Blog

  • Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী থাকাকালীন তিনি কখনও ডেসট্রাক্টিভ (ধ্বংসাত্মক) কিছু করেননি। সব সময় কনস্ট্রাক্টিভ (গঠনমূলক) কাজ করেছেন। এখন বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে।  গঠনমূলক রাজনীতি চোখে পড়ছে না। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন এ রাজ্য়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে ধরনের কুকথার ব্য়বহার করে, তা গোটা দেশে কোথাও হয় না। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না করলে বিধানসভায় ভাঙচুর কারা করেছিল? বিধানসভা ভবন ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা করতে দেননি মমতা। এখন শিল্পায়নের কথা বললেও টাটা বিদায়ের জন্য মুখ্য়মন্ত্রী যা করেছিলেন তা বাংলা ভুলবে না। কামতাপুরীদের সঙ্গে নিয়ে একসময় বাংলা ভাঙারও চক্রান্ত করেছিলেন মমতা। বিরোধী আসনে থাকার সময় পাহাড়েও অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এখন ক্ষমতায় এসে যদি এমন কিছু বলেন যা একশো শতাংশ মিথ্য়ে, হাস্য়কর, তাহলে তা রাজ্য়ের সম্পর্কে ধারণা আরও খারাপ করে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা এখন কুকথার প্রসঙ্গ টানছেন। অথচ, মুখ্য়মন্ত্রী যখন বলেন, বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব, তার থেকে বড় কুকথা আর কী হতে পারে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ রাজ্যে যা দুর্নীতি হয়েছে, ভারতবর্ষে কোথাও তা হয়নি। তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে, তাতে তিনটি প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পর তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন যে প্রকল্পই নিয়ে আসুক না কেন, মানুষ আর তা গ্রহণ করবে না।’

    উল্লেখ্য, এদিনের সভা থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকার তার মতো চলবে। কিন্তু তার বাইরেও মানুষ দলের কাছে অনেক অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগ জানানোর মঞ্চ হয়ে উঠবে এই অ্যাপ। সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কি না তা জানতে এই অ্যাপ সহায়ক হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • GST Collection: ডিসেম্বরের জিএসটি আদায় ১.৫ লক্ষ কোটি, আগের মাসের তুলনায় ২.৫% বেশি

    GST Collection: ডিসেম্বরের জিএসটি আদায় ১.৫ লক্ষ কোটি, আগের মাসের তুলনায় ২.৫% বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিসেম্বরে বাড়ল দেশের জিএসটি আদায় (GST Collection)। নভেম্বরের থেকে প্রায় ২.৫ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আগের বছরের তুলনায় জিএসটি আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৫%। ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে ডিসেম্বরে। 

    কী জানিয়েছে কেন্দ্র?  

    কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিসেম্বরে মোট জিএসটি আদায়ের (GST Collection) পরিমাণ ১,৪৯,৫০৭ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি হল ২৬,৭১১ কোটি টাকা, রাজ্যের জিএসটি হল ৩৩,৩৫৭ কোটি টাকা, আইজিএসটি হল ৭৮,৪৩৪ কোটি টাকা (পণ্য আমদানির জন্য সংগৃহীত ৪০,২৬৩ কোটি টাকা-সহ) এবং সেস ১১,০০৫ কোটি টাকা (পণ্য আমদানির জন্য ৮৫০ কোটি টাকা-সহ)। এই নিয়ে পর পর দশ মাস জিএসটি আদায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার ওপরে। 

    এই আদায়কৃত জিএসটি-র মধ্যে (GST Collection) সিজিএসটির জন্যে ৩৬,৬৬৯ কোটি টাকা এবং এসজিএসটির জন্য ৩১,০৯৪ কোটি টাকা রেগুলার সেটেলমেন্ট হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। এই রেগুলার সেটেলমেন্টের পরে ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্মিলিত জিএসটির পরিমাণ দাড়িয়েছে যথাক্রমে ৬৩,৩৮০ কোটি টাকা এবং ৬৪,৪৫১ কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    ২০২১ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পণ্য আমদানির জন্য জিএসটি বাবদ আদায় ৮% এবং অভ্যন্তরীণ লেনদেনের জন্য জিএসটি আদায় (GST Collection) প্রায় ১৮% বেড়েছে। 

    এছাড়া ই-ওয়ে বিলের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ৭.৬ কোটি ই-ওয়ে বিল জেনারেট হয়েছিল। নভেম্বর মাসে তা বেড়ে ৭.৯ কোটি হয়েছে। ২০২২ সালে সবথেকে বেশি জিএসটি আদায় (GST Collection) হয়েছে এপ্রিল মাসে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অক্টোবর। অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছে ১,৫১,৭১৮ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনই রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu and Kashmir)। হামলা হয়েছে হিন্দু পরিবারের ওপর। পর পর দুটি হামলায় এক শিশু সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তার জেরে এবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) জেলায় আরও বেশি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজৌরিতে ১৮ কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান পাঠানো হয়েছে।

    জঙ্গি হানা…

    গত দু সপ্তাহের ব্যবধানেও এই জেলায় দু বার জঙ্গি হানা হয়েছে। তার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঘটনার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, জনতার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে একশোরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী জঙ্গিদের খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি। এই জঙ্গিরাই রাজৌরি জেলায় হামলা চালিয়েছিল কয়েকটি হিন্দু পরিবারের ওপর। কেবল নিরাপত্তা রক্ষীরাই নয়, সেনা এবং পুলিশও অভিযান চালিয়েছিল যৌথভাবে (Jammu and Kashmir)।

    আরও পড়ুুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপ! সামনে এল দোষীদের ছবি, জানেন এরা কারা?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেয় এবং সোমবার সকালে আপার ডাংরি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হামলায় দুই শিশু সহ ছ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গিদের হামলায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছে, রবিবার সশস্ত্র অবস্থায় দুই জঙ্গি হানা দেয় তিনটি বাড়িতে। তার পরেই গুলি চালাতে থাকে নির্বিচারে। গুলিতে জখম হন ছ জন, মৃত্যু হয় চার জনের। পরের দিন ওই গ্রামেই ফের হামলা চালায় জঙ্গিরা। এদিন বিস্ফোরণে জখম হন অন্তত পাঁচজন। মৃত্যু হয় দুই শিশুর।

    রবিবার সন্ধের জঙ্গি হামলায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই এক বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বাড়িটির সামনে আগে থেকেই বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা।এই জেলায়ই গত দু সপ্তাহে দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে আর্মি ক্যাম্পের বাইরেও দুজনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসনকে অবিলম্বে জঙ্গিদের হদিশ দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ানকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ৭০ ব্যাটেলিয়নের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। পশ্চিম বিশ্বকে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা রাজনৈতিক ও গাণিতিক দু দিক থেকেই আমি জোরালভাবে অগ্রাহ্য করছি। জয়শঙ্কর বলেন, ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি অন্য দেশের থেকে কম দামেও তেল কেনে, তাতেও আগের থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    তিনি বলেন, ইরানে তেলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বা ভেনেজুয়েলায় যা চলছে, তাতেও তেলের দাম চড়া। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই পরিস্থিতিতে বাজার ঘুরে সব থেকে ভাল দর খোঁজাটাই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সব চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছিল ভারত। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং মস্কোর পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টাও করেছিল নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইপ্রাস থেকে অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলি কিনেছে ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলারের জ্বালানি। জয়শঙ্করের কথায়, এটি আমরা যা কিনেছি, তার ছ গুণ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদে যে নীতির কথা বলা হয়েছে, সব দেশই বলবে যে তারা সেগুলি সমর্থন করে। কিন্তু গত ৭৫ বছরে গোটা বিশ্বে কী ঘটেছে দেখুন। রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত সদস্য কী সেই সনদ মেনে চলে? অন্য দেশে সেনা পাঠায় না? জয়শঙ্করের দাবি, যেহেতু ইউরোপ এখন ভারতের সাবেকি জায়গাগুলি থেকে জ্বালানি কিনছে, তাই নয়াদিল্লিকে বাধ্য হয়ে রাশিয়ার ওপর বেশি ভরসা করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, গত ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা জ্বালানি কিনছি রাশিয়া থেকে। এটি নতুন কিছু নয়…এই ষাট বছরে ইউরোপ সহ পশ্চিমের বহু দেশ পাকিস্তানের সেনা শাসককে অস্ত্র বিক্রি করেছে। সেই সময় একমাত্র দেশ যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। তিনি বলেন, তাই আজ যদি রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনও বোঝাপড়া হয়ে থাকে তার কারণ আমাদের অঞ্চলে সেনা শাসনকেই গুরুত্ব দিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    UP Madrasa: যোগী রাজ্যে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটি-র সিলেবাস, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক সংস্কার উত্তর প্রদেশে (UP Madrasa)। এবার থেকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের মাদ্রাসার (Madrasa) পড়ুয়ারা পড়বে এনসিইআরটির (NCERT) সিলেবাস। আগামী মার্চে যে সেশন শুরু হচ্ছে, সেই নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাসে পড়বে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা। মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারপার্সন ইফতিকার আহমেদ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সিলেবাসে। তিনি বলেন, এবার থেকে মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা পাবে।

    ওয়াকফ বোর্ড…

    গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে রাজ্যের ১০৩টি মাদ্রাসায়ই এনসিইআরটির সিলেবাস চালু করার। তারা এও জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্যই খুলে দেওয়া হবে মাদ্রাসার দ্বার। ইসলামিক স্কুলগুলিতে আধুনিকীকরণের উদ্দেশে চালু করা হবে ইউনিফর্মও। উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সাদাব শামস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মাদ্রাসার পড়ুয়াদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোই আমাদের প্রথম কাজ। তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা এটাও চেষ্টা করব যাবে মাদ্রাসাগুলি সিবিএসই কিংবা উত্তরাখণ্ড স্টেট বোর্ডের অনুমোদন পায়।  

    গত সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশ সরকার সে রাজ্যের অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি (UP Madrasa) সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। এই মাদ্রাসাগুলি কোথা থেকে অর্থ পায়, শিক্ষকের সংখ্যা কত, সিলেবাসই বা কী এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করার পর উত্তর প্রদেশের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অভিযোগ, এই মাদ্রাসাগুলি একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেছে। এই কারণ দেখিয়েই তাদের বেআইনি ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশ সরকার। যে মাদ্রাসাগুলিকে (UP Madrasa) বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উল্লামও।

    আরও পড়ুুন: মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তব্যের দায় সর্বদা সরকারের নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    যোগী সরকার যখন মাদ্রাসাগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে, তখন তার ব্যাপক সমালোচনা করতে শুরু করে সে রাজ্যের কয়েকটি মুসলিম গোষ্ঠী। জামাত উলেমা-ই-হিন্দ সরকারের সমীক্ষার সিদ্ধান্তটিকে মাদ্রাসার বদনাম করতে ঈর্ষাকাতর প্রয়াস বলে বর্ণনা করে। যদিও মুসলিমদেরই একাধিক সংগঠনের মতে, এতে আদতে ভালই হবে মাদ্রাসাগুলির (UP Madrasa)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Awas Yojana: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য

    Awas Yojana: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দুই প্রতিনিধিদল। প্রাথমিক পর্যায়ে পূর্ব মেদিনীপুর এবং মালদায় যাবে তারা। দুই জেলায় গিয়ে নিয়ম মেনে বাড়ি দেওয়া হয়েছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। বুধবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে নবান্নকে একথা জানানো হয়েছে। নবান্নে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, ৩ জন করে ২টি দল চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে পৌঁছবে। দলে থাকবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর ও অপর দলটি মালদায় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসাবে নির্বাচিতদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁরা প্রকৃতই আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য কি না তাও খতিয়ে দেখবেন। এমনকী এর আগে প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বাড়িগুলির অবস্থাও পরীক্ষা করবে এই দল। নির্মান সামগ্রীর মানে কোনও আপস হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে তা-ও। নবান্নর তরফে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, গরিব মানুষদের যাঁরা বঞ্চিত করেছেন, তাঁদের জেলে পাঠানো দরকার।

    নবান্নকে চিঠি কেন্দ্রের

    পর্যবেক্ষক দলের আসার বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আন্ডার সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং এই চিঠি পাঠিয়েছেন। নবান্নে পাঠানো চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, দুটি দল আসবে বাংলায়। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুরে যাবে এবং দ্বিতীয় দল মালদা জেলায় মূলত আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখবে। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন। 

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    তিনজন করে সদস্য প্রতি দলে

    চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিটি দলে তিন জন করে সদস্য থাকবেন। একটি দলের দায়িত্বে থাকবেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার। সিনিরয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার সুভাষ দ্বিবেদী এবং আন্ডার-সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং নিজেও থাকবেন। এই টিম পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশে যাবে। অন্যদিকে,মালদার টিমের নেতৃত্বে থাকবেন মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি শক্তিকান্ত সিং। এছাড়াও থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Russian Death in Odisha: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হল রাশিয়ায়, এবার দেহ মিলল জাহাজে

    Russian Death in Odisha: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হল রাশিয়ায়, এবার দেহ মিলল জাহাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের রহস্য মৃত্যু হল ওড়িশায় (Russian Death in Odisha)। দেহ মিলল জাহাজে। প্রসঙ্গত, গত ১৫ দিনে এই নিয়ে তৃতীয়বার রুশ নাগরিকের দেহ মিলল ওড়িশায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলার পারাদ্বীপ বন্দরে নোঙর করা একটি জাহাজে বিদেশি নাগরিকের দেহ মিলেছে। তাঁর বয়স ৫১ বছর। নাম সের্গেই মিল্যাকভ। ওড়িশা পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। পারাদ্বীপ পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পিএল হরনাধ এ বিষয়ে বলেন, “জাহাজের মাস্টার জানিয়েছেন  জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার সের্গেই মিল্যাক্ভের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত  

    সের্গেই মিল্যাকভ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পারাদ্বীপ হয়ে মুম্বাইগামী এমবি আলাদনা জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার (Russian Death in Odisha) ছিলেন। ভোর চারটের সময় তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পারাদ্বীপ পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পিএলহরনাধ রুশ নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।”

    পর পর রুশ নাগরিকের মৃত্যু 

    এর আগে ডিসেম্বর মাসেও, দক্ষিণ ওড়িশার রায়গড়ে এক সাংসদ-সহ দুই রুশ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রুশ সাংসদ পাভেল আন্তোনভের ২৪ ডিসেম্বর হোটেলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার দুদিন আগেই হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৬১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির বিদেনভকে (Russian Death in Odisha)। কোটিপতি রুশ সাংসদ পাভেল  আন্তোনভ ছিলেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে প্রশাসন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। 

    সিআইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাভেলের (Russian Death in Odisha) মৃত্যুর তদন্তে সিআইডি ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে পারে। বিদেনভের মৃত্যুর পর আধিকারিকরা প্রথমে হোটেলে আসা সাব-ইন্সপেক্টর এসকে সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এ ছাড়া তিন অ্যাম্বুলেন্স চালককেও জেরা করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা। রায়গড়ের পুলিশ সুপারের কাছে মৃত্যুর রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indian Football: তিন বছর পর সুপার কাপ আয়োজন করছে এআইএফএফ

    Indian Football: তিন বছর পর সুপার কাপ আয়োজন করছে এআইএফএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর পর ভারতীয় ফুটবলে (Indian Football) ফিরছে সুপার কাপ। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কেরলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ম্যাচগুলি হতে পারে জওহরলাল স্টেডিয়াম ও মাঞ্জেরিতে। পায়ান্দ স্টেডিয়াম হল মাঞ্জেরিতে। এখানে সন্তোষ ট্রফির ম্যাচ ঘিরে দারুন উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। সেই কারণেই ফেডারেশন হয়তো মাঞ্জেরিতেও সুপার কাপের ম্যাচ করতে চাইছে।

    কেন সুপার কাপ

    এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে সুপার কাপের ফিক্সচার ঘোষণা না হলেও খুব সম্ভবত টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১ এপ্রিল। ভারতীয় ফুটবলে (Indian Football) সুপার কাপ হল নক-আউট টুর্নামেন্ট। যেখানে আই লিগ এবং আই এসলের সেরা ৬টি করে দল সরাসরি রাউন্ড অব সিক্সটিনে খেলার সুযোগ পাবে। বাছাই পর্বের খেলাগুলিও হবে নক আউট ভিত্তিতে। তবে এখানে লড়াই হবে দুই লিগের নিচের দিকের দলগুলির মধ্যে। তবে ফরম্যাট যদি বদলে যায় তাহলে বাছাই পর্বের খেলা অন্য নিয়মে হতেও পারে।

    আরও পড়ুন: ম্যাচের নায়ক শিবম মাভি! প্রথম টি-২০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ রানে হারাল ভারত

    প্রথম সুপার কাপ জিতেছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এফ সি গোয়াও সফল দল। এবছর সুপার কাপ আয়োজনের অন্য কারণও রয়েছে। এএফসি কাপে খেলতে হলে ভারতীয় ক্লাবগুলিকে কমপক্ষে ২৭টি করে ম্যাচ খেলতে হবে। কিন্তু লিগের ম্যাচ সেই কোটা পূরণ করতে পারছে না। এমনকী ডুরান্ড কাপ খেলেও কম পড়ছে। তাই সুপার কাপ এবার আয়োজন না করলে ভারতীয় ক্লাবগুলো এশিয়ার কোনও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Supreme Court: সিনেমা হলে দর্শক বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে কি? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

    Supreme Court: সিনেমা হলে দর্শক বাইরের খাবার নিয়ে যেতে পারবে কি? কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিনেমা হলে দর্শকরা বাড়ির তৈরি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে ঢুকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। খাবার নিয়ে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েই পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি.এস নরসিনহার ডিভিশন বেঞ্চে। ফলে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, সিনেমা হলে দর্শকরা বাড়ির তৈরি বা বাইরে থেকে খাবার কিনে ঢুকতে পারবেন কিনা তা সম্পূর্ণভাবে হল মালিকের ইচ্ছা। এই ব্যাপারে সরকার, আদালত, ক্রেতা সুরক্ষা আদালত কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

    মামলাটি কী?

    ২০১৮ সালে সিনেমা হল বা মাল্টিপ্লেক্সে খাবার নিয়ে প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট। এরপর জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন পড়ে। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টকে কার্যত ভৎর্সনা করল শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    জম্মু হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “সিনেমা হলের সম্পত্তি হল মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। যতক্ষণ না এই ধরণের শর্তাবলী জনস্বার্থ, নিরাপত্তা এবং কল্যাণের বিরোধী না-হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত মালিক শর্তাবলী স্থির করতেই পারেন। সিনেমা হল জিম নয়, যে সেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। এটা একটা বিনোদনের জায়গা। সিনেমা হল ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সুতরাং এই বিষয়টি মালিক সিদ্ধান্ত নেবে। আর হলের দর্শকরাও সেই খাবার-পানীয় কিনবেন কি না, সেটা তাঁদের পছন্দের ব্যাপার।” তাই গতকাল সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, হল মালিক এবং মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের পূর্ণ অধিকার রয়েছে, বাইরের খাবার বা পানীয় নিয়ে প্রবেশ করা যাবে কি যাবে না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

    আবার সিনেমা হলের অন্দরে জল এবং শিশুদের জন্য খাদ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটা অতিরিক্ত বলেও পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, দর্শক সিনেমা দেখবেন কিনা সেটা ঠিক করা তাঁদের অধিকার এবং সিনেমা হলে প্রবেশের পর কর্তৃপক্ষের নিয়মই চূড়ান্ত। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় আরও বলেন, “যদি কেউ খাবার নিয়ে সিনেমা হলে প্রবেশ করে এবং সিট নোংরা করে, তাহলে সেটা পরিষ্কার করার জন্য কে টাকা দেবে?” 

LinkedIn
Share