Blog

  • Dipa Karmakar: ২১ মাসের নির্বাসন শেষ হবে জুলাইয়ে, ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে দীপা

    Dipa Karmakar: ২১ মাসের নির্বাসন শেষ হবে জুলাইয়ে, ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে দীপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২১ মাস নির্বাসিত হলেন ভারতীয় জিমনাস্ট দীপা কর্মকার। তাঁকে এই শাস্তি দিয়েছে আইটিএম (ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি)। তবে দীপার ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার খবর নতুন নয়। ২০২১ সালের অক্টোবরে তাঁর শরীরে পাওয়া গিয়েছে নিষিদ্ধ ওষুধ। তারপর থেকে তিনি কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি। তবে আইটিএ ২১ মাসের জন্য ত্রিপুরার বাঙালি জিমনাস্টকে নির্বাসিত করলেও, তা কিন্তু কার্যকর হবে ২০২১ সাল থেকে। অর্থাৎ চলতি বছরের জুলাইয়ে দীপা নির্বাসনমুক্ত হবেন।

    দীপার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ

    দু’বছর আগে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমানাস্টিক (এফআইজি) ডোপ পরীক্ষা করার সময় দীপার শরীরে নিষিদ্ধ হাইজিনামিন ওষুধ পেয়েছিল। তার পরেই নির্বাসিত হন দীপা। পরে ভারতীয় জিমনাস্টের আপিলের ভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষা করে আইটিএ। সেই রিপোর্টেও দীপার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের প্রমাণ মেলে। এই ওষুধ মূলত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর কাজ করে। ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি জানিয়েছে, দীপা ইতিমধ্যেই ১৬ মাস নির্বাসনদণ্ড কাটিয়েছে। তাই আরও ৫ মাস তাঁকে শাস্তি কাটাতে হবে। এই সময়ে ভারতীয় জিমনাস্ট কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। তবে শাস্তি উঠে গেলে দীপা ফের স্বমহিমায় জিমনাস্ট ট্রাকে ফিরতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকসে অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া করেছিলেন। তবে তাঁর প্রচেষ্টা বাহবা কুড়িয়েছিল ক্রীড়ামহলে। কিন্তু তারপর থেকে চোট সমস্যায় ভুগেছেন তিনি। চোট সারিয়ে উঠতে না উঠতেই ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চোখের জলে বিদায়! টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না সানিয়ার

    নীরবে প্রস্তুতি

    আটিএ’র সিদ্ধান্তের খুশি দীপার কোচ বিশ্বেশর নন্দী। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা আবার দীপাকে আগের মহিমায় দেখতে পাবেন। কারণ, জুলাইয়ে নির্বাসন উঠে যাবে। দীপার হাঁটুতে চোট লেগেছিল। এখন রিহ্যাব চলছে। প্রয়োজন পড়লে চিকিৎসার জন্য ওকে বিদেশে পাঠানো হতে পারে।’ দীপা অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। বরং তিনি দারুণভাবে ফিরতে চাইছেন জিমনাস্ট ট্র্যাকে। তাই নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রস্তুতি। একই সঙ্গে পুরোপুরি চোটমুক্ত হওয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Awas Yojana: আবাস যোজনায় মুখ পুড়ল রাজ্যের, প্রাপকদের তালিকায় থাকা মাত্র ৭৩ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে

    Awas Yojana: আবাস যোজনায় মুখ পুড়ল রাজ্যের, প্রাপকদের তালিকায় থাকা মাত্র ৭৩ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা (Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই টাকা এখনও রিলিজ করেনি কেন্দ্র। আর তার মাঝেই নতুন অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু সেই তালিকায় তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের মাত্র ৭৩.৫ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখনও অনেকের নামের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগের কাজই শেষ করতে পারেনি রাজ্য। এই তথ্য সামনে আসতেই অস্বস্তিতে নবান্ন।

    কী জানা গেল? 

    সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৮৮ জন উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৮৫ জন অর্থাৎ ৭৩.৫ শতাংশের নাম আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে। যদিও আবাস যোজনার (Awas Yojana) অধীনে বাড়ি পেতে গেলে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক তা আগেই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল জেলাগুলিকে। তারপরেও কেন এত গড়িমসি তা নিয়েই জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন। 

    তবে শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, যে কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই (Awas Yojana) এখন উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে আধার সংযোগ স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এখন থেকে সরাসরি প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। এর জন্য ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে সামনে আনা হয়েছে। তাদের কাছে উপভোক্তাদের প্রত্যকের আধার কার্ড নথিভুক্ত থাকবে। তারাই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে। এর দুটি সুবিধা। এক, উপভোক্তার আধার কার্ড স্ক্যান করলেই জানা যাবে সে কোন কোন প্রকল্পের টাকা পেয়েছে। দুই, এক জনের নাম করে অন্য জন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা তুলতে পারবে না।

    আরও পড়ুন: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 

    অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ উপভোক্তাদের (Awas Yojana) আধার সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। শুধু একটি প্রকল্পই নয়, দেখা গিয়েছে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্দ্বী ভাতার ক্ষেত্রে অনেকের আধার কার্ড সরকারের কাছেও নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের ১৪ লক্ষ ৪১ লক্ষ ৪৬০ জন মানুষ এই তিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ জনের আধার কার্ড সংযোগ করা হয়েছে।

    রাজ্যের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এরপরই রয়েছে, কোচবিহার, নদিয়া, ঝাড়গ্রামের নাম। আনন্দধারা প্রকল্পেও ৮০.৮ শতাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপভোক্তাদের আধার সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে মহারাষ্ট্র ৯৫.৪ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশ ৯০.৯ শতাংশ করে ফেলেছে। আর এবার তা নিয়ে জেলাগুলিকে দ্রুত আধার কার্ড সংযোগ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Union Budget: বাজেটে বাংলার জন্য রেলের রেকর্ড বরাদ্দ! ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Union Budget: বাজেটে বাংলার জন্য রেলের রেকর্ড বরাদ্দ! ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় রেলের রেকর্ড বরাদ্দ। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget) ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রেলের (Indian Railways) জন্য। বরাদ্দ বেড়েছে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) জন্যও। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পূর্ব রেলের জন্য ৪০৭৮.৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত পূর্ব রেলের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

    বাংলার জন্য রেলের বরাদ্দ

    শুক্রবার বাংলার জন্য আলাদা করে রেল খাতে কত বরাদ্দ তা ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণব। তিনি জানান, আগামী অর্থবর্ষে রেলের জন্য বাংলা পাবে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, ভারতের ইতিহাসে রেলের পাওয়া সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে এ বার। শুক্রবার রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাংলার জন্য এত বরাদ্দ আগে কখনও হয়নি। অশ্বিন শুক্রবার বলেন, ‘‘২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের জন্য এ বার তার থেকে তিন গুণ বেশি করা হয়েছে।’’ এটা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এত টাকা বরাদ্দ পশ্চিমবঙ্গ কোনও দিন রেল খাতে পায়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এই বছর রেকর্ড বরাদ্দ হয়েছে বাংলার জন্য। এটা কোনও দিন ভাবা হয়নি, কল্পনা করা হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সময়কালে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সেখানে এ বার যা বরাদ্দ, তা তিন গুণ বেশি।’’ উল্লেখ্য এই সময়কালে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রক ছিল তৃণমূলের হাতে।

    বিশ্বমানের স্টেশন

    পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানান,  গত অর্থবর্ষে পূর্ব রেলের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৯৪২.৪৯ কোটি টাকা। সেখান থেকে এই বছর লম্বা লাফ দিয়ে ৩৯ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে পূর্ব রেলের জন্য। পূর্ব রেলের তরফে ছ’টি স্টেশনকে বিশ্বমানের করে তোলা হবে। সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া, কলকাতা, ব্যান্ডেল, আসানসোল, ভাগলপুর ও জসিডি। ২৫০ কোটি টাকা ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন স্টেশনগুলির নিরাপত্তা-প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য। 

    যাত্রী নিরাপত্তা

    জোর দেওয়া হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তা, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর। নির্ভয়া প্রকল্পের খাত থেকে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দা করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার ট্যাবলেট কেনার জন্য। এই ট্য়াবলেটগুলি তুলে দেওয়া হয়ে আরপিএফ-এর মহিলা জওয়ানদের হাতে। মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার হবে এই ট্যাবলেটগুলি।

    আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই দেশে চালু হাইড্রোজেন ট্রেন! দার্জিলিঙে চলবে কবে? রেলমন্ত্রী বললেন…

    পূর্বরেলের নিরাপত্তা

    পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্যও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১০,৯৮৮.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ১৩.৭৫ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য রেলের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি।

    কলকাতা মেট্রোর জন্য বরাদ্দ

    বাংলার মোট বরাদ্দের কোন অংশ কোন প্রকল্পে খরচ হবে তার বিবরণ  রেলের তরফেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে কলকাতা মেট্রো রেল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে। কলকাতা মেট্রোর জন্য মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ৪৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর জন্য। বরাদ্দ ১,৩৫০ কোটি টাকা। এর পরেই নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট লাইনের জন্য বরাদ্দ ১,২০০ কোটি টাকা। নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো পাচ্ছে ৬২০ কোটি টাকা। রেলের দাবি, আগের বারের তুলনায় এ বার কলকাতা মেট্রো ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি বরাদ্দ পেয়েছে। গত বছরের মোট বরাদ্দ ছিল ১,৩৮০ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nirmala Sitharaman: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

    Nirmala Sitharaman: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের কারণে বড় ক্ষতির মুখে আদানি গ্রুপ। গৌতম আদানির সম্পত্তি মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই কার্যত অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের সবকটি স্টকেরই দাম পড়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দর শেষ ৫ দিনে ৫০ শতাংশ কমেছে। ভারতের শেয়ার বাজারের সূচকও নিম্নমুখী। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) আশ্বাস দিয়ে বলেন, দেশের বাজার রয়েছে ‘যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে’। পাশাপাশি তিনি বলেন, আদানি গ্রুপের বিতর্কের জেরে যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাসকে প্রভাবিত করবে, তা তিনি আশা করেননি। তিনি এও বলেন যে, এটা কেন্দ্রের উত্তর দেওয়ার মতো বিষয় নয়। নিয়ন্ত্রকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।  

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মার্কিন আর্থিক রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশ করে। আর তাতেই ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্থ আদানি গ্রুপ। খোদ গৌতম আদানির সম্পত্তি ১২০ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে এসেছে ৬১.৯ বিলিয়ন ডলারে। বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি এক ধাক্কায় ছিটকে গিয়েছেন ২১ তম স্থানে। রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদানি গ্রুপ কারচুপি করে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। যদিও আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্টকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে। 

    সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে স্বাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, দেশ ‘সম্পূর্ণ সুশাসনে’ রয়েছে। দেশের বাজার ‘খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রিত আর্থিক বাজার’ হিসেবে রয়েছে। সীতারমন এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “গোটা বিশ্বে অনেক কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু ভারতীয় আর্থিক বাজারগুলি কতটা ভালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হচ্ছে না।”

    এসবিআই- এলআইসি নিয়ে কী বললেন অর্থমন্ত্রী? 

    এদিকে, আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম যত পড়ছে, তত দুশ্চিন্তা বাড়ছে আমজনতার। কারণ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং জীবন বিমা নিগমের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে। এই দুই সংস্থাই আদানি গ্রুপকে বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আবার আদানি গ্রুপে বিনিয়োগ করেছে এলআইসি। সেই উদ্বেগের মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) আশ্বাস দিলেন, এখনও আদানি গ্রুপে টাকা ঢেলে লাভ করছে এলআইসি এবং এসবিআই।

    অর্থমন্ত্রী সীতারামন (Nirmala Sitharaman )বলেন, “আদানি নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এলআইসি বিস্তারিত বিবৃতি জারি করেছে। আদানি গ্রুপে ওরা বেশি টাকা ঢালেনি। ওরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে অনুমোদিত সীমার মধ্যেই ওরা টাকা ঢেলেছে এবং লাভজনক অবস্থায় আছে।”

    শুক্রবার ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান দীনেশ খারা দাবি করেছেন, আদানি গ্রুপে সার্বিকভাবে ২৭,০০০ কোটি টাকা ঢেলেছে এসবিআই। যা রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কের মোট মূলধনের ০.৮৮ শতাংশ।

    এদিকে, গত ৩০ জানুয়ারি এলআইসির তরফে বিবৃতিতে (Nirmala Sitharaman) দাবি করা হয়, আদানি গ্রুপে যে পরিমাণ টাকা ঢেলেছে এলআইসি, তা মোট বিনিয়োগের এক শতাংশেরও কম। ৩৬,৪৭৪.৭৮ কোটি টাকা। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানি এন্টারপ্রাইজের ফলো-অন পাবলিক অফারিংয়ে বিনিয়োগ করেছিল এলআইসি। যদিও সেই এফপিও তুলে নিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ। টাকা ফিরিয়ে দেওয়া বলেও জানিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

  • Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার ঋষি সুনাকের, কী বললেন তিনি?

    Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার ঋষি সুনাকের, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রথম নন-শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০তম দিন পার করলেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। এক টিভি সাক্ষাত্কারে, সুনাক জানান যে কেন তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। সুনাক বলেন, “আমার জন্য এটি কর্তব্য। হিন্দুধর্মে ধর্মের মূল অর্থই হল কর্তব্য। আর এভাবেই আমি বড় হয়েছি। সঠিক কাজ করার লক্ষ্যে অবিচল থাকার চেষ্টা করব।”  

    তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak) হিসেবে দীপাবলির একদিন পর গত বছর ২৫ অক্টোবর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই হয়েছিল সুনাকে রাজ্যাভিষেক। তাঁর পূর্বসূরি লিজ ট্রাস মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

    আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই দেশে চালু হাইড্রোজেন ট্রেন! দার্জিলিঙে চলবে কবে? রেলমন্ত্রী বললেন…  

    সুনাক (Rishi Sunak) আরও বলেন, “যদিও এটি দুঃস্বপ্নের মতো কাজ ছিল… আমার ধারণা ছিল, আমি পার্থক্য আনতে পারি। জানতাম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পরিস্থিতিতে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি। আমি সেবায় গভীরভাবে বিশ্বাস করি। আমি জানতাম, যে আমি দেশের জন্য একটি পার্থক্য আনতে পারি।”

    গীতা ছুঁয়ে শপথ 

    ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির (Rishi Sunak)। বাবা যশবীর সুনক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ঊষা ফার্মাসিস্ট, ওষুধের দোকান চালাতেন। ঋষির দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেন চলে যান ১৯৬০ সালে। পড়াশোনায় ঋষি ছিলেন তুখোড়। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তিনি। এই স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে গিয়েই আলাপ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি-অক্ষতা। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন অনুষ্কা, অন্যজন কৃষ্ণা। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকে সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে আসতে দেখা যায় প্রায়ই। 

    ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ঋষি(Rishi Sunak)। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ছুঁয়ে শপথ নেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম, যিনি এভাবে শপথ নিয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁকে বসানো হয় ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্রিটেনবাসীর মন জয় করে নেন ঋষি। যদিও বিভিন্ন পরিবারে কস্ট অফ লিভিং সাপোর্ট না করায় বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jasprit Bumrah: অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই ফিরতে চলেছেন বুমরা! ফিটনেস টেস্টে পাস জাডেজা, অনিশ্চিত শ্রেয়স

    Jasprit Bumrah: অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই ফিরতে চলেছেন বুমরা! ফিটনেস টেস্টে পাস জাডেজা, অনিশ্চিত শ্রেয়স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই দলে ফিরতে পারেন জসপ্রীত বুমরা। তিনি এখন সম্পূর্ণ ফিট। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবের জন্য রয়েছেন বুমরা। সেখানে তিনি বোলিং অনুশীলনও শুরু করেছেন। অস্ট্রেলিয়া ভারতে ৪ টি টেস্ট ও ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।  প্রথম দুটি টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। সব কিছু ঠিক থাকলে বুমরা ফিরতে পারেন তৃতীয় টেস্টে।

    দলে ফিরছেন জাদেজা 

    প্রথম দুই টেস্টে দলে ফিরতে চলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ফিটনেস টেস্টে পাস করেছেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। ২০২২ সালে অগাস্টে এশিয়া কাপের পর জাদেজা আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেননি। হাঁটুর চোটে ভুগছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তাঁর। এরপরই পাঁচ মাসের জন্য ২২ গজ থেকে ছিটকে যান জাদেজা। গত সপ্তাহে রঞ্জি ট্রফিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন জাদেজা। তবে জাদেজা ফিরলেও শ্রেয়স আইয়ার নাগপুর টেস্টে অনিশ্চিত। পিঠের চোটের জন্য নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। এরপর থেকে আর ফেরা হয়নি তাঁর।। এনসিএতেই রিহ্যাবে আছেন এই মুহূর্তে তরুণ এই ব্যাটার। কিন্তু এখনও পুরো সুস্থ হননি তিনি। 

    আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে মাঠেই নাচ শেফালিদের! ভাইরাল ভিডিও

    মাঠে প্রধানমন্ত্রী!

    ইতিমধ্যেই বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির দামাম বেজে গিয়েছে। আমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামবে ভার‍ত ও অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia)। সেই ম্যাচ দেখতে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজও (Anthony Albanese) এই ম্যাচে অতিথি হতে পারেন বলে খবর। তবে দুই দেশের তরফে সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। যদি মোদি এই স্টেডিয়ামে যায়, তাহলে নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়াম (Narendra Modi Stadium) উদ্বোধনের পর এই প্রথমবার মোতেরায় ম্যাচ দেখবেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Captain Amrinder Singh: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড কংগ্রেস সাংসদ প্রীনীত কৌর, তিনি কে জানেন?

    Captain Amrinder Singh: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড কংগ্রেস সাংসদ প্রীনীত কৌর, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল সাংসদ কংগ্রেসের (Congress) প্রীনীত কৌরকে। তিনি বিজেপি (BJP) নেতা অমরিন্দর সিংয়ের (Captain Amrinder Singh) স্ত্রী। পঞ্জাবের পাতিয়ালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছিল পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস হাইকমান্ড।

    সিদ্ধান্তের নেপথ্যে…

    জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং প্রীনীতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে চিঠি লেখেন হাইকমান্ডকে। চিঠিতে প্রীনীতের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ করা হয়। পাতিয়ালার সাংসদকে দল থেকে সাসপেন্ড করার জন্য দলের ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন কমিটির কাছে আবেদনও করা হয়েছিল। তার পরেই দলের তরফে প্রীনীতকে শোকজ করা হয়। দল বিরোধী কাজের জন্য কেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় শোকজ নোটিশে। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। সেই সময়সীমার মধ্যে উপযুক্ত জবাব প্রীনীতের (Captain Amrinder Singh) তরফে না পেয়ে এদিন সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।

    একুশের নভেম্বরে কংগ্রেস ছাড়েন অমরিন্দর। তিনি কংগ্রেস ছাড়লেও, তাঁর স্ত্রী প্রীনীত ছিলেন সোনিয়া গান্ধীর দলেই। দল ছাড়ার সময় অমরিন্দর আক্রমণ শানান গান্ধী পরিবারকে। এর পর পঞ্জাব লোক কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন অমরিন্দর। ২০২২ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়লেও, ভরাডুবি হয় অমরিন্দরের দলের। তার পরেই বিজেপিতে যোগ দেন ক্যাপ্টেন। অবশ্য দল ছাড়েননি তাঁর স্ত্রী। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। পাতিয়ালা থেকে টিকিট পাবেন না ভেবে আগেভাগেই প্রীনীত বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Saradha Scam: সারদা মামলায় বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, ইস্টবেঙ্গল কর্তা, নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি

    Saradha Scam: সারদা মামলায় বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, ইস্টবেঙ্গল কর্তা, নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খবরের শিরোনামে ফের উঠে এল সারদা মামলা। আজ, শুক্রবার সারদা মামলায় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী-সহ একাধিক ‘সুবিধাভোগী’র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মোট অর্থমূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। এনারা সকলেই সারদা সংস্থার জালিয়াতিতে লাভবান হয়েছিলেন।

    ইডির তরফে কী জানানো হল?

    এদিন ইডি জানিয়েছে, তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র অধীনে, সব মিলিয়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩.৩০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি এবং ৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সকল সম্পত্তি সারদা গোষ্ঠী এবং তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সুবিধা লাভ করেছেন এরকম ব্যক্তিদের মালিকানাধীন ছিল।

    সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম। নলিনী চিদম্বরম ছাড়াও আরও যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন – ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অনুভূতি প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিকেশনের মালিক, অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত অঞ্জন দত্ত প্রমুখ। সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।

    আরও পড়ুন: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সারদা গোষ্ঠীর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা, বিরাট মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২,৪৫৯ কোটি টাকা তুলেছিল। এর মধ্যে প্রায় ১,৯৮৩ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাননি আমানতকারীরা। শুধু কিছু সুদের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ কুণাল ঘোষ, শ্রীঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রজত মজুমদার, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, তৎকালীন ক্রীড়া এবং পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্ততা করার আগ্রহ দেখিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)। বৃহস্পতিবার তারই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষের প্রয়োজন নেই।এদিন ভারতের তরফে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কিষানগঙ্গা ও রাতলে হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমাদের মনে হয় না দেশের হয়ে কোনও চুক্তিকে ব্যাখ্যা করার অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। ওটা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।

    নয়াদিল্লি…

    নয়াদিল্লির তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বব্যাঙ্ক কোর্ট অফ অর্বিট্রেশনে যাওয়ায় ভারত অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ। অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Water Treaty) কমিশনার ২৫ জানুয়ারি নোটিশ জারি করেছে। এই নোটিশে পাকিস্তানকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে এই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান, পাকিস্তানের তরফে ভারতের দেওয়া নোটিশের এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে কী বলা হয়েছে বা এই চুক্তি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া কী, সে বিষয়েও অবগত নন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধী নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    দীর্ঘদিনের বিরোধ মেটাতে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্বাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের ওপর পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভারত ওই জল ব্যবহার করলেও, আটকাতে পারবে না। ২০১৫ সালে ভারতের কিষেনগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলে পাকিস্তান। তাতে তাদের ভাগের জল কমে যাবে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সিন্ধু জল চুক্তি মেনেই প্রকল্পে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করবে ভারত। ভারতের এই আশ্বাস কানে তোলেনি পাকিস্তান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Meghalaya: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Meghalaya: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। মোট ৬০টি আসনে  ৬জন মহিলা প্রার্থীও রয়েছেন। প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাউরি, তিনজন প্রাক্তন বিধায়ক এমএম ডাঙ্গো, ডি জিনডিয়াং ও এডমান্ড কে সাংমা রয়েছেন। প্রাক্তন আইপিএস মারিয়াহোম খারক্রাং দাঁড়াচ্ছেন উত্তর শিলং থেকে। 

    মোদিকে সামনে রেখেই প্রচার

    বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় অনুমোদন দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় ইলেকশন কমিটি। মেঘালয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, এবার বহু আসনে জিতবে দল। এদিন  প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ট্যুইট করেছে মেঘালয় বিজেপি।

    ২০১৮ সালে বিজেপি ৪৭টি আসনে লড়াই করেছিল। সেবার মাত্র দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ৭টি আসনে বিজেপি ছিল দ্বিতীয়। ১২টি আসনে বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে। বিজেপির ন্যাশানাল সেক্রেটারি ঋতুরাজ সিনহা জানিয়েছেন, এবার মেঘালয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। তার জন্য এবার জোরদার লড়াই করতে হবে দলকে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়ে বিজেপির প্রচারের ট্যাগ লাইন এম পাওয়ার মেঘালয়। এম মানে মোদি পাওয়ারড মেঘালয়। কিছুদিন আগেই, গত ডিসেম্বর মাসে মেঘালয় সফরে এসেছিলেন মোদি। তখনই এই রাজ্যের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত কীভাবে নিজের জায়গা তৈরি করছে সেকথাও এবার প্রচারে তুলে আনা হচ্ছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে মেঘালয়ে। আগামী ২ মার্চ মেঘালয় ভোটের ফলাফল বের হবে। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে বর্তমানে বিজেপির জোট সরকার রয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share