Blog

  • Bihar: ফের বিষমদ কাণ্ড বিহারে! মৃত্যু অন্তত ২ জনের, অসুস্থ বহু

    Bihar: ফের বিষমদ কাণ্ড বিহারে! মৃত্যু অন্তত ২ জনের, অসুস্থ বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদ কাণ্ড বিহারে। এবার ঘটনাস্থল সিওয়ান। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অসুস্থ বেশ কয়েকজন। সূত্রের খবর, রবিবার বিহারের সিওয়ান এলাকায় পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এক ব্যক্তিকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া, অন্য এক জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    বিহারে ফের বিষমদে প্রাণ গেল ২ জনের

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন, জনক বিন ওরফে জনক প্রসাদ এবং নরেশ বিন। তাঁরা সিওয়ানের নবীগঞ্জের বালা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় জনক এবং নরেশ জানান, তাঁদের পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। আত্মীয়েরা সিওয়ান সদর হাসপাতালে নিয়ে যান দু’জনকেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    সিওয়ানের সাব ডিভিশনাল পাবলিক গ্রিভ্যান্স অফিসার অভিষেক চন্দন জানান, রবিবার বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ১২ জন। তাঁদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আরও একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ অনিশ্চিত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে পরিষ্কার জানা যাবে। সিওয়ান হাসপাতালে আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষাক্ত মদের কারণে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই গ্রামে গ্রামে বিষমদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে ক্যাম্প চালাতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    গ্রামের জেলা কাউন্সিলর রমেশ কুমার বলেন, “অন্তত দু’জনকে সিওয়ান সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল কারণ তাঁরা বিষমদ খেয়েছিল। প্রায় কয়েক ডজন লোক এখনও অসুস্থ এবং পুলিশ গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করেছে।”     

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরেই বিহারের ছাপরায় বিষমদ খেয়ে ৭০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় অন্যতম মূল চক্রীকে দিল্লি থেকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার একমাস কাটতে না কাটতেই নতুন করে ফের এমন ঘটনা সামনে এল। এছাড়াও গত মাসেই বিহারের দানাপুর এলাকা থেকে বহু লুকনো বিষমদের বোতল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই মদ উদ্ধারের আগে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল কি না, তা থেকেই সিওয়ানের গ্রামে দু’জনের মৃত্যু হল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sugarcane: ব্রাজিলকে হারিয়ে আখ উৎপাদনে বিশ্বসেরা ভারত! চিনি রপ্তানিও রেকর্ড মাত্রায়

    Sugarcane: ব্রাজিলকে হারিয়ে আখ উৎপাদনে বিশ্বসেরা ভারত! চিনি রপ্তানিও রেকর্ড মাত্রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আখ উৎপাদনে ভারত বিশ্বসেরার মুকুট ছিনিয়ে নিল ভারত। গত বছরে আখের রেকর্ড উৎপাদন। এর ফলে ভারতে চিনির উৎপাদনও বেড়ে গিয়েছে ভারতে। খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে গত বছরের মরসুমে রেকর্ড ৫,০০০ লক্ষ মেট্রিক টন (LMT) আখ উৎপাদন হয়েছে। এর ফলে বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারীর স্থান অর্জন করেছে ভারত। এর আগে বিশ্বসেরার শিরোপা ছিল ব্রাজিলের। ফলে বর্তমানে আখ উৎপাদনে ভারতের পর স্থান ব্রাজিলের।

    আখ উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ভারত

    এতদিন ব্রাজিলই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম আখ উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু আখ উৎপাদনে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে ভারত। গত বছরের শুরুতে ১ জুন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চিনি রপ্তানির উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে। ১০০ LMT ছিল সেই সীমা। উৎসবের মরশুমে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, গতবছরের মৌসুমে রেকর্ড ৫ হাজার লক্ষ টন আখ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৭৪ লক্ষ টন আখ থেকে উৎপাদন করা হয়েছে ৩৯৫ লক্ষ টন চিনি (সুক্রোজ)। এর মধ্যে ৩৬ লক্ষ টন চিনি ব্যবহার করা হয়েছে ইথানল, অন্যদিকে সুগার মিলগুলো ৩৫৯ লক্ষ টন খাদ্য চিনি উৎপাদন করেছে।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের চিনি রপ্তানির পরিমাণ ৫৭ ভাগ বেড়েছে। এই সময়ে ভারত ১০৯.৮ লক্ষ টন চিনি রপ্তানি করেছে, যা রেকর্ড মাত্রা। এর মাধ্যমে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ চিনি রপ্তানিকার দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। ভারত এখন বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী এবং ভোক্তা এবং ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারক।

    কেন্দ্রীয় সরকারের অবদান

    ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভালো মূল্য এবং ভারত সরকারের নীতির দৌলতেই চিনি রপ্তানির রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এসব রপ্তানিতে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরে সরকার সময়মত হস্তক্ষেপ করায় এই সেক্টরটি অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। ভারতের অর্থমন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সরকারের কোনও আর্থিক সহায়তা ছাড়াই ১০৯.৮ টন চিনি রপ্তানি করা হয়েছে।

  • Didir Doot: ফের জন-বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত, স্বামীকে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন বিধায়ক

    Didir Doot: ফের জন-বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত, স্বামীকে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জন-বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত (Didir Doot)। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ঠায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রইলেন দিদির দূত বিধায়ক তৃণমূলের ঊষারানি মণ্ডল ও তাঁরা স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। তাঁদের সঙ্গে থাকায় আটকে পড়েন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এসকেন্দার গাজিও। রবিবার ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের মিনাখাঁর আম্লানি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর এলাকায়।

    নেপথ্য কারণ…

    এই এলাকার প্রধান রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ব্যবহার করেন রাস্তাটি। বারংবার প্রশাসনকে রাস্তার বেহাল দশার কথা জানিয়েও সমস্যা মেটেনি। রবিবার জনসংযোগ বাড়াতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন দিদির দূত (Didir Doot) ঊষারানি, মৃত্যুঞ্জয় এবং এসকেন্দার। গ্রামে ঢোকা মাত্রই স্থানীয়রা তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের মুখে পড়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন ঊষারানি ও তাঁর স্বামী। নাগালে বিধায়ককে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষোভকারীরা। এলাকার বেহাল রাস্তার পাশাপাশি বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ভোটের পর থেকে রফিকুল একবারও এলাকা পরিদর্শন করতে আসেননি। অভাব অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনও সুরাহা হয় না। পরে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। চলে যান ঊষারানিরা। 

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

    নানা কেলেঙ্কারির পাঁকে পড়ে গিয়ে কলঙ্কিত হয়েছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই মতো চালু হয় দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচি। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই দিকে দিকে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রী। বস্তুত দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রথম থেকেই পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং, রামপুরহাটের মাড়গ্রামে শতাব্দী রায়, বীরভূমের বালিজুড়ির কুখুটিয়া গ্রামে দেবাংশু ভট্টাচার্য, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, মুর্শিদাবাদে সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরে সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়, গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক জুন মাল্য। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করেন কুণাল ঘোষ। নদিয়ায় গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমন অভিজ্ঞার সাক্ষী হয়েছেন তৃণমূলের আরও অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Assam: মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় অসম সরকার, সাফ জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

    Assam: মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় অসম সরকার, সাফ জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চায় সরকার। শনিবার একথা জানালেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি এও জানান, এটি নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে সরকার। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, প্রথম দফায় আমরা রাজ্যে মাদ্রাসার সংখ্যা কমাতে চাই। মাদ্রাসায় (Madrasa) আমরা জেনারেল এডুকেশন চালু করতে চাই। মাদ্রাসাগুলিকে নথিভুক্তও করতে চাই। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে। তারাও অসম সরকারকে সাহায্য করছে।

    ডিজিপি…

    অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের দিন কয়েক আগেই সে রাজ্যের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মাদ্রাসাগুলির সংস্কার সাধনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ছোট মাদ্রাসাগুলিকে কাছাকাছি থাকা বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। উগ্র মৌলবাদ এড়াতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের ডিজিপি বলেছিলেন, অসমে মাদ্রাসাগুলি ঠিকঠাক চলছে। যাঁরা মাদ্রাসা চালান এমন ৬৮ জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এর পরেই তিনি বলেন, ছোট মাদ্রাসাগুলিকে এলাকার কোনও বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। মাদ্রাসাগুলির সংস্কার সাধনের ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে। আইনকানুন তৈরি, মাদ্রাসা বোর্ড স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    ডিজিপি বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি ছোট মাদ্রাসাকে বড় বড় মাদ্রাসার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও সার্ভে চলছে। কিছুদিন আগে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, অসমের মুসলিমরা মৌলবাদীদের বিশেষ টার্গেট। রাজ্যের ছোট ছোট মাদ্রাসাগুলিতে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। তিনি আরও বলেন, অসম পুলিশ সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল বাংলা টিম ও আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের ৯টি মডিউল ধ্বংস করেছে। গত বছর ৫৩ জন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক। হিমন্ত বলেন, মুসলিম নেতারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, এই জাতীয় কাজকর্মে রাশ টানতে। একটি বৈঠকে যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬৮ জন নেতা, মাদ্রাসগুলির সংস্কার সাধনে তাঁরা সহমত পোষণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Recruitment Scam: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে গ্রেফতার সংস্কৃতের শিক্ষক

    Recruitment Scam: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে গ্রেফতার সংস্কৃতের শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক (Teacher)। অন্য এক চাকরিপ্রার্থীকে স্কুলে (School) চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ (Recruitment Scam)। শুক্রবার শিলিগুড়ি থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। ধৃতের নাম পঙ্কজ কুমার বর্মণ। তিনি শিলিগুড়ির পঙ্কজ রথখোলা বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের সংস্কৃতের শিক্ষক।

    ‘প্রতারণা’…

    কোচবিহারে বাড়ি চাকরি প্রার্থী বাপ্পা মালাকারের। তাঁর অভিযোগ, আপার প্রাইমারিতে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বছর তিনেক আগে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সন্তোষ বর্মণ। তিনি আমবাড়ি চিন্তামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার পর এতদিন কেটে গেলেও, চাকরি হয়নি সন্তোষের। ফেরত পাননি সন্তোষকে দেওয়া টাকাও। ৯ জানুয়ারি আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্তোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গ্রেফতার করা হয় সন্তোষকে। সন্তোষকে জেরা করে উঠে আসে পঙ্কজ কুমারের নাম। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পঙ্কজকে। পুলিশ জানতে পারে, পঙ্কজও ওই চক্রের (Recruitment Scam) সঙ্গে জড়িত। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি।

    বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব সরকার বলেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও চিঠি পাইনি। স্কুলে এ নিয়ে কোনও আলোচনাও শুনিনি কখনও। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, সেই মোতাবেক আমরা কাজ করব। পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী।

    আরও পড়ুুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    এই প্রথম নয়, তৃণমূলের শাসনকালে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। সেই সুযোগে চাকরি দেওয়ার নামে বহু চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই হয় শিক্ষক নেতাদের ঘনিষ্ঠ, নয় কোনও শিক্ষক। যার জেরে টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনতে’ গিয়ে (Recruitment Scam) ঠকেছেন বহু চাকরি প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই টাকা আদায় করতে না পেরে দ্বারস্থ হচ্ছেন পুলিশের। অনেকে আবার লোকলজ্জার ভয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন ‘বাবা-বাছা’ করে। প্রতারণার এই জাল কতদূর ছড়ানো, তা জানতে সময় লাগবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Chinese New Year: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ

    Chinese New Year: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার মধ্যেও রয়েছে এক টুকরো চিন! চায়না টাউন বা ট্যাংরা। আর ঐতিহ্য মেনে সেখানে এবছরও পালিত হচ্ছে চিনা নববর্ষ (Chinese New Year)। আমরা যেমনভাবে নববর্ষ পালন করে থাকি ঠিক সে ভাবেই চিনারাও তাঁদের নববর্ষ পালন করে থাকেন। নতুন জামাকাপড় পরে চার্চে যান, মোমবাতি জ্বালান। ঘরে তৈরি হয় চিনা খাবার এবং বাঁশপাতায় জড়ানো চং, স্ট্রিট আর্ট, গান, ক্যালিগ্রাফি, হস্তশিল্প দিয়ে সাজিয়ে তোলেন এলাকা। নববর্ষের ঠিক আগের রাত থেকেই প্রস্তুতি চলে। এ বছর বাইশে জানুয়ারি চাইনিজ নিউ ইয়ার, মানে লুনার নিউ ইয়ার। অর্থাৎ চাইনিজ ক্যালেন্ডারে প্রথম দিন। সূর্য দক্ষিণায়নে যাওয়ার পরে প্রথম অমাবস্যা ছেড়ে দ্বিতীয় অমাবস্যার দিন থেকে শুরু হয় এই লুনার নিউ ইয়ার। ২০২৩ খরগোশের বছর মানে র‍্যাবিট ইয়ার। চাইনিজ মতে র‍্যাবিট হল সহিষ্ণুতা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক।

    আরও পড়ুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল? 

    ১৯৬২-র ইন্দো-চিন যুদ্ধের পর কর্মসংস্থানের খোঁজে এ দেশে চলে আসেন বহু চিনা পরিবার (Chinese New Year)। সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। বেশ কয়েক হাজার। সেই সময় থেকে আজও কলকাতায় রয়ে গিয়েছেন তাঁরা ।

    চিনা কালী মন্দিরের দায়িত্বে থাকা চেন ইয়ে সেং সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবছর লাল এবং হলুদ আলোতে সাজানো হবে চায়না টাউন। লাল রঙের বড় ব্যানারে লেখা হবে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ (Chinese New Year)। আরও এক চিনা কলকাতার বাসিন্দা বলেন, “আমরা খুব খুশি। প্রায় দুবছর পর উৎসব পালিত হবে। এশিয়ার অন্যতম বড় উৎসব এটি।”

    চিনা বিশ্বাস 

    মূলত পক্ষকাল ধরে চিনারা নববর্ষ পালন করেন। চিনা নববর্ষের (Chinese New Year) বৈশিষ্ট্য , দিন ও বছর গণনা হয় সূর্য কেন্দ্রিক। কিন্তু মাস গণনা হয় চন্দ্রকে কেন্দ্র করে। চান্দ্র মাসে প্রথম দিন হয়  পূর্ণিমা। মাসগুলির প্রতীক হিসেবে থাকে টোটেম বিশ্বাস। খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, বানর, বাঘ, মোরগ, কুকুর, শুয়োর, ইঁদুর , কাক, ভেড়া ইত্যাদি। এই বছরের প্রতীক খরগোশ। ফলে নতুন বছর চিহ্নিত হবে র‍্যাবিট মান্থ হিসেবে। ২০২২ এর প্রতীক ছিল বাঘ। আগামী বছরের প্রতীক ড্রাগন। চিনা নববর্ষ আসলে বসন্ত ঋতুর আবাহন উৎসবও বলা যেতে পারে। চিনা নববর্ষ প্রাচীনত্বের বিচারে প্রায় ৩৫০০ বছর আগের। প্রতীকগুলি আবার ফিরে ফিরে আসে পাঁচটি তত্ত্বের ভিত্তিতে। জল, সোনা, পৃথিবী, আগুন ও কাঠ। ২০১১ ছিল সোনা খরগোশ। এবার জল খরগোশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতাকা টাঙানো নিয়ে তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হয়েছেন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালা এলাকায়। আইএসএফের অভিযোগের নিশানায় সেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু পক্ষের চারজনকে আটক করেছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ।

    লড়াইয়ের নেপথ্যে…

    এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের এই খাসতালুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসায় আইএসএফ। তিনি ছিলেন কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফের জোট প্রার্থী। তৃণমূলকে হারিয়ে আইএসএফ জয়ী হওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আচমকাই সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। আইএসএফ নেতা (Bhangar) আবু হোসেন মোল্লার অভিযোগ, ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলাম। সেই সময় আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে। তিনি বলেন, পুলিশ এসে আমাদেরই দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ওরা লাঠি দিয়ে মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে আমরা ওদের মেরেছি।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়।

    ঘটনায় দায়ী আইএসএফ, বলছে তৃণমূল। হাকিমুল বলেন, আইএসএফের কয়েক জন নেতা দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিল। সেই সময় তারা আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে তাদের দলীয় পতাকা টাঙায়। তারা আরাবুল ইসলামের নামে গালাগালি দেয়। তার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ইটবৃষ্টি করে। আমাদের কর্মীদের বন্দুকের বাঁট, ইট, রড দিয়েও মারধর করে।

    বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ভাঙড়ে (Bhangar) সংঘর্ষের ঘটনায় দু পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দু পক্ষের কয়েকজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভাঙড়ের এই ঘটনায় চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। তাদের আশঙ্কা, ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিরোধীদের দমাতে ততই ‘ব্যবস্থা’ নেবে রাজ্যের শাসক দল। তার ফলে হবে সংঘর্ষ। ঘটবে রক্তপাতের মতো ঘটনাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • New Zealand: নিউজিল্যান্ডের নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস, কেন জানেন?

    New Zealand: নিউজিল্যান্ডের নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ক্রিস হিপকিনস (Chris Hipkins)। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তাঁকে কোভিড ১৯ (Covid 19) মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। করোনা মোকাবিলায় তাঁর পদক্ষেপ উচ্চ প্রশংসিত হয়। তার জেরেই দলের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। লেবার পার্টির ৬৪ জন সাংসদের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তবে এখনই প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন না ক্রিস। কারণ ৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের গভর্নর জেনারেলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন (Jacinda Ardern)। তার পরেই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বছর চুয়াল্লিশের হিপকিনস। দলের মনোনয়ন পেয়ে দৃশ্যতই খুশি হিপকিনস। বলেন, আমরা অবিশ্বাস্যভাবে একটা শক্ত দল। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যের ভিত্তিতে এই জায়গায় এসেছি। এবং আমরা সেটা চালিয়ে যাব। আমি সত্যিকারের ভাগ্যবান। কারণ এই সব (মন্ত্রিসভার সদস্য) মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে পারব। এই মানুষগুলি নিজেদের উৎসর্গ করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দাদের স্বার্থে।

    চিপ্পি…

    হিপকিনস দলে চিপ্পি নামে পরিচিত। জনপ্রিয়ও বটে। কোভিড-১৯ মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী। তবে এই দফতরের চেয়ে তাঁকে বেশি মাইলেজ দিয়েছে কোভিড মন্ত্রিত্বের পদ। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে তাঁর মনোনয়ন হয়েছে অনায়াস। অথচ দৌড়ে এগিয়েছিলেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী গ্যান্ট রবার্টসন। তবে জেসিন্ডা পদত্যাগ করার পরে পরেই রাবার্টসন জানিয়ে দিয়েছিলেন লেবার পার্টির দলনেতা হওয়ার কোনও বাসনাই নেই তাঁর।

    আরও পড়ুুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আচমকাই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন জেসিকা আর্ডের্ন। তিনি জানিয়েছিলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রিত্ব পদ ছাড়তে চলেছেন তিনি। অক্টোবর মাসে হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ট্যাঙ্কে আর জ্বালানি নেই। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কঠিন সাড়ে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন। কিন্তু তিনিও তো মানুষ। তাই তাঁকে সরে দাঁড়াতে হবে। আগামিকাল, রবিবার হিপকিনসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংসদে লেবার পার্টির সাংসদদের সমর্থন পেতে হবে। তার পরেই তিনি হতে পারবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে তার আগে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে আর্ডের্নকে। যা এখন কেবল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bomb Threat: ফের মস্কো থেকে গোয়ামুখী বিমানে বোমাতঙ্ক, রুট বদলে উজবেকিস্তানে জরুরি ল্যান্ডিং

    Bomb Threat: ফের মস্কো থেকে গোয়ামুখী বিমানে বোমাতঙ্ক, রুট বদলে উজবেকিস্তানে জরুরি ল্যান্ডিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মস্কো থেকে গোয়া অভিমুখী বিমানে বোমাতঙ্ক। ২৩৮ জন যাত্রী নিয়ে রাশিয়া থেকে ভারতের উদ্দেশে ওড়ে বিমানটি (Bomb Threat)। গোয়া ডাম্বোলিম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ইমেল আসে যে, গোয়ামুখী একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বোমা রয়েছে। তারপরেই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটিকে উজবেকিস্তানে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে ১১ দিনে দু’বার এমন বোমাতঙ্ক  ছড়াল মস্কো-গোয়া বিমানে।

    কী জানা গিয়েছে? 

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার পার্ম আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট (Bomb Threat) থেকে গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আজুর এয়ারের একটি চার্টার্ড বিমান। ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার আগেই একটি ইমেল আসে গোয়া বিমানবন্দরে। তারপরই বিমানটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় উজবিকেস্তানের দিকে। 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৪:১৫ নাগাদ গোয়ার ডাম্বোলিম বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল বিমানটির। রাত সাড়ে ১২:৩০ নাগাদ বিমানবন্দরের ডিরেক্টরের কাছে হুমকি ইমেল আসে। 

    প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি মস্কো-গোয়া বিমানে বোমাতঙ্ক (Bomb Threat) ছড়িয়েছিল। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে আসা একটি ফোনে দাবি করা হয়েছিল, বিমানের মধ্যে বোমা রয়েছে। সেই বিমানে ছিল ২৪৪ জন যাত্রী। সেই সময় বিমানটিকে গুজরাটের জামনগরে নামানো হয়। তবে বিমানের মধ্যে তল্লাশি চালিয়েও কোনও বোমার সন্ধান মেলেনি। একইভাবে দিন কয়েক আগেও দিল্লি-পুণের স্পাইস জেট বিমানের মধ্যে বোমা রয়েছে বলে খবর মেলে। যদিও শেষ অবধি কোনও বোমা পাওয়া যায়নি।

    উজবেকিস্তানের বিমানবন্দরে অবতরণ করবে ওই বিমান। ওর পরই যাত্রীদের নামিয়ে এনে চলবে তল্লাশি। সূত্রের খবর, পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই ফের ওই বিমানকে গোয়ার উদ্দেশে রওনা করা হবে।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    এর আগের বিমানটিকে (Bomb Threat) জামনগরে অবতরণ করতেই তা ঘিরে ফেলেন এনএসজির কমান্ডোরা। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকে। প্রথমে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে তন্ন-তন্ন করে খোঁজা হয় বিস্ফোরক। খুঁজে দেখা হয় উড়ানের প্রতিটা কোনা। কিন্তু তাতে কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর বিমানটি ফের গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • BBC: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    BBC: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি 

    বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “তথ্যচিত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠা এবং সত্যতার চরম অভাব রয়েছে। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।”   

    সংবাদ সম্মেলনে (BBC) আরও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখানো হয়নি। তথ্যচিত্রটিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা রীতিমতো পক্ষপাতদুষ্ট।

    এদিকে, নয়াদিল্লির এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সুনাক বলেন, ডকুমেন্টারিতে যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরা হয়েছে এর সঙ্গে তিনি একমত নন।  

    এই সিরিজ় নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।   

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল।

    যেই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি সরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিবিসি যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে, তা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চর্চা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share