Blog

  • Agni 5: সাবধান বেজিং! প্রায় গোটা চিনই এখন ভারতের ‘অগ্নি ৫’-এর নিশানায়

    Agni 5: সাবধান বেজিং! প্রায় গোটা চিনই এখন ভারতের ‘অগ্নি ৫’-এর নিশানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফল উৎক্ষেপণ! চিন ও পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারেই অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। ফলে ভারতীয় সেনার মুকুটে জুড়ল আরও এক পালক। ৫০০০ কিমি দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এই সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ

    কয়েকদিন আগে থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্ত। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। ফলে অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) পরই এই উৎক্ষেপণকে (Agni 5) তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৫০০০ কিলোমিটার দূরের কোনও টার্গেটেও আঘাত হানতে পারে অগ্নি-৫ (Agni 5)। অর্থাৎ প্রায় গোটা চিনের বেজিং সহ যে কোনও জায়গায় গিয়ে আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম যাচাই করার জন্য গতকাল এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল, যা সাফল্য এনে দিয়েছে ভারতকে।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    অগ্নি-৫-এর বিষয়ে কিছু তথ্য

    ১) অগ্নি ৫-এর সিরিজে সব থেকে এগিয়ে থাকা মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম ‘অগ্নি ৫’ (Agni 5)। ৫০০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে এই মিসাইল। অগ্নি ১ ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিমি, অগ্নি ২ মিসাইল ২০০০ কিমি, অগ্নি ৩ এবং ৪  আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।

    ২) অগ্নি-৫-এর (Agni 5) দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৭ মিটার। পরিধি ২ মিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম, যেটি ৫০০০ কিমির দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করতে সক্ষম। এটি সমগ্র এশিয়া, ইউরোপের কিছু এলাকাকেও তার লক্ষ্যের আওতায় আনতে সক্ষম।

    ৩) অগ্নি-৫-এর (Agni 5) মাধ্যমে পরমাণু হামলাও চালানো যাবে। ১,৫০০ কেজি পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম এই অগ্নি-৫।

    ৪) অগ্নি-৫ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হল চিনের বিরুদ্ধে ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো।

    ৫) এই নিয়ে টানা নবমবারের জন্য অগ্নি -৫-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হল। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল। আবার এ বছর ১৫ ডিসেম্বর ওড়িশা উপকূলে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল হয়। প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১২ সালে।

    ৬) এই সফল পরীক্ষার মাধ্যমে, অগ্নি ৫ (Agni 5) ভারতের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে।

    উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনার হাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র (Agni 5) চলে আসায় চিন ও পাকিস্তান অনেকটাই উদ্বিগ্ন থাকবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, ৫০০০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুকে ঘায়েল করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ এছাড়াও ৯ ডিসেম্বরের ভারত-চিন সীমান্তের সংঘর্ষের পর নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। আবার এরই মধ্যে মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ স্বাভাবিকভাবেই চাপে ফেলল শত্রু দেশগুলোকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের দাবিতে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ঢাকায় জাতিসংঘ মিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ।

    স্মারকলিপিতে পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে বা গোপনে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে থাকা শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে বিরত থাকার দাবি জানানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে এও দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১তম গ্রেনেড হামলা এবং ৭১- এর নৃশংসতার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মঞ্চে অমিতাভ-জয়া, পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শাহরুখ ছাড়াই শুরু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান 

    কী বলল মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ? 

    স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, “যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান এবং দু লক্ষ মহিলা ধর্ষিতা হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে আত্মসমর্পণের প্রতিশোধ নিতে, পাকিস্তান বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। জিয়া-মোশতাকের সহায়তায় পাকিস্তান সেনা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

    ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু (Bangladesh) কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান বিরোধী দলকে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে মানব সুরক্ষা তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতার মৃত্যু হয়।  

    বাংলাদেশ (Bangladesh) মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আরও বলে, “এসব হত্যাকাণ্ডের দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না। পাকিস্তান যদি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে। আমরা জাতিসংঘের কাছে দাবি করছি যে, ১৯৭১ সালে গণহত্যা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচার হোক। সাজা দেওয়া হোক অপরাধীদের।” 

    সম্প্রতি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাঙালি (Bangladesh) এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের “গণহত্যা” অবশেষে স্বীকৃতি পেয়েছে। কারণ হোয়াইট হাউস ইসলামাবাদের এই কাণ্ডের নিন্দা করেছে কিছুদিন আগেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষকে ‘চোর’ ও ‘তোলাবাজ’ বলে উল্লেখ করে তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্র ডোমজুড়ের বিভিন্ন জায়াগায় পোস্টার,ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়া হয়। নীল রংয়ের এই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, কল্যাণ ঘোষ সবসে বড়া চিটিংবাজ, ধান্দাবাজ, তোলাবাজ আর চোর হ্যায়।’ এরপরেই লেখা রয়েছে, ‘হাওড়ার মানুষ ডাক দিচ্ছে কল্যাণ ঘোষ নিপাত যাক।’ ব্যানারের একেবারে নিচে লেখা রয়েছে, তৃণমূল কর্মীবৃন্দের তরফে এই ব্যানার প্রচার করা হচ্ছে। ফেস্টুন-পোস্টারের নীচে ‘তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ লেখা থাকায় চাপানউতোর শুরু হয় শাসকদলের অন্দরেও।

    বিজেপি-তৃণমূল তরজা

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই পোস্টার ঘিরে সরগরম হাওড়ার রাজনীতি। বিজেপির পক্ষে উমেশ রাই বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যাপক দূর্নীতি আছে। তাই এইধরনের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গোটা ঘটনার পেছনে স্বার্থান্বেষীদের একটি অংশ কাজ করছে বলে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপির দিকে চলে গিয়েছিল সেই লোকেরাই তৃণমূল কর্মীদের নাম করে এই ধরনের পোস্টার সাঁটাচ্ছে। তাঁর কথায়, এই লোকেদের ‘ধান্দাবাজি’ বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই দল এবং দলের নামে বদনামের চেষ্টা করছে। 

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    এই ধরনের পোস্টার-ফেস্টুন ডোমজুড়ে নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ সব প্রায়ই হতো। কিন্তু রাজীব বর্তমানে তৃণমূলে। তার পরেও এই ঘটনা ফের ঘটায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সকালে নজরে আসার পরই পোস্টার ও ফেস্টুনগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    FIFA World Cup: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরক্কোকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গোল না পেলেও মন জিতে নিলেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। শুধু ম্যাচে নয়, ম্যাচের পরে বন্ধুত্বের বার্তায়। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই লড়াই ভুলে প্রতিপক্ষ দলের তারকা আশরাফ হাকিমিকে জড়িয়ে ধরলেন এমবাপে। বদলে ফেলেন জার্সি। আসল ঘটনা হলো, এমবাপে ও হাকিমি খেলেন একই ক্লাব পিএসজিতে। তাই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশের হয়ে তারা ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি না ছাড়লেও, মাঠের বাইরের বন্ধুত্বে কোনো চির ধরেনি। তারই ছবি ধরা পড়লো বুধবার রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে।

    জার্সি বদল

    ম্যাচের শেষে দুই বন্ধু কিলিয়ান এমবাপে ও আশরাফ হাকিমিকে দেখা যায় এক ফ্রেমে। ফাইনালে ওঠার পর, ফ্রান্সের সকল ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের যখন দেখা গিয়েছিল সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে, সেই সময় হাকিমিকে খোঁজার জন্য মরক্কো শিবিরের কাছে দেখা যায় এমবাপেকে। এরপরই ক্লাব ফুটবলের দুই সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে ও আশরাফ হাকিমিকে দেখা যায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে, এবং জার্সি বদল করতে।

    আরও পড়ুন: প্রত্যাশামতোই রবিবার মেসি বনাম এমবাপে! মরক্কোর স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

    হাকিমির উদ্দেশে এমবাপের বার্তা

    ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মরক্কো শিবিরের দিকে ফিরে আসেন আশরাফ হাকিমি। দেশকে ফাইনালে তুলতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু বন্ধুর সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি হাকিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে হাকিমির জার্সি পরে এমবাপের জয়ের সেলিব্রেশন  ঝড় তুলেছে। একই সঙ্গে এমবাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাকিমির উদেশে লিখেছেন, ” মন খারাপ করো না ভাই। তোমরা যা করে দেখিয়েছো, তার জন্য সবাই গর্বিত।” তোমরা ইতিহাস লিখেছো ফাইনালে উঠতে না পারলেও মরক্কো এবারের বিশ্বকাপে দারুণ চমক দিয়েছে। অপরাজিত থেকে তারা উঠেছিল সেমি ফাইনালে। হাকিমিরা হারিয়েছে স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়ামের মতো শক্তিশালী দলকে। তাই ফ্রান্সের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েও মরক্কো, বন্দিত হচ্ছে ফুটবল মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Weather: সপ্তাহান্তে পারদপতন শহরে, জেলাতেও জাঁকিয়ে শীত

    Kolkata Weather: সপ্তাহান্তে পারদপতন শহরে, জেলাতেও জাঁকিয়ে শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে ফিরছে শীত। শুক্রবার থেকে কলকাতায় বইতে পারে উত্তুরে হাওয়া (Kolkata Weather)। এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস। সপ্তাহের শেষে শনি ও রবিবার জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে শহর কলকাতায়। পারদ নামতে পারে ১৫ ডিগ্রির নিচে। দার্জিলিংয়ে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তুষারপাত অব্যহত থাকবে সিকিমে।   

    ঘূর্ণিঝড় মান্দৌসের জেরে গত কয়েকদিন শীত উধাও হয়েছিল রাজ্য থেকে। রাতের তাপমাত্রাও বেড়েছিল বেশ খানিকটা। কিন্তু বুধবার থেকে ফের শীতের (Kolkata Weather) আমেজ ফিরতে শুরু করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বড়দিনের আগেই শহরে জাঁকিয়ে ফিরতে চলছে শীত। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরতেই উত্তরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ থাকবে।

    কী বলছে হাওয়া অফিস? 

    সপ্তাহের শেষে জেলাগুলিতে পারদ নামতে পারে ১২ ডিগ্রিতে। সকালের দিকে আকাশ থাকবে কুয়াশাচ্ছন্ন (Kolkata Weather)। তবে কলকাতায় এই মুহূর্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ে হাল্কা বৃষ্টিপাত হতে পারে। 
     
    পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এই মুহূর্তে পূর্ব ভারত সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। তার প্রভাবে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃষ্টি ও সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে যেতেই তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে। উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য ভারতে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা কমতে পারে ৪ ডিগ্রি। একইভাবে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও (Kolkata Weather) আগামী ২৪ ঘণ্টা পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। তাপমাত্রা কমতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি। 

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকাল থেকেই ফের শীতের আমেজ শহরে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া আপডেট (Kolkata Weather) অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.২ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ২৮ ডিগ্রিতে। ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপাতত বজায় থাকবে শীত। 

    এদিকে আন্দামান (Kolkata Weather) সমুদ্রের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ আন্দামান ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ ও পরে আরও শক্তিশালী হয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ওই এলাকায় সমুদ্রে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Boycott Pathan: ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে বিতর্ক! পাঠান সিনেমা বন্ধের হুমকি

    Boycott Pathan: ‘বেশরম রং’ গান নিয়ে বিতর্ক! পাঠান সিনেমা বন্ধের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাঠান’ সিনেমা নিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। এ বার তাতে নয়া উপাদান যোগ করলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। এই সিনেমার বেশরম রং গানটিতে দীপিকা পাড়ুকোনের পোশাক নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে তাঁর পোশাকের রং নিয়েও। মঙ্গলবারই সোশ্যাল মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে এই গানটি। গানের দৃশ্য শেয়ার করেই ছবিটি বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং ‘বয়কট পাঠান’। এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে পাঠানকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন অনেকে।

    যা নিয়ে বিতর্ক

    গানের একটি দৃশ্যে দীপিকাকে একটি গেরুয়া রঙের মনোকিনিতে দেখা গিয়েছে। আবার গানের নাম রাখা হয়েছে ‘বেশরম রং’ আর এইখানেই চটেছেন অনেকে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র তো সাফ জানিয়েছেন দীপিকা যেভাবে পোশাক পরে এই গানে অভিনয় করেছেন তা অত্যন্ত অভব্য। দীপিকা যে পোশাক পরে আছেন তার রং নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, গানে যেসব অভিব্যক্তি রয়েছে তা জঘন্য মানসিকতার পরিচয় বহন করছে। বলেছেন, শাহরুখ ও দীপিকা অভিনীত পাঠান সিনেমার বেশরম রঙ গানটিতে যে দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা খুবই কুরুচিকর এবং আপত্তিকর দৃশ্য। তিনি আরও জানান, যদি এই সিনেমা থেকে এই পোশাক পরিহিত দৃশ্য পরিবর্তন না করা হয় তাহলে পাঠান সিনেমাটিকে রাজ্যে মুক্তি দিতে দেবেন না তিনি। এই সিনেমার পোশাক ও দৃশ্যের পরিবর্তন করা দরকার বলে ট্যুইট বার্তায় জানান নরোত্তম। সেখানে তিনি দীপিকা পাড়ুকোনকে কটাক্ষ করে বলেছেন টুকরো টুকরো গ্যাংয়ের সমর্থক তিনি। তাই এই ধরনের কাজ করতে তাঁর আটাকাচ্ছে না। ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান এই দৃশ্য।

    আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র

    ছবি বন্ধের ডাক

    হিন্দু মহাসভার তরফে এই গানের বিরোধিতা করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি স্বামী চক্রপানি মহারাজ একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন,’শাহরুখ খান অভিনীত পাঠান ছবির ‘বেশরম রঙ’ গানটিতে গেরুয়া ও হিন্দু সংস্কৃতির অপমান করা হয়েছে। এখন কি সেন্সার বোর্ড ঘুমাচ্ছে? আমরা সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। হিন্দুসভা এই গানের বিরোধিতা করবে।’ পোশাক নিয়ে সুর চড়িয়েছে সংস্কৃতি বাঁচাও মঞ্চ। তাদের তরফেও দাবি করা হয়েছে, ওই গানে দীপিকার পোশাক সরাসরি গেরুয়া পোশাকের অবমাননা। আর তাদের মঞ্চ কিছুতেই এসব বরদাস্ত করবেনা। সাধ্বী প্রাচী গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে ‘পাঠান’-কে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের শুরু হয়েছে চিনা সেনাদের উৎপাত। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং (Tawang) সেক্টরে ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে৷ আর এবারে এই ঘটনা নিয়েই চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত আর ১৯৬২ তে নেই। যদি কেউ ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তবে তাকে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা যোগ্য জবাব দেবে।  

    কী ঘটেছিল?

    চলতি মাসের ৯ তারিখ তাওয়াংয়ে (Tawang) দুই দেশের সেনা জওয়াানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতীয় জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আর এই অবস্থায় উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিনের সেনা জওয়ানরাই বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে কোনও প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনারা প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তৈরি ছিল ভারতীয় সেনারাও। অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হার মেনে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।

    আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    চিনাদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় গতকাল চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চিনের সেনাকে আটকে দিয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততক্ষণ কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।”

    অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এরপরেই ভারত-চিন সংঘর্ষ(Tawang) নিয়ে কড়া ভাষায় বিবৃতি দিলেন পেমা খাণ্ডুও। তিনি বলেছেন, “এটা ১৯৬২ সাল নয়। যদি কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তাকে কড়া জবাব দেবে ভারতীয় বীর জওয়ানরা। অনুপ্রবেশের কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইয়াংতসে আমার বিধানসভা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। প্রত্যেক বছর আমি সেনা জওয়ান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করি।” আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীদের ফলে চিনারা পিছু হটতে বাধ্য হলে তিনি জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমাদের জওয়ানরা ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয় না, ইটের জবাব লোহা দিয়ে দেয়।”

  • Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন এক পুলিশকর্মী (Police Bribery)। আর ঘুষের টাকা নেওয়ার সময়েই ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে এমন এক কাণ্ড করে বসলেন ওই পুলিশকর্মী, যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ভিজিল্যান্স অফিসারদের হাতে ধরা পড়তেই সেই টাকা ঢুকিয়ে দিলেন মুখে এবং টাকা গিলে ফেলারও চেষ্টা করলেন তিনি। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেই পুলিশ আধিকারিকের মুখে আঙুল ঢুকিয়ে টাকা বের নেয় ভিজিল্যান্স অফিসাররা। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে।

    ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা পুলিশকর্মীর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই পুলিশকর্মীর নাম মহেন্দ্র উলা। তিনি হরিয়ানা পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, একটি মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি। সেই মোষ মালিক শম্ভু নাথকে  মহেন্দ্র উলা বলেছিলেন, ১০ হাজার টাকা দিলেই তাঁর মামলার তদন্ত করা হবে। সেই কথা মত মহেন্দ্রকে প্রথমে ৬০০০ টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন শম্ভু। পরে ৪০০০ টাকা দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন শম্ভু নাথ। কিন্তু পরে তিনি এই বিষয়ে ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে ওই পুলিশকর্মীর নামে অভিযোগ (Police Bribery) করে দেন। এরপর সেই অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে ধরতে ফাঁদ পাতেন অফিসাররা। সেই বাকি টাকা দেওয়ার নাম করে হাতেনাতে ধরে ফেলে অফিসাররা। আর তারপরেই করে বসে অদ্ভুত কাণ্ড। সেই টাকা মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলার চেষ্টা করেন মহেন্দ্র উলা।

    ভিজিল্যান্স অফিসারও এখানে থেমে থাকেনি। সাব ইন্সপেক্টরটির মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বের করে আনেন তাঁরা। নিজেকে বাঁচাতে ভিজিল্যান্স আধিকারিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে টাকা উদ্ধার হতেই অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা (Police Bribery)।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমতাবস্থায়, একজন পুলিশ অফিসারের এহেন কাণ্ডকারখানা দেখে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ।

  • Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শক্তির জয় জয়কার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার বিশেষ বাহিনীতে এবার থেকে যোগ দিতে পারবেন মহিলা কমান্ডোরাও। তবে তার জন্য তাঁদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত মাপকাঠি মেনেই তাঁদের চলতে হবে। নিতে হবে কঠোর প্রশিক্ষণ। দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

    মার্কোসে মেয়েরা

    নৌসেনায় কর্মরত যে কোনও মহিলা মেরিন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। নৌসেনার কমান্ডো বাহিনীকে মার্কোস নামে ডাকা হয়। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করায় এই বাহিনীর সুনাম দুনিয়া জুড়ে। জল, স্থল, অন্তরীক্ষ— তিন জায়গাতেই সমান ভাবে লড়াই করতে পারে মার্কোস। এবার থেকে মহিলাদের জন্য সেই বাহিনীর দরজাও খুলে গেল। তবে এর জন্য অবশ্যই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের। যেতে হবে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। ভারতীয় সেনার মধ্যে নৌসেনাই প্রথম, যাদের বিশেষ বাহিনীতে কমান্ডো হিসাবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে চলেছে। বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যা সাধারণ ভাবে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বলে বিবেচিত হয়। তবে মহিলারা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে এবং যে কোনও কষ্টকেই সহজে জয় করতে পারে, বলে দাবি করেন এক নৌসেনা আধিকারিক। তাই তাঁরা যেকোনও বিভাগে যোগ দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযান থেকে শুরু করে বোমারু বিমান ওড়ানো, যুদ্ধজাহাজে দায়িত্বপালন, নৌসেনার সমস্ত শাখাতেই এখন মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি চলছে। নৌসেনা নিজেকে পুরোপুরি লিঙ্গনিরপেক্ষ বাহিনীতে বদলে ফেলেছে।

    আরও পড়ুন: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্সেও মেয়েরা

    শুধু নৌসেনা নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো ফোর্সেও যোগ দিতে পারবেন মহিলা অফিসাররা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মাপকাঠি পূরণ করলে বায়ুসেনার স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে (Garud commando force) যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও বাধা থাকবে না। গত বছরই স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে মহিলাদের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, ওই ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কোনও মাপকাঠি শিথিল করা হবে না। সম্পূর্ণ মাপকাঠি পূরণ করলে তবেই ওই বাহিনীতে সুযোগ মিলবে।  লিঙ্গ সাম্যের পথে এটাই প্রথম ধাপ নয় ভারতীয় বায়ুসেনার। অতীতে শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক কারণে সামরিক ভূমিকা থেকে মহিলাদের দূরে রাখা হত। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নয়া অধ্যায় রচিত হয়। সেই বছর মহিলা পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমোদন দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। ফের অ্যাসিড অ্যাটাকের (Acid Attack) শিকার হতে হল এক কিশোরীকে। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে রাস্তায় অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়া হল তরুণীর মুখে-চোখে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকায়। দুই যুবক বাইক চেপে ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আজ, বুধবার একেবারে সকাল ৯টা, ব্যস্ত সময়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্নের মুখে রাজধানীর দিল্লির বুকে মহিলা সুরক্ষা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা

    দিল্লির বুকে এই নারকীয় অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) দৃশ্য  সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন মানুষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুই কিশোরী। হঠাৎ করেই একটি বাইক আসে এবং তাঁদের সামনে ধীরে হয়ে যায়। আর তাদের দিকে তাকাতেই ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে ধরে দৌড়াতে দেখা যায় মেয়েটিকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার পর সফদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অ্যাসিড হামলার জেরে ওই কিশোরীর মুখের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তার চোখও অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্থ বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সফদরগঞ্জ হাসপাতালের আইসিইউতে ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে বলে খবর।

    অন্যদিকে ঘটনার (Acid Attack) পরেই ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর দুই মেয়ে। একজনের বয়স ১৭ এবং অন্যজনের ১৩। সকালে দুজনেই তাঁরা বের হয়। আর এরপরেই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর মেয়েকে কেউ বিরক্ত করত কিনা তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, “আমার মেয়েকে এর আগে কেউ বিরক্ত করেছে বলে আমার জানা নেই। আমি ওকে সব জায়গায় নিয়ে যেতাম। দুই বোন মেট্রোতে করে একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত।”

    গ্রেফতার তিন

    দিল্লির অ্যাসিড ছোঁড়ার (Acid Attack) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালেই এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত ওই যুবককে জেরা করাও শুরু হয়েছে। কেন এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার পরে বিকেলে এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

    হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    এই নারকীয় ঘটনা (Acid Attack) নিয়ে সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির অ্যাসিড হামলা প্রসঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “এটি একেবারেই মেনে নেওয়া যাবে না। অপরাধীদের এত সাহস হল কী করে? অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা দিতে হবে। দিল্লির প্রতিটি মেয়ের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

LinkedIn
Share