Blog

  • Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন কেবল কালীপুজো (Kali Puja), দুর্গাপুজোতেই (Durga Puja) দেখা যেত থিমের ছড়াছড়ি। এবার থিমের ছোঁয়া চলে এল সরস্বতী পুজোয়ও (Saraswati Puja)। দুর্গাপুজো গোটা বঙ্গদেশজুড়ে হলেও, কালী সহ অন্যান্য দেবদেবীর পুজো একেকটা অঞ্চলে হয় জাঁকজমক সহকারে। যেমন গোটা বাংলায় কালীপুজো হলেও, বারাসতে কালীপুজো হয় থিমের, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে। কাটোয়ায় কার্তিক পুজো হয় থিমের। নদিয়ায় রাস উৎসব হয় ঘটা করে। সেখানেও থিমের ছড়াছড়ি।কালনার সরস্বতী পুজোও হয় জাঁকজমক সহকারে। এখানেও থিমের ছড়াছড়ি।

    থিমের পুজো…

    হাওড়ার খালনায় কয়েক লক্ষ টাকা করে খরচ করে হয় লক্ষ্মীপুজো। সেখানেও দেখা যায় নানান থিম। এবার তার রেশ এসে লাগল সরস্বতী পুজোয়ও। দুর্গাপুজোর মতো সরস্বতী পুজোয় থিম করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে। তবে দুর্গাপুজোয় যেমন অনায়াসেই স্পনসর মেলে সরস্বতী পুজোয় তা হয় না। তাই সরস্বতীপুজোয় যাঁরা থিমের কথা ভাবেন, তাঁদের ভরসা করতে হয় দাতাদের ওপর। কোনও কোনও উদ্যোক্তা আবার দুর্গাপুজোর বাজেট কিছুটা কাটছাঁট করে তুলে রেখে দেন সরস্বতীপুজোয় খরচ করবেন বলে।

    ঘটা করে দু্র্গাপুজো করে টালা প্রত্যয়। তারা সরস্বতীপুজোও (Saraswati Puja) করে জাঁকজমক সহকারে। এবার বাণীবন্দনায় তাঁদের বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। এদের এবারের থিম, চলো ভালবাসার বর্ণমালায় ফেরা যাক। এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৪৬ ফুট। প্রতিমা ১৪ ফুটের। এই মণ্ডপে এলে নল্ট্যালজিক হয়ে পড়বেন দর্শক। উদ্যোক্তাদের তরফে ধ্রুবজ্যোতি বসু বলেন, এই মণ্ডপে এলে অতীতের সরস্বতী পুজোর সকালে ফেরা যাবে। দর্শক হয়ে পড়বেন নস্ট্যালজিক। তিনি জানান, দুর্গাপুজোর ফান্ডের একটা অংশ সরিয়ে রাখা হয়েছিল সরস্বতীপুজোর জন্য।

    আরও পড়ুুন: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    আমহার্স্ট স্ট্রিটের বিদ্যাসাগর সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) কমিটির এবারের বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। এই পুজোর মাথায় রয়েছেন তৃণমূল নেতা পিয়াল চৌধুরী। তিনি জানান, পুরো খরচই এসেছে ডোনেশন থেকে। পিয়াল বলেন, সরস্বতী পুজোয় স্পনসর মেলে না। তাই আমরা ডোনেশনের ওপরই নির্ভর করেছিলাম। মানুষ দিয়েছেন দেরাজ হস্তে। আমরা বাইরে কোথাও চাঁদা তুলতে যাইনি।   

    উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সংহতির এবারের সরস্বতীপুজোর (Saraswati Puja) বাজেট ৯ লক্ষ টাকা। ২৮ ফুটের অতিকায় প্যান্ডেলে রয়েছে ১৫ ফুটের দেবী প্রতিমা। ক্লাবের সম্পাদক রাজদীপ পাত্র বলেন, গত দুবছর ধরে আমরা থিমের পুজো করে আসছি। আমরা আগের থেকে অনেক কর্পোরেট স্পনসরও পাচ্ছি।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Uyghur: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    Uyghur: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর নিপীড়ন প্রতিদিন বাড়ছে। চিনের জ্বলন্ত সমস্যা শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে বেজিং। তবু নিজেদের পথ থেকে সরেনি বেজিং। চিনের ওই অঞ্চলে বসবাসকারী উইঘুরদের জীবন জেলখানায় বন্দিদের মতো হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় শিবির যেন কারাগার। 

    ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের। 

    শিনজিয়াং-এ প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেই উঠে এসেছে সেখানকার মানুষদের দুর্দশার কথা। রিপোর্টে,‘শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের ‘স্বশাসিত’ শিনজিয়াং প্রদেশে চিন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    অভিযোগ, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। বলপূর্বক তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও উইঘুরদের বন্দি করার অভিযোগে নিশানা করা হয়েছে শি জিনপিং সরকারকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক হতভাগ্য উইঘুর মুসলিমরা! জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pariksha Pe Charcha: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!

    Pariksha Pe Charcha: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় (Pariksha Pe Charcha) অংশগ্রহণের জন্য এই বছর ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থীর নাম রেজিস্টার করিয়েছেন। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রত্যেক বছরই পরীক্ষার চাপ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় অন্তত ১৫ লক্ষ বেশি ছাত্রছাত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেয়েছেন। ২৭ জানুয়ারি নয়া দিল্লির তালকাটোরা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “পরীক্ষা পে চর্চায়  অংশগ্রহণের জন্য এই বছর ৩৮ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী রেজিস্টার করেছেন। এর মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী রাজ্য বোর্ডের। পিপিসি ২০২২-এর তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেশি। দেশের বাইরে ১৫৫টি দেশ থেকেও নাম নিবন্ধন করা হয়েছে।”

    কী বলেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী?     

    মন্ত্রী আরও বলেন, “পরীক্ষা পে চর্চা (Pariksha Pe Charcha) গত কয়েক বছর একটি গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ যেভাবে বেড়েছে, সেটাই এর প্রমাণ। এই অনন্য এবং জনপ্রিয় উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তাদের মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে এই উদ্যোগ খুব কার্যকরি। প্রায় ২,৪০০ শিক্ষার্থী তালকাটোরা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উপকৃত হবে। একই সময়ে, কোটি কোটি শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ স্কুল বসে সরাসরি অনুষ্ঠানটি দেখতে পারবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এনসিইআরটির কলা উৎসব প্রতিযোগিতার ৮০ জন বিজয়ী এবং সারা দেশ থেকে ১০২ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিশেষ অতিথি হিসাবে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।

    আরও পড়ুন: মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কাঁথির অভিযুক্ত ছাত্রনেতা   

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “কর্মসূচিতে (Pariksha Pe Charcha) অংশগ্রহণকারীরা শিক্ষার্থীদের আমাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করাতে রাজঘাট, সদৈব অটল, প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর, কর্তব্য পথের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে নিয়ে যাওয়া হবে। কলা উৎসবের বিজয়ী এবং নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং ২৯ জানুয়ারি বিটিং রিট্রিটও দেখতে পাবেন।” প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে সারা দেশের ৫০০টি জেলায় একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এর থিম ছিল প্রধানমন্ত্রীর ‘এক্সাম ওয়ারিয়র্স’ বইতে দেওয়া মন্ত্রসমূহ। ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও বলেন, “এই বইটির অসাধারণ সাফল্য বিবেচনা করে, এটিকে ১১টি ভারতীয় ভাষায় প্রকাশ করা হচ্ছে। অহমীয়া, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু ভাষাতেও এই বই পাওয়া যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    SSC TET: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার ফের  ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। ইডি সূত্রে খবর, আজ ফের একইসঙ্গে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে হুগলির বলাগড়ের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির জট কাটাতে মঙ্গলবার তাপস মণ্ডলকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর এই প্রথম ইডির মুখোমুখি হলেন তাপস। এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢুকেছিলেন আর বেরোলেন, রাত তখন সওয়া ১১টা।

    তাপস-কুন্তল মুখোমুখি জেরা

    ইডি সূত্রে খবর, এদিন কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসের। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাপসের দাবি, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। এ ছাড়া তাপসের দাবি, তাঁর পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাপস। মঙ্গলবার সেই লেনদেন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাপসকে নিজেদের দফতরে ডেকেছিল ইডি। শনিবার কুন্তল গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী দাবি করেছিলেন, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে ইডি তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে, সেখানে দিনের পর দিন থাকতেন তাপস মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী তাপস মিশ্র। 

    আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    গ্রেফতারের পরই  তাপস মণ্ডল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ধৃত যুবনেতা। জেরা পর্বে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ইডি অফিসারদের ‘সেটিং’ করতে হবে এই মর্মে লক্ষাধিক টাকা কুন্তলের কাছে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। ১৫ অক্টোবর যখন তাপসের অফিস ও বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছিল, ওই দিনও কুন্তলকে ফোন করে টাকা দাবি করেছিলেন তাপস। যদিও মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এই কথা তাপস এড়িয়ে গিয়েছেন বলে ইডির অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তের বিষয়াধীন একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কুন্তল ও তাপসের বয়ানে ধরা পড়ছে একাধিক অসঙ্গতি। এমনকি, তাদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও মেলেনি উত্তর। তাই ফের তলব করা হয়েছে তাপসকে। প্রয়োজনে কুন্তলকেও পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanthi: মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কাঁথির অভিযুক্ত ছাত্রনেতা

    Kanthi: মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কাঁথির অভিযুক্ত ছাত্রনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি (Kanthi) ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন কাঁথির অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। বুধবার তাঁকে মামলা করার অনুমতিও দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।

    মঙ্গলবারই এই মামলার তদন্তকারী পুলিশের কাছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানতে চেয়েছিলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেননি কেন? তিনি কোথায় জানেন না?’’ বিচারপতির সেই কড়া প্রশ্নবাণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার সকালে তৃণমূল ছাত্রনেতার আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির হন। বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে  চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার অনুমতি চান তিনি। আদালত সেই মামলার অনুমতি দেয়। 
     
    মঙ্গলবার কাঁথির (Kanthi) ধর্ষণ মামলাটি বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চে ওঠে। এদিন বিচারপতি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তদন্তকারী কাঁথি থানার মহিলা অফিসার রুমা মণ্ডলকে তাঁর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। শুভদীপকেও এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, হাইকোর্ট গ্রেফতারির নির্দেশ দিলেও, তিনি কেন নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন? বুধবার সেই আগাম জামিনের মামলারও শুনানি হওয়ার কথা নিম্ন আদালতে। তবে তার আগেই হাইকোর্টের গ্রেফতারির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেন শাসক দলের ছাত্রনেতা। 

    আরও পড়ুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে    

    কী ঘটেছে? 

    গত ১০ জানুয়ারি কাঁথি (Kanthi) থানায় শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানান নির্যাতিতার বাবা-মা। তার ঠিক ন’দিনের মধ্যেই কাঁথি পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়। তারপরেও কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ শুভদীপকে গ্রেফতার না করায় মঙ্গলবার পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার তদন্তকারী আধিকারিককে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না… । যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে (শুভদীপকে) গ্রেফতার করুন।’’    

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিলেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু পরে শুভদীপ বিয়ে করতে রাজি না হলে নির্যাতিতা তাঁকে সেই সব ছবি মুছে ফেলতে বলেন। গত ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে দিঘার একটি হোটেলে যান শুভদীপ। সেখানে সেই যুবতীকে ধর্ষণ করেন ওই তৃণমূল ছাত্রনেতা। এই ঘটনার পরে গত ১ নভেম্বর ওই নির্যাতিতা আত্মহত্যা করতে যান। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কাঁথির থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি, আদালত তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেও তাও মানা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GM Syed: ‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    GM Syed: ‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ তুঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে। সেইন জিএম সৈয়দের (GM Syed) ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে পাকিস্তানজুড়ে। রাষ্ট্রের নৃশংসতার প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সেই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট নেতৃত্ব। সেই কারণে বুধবার তারা প্রতিবাদ মিছিল করেন। এদিনের মিছিলে পা মেলান বহু মানুষ। সিন্ধ প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওই প্রতিবাদ মিছিল হয়। তবে সব চেয়ে বেশি প্রতিবাদ হয়েছে কাণ্ডারা ও থারিরি মহব্বত শহরে।

    প্রতিবাদের আগুন…

    মহব্বত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিছিল গিয়ে থামে সেখানকার প্রেস ক্লাবে। এই প্রেস ক্লাবের সামনে একটি জনসভাও হয়। জনসভায় বক্তৃতা দেন জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্টের কর্তাব্যক্তিরা। বক্তারা প্রত্যেকেই শ্রমিক, নারী এবং শিশুদের ওপর রাষ্ট্র কীভাবে নির্যাতন করছে তা তুলে ধরেন। সিন্ধের রেঞ্জারর্স এবং রাজ্য পুলিশও অত্যাচার করছে। ১৭ জানুয়ারি সান্নে পুলিশ শেলিং করে। ছোড়ে গুলিও। এদিন সভার পরে প্রতিবাদীরা একটি স্মারকলিপিও দেন প্রশাসনকে। রাষ্ট্রের অত্যাচার ও ফ্যাসিইজমের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেওয়া হয় এদিন। এই স্লোগান দিতে দিতেই শহর পরিক্রম করে মিছিল। রাষ্ট্রের অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবে কিছুক্ষণের জন্য ধর্নায়ও বসেন মিছিলে অংশগ্রহণকারী লোকজন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ভীষণভাবে একপেশে’, বিবিসিকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের সাংসদ

    যেসব জাতীয় কর্মী কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার দাবিও স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও সরব হন তাঁরা। রাষ্ট্রের নিরন্তর সন্ত্রাস যে মেনে নেওয়া হবে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদ মিছিলে ভাষণ দিতে গিয়ে জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট নেতৃত্ব বলেন, জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট একটি রাজনৈতিক বৈপ্লবিক সংগঠন। সিন্ধের স্বাধীনতার জন্য তারা লড়ছে। এই সংগঠন জিএম সৈয়দের (GM Syed) আদর্শ চিরকাল মেনে চলবে, এটা ধরে নিলে চলবে না।

    এদিন জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার জন্য তাঁদের যদি প্রাণ বলিদান দিতে হয়, তাতেও তাঁরা পিছু হঠবেন না। ওই একই কারণে যদি ঘর, ছেলেমেয়ে, মায় পরিবারও বলি দিতে হয়, তাতেও তাঁরা রাজি। রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিবাদীরা এও জানিয়ে দেন, সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না। অত্যাচার করা হলে, ভবিষ্যতে তা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    Uluberia: মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে ‘খুন’ বাবা! নৃশংস ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে দুষ্কৃতিদের দাপট। খুন, মারামারি, শ্লীলতাহানির মত ঘটনা রাজ্যজুড়ে ঘটেই চলেছে, আর এখন এর প্রতিবাদ করতে গিয়েও দোষীদের কাছেই মারধর খেতে হচ্ছে। আর এমনই এক ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়েই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয় বাবা। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের নস্করপুর এলাকার। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। বাকি ২ অভিযুক্তকেও বুধবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার দুষ্কীতিদের হাতে মৃত্যু, বাংলার এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল।  

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দশম শ্রেণীর ছাত্রী হাওড়ার নস্করপুরের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় গোবিন্দপুর এলাকায় প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে। রাত ন’টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় তার পথ আটকায় ৩ মদ্যপ যুবক। অভিযোগ, ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়। ওই পড়ুয়া বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বিষয়টা জানায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। রবিবার রাতেই ওই দুষ্কৃতীদের কাছে যান নাবালিকার বাবা। ঘটনার প্রতিবাদ করেন।

    অভিযোগ, এর পরেই ওই ছাত্রীর বাবাকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে অন্ধকার ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই ছাত্রীর বাবা। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর সোমবার রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

    আরও পড়ুন:‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হবে বুধবার। অভিযুক্ত ৩ যুবকের মধ্যে এলাকার দুই ভাই রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকায় মদ বিক্রি প্রচণ্ড বেড়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যারা মদের কারবার করে, তাঁরা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী।

    শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপির

    এই নৃশংস ঘটনায় শাসকদল ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলায় দুষ্কৃতিরা ভয় পায় না। তারা আত্মবিশ্বাসী যে, রাজ্যে কেউ তাদের কোনও ক্ষতি করবে না। তারা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলাকেও ভয় পায় না। এছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য দলের নেতারা প্রশ্ন করেছেন, “এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন। এটা নিয়ে কি সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত নয়? এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই অনাচারের জন্য কি তৃণমূল দায়ী নয়?”

    রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নারী নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন উলুবেড়িয়ার এই ঘটনা। যার ফলে রাজ্যে ফের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

  • National Voters Day: জাতীয় ভোটার দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান

    National Voters Day: জাতীয় ভোটার দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ভোটার দিবসে (National Voters Day) দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বছরের থিম “নাথিং লাইক ভোটিং, আই ভোট ফর সিউর”-থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরা যেন নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণকে আরও জোরদার করতে পারি এবং আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।

    প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি এ দেশে জাতীয় ভোটার দিবস (National Voters Day) পালন করা হয়। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি ভারতের নির্বাচনী আয়োগের ৬১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সঙ্গে সংগতি রেখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল এই দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জাতীয় ভোটার দিবস (National Voters Day) উপলক্ষে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার তিনি টুইট করে লিখেছেন, ভোটার দিবস সাংবিধানিক মূল্যবোধ উদযাপনের দিন। দিনটি একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের জন্য নাগরিকদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের দায়িত্বকে নির্দেশ করে। শাহ বলেন, তিনি দেশের তরুণদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুন: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    এদিন (National Voters Day) এক বিশেষ ঘোষণাও করে নির্বাচন কমিশন। আর ১৮ নয়, এ বার ১৭ বছর বয়স হলেই ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে আবেদন করা যাবে। বুধবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ভোটার দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, নতুন ভোটারদের জন্য প্রি রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়স হলেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন। অর্থাৎ, ভোটার হওয়ার জন্য আগাম আবেদনের ব্যবস্থা শুরু করল কমিশন। এর ফলে ১৮ বছর হলেই আগাম আবেদনকারীরা ভোটার হয়ে যাবেন। নতুন ভোটারদের বাড়িতে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে ভোটার কার্ড।

    এদিন প্রায় গোটা রাজ্যেই পালন করা হয়েছে জাতীয় ভোটার দিবস (National Voters Day)। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, ইসলামপুর, মালবাজারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বালুরঘাটে বাইক র‍্যালি বেরোয় এই দিন উপলক্ষে। পালন করা হয় মালদা জেলাতেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Election Commission: বয়স ১৭ হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার লিস্টে, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: বয়স ১৭ হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার লিস্টে, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভোটার লিস্টে (Voter List) নাম তুলতে হলে ১৮ বছর বয়স হতে হত। এবার থেকে আর ১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে ১৭ হলেই চলবে। ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবসে এমনই ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ভোটার দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, নতুন ভোটারদের জন্য প্রি রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়স হলেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন। জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সে রেজিস্ট্রেশন হলেও, ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর পর্যন্ত। তবে এর সুবিধা হল, রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকলে ১৮ বছর হলেই ভোট দিতে পারবেন নতুন ভোটাররা। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে ভোটারদের বাড়িতেই পৌঁছে যাবে ভোটার কার্ড।

    জাতীয় ভোটার দিবস…

    ২৫ জানুয়ারি, বুধবার ছিল জাতীয় ভোটার দিবস (Election Commission)। এ উপলক্ষে এদিন দিনভর দেশজুড়ে হয় নানা অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে এদিন অনুষ্ঠান হয়েছে এ রাজ্যেও। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে এদিন একটি সুসজ্জিত ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। ডিএম অফিসে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসডিও এবং অন্য পদস্থ আধিকারিকরা। ভোটার দিবস উপলক্ষে জেলাশাসক হলে একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে জাতীয় ভোটার দিবসের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলাশাসক স্বয়ং।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এই দিনটিকেই ভোটার দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে ২৫ জানুয়ারি দিনটিকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ভোটাধিকার প্রয়োগ, ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা, নির্বাচনী সচেতনতা এবং নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর এদিন নানা কর্মসূচি পালন করা হয় দেশজুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cough Syrup: কফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর জের, নয়া গাইডলাইন তৈরি করতে তদন্ত শুরু হু-র

    Cough Syrup: কফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর জের, নয়া গাইডলাইন তৈরি করতে তদন্ত শুরু হু-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) তৈরি কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনশো শিশুর। এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সংক্ষেপে হু (WHO)। তারা জানতে চাইছে এই তিনশো শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে ওই কফ সিরাপের ভূমিকা কতখানি। সোমবার এক বিবৃতি জারি করে হু জানিয়েছে, গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং উজবেকিস্তানে ৩০০রও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই শিশুদের বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল। ওষুধগুলিতে উচ্চ মাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল ছিল। আরও মৃত্যু রোধ করতে ১৯৪টি সদস্য দেশকে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। জারি করা হয়েছে তিনটি মেডিক্যাল অ্যালার্ট।

    শিশুমৃত্যু…

    প্রসঙ্গত, গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ভারতে তৈরি তিনটি সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু। ওই সিরাপ (Cough Syrup) তৈরি করেছে যে সংস্থা, সেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় সিরাপ তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়েছে হরিয়ানা সরকারও। হরিয়ানার সোনিপতেই কারখানা রয়েছে ওই সংস্থার। ভারতে তৈরি ওই কফ সিরাপে (Cough Syrup) মাত্রাতিরিক্ত লেভেলের টক্সিন ছিল বলে জেনেছে হু। তবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার যে ছটি ম্যানুফেকচারার কফ সিরাপ তৈরিতে যে নির্দিষ্ট কাঁচামালগুলি ব্যবহার করছে, সেগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে চায় হু। ওই ওষুধ সরবরাহকারীদের সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিচ্ছে হু। যদিও তাঁরা কারা, সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না হুয়ের বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি আরও একটি জিনিস করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে হু। সেটি হল, বিশ্বজুড়ে শিশুদের কফ সিরাপের ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেওয়া যায় কিনা।যতক্ষণ না এই কফ সিরাপগুলি সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। শিশুদের কখন এই ওষুধগুলি প্রয়োজন, আদৌ প্রয়োজন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন হুয়ের বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে অ্যাকিউট কিডনি সমস্যার জেরে গাম্বিয়ায় শুরু হয়েছিল শিশুমৃত্যু। তার পরে পরেই শিশু মৃত্যুর খবর আসতে থাকে ইন্দোনেশিয়া এবং উজবেকিস্তান থেকেও। হু জানিয়েছে, এই মৃত্যুর সঙ্গে সাধারণ অসুখে মাত্রাতিরিক্ত কফ সিরাপ খাওয়ানোয়। এতে প্রচুর পরিমাণে টক্সিনও ছিল। তার পরেই তদন্তে নামে হু। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার ছটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়। এই সংস্থাগুলিই ওই কফ সিরাপ তৈরি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share