Blog

  • Virat Kohli: শচিনের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বিরাট! শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে জয় ভারতের

    Virat Kohli: শচিনের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বিরাট! শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথম একদিনের ম্যাচে জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো বছর শেষ করেছিলেন শতরান দিয়ে। নতুন বছর শুরুও করলেন সেই শতরান দিয়েই। গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝলসে উঠল বিরাট-ব্যাট। বছরে নিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই শচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ডে ভাগ বসালেন কোহলি। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বাধিক শতরানের রেকর্ড এতদিন ছিল শচিনের দখলে। দেশের মাটিতে সর্বাধিক ২০টি ওয়ান ডে শতরান (১৬৪টি ম্যাচ খেলে) করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। এদিন সিংহলিদের বিরুদ্ধে শতরান করে শচিনের পাশে বিরাট (২০টি শতরান, ১০২টি ম্যাচ খেলে)। এই সিরিজে একাধিক শতরান করতে পারলে শচিনের রেকর্ড ভেঙে এককভাবে এই রেকর্ড নিজের নামে করে নেওয়ারও হাতছানি রয়েছে কোহলির সামনে। বিরাট-ব্যাটে ভর করে প্রথম একদিনের ম্যাচে সহজেই জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু শেষ লগ্নে চাপের মধ্যেও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকার শতরান ইডেনে চাপে রাখবে টিম ইন্ডিয়াকে।

    রানে ফিরলেন রোহিতও

    এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে প্রথম এক দিনের ম্যাচে রানে ফিরলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। একটুর জন্য শতরান হারালেন তিনি। ৮৩ রান করে দাসুন মদুশঙ্কের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন রোহিত। রান করলেন ভারতের আর এক ওপেনার শুভমন গিল। ভারতীয় ব্যাটারদের দাপটে গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৩৭৩ রান করল ভারত। এদিন টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। খেলার শুরুটাই বুঝিয়ে দিয়েছিল কী হতে চলেছে। প্রথম ওভার থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমন। দাসুন শনাকার বলে ৭০ রান করে এলবিডব্লিউ হলেন শুভমন। ১৪৩ রানে পড়ল ভারতের প্রথম উইকেট। এরপর শুধুই বিরাট আধিপত্য।

    আরও পড়ুন: ‘এই ঘটনা আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে’, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে অর্শদীপ

    কোহলির একাধিক রেকর্ড

    বাংলাদেশে যে ছন্দে ছিলেন, সেই ছন্দেই দেখা গেল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। প্রথম থেকে ধীরে ধীরে রান করছিলেন। এক বার হাত জমে যাওয়ার পরে বড় শট খেলা শুরু করলেন। সেই সঙ্গে উইকেটের মধ্যে তাঁর দৌড়ে রান তো ছিলই। শ্রীলঙ্কার বোলারদের দু’বার সুযোগ দিয়েছিলেন কোহলি। ৫২ রানের মাথায় উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ দেন কোহলি। কিন্তু কুশল মেন্ডিস সেই ক্যাচ ছাড়েন। এর পরেও সুযোগ দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু সে বার ক্যাচ ফেলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক শনাকা। তার পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ৮০ বলে শতরান করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৭৩তম শতরান করলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৫তম শতরান হল তাঁর। ৮৭ বলে ১১৩ রান করে আউট হলেন কোহলি। এদিন শচিনের একটি রেকর্ড ভাঙেনও কোহলি। ভারত-শ্রীলঙ্কা এক দিনের ক্রিকেটের লড়াইয়ে সব থেকে বেশি শতরান করার কৃতিত্ব এত দিন যৌথ ভাবে শচিন এবং কোহলির দখলে ছিল। দু’জনেই আটটি করে শতরান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শচিন ৮৪টি এক দিনের ম্যাচে আটটি শতরান করেছিলেন। গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের নবম শতরান করলেন কোহলি। তার জন্য তিনি নিয়েছেন মাত্র ৪৮টি ম্যাচ। 

    দিশেহারা শ্রীলঙ্কা

    ভারতের পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমেই দুই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভার শেষে দাসুন শনাকাদের স্কোর দাঁড়ায় ৩৮/২। ভারতীয় পেস আক্রমণের সামনে শুরু থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে সিংহলিরা। ভারতের হয়ে প্রথম দুটি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ভারতকে তৃতীয় সাফল্য এনে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার পেস সেনশেনর উমরান মালিক। উমরান তিনটি উইকেট নেন। সামি নেন একটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন যুজুবেন্দ্র চাহাল ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৪০ ওভারে ২২০ রানে ৮ উইকেট পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার। কিন্তু অধিনায়ক শানাকার শতরানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৩০০ রানের গণ্ডি টপকায় সিংহলিরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    Kanthi: সিবিআই দফতরে কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী! টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় তলব আরও এক পুলিশ আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় কাঁথি থানার দুই পুলিশকর্মী মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন এসআই অনির্বাণ রায় ও এক কনস্টেবল।  সিবিআই দফতরে তাঁরা ঘণ্টাখানেক ছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। কাঁথি পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের মোট ৩ জন পুলিশকর্মীকে তলব করেছিল। তাঁদের মধ্যে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে এসেছিলেন ২ জন। বুধবার আরও এক জন সিবিআই দফতরে এসে হাজিরা দেবেন। এর আগে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

    মিথ্যা মামলা

    কাঁথির শ্মাশান দুর্নীতি মামলায় ঠিকাদার রাম পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন যে মহিলা তিনি দাবি করেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর রাজ্যের এক প্রভাবশালী জোর করে তাঁকে অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করান। নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কারণে তিনি ওই নাম আদালতকে জানাননি। এর পর আদালত সাজানো এফআইআর-এর নেপথ্যে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ দিকে,কাকলি নামে ওই মহিলাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    এরপরই টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নিঃশর্ত জামিন পান রামচন্দ্র। জামিনের পর রামচন্দ্র জানায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।”  এরপরই কাঁথি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Joshimath: প্রাণ গেলে যাক! জোশীমঠে ঘর ছাড়তে নারাজ বাসিন্দারা

    Joshimath: প্রাণ গেলে যাক! জোশীমঠে ঘর ছাড়তে নারাজ বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়নের মাশুল দিচ্ছে  জোশীমঠ। সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে বানানো বাড়ি ছেড়ে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে ত্রাণ শিবিরে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করার পরেও স্থানীয়রা ঘর ছাড়তে নারাজ। প্রাণ গেলেও ভিটে-মাটি থেকে উৎখাত হতে নারাজ স্থানীয় নাগরিকেরা। পর্যাপ্ত পুনর্বাসন না থাকার অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। এক কামরার ঘরে গোটা পরিবারের আসবাব পত্র কীভাবে রাখা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

    ধ্বংসের পথে যোশীমঠ!

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গত কয়েকবছর ধরেই। ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে ওঠা উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার যোশীমঠ শহর ক্রমশ বসে যাচ্ছে। ধসে পড়ছে বাড়িঘর, মন্দির। সেখানকার রাস্তা, হোটেল, বাড়ির মেঝে ও দেওয়ালে চওড়া ফাটল দেখা দিচ্ছে। যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার দিন গুনছেন জোশীমঠের বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া চার হাজারের বেশি মানুষ। ফাটল ধরেছে ৬৭৮ বাড়িতে এই পরিস্থিতিতে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ (National Disaster) ঘোষণার দাবি তুলছেন স্থানীয়রা। জোশীমঠ নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার জোশীমঠ নিয়ে আবেদনের জরুরি শুনানির দাবি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৬ই জানুয়ারি জোশীমঠ মামলা শুনবে সুপ্রিমকোর্ট। শুনানির দিন ধার্য করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, মামলাকারী অন্য কোন সংস্থার কাছেও আবেদন করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীও

    জোশীমঠে রয়েছে SDRF এবং NDRF-এর টিম। সমাধানের খোঁজে সাতটি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি।  জোশীমঠের পরিস্থিতি কী, সঠিক ভাবে তা জানতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়েছে আগেই, তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি, জোশীমঠকে বাঁচানোর জন্য সকলকে একত্রিত ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। জোশীমঠ উদ্ধারে এলাকাকে তিনভাগে  ভাগ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিরাপদ, বিপদ কম এবং বিপদ যুক্ত, তিন ভাগে ভাগ করে কাজ শুরু করা হয়েছ।  মঙ্গলবার থেকে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করার কথা। প্রথমে ভাঙার কথা ছিল বিপজ্জনক হোটেলগুলি। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অসহযোগিতায় নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শুরু করা যায়নি হোটেল ভাঙার কাজ। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে এই এলাকার হোটেল এবং ঘরগুলি ভাঙা হবে বুলডোজার দিয়ে। কোন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ‘প্রজাপতি’ সিনেমাকে নন্দনে চলতে না দেওয়া নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল সাংসদ দেবের প্রযোজনা সংস্থার ছবি হলেও, বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই সিনেমায় থাকায় নন্দন বয়কট করে সিনেমাটিকে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছবিতে মিঠুনের অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, মিঠুনের খারাপ অভিনয়ের জন্যই নাকি দেবের ওই ছবি ফ্লপ করেছে৷ তাঁর জায়গায় দেব পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিলে অনেক ভালো করতেন ৷ 

    যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে সর্বসমক্ষে খারিজ করে দিয়েছেন দেব (Mithun Chakraborty)৷ তিনি বলেছেন, “কুণাল ঘোষ ছবির বিষয়টি বোঝেন না৷ তাই এটা আমাদের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত৷” নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রজাপতি ছবির একটি দৃশ্যও পোস্ট করে দেব ক্যাপশনে লেখেন ‘এমনি’৷ এই পোস্টের মাধ্যমেই দেব কুণালের মতো সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন অনেকে।

    কী বলেছেন মিঠুন? 

    এবার কুণাল ঘোষকে কড়া জবাব দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কুণাল ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি৷ মিঠুন কুণালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “যতই চেষ্টা করা হোক, তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত কেউ তাঁর টিআরপি নামাতে পারবেন না৷” ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মিঠুন আরও বলেন, “আমার টিআরপি কোনওদিনই কমানো যাবে না। আমার টিআরপি নামাতে চেয়েছিলি। আমার মরা পর্যন্ত সেটা পারবি না।” কুণাল ঘোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “আমি এলি তেলিদের কথার জবাব দিই না। ওসব গঙ্গারামদের কথায় জবাব দিই না।‌”

    আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘পাঠান’- এর ট্রেলার, উন্মাদনা নেট পাড়ায়

    ত্রিপুরায় প্রচারের জন্য বিজেপির স্টার ক্যাম্পেইনার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এবার গেরুয়া শিবিরের হয়ে ত্রিপুরাতেও প্রচার করবেন তিনি। প্রচারের জন্য প্রতিবেশী এই রাজ্যে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে তিনি বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে চলেছেন, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি মিঠুন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ! যে ভারতের (India) বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদারি করতে মুখিয়ে রয়েছে চিন (China), করোনা পরিস্থিতিতে সেই ভারতের ওষুধের দিকেই হা-পিত্যেশ করে রয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। হ্যাঁ, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের (Generic Medicine) চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে। চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সে দেশে বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক জাল ওষুধ। চিনের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ক্রেতাদের।

    করোনার ঢেউ…

    সম্প্রতি চিনে ফের আছড়ে পড়েছে করোনার ঢেউ। এক সময় চিনেই প্রথম মিলেছিল মারণ এই ভাইরাসের দেখা। সেখানে থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল তামাম বিশ্বে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও, ব্যতিক্রম কেবল চিন। অথচ করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে বেজিং। নেওয়া হয়েছিল জিরো টলারেন্স নীতিও। তার পরেও রোখা যায়নি করোনার বাড়বাড়ন্ত। জানা গিয়েছে, চিনে ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এমতাবস্থায় চিনের ভরসা ভারতের জেনেরিক ড্রাগ। রবিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিডকে রেজিস্টার অফ ড্রাগের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কারণ কোম্পানির কোটেশন চড়া। যেহেতু প্যাক্সলোভিডের সরবরাহ কম, তাই চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় ওষুধের জেনেরিক ভার্সানের (Generic Medicine) দাম গিয়েছে চড়ে।

    আরও পড়ুুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    সে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে…অন্তত ভারতে উৎপন্ন চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ-প্রাইমোভির, প্যাক্সিসটা, মলনুনাট এবং মলনাট্রিস বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাইমোভির এবং প্যাক্সিসটা দুটোই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক ভার্সান। বাকি দুটি মলনিপিরেভির জেনেরিক ভার্সান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই চারটি ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। তবে চিনে এটির প্রয়োগ বৈধ নয়। বেজিং মেমরিয়াল ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান হি জিয়াওবিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানকার সোর্স বিশ্বস্ত, যার কোভিড ওষুধে গ্যারান্টিযুক্ত ফল হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু অবৈধ গোষ্ঠী এই ওষুধগুলির বিপুল চাহিদাকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা জাল ওষুধ তৈরি করছে। এতে রোগীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এদিক, ভারত চিনকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইচ্ছে করলে সে দেশের নাগরিকদের জন্য ওষুধের দাম কমাতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসটিএফের জালে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গিকে জেরা করেই গতকাল মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে এমন কিছু জিনিস মিলেছে, যা থেকে তাঁর জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে।

    গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা

    গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সৈয়দ। এই দু’ জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই কুরেশিকেএই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুরেশি দেশের আইএস-এর অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়ার পর এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে ও বুধবার তোলা হবে আদালতে।

    ধৃত দুই জঙ্গির থেকে কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ?

    আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাদ্দাম, সৈয়দরা। সাদ্দামদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। এছাড়াও সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে কুরেশি। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের সম্পর্কে কী কী তথ্য পেল এসটিএফ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাদ্দাম ও সৈয়দ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক এবং হত্যাকাণ্ডের মত ভিডিও ভাইরাল করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর এই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জির গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই প্ল্যানিং ছিল সাদ্দাম ও সৈয়দের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃশংস হত্যাকান্ডের ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেশ এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে উত্তপ্ত করা।

    আবার এই দুই যুবক পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত এবং তাদের থেকে অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে তা এই রাজ্য তথা দেশের উপর প্রয়োগ করত। এটিই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়াও দুই জঙ্গি সন্দেহে যুবকের কাছ থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু সাংকেতিক কথাবার্তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। এবার তা ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে লালবাজার।

  • Narendra Modi: যাত্রা শুরু বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’-এর, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: যাত্রা শুরু বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’-এর, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। শুক্রবার শুভক্ষণে বিলাসবহুল প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস’-এর (Ganga Vilas) যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বারাণসীতে (Varanasi) ওই জাহাজের যাত্রার সূচনা করেন তিনি। এদিন বারাণসীতে টেন্ট সিটিরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আরও কয়েকটি অন্তর্দেশিয় জলপথ প্রজেক্টেরও শিলান্যাস করেন তিনি। এই প্রকল্পগুলির জন্য খরচ হবে হাজার কোটিরও বেশি টাকা।

    গঙ্গা বিলাস…

    এদিন বারাণসীতে উপস্থিত ছিলেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোনোয়াল বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রার সূচনা লগ্নের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে। বিলাসবহুল এই জাহাজ উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ হয়ে ডিব্রুগড়ে পৌঁছবে। এই যাত্রার মাধ্যমে কেবল পর্যটন নয়, বাণিজ্যপথও খুলে যাবে। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গত তিনদিন ধরে গঙ্গা বিলাসের পর্যটকেরা বারাণসী এবং তার আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখছেন। প্রত্যক্ষ করছেন সেখানকার সংস্কৃতি। প্রধানমন্ত্রী এদিন রাজ্যে পাঁচটি জেটিরও উদ্বোধন করবেন। আজ থেকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত হবে কাশী।

    আরও পড়ুুন: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, এই প্রমোদতরীর যাত্রীরা মা কামাখ্যা, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান এবং অন্যান্য জায়গা দেখার সুযোগ পাবেন। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। তিনি বলেন, বিহারের প্রতিটি বন্দরে পর্যটকদের স্বাগত জানানো হবে। ঐতিহাসিক স্থানগুলি দেখাতেও নিয়ে যাওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী একটি বার্তা শেয়ার করেছেন বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে। তাতে বলা হয়েছে, সমস্ত বিদেশি পর্যটকদের প্রতি আমার একটি বিশেষ বার্তা রয়েছে। ভারতে সব কিছু রয়েছে যা আপনারা কল্পান করেন কিংবা তারও বেশি। ভারতকে ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায় না, এক্সিপিরিয়েন্স করতে হয়। বারাণসী থেকে ছেড়ে গঙ্গা বিলাস ৩ হাজার ২০০ কিমি পাড়ি দিয়ে পৌঁছবে অসমের ডিব্রুগড়ে। সব মিলিয়ে লাগবে ৫১ দিন। এর মধ্যে ১৫ দিন কাটবে বাংলাদেশের নদনদীতে। ভারত ও বাংলাদেশের ২৭টি নদীর ওপর দিয়ে যাবে এই বিলাসবহুর প্রমোদতরণী। জাহাজটিতে রয়েছে তিনটি ডেক। স্যুইট রয়েছে ১৮টি। ভ্রমণ করতে পারবেন ৩৬ জন। সূচনা যাত্রায় থাকছেন ৩২ জন পর্যটক। এঁরা সবাই সুইজারল্যান্ডের। পুরো যাত্রাপথ এঁরা যাবেন গান গাইতে গাইতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • MHA: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    MHA: জেলে মৌলবাদ ভাবাদর্শ প্রচার করা বন্দিদের আলাদা রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সব বন্দি (Jail Inmates) মৌলবাদের ভাবাদর্শ প্রচার করছে, যারা নঞর্থক চিন্তাভাবনা প্রচার করার চেষ্টায় রয়েছে, তাদের জন্য আলাদা কুঠুরির ব্যবস্থা করতে বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। সম্প্রতি এই মর্মে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কেবল ওই ধরনের বন্দিই নয়, যাদের মাদক এবং ওষুধ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জন্যও পৃথক এনক্লোজারের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই সব বন্দিরা যাতে জেলের অন্য আবাসিকদের সঙ্গে মেলামেশা করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে। তারা যাতে ওই সব বন্দির সঙ্গে মেলামেশা করে তাদের ভাবধারা সঞ্চারিত করতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আচরণবাদী বিশেষজ্ঞ…

    মৌলবাদের ভাবাদর্শ প্রচারের অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা জেল খাটছে তাদের মধ্যে থেকে মৌলবাদের চিন্তাভাবনা দূর করতে হবে। সেজন্য মাঝে মধ্যে সেশন করতে হবে। এই সেশন করতে হবে জেলের মধ্যেই। সেজন্য সংশোধন ও আচরণবাদী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসতে হবে। তাঁরাই বন্দিদের মধ্যে থেকে উপড়ে ফেলবেন মৌলাবাদী চিন্তাভাবনার শেকড়। বিপথে চালিত হওয়া বন্দিরা যাতে ফের সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে পারে তাই এই সেশনের আয়োজন করতে হবে। এবং সেটা করতে হবে নিয়মিত।

    আরও পড়ুুন: ‘চিন সেনা মোতায়েন করলেও, ভারত জবাব দিতে প্রস্তুত’, বললেন সেনা প্রধান

    জানা গিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিব এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির ডিজি এবং কারা দফতরের আইজিকে। প্রিজন ম্যানেজমেন্ট যাতে ঠিকঠাকভাবে করা হয়, সে ব্যাপারেও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। মডেল প্রিজন ম্যানুয়াল ২০১৬-ও অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ওই ম্যানুয়েলে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, তাও অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বন্দিরা যাতে নিরাপদে থাকে এবং তাদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারেও নজর দিতে বলা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    NIA Arrest: আদালতে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল কুরেশি! আইসিস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সাদ্দামের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তালিবানি স্লোগান দিয়েছিল আইএস (IS) জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আবদুল রাকিব কুরেশি (NIA Arrest)। দীর্ঘ দিন সংশোধনাগারে থাকলেও, সে নিজেকে সংশোধন করেনি। ২০১৯ সালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের সে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও আইএসের স্লিপার সেল চাঙা করার কাজে নেমে পড়ে। ২০০৯ সালে এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। কুরেশিকে রাতভর জেরা করেই এই তথ্য পেয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।

    টাস্কফোর্স…

    এর আগে কুরেশিকে গ্রেফতার করেছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এমপি নগর থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করা হলে, কুরেশি তালিবানি স্লোগান দিতে থাকে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। এহেন কুরেশিকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্স (STF)। হাওড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন সাদ্দাম। ২০২০ সালে সেই সাদ্দামের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছিল কুরেশি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মধ্য প্রদেশেও জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে এবং সংগঠনকে চাঙা করতে বৈঠক ডেকেছিল সে। জানা গিয়েছে, শিক্ষিত, বেকার যুবকদের টার্গেট করত সে। টাকার বিনিময়ে তাদের সংগঠনে শামিল করাই লক্ষ্য ছিল কুরেশির। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    নতুন বছরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদ নামের দুই যুবককে। সূত্রের খবর, সাদ্দামের চ্যাট গ্রুপ ডি-কোড করে জানা গিয়েছে একে ৪৭ জোগাড় করতে মরিয়া ছিল সাদ্দাম। হাওড়ার আফতাবউদ্দিন লেন ও শিবপুরের গোলাম হোসেন লেনে সাদ্দাম ও আহমেদের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু নথিপত্র। কেবল তাই নয়, সাদ্দামের যোগাযোগ ছিল সিঙ্গাপুরের এক মহিলারও। ওই মহিলার সঙ্গে নিয়মিত কথাও বলত সে। টেলিগ্রামে কোড নামে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যক্তি সিরিয়ার আইসিস (ISIS) নেতা। সাদ্দামের নিশানায় ছিলেন দিল্লির দুই নেতা। তাঁদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সে। সেজন্য নয়ডার একটি সংস্থায় চাকরিও নিয়েছিল সাদ্দাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share