Blog

  • Joshimath: মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে জোশীমঠ! আতঙ্কের ছবি শেয়ার করল ইসরো

    Joshimath: মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে জোশীমঠ! আতঙ্কের ছবি শেয়ার করল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোশীমঠ ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গেছে জোশীমঠ! এমনই উদ্বেগজনক তথ্য মিলল ইসরোর রিপোর্টে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে জোশীমঠের মাটি। জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে গত ৮ জানুয়ারির মধ্যে জোশীমঠের মাটি ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে।

    ইসরোর প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র

    ইসরো-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি) জানাচ্ছে, ২০২২ সাল থেকে এই ধস শুরু হয়। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত একটি তথ্য দিয়েছেন এনআরএসসি। জানা গিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর এই সাত মাসে জোশীমঠের জমি ধসেছে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার। আবার ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ দিনেরও একটি রিপোর্ট সংস্থা সামনে নিয়ে এসেছে। প্রকাশ্যে এনেছে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবিও। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে ভূমি ধস ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। আর তা বেড়ে ৫.৪ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার।

    আর্মি হেলিপ্যাড এবং নরসিংহ মন্দিরের আশেপাশের অঞ্চলে মধ্য জোশীমঠের মাটির দ্রুত স্থানান্তর ঘটেছে। ইসরো-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “নিম্নপতনের শীর্ষস্থানটি ২ হাজার ১৮০ মিটার উচ্চতায় জোশীমঠ-আউলি রোডের কাছে অবস্থিত।”

    আরও পড়ুন: জোশীমঠের গৃহহীনদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু, স্থানীয়দের আশ্বস্ত করলেন ধামি

    ডুবন্ত জোশীমঠ…

    জোশীমঠকে (Joshimath) একটি ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে সেখানকার প্রশাসন, ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত কয়েকদিন ধরে জোশীমঠের (Joshimath) বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। একের পর এক বাড়িতে ফাটল বেড়েই চলেছে। হোটেল মালারি ইন ও মাউন্ট ভিউ, পাশাপাশি দুটি হোটেল ভাঙা শুরু হয়েছে। হোটেলের পিছনের দিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদেরও সরানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হোটেলের এক একটা তলা ধীরে ধীরে ভেঙে সরানো হচ্ছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে রেড ক্রস দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। আজ দেরাদুনে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ক্যাবিনেট বৈঠক করবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Tapas Mondal: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের নিজামে তলব সিবিআই-এর, নতুন নথির খোঁজ?

    Tapas Mondal: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের নিজামে তলব সিবিআই-এর, নতুন নথির খোঁজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal) আবার নিজাম প্যালেসে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ৩২৫ জনের নামের তালিকা সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপস মণ্ডলকে। গতকালই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে বিস্ফোরক এক দাবি করেন তাপস মণ্ডল। কুন্তল ঘোষ নামে এক যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভূমিকা নিয়েও তোলপাড় পড়ে যায়। সেই নিয়েই ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপসকে।   

    গত কাল প্রায় ছঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপসকে (Tapas Mondal)। সেখানে বিস্ফোরক দাবি করেন তাপস। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে হুগলি জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলে দাবি করেছেন তাপস। গতকাল এই কুন্তলের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তখন তাপস দাবি করেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে সাড়ে ১৯ কোটি নিয়েছেন কুন্তল। সিবিআই তাপসের এই দাবিতে শিলমোহর নিয়েছেন। যে ৩২৫ জনের তালিকা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা সামনে রেখেই আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাপসকে।

    কী জানা গেল?   

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ ও বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই আজ সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তলব করা হয় তাপসকে (Tapas Mondal)। এই ৩২৫ জনের বাইরে আর কারা কারা রয়েছে, তা তাপসের থেকে জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের কাছে যে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা গিয়েছিল, তা কোথায় গেল সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। পাশাপাশি কুন্তলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গতকাল মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল জানিয়েছিলেন নিয়োগকাণ্ডে ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল, কারা পেল, আর কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন তাঁদের সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা অধরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। কিছুদিন আগেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mondal)। জেরায় মানিকের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তাপস। তাপস জানান, যা করেছেন মানিকের নির্দেশেই। মানিকের নির্দেশেই পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। নিজাম প্যালেসে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাপস মণ্ডল বলেন, “মানিক টাকা নিয়েছেন, রসিদ দেননি। এখন পর্ষদ টাকা নিলে রসিদ দেয়।” ইতিমধ্যেই তাপসের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। কিছু দিন আগে এই মামলায় আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, ছেলে-সহ তাপস মণ্ডল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Abdul Raquib Qureshi: দোকানের আড়ালে চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ! আইএসের স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল কুরেশি!

    Abdul Raquib Qureshi: দোকানের আড়ালে চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ! আইএসের স্লিপার সেলের দায়িত্বে ছিল কুরেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি যোগের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) গ্রেফতার করেছিল মহম্মদ সাদ্দাম ও মহম্মদ সঈদকে। সেই সূত্রে ৯ জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদুল রাকিব কুরেশিকে (Abdul Raquib Qureshi)। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    কুরেশি…

    জানা গিয়েছে, কুরেশির নিজের একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আড়ালেই চালাত জঙ্গি কার্যকলাপ। সরকারি আইনজীবীর দাবি, কুরেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জঙ্গিদের ফিনান্স করত, সংগঠনের প্ল্যানিং করত, টেররিস্টদের লজিস্টিক সাপোর্টও দিত। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জেহাদি বই, মোবাইল, চিপ, মানি ব্যাগ, টাকা এবং পেন ড্রাইভ। সে যে দেশদ্রোহী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল, তারও প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী হামলার ছকও কষেছিল কুরেশি। গোটা দেশে জাল বিস্তার করেছিল এই জঙ্গিরা। কুরেশির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নোটবুক থেকে জেহাদি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। যুবকদের মগজধোলাই করে স্লিপার সেল চালানোর চেষ্টাও করছিল সে। ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ডে পাওয়ায় কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে কুরেশিকে। তাকে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ! কর্নাটকে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও দুই

    প্রসঙ্গত, তদন্তকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, জঙ্গি সংগঠন আইএসের (IS) নামে শপথ নিয়েছিল হাওড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম। তাকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছ থেকে যে ডায়েরি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, সেখান থেকেই এই তথ্য মিলেছে। ওই ডায়েরিতে যা লেখা হয়েছে, তা আরবিতে। এই ডায়েরির এক জায়গায় ধৃত সাদ্দাম লিখেছে, আইএসের প্রতি তার আনুগত্য বজায় রাখবে সে। সংগঠনের হয়ে কাজ করবে। এ ব্যাপারে শপথও নিয়েছে সে। এই ডায়েরি থেকেই জঙ্গি সংগঠনে কুরেশির (Abdul Raquib Qureshi) যুক্ত থাকার ইঙ্গিত মেলে। শেষমেশ মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Airport: এবার দিল্লি বিমানবন্দরে প্রকাশ্যে প্রস্রাব মদ্যপ যুবকের, গ্রেফতার

    Delhi Airport: এবার দিল্লি বিমানবন্দরে প্রকাশ্যে প্রস্রাব মদ্যপ যুবকের, গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি প্রস্রাব-কাণ্ডে যখন তোলপাড় দেশ, তখনই ফের এক বিমানযাত্রীর বিরুদ্ধে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠল। এবার বিমানে নয়, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রকাশ্যে প্রস্রাব করে গ্রেফতার হন এক ব্যক্তি। পরে জামিনে মুক্তিও পান তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ৮ জানুয়ারি দিল্লি বিমানবন্দরে ঘটনাটি ঘটে। সেইসময় মত্ত অবস্থাতে ছিলেন ওই যাত্রী। এমনকী তাঁকে থামাতে গেলে সহযাত্রীদের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর ৬ নম্বর প্রস্থান গেটের সামনে জৌহর আলি খান নামের এক যাত্রীকে প্রস্রাব করতে দেখা যায়। তিনি সেদিন দিল্লি থেকে সৌদি আরবের দাম্মাম যাওয়ার জন্য ফ্লাইট ধরতে এসেছিলেন। তার আগেই এমন কাণ্ড ঘটায় বিহারের বাসিন্দা জৌহর আলি খান।

    প্রকাশ্যে ওই যাত্রীকে এমন কাণ্ড ঘটাতে দেখে ঘাবড়ে যান উপস্থিত সকলেই। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েকজন তাঁকে নিরস্ত করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু তিনি তাঁদের হুমকি দেন ও অশালীন ভাষা প্রয়োগ এবং অভব্য আচরণ করতেও দেখা যায় বলে অভিযোগ। এর পর ঘটনার কথা জানতে পেরেই তৎপর হয় বিমান কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। যদিও পরে বন্ড দিয়ে জামিনে মুক্তি পান জৌহর।

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, তাঁরা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) কর্মীদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছে যে, টার্মিনাল ৩-এর গেট নং ৬-এ মত্ত অবস্থায় এক যাত্রী প্রকাশ্যে প্রস্রাব করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি চিৎকার করছিলেন, অশালীন গালিগালাজও করছিলেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। আইপিসি-র ২৯৪ নম্বর ধারা এবং ৫১০ নম্বর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে তাঁকে জামিনও দিয়ে দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে মত্ত অবস্থায় শঙ্কর মিশ্র নামের এক ব্যক্তি এক বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাব করায় তোলপাড় পড়ে যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সামনে এল প্রস্রাব-কাণ্ড।

  • Iran: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জের, ইরানে ফাঁসি ৫ জনকে, কড়া নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের

    Iran: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের জের, ইরানে ফাঁসি ৫ জনকে, কড়া নিন্দা রাষ্ট্রসংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে (Police Custody) মৃত্যু হয়েছিল মাহসা আমিনির। তার জেরে ইরানে (Iran) অব্যাহত প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সে দেশে ফাঁসি দেওয়া হল আরও একজনকে। গত বছর সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে মৃত্যু হয় বছর বাইশের আমিনির। অভিযোগ, ইরানের ড্রেস কোড মানতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। তাতে অংশ নেওয়ায়ই জাভেদ রাউহি নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পৃথিবীতে দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি।

    হিজাব…

    ইরানে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। এই হিজাব না পরায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আমিনিকে। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরেই ইরানে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলন দমন করতে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। এদিকে, এদিন আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। যদিও চার্জশিটে বলা হয়েছে, ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তাঁরা। যার সর্বোচ্চ সাজা প্রাণদণ্ড।

    আরও পড়ুুন: অস্কারের দৌড়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘‘লাপিড যোগ্য জবাব পেলেন’’, বললেন মিঠুন

    প্রসঙ্গত, এ নিয়ে গত তিন মাসে ১৭ জনকে প্রাণদণ্ডের সাজা দেওয়া দিল ইরান (Iran) সরকার। এর মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। দু জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। এদিন যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সালে মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও সইদ ইয়াগুবি। এই তিনজনের চার্জশিটেও লেখা হয়েছে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় জেল হয়েছে আরও দুজনের।

    শনিবারই মহম্মদ মেহদি কারামি এবং সইদ মহম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান সরকার। ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে মহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহানাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকেও। হিজাব বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। ইরানের (Iran) এই সাজা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভোলকের টার্ক। তিনি বলেন, যাঁরা মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের দমন করতে মানুষ খুন করছে খোদ রাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    Contai Municipality: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো মামলা’র তদন্তে এবার মামলাকারী কাকলী পণ্ডার স্বামী তথা কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পণ্ডাকে তলব করল সিবিআই। একই সঙ্গে  কাঁথি থানার দুই আধিকারিককেও বুধবার  নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। গত সপ্তাহে অভিযোগকারী কাকলি পণ্ডা অর্থাৎ শান্তনুর স্ত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এবার শান্তনুর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিজামপ্যালেসে কাঁথি থানার এসআই ও এক কনস্টেবলকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    গত ২৮ ডিসেম্বর  রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাকলি। তাঁর অভিযোগপত্রটি থানায় জমা করে আসেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রামচন্দ্র। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনাক্রমে অভিযোগকারী কাকলিও আদালতে জানান, কয়েক জন প্রভাবশালীর চাপে তিনি এই মিথ্যা মামলা রুজু করেছেন। তিনি প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন। এর পরেই আদালত কাকলি ও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। আর রামচন্দ্রকে নিঃশর্ত জামিন দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    কারা জড়িত 

    জামিনে মুক্তির পরই রামচন্দ্র দাবি করেছেন যে পুলিশি জেরার নামে তাঁর উপর অত্যাচার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কে তথ্য চায় পুলিশ। এমনকি, জোর করে নন্দকুমারের একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে শুভেন্দুর টাকা কোথায় রয়েছে, তা জানতে চেয়ে চাপ দেওয়া হয়।  এই ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবার কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে দীর্ঘক্ষণ নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার পর কাঁথি থানার এক এসআই-সহ দুই কনস্টেবলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার যে দাবি করেছিলেন কাকলি, তাঁদের কারও নাম এখনও জানা যায়নি। এই গোটা ঘটনার পিছনে ঠিক কারা রয়েছেন, এ রকম নানা তথ্য জানতে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    Calcutta High Court: চাপে পড়ে আইনজীবীদের বয়কট-বিক্ষোভ প্রত্যাহার! বিচারপতি মান্থাকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বয়কট উঠল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন আইনজীবীদের একাংশ। আগেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছিলেন আইনজীবীরা। তবে বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু এবারে জানা গিয়েছে, বিচারপতিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এলেন। আদালত অবমাননার রুল জারি হওয়ার পরই আইনজীবীদের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার সকালে অনেকটাই স্বাভাবিক হল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcuta High Court) পরিস্থিতি।

    আইনজীবীদের রণে ভঙ্গ!

    গত কয়েকদিন ধরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের সামনে দেখা যাচ্ছিল আইনজীবীদের ভিড়। সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর মঙ্গলবারই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। পরে আজ সকালে বিক্ষোভ করতে না দেখা গেলেও বিচারপতিকে বয়কটে অনড় ছিলেন আইনজীবীরা। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বয়কটও উঠিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসে আদালত। স্বাভাবিক নিয়মেই শুরু হয় আদালতের কাজ। এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে ৭টি মামলার শুনানি হয়েছে।

    বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কী বলা হল?

    এদিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মৌলিক বলেন, “এই এজলাসের সামনে আর অবস্থান করা হবে না, বারের সম্পাদক হিসেবে আশ্বস্ত করছি। কোনও মামলায় দুপক্ষ উপস্থিত না থাকলে সেই মামলায় কোনও রায় না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।” এর পরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, “আমার একটাই অনুরোধ, কোর্টের সম্মান নষ্ট করবেন না। শুধু মাত্র আমার এজলাস নয়, অন্য কোনও বিচারপতির ক্ষেত্রেও এমনটা যেন না ঘটে। দয়া করে সে দিকে নজর দিন।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হাইকোর্ট চত্বর

    হাইকোর্টের ঘটনায় ‘তিতিবিরক্ত’ রাজ্যপাল

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের বিক্ষোভের ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। তিনি গতকাল রাতেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে তলব করে বিচারপতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে সবরকম সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা এবং তাঁর বাড়ির বাইরে লাগানো পোস্টার খোলা হয়েছে কিনা সেব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে তথ্য জানাতেও বলেছেন রাজ্যপাল।

  • Rahul Gandhi: ‘রাহুলের উচিত আরএসএসের শাখায় উপস্থিত হওয়া’, কেন বললেন বিজেপি নেতা, জানেন?

    Rahul Gandhi: ‘রাহুলের উচিত আরএসএসের শাখায় উপস্থিত হওয়া’, কেন বললেন বিজেপি নেতা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) উচিত কয়েক দিনের জন্য আরএসএসের (RSS) শাখায় উপস্থিত হওয়া। কারণ তিনি সংগঠন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। এর ঠিক একদিন আগেই আরএসএসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন রাহুল। এদিন তাঁকে মুখের মতো জবাব দিলেন হরিয়ানার বিজেপি (BJP) নেতা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও একহাত নিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতাকে। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে কংগ্রেস নেতারাও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছেন। রাহুলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তিনি পাপ্পুই রয়ে গেলেন! প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতারা রাহুলকে প্রায়ই এই অভিধায় ভূষিত করেন।

    প্যালেস অন হুইলস...

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রায় রয়েছেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এই যাত্রা চলাকালীন সোমবার হরিয়ানার আম্বালায় একটি সভায় তিনি আরএসএসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। আরএসএস সদস্যদের তিনি একবিংশ শতাব্দীর কৌরব বলে মন্তব্য করেছিলেন। হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজ রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তিনি (রাহুল) মুখে গরিবদের কথা বলেন। কিন্তু ভারত জোড় যাত্রার সময় তিনি ঘুমোন প্যালেস অন হুইলসে। ভিজ বলেন, আরএসএস সম্পর্কে তিনি (রাহুল) কিছুই জানেন না। তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করার অধিকার তাঁর নেই। এই বিজেপি নেতা বলেন, আরএসএসের কারণেই বর্তমানে দেশ অখণ্ড রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    এর পরেই তিনি বলেন, রাহুলের (Rahul Gandhi) উচিত কয়েক দিনের জন্য আরএসএসের শাখায় যোগ দেওয়া উচিত রাহুলের। কারণ সংগঠন সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। প্রবল ঠান্ডায় টি-শার্ট পরেই ভারত জোড় যাত্রা করছেন রাহুল। গোটা যাত্রা পথে এই পোশাকই পরে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কারণ হিসেবে রাহুল জানিয়েছিলেন, ভারত জোড় যাত্রার সময় মধ্য প্রদেশে তিনি তিনজন দরিদ্র মেয়েকে ছেঁড়া জামাকাপড় পরে ঠান্ডায় কাঁপতে দেখেছিলেন। সে প্রসঙ্গ টেনে ভিজ বলেন, রাহুল গান্ধীর উচিত ছিল ওই মেয়েদের বাড়িতে যাওয়া। চাক্ষুষ করা উচিত ছিল তারা কীভাবে বাঁচে, তারা কোথায় ঘুমোয়। ভিজ বলেন, তিনি (রাহুল) তো প্যালেস অন হুইলসে ঘুমোন। এতে লাক্সারি ব্যবস্থা রয়েছে। এটা তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে। তাঁর (Rahul Gandhi) এই যাত্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভিজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়! বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচার ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। বিচারপতিদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে ভারতের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয়। ভয় দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছা চরিতার্থ করা যাবে না। আদালতে আইনজীবীদের একাংশের তাণ্ডবকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abijit Ganguly)। 

    বিচারপতি যা বললেন 

    মঙ্গলবার আদালতের বাইরে গণদর্পণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সাংবাদিকরা তাঁকে সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও কোর্ট রুমের বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে এটা ঠিক, পৃথিবীশুদ্ধু সবাই দেখতে পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আইনজীবীদের একটা অংশ বিচারপতি ও জেলা আদালতের বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনতে চাইছেন। তবে গতকাল প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় একটা যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা এত ঠুনকো নয় যে কেউ চাইলেই সন্ত্রস্ত করতে পারবে। এটা সম্ভব নয়। যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন।’ বিচারপতি এও বলেন, সোমবার হাইকোর্টে যা ঘটেছে তা সংবাদমাধ্যমের দৌলতে গোটা দেশ জেনে গিয়েছে। গতকাল দেখা গিয়েছিল, হাইকোর্ট ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়েছে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য না করেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারাও দেখেছেন, আমিও দেখেছি কী হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার তাঁর এজলাস বয়কটের ডাক দেন কিছু আইনজীবী। কেন বারবার বিচারপতি মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। অন্য আইনজীবীরা বিচারপতি মান্থার এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। গোটা বিষয়টি এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উত্থাপিত হয়। আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এই ঘটনায় কারা কারা দোষী তা চিহ্নিত করবেন প্রধান বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠল সে দেশের মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের জমি এইভাবে দখল করার বিরুদ্ধে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা সমাজ ইতিমধ্যে আন্দোলন শুরু করেছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজ জমি উদ্ধারের দাবিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পূজো উৎসব পরিষদের সহ-সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন যে শুধুমাত্র ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) নয় সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বহু ধার্মিক পীঠস্থান এবং তীর্থস্থানের জমি কট্টরপন্থীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে, এগুলিকে যত দ্রত সম্ভব দখল মুক্ত করা সরকারের কর্তব্য।

    ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) ইতিহাস

    অতি প্রাচীন ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) ঢাকার প্রথম মন্দির বলেই জানা যায়। এই মন্দিরের নাম অনুসারেই শহরের নাম হয়েছে ঢাকা। অনেকেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির মানেন। কথিত আছে বাংলার সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন ১২ শতাব্দীতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক অবশ্য এই মতকে স্বীকার করেন না কারণ এই মন্দিরের নির্মাণশৈলী তৎকালীন সময়ের সঙ্গে মেলে না। হিন্দু ধর্মাবলীদের বিশ্বাস রয়েছে ভগবান বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ঢাকেশ্বরীর প্রতিমা ৮০০ বছরের পুরনো মূর্তি বলে জানা যায়। দেশভাগের সময় কলকাতার কুমোরটুলি এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটের শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতা মন্দিরে এই মূর্তিকে এনে রাখা হয়। সম্ভাব্য হামলা থেকে প্রতিমাকে রক্ষা করতে ১৯৪৮ সালে রাজেন্দ্র কিশোর তিওয়ারি এবং হরিহর চক্রবর্তী বিশেষ বিমানে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে কলকাতাতে এই মূর্তিটি এনেছিলেন বলে জানা যায়। 

    সেদেশের সংখালঘু সংগঠন কী বলছে

    বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন মণীন্দ্রকুমার নাথ। তিনি বলেন, “রাজা মানসিংহ এই মন্দিরের (Dhakeshwari temple) পাশে ১৯০৮ সালে ২০ বিঘা জমি দিয়েছিলেন। এখন মন্দিরের জমি ৭.৫ বিঘা থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। আন্দোলন করে, দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ১.৫ বিঘা জমি ফেরত পাওয়া গেছে কিন্তু এখনও ১২ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি আরও অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করতে চাইনা আমরা কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে জমি ফিরে পাওয়া আমাদের আইনি অধিকার”।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সফরে এসে এই মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় অস্মিতার  প্রতীক মানেন  অনেকেই। গত দুর্গাপূজোর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে থাকার জন্য অনলাইনে পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন।

LinkedIn
Share