Blog

  • Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    Pakistan: পাকিস্তানে খাদ্যসংকট তুঙ্গে, কী লিখলেন সে দেশের অধ্যাপক, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীর বেগে ছুটে যাচ্ছে আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাক। তার পিছু নিয়েছেন বাইক সওয়ারিরা। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছেন তাঁরা। ট্রাক কবজা করতে পারলেই চলছে লুঠতরাজ। গত কয়েক দিন ধরে এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এক বস্তা আটা-ময়দা পেতে নিত্যদিন এভাবেই জীবন বাজি রেখে দৌড়চ্ছেন পাকিস্তানবাসীর একাংশ (Food Crisis)।

    অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা…

    সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অধ্যাপক সাজ্জাদ রাজা। তিনি ন্যাশনাল ইক্যুয়ালিটি পার্টি জেকেজিবিএলের চেয়ারম্যান। ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, এটা কোনও মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নয়, বরং আটা-ময়দা ভর্তি ট্রাকের পিছু ধাওয়া করছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা। এই আশায় তাঁরা ধাওয়া করছেন, অন্তত এক বস্তা আটা-ময়দা তাঁরা কিনতে পারবেন। এর পরেই একটি প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের এই অধ্যাপক। তিনি লিখেছেন, এর পরেও কি পাকিস্তানে আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে? সাজ্জাদ আরও লিখেছেন, এই ভিডিওটি পাকিস্তানে কী ঘটছে, তার একটা ঝলক মাত্র।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    বাজারে আটা-ময়দা অমিল। অথচ এই আটা-ময়দাই পাকিস্তানের (Pakistan) বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের ওপর রয়েছে পেঁয়াজ সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ। মুরগির মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আটা-ময়দার মতো দাম বেড়েছে চাল-ডালেরও। এ সবেরই দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বাজারে সব কিছু নিয়মিত মিলছেও না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য গায়ে ছ্যাঁকা দিচ্ছে। টান পড়ছে পাক নাগরিকদের পকেটেও।

    ২০২২ সালে ভয়ঙ্কর বন্যার জেরে খাদ্যসংকট প্রবল হয়েছে পাকিস্তানে। গত বছর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দর ছিল ৩৬.৭০ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারির পাঁচ তারিখে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২২০.৪ টাকা। ডিজেলের দর বেড়ছে ৬১ শতাংশ। আর পেট্রোলের দর বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। সে দেশের বিভিন্ন বাজারে দশ কেজি গমের বস্তার দর হয়েছে ১৫০০ টাকা। বস্তা কুড়ি কেজি হলেই মূল্য চোকাতে হচ্ছে ২৮০০ টাকা। খাদ্য সংকটের জেরে বাজারগুলিতে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বাজারে পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় পদদলিত হওয়ার খবর মিলেছে।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশটির (Pakistan) অর্থনীতির হাল যে হাঁড়ির হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশও। জানা গিয়েছে, দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার এক বছরে হয়েছে অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেটাই হয়েছে ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এবারে নেপালের পোখরায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আজ, রবিবার ৭২ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়ল ইয়েতি এয়ারলাইনসের ATR-72 বিমান। পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়েতেই ভেঙে পড়ে এই বিমানটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল বিমানটি। বিমানে ছিলেন ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন কেবিন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায় (Nepal Plane Crash )।

    নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

    নেপালের সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, পোখরার পুরনো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল পৌঁছে গিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নেপালের বাসিন্দারা ছিলেন, ১০ জন বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন বিমানে। পাহাড়ে ধাক্কা লেগেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগিয়েছেন উদ্ধারকাজে। পাহাড়ের খাদে বিমানটি পড়ে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। বিমানে ৫ জন ভারতীয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।  

    ইতিমধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করেছে নেপাল সরকার। সোমবার ১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার।

    ইতিমধ্যেই সেই বিমান ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিমানটি যেখানে পড়ে আছে সেখানে আগুন জ্বলছে এবং আশেপাশে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটি নীচে ভেঙে পড়তেই আগুন ধরে যায় তাতে। ফলে বিমানের প্রত্যেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। আপাতত পোখরা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। ইউক্রেন জুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ডিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে যায়। সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিভ, খারকিভ এবং ওডেসা শহরের ওপরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ বাহিনীর মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের একটি বহুতলে মিসাইল হামলা হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। হামলার পরই প্রবল শীতের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়। একইদিনে রাজধানী কিভ এবং অন্যান্য স্থানেও হামলা চালায় রাশিয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া শনিবার প্রায় ২৮ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫টি গাইডেড এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০ টির মত ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নীচে নামানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ আটকাতে একের পর এক হামলা চালায় রাশিয়া, এমনই অভিযোগ। তবে এই প্রথমবার নয়, ইউক্রেনের শক্তি সরবরাহকারী ইউনিটগুলিকে বারবার নিশানা করে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গতকালের হামলায় ডিনিপ্রো শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৪। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।

    অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখল করেছে তারা, শুক্রবার এই দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেদারে এখনও জোর লড়াই চলছে এবং প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

    সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

    গতকালের ফের নৃশংস হামলার পর পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়ে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রাশিয়ার মোকাবিলা করতে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০টি সেলফ প্রপেলড এএস ৯০ বন্দুক পাঠানো হবে। সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকাও। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথে নেই, বরং নতুন করে মোড় নিচ্ছে এই যুদ্ধ।

     

  • Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। পুণ্য তিথিতে মকরস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম৷ এ বছর, তিথি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তি। চলবে রবিবার সন্ধ্যার একই সময় পর্যন্ত। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শনিবারেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও রবিবারের ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে মানুষের চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পূণ্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান পর্ব চলবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগরে৷

    রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে

    আট থেকে আশি, সকলের একটাই উদ্দেশ্য, পুণ্যার্জন। মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। গত দু’বছর করোনার কারণে মেলায় ভিড় হয়নি। তাই এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি ভক্ত এসেছে এই মেলায়। বেলা যত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। স্নান সেরে বহু পুণ্যার্থীই রওনা দিচ্ছেন কপিল মুনির মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চলছে পুজো-অর্চনা। এখানেও ভিড় করেছেন লাখো লাখো মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

    তবে এই উৎসবের আনন্দে মিশেছে বিষাদ। পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন

    এবছর ভিড় সামাল দিতে আগেই তৎপর প্রশাসন৷ মেগা কন্ট্রোলরুম, স্পিডবোট, ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। কুকুর নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে ৭ টি ভাষায় মাইকিং। দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরতটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। NDRF-র তিনটি ব্যাটিলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মীকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।

  • Khalistani terrorist: দিল্লিতে খালিস্তানি জঙ্গিদের ডেরা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার দিল্লি পুলিশের

    Khalistani terrorist: দিল্লিতে খালিস্তানি জঙ্গিদের ডেরা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে (Khalistani terrorist)। কিন্তু এর মাঝেও সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম লেগেই রয়েছে। তল্লাশি অভিযানের মাঝেই দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই খালিস্তানি জঙ্গি।

    আরও পড়ুন: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল   

    প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। চলছে তল্লাশি অভিযান (Khalistani terrorist)। সেই অভিযানেই দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে দুই জঙ্গি জগজিৎ ওরফে জস্সা এবং নৌশাদ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃতরা খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জেরা করেই ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। পুলিশের স্পেশ্যাল সেল শ্রদ্ধানন্দ কলোনীর একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ধৃতরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকত। সেই ডেরা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করে। 

    কী জানা গিয়েছে?     

    দুই জঙ্গিকে কদিন আগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Khalistani terrorist)। ধৃত জগজিৎ ওরফে জস্সা উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। এই দুই জঙ্গির বাড়ি জাহাঙ্গিরপুরিতে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন তথা ইউএপিএ-র ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এবার প্রাণনাশের হুমকি নিতিন গড়কড়িকে, নেপথ্যে দাউদ ইব্রাহিম!

    গোপনসূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা কানাডানিবাসী খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হর্ষদীপ (Khalistani terrorist) ডালার নির্দেশমতো কাজ করত। কদিন আগেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হর্ষদীপকে সরকারিভাবে জঙ্গি ঘোষণা করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১৭ সাল থেকে কানাডায় রয়েছে হর্ষদীপ।

    আরও পড়ুন: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও 

    পুলিশের অনুমান, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ধৃতরা (Khalistani terrorist)। জগজিতের সঙ্গে নৌশাদের যোগাযোগ পুলিশের চিন্তা বাড়াচ্ছে। একটি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগে আগে গ্রেফতার হওয়া নৌশাদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের সম্পর্ক বিশদে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jammer Guns: পাকড্রোন ধ্বংস করতে ভারতীয় সেনার নয়া প্রযুক্তি জ্যামার বন্দুক

    Jammer Guns: পাকড্রোন ধ্বংস করতে ভারতীয় সেনার নয়া প্রযুক্তি জ্যামার বন্দুক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে পাক সীমান্তে অনেকটাই বেড়েছে পাকড্রোনের যাতায়াত। এই ড্রোন হানাদারি রুখতে বফর্সের সাহায্য নিয়েছে ভারতীয় সেনা। অনেকাংশে সফলতাও এসেছে। গুলি করে নামানো হয়েছে বেশ কিছু পাক ড্রোন। কিন্তু এভাবে ড্রোন গুলি করে নামানোয় সমস্যা দেখা দেয় অনেক ক্ষেত্রে। নিশানা ভুল হলে সেই ড্রোন চলে যায় হাতের বাইরে। তাই এক্ষেত্রে চাই উন্নত প্রযুক্তি (Jammer Guns)। 

    জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং পাঞ্জাব-রাজস্থানের সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন হানার মোকাবিলার বিষয়টি সম্প্রতি উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য সেনা এবং বিএসএফ-কে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই পরামর্শ মেনেই জ্যামার বন্দুকের (Jammer Guns) ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চান গুলি করে নামানোর পাশাপাশি ড্রোন হানাদারি রোখার বিকল্প পথ তৈরি হোক। আর এই জন্যেই প্রয়োজন জ্যামার বন্দুক (Jammer Guns)। দেড় কিলোমিটার পাল্লার এই ‘জ্যামার বন্দুক’ আদৌ কোনও গুলি ছোড়ে না। এর থেকে বার হওয়া বিশেষ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি ঘেঁটে দিয়ে সেগুলোকে অচল করে দেয়, ফলে মাটিতে আছড়ে পড়ে ড্রোনগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেনাবাহিনী এবং বিএসএফের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু ড্রোন দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব সীমান্তে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ফলও মিলেছে। 

    আরও পড়ুন: এবার প্রাণনাশের হুমকি নিতিন গড়কড়িকে, নেপথ্যে দাউদ ইব্রাহিম!

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুপক্ষের ড্রোন নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে শুক্রবার। উন্নততর সমাধান বের করতে সেনাকে গবেষণা করতে বলা হয়েছে। ভারতীয় সেনা এবং সীমান্তরক্ষা বাহিনীর হাতে ইতিমধ্যেই ভালো প্রযুক্তি (Jammer Guns) রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবে।

    কীভাবে কাজ করে এই জ্যামার গান? 

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার হাতে যেসব জ্যামার বন্দুক (Jammer Guns) আছে তার কার্যকারিতা ১.৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। জ্যামারের অদৃশ্য রশ্মি ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি ঘেঁটে দেয়। ফলে প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সেগুলি মাটিতে পড়ে যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gangasagar Mela: কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ-বাস, প্রশাসনের অব্যবস্থায় সমস্যায় গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীরা

    Gangasagar Mela: কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ-বাস, প্রশাসনের অব্যবস্থায় সমস্যায় গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশার দাপটে বন্ধ হল গঙ্গাসাগরের (Gangasagar Mela) সমস্ত বাস পরিষেবা। আর সে কারণেই মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়ল না গঙ্গাসাগরের লঞ্চ। আর তার জেরে কচুবেড়িয়ার ৮ নম্বর লটেও লঞ্চ এবং ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বাবুঘাটেও বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের এমন অব্যবস্থায় ভয়ঙ্কর অসুবিধায় পড়লেন পুণ্যার্থীরা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে স্নান করার জন্য লঞ্চের অপেক্ষা করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সেখানে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হলেও, বাধ সেধেছে কুয়াশা। অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তে তীর্থযাত্রীদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। 
      
    কুয়াশার জেরে কাকদ্বীপের লট নম্বর–৮ থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল লট নম্বর–৮ এবং কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা। গতকাল রাত থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী অপেক্ষা করছেন এই এলাকায় (Gangasagar Mela)। ঘন কুয়াশার দাপটে এদিন সকাল থেকে নামখানা–বেনুবন পয়েন্টের লঞ্চ–বাস পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে শনিবার সকালে ক্রুজ ছাড়ার কথা থাকায় মিলেনিয়াম পার্কের কাছে জেটি ঘাটে উপস্থিত হন কমপক্ষে ২২১ জন তীর্থযাত্রী। যদিও ঘন কুয়াশার জেরে বন্ধ ভেসেল।

    ভোর সাড়ে ৫টায় এই ক্রুজ ছাড়ার কথা ছিল মিলেনিয়াম পার্ক (Gangasagar Mela) থেকে। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা সেখানে পৌঁছেও যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, বেসরকারি সংস্থার কাউন্টার বন্ধ। কোনও কর্মী সেখানে নেই। এরইমধ্যে কারও কারও ফোনে মেসেজ আসে ঘন কুয়াশার কারণে ক্রুজ ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুণ্যার্থীরা।

    এক অভিযোগকারী জানান, গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) যাওয়ার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ক্রুজ বুক করেছিলেন তাঁরা। অনলাইনে বুকিং প্রক্রিয়া চলে। ই-টিকিটও পেয়েছিলেন। সেই টিকিটের প্রিন্ট আউট সঙ্গে নিয়ে শনিবার মিলেনিয়াম পার্ক জেটি ঘাটে তাঁরা পৌঁছে যান। সকাল ৫টায় ছিল মিলেনিয়াম পার্কে পৌঁছনোর সময়। সকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। এদিকে নির্ধারিত সময় পার করে গেলেও কাউকে দেখতে পাননি তাঁরা।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? 

    আজ শনিবার ভোরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ ছিল। রাত ৩টে ৪৫ মিনিটের আপ ক্যানিং–শিয়ালদা লোকাল হঠাতই চম্পাহাটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটির ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিনে এই সমস্যার কারণেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং (Gangasagar Mela) আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে তা আবার স্বাভাবিক হয়। বাবুঘাট থেকে বাস পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সিএসটিসি, সিটিসি, এসবিএসটিসি’‌র প্রায় ৪০টি বাস এখনও বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডেই রয়েছে।  

    কী জানা গিয়েছে? 

    বেলা গড়াতে আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ায় আসতে আসতে ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও লট নম্বর–৮ এর কাছে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীরা আটকে রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যেবেলায় শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির স্নান। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) প্রাঙ্গণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গেলে যে তৃণমূল নেতার চড় খেতে হবে, কশ্মিনকালেও তা ভাবেননি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের সাগর বিশ্বাস। মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল নেতার হাতে সজোরে চড় খেয়ে অবশ্য সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ দিতে যে দিদির দূতেরা (Didir Doot) আসছেন, তাঁরা আসলে ‘ভূত’। সাগরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাতে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সাগরের। তবে সাগর যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তাই তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই কর্মসূচি রক্ষণাবেক্ষণে থাকবেন দিদির দূত। এও ঘোষণা করা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও দু কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

    দলীয় কর্মসূচি পালনের নির্দেশ পেয়ে পথে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান জন প্রতিনিধিরা। এদিন ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রথীন। সেখানেই বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর। তাঁকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। ধাক্কা মারতে মারতে সেখান থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, এদিন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় বোলপুরের সাংসদের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। উচপুর গ্রামেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কখনও সখনও এলাকায় বিধায়কের গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানালার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না।  এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ দু্র্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share