Blog

  • National Protein Day: সুস্থ থাকতে রোজ খাওয়া উচিত প্রোটিন, তবে কোন ধরণের?

    National Protein Day: সুস্থ থাকতে রোজ খাওয়া উচিত প্রোটিন, তবে কোন ধরণের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল, ২৭ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতীয় প্রোটিন দিবস (National Protein Day)। বিশ্বব্যাপী মানুষের দেহে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে বা প্রোটিনের অভাব দূর করতে এই সচেতনতামূলক দিনটি পালিত হয়। ২০২০ সালে প্রথম জাতীয় প্রোটিন দিবস পালন করা হয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আমাদের শরীরে হজম প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কোষ গঠন ইত্যাদিতে সাহায্য করে এটি। সব ধরণের কাজেই প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই প্রোটিন থাকতে হবে যা আমাদের শরীরকে করে তুলবে স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী।

    কোন কোন ধরণের প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত (National Protein Day)?

    ফ্যাটহীন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার: সব সময় চর্বিহীন প্রোটিন বেছে নিন। যে যে খাবারে প্রোটিন বেশি, ফ্যাট বা চর্বি কম, সেগুলি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এর মধ্যে মাছ, ডাল ও মাংস রয়েছে। এগুলিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে এবং আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি ১২-এ সমৃদ্ধ হয়।

    উদ্ভিদজাত প্রোটিন খাবার: উদ্ভিদজাত প্রোটিন শরীরের জন্য আরও ভালো। তাই এগুলিও খাবারের তালিকায় রাখুন‌। বাদাম, বীজ ইত্যাদি খেলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।

    ডিম: প্রোটিন জাতীয় খাবার বললে সবসময় ডিম অন্তর্ভুক্ত করবেন আপনার ডায়েটে। কারণ ডিম প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস, এর পাশাপাশি এতে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এবং কোলিন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাড়তি ওজনে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় ৯১ শতাংশ! ঠিক কী বলছে নতুন গবেষণা

    প্রোটিন পাউডার বুঝে খান: অনেকে শরীরে প্রোটিন জোগাতে প্রোটিন পাউডার খান। এই ধরনের প্রোটিন খেলে ভালো মানের খাওয়াই ভালো। নয়তো অতিরিক্ত চিনি থাকায় শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

    খাবার খাওয়ায় ভারসাম্য: প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া একটু বুঝে-শুনে খাওয়া উচিত। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সব রকমের উপাদানই রাখা উচিত।

    প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকস: স্ন্যাকস খেতে ইচ্ছে হলে সবসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকসই খাওয়া উচিত।

    সঠিক পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া: প্রোটিন দেহের জন্য উপকারী হলেও সবসময় সঠিক বা পর্যাপ্ত পরিমাণেই খাওয়া উচিত।

    হাইড্রেটেড থাকুন: প্রোটিনজাত খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খাওয়া উচিত। কারণ পর্যাপ্ত জল সামগ্রিক স্বাস্থ্য, সঠিক হজম এবং প্রোটিনের মত পুষ্টির শোষণে সহায়তা করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Kisan Samman Nidhi Yojana: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    PM Kisan Samman Nidhi Yojana: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলির আগেই কৃষকদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার (PM Kisan Samman Nidhi Yojana) সুবিধাভোগী কৃষকদের জন্য রয়েছে সুখবর। সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারি পিএম কিষাণের টাকা সুবিধাভোগী কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হল। এর ফলে উপকৃত হবেন দেশের ১০ কোটিরও বেশি কৃষক। এদিন কর্নাটকের বেলাগাভি থেকে সরাসরি কৃষকদের কিষাণ যোজনার ১৩তম কিস্তির টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কিস্তিতে প্রায় ৮ কোটির বেশি কৃষকরা মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা পেলেন। প্রায় বহুদিন ধরেই দেশের কৃষকরা এর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। আজ অবশেষে তাঁদের প্রতীক্ষার অবসান হল।

    কর্নাটকে একটি অনুষ্ঠান থেকে কিষাণ যোজনার টাকা দেওয়ার সূচনা

    আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েকটি উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধনে কর্নাটক যান। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী হাই-টেক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেন। এর পরেই তিনি সেখান থেকেই কিষাণ সম্মান নিধির টাকা দেওয়ার সূচনা করেন। এর আগে মে ও অক্টোবর মাসে ১১ ও ১২তম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর এবার ১৩ তম কিস্তির টাকা দেওয়া হল (PM Kisan Samman Nidhi Yojana)।

    প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় কত টাকা পেলেন কৃষকরা?

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৪ বছর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই পিএম কিষান যোজনা সামনে এনেছিল মোদি সরকার। মূলত প্রান্তিক ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া কৃষকদের সহায়তায় এই উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র। এই যোজনার আওতায় বাৎসরিক ভাবে মোট ৬০০০ টাকা দেওয়া হয় কৃষকদের। তবে একবারে এই টাকা না দিয়ে কিস্তিতে কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে মোট ৩ বারে দেওয়া হয় ৬০০০ টাকা। ফলে এবারেও এই প্রকল্পের অধীনে থাকা উপভোক্তা কৃষকদের মাথাপিছু ২ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (PM Kisan Samman Nidhi Yojana)। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৪ বছরে ১১.৩০ কোটিরও বেশি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ২৪ হাজার কোটির বেশি টাকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

    টাকা এসেছে কিনা কীভাবে চেক করবেন?

    http://pmkisan.gov.in -এ গিয়ে কৃষকেরা টাকার পরিমাণ জানতে পারেন (PM Kisan Samman Nidhi Yojana)। যদি কোনও কৃষক মনে করেন, তিনি যোগ্য সুবিধাভোগী হওয়া সত্ত্বেও অ্যাকাউন্টে টাকা পাননি, তাঁরা ১৫৫২৬১ বা ১৮০০১১৫৫২৬ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাতে পারেন। এছাড়াও এখানে কৃষকদের সব সমস্যার সমাধান করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দেশ-বিদেশের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সোমবার তিনি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam)তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অথবা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।  

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে জরিমানা

    সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মানিকের একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেলবন্দি রয়েছেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক। এর আগে দুটি আলাদা মামলায় মানিককে ২ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ, মোট ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। সেই জরিমানার টাকা দেননি মানিক। এমনকি আদালতে কোনও আবেদনও জানাননি তিনি। সেই জরিমানার টাকা অনাদায়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার মামলার শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থাকে এই নির্দেশ দেন তিনি। দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তা শীঘ্রই বাজেয়াপ্ত করা হবে। জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত তাঁকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না।

    আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    দিন পাঁচেক আগেই মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। ইডি আদালতে দাবি করে, শৌভিক যে কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন তাতে তাঁর ভিসায় ‘পার্পাস’ হিসেবে লেখা ছিল ‘রেসিডেন্সিয়াল।’ কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রশ্ন, বাড়ি বা জমি না থাকলে কী করে রেসিডেন্সিয়াল পার্পাস হয়? যদিও মানিক তাঁর বিদেশে সম্পত্তির কথা অস্বীকার করেছেন। ইডির দাবি, ২০১২ সাল থেকে শুরু করে অন্তত ২০বার বিদেশ সফরে গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবার। বিদেশ সফরের তালিকায় ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনামের মতো একাধিক দেশ রয়েছে। প্রতিটি সফরে খরচ হয়েছে অন্তত ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। পুরোটাই কী নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায়, তারই খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত”, মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।

    কী ঘটেছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে (SSC Scam) ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। কিন্তু এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আদালত তাঁদের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে। আজ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার শুনানি ছিল। সেসময়েই নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে এমন মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নবম-দশমের অযোগ্যদের চাকরি বরখাস্তের (SSC Scam) প্রসঙ্গ এনে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক চলাকালীন এদের বরখাস্ত করলে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপরই তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে মাধ্যমিক চলাকালীন অযোগ্যদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না। এতে পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।” ফলে বরখাস্ত হওয়া অযোগ্যের সংখ্যা ১১০০-র কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এতে স্কুলে সমস্যা হতে পারে।

    উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার মুখে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার জেরে অনেক স্কুলে একমাত্র গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যায়। সেই সব স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর দায়িত্ব ভাগ করে করতে হয়েছে শিক্ষকদের। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির মন্তব্য যে, মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই চাকরি বরখাস্তের পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত (SSC Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Aamlaki Ekadashi: আজ আমলকী একাদশী, জানেন এর মাহাত্ম্য? জেনে নিন ব্রতপালনের নিয়ম

    Aamlaki Ekadashi: আজ আমলকী একাদশী, জানেন এর মাহাত্ম্য? জেনে নিন ব্রতপালনের নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শাস্ত্রকাররা বলছেন একাদশীর অর্থ হল আমাদের ১০ ইন্দ্রিয় এবং এক মন নিয়ন্ত্রণ। হিন্দু শাস্ত্রমতে, একাদশীতে দুটি শব্দ আছে, এক এবং দশ । দশ ইন্দ্রিয় এবং মনের ক্রিয়াকলাপকে জাগতিক জিনিস থেকে ঈশ্বরে রূপান্তরিত করাই আসল একাদশী। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি আমলকী একাদশী (Aamlaki Ekadashi) নামে পরিচিত। এই দিনটিকে অনেকে রঙভরনী একাদশীও বলে থাকেন। আমলকী একাদশীতে আমলকী গাছের পুজো করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর পুজোও এদিন করা হয়। চলতি বছর আমলকী একাদশীর ব্রত পালন হবে ৩ মার্চ।

    কেন এই একাদশীর নাম আমলকী একাদশী (Aamlaki Ekadashi)

    আমলকী গাছের উত্‍পত্তি নিয়ে পুরাণে একটি কাহিনি প্রচলিত আছে। বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে আমলকী গাছের উৎপত্তি ভগবান বিষ্ণুর মুখ থেকে। বিশ্বাস মতে, তাঁর মুখ থেকে একবার চাঁদের সমান একটি বিন্দু প্রকট হয়ে পৃথিবীতে গিয়ে পড়ে। সেই বিন্দু থেকেই আমলকী গাছের উৎপত্তি হয়। বিষ্ণুর মুখ থেকে উৎপন্ন আমলকী গাছকে তাই সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, আমলকী ফল ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এই ফলের প্রচুর উপকারিতা আছে। ভক্তদের আরও বিশ্বাস, আমলকী খেলে তিন গুণ শুভ ফল লাভ করা যেতে পারে। অনেকে মনে করে আমলকী একাদশী তিথি এই গাছে অবস্থান করেন স্বয়ং লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দেবীর লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়ার জন্যও এদিন আমলকী গাছের পুজো করার রীতি প্রচলিত আছে। দেশের অনেক জায়গায় আমলকী একাদশী থেকেই দোল উৎসবের সূচনা হয়। আবার অন্য একটি পৌরাণিক গল্প অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মার জন্ম হয়েছিল। পরমব্রহ্মকে জানার জন্য তখন তপস্যা শুরু করেছিলেন ব্রহ্মা। সেই তপস্যায় খুশি হয়ে বিষ্ণু আর্বিভূত হন। চোখের সামনে নারায়ণকে দেখে ব্রহ্মা তাঁর চোখের জল সামলে রাখতে পারেননি। নারায়ণের পায়ে তাঁর চোখের জল পড়েছিল। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় এই গোল সবুজ ফল। নারায়ণ তখন বলেছিলেন, ‘আজ থেকে এই ফল আর এই গাছ আমার খুব প্রিয় হবে। এই দিনে ভক্তিভরে আমলকী গাছকে পুজোর মধ্যে দিয়েই আমার আরাধনা করা হবে। আমলকী একাদশীতে পুজো করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হবে এবং জীবনে আসবে শুভ যোগ’।

    আমলকী একাদশীর (Aamlaki Ekadashi) ব্রত কথা

    কথিত আছে প্রাচীনকালে চিত্রসেন নামে এক রাজার রাজত্ব ছিল। তাঁর রাজ্যে একাদশী ব্রত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করা হত। তাঁর রাজ্যের সমস্ত প্রজা একাদশী ব্রত পালন করতেন। অন্যদিকে রাজার মনে আমলকী একাদশীর প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ছিল। একদিন শিকার করতে গিয়ে জঙ্গলে অনেক দূর এগিয়ে যান রাজা। সেখানে এক দল ডাকাতের কবলে পড়েন তিনি। অস্ত্র হাতে রাজাকে আক্রমণ করে ডাকাতরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে রাজার ওপর যে অস্ত্রই প্রয়োগ করা হোক না কেন, সে সবই ফুলে পরিণত হয়ে যায়।

    বিপুল সংখ্যক ডাকাতদের মোকাবিলা করতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান রাজা। সে সময় রাজার শরীর থেকে একটি দৈব শক্তি প্রকট হয় ও ডাকাতদের বিনাশ করে পুনরায় অদৃশ্য হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে রাজা দেখেন সমস্ত ডাকাত মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হতবাক হয়ে যান রাজা চিত্রসেন। তখন আকাশবাণী হয়, ‘হে রাজা! এই সমস্ত রাক্ষস তোমার আমলকী একাদশীর ব্রতর প্রভাবে মারা গিয়েছে। তোমার শরীর থেকে উৎপন্ন আমলকী একাদশীর বৈষ্ণবী শক্তি এদের সংহার করেছে। এদের বধ করে সেই শক্তি পুনরায় তোমার শরীরে প্রবেশ করেছে। এই কথা শুনে রাজা প্রসন্ন হন এবং নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে একাদশীর মাহাত্ম্য প্রচার করেন।’

    কীভাবে আমলকী একাদশীর (Aamlaki Ekadashi) ব্রতপালন করবেন

    পণ্ডিতরা বলছেন, এদিন খুব সকালে অর্থাৎ ব্রাহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে বিষ্ণুর পুজো করুন। এরপর বাড়ির পাশে যেখানে আমলকী গাছ রয়েছে সেখানেও বিষ্ণুর একটি ছবি বসিয়ে পুজো করতে হবে। আমলকী গাছের তলায় হলুদ কাপড় বিছিয়ে নারায়ণের ছবি রাখুন। এবার ধূপ, ফুল, চন্দন আর নৈবেদ্য সাজিয়ে পুজো করুন। পুজো শেষ হলে গাছতলায় ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে আসুন। তবে প্রসাদে একটি গোটা আমলকী যেন অবশ্যই থাকে। এদিন নিরামিষ আহারের রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মা নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজিতের মাকে অভিযুক্তরা এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের ভয়ও দেখানো হয়েছে। এরপরেই নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করে সরকার পরিবার। সোমবার এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছে। সেই মামলাতেই ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাঁদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।

    কী জানা গিয়েছে?

    অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের দাবি, শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গুন্ডা নিয়ে পৌঁছন অভিযুক্তদের আইনজীবী (Rajasekhar Mantha)। অভিজিতের মা-কে সাদা কাগজে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। সই করতে অস্বীকার করলে ওই বৃদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিজিতের মা। এমনকী তাঁকে এনআরএস হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বজিৎবাবু।

    বিশ্বজিৎ বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমাদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। থাকে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। ঘটনার পর পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বললে তারা জানায়, ক্যামেরা চালু হচ্ছে না।” এরপরেই আরও কড়া নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকার পরিবার।

    আরও পড়ুন: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের   
     
    সোমবারই বিজেপি কর্মী খুন মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মায়ের (Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেন। 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের (Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আসে। ওই সময়ই ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইয়ের খুনিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে এতদিন লড়াই করছেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jammu and Kashmir: এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কোনটি? চমকপ্রদ তথ্য উঠল সমীক্ষায়

    Jammu and Kashmir: এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কোনটি? চমকপ্রদ তথ্য উঠল সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় ছিল তা সন্ত্রাসের বধ্যভূমি তবে এখন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। হ্যাঁ কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir Tourism) কথাই বলা হচ্ছে। ৯০ এর দশক থেকেই সেখানে পাকিস্তানের মদতে মাথাচাড়া দিতে থাকে সন্ত্রাস। দলে দলে ভিটেমাটি ছাড়া হতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। অবস্থার বদল হতে থাকে দ্বিতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারার বিলোপ করে মোদি সরকার। তারপর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। আর ফিরে তাকাতে হয়নি! তিন বছরের মধ্যে দেশের সবথেকে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের তকমা পেয়েছে এই রাজ্য। শ্যুটিং চলছে ২০০টিরও বেশি ছবির।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    কী বলছে সমীক্ষা

    ইন্ডিয়া টুডের একটি সমীক্ষায় পর্যটকদের তালিকায় প্রথম পছন্দ হিসেবে উঠে এসেছে এই রাজ্য। লকডাউন পরবর্তী সময়ে সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল ট্রেড এক্সপো নামের একটি ট্যুর সংস্থা কাশ্মীরকে পুরস্কৃত করেছে সবথেকে ভাল পর্যটন শিল্পের জন্য।পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে ১.৮৮ কোটি পর্যটক সারা বিশ্ব থেকে কাশ্মীর ভ্রমণে গেছেন বলে জানা গেছে। এটা একটা রেকর্ড। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চলে গত ৩০ বছর ধরে প্রবেশ নিষেধ ছিল। সেসমস্ত এলাকাগুলিতে এখন পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
    কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাশ্মীর ভ্রমণকে কটাক্ষ করে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও এখন কাশ্মীরকে উপভোগ করছে। সূত্র মারফত জানা গেছে মোট ৭৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ২০১৯ সালের পর থেকে।  হোটেলগুলি কখনও ফাঁকা থাকছেনা। বিভিন্নজন বাড়ি ভাড়া দিয়েও আয় করছেন। সবমিলিয়ে নতুন কাশ্মীর নজরে পড়ছে।

    আরও পড়ুন: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া জনসংযোগ অভিযানে (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নামছে বিজেপি যুব মোর্চা। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাড়ায় সুকান্ত কর্মসূচি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের উঠোনে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনা হবে। এই নয়া কর্মসূচির নাম ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’।  

    আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি পর্যায়ে শুরু হবে এই অভিযান। এই কর্মসূচিতে যুব মোর্চার (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নেতা কর্মীরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে উঠোন বৈঠক করবেন। এছাড়াও গ্রামের সমস্ত শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। দেশের জন্য শহিদ কিংবা দলের ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন সেই সব পরিবারের সঙ্গেও যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা দেখা করবেন। 

    সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা (BJP Gram Sampark Abhiyaan) গ্রামের মানুষের সুখদুঃখের কথা শুনবেন। বিশেষত কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি যেভাবে লুট হচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা জানতে চাইবেন।”

     

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    তবে এই কর্মসূচির অন্তর্গত আরো একটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে যার নাম অমৃত সন্ধ্যা। এই কর্মসূচির (BJP Gram Sampark Abhiyaan) মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করবেন ও কথা বলবেন। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “এই গোটা কর্মসূচির দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার এক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না। প্রথম পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন হবে।”  এই অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি বিধানসভা ও দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলায় পৌঁছবে বিজেপির যুব বাহিনী। সেখানে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা হবে। 

    কেন এই কর্মসূচি?

    এই কর্মসূচি কেন নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত (BJP Gram Sampark Abhiyaan) উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একটি বাড়ির তালিকা আমরা পেয়েছি। সেটা কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখানে গৌরাঙ্গ অধিকারী যার পিতার নাম সুখময় অধিকারী তিনি একবার এসসি ক্যাটাগরিতে একটি বাড়ি পেয়েছেন। তিনিই আবার জেনারেল ক্যাটাগরিতে বাড়ির টাকা পেয়েছেন।” এই উদাহরণ থেকে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল যে বিজেপির নিশানায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে। মদ কেনার পাশাপাশি বিক্রির পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর গত ২ মে দিল্লির আবগারি নীতি সংশোধন করে নয়া নীতি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ৩০ জুলাই নতুন মদ নীতি সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকান থেকেই মদ বিক্রি করা যাবে।

    কী নিয়ে বিতর্ক?

    আবগারি নয়া নীতিতে মদের হোম ডেলিভারি, ভোর তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা, লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতাদের সীমাহীন ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই ২০২২ সালে তা বাতিল করা হয়। আপ সরকারের দাবি ছিল এই নতুন আবগারি নীতির ফলে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে। কিন্তু এই নীতি কার্যকর করতেই আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে।

    আরও পড়ুন: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    নতুন মদ নীতিতে অনিয়মের কারণেই দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সিবিআই। ফলে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এর পর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই। এর পাশাপাশি তিনি দিল্লির মুখ্য সচিবকে নতুন মদ নীতির ‘অবৈধ প্রণয়ন, সংশোধনী এবং বাস্তবায়নে অফিসার এবং সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা’ নিয়ে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর এই মামলায় তদন্তে নেমেই গতকাল গ্রেফতার করা হল আবগারি দফতরের দায়িত্বে থাকা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।

  • Manish Sisodia: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    Manish Sisodia: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গ্রেফতার দিল্লির আপ মন্ত্রী (Manish Sisodia)। মাত্র ৯ মাসের ব্যবধান। এর আগে গত মে মাসে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। আর এবারে ২৬ ফেব্রুয়ারি অন্য এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করল দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আবগারি নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরও হয়ে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয় জেরা। শেষমেশ এদিন সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    দিল্লির মন্ত্রীর গ্রেফতারে বিপাকে আপ শিবির

    সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির পর এবারে দলের প্রধান কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিসোদিয়ার গ্রেফতারিতে ফের ‘অস্বস্তি’তে আপ শিবির। গত বছরের ৩০ মে এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল ইডি। মানি লন্ডারিং কেসে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তদন্তে উঠে এসেছিল যে, ২০১৫-১৬ সালে কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে যুক্ত ছিলেন তিনি। ৪.৮১ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছিল। মনে করা হচ্ছে যে এই টাকা সরাসরি জমি কেনার জন্য বা দিল্লি এবং তার আশেপাশে কৃষি জমি কেনার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। সত্যেন্দ্র কেজরিওয়ালের খুব ‘ঘনিষ্ঠ’ নেতা বলে পরিচিত। আর সেই কারণেই কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভাতেও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারিতে বড় ধাক্কা খেয়েছিল আম আদমি পার্টি।

    আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    এবার সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের গ্রেফতার আরও এক আপ মন্ত্রী, যিনি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীও। মণীশ সিসোদিয়াও ঘনিষ্ঠ নেতা কেজরিওয়ালের। আবগারি নীতি মামলায় গত বছরেই সিসোদিয়ার বাড়ি-সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। এর পর তাঁর ব্যাঙ্ক লকারও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। গত অগাস্টেই সিসোদিয়া এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এর পর একাধিকবার তাঁকে তলব করে জেরা করার পর গতকাল অবেশেষে গ্রেফতার করে সিবিআই।

LinkedIn
Share