল ভূমিকম্পে তুরস্কে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি, বহুতল। সিরিয়াতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ৮ তলা আবাসন। তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা চার হাজারের ওপরে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছে শত শত মানুষ। দশ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহর। ১০ মিনিট পরেই আফটার শক। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লেবানন, সিরিয়া, গ্রিস, ইরানেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। 

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    তুরস্ক-সিরিয়ার এই বিপর্যয়ের পরই সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, ‘তুরস্কের এই ভূমিকম্পের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। এই বিপদের সময় তুরস্কের পাশে সবরকম সাহায্য নিয়ে পাশে থাকবে ভারত।’ এরপরই জরুরি বৈঠক ডাকা হয় প্রধানমন্ত্রী দফতরে। তারপরই সাহায্য কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন তুরস্কের দূতাবাসে যান এবং সমবেদনা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহানুভূতি ও মানবিক সহায়তার কথাও জানান।

    তুরস্কের পাশে ভারত

    কঠিন পরিস্থিতিতে তুরস্কে উদ্ধারকারী দল (Rescue Team) পাঠাচ্ছে ভারত (India sends Rescue Team)। জানা গেছে, ১০০ জনের এই দল ভারত থেকে তুরস্ক ও সিরিয়াতে যাচ্ছে। শুধু উদ্ধারকারী দল নয়, ভারত থেকে ত্রাণ ও চিকিৎসার সামগ্রীও পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। সঙ্গে যাচ্ছে ডগ স্কোয়াডও। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, ইজরায়েল, ইউক্রেনের মতো দেশগুলি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের এই উদারতার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তুরস্ক। ভারতকে বন্ধু আখ্যা দিয়েছেন ভারতের তুরস্কের দূত ফিরাট সুনেল। নয়া দিল্লিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফিরাট বলেছেন, “দরকারে একজন বন্ধুই হল প্রকৃত বন্ধু।” ট্যুইটারে সুনেল লেখেন, ” তুর্কি ও হিন্দিতে খুব সাধারণ একটি শব্দ হল ‘দোস্ত’… আমাদের তুর্কিতে একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে, দোস্ত কারা গুন্ডে বেল্লি ওলুর (প্রয়োজনে পাশে থাকা বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু)। ভারতকে অনেক ধন্যবাদ।” এদিকে

LinkedIn
Share