Blog

  • Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবারে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি চাইলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন, নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা তৃণমূল ছাত্রনেতার

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন শুভদীপ গিরি।

    সিঙ্গল বেঞ্চে কী রায় দেওয়া হয়েছিল?

    জানুয়ারির শেষ দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। সঙ্গে নির্দেশ, তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি যেন নিম্ন আদালতে জামিন না পান, তার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। তার পরই আজ এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শুভদীপ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রাখেন। কিন্তু পরে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। মেয়েটি তাঁকে ওই সব একান্ত মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে মুছে দিতে বলে। অভিযোগ, এর পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে দিঘার একটি হোটেলে ডাকেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করেন শুভদীপ। এই ঘটনার পর ১ নভেম্বর তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না…। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করুন।” এছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।

  • West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (West Bengal DA) দাবিতে ১০ দিন ধরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তার পরেও সুরাহা না হওয়ায় এবার মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি (President) ও প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister)। শুধু তাই নয়, মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত ট্রেউ ইউনিয়ন, কর্মী ইউনিয়নকেও। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ডিএ সরকারি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার। তা যেন দিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও রাজ্য সরকার গড়িমসি করে চলেছে। নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবিও তোলা হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।

    কর্মবিরতি…

    ইতিমধ্যেই মঞ্চের তরফে দু ঘণ্টার জন্য সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। তবে জরুরি পরিষেবা সচল রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি দু ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ না করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। এসবেও কাজ না হওয়ায় এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করল মঞ্চ। প্রসঙ্গত, শহিদ মিনার ময়দানে ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরকারি কর্মী, আধা সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুরসভার কর্মী সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। যদিও পরে আরও একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠনও যুক্ত হয়েছে এই মঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    এদিকে আন্দোলন আরও জোরালো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঞ্চ (West Bengal DA)। ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মীদের ওই ধরনা মঞ্চে ডাকা হবে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের। ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে ‘দাবি ব্যাজ’ পরে ক্লাস নেবেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ১০ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে হবে নাগরিক কনভেনশন। উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে কর্মবিরতি। এদিকে, ডিএ (West Bengal DA) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চেরে সেই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে (Calcutta High Court) ফের মুখ পুড়ল সিবিআই- এর। সিবিআই আধিকারিকদের অপদার্থতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির প্রশ্নবানের মুখে কার্যত বোবা হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারপতি? 

    সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যেই অবস্থায় আদালতের কাজকর্ম বন্ধ হয়েছিল সোমবার সেখান থেকেই শুরু হল। বদলাল শুধু এজলাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআই- এর কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: জোরালো ভূমিকম্পে পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল তুরস্ক! মৃত অন্তত ৩৬০

    এদিন নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসু সিবিআইয়ের আইনজীবীকে (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দেওয়া-নেওয়া করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদালত কেন বার বার একে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছে?” বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে কার্যত  বাকরুদ্ধ হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।   
     
    এএরপর বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, “যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে সেটা কেন বার বার আদালতকে বলে দিতে হবে? সিবিআই কী ভাবে কাজ করবে সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে? এটা ভালো দেখায় না। কেন দুর্নীতিতে যুক্তদের প্রতি এত সদয় সিবিআই?”

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই (Calcutta High Court)। সাম্প্রতিককালে বার বার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে ২ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তাতেও সিবিআই- এর ভূমিকায় অখুশি সিবিআই।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

          
     
      

     

  • Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আবারও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে অন্তত ১৪টি মন্দির ভাংচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙি উপজেলায় কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ১৪টি মন্দিরে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে যাতে পরিস্থিতি অন্যদিকে গতি না নেয় তাই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    পুলিশ কী বলছে

    বালিয়াডাঙি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক খাইরুল আনাম বলেন, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে ধানতলা, চারোল, পরিয়া ইউনিয়ন এলাকার একাধিক মন্দিরে ভাঙচুরের খবর পেয়েছি আমরা। ঘটনার তদন্ত করছেন জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন। তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওইসব মন্দিরে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক মূর্তি ভাঙা হয়েছে, নাকি দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, তা দেখছি আমরা। পুলিশ এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

    পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বলছেন

    বালিয়াডাঙি উপজেলার পুজো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ বর্মন বলেন, ধানতলার ৯টি, চারোলে ১টি এবং পরিয়া এলাকার ৪টি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এই মন্দিরগুলিতে হরিবাসার, কৃষ্ণ, মনসা, লক্ষ্মী, কালীর মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলির হাত, পা ও মাথা টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিছু কিছু ভাঙা টুকরো পুকুরে ফেলে দিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। 

    খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলার পুজো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ। সিন্দুরপিণ্ডিতে হরিবাসার মন্দিরে তিনি বলেন, এই মন্দিরটি বিশাল বড় এবং ঐতিহ্যবাহী। অনেকেই নিয়মিত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর ঘটনা।

    ২০২২ সালে বাংলাদেশে হওয়া হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের খতিয়ান

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরে সেদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে ১২৮টি মন্দিরে। ভাঙচুর হয়েছে ৪৮১টি প্রতিমা। ৭২টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেদেশে গত বছর ৩১৯টি সংখ্যালঘু পরিবার বা সংখ্যালঘুদের মন্দির লুঠ হয়েছে। ৮১৯টি বসতবাড়িতে হামলা হয়েছে। অগ্নি সংযোগ হয়েছে ৫১৯টি বাড়িতে। সংখ্যালঘুদের ১৭৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর হয়েছে।

    দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে ৪৪৫টি সংখ্যালঘু পরিবারকে। ১৫ হাজার ১১৫টি পরিবারকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৯১টি পরিবার। ১ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের ওপর মোট ৯৫৩টি সংগঠিত হামলা হয়েছে।  ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরে সেদেশে খুন হয়েছেন ১৫৪ জন সংখ্যালঘু। দখল হয়েছে সংখ্যালঘুদের প্রায় ৯০ হাজার একর জমি।

    গত ১ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) ১৫৪ জন সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন। তার মধ্যে ২৭ জনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ১৪ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে ৮৪৯ জনকে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২৪ জনকে। হামলার জেরে আহত হয়েছেন মোট ৩৬০ জন সংখ্যালঘু। এখনো ৬২ জন সংখ্যালঘুর কোনও খোঁজ নেই।

    ১ বছরে পদ্মাপাড়ে সংখ্যালঘুদের ৯০ হাজার একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে। বসত থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৫৭২টি পরিবারকে। তার মধ্যে ৪৪৫টি পরিবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মোট প্রায় ২২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ কোটি ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে চাঁদা হিসাবে।

    এছাড়া সেদেশে অপহরণ করা হয়েছে ১২৭ জন সংখ্যালঘুকে। ১৫২ জনকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ৪০ জনকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Central DA: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    Central DA: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। মার্চ মাসের শুরুতেই ফের ডিএ (Central DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ বেড়ে হতে পারে ৪২ শতাংশ। গত বছর অক্টোবরে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেবারও বেড়েছিল ৪ শতাংশ। কার্যকর হয়েছে ওই বছরের ১ জুলাই (July) থেকে। ফের বাড়বে ৪ শতাংশ। কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি (January) থেকে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল ও ১ জুলাই ৩ ও ৪ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এ বারেরটা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়বে ১১ শতাংশ। কেন্দ্র এবার ডিএ ঘোষণা করলে নয়া ব্যবস্থায় কেন্দ্রের সঙ্গে  এ রাজ্যের ডিএ-র ফারাক বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ।

    ডিএ…

    অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র বলেন, ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি শিল্পক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য উপভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএ (Central DA) ৪.২৩ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে দশমিকে ডিএ বাড়ায় না সরকার। তাই ডিএ ৪ শতাংশ বেড়ে হতে পারে ৪২ শতাংশ। তিনি জানান, অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ রাজস্ব প্রভাব সহ ডিএ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে।সূত্রের খবর, কেবল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদেরই নয়, ডিএ বাড়বে পেনশনভোগীদেরও। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় নয়া হারে ডিএ দিতে শুরু করে কেন্দ্র। তার পর রীতি মেনে ফি বছর জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু বার ডিএ বাড়াতে থাকে। সেই মতোই জুলাইয়ের পর জানুয়ারি থেকে বাড়তে চলেছে ডিএ।

    আরও পড়ুুন: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ (Central DA) বৃদ্ধি কার্যকর হবে। বর্তমানে এক কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী ৩৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। এদিকে, তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মীদের ডিএ মেটানো হয়নি। এর পর আদালত অবমাননার অভিযোগে যখন ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইউনিটি ফোরাম নামে একটি সংস্থা, তখন পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Union Budget: প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তবেই টাকা পাবে রাজ্য, নয়া ভাবনার পথে মোদি সরকার

    Union Budget: প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তবেই টাকা পাবে রাজ্য, নয়া ভাবনার পথে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, ফেল কড়ি, মাখো তেল। একথার দিন বোধহয় ফুরোতে চলেছে। এবার যা দাঁড়াতে চলেছে, তা হল আগে তেল মাখাতে হবে, তার পরেই মিলবে কড়ি। হেঁয়ালি ছেড়ে এবার আসল কথায় আসা যাক। কেন্দ্র-রাজ্য (Center- State) যৌথ প্রকল্পে এতদিন পর্যন্ত কাজ শুরু হওয়ার পরে পরেই মিলত অর্থ। তবে পরে দেখা যেত কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। অথচ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এই পদ্ধতিতে বদল আনার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র (Union Budget)। জানা গিয়েছে, জল জীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা গ্রাম সড়ক যোজনার মতো যে সব কেন্দ্রীয় সাহায্যে চলা প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই অর্থ খরচ করে, তার মধ্যে বাছাই করা কিছু প্রকল্পে এই ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে মোদি সরকার। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে হলেও, পরে তা হয়ে যাবে পাকাপাকি।

    বাজেট…

    ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট (Union Budget) পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (nirmala sitharaman) বলেছিলেন, উন্নয়নের প্রয়োজনীয় অর্থ ঠিকভাবে খরচ করতে কিছু বাছাই করা প্রকল্পে অর্থ মঞ্জুরির পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে বদলানো হবে। কাজের অগ্রগতির বদলে কাজ শেষে ফল মেলার ভিত্তিতে টাকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের যুক্তি, এর ফলে রাজ্যগুলি যে কোনও প্রকল্পের সুফল মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে উৎসাহিত হবে। দ্রুত কাজ শেষ হবে। কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ খরচ না করে রাজ্যগুলি বসে থাকে। সেই সমস্যাও দূর হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের ব্যাখ্যা, প্রাথমিকভাবে কাজ শুরুর জন্য রাজ্যকে পুঁজি হিসেবে কিছু অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু অধিকাংশ অর্থই মিলবে কাজের ফল মেলার পরে।

    আরও পড়ুুন: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রকল্পের (Union Budget) যে নাম দেবে, তা কোনওভাবেই বদলানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব। যে কোনও প্রকল্পে অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের মূল শর্ত দুটি। এক কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রকল্পের যে নাম দেবে, তা কোনওভাবেই বদলানো যাবে না। আর দুই, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা পাওয়ার জন্য ওই প্রকল্পের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। রাজ্যের অর্থও সেই অ্যাকাউন্টে যাবে। এর ফলে সেই অ্যাকাউন্টে কেন্দ্র ও রাজ্য দু পক্ষই নজরদারি করতে পারবে। কোনওভাবেই সেই অর্থ রাজ্য অন্য কোনও প্রয়োজনে খরচ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অনেক প্রকল্পেরই নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এক খাতের অন্য খাতে খরচ করার অভিযোগও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনা নিয়ে ঘাটালে পঞ্চায়েত কর্মীদের ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

    Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাস যোজনা নিয়ে ঘাটালে পঞ্চায়েত কর্মীদের ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনা নিয়ে এবারে পঞ্চায়েত কর্মীদের ধমক দিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘাটালের মনোহরপুর পরিদর্শনে আসেন। আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির অবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ফলে গতকাল তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন ঘাটালে। সেখানে অভিযোগ উঠেছে যে, মানা হচ্ছে না কোনও সঠিক নিয়ম, উপযুক্ত প্রাপকদের দেওয়া হচ্ছে না বাড়ি, এমনকি আবাস যোজনার প্রকল্পের বাড়ি নিয়ে করা হয়েছে বাথরুম ও রান্নাঘর। ফলে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পঞ্চায়েত কর্মীদের।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ধমক

    আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে চরম গাফিলতি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর এলাকায়। সঠিক নিয়ম না মেনে আবাস যোজনায় ঘর বণ্টন করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের। সঠিক নিয়ম না মানায়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ধমক খেতে হল গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদেরও। স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশিষ সামন্ত বলেন, “কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় এই অঞ্চলে অনেকেই বাড়ি পাননি। কোনও জায়গায় শৌচালয়ের ভেতরে ঘর করা হয়েছে। সেটা থাকার যোগ্য নয়। এরকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।”

    স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

    রবিবার, ঘাটালে কেন্দ্রীয় দল পৌঁছলে মনসুকা গ্রামে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে একাধিক অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। কেন্দ্রীয় দলের আসার খবর পেয়েই একাধিক অভিযোগ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে হাজির হন গ্রামের মানুষ। ওই এলাকার বাসিন্দা ঝর্না রুইদাস বলেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি না। অনেকেই যোগ্য আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছে না।” আবার বাগদাতেও বিক্ষোভ করেন সেখানকার বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে ১০০দিনের কাজের টাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলেছেন বাসিন্দারা। বাগদার সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চরমণ্ডলে রাস্তার দাবিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।

  • Mohan Bhagwat: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঈশ্বরের (God) কাছে সকলের সমান কদর। জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই। সমাজে শ্রেণি তৈরি করেন পুরোরিতরাই, যা ভুল ছিল। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি আর কেউ নন স্বয়ং মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat), আরএসএস (RSS) প্রধান। রবিবার মুম্বইয়ের রবীন্দ্র নাট্য মন্দির মিলনায়তনে সাধক শিরোমণি রোহিদাসের ৬৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল এক অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানেই তিনি বলেন, ঈশ্বরের কাছে সকলের সমান কদর। জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই। সমাজে শ্রেণি তৈরি করেন পুরোরিতরাই, যা ভুল ছিল।

    ভাগবত উবাচ…

    সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের সমাজের এই বিভেদের ফায়দা তোলে বহিঃশত্রুরা। সেই জন্যই বার বার আক্রমণ হয়েছে। বাইরে থেকে এসে আমাদের মধ্যেকার বিভেদকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলেছে কিছু মানুষ। ভাগবত বলেন, দেশের বিবেক এবং চেতনা সবই এক, শুধু মতামত ভিন্ন। অন্যান্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছাড়াই কোনও ব্যক্তির তাঁর নিজ ধর্ম পালন করা উচিত। তিনি বলেন, ধর্মীয় বার্তাগুলিকে পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতিগুলি ভিন্ন হলেও, বার্তাগুলি অভিন্ন।

    আরও পড়ুুন: “নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল”, পিংলা সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    সরসংঘ চালক (Mohan Bhagwat) বলেন, যখন আমরা জীবিকা অর্জন করি, তখন সমাজের প্রতিও আমাদের একটা দায়বদ্ধতা থাকে। প্রতিটি কাজই সমাজের বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য করা হয়। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে কীভাবে কোনও কাজ বড়, কোনও কাজ ছোট হতে পারে? ভাগবত বলেন, আমাদের নির্মাতার কাছে আমরা সবাই সমান। কোনও জাতি বা সম্প্রদায় ভেদ নেই। এই পার্থক্যগুলি তৈরি করেছিলেন আমাদের পুরোহিতরা। এর পরেই তিনি বলেন, দেশের বিবেক এবং চেতনা সব একই, শুধু মতামত ভিন্ন।  

    রোহিদাস যে অনেক উঁচু দরের সাধক, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, সাধক রোহিদাসের মর্যাদা তুলসীদাস, কবির এবং সুরদাসের চেয়েও বড়। তাই তাঁকে সাধক শিরোমণি বলা হয়। ভাগবত বলেন, তিনি (সাধক রোহিদাস) শাস্ত্রজ্ঞানে ব্রাহ্মণদের হারাতে পারেননি ঠিকই, তবে অনেকের হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। সরসংঘ চালক বলেন, ধর্ম মানে শুধু পেট ভরানো নয়। নিজের কাজ করুন এবং আপনার ধর্ম মেনে তা করুন। সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করুন। তার উন্নতির জন্য কাজ করুন। এটাই ধর্মের মূল কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Turkey Earthquake: তীব্রতা ৭.৮! জোরালো ভূমিকম্প তুরস্ক-সিরিয়ায়! মৃত ৩৬০, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

    Turkey Earthquake: তীব্রতা ৭.৮! জোরালো ভূমিকম্প তুরস্ক-সিরিয়ায়! মৃত ৩৬০, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। তাও একবার নয়, পর পর দু’ বার জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর৷ এদিন, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪.১৭ মিনিট নাগাদ সে দেশের দক্ষিণ প্রান্তে এই শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এরপরে ৬.৭ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এখনও অবধি ভূমিকম্পের জেরে অন্তত ৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আশঙ্কা, ৫০০ পেরিয়ে যেতে পারে এই সংখ্যা। পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ায় ব্য়াপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

    তুরস্কে প্রবল ভূমিকম্প

    সূত্রের খবর, সোমবার ভোরে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। এর কিছুক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে। ১০ মিনিট পরেই আফটার শক। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭। এটি আঘাত হানে মধ্য তুরস্কে, ৯.৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লেবানন, সিরিয়াতেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। এই সব ভূমিকম্পের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাটেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৩৬০ জনের উপরে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়ে যেতে পারে।

    ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, কম্পনের জেরে একের পর এক বহুতল ভেঙে পড়েছে৷ যদিও এই ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷ তবে এই মাত্রায় ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ১৯৯৯ সালের পর তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভূকম্প দেখেনি। গাজিয়ানটেপ প্রদেশের গভর্নর দাভুট গুল ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আমাদের শহরে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আপনারা শান্ত থাকুন। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করুন। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালাবেন না। দয়া করে রাস্তায় ভিড় করবেন না।’’

    সাহায্যের হাত মোদির

    তুরস্কে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।  তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “তুরস্কের ভূমিকম্পে যে অপূরণীয় ক্ষতি হল, তার জন্য আমি মর্মাহত। মৃতের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি। এই বিপদের সময়ে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল”, পিংলা সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নোটার থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল”, পিংলা সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে কটাক্ষ করেছেন বিজেপিকে। তারই কড়া জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার সভা শেষে ফের হামলারও শিকার হয় বিজেপি সমর্থক। গতকাল পিংলায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা থেকে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় ঘাটাল দাসপুর রাজ্য সড়কের  নিমতলা এলাকায়। বাসের উপর ইটবৃষ্টি করা হয়। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয় বাসের চালক। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের যাত্রাপথে আক্রমণ ঘটিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। বিরোধী দলনেতার সভায় মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে তটস্থ তারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাঁপন ধরছে শাসকশিবিরে। তাই এভাবে হামলা করা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নেতৃত্বে ঘাটাল থেকে বেশ কিছু কর্মী সমর্থক বাসে করে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যোগ দিতে যায়। সভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দাসপুরের নিমতলার কাছে হঠাৎই ইট দিয়ে কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় বিজেপি সমর্থকদের বাসে। আক্রমণের প্রতিবাদে বাস থেকে নেমে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এই ঘটনায় কেউ গুরুতর জখম না হলেও ইটের আঘাতে একজন বাসচালক চোট পান। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনওক্রমে বিজেপি কর্মীদের বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় তারা। কারা হামলা চালাল তা খতিয়ে দেখছে ঘাটাল ও দাসপুর থানার পুলিশ।

    মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    রবিবার পিংলায় সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ নাম না-করে শুভেন্দু এদিন বলেন, “মাননীয়া হলেন কোম্পানির মালিক ও মাননীয় কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর৷” মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে টুপি পরিয়ে এখন অন্যের টুপি নিয়ে টানাটানি করছেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এছাড়াও রাজ্যের দুর্নীতি ও গণতন্ত্রহীনতা নিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং প্রকল্পের টাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঠিয়েছেন৷ কিন্তু এখানকার শাসকদলের মাননীয়া এবং তার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সেই টাকা ঝেড়ে দিয়েছে। যার জন্য এখানকার জনগণকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা উত্তরে বলবে যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তাঁরা পাচ্ছেন না।”

    অভিষেককে জবাব বিরোধী দলনেতার

    আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার কেশপুরের সভা থেকে বলেছিলেন, “বিরোধীরা আদৌ সব আসনে দিতে পারবে তো?” মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন “তুমি কে হরিদাস পাল? আমাদের প্রার্থী ঠিক করে দেবে। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়ে নেব।” কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ‘নোটা’র থেকেও কম ভোট পাবে তৃণমূল। আমরা তৃণমূলকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই মানছি না, সেই কারণেই ত্রিপুরায় দলীয় প্রচারে আমি কিংবা আমাদের কোনও নেতাই তৃণমূল শব্দটাই উচ্চারণ করেনি। আমার কথা মিলিয়ে নেবেন, ভোটের ফলাফলে তৃণমূল ‘নোটা’ র থেকেও কম ভোট পাবে।” উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গতকাল মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷

LinkedIn
Share