Blog

  • Fake Passport: ঐশর্য রাইয়ের জাল পাসপোর্ট! উত্তরপ্রদেশের গ্রেফতার তিন

    Fake Passport: ঐশর্য রাইয়ের জাল পাসপোর্ট! উত্তরপ্রদেশের গ্রেফতার তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পাসপোর্ট জাল (Fake Passport) করে গ্রেফতার তিন জন। তাও যে কারো পাসপোর্ট না। প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশর্য রাই- এর জাল পাসপোর্ট নিয়ে ঘুরছিলেন ওই ব্যক্তিরা। জন্মস্থান লেখা গুজরাট। প্রতারকদের কাছে মিলল এমনই জালপত্র। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রেটার নয়ডা এলাকায়। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ওই তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেটার নয়ডা এলাকার থানায় নিয়ে গিয়েছে। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটি ওষুধ কোম্পানির নামে প্রতারণার সঙ্গেও জড়িত ছিল এই চক্র।

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্রপুরে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, অভিযুক্ত হবু স্বামী ও দেওর

    কী জানা গেল?  

    পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা প্রতারণা কাণ্ডে জড়িত ওই তিন ব্যক্তি একটি ওষুধের কোম্পানি চালান। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে লোকজনকে খুঁজে প্রতারণা চালাত চক্রটি। এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গিয়েছে।    

    গ্রেফতার হওয়া ওই তিন ব্যক্তির থেকে একটি জাল (Fake Passport) পাসপোর্ট উদ্ধার করে পুলিশ। ভুয়ো পাসপোর্টে অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রায় বচ্চনের ছবি ছিল। জন্মস্থানের জায়গায় লেখা ছিল গুজরাট  ভাবনগর। জন্ম তারিখ দেওয়া রয়েছে ১৮ এপ্রিল, ১৯৯০। তাদের কাছ থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ১১ কোটি টাকার জাল নোট এবং লক্ষ লক্ষ টাকার নকল বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। ঐশ্বর্যের পাসপোর্ট কেন জাল করা হল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। 

    পুলিশ জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিককেও নিজেদের জালে (Fake Passport) ফেলেছিলেন এই তিন ব্যক্তি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিককে দিয়ে স্তন ক্যানসার নিরাময়ের ওষুধ বানানোর নাম করে যৌগ কোলানাট কিনিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। ধৃতদের কাছে কোনও বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা পাওয়া যায়নি।

    এর আগেও ঐশর্যর পাসপোর্ট নকল করার ঘটনা সামনে এসেছে। ২০১২ সালে অভিনেত্রীর জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) উদ্ধার হয় গুজরাট থেকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Anubrata Mondal: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    Anubrata Mondal: কেষ্টকে দিল্লিতে জেরা করতে পারবে কি ইডি? সোমবার রায়দান আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারকের এজলাসে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে মামলার শুনানি হল শনিবার। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। আগামী সোমবার এই মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিনই জানা যাবে, ইডি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কিনা।

    কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে কি ইডি?

    অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে ইডির আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে মামলাটি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফেরত পাঠায় দিল্লি হাইকোর্ট। এদিনের শুনানিতে ইডির তরফে আবেদন জানানো হয়, অনুব্রত মণ্ডল গরুপাচারের প্রধান অভিযুক্ত। তার নেতৃত্বেই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে। ফলে তাকে দিল্লিতে সংস্থার সদর দফতরে এনে জেরা করা দরকার। তবে এই মামলার আজ রায় দেননি বিচারক। 

    কেষ্টর আইনজীবীর তরফে কী বলা হল?

    পালটা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন,  “এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। এফআইআরও হয়েছিল সেখানেই। অনুব্রতর দিল্লিতে কোনও সম্পত্তি পাওয়া যায়নি। তাহলে ইডি কেন তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসতে চাইছে।” 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিলকিস বানোর আর্জি

    ফের হাইকোর্টে ধাক্কা কেষ্টর…

    অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-এর করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া কেষ্ট। শুক্রবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরী অনুব্রতর করা আবেদন খারিজ করে দেন। তদন্তের স্বার্থে এই আবেদন আপাতত খারিজ করেছে আদালত। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। ফলে দিল্লির বিশেষ আদালতে আর্জিও জানিয়েছিল তারা। তবে ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অনুব্রত। সেটিই গতকাল খারিজ করা হল। 

    শুনানিপর্বে কেষ্টর আইনজীবী কী বললেন?

    শুক্রবার কেষ্টর (Anubrata Mondal) করা মামলার শুনানিতে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, নিম্ন আদালত ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে ইডি জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ‘বেআইনি’, ‘ভিত্তিহীন’। আইনজীবীর দাবি, প্রথমে অনুব্রতকে গরুপাচার মামলার সাক্ষী দেখানো হলেও পরে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। এখন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে ইডি। তাই ইডির এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানান তিনি।

    সিবিআইয়ের তরফে কী বলা হল?

    এর উত্তরে পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে রিমান্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। যদি বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে নিম্ন আদালত কেন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেবে?

    এই বক্তব্যের ফের বিরোধিতা করেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, এই তথ্য ঠিক নয়। আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, টাকা তছরূপের অভিযোগ থাকলে আয়কর দফতরে যাওয়া দরকার। এরপর দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর অনুব্রতের (Anubrata Mondal) আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। 

  • N 24 Parganas Rape: নরেন্দ্রপুরে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, অভিযুক্ত হবু স্বামী ও দেওর

    N 24 Parganas Rape: নরেন্দ্রপুরে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, অভিযুক্ত হবু স্বামী ও দেওর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তরুণীকে নরেন্দ্রপুরে (N 24 Parganas Rape) এনে ধর্ষণ। অভিযুক্ত হবু স্বামী ও দেওর। নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকায় ওই তরুণীকে গতকাল বিবস্ত্র ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পলাতক দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে এনে তাঁকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে দুষ্কৃতিরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিগারেটের ছেঁকাও দেয় তারা।

    কী ঘটেছিল? 

    তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আগেই তাঁর নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার ঋণ নেয় হবু স্বামী। সেই কারণেই খুনের চেষ্টা করে ওই দুই যুবক। মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তরুণী। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তরুণীর নামে বিয়ের আগেই যে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। তার প্রতিবাদ করে ওই তরুণী (N 24 Parganas Rape)। সেই টাকা শোধ দিতে না পারাতেই এই হামলা। ইতিমধ্যে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

    আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা…

    জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে হবু স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। ধর্ষণ করে হবু স্বামী ও তার ভাই। সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে চলে অকথ্য অত্যাচার। তারপরে খুনের (N 24 Parganas Rape) চেষ্টাও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আর্থিক প্রতারণার পরিকল্পনাতেই এমন কাজ। বিয়ের আগেই হবু স্ত্রীয়ের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার লোন নিয়েছিলেন ওই অভিযুক্ত। সেই লক্ষাধিক টাকা গায়েব করার পরিকল্পনাতেই হবু স্ত্রীকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফাঁদ পাতে সে। হবু স্ত্রীকে মেরে ফেললে সেই ঋণ আর শোধ করতে হবে না এই ভেবে খুনের ছক কষে।

    পুলিশের দাবি, নির্যাতিতার বাড়ি মুর্শিদাবাদ (N 24 Parganas Rape) জেলায়। তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় সাবীর শেখ নামে এক যুবকের। ওই তরুণী পুলিশকে জানান, তাঁকে প্রথমে বাড়ি থেকে ডাকা হয় তারপর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ট্রেনে তুলে খাবারের মধ্যে কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করা হয়। শিয়ালদহতে ট্রেন ঢোকার পর তার জ্ঞান ফিরলে আবার তাকে বেঁহুশ করা হয়। অচেতন অবস্থাতেই তাঁকে বার বার ধর্ষণ করেছেন হবু স্বামী সাবীর ও তাঁর ভাই। সে মারা গিয়েছে ভেবে বেঁহুশ ও নগ্ন অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুনহাটে রাস্তার পাশে তাঁকে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তরুনীকে উদ্ধার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INS Mormugao: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি রবিবার, কতটা শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মর্মুগাও?

    INS Mormugao: নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি রবিবার, কতটা শক্তিশালী ডেস্ট্রয়ার আইএনএস মর্মুগাও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারত তৈরি করল যুদ্ধজাহাজ আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। বিশ্বের শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজগুলিকে মাত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারতের এই রণতরী। রবিবার নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে আইএনএস মর্মুগাও। 

    আইএনএস মর্মুগাও-এর বৈশিষ্ট্য

    অত্যাধুনিক এই ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ (INS Mormugao) নির্মাণ করেছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। এর নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌসেনার ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো। রবিবার মুম্বইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে নৌসেনার হাতে আসবে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই রণতরী। এই জাহাজ নিঃসন্দেহে জলসীমায় আরও শক্তিশালী করবে দেশকে। এর জেরে ভারত মহাসাগর সহ অন্যান্য অঞ্চলে নৌবাহিনীর গতিশীলতা আরও বাড়বে। গোয়ার ঐতিহাসিক বন্দর শহর মর্মুগাওয়ের নামে তৈরি এই রণতরী জৈব, পারমাণবিক ও রাসায়নিক— তিন ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই শত্রুপক্ষকে টেক্কা দিতে সক্ষম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গোয়া মুক্তি দিবসের একদিন আগেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এটি। 

    আরও পড়ুন: বিরাট বিক্রান্ত! প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর

    চারটি শক্তিশালী গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত এই রণতরীর সর্বোচ্চ গতি ৩০ নটের বেশি। পাশাপাশি ‘স্টেলথ’ প্রযুক্তি থাকায় শত্রু শিবিরের জাহাজের রেডার এড়িয়ে চলতে সক্ষম ১৬৩ মিটার লম্বা ও ১৭ মিটার চওড়া আইএনএস মর্মুগাও (INS Mormugao)। শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করতে রণতরীতে রয়েছে একগুচ্ছ অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভার। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। থাকবে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকতম সংস্করণ, যার পাল্লা বলা হচ্ছে আনুমানিক ৪৫০ কিলোমিটার। ডুবোজাহাজের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত আইএনএস মর্মুগাও। জলের নীচে থাকা শত্রু নিধনের জন্য এতে রয়েছে টর্পেডো ও রকেট লঞ্চার। উন্নত মানের রেডার থাকায় লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হবে এই রণতরী। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে এই জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এটির কাজ শেষ হয়েছিল। এরপর গতবছর গোয়া লিবারেশন ডে অ্যানিভার্সারিতে এটির মহড়া হয়। এবার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কার্যত রাজ করবে ভারতের এই যুদ্ধ জাহাজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    Amit Shah Mamata Banerjee: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত বিজেপি (BJP)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একশো দিনের কাজের মতো কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়েও চলছে কেন্দ্র-রাজ্য চাপান-উতোর। পঞ্চায়েত নির্বাচনও দোরগোড়ায়। বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফজতে রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এহেন আবহে আজ, শনিবার নবান্নে (Nabanna) বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Amit Shah Mamata Banerjee)। উপলক্ষ, পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের বৈঠক। তবে মমতা-শাহ বৈঠক নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

    কৌতূহল তুঙ্গে…

    যদিও প্রশাসনের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক একান্তভাবেই প্রশাসনিক। শাহের সঙ্গে এই বৈঠকে মমতা ছাড়াও থাকার কথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবেরও। ওড়িশা থেকেও থাকবেন সে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। শাহের সঙ্গে সঙ্গে এই বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এবং অন্য আধিকারিকরা। ৫ নভেম্বর এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যস্ততা থাকায় সেদিন বৈঠক হয়নি। সেই বৈঠকই হচ্ছে শনিবার। বৈঠক হবে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত, নবান্ন সভাঘরে।

    এর আগে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক সচেতনভাবেই এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও ব্যস্ততার কারণে, কখনও অন্য কোনও অছিলায়। শেষমেশ এবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই ভিন্ন মেরুর রাজনৈতিক দলের দুই শীর্ষ নেতা (Amit Shah Mamata Banerjee)। তাই মমতা-শাহ একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি নিয়ে রাজ্যের কী অবস্থান, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে বেশ কিছু দাবিপত্র তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে জমি অধিগ্রহণের কাজ মার্চের মধ্যেই শেষ করতে রাজ্যকে বলেছে কেন্দ্র। সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে এই আর্জি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। প্রসঙ্গত, জমি না পাওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যকে এই জমি অধিগ্রহণ করে দিতে হবে।

    এদিকে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগেই শুক্রবার শাহ বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। বিজেপির রাজ্য দফতরে ওই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ শীর্ষ নেতারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam:  ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    SSC Scam: ওএমআর শিটে ৩, এসএসসি সার্ভারে ৫০! এটা কি পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন যাদুতে ওএমআর শিটে প্রাপ্ত ৩ নম্বর এসএসসি সার্ভারে বেড়ে ৫৩ হল তা জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নবম – দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যে ভাবে অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে তাকে পিসি সরকারের ম্যাজিকের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। 

    বিচারপতি যা বললেন

    শুক্রবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে এক মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি  (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, ‘ওএমআর শিটে যিনি ৩ পেয়েছিলেন, তাঁর নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫৩। ১নম্বর হল ৫১, ২ নম্বর হল ৫২! এসব হল কী করে? জাদুকর কে? পিসি সরকার জুনিয়র (PC Sircar) নাকি সিনিয়র? কার ছোঁয়ায় নম্বরে এইরকম ম্যাজিক হল?’এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। চার দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির কথা শুনে হাসতে হাসতে যাদুকর পিসি সরকার বলেন  ‘এটা মোটেও পিসি সরকারের ম্যাজিক নয়। এটা পিবি সরকারের কেরামতি। পিবি সরকার হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’

    আরও পড়ুন: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, এই মামলায় আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) কীর্তি ফাঁস করেছে সিবিআই। তারা জানিয়েছে, গাজিয়াবাদের যে সংস্থাকে ওএমআর শিট স্ক্যান করতে দেওয়া হয়েছিল সেখানে শূন্য পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে বেড়েছে নম্বর। এর পরই ২ দফায় ২২৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। তার মধ্যে ৪০ জনের ওএমআর শিট প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে দেখা যায় প্রচুর চাকরিপ্রার্থীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বারো জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সমর্থনে আদালতে আবেদন করেন। তাঁদের মামলায় যুক্ত করে একত্রে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Delhi: দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দোতলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিলেন শিক্ষিকা

    Delhi: দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দোতলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিলেন শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। স্কুলের দোতলা থেকে পঞ্চম শ্রেণির খুদে পড়ুয়াকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দিল্লির নগর নিগম বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিল্লির করোলবাগে ওই ঘটনা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। দিল্লির করোলবাগ এলাকার একটি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে ছুঁড়ে ফেলার পর আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি কার হয় হিন্দুরাও হাসপাতালে। তবে চিকিৎসার পর ওই পড়ুয়ার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে পুলিশ আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম গীতা দেশওয়াল।

    স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা জানায়, গীতা দেশওয়াল নামে ওই শিক্ষিকা ক্লাস চলাকালীন রাগের বশে বন্দনা নামের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলের বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। এই ঘটনা ঘটার আগে ওই শিক্ষিকা কাঁচি নিয়ে ওই শিশুটিকে তাড়া করেন। ঘটনাটি ওই স্কুলের আর এক শিক্ষিকা রিয়ার নজরে আসলে, তিনি গীতাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও সওয়া ১১টা নাগাদ ক্লাস চলাকালীন (Delhi) হঠাৎ করেই গীতা রাগের বসে বন্দনাকে একেবারে স্কুলের দোতলার বারান্দা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন। 

    আরও পড়ুন: আগামী বছর কবে হবে জেইই মেইন, নীট? সময়সূচী প্রকাশ করল এনটিএ

    শিশুটিকে যখন ওই শিক্ষিকা বারান্দা থেকে নিচে ছুড়ে ফেলে দেন, তখন অনেকেই ঘটনাস্থলে (Delhi) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। দিল্লি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে। শিশুটি দিল্লির বড়া হিন্দুরা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। কেন ওইভাবে শিশুটিকে মারধর করা হচ্ছিল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেছে আহত ছাত্রী? 

    পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ছাত্রী নিজের বয়ানে জানিয়েছে শুক্রবার স্কুলে (Delhi) ওই শিক্ষিকা তাকে কাগজ কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করে, মারধরও করেন। এরপর তাঁকে স্কুলের দোতলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,আহত পড়ুয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। আঘাত গুরুতর হলেও পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়া আপাতত বিপদমুক্ত।

    অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Escape Tunnel: নয়া সাফল্য ভারতীয় রেলওয়ের! তৈরী হল দেশের দীর্ঘতম ‘এসকেপ টানেল’

    Escape Tunnel: নয়া সাফল্য ভারতীয় রেলওয়ের! তৈরী হল দেশের দীর্ঘতম ‘এসকেপ টানেল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেকর্ড ভারতীয় রেলওয়ের! জম্মু-কাশ্মীরে তৈরি করা হল ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘এসকেপ টানেল’ (Escape Tunnel)। এটি ভারতের দীর্ঘতম এসকেপ টানেল। এটি তৈরি করে দেশের মুকুটে নয়া পালক যুক্ত করল ভারতীয় রেলওয়ে। উধমপুর শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের (USBRL) অধীনে বানিহাল-কাটরা সেকশনে এই ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ হল।

    ভারতের দীর্ঘতম  সুরঙ্গ

    এর আগেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১২.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল টি-৪৯  তৈরি করা হয়েছিল। আর এর পরে এটি বানিহাল-কাটরা লাইনের চতুর্থ টানেল। গতকাল, বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বানিহাল থেকে কাটরা অবধি ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কোনও জরুরি অবস্থা বা বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্যই এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।

    দীর্ঘতম এসকেপ টানেল সম্পর্কে কিছু তথ্য

    ১) কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এটি বানিহাল-কাটরা রুটের চতুর্থ টানেল (Escape Tunnel)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, টি-৪৯ নামক ১২.৭৫ কিমির টানেলটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

    ২) ১১১ কিমি দীর্ঘ সুড়ঙ্গটি ভারতের সবথেকে বড় এসকেপ টানেল (Escape Tunnel), যা বিপর্যয়ের সময়ে নিরাপদভাবে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যেতে সাহায্য করবে।

    ৩) এর আগে উধমপুর শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের (USBRL) অধীনেই রিয়াসি জেলার কৌরি অঞ্চলে চেনাব নদীর উপর বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ও কাশ্মীরের যোগাযোগের ইতিহাসে নতুন মাইলস্টোন তৈরি করেছে ভারতীয় রেল।

    ৪) এই সুরঙ্গ বা টানেলটি (Escape Tunnel) ঘোড়ার নালের আকারের মত, যা দক্ষিণ দিকে সাম্বার স্টেশন ইয়ার্ডের সঙ্গে খোদা গ্রামের খোদা নল্লার ৪ নম্বর সেতু অতিক্রম করার পরে উত্তর দিকে টি-৫০ টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সাম্বারের দক্ষিণ প্রান্তটি প্রায় ১৪০০.৫ মিটার উঁচু, যখন উত্তর প্রান্তটি ১৫৫৮.৮৪ মিটার উঁচু।

    ৫) হিমালয়ের রামবান অঞ্চলের উপর দিয়ে এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে। সুড়ঙ্গের পাশ দিয়েই অতিবাহিত হয়েছে খরস্রোতা চেনাব নদী।

    ৬) কর্তৃপক্ষের মতে, টানেল টি-৪৯ হল একটি টুইন টিউব টানেল, যার একটি মূল টানেল (১২.৭৫ কিমি) এবং এসকেপ টানেলের (১২.৮৯৫ কিমি) অন্তর্গত ও ৩৩টি ক্রস-প্যাসেজ দ্বারা সংযুক্ত।

    ৭)ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সুরঙ্গের নির্মাণের সময় বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের। তবে শেষপর্যন্ত এই টানেল তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়েছে।

  • Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বুধবার আসানসোলের (Asansol) ওই দুর্ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আসানসোল উত্তর থানায়। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করা হয়েছে। ই অভিযোগের ভিত্তিতে কম্বলদান কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি সহ বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে মামলা। এদিকে, কম্বলদানের কর্মসূচিতে বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকণ্ঠম বলেন, কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে।

    অভিযোগ…

    পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি সহ একাধিক নেতার নামে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বুধবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রের কোথাও নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। জিতেন্দ্র, চৈতালি ও বিজেপি কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিতেন্দ্রও বলেন, তৃণমূল তাড়াহুড়ো করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    আসানসোলের ওই দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। কেন দশ দিন আগে অনুমতির আবেদনের চিঠি পেয়েও তারা কোনও উত্তর দেয়নি, সে প্রশ্ন তুলেছেন আয়োজকরা। দুর্ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তিনি ঘটনাস্থল ছাড়ার পর সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয় নিরাপত্তা। তার পরেই ঘটেছে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। এত জমায়েত নজরে আসা সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল, কেনই বা সরিয়ে নেওয়া হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের অনেকেই। প্রসঙ্গত, আসানসোলের ওই অনুষ্ঠানে পাঁচ হাজার মানুষকে কম্বল দান করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছোট জায়গায় প্রচুর লোক জড়ো হয়ে যাওয়ার বিপর্যয় ঘটে বলে অনুমান। ওই ঘটনায় বিজেপির নাম জড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hooch Tragedy: ছাপরা বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১০০ পার? দাবি সুশীল মোদির

    Hooch Tragedy: ছাপরা বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১০০ পার? দাবি সুশীল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিষমদ কাণ্ডের (Hooch Tragedy) জেরে বিপাকে পড়েছে নীতিশের গটবন্ধন সরকার। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এখনও অনেকেই অসুস্থ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এরই মাঝে এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। তাঁর দাবি, বিষ মদ কাণ্ডে (Hooch Tragedy) মৃতের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করছে বিহার সরকার। তিনি আরও দাবি করেন, অসুস্থদের মধ্যে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আনেনি নীতিশ প্রশাসন। সুশীল মোদি বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভয়ে মৃত দেহ লুকিয়ে রাখছে সরকার। এটাই প্রথম না। এই ঘটনার কিছুদিন আগে আরও এক জায়গায় বিষ মদ খেয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।” 

    এর আগে ১৫ ডিসেম্বর নীতিশ প্রশাসনকে এক হাত নেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, “মদ (Hooch Tragedy) অনেকটা ঈশ্বরের মতো। চোখে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে।” আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে দাবি করেন রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অপারক নীতিশ প্রশাসন।

    এদিকে বিষমদ কাণ্ডের (Hooch Tragedy) তদন্ত এবং মৃতের পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণের বিষয়ে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ শুক্রবার, রাজ ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। 

    ২০১৬ সালেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে। তবুও মদ বিভীষিকা পিছু ছাড়ছে না নীতিশ কুমারের। নিয়মিতহারে বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে রাজ্যের যত্রতত্র। এই মৃত্যু কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনও কেউই বলতে পারছেন না।

    এই ঘটনায় (Hooch Tragedy) নীতিশ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা নীতিশের পদত্যাগের দাবি করেছেন। এমনকী বিধানসভায় নীতীশ কুমার তাঁর আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, এমন দাবিও তোলা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার নীতীশ বিষ মদ কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “মদ অত্যন্ত খারাপ একটি জিনিস। মদ খেলে মরতেই হবে। সাম্প্রতিক ঘটনা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।” নীতিশের এই ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্যের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার বিধানসভা।

    আরও পড়ুন: সুপারম্যান চরিত্রে আর ফিরবেন না, নিজেই জানালেন হেনরি ক্যাভিল

    ছাপরার বিষ মদ কাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে স্টেশন হাউস অফিসার রীতেশ মিশ্র, কনস্টেবল বিকেশ তিওয়ারীকে বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। মরহৌরা সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার যোগেন্দ্র কুমারের সুপারিশে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর কারা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

    ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী বললেন নীতিশ? 

    বিরোধীরা মৃতের পরিবারকে (Hooch Tragedy) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুললে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি বলেন, “শেষবার যখন বিষমদ কাণ্ডে কারোর মৃত্যু হয়েছিল সেই সময় তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিলেন কয়েকজন। কেউ মদ্যপান করেন তাঁরা মারা যাবেন। এবং তার উদাহরণ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। সমবেদনা জানাই। এতে সরকারের কিছু করার নেই।” তিনি এদিন আরও বলেন, “আমি পুলিশ অফিসারদের বলেছি, তাঁরা যেন দরিদ্রদের না গ্রেফতার করেন। যারা রাজ্যে মদ তৈরি করছে এবং এর ব্যবসা চালাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা উচিত। তারা এই কাজ ছেড়ে নতুন করে অন্য কোনও কাজ শুরু করতে চাইলে বিহার সরকার তাদের নতুন কাজ শুরু করার জন্য ১ লক্ষ টাকা দিতে প্রস্তুত। দরকার পড়লে আমরা এই টাকার পরিমাণও বাড়িয়ে দেব। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share