Blog

  • Haimanti Ganguly: সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল গোপালের অ্যাকাউন্টে, দুটিতেই নমিনি হৈমন্তী!

    Haimanti Ganguly: সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল গোপালের অ্যাকাউন্টে, দুটিতেই নমিনি হৈমন্তী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই-ইডি নজরে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে লেনদেনে। পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টের নমিনিতে থাকা নাম নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, গোপাল-হৈমন্তীর একাধিক শেল বা ভুয়ো সংস্থারও হদিশ মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী জানিয়েছেন তদন্তকারীরা?

    তদন্তকারীদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। গোপালের কাজকর্ম সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, গোপাল-হৈমন্তীদের শেল কোম্পানি গুলির মাধ্যমেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করা হত। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে একটা মোটা অংশের টাকা আবার তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    নমিনি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    আরমানের অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly) নামের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে ‘আরমান ট্রেডিং’ নামক একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে। তার পর ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পৌঁছেছে আরমানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। ঘটনাচক্রে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমানের সেই অ্যাকাউন্টের নমিনি আবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়! সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, গোপালেরই আর এক নাম আরমান। দুই নামে তাঁর দু’টি প্যান কার্ডের হদিসও মিলেছে।

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমান নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন গোপাল দলপতি। আর সেখানে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নমিনি করেছিলেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টের নমিনি ছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। 

    আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    সন্দেহজনক লেনদেন

    আবার সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমান এবং হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। নারিমন পয়েন্টে অফিস রয়েছে হৈমন্তী অ্যাগ্রো ফাউন্ডেশনের। জানা গিয়েছে, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৬৮ লক্ষ টাকা গিয়েছিল এক সময়। আরেকবার হৈমন্তীর কাছে গিয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। গোপাল দলপতির নামে আরও ৫টি শেল কোম্পানির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্ত্রী তথা হৈমন্তীকে যতই ‘ইনোসেন্ট’ বলে দাবি করুক না কেন গোপাল দলপতি, তদন্তকারীরা আসল সত্য উদঘাটন করেই ছাড়বেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Haimanti Ganguly: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    Haimanti Ganguly: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখন একটা নাম নিয়েই তোলপাড় রাজ্য। তা হল— হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন হৈমন্তীর নাম। তারপর থেকেই প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে হৈমন্তীর বিষয়ে। 

    কুন্তলের দাবি অনুযায়ী, পেশায় মডেল-অভিনেত্রী হৈমন্তী (Haimanti Ganguly) হলেন এই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী। হৈমন্তীর মা-ও একই কথা জানান যে, গোপালের সঙ্গে তাঁর বড় মেয়ে অর্থাৎ হৈমন্তীর বিয়ে হয়েছিল। যদিও, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গোপাল ও হৈমন্তী একত্রবাস করতেন। অর্থাৎ, লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে, হৈমন্তীর সঙ্গে টলিউড যোগসূত্র রয়েছে৷ মডেলিংয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু হৈমন্তী গুটিকয়েক সিনেমাতেও কাজ করেছেন৷

    এত সম্পত্তির উৎস কী?

    প্রশ্ন হচ্ছে, এই ছুটকো-ছাটকা কাজ দিয়ে কী করে একজনের এত সম্পত্তি হল? স্বাভাবিকভাবেই মনে ঘুরে-ফিরে আসছে এই দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রথম নারী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসার পর থেকেই ভাগ্য ‘খুলে’ গিয়েছিল অর্পিতার। এখানেও তাহলে কেউ রয়েছেন হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) উত্থানের নেপথ্যে?

    সূত্রের খবর, মোট তিনটি ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হৈমন্তী(Haimanti Ganguly)। অভিনয় করেন ‘অচেনা উত্তম’, ‘জাল’ এবং ‘আনটোল্ড লাভ’ নামে তিনটি চলচ্চিত্রতে। এর মধ্যে জাল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাকি দুটি বি-গ্রেড ছবি। জানা গিয়েছে, এক সিরাজ নামে কাঠ মিস্ত্রির কথায় ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে নার্সের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ‌্যায়। ওই কাঠের মিস্ত্রির কথায় হৈমন্তীকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন টলিউডের এক নামী পরিচালক। কিন্তু, কাজের দ্বিতীয় দিনেই প্রযোজকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে বাদ দিয়ে দেন পরিচালক। 

    আবার অন‌্য একটি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন হাওড়ার এক লোহালক্কড়ের ব‌্যবসায়ীর হাত ধরে। দু’জনই হাওড়ার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একে অন্যের পরিচিত। সেই সূত্র ধরে ওই ছবির পরিচালকের কাছে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নিয়ে আসেন ব‌্যবসায়ী। পরিচালক ওই ব‌্যবসায়ীর অনুরোধে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দেন। কিন্তু, এই তিনটে ছবি ও সামান্য মডেল হয়ে, কোথা থেকে পেতেন এত টাকা, সেখানেই দানা বাঁধছে প্রশ্ন। 

    উল্কাবেগে উত্থান

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সালে গোপালের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই সময় হৈমন্তী উঠতি মডেল হওয়ায় সেভাবে কাজ পাচ্ছিলেন না। এদিকে, তাপস মণ্ডল থেকে শুরু করে কুন্তল ঘোষের মতো একাধিক প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল গোপালের। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গোপালের সঙ্গে পরিচয়ের পর রকেটের গতিতে উত্থান হয় হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে টলিউডে জায়গা করেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হতে শুরু করেন এই মডেল-অভিনেত্রী। হৈমন্তী রীতিমতো নিজের বিনোদন সংস্থা খুলে বসেছিলেন। বেহালায় সেই অফিস রয়েছে। কর্ণধার হিসেবে রয়েছে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম, যিনি কিনা গোপাল দলপতি নামেও পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, সিনেমাতে প্রযোজক হিসেবে নাকি টাকাও ঢালতে চেয়েছিলেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। তদন্তকারীদের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় সিনেমা প্রযোজনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। গোয়েন্দাদের মতে, এসএসসি দুর্নীতির বিপুল টাকা ওই বিনোদন সংস্থার মাধ‌্যমে যেমন পাচার হয়েছে, তেমনই ওই সংস্থাটির মাধ‌্যমে হৈমন্তী কিছু গানের ভিডিও বা ছবিও তৈরি করার চেষ্টা করেন। আবার সংস্থাটি কোনও সিনেমার প্রযোজনা করেছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। 

    মিলল শেয়ারের কাগজ

    বেহালা, টালিগঞ্জে ফ্ল্যাটের সন্ধান ইতিমধ্যেই মিলেছে। এছাড়া, বেহালা ও বিবাদি বাগে দুটি অফিসের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। মুম্বইতেও একটি সংস্থা রয়েছে, যার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। নরিম্যান পয়েন্টে তার একটা দফতর রয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী। স্বামীর কাজকর্মের সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: কত টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে? ইডি-র দাবি শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    শুধু তাই নয়। গতকাল, হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) বেহালার ফ্ল্যাটের বাইরে আস্তাকুঁড় থেকে কিছু কাগজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একটি কাগজ ছিল শেয়ার কেনার আবেদনপত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৩ সালে একটি আর্থিক সংস্থার ২ লক্ষ শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করেছিলেন হৈমন্তী। যার দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। আবেদনপত্রে পেশা হিসাবে ‘ব্যবসা’র কথা লিখেছিলেন তিনি।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় করা? হৈমন্তীর এই বিপুল অর্থের উৎস সন্ধানে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sonia Gandhi: ‘আমার যাত্রা ভারত জোড় যাত্রার…’, কোন জল্পনা উসকালেন সোনিয়া গান্ধী ?

    Sonia Gandhi: ‘আমার যাত্রা ভারত জোড় যাত্রার…’, কোন জল্পনা উসকালেন সোনিয়া গান্ধী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা আমাকে সব চেয়ে বেশি তৃপ্ত করে, তা হল আমার যাত্রা ভারত জোড় যাত্রার মাধ্যমেই শেষ হতে পারে। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে কংগ্রেসের (Congress) প্লেনারি অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে কথাগুলি বললেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তার পরেই জোরালো হয়েছে জল্পনা, তাহলে কি এবার রাজনৈতিক জীবনে অবসর নিতে চলেছেন সোনিয়া? কংগ্রেসের এই প্লেনারিতে উপস্থিত রয়েছেন ১৫ হাজার প্রতিনিধি।

    সোনিয়া বলেন…

    এই সভায় ভাষণ দেন সোনিয়া। বলেন, ভারত জোড় যাত্রা দিয়েই ইনিংস শেষ হল, এটাই আমার কাছে তৃপ্তির। তিনি বলেন, এই যাত্রা আপনাদের সন্ধিক্ষণে এনে ফেলেছে। এই যাত্রা প্রমাণ করে দিয়েছে, ভারতবাসী সর্বতোভাবে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা এবং সমানাধিকারের পক্ষে। এই যাত্রা দল ও তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যেকার কথোপকথনের রেওয়াজ ফিরিয়ে আনল। তিনি (Sonia Gandhi) বলেন, বোঝাতে পারলাম, কংগ্রেস আজও মানুষের পাশে রয়েছে। আজও তাঁদের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। ভারত জোড় যাত্রায় পাশে থাকার জন্য কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান সোনিয়া। কংগ্রেসের ভূতপূর্ব সভানেত্রী বলেন, যাত্রায় যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলকে অভিনন্দন। বিশেষ করে রাহুলজিকে, যাঁর সংকল্প এবং নেতৃত্ব যাত্রার সাফল্যের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

    আরও পড়ুুন: নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি-পাথর, কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর ওপর হামলায় উত্তপ্ত কোচবিহার

    দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে সোনিয়া বলেন, চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আমরা। সময় অনুকূল নয়। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি-রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের শাসন একের পর এক প্রতিষ্ঠানের গলা চেপে ধরেছে, ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী বলেন, নির্মমভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বাছাই করা কিছু ব্যবসায়ীকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে দেশের অর্থনীতিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব চেয়ে মর্মভেদী বিষয় হল যে, ভারতীয়দের পরস্পরের মধ্যে ভীতি এবং ঘৃণার আগুন প্রজ্জ্বলিত করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নিশানা করে এরা। সংখ্যালঘু, মহিলা, দলিত, আদিবাসীদের বিরুদ্ধে নিত্য ঘটে চলা অপরাধ এবং বৈষম্যমূলক আচরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সোনিয়া (Sonia Gandhi) বলেন, এরা গান্ধীজিকে অপমান করেছিল। আজ কথায় এবং কাজে আমাদের সংবিধান এবং মূল্যবোধের অবমাননা করে চলেছে প্রতিনিয়ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FATF Pakistan: আপনারা নজরে রয়েছেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি এফএটিএফ কর্তার

    FATF Pakistan: আপনারা নজরে রয়েছেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি এফএটিএফ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! দেশের আর্থিক অবস্থা তলানিতে। দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে (Pakistan) হুঁশিয়ারি দল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF Pakistan)। শুক্রবার ওই সংস্থার তরফে ইসলামাবাদকে সাফ জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এফএটিএফের সভাপতি টি রাজা কুমার বলেন, আমি নির্দিষ্ট মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে জল্পনা করব না। তবে আমি মনে করি, যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ দ্বারা পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে জোর দেওয়া।

    পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের…

    সম্প্রতি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বশির আহমেদ পিরকে গুলি করে হত্যা করে এক আততায়ী। কাশ্মীরের বাসিন্দা বশিরের পাকিস্তানে এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে থাকে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সন্ত্রাস রোখার বিষয়ে কতটা সচেতন পাকিস্তান? এখানেই শেষ নয়, বশির আহমেদ পিরের শেষকৃত্যে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ঘিরে রেখেছে এবং তিনি ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। সেই ঘটনার কথা কানে যায় এফএটিএফের প্রধানের। তখনই তিনি মুখ খোলেন পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    বর্তমানে এফএটিএফের (FATF Pakistan) প্রেসিডেন্ট সিঙ্গাপুরের টি রাজা কুমার। প্যারিসে প্রতিষ্ঠানের প্লেনারি সেশনে তিনি বলেন, একটি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান ৩৪টি অ্যাকশন প্ল্যান আইটেম সম্পূর্ণ বা যথেষ্ট পরিমাণে সম্পূর্ণ করার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে যা মূলত এগুলিকে অব্যাহত রাখতে এবং টিকিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানকে তার অবশিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা আইটেমগুলিকে সম্পূর্ণ করার জন্য অনুরোধ করব। সেই সঙ্গে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছে ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত বছর এফএটিএফের (FATF Pakistan) ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের নাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনও দেশটিকে দুটি অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরেও তার ওপর নজর রেখেছে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ।

    পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বিশ্বের নানা দেশের কাছে হাত পাতছে ইসলামাবাদ। হত্যে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারেরও। এমতাবস্থায় এফএটিএফের এই হুঁশিয়ারিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

  • Eastern Command: চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    Eastern Command: চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India-China Border) গুরুত্ব দিয়ে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড (Indian Army Eastern Command)। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হল মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট (MRSAM Regiment)। ভারতীয় সেনায় প্রথম এই ধরনের রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হল। সেনা পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের মাধ্যমে এই রেজিমেন্ট পরিচালিত হবে। 

    কীভাবে কাজ করবে এই রেজিমেন্ট

    সেনা সূত্রে খবর, ইস্টার্ন কমান্ডের অধীন কাজ করবে এই রেজিমেন্ট। ভারত- চিন সীমান্তকে ঘিরে কোথাও যাতে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ফাঁক না থাকে সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে ভারতীয় সেনা। তাই এই ধরনের রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হল। এই রেজিমেন্টের সঙ্গে থাকবে মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল যা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডিআরডিও। এই ধরনের মিসাইল সিস্টেমকে বলা ‘অভ্র’ ওয়েপন সিস্টেমও বলা হয়। প্রসঙ্গত, এই মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রও। আসলে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে ভারত। তারই অঙ্গ হিসাবে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর এই নয়া সিস্টেম।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কালিটা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি লম্বা লাফের মতো। দেশের আত্মনির্ভর ভারত-এর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রেও ভারত দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি। এই রেজিমেন্ট গঠন হওয়া উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে এই রেজিমেন্টকে পরিচালিত করা হবে।  বিশেষ করে আকাশপথে দেশের প্রতিরক্ষা আরও নিশ্ছিদ্র করার পথে এই মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস ও এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট একটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি-পাথর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওপর হামলায় উত্তপ্ত কোচবিহার

    Nisith Pramanik: নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি-পাথর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওপর হামলায় উত্তপ্ত কোচবিহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি-পাথর ছোড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারে। নিশীথ প্রামাণিকের সামনেই চলল গুলি। রণক্ষেত্রের আকৃতি নিয়েছে দিনহাটা। ঘটনার পরেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। 

    তৃণমূলের পরিকল্পিত কর্মসূচি?

    শনিবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিনহাটার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে যান নিশীথ। লক্ষ্য ছিল ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জনসংযোগ করা। কিন্তু দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয়ে পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। সে সময় উপস্থিত থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা। মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর নিরাপত্তারক্ষীরা নিশীথকে (Nisith Pramanik) সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান।  

    আরও পড়ুন: ‘‘নওশাদের হয়ে পথে নামুন আমরা পাশে আছি’’! তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এ বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিকের (Nishith Pramanik) বক্তব্য, “বাংলা এখন দুষ্কৃতীদের রাজত্ব হয়ে গিয়েছে। যে ভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা করছে, তা কখনও স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশ হতে পারে না। বাংলার মানুষ দেখুন, কী চলছে।”

    গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে সভা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএসএফের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ঘটনার জন্যে দায়ী করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে (Nisith Pramanik)। এরপর রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে তৃণমূল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর মধ্যে একটি হুইপ জারি করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। জানান, নিশীথ যদি সিতাই এবং দিনহাটার কোনও ব্লকে সভা করতে আসেন তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে। একই সঙ্গে ওই এলাকাগুলিতে বিজেপি সভা বা কর্মসূচি করলে তৃণমূল বুথ সভাপতিকে অপসারণ করা হবে। আর আজ তাই করেন তৃণমূল সমর্থকরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

              

       

     

  • Khalistan: অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসকেও টার্গেট করেছিল খালিস্তানপন্থীরা

    Khalistan: অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসকেও টার্গেট করেছিল খালিস্তানপন্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জোরালো হচ্ছে খালিস্তানি (Khalistan) আন্দোলন। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের (Punjab) আজনালা থানা এলাকায় যে ঘটনা ঘটল, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও শক্তি সঞ্চয় করছে খালিস্তানপন্থীরা। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ব্রিসবেন শহরে ভারতীয় দূতাবাসকেও টার্গেট করছে তারা। দিন কয়েক আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি জোর দিয়েছিলেন সন্ত্রাস দমনের ওপর। যেসব বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয়দের টার্গেট করছে, কড়া হাতে তাদের মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী।

    খালিস্তানি…

    এর ঠিক একদিন পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কে বা কারা অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের মাথায় টাঙিয়ে দেয় খালিস্তানি ঝান্ডা। পরের দিন সকালে অফিসে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অর্চনা সিং গিয়ে দেখেন অফিসের মাথায় টাঙানো খালিস্তানি (Khalistan)  ঝান্ডা। ততক্ষণাৎ তিনি ঘটনাটি জানান কুইন্সল্যান্ড থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঝান্ডা সরিয়ে নেয়। অর্চনা বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কর্তৃপক্ষের ওপর আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ফের জোরালো হচ্ছে খালিস্তানের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুমকি, কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র

    বিভুঁয়ে খালিস্তানিদের দাপট অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায় খালিস্তানপন্থীরা। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় (Khalistan) ইস্কনের মন্দিরে হামলা চালায় তারা। মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্কে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। মন্দিরটি এলাকায় হরে কৃষ্ণ মন্দির নামেও পরিচিত। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই মন্দিরের দেওয়ালে হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ লিখে দেয়। ভাঙুচর করা হয় মন্দিরের দেওয়াল। এর আগের ঘটনাটি ঘটে জানুয়ারির ১৬ তারিখে। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের কেরাম ডাউনে রয়েছে শ্রী শিব বিষ্ণু মন্দির। রাতের অন্ধকারে এই মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা।

    এর ঠিক চারদিন আগেই ভাঙচুর চালানো হয় অস্ট্রেলিয়ার আরও একটি মন্দিরে। সেটি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির। সেখানেও মন্দিরের ক্ষতি করার পর দেওয়ালে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মহা শিবরাত্রির দিন হিন্দুদের দুটি মন্দিরে যখন ভক্তরা শিবরাত্রির আচার পালন করছিলেন, তখনও সে দেশের খালিস্তানপন্থীরা মন্দির কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকাকালীন এই সব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জয়শঙ্কর ও তাঁর ডেপুটি ভি মুরলীধরণ। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি রংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এই উদ্বেগ ব্যক্তও করেন জয়শঙ্কর। ভারতের তরফে অস্ট্রেলিয়া (Khalistan) সরকারকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে কড়া হাতে দমন করার কথাও বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Punjab: ফের জোরালো হচ্ছে খালিস্তানের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুমকি, কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র

    Punjab: ফের জোরালো হচ্ছে খালিস্তানের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুমকি, কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাবে ফের জোরালো হচ্ছে খালিস্তানের (Khalistan) দাবি। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র প্রধান অমৃতপাল সিংয়ের ঘনিষ্ঠ লাভপ্রীত সিং তুফানকে গ্রেফতার করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে পঞ্জাব (Punjab)। বৃহস্পতিবার অমৃতসরের আজনালা থানা ঘেরাও করে ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র কর্মী-সমর্থকরা। বর্শা, তলোয়ার ও বন্দুক নিয়ে থানার বাইরে জড়ো হন তাঁরা। পরে লাভপ্রীত তুফানকে মুক্তি দেয় পুলিশ। তার পরেই শান্ত হয় পরিস্থিতি।

    খালিস্তান আন্দোলন…

    এদিন থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে ছিলেন অমৃতপালও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, অমিত শাহ বলেছিলেন যে তিনি খালিস্তান আন্দোলনকে সফল হতে দেবেন না। আমি বলেছিলাম যে ইন্দিরা গান্ধীও সেই চেষ্টাই করেছিলেন। একই কাজ করলে ফল ভোগ করতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিদারের জন্য একই কথা বলেন, তাহলে দেখব তিনি কীভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকতে পারেন। তিনি বলেন, মানুষ যদি হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি করতে পারেন, তাহলে আমরা কেন খালিস্তান দাবি করতে পারব না? খালিস্তানের (Punjab) বিরোধিতা করার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে মূল্য চোকাতে হয়েছে। কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, সে প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহ বা ভগবন্ত মান যেই হোক না কেন।

    আরও পড়ুুন: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন পবন খেরা! ট্যুইট করে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার শাহকে হুমকি দিয়েছিলেন ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র প্রধান। সেবার অমৃতপাল বলেছিলেন, পঞ্জাবের প্রতিটি শিশু খালিস্তানের কথা বলে। ইন্দিরা গান্ধীও চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ফল কী হয়েছিল তা সবাই জানে। অমিত শাহও নিজের ইচ্ছা পূরণ করে নিন। আমরা আমাদের শাসন চাইছি, অন্য কারও নয়। আজনালায় (Punjab) থানা ঘেরাওয়ের ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। পঞ্জাবের প্রবীণ এক নিরাপত্তা আধিকারিক বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে এটি ভাল লক্ষণ নয়। পঞ্জাব পুলিশের দাবি, দুবাই বা অন্য কোথাও কোনও উগ্রপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে অমৃতপালের কোনও যোগসূত্র ছিল, এমন কোনও তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা সন্দেহ করছি যে, কিছু বহিরাগত শক্তি তাঁকে সমর্থন করছে।

    পঞ্জাবের এক পুলিশ আধিকারিকও বলেন, যেভাবে হিংসার ঘটনাটি ঘটল এবং তার পর পুলিশ যেভাবে সারেন্ডার করল, তা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। তিনি বলেন, পঞ্জাবের নিরাপত্তার বিষয়টি উদ্বেগের। পঞ্জাবের ঘটনার ওপর কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক আধিকারিক বলেন, পঞ্জাব সরকারকেও বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Amit Shah: ‘দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি’, জানিয়ে দিলেন শাহ

    Amit Shah: ‘দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি’, জানিয়ে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি (BJP)। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা, অর্থনীতি, পরিকাঠামো, রফতানি, ব্যাঙ্কিং, মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা সব ক্ষেত্রেই হচ্ছে অগ্রগতি। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের সাতনায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    শাহ উবাচ…

    এদিন সাতনায় একটি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন শাহ। সেখানেই তিনি আশা প্রকাশ করে, দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপিকে জয় এনে দেওয়ার আবেদনও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিজেপি যে ফের ক্ষমতায় ফিরবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলও। এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শাহও। এদিনের অনুষ্ঠানে মোদি সরকারে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের বিশদ বিবরণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। নরেন্দ্র মোদির সরকার বঞ্চিতদের কল্যাণের জন্য নানা রকম চিন্তাভাবনা করছে জানিয়ে শাহ বলেন, মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তাঁর সরকার দলিত, দরিদ্র, অনগ্রসর জাতি এবং উপজাতিদের সরকার হবে। একটি সরকারের সবার আগে কী নিয়ে ভাবা উচিত, সে বিষয়ে একটি সম্যক ধারণা প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বকে দিয়েছেন। গত ন বছরে দরিদ্রদের জন্য করা সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটাই বিজেপির পরিচয়। বিজেপির নীতি হল দরিদ্রকে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের ক্ষমতা দেওয়া। এদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। তিনি (Amit Shah) বলেন, মোদি সরকার ১০ কোটি শৌচাগার তৈরি করেছে এবং এই প্রকল্পের সব চেয়ে বেশি সুবিধাভোগীরা উপজাতীয় সম্প্রদায় ও দলিত। কিন্তু কংগ্রেসের শাসনকালে শৌচাগার তৈরি করা তো দূর অস্ত, দলিতদের জীবনের উন্নতির কথা চিন্তা পর্যন্ত করা হয়নি। শাহ বলেন, কংগ্রেসের আমলে কখনওই একজন আদিবাসীকে ভারতের রাষ্ট্রপতি করা হয়নি। কিন্তু দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে ভারতের উপজাতিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

  • FSSAI: খাদ্যের গুণমান ঠিক কতটা? জানিয়ে দেবে বিশেষ চিহ্ন, ভাবনা এফএসএসএআই-এর

    FSSAI: খাদ্যের গুণমান ঠিক কতটা? জানিয়ে দেবে বিশেষ চিহ্ন, ভাবনা এফএসএসএআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রন্ট অফ প্যাক নিউট্রিশন লেবেলিং রেগুলেশন তৈরি করতে চলেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। খাবারের মানের জন্য স্টার রেটিং গত সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবিত সুপারিশগুলির মধ্যে অন্যতম। স্টার রেটিং নিয়ন্ত্রণ করে এফওপিএল। এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত করা হয় স্টার রেটিং। এই রেটিং লবণ, চিনি এবং চর্বি সামগ্রীর উপর ভিত্তি করে করা হয়।  এই রেটিং থেকে বোঝা যাবে খাবারটি কতটা পুষ্টিকর। যদিও প্যাকেটজাত খাদ্য প্রস্তুতকারীরা এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। কারণ এত বড় পরিবর্তন সারা দেশে ব্যবসায়িদের প্রভাবিত করবে।

    কী জানা গেল?

    আইআইএম-আহমেদাবাদ- এর এফএসএসএআই- এর (FSSAI) এফওপিএল রেগুলেশনের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। সেখানে দেখা যায়, স্টার রেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার পিছনে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তি রয়েছে। সতর্কতা সূচক, পুষ্টির স্কোর, ট্র্যাফিক লাইট সিগন্যাল এবং পুষ্টির লেবেলের মতো একাধিক অন্যান্য বিকল্পের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড উভয়ই একই সিস্টেম ব্যবহার করে। ফ্রন্ট অফ প্যাক নিউট্রিশন লেবেলিং সবচেয়ে বিতর্কিত একটি খাদ্য প্যাকেজিং নিয়ম। কয়েক বছর ধরে এটি আলোচনায় রয়েছে। ভারতে প্রথমবারের মতো একটি বহিরাগত সংস্থা লেবেলিং মানগুলির কাজ পরিচালনা করবে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কঠোর মানদণ্ডে জোর দিচ্ছেন। যদিও প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেজড খাদ্য প্রস্তুতকারীরা বেশ কয়েক বছর ধরে এই বিষয়ে আপত্তি ব্যক্ত করছে। বিশিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনেক আলোচনা সত্ত্বেও কোনও সমাধান হয়নি।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, কেন জানেন?  

    ভারতে ২০১৩ সালে এফএসএসএআই- এর (FSSAI) একটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী ২০১৪ সালে ফ্রন্ট অফ প্যাকেজ লেবেলিং প্রস্তাব করেছিল৷ ২০১৯ সালে, খাদ্য সুরক্ষা মান রেগুলেশনের খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল৷ প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, খাদ্য পণ্যের কালার কোডেড লেবেলিং থাকা প্রয়োজন।

    স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করতে গ্রাহকদের উত্সাহিত করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর কৌশলগুলির মধ্যে একটি হল এফওপিএল লেবেলিং সিস্টেম (FSSAI)। এটি সিগারেটের প্যাকগুলিকে যেভাবে ব্যবহার রোধ করার জন্য ছবি দিয়ে চিহ্নিত করা হয় সেভাবে কাজ করে। 

    ভারতে এফওপিএল লেবেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা (FSSAI)। দেশের পরিবর্তিত খাদ্যতালিকাগত ধরণ, প্রক্রিয়াজাত এবং অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারের বর্ধিত ব্যবহার এবং একটি ক্রমবর্ধমান বাজারের কথা মাথায় রেখে এই সিস্টেম আনা হচ্ছে। স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হার এবং অসংখ্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

      

       

LinkedIn
Share