Blog

  • Kaushal Kishore: ‘মদ কেড়েছে আমার ছেলেকেও, বাঁচাতে পারিনি’, আবেগ বিহ্বল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Kaushal Kishore: ‘মদ কেড়েছে আমার ছেলেকেও, বাঁচাতে পারিনি’, আবেগ বিহ্বল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন মদ্যপ আধিকারিকের চেয়ে ভাল দম্পতি হতে পারেন একজন রিক্সাচালক কিংবা শ্রমিক। কথাগুলি যিনি বললেন, মদ কেড়ে নিয়েছে তাঁর সন্তানকে। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) কৌশল কিশোর (Kaushal Kishore)। তিনি আরও বলেন, দয়া করে মেয়ে কিংবা বোনের বিয়ে দেবেন না কোনও মদ্যপের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন, তাঁদের আয়ু খুব কম। শনিবার উত্তর প্রদেশের লাম্ভু বিধানসভা কেন্দ্রে নেশা-মুক্তির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কৌশল কিশোর।

    আবেগবিহ্বল মন্ত্রী…

    এদিনের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় চলে যান মন্ত্রী। কিছুক্ষণের জন্য হয়ে পড়েন আবেগবিহ্বল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যখন আমি সাংসদ ছিলাম, আমার স্ত্রী ছিলেন বিধায়ক, তখনও আমরা আমাদের ছেলের জীবন বাঁচাতে পারিনি। আমরাই যদি না পারি সাধারণ মানুষ পারবেন কীভাবে? কৌশল কিশোর বলেন, আমার ছেলে আকাশ কিশোর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত মদ্যপান করত। তাকে নেশা-মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলাম। আশা করেছিলাম, বদভ্যাসটা সে ত্যাগ করবে। ছ মাস পরে তার বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর ফের সে মদ্যপান করতে শুরু করে। এভাবেই ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। দু বছর আগে আকাশ যখন মারা গেল, তখন তার ছেলে মাত্রই দু বছরের। মন্ত্রীর চোখের কোণে চিকচিক করে ওঠে জল।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত দ্রুত এগোচ্ছে’, বছরের শেষ মন কি বাতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Kaushal Kishore) বলেন, আমি আমার ছেলেকে রক্ষা করতে পারিনি। সেই কারণে তার স্ত্রী বৈধব্য জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের মেয়ে বোনকে নিশ্চয়ই রক্ষা করবেন। পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছিলেন ৬.৩২ লাখ মানুষ। আর মদ্যপানের কারণে ফি বছর এদেশে মৃত্যু হয় ২০ লাখ লোকের। তিনি জানান, এ দেশে যত সংখ্যক ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু হয়, তাঁদের ৮০ শতাংশই হয় তামাক, বিড়ি, সিগারেট খাওয়ায়। উপস্থিত জনতা এবং অন্যান্য সংগঠনের কাছে মন্ত্রীর (Kaushal Kishore) আবেদন, আপনারা নেশা-মুক্তির শিবির করুন। পরিবার বাঁচান। গোটা জেলাকে নেশামুক্ত করতে মন্ত্রীর পরামর্শ স্কুলে স্কুলে নেশামুক্তির শিবির করুন। সকালের প্রার্থনায় বলুন। এ ব্যাপারে বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিত্য পরামর্শ দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ghaziabad Murder: ১২ বছর বয়সে ডাকাতি ও খুনের নকশা! গাজিয়াবাদে আটক বালক

    Ghaziabad Murder: ১২ বছর বয়সে ডাকাতি ও খুনের নকশা! গাজিয়াবাদে আটক বালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্রই ১২। এই বয়সেই ডাকাতি ও খুনের নকশা কষেছে সে। তার তিন সাগরেদ অবশ্য সদ্য যুবা। শনিবার একটি খুনের (Ghaziabad Murder) ঘটনার তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশের (Police)। মূল চক্রী ওই বালককে আটক করেছে পুলিশ।

    দম্পতির দেহ…

    পুলিশ জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর গাজিয়াবাদের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। বাড়ির জিনিসপত্র ইতিউতি ছড়ানো। বছর ষাটেকের ইব্রাহিম ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শোওয়ার ঘরে। তাঁর স্ত্রী হাজরার দেহ উদ্ধার হয় শৌচাগার থেকে। তদন্তে নেমে মাসখানেক পর মূল চক্রীর নাগাল পায় পুলিশ। করা হয় আটক। কেবল ওই চক্রী নয়, তার সাগরেদদেরও পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিলম্বিত বোধোদয়! ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চিন!

    পুলিশ জানিয়েছে, বছর বারোর ওই বালক জানত ইব্রাহিমের অনেক টাকা। তাই ইব্রাহিমের বাড়িতে ডাকাতির ছক কষে সে। সঙ্গে নেয় তিন সাগরেদকে। ঠিক হয়েছিল, ডাকাতি করে যা মিলবে, চারজনে তা সমান ভাগে ভাগ করে নেবে। সেই মতো ডাকাতি করার পর প্রমাণ লোপাট করতে ওই বালকের নির্দেশে সবাই মিলে খুন (Ghaziabad Murder) করে ইব্রাহিম ও তাঁর স্ত্রীকে। কাপড়ের ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ইব্রাহিমকে। ধৃত বালকের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে গয়না এবং মোবাইল ফোনও।

    ডিজিপি (গ্রামীণ) ইরাজ রাজা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনজন আমাদের জানায়, ২২ নভেম্বর তারা ওই দম্পতির বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে লোহার ছাঁট বিক্রির অছিলায়। যেই না ইব্রাহিমের স্ত্রী হাজারা দরজা খুলে বাড়ির বাইরে পা রেখেছে, ওই বালকের সাগরেদ মুকেশ ও শুভম তাঁকে বেঁধে ফেলে। সময় নষ্ট না করে ওই বালক ও তার এক সঙ্গী সন্দীপ ঘরে ঢুকে খুন করে ঘুমন্ত ইব্রাহিমকে। পরে বাড়ি থেকে নিয়ে পালায় নগদ ৫৪ হাজার টাকা, একটি রুপোর চেন এবং একটি মোবাইল ফোন। এসিপি ( লোনি) রজনীশ কুমার উপাধ্যায় বলেন, চারজনের মধ্যে দুজন বিহার থেকে এখানে এসে বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Shahid Afridi: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে ফের বদল! প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি

    Shahid Afridi: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে ফের বদল! প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক হলেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। শনিবার তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রামিজ রাজার জায়গায় দায়িত্বে ফেরার পরদিন থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ‘পুনর্গঠনে’ হাত দিয়েছেন নাজাম শেঠি। সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মহম্মদ ওয়াসিমকে। গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে। তাঁর সঙ্গে আব্দুর রজ্জার এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুম মিলিয়ে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটি গড়া হয়েছে। আফ্রিদি সেই কমিটিরই প্রধান।

    পাকিস্তান পুরুষ জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক

    পিসিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামিজ রাজাকে সরিয়ে নাজম শেঠি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আনা হয়েছে একাধিক পরিবর্তন। পিসিবির তরফে তাঁদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘পিসিবির ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিকে (Shahid Afridi) অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক প্রধান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। পুরুষ জাতীয় সিনিয়র দলের নির্বাচক মন্ডলীর অন্য সদস্যরা হলেন আব্দুর রজ্জার এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুম। কনভেনার হবেন হারুন রশিদ।’

    আরও পড়ুন: নিজের অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি বিসিসিআই সাধারন সম্পাদক জয় শাহকে পাঠালেন মেসি

    নাজম শেঠি বলেন, “শাহিদ আফ্রিদি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন। কোনও ভয় ছাড়াই আজীবন ক্রিকেট খেলেছেন। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সব ধরণের ফরম্যাটে সাফল্য রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা, বরাবর তরুণ প্রতিভাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। আধুনিক ক্রিকেটের যে চ্যালেঞ্জ, সেটা সামলানোর জন্য আফ্রিদির থেকে ভাল কেউ এই মুহূর্তে নেই। আমি আত্মবিশ্বাসী যে নিজের ভাবনা এবং জ্ঞানের সাহায্যে পাকিস্তানের সেরা এবং যোগ্যতম ক্রিকেটারদের দলে বেছে নেবেন আফ্রিদি। পরের সিরিজে যাতে সাফল্য পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও অবদান রাখবেন।”

    এই দায়িত্ব পাওয়ার পর শাহিদ (Shahid Afridi) বলেন, “পাকিস্তান বোর্ড আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কোনও খামতি রাখব না। জয়ের রাস্তায় ফেরার ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আশা করি জাতীয় দল আগামী দিনে সাফল্য পাবে।” প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেই সিরিজের দল পর্যালোচনা করে দেখাই প্রধান কাজ হতে চলেছে আফ্রিদির। মাঠে সাহসী ক্রিকেট খেলা আফ্রিদিকে আরও একবার সাহসিকতার পরিচয় দিতেই প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিসিবির প্রধান নাজাম শেঠি।

  • National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    National Education Policy: ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে ভারতে, নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে আজ একাধিক মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।” এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার উপর জোর দিতে বরাবরই দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেই কথাই আরও একবার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP) মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মত একটি দূরদর্শী এবং ভবিষ্যতমূলক শিক্ষাব্যবস্থা (Futuristic Education System) তৈরি করা হচ্ছে।

    নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে দেশের ‘অমৃত মহোৎসব’র ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভিডিও কনফারেন্স থেকে তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) সম্পর্কে বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর দেশে আইআইটি, আইআইএম এবং মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভাল করেই জানেন যে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, আমাদের বিদ্যমান শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই স্বাধীনতার এই অমৃত-কালে দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো ও নীতির উন্নয়ন ঘটাতে আমরা প্রতিটি স্তরে কাজ করে যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: কাশীর পর মথুরা! শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ আদালতের

    তিনি আরও জানান, দেশে আজ আইআইটি, আইআইআইটি, আইআইএম এবং এইমসের মত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৬৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরপরই নতুন শিক্ষানীতি (National Education Policy) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ প্রথমবারের মত এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং ভবিষ্যৎমুখী।”

    গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করলেন মোদি

    এদিন নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রাচীন ‘গুরুকুল’ শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তার প্রশংসা করলেন। তিনি জানান, সাধু ও আধ্যাত্মিক নেতারা দেশের হারানো গৌরব পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, “দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ভারতের প্রাচীন গৌরব এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে মহান গৌরবগুলি পুনরুদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু দাস মানসিকতার ফলে সরকার সেদিকে তাকায়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা উল্টো দিকে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবার আচার্য এবং সাধুরা নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করতে শুরু করেছেন। তারই একটি উদাহরণ শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুল।”

    প্রধানমন্ত্রী আজ স্বামীনারায়ণ গুরুকুলের কাছে বিশেষ আবেদনও করেছেন। তিনি বলেন, “প্রতিবছর যেন গুরুকুল থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অন্তত ১৫ দিনের জন্য উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পাঠানো হয় এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁদের সম্পর্কে যেন লেখে।”

  • Christmas: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! বড়দিনে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ

    Christmas: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! বড়দিনে কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বড়দিন। শনিবার বিকেল থেকেই পার্কস্ট্রিট, বো-ব্যারাক, ক্যাথিড্রালে মানুষের ঢল নেমেছে।  উৎসবের মরসুমেই আবারও চিন-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে থাবা বসিয়েছে করোনা।  ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা না গেলেও আগেভাগেই সতর্ক থাকতে চাইছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

    সতর্ক মেট্রো কর্তৃপক্ষ

    বড়দিন, নিউ-ইয়ারে বিশেষ করে বিকেলের পর থেকেই মানুষের যাতায়াত বাড়তে থাকে মেট্রো পথে। তাই বাড়তি ভিড় সামাল দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করল কলকাতা মেট্রো। বাড়ানো হচ্ছে কাউন্টার। পাশাপাশি বছরের শেষ সপ্তাহে মেট্রোয় নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে মেট্রোরেল। কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্ক স্ট্রিটমুখী যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা এড়াতে মেট্রো কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট, ময়দান এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, পার্ক স্ট্রিট এবং দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে চারটি অতিরিক্ত বুকিং কাউন্টার খোলা হয়েছে। বাড়তি টোকেন এবং স্মার্ট কার্ড রাখা হয়েছে ওই দু’টি প্রান্তিক মেট্রো স্টেশনে। বড়দিনে পার্ক স্ট্রিট, দক্ষিণেশ্বর, দমদম, ময়দান, রবীন্দ্র সদন, এসপ্ল্যানেডের মতো স্টেশনগুলিতে উচ্চপদস্থ মেট্রো আধিকারিক এবং চিফ ট্রাফিক সুপারভাইজাররা উপস্থিত থাকবেন। সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম থেকে মেট্রো সঠিকভাবে চলছে কিনা, সেদিকে নজর রাখবেন এক অফিসার। । প্রতিটি যাত্রীকে কোভিড প্রটোকল মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজ করা-সহ করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলার কথা জানিয়েছে কলকাতা মেট্রোরেল।

    আরও পড়ুন: বড়দিনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় 

    চার্চগুলির তরফে সতর্ক-বার্তা

    শহরের গির্জাগুলির তরফে পূণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন গির্জার প্রধানরা। বো ব্যারাকের বড়দিনের উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজকরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পূণ্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পড়া প্রভৃতি কোভিড বিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন। মানিক তলার ডাফ চার্চের ফাদার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, ‘বড়দিনের আগে আমরা গির্জা স্যানিটাইজ করব। গির্জার ভিতরে যারা বিশেষ প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করবেন তাদের অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Train Cancel: বড়দিনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায়

    Train Cancel: বড়দিনে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল, বড়দিন। খুশির উৎসব। আজ শনিবার উৎসবের মেজাজে শহরবাসী। শীতের সকালে বহু লোক ভিড় জমিয়েছে ক্যাথিড্রাল, পার্কস্ট্রিট, ধর্মতলা, ময়দানে। শহরতলি থেকেও লোকে এসেছে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়ায়। এরই মধ্যে তাল কাটল পূর্ব রেলের ঘোষণায়। সপ্তাহশেষে  সামান্য ভোগান্তি বাড়ল ট্রেনযাত্রীদের। রেললাইন মেরামতির জন্য শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত শিয়ালদহ রানাঘাট শাখায় বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

    বাতিল বেশ কিছু ট্রেন

    লোকাল ট্রেনের এই সমস্যায় জেরবার হতে পারেন শিয়ালদহ (Sealdah) মেইন লাইনের যাত্রীরা। জানা গেছে, শনিবার ও রবিবার বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল (local trains cancel) করা হয়েছে। এই দু’দিনের মধ্যে আবার ২৫ ডিসেম্বরও (Christmas eve) পড়েছে। ফলত একটা বিশাল সংখ্যক মানুষের এই দু’দিন কলকাতা আসতে বা কলকাতা থেকে যেতে বেশ অসুবিধায় পড়তে হবে। রক্ষণাবেক্ষণের কারণেই বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে, বলে খবর। তবে বড়দিনের সময় স্কুল-অফিস ছুটি থাকায় তেমন কোনও অসুবিধা হবে না, বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    রেলওয়ে সূত্রে খবর, শিয়ালদহ মেইন শাখায় কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, রানাঘাট ও কল্যানী সীমান্ত পর্যন্ত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর মোট ৩৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল হতে চলেছে। এই দু’দিন নৈহাটি ও রানাঘাটের মধ্যে রেল ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। সে কারণেই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নৈহাটি-রানাঘাট শাখায় ১৫২টির মধ্যে আপ ও ডাউন মিলিয়ে বাতিল করা হয়েছে ৩৪টি ট্রেন। রেল সূত্রে জানা গেছে, এর জেরে আজ রাত ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আপ ও ডাউন মিলিয়ে শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর, শিয়ালদা-গেদে, শিয়ালদা-শান্তিপুর লোকাল ও কল্যাণী সীমান্ত-নৈহাটি লোকাল বাতিল করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • VHP: হিন্দু তীর্থস্থানগুলির জন্য পৃথক মন্ত্রকের দাবি বিশ্বহিন্দু পরিষদের

    VHP: হিন্দু তীর্থস্থানগুলির জন্য পৃথক মন্ত্রকের দাবি বিশ্বহিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই সময়, যখন হিন্দু (Hindu) মন্দিরগুলিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। দিন কয়েক আগে এ কথা বলেছিলেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের (VHP) কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার। দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ওই কথা বলেছিলেন তিনি। অলোক কুমার বলেছিলেন, আচার্য সভা আমাদের যে ডেটা দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ভারত জুড়ে দু লাখের বেশি মন্দির সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই মন্দিরগুলি ফি বছর সরকারকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দেয়। তাঁর প্রশ্ন, সরকার যদি মসজিদ, চার্চ এবং গুরুদ্বারকে নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে কেন মন্দিরকে? বিশ্বহিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যে আলাদা একটি মন্ত্রক এবং দফতর তৈরি করা প্রয়োজন যারা ধর্মীয় এবং তীর্থস্থানগুলির পবিত্রতা নিশ্চিত করবে।

    ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির উন্নয়ন…

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন, ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির উন্নয়ন পর্যটনস্থলের মতো করলে হবে না। কারণ প্রকৃতিগতভাবে এরা আলাদা। এর পরেই অলোক কুমার বলেন, এটা আমাদের দাবি তীর্থস্থানগুলির উন্নয়নকল্পে আলাদা মন্ত্রক তৈরি করা প্রয়োজন। এদিন লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তকরণ নিয়েও মুখ খোলেন অলোক কুমার। তিনি বলেন, ধর্ম রক্ষা অভিযানের মাধ্যমে বিশ্বহিন্দু পরিষদ যে কেবল দেশবাসীকে লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তকরণ নিয়ে সচেতন করবে তা নয়, দেশকে এসব থেকে মুক্তও করবে। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ৩১ পর্যন্ত টানা ১০ দিন ধরে চলবে ধর্ম রক্ষা অভিযান। অলোক কুমার বলেন, এমনকি সুপ্রিম কোর্টও ধর্মান্তকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে টোপ থাকতে পারে, থাকতে পারে ভয় এবং প্রতারণাও। তিনি বলেন, ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি করা উচিত।

    আরও পড়ুন: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের (VHP) এই নেতা বলেন, জাতীয় ঐক্যের পক্ষে যা ভীতিকর এবং দেশের ভূখণ্ড যাতে অটুট থাকে, সেজন্য বিশ্বহিন্দু পরিষদ মঙ্গলগীত বাজিয়েছে। এখন সমাজ একটা স্থায়ী সমাধান দেখছে। তিনি বলেন, এই সংগঠন (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) নানাভাবে গণ-সচেতনতা গড়ে তুলবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বহিন্দু পরিষদের (VHP) দাবি, ১৯৬৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬২ লক্ষ হিন্দুকে ধর্মান্তকরণ থেকে রক্ষা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ন লক্ষ মানুষকে স্বধর্মে ফেরানো গিয়েছে। অলোক কুমার বলেন, প্রায় ২৫ হাজার হিন্দু মহিলাকে উদ্ধার করা গিয়েছে লাভ জিহাদের ফাঁদ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • Indresh Kumar: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার

    Indresh Kumar: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) অধিকৃত কাশ্মীর (Kashmir) আমাদের। ফের আমাদের হওয়া উচিত। এই কথাগুলি যিনি বলেছেন তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মেম্বার ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar)। শুক্রবার ছিল মুসলিম ন্যাশনাল ফোরামের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইন্দ্রেশ কুমারকে। এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, বালুচিস্তান এবং সিন্ধের মতো অঞ্চলগুলি পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে। সেখানকার বাসিন্দারা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। এবং এজন্য তাঁরা লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন।

    আরএসএসের এই নেতা বলেন…

    আরএসএসের এই নেতা বলেন, যদি মানুষ ধর্মান্ধতার চোখে একে দেখেন, তাহলে উত্তরও বদলে যাবে। যদি তাঁরা সততার সঙ্গে বিবেচনা করেন, তাহলে সত্য প্রকাশ্যে আসবেই। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, পাকিস্তানেই স্লোগান উঠছে, কাশ্মীর ছাড়া পাকিস্তান অসম্পূর্ণ। তিনি (Indresh Kumar) বলেন, এটা আমাদেরও কর্তব্য। ভারতীয়দেরও বলতে হবে লাহোর, করাচি ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ। এট মসজিদ, মাদ্রাসা এবং জনসভায় বলতে আমাদের সমস্যা কোথায়?  

    আরও পড়ুন: প্রাক নববর্ষে এক পদ, এক পেনশন নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের, জানুন বিশদে

    পাকিস্তানকে নিশানা করে ইন্দ্রেশ কুমার (Indresh Kumar) গালিব অডিটোরিয়ামের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি। তোমরা তোমাদের দেশকে ভালবাস। তোমরা যদি আমাদের ভালবাসা চুরি কর, তাহলে তোমাদেরও আয়না দেখাতে হবে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের ২০তম প্রতিষ্ঠা সভায় ইন্দ্রেশ কুমার বলেছিলেন, এতে আমাদের কী সমস্যা হবে যদি বলি নানকানা সাহিব, সারদাপীঠ, লাহোর, করাচি ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ। এবং এটাই সত্য। তিনি বলেন, কৈলাশ-মানস সরোবরও আমাদের। আবারও আমাদের হওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: নববর্ষের উপহার! ২০২৩-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

  • J&K: মাদক পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য কাশ্মীর পুলিশের, গ্রেফতার ৫ পুলিশকর্মী সহ ১৭

    J&K: মাদক পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য কাশ্মীর পুলিশের, গ্রেফতার ৫ পুলিশকর্মী সহ ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য পেল জম্মু-কাশ্মীর (J&K) পুলিশ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও। যার ফলে মাদক চক্র ফাঁস করল সে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ৫ পুলিশকর্মী। শুক্রবার কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে থেকে এদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    মাদক পাচার রোধে সাফল্য

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে মাদক কাশ্মীরে (J&K) নিয়ে আসা হচ্ছিল। কুপওয়ারার সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) ইয়োগল কুমার মানহাস বলেন, “আমরা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এদিনই মাদক পাচারের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ পুলিশকর্মী, এক দোকানদার, এক রাজনৈতিক নেতা এবং এক কন্ট্রাক্টার রয়েছে।” আরও জানানো হয়েছে, এদের কুপওয়ারা এবং বারামুল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পুলিশের দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে একটি পোলট্রি দোকানের মালিককে তার বাড়ি থেকে কিছু মাদকসহ আটক করা হয়। ওয়াসিম নামক ওই ব্যক্তি স্বীকার করে যে, সে মাদক ব্যবসায়ীদের একটি বড় গ্রুপের অংশ। এর পরেই বিভিন্ন জেলায় তার কিছু সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে সে। পরবর্তীকালে সেই জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয় এবং আরও ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, কুপওয়ারা পুলিশের বিভিন্ন দল, এসএইচও মহম্মদ রফিক লোন এবং ডিওয়াইএসপি খাদিম হুসেনের নেতৃত্বে ও ডিওয়াইএসপি সদর রশিদ ইউনিসের তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি চালানো হয়। এখনও পর্যন্ত দু’কিলো হিরোইন উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। জম্মু-কাশ্মীরে মাদকের কারবার রীতিমত পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার আড়ালেই চলে এই কারবার। অনেক ক্ষেত্রে ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে ড্রাগ পাচার। ফলে ড্রাগ ট্রাফিকিংয়ের ক্ষেত্রে এবারে ১৭ জনকে গ্রেফতার করায় বড়সড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ। 

  • Bareilly: সরকারি স্কুলে ইসলামিক প্রার্থনা! সাসপেন্ড প্রধান শিক্ষক

    Bareilly: সরকারি স্কুলে ইসলামিক প্রার্থনা! সাসপেন্ড প্রধান শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি স্কুলে (School) ইসলামিক প্রার্থনা (Islamic Prayer)! তার জেরে শুরু হয় বিতর্ক। উত্তর প্রদেশের বরেলির (Bareilly) স্কুলের ওই প্রার্থনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষককে। সূত্রের খবর, বরেলির ওই স্কুলের প্রার্থনায় ‘মেরা আল্লা বুরাই সে বাচানা মুঝকো’ গাওয়া হয়। অভিভাবকদের একাংশের পাশাপাশি অভিযোগ জানানো হয় উত্তর প্রদেশের স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় প্রধান শিক্ষককে। প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে এদিন যে গানটি গাওয়া হয়েছিল, সেটি উর্দু কবি মহঃ ইকবালের লেখা। তিনিই লিখেছিলেন সারে জাহাঁ সে আচ্ছা গানটি। তাঁরই লেখা গানকে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাইয়ে বিতর্কে বরেলির ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

    কমলা নেহরু কম্পোজিট বিদ্যালয়…

    বেরিলির বেসিক শিক্ষা অধিকারী বিনয় কুমার বলেন, ফরিদপুরের কমলা নেহরু কম্পোজিট বিদ্যালয়ের একটি ইসলামিক প্রার্থনা গাওয়া হয়। স্কুলের প্রিন্সিপাল নাহিদ সিদ্দিকিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শিক্ষামিত্র ওয়াজিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সোমপাল সিং রাঠোর বলেন, ওই প্রার্থনা সঙ্গীতটি মহঃ ইকবাল লিখেছিলেন মাদ্রাসার জন্য, সরকারি স্কুলের জন্য নয়। 

    আরও পড়ুন: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    জানা গিয়েছে, বরেলির (Bareilly) ওই স্কুলের প্রার্থনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। উত্তর প্রদেশ শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তার পরেই সাসপেন্ড করা হয় প্রধান শিক্ষককে। ওই গানটি স্কুলের প্রার্থনা সঙ্গীতের তালিকায় ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশ স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত  করা ও স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নাহিদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশেরই পিলিভিটের একটি স্কুলেও প্রার্থনায় মহঃ ইকবালের লেখা এই গানটি গাওয়া হয়। সেবারও ব্যাপক বিতর্ক হয়। ফের সেই গান নিয়েই বিতর্ক। এবং সরকারি স্কুলে গাওয়ানোয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

LinkedIn
Share