Blog

  • Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে শহরে এসে মুরলী ধর সেন লেনে দলের রাজ্য় সদর দফতরে পা দিয়েই বাংলায় দলের নেতাদের এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।

    শাহী পরামর্শ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখান থেকে রওনা দেয় অমিত শাহের কনভয়। গাড়ির সামনের সিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তাঁর পিছনের সিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, খগেন মুর্মু, সুভাষ সরকার, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ। 

    আরও পড়ুন: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন আধ ঘণ্টার বৈঠকে অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বেশি আসনে বিজেপি-র জয় চান তিনি। আর সেই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করতে বুথ স্তর থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য় দলের রাজ্য় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, সেই ভোটের রণকৌশল নিয়েও এদিন কথা বলেন অমিত। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য় নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় আগের থেকে বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেই শক্তি আরও বাড়াতে হবে। সেই জন্য় বুথস্তর থেকে সংগঠন মজবুত করতে হবে। আমার আশা গত লোকসভা ভোটে যত আসন পেয়েছিলাম, এবার তার থেকে বেশি আসন পাবো। সেই লক্ষ্য়ে কাজ করতে হবে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন রাজ্য় নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করার উপরেই বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংগঠন মজবুত করতে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। বাকি বিষয় কেন্দ্র দেখবে বলে রাজ্য় নেতাদের আশ্বাস দেন অমিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolar: কর্নাটকের কোলার সোনার খনি থেকে সোনা উত্তোলনের জন্যে দরপত্রের আহ্বান জানাতে চলেছে সরকার

    Kolar: কর্নাটকের কোলার সোনার খনি থেকে সোনা উত্তোলনের জন্যে দরপত্রের আহ্বান জানাতে চলেছে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে ঔপনিবেশিক যুগের খনিগুলির (Kolar) একটি ক্লাস্টারে ৫০০ লক্ষ টন প্রক্রিয়াজাত আকরিক থেকে সোনা উত্তোলনের জন্য দরপত্রের আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার এক সরকারি আধিকারিক এ কথা ঘোষণা করেন।

    কী পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার?

    বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত কোলার সোনা ক্ষেত্র দেশের প্রাচীনতম সোনার খনিগুলির (Kolar) মধ্যে অন্যতম। ২০ বছরেরও বেশি আগে বন্ধ হওয়া কোলার খনিগুলিতে প্রায় ২১০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা রয়েছে। ভারত নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে অতীতে প্রক্রিয়াজাত করা আকরিকের অবশিষ্টাংশ থেকেও সোনা বের করতে আগ্রহী।   

    ওই সরকারি আধিকারিক বলেন, “সোনা ছাড়াও, সরকার প্রক্রিয়াজাত আকরিক বা ডাম্প থেকে প্যালাডিয়াম নিষ্কাশনেরও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রক্রিয়াজাত আকরিকে আটকে থাকা সোনা কীভাবে নিষ্কাশন (Kolar) করা যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে দোতলার বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দিলেন শিক্ষিকা

    তিনি আরও বলেন, “সরকার আগামী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের একমাত্র সীমাবদ্ধতা হল শুধুমাত্র বিদেশি কোম্পানিগুলির প্রক্রিয়াজাত আকরিক থেকে সোনা নিস্কাশন (Kolar) করার প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের তা নেই। তবে বিদেশি কোম্পানিগুলি স্থানীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে। এমনকি একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করতে পারে।” 

    প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ভারত বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা মেটাতে সোনা আমদানির উপর শুল্ক ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১২.৫% করেছে। কোলার (Kolar) মুলত সোনার খনির জন্য খ্যাত। ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও প্রধান সোনার খনি কোলারে অবস্থিত। পরাধীন ভারতে সোনার খনিকে কেন্দ্র করে কোলারে জনপদ গড়ে উঠেছিল। ২০০১ সালে খনি বন্ধ হওয়ার আগে দেড়শো বছর ধরে সোনা তোলা হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

     

  • Amit Shah: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    Amit Shah: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার রাতেই শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামিকাল, শনিবার নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের হিমন্ত সোরেন ও ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকও। 

    রাতের কর্মসূচি

    জানা গিয়েছে, রাত ৯.২০ মিনিটে বিএসএফের বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসবেন শাহ। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন রাজ্য দলীয় নেতৃত্ব। বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, রাতে শহরে পৌঁছে বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দলের ৫ সাধারণ সম্পাদককে। 

    আরও পড়ুন: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    কালকের কাজ

    শনিবার, পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মূলত ৪ রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রয়োজনীয় সমাধান ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ৪ রাজ্যের সীমানা এবং সীমান্ত বিষয়ক সমস্যা প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। আলোচ্যসূচিতে রয়েছে সীমান্ত সংক্রান্ত ৪০টি সমস্যা। হাইভোল্টেজ এই বৈঠকের নিরাপত্তা নিয়ে তাই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। তবে মূল বৈঠকের পরে অমিত শাহ ও মমতার আলাদা বৈঠকও হতে পারে বলেও খবর। সূত্রের খবর, বৈঠকে গোরুপাচার ও বিএসএফ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজ্যের নাম বদলের প্রস্তাবে কেন এখনও অনুমোদন মিলল না? সেই প্রসঙ্গও তুলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অমিত শাহ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। নবান্ন সভাঘরের পাশে সচিবালয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ছাড়াও তিনি বিএসএফ ক্যাম্পে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সেক্টর ফাইভে অ্যানথ্রোপলজি ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। শনিবার বিকেলেই দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “টাইম হো গ্যায়া”, শাহী সাক্ষাতের পরই রহস্যময় ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “টাইম হো গ্যায়া”, শাহী সাক্ষাতের পরই রহস্যময় ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এর মধ্যে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ‘ডিসেম্বর’ সংকেত দলের অন্দরেই সমালোচনার ঝড় তুলেছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফের একই সুর শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। 

    শুক্রবার ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসেন অমিত শাহ। বিমান বন্দর থেকেই সোজা চলে যান বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দেখা হয় শুভেন্দু-সুকান্তর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে। সেখানেই চলে বৈঠক।

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    বৈঠকের পরই ফের ‘চার্জড আপ’ গেরুয়া শিবির। আজ শনিবার দমদম বিমানবন্দরে শাহের সঙ্গে দেখা হয় সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীদের (Suvendu Adhikari)। মিনিট খানেক কথা হয়। আর এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন দুজনে। শুভেন্দু-সুকান্তদের দাবি, আলোচনা বেশ সদর্থক হয়েছে। এতে উচ্ছ্বসিত দলের সবাই। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘আচ্ছে দিন’ আসতে চলেছে বাংলাতেও। আলোচনার পর এমনই আশা নাকি দেখতে পাচ্ছেন নেতারা। তবে কি নিয়ে আলোচনা কিংবা কথা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি তাঁরা।  

    আগামী মঙ্গলবার সংসদ ভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন দিল্লি ফিরে যাওয়ার সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সেই সময়ে আগামী মঙ্গলবার শুভেন্দুকে দিল্লি আসতে বলেন অমিত শাহ। 

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আগামী মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অমিত শাহজী আমাকে ডেকেছেন। আমার সঙ্গে ৩০ মিনিট তিনি বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, আগামীকালই দিল্লিতে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর এবং সুকান্ত মজুমদারের বৈঠক রয়েছে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “অল্প সময় হলেও অমিত শাহ রাজ্য এসেছেন এবং আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছন। তবে সেই বৈঠকে একটি বাক্য চর্চিত হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই তাঁর দাবি, টাইম হো গ্যায়া…!”

    আরও পড়ুন: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ একান্তে বৈঠক, কী আলোচনা হল?

    আবার জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কী জানুয়ারিতেই রাজ্যে কিছু ঘটতে চলেছে? শাহী সাক্ষাৎ নিয়ে উচ্ছসিত শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে বড়সড় ডাকাত, অত্যাচারী, চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইন এবং সংবিধান মেনে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বিএসএফ নয়, সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহাররে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাবদ এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্দেশীয় সীমান্ত ছাড়াও আন্তর্রাজ্য সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    কী বললেন অমিত

    বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।” পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। 

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত নিরপত্তায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ দাবির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার নামে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে ছিলেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। নবান্নে শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শহরে আরও কয়েকটি কাজ সেরে বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Haridevpur: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, হরিদেবপুরে গ্রেফতার মা-ছেলে

    Haridevpur: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, হরিদেবপুরে গ্রেফতার মা-ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ, গ্রেফতার এক যুবক ও তার মা। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকায়। মা যে পার্লারে কাজ করতেন, সেই পার্লারের কাজ করত সেই নাবালিকা। ‘কাকিমা’ বলে ডাকত তাঁকে। কালীপুজোর রাতে সেই কাকিমার সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানেই খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সেই কাকিমার ১৮ বছরের ছেলে। গত ১৬ তারিখ হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম কুনাল কোঠারি, তার মায়ের নাম অনুশ্রী কোঠারি।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে একটি পার্লারে বিউটিশিয়ান কোর্স করতেন অভিযুক্তের মা। কালীপুজোর দিন সেই অভিযুক্ত মহিলা নাবালিকাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে সেখানে কিছু খেতে দিলে খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর নাবালিকা অচেতন হয়ে পড়লে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: নবান্নের চোদ্দতলায় মমতা-শাহ একান্তে বৈঠক, কী আলোচনা হল?

    পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে চলে নির্যাতন। তিন দিন পর কোনও মতে পালিয়ে যায় সে। প্রথমে বাড়িতে কাউকে বলতে পারেনি নির্যাতিতা। এরপর এক আত্মীয়কে সব কথা জানায় ও এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যায় সে। সামাজিক লজ্জার কারণে ধর্ষণের অভিযোগও করতে চায়নি পরিবার। কিন্তু পরে শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার মাকেও গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,  ৩২৮ খাবারে নেশার দ্রব্য মেশানো, পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    অন্যদিকে এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত মা ও ছেলে। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আসলে ওই মেয়ে আমার ছেলেকে প্রোপোজ করেছিল। তাতে রাজি হয়নি আমার ছেলে। তাই আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।” 

  • FIFA World Cup: একমাসের আলোর ঝলকানি অতীত! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই ভাঙা হাটে পরিণত কাতার

    FIFA World Cup: একমাসের আলোর ঝলকানি অতীত! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই ভাঙা হাটে পরিণত কাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃসঙ্গ কাতার। বিশ্বকাপ শেষের পথে। গ্রুপ পর্যায়ের পর থেকে ধীরে ধীরে খালি হতে শুরু হওয়া কাতার, এখন বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে কার্যত ভাঙা হাটের রূপ নিয়েছে। এই এক মাস প্রায় ৭ লক্ষ ফুটবলপ্রেমী আরব দেশটিকে মাতিয়ে রাখলেও কাতার আবার ফিরছে তার পুরনো রূপে। সাত লক্ষের অধিকাংশই দেশ ছেড়েছে। দীর্ঘ একমাসের মিলন মেলার পর এক ঝটকায় শূন্যতা বিরাজ করছে দোঁহায়।

     ২০১০ সালে যখন ফিফা (FIFA) বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতারের (Qatar) নাম উঠে এসেছিল, তখন চমকে উঠেছিল অনেকেই। দেশটা তো আদৌ ফুটবল খেলিয়ে হিসেবে পরিচিত নয়। ভাল স্টেডিয়াম আছে কি না, সেখানে বিশ্বকাপ (World Cup) কতটা জমবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু ১২টা বছর এবং ৩০০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা) হাতে পেলে বহু অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আর হয়েছেও সেটাই। জমজমাট কাতার বিশ্বকাপ শেষের মুখে। বাকি আছে আর দুটো মাত্র খেলা। টুর্নামেন্ট যে সফল তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে অন্য জায়গায়।

    স্টেডিয়ামগুলোর কী হবে

    এই বিপুল অর্থ খরচ করার দরকার ছিল কি? রেকর্ড সংখ্যক টিভি দর্শক, আনন্দিত ফ্যান, কার্নিভ্যালের মেজাজ। কিন্তু আসল প্রশ্ন, বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরে কী হবে? ফাইনাল ম্যাচের পর যখন দেশবিদেশের লক্ষ লক্ষ সমর্থক থেকে ফিরে যাবে, কাতার হয়ে পড়বে ফাঁকা জায়গা। হোটেলের ঘরগুলো শূন্য হয়ে পড়ে থাকবে এবং সবথেকে বড় কথা কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি স্টেডিয়ামের (Stadium) একাধিক হয়তো আর ব্যবহারই হবে না। কাতারে ঘরোয়া ফুটবল ব্যাপক হারে খেলা হয় না। এবং এর কারণে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে অনেকগুলিই ভেঙে ফেলা হবে বা অন্য কিছুতে এগুলিকে পরিবর্তিত করা হবে। কাতার আন্তর্জাতিক ফোন কোড ৯৭৪ থেকে বিশ্বকাপের একটি স্টেডিয়ামের নাম হয়েছে স্টেডিয়াম ৯৭৪। কন্টেনার দিয়ে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়েছে। বিশ্বকাপের পর এই স্টেডিয়ামটিকেও ভেঙে ফেলা হবে। অন্যান্য ছয়টি স্টেডিয়ামকে শপিং মল, হোটেলৈ রূপান্তরিত করার কথা চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তোমরা ইতিহাস লিখেছো! ম্যাচ শেষে বন্ধু হাকিমির জার্সি গায়ে বললেন এমবাপে

    বিশ্বকাপের আগে কাতার বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে উপযুক্ত ব্যবহার না করার কারণে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে কাতার। তবে, মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা সংস্থাগুলোর তরফ থেকে প্রতিবাদের পর এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সমালোচিত হওয়ার পর মানবাধিকারকে অগ্রধিকার দিয়েছে কাতার এবং অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়েও তারা কাজ করেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। কিন্তু সবই তো সাময়িক। এখন তো ‘খেলা ভাঙার খেলা’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কেন হল জানেন?

    Bangladesh: বাংলাদেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল, কেন হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতেও দ্রুত গতিতে উন্নতি করছিল ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। করোনা (Covid-19) পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অব্যাহত ছিল বৃদ্ধির হার। পরে বাঁধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Eukraine war)। এদিন নয়া একটি বিবৃতি জারি করে সরকার। সেখানেই বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মার খাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) রফতানি। মার খেয়েছে দেশের ফোরেক্স রিজার্ভসও।

    বাংলাদেশের অর্থনীতি…

    সম্প্রতি হাঁড়ির হাল হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির। জানা গিয়েছে, গত মাসে আর্থিক সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ দ্বারস্থ হয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অর্থ সাহায্য পাবে। দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, সংক্ষেপে বিএনপি। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল তারা। লক্ষ্য ছিল, দেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ এবং ওই দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোণঠাসা করা। প্রসঙ্গত, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

    কী কারণে হাঁড়ির হাল হল বাংলাদেশের অর্থনীতির? আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের শক্তপোক্ত অর্থনীতি সম্প্রতি জোর ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে। এই যুদ্ধের জেরে নগদের জোগানে টান পড়েছে। দ্রুত কমতে শুরু করে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, কমেছে বৃদ্ধি।

    আরও জানা গিয়েছে, মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার দর গত কয়েক মাসে পড়েছে হু হু করে। এর ফলে বেড়েছে আমদানি খরচ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যেখানে বাংলাদেশি টাকায় এক মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল ৮৬টাকা, সেখানে বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকায়। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারেও পড়েছে টান। গত বছর ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটাই এখন কমে দাঁড়িয়েছে, ৩৩ হাজার ৭৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

     

     

  • Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি (Judges) নিয়োগের নয়া ব্যবস্থা তৈরি না হলে উচ্চ আদালতে (High Court) শূন্য পদের সমস্যা মিটবে না। পুরানো মামলার পাহাড়ও কমানো যাবে না। শুক্রবার রাজ্যসভায় এই কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। মাসখানেক আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের যে কলেজিয়াম ব্যবস্থা রয়েছে, তার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। এদিনও কলেজিয়ামকেই ফের একবার নিশানা করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। এর আগে বৃহস্পতিবারও তিনি বলেছিলেন, এত মামলা যখন ঝুলে রয়েছে, তখন জামিনের আর্জি শোনা উচিত নয় সুপ্রিম কোর্টের।

    শূন্যপদের সংখ্যা…

    এদিন রাজ্যসভায় মোদি (PM Modi) সরকারের আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে বকেয়া মামলার সমস্যা মিটছে না। শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিত। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আদালতে ছুটির তালিকা যে দীর্ঘ, এদিন তারও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। রিজিজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বছরে ১৪১ দিন, হাইকোর্টগুলিতে বছরে ১৫৫ দিন ছুটি থাকে। অনেক দিন ছুটি থাকায় মানুষের বিচার পেতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু আইনমন্ত্রী নন, সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও বিঁধেছিলেন বিচার বিভাগকে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সংসদে পাশ হওয়ার পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন খারিজ করে দেওয়ার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মামলার সংখ্যা পাঁচ কোটির কাছাকাছি। তিনি বলেন, এর অনেক কারণ রয়েছে। তবে তার মধ্যে প্রধান কারণটি হল, বিচারপতি নিয়োগ এবং শূন্যপদ পূরণ। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, ডিস্ট্রক্ট এবং লোয়ার কোর্টগুলিতে বিচারপতি ও বিচারক মিলিয়ে রয়েছেন ১৯ হাজার ১৯২ জন। যদিও পদ রয়েছে ২৫ হাজার ১১টি। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে পিটিশন জমা পড়ে রয়েছে ৫৯.৫৬ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর (Nehru) ভারত (India) নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের (China) কাছে। এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। সরকার বিষয়টিতে গুরুত্বই দিচ্ছে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যেরই পাল্টা দিল বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা…

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁকেই নিশানা করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে। রাহুলকে মুখের মতো জবাব দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টানেন বিজেপির মুখপাত্র। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যাতে দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের কাছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাঠোর। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চলে চিনের টাকায়। তার পরেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তির হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাঠোর বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিকবার দখলদারির চেষ্টা করেছিল চিন। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় হাতাহাতি হয় চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার। এই প্রসঙ্গেই রাহুল বলেছিলেন, লাদাখের কাছে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। এর পরেই রাহুলকে একহাত নেয় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share