Blog

  • Himanta Biswa Sarma: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন পবন খেরা! ট্যুইট করে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন পবন খেরা! ট্যুইট করে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলে দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আজ, শুক্রবার এই দাবি করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস নেতা পবন খেরার বিরুদ্ধে। ফলে এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় অসমের হাফলং থানায়। বৃহস্পতিবার অসম পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল তাঁকে। তবে আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন পবন খেরা। আর এর পরেই পবন খেরাকে নিয়ে বলতে দেখা গেল হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। এদিন তিনি ট্যুইট করে এও জানান যে, অসমের পুলিশ এই মামলায় ‘যৌক্তিক পরিণতি’ নিয়ে আসবে।

    কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকাণ্ডে মোদিকে কটাক্ষ করেন পবন। প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির বদলে ‘নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদি’ বলে কটাক্ষ করেন। এর পরেই পবনের গ্রেফতারির দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে অসমের ১৫টি জেলায় পবনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর যাওয়ার পথে বিমান থেকে নামিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পবন ও বৃহস্পতিবারই জামিন পান এই কংগ্রেস নেতা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পবন খেরাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী রিট পিটিশনের একটি কপি শেয়ার করে ট্যুইট করে লিখেছেন, “অভিযুক্ত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা আশা করি , ‘পাবলিক স্পেসের’ পবিত্রতা বজায় রেখে পরবর্তীকালে কেউ রাজনৈতিক আলোচনায় অসভ্য ভাষা ব্যবহার করবেন না। অসম পুলিশ যুক্তিপূর্ণভাবে এই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”

    ক্ষমা চেয়েছেন পবন খেরা!

    গতকাল আবার সুপ্রিম কোর্টে পবন খেরার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন পবন খেরা। পবন খেরা জানিয়েছেন, এটা ভুল এবং ‘স্লিপ অফ টাং’। পবন খেরা আরও জানিয়েছেন এই জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। আগামী দিনে এই রকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন তিনি।

  • Toy Train: বেলাইন টয় ট্রেন, কার্শিয়াং-এ লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গেল টয় ট্রেন, ব্যাহত পরিষেবা

    Toy Train: বেলাইন টয় ট্রেন, কার্শিয়াং-এ লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে গেল টয় ট্রেন, ব্যাহত পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ঘটল টয় ট্রেনে দুর্ঘটনা। দার্জিলিং পাহাড়ের কার্শিয়ং-এ গথেলস সাইডিং-এ  টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার বেলার দিকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। তবে জাতীয় সড়কের মাঝে এই দুর্ঘটনার জেরে যানজটের সৃষ্টি হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে যে টয় ট্রেনটি বেলাইন হয়, সেটি বাষ্প চালিত। ট্রেনটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেজন্য একটি ডিজেল ইঞ্জিনের সঙ্গে ক্রেন দিয়ে টেনে দু’টি কামরা-সহ ইঞ্জিনটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কারশেডে। তিনধরিয়া ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর পর কার্শিয়াং থেকে বেরোনোর পথেই ঘটনাটি ঘটে। কার্শিয়াং স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। তবে ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিলেন না। চালক, সহ-চালক থাকলেও তাঁরা আহত হননি।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, কেন জানেন?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, “টয় ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিলেন না৷ চালক এবং সহ-চালক ছিলেন শুধু। খুবই ধীর গতিতে ইঞ্জিনটি যাচ্ছিল৷ সেই সময়ই লাইনচ্যুত হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেনটিকে রাস্তা থেকে সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। কেউ জখম হননি। মেরামতির জন্য ট্রেনটিকে তিনধারিয়া স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।”

    ব্যাহত পরিষেবা

    টয় ট্রেন চলাচলের জন্য পাহাড়ে যেহেতু একটিই রাস্তা, তাই টয় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক টয় ট্রেন চলাচল পরিষেবা। পাশাপাশি জাতীয় সড়কের মাঝে এই দুর্ঘটনার জেরে প্রভাব পড়ে যান চলাচলেও। যেহেতু ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে, তাই সেখানে তৈরি হয় প্রবল যানজট। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার উপর পড়ে থাকার পর দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে ট্রেনটিকে সরানোর কাজ শুরু করে। যখন রাস্তায় ট্রেন সরানোর কাজ হচ্ছিল, তখন জাতীয় সড়কের একদিক বন্ধ করে কাজ চলায় তৈরি হয় লম্বা গাড়ির লাইন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED: রাজ্যে কাজের পরিধি বাড়ছে! কলকাতায় নয়া দফতর নিচ্ছে ইডি

    ED: রাজ্যে কাজের পরিধি বাড়ছে! কলকাতায় নয়া দফতর নিচ্ছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মামলার চাপ। বাড়ছে কর্মীর সংখ্যাও। তাই এবার সল্টলেকের ডিএফ ব্লকে সিজিও কমপ্লেক্সেই (CGO Complex) নতুন অফিস নিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আগামী দিনে এ রাজ্যে কাজের পরিধি বাড়তে পারে। তাই কলকাতায় নয়া দফতর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি।

    নয়া দফতর

    সূত্রের খবর, কলকাতায় বিভিন্ন মামলায় ইডির তদন্তের অগ্রগতি এবং শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য শহরে পা দিয়েছেন ইডি অধিকর্তা সঞ্জয় মিশ্র। তাঁর উপস্থিতিতেই নতুন অফিসের হস্তান্তর হবে। সিজিও কমপ্লেক্সে তৃতীয় এমএসও বিল্ডিংয়ের সাত তলায় নতুন অফিস খুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ভবনের সাত তলার একটি উইংজুড়ে রয়েছে ইডির অফিস।

    জায়গার অভাব

    ২০১৯ সালে তদন্ত এবং বাকি কাজ মসৃণ করতে কলকাতার দফতরকে দুটি জোনে ভাগ করা হয়। প্রতিটি জোনের নেতৃত্বে একজন যুগ্ম অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিক। তাদের মাথায় গোটা কলকাতা দফতরের কাজ দেখার জন্য রয়েছেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর। দুটি জোন ভাগ করার পর ধাপে ধাপে তদন্তকারীআধিকারিকদের সংখ্যা বেড়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন পদে অধস্তন কর্মীদের সংখ্যাও। কিন্তু বাড়েনি অফিসের জায়গা। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন আধিকারিকরা। এক সঙ্গে বেশি অভিযুক্তদের রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যাবস্থাও নেই বর্তমান অফিসে। সম্প্রতি মামলার চাপ বাড়তে থাকায় তদন্ত সংক্রান্ত বিপুল নথি রাখা নিয়েও সমস্যায় পড়ছেন আধিকারিকরা। তাই নতুন অফিস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    কড়া নিরাপত্তা

    নয়া দফতরের সঙ্গে সঙ্গেই পুরনো অফিসে নজরদারিও বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যেই বর্তমানে দুটি অফিস সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মোট ৪৪ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি ক্যামেরার নাইট ভিশন রয়েছে। ১০ মিটার পর্যন্ত স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে এই ক্যামেরাগুলো। দুঘণ্টার পাওয়ার ব্যাক আপ সহ ৩২ চ্যানেলের নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার কেনা হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য উন্নত মানের সিসি ক্যামেরাগুলি ১৮ মাস পর্যন্ত সমস্ত তথ্য মজুত করে রাখাতে পারবে। ইডি সূত্রের খবর, তৃতীয় অফিসও সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। অভিযুক্তদের রাখতে তৈরি করা হবে নতুন লকআপও, যাতে একসঙ্গে একাধিক হাই প্রোফাইল অফিযুক্তকে রাখতে কোনও সমস্যা না হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vaccination: টিকাকরণ কর্মসূচির কারণে প্রাণ বেঁচেছে প্রায় ৩৪ লক্ষ ভারতীয়র, বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    Vaccination: টিকাকরণ কর্মসূচির কারণে প্রাণ বেঁচেছে প্রায় ৩৪ লক্ষ ভারতীয়র, বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি (Vaccination) দেশে প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। শুক্রবার একথা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালে করোনাকে মহামারি ঘোষণা করার অনেক আগেই মোদিজি প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুই-ই শুরু করেন করোনা মোকাবিলা করার।

    আরও পড়ুন: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?

    কী বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য

    এদিন স্ট্যান্ডফোর্ডে ‘The India Dialog’ অনুষ্ঠানে একটি ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছিলেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। এদিন মন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের এই প্রচেষ্টায় প্রাণ বেঁচেছে ৩৪ লক্ষ মানুষের। করোনাকালে লকডাউনের সময় দেশের মধ্যে প্রতিটি মানুষ গৃহবন্দি ছিলেন। হাতে কারও কাজ ছিল না। প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যাতে রাতে ক্ষুধার্ত না ঘুমায় তাই মোদিজি বিনামূল্যে রেশনের মাধ্যমে খাদ্যশস্য দিয়েছেন প্রত্যেককে।

    এদিন তিনি বক্তব্যে আরও বলেন, করোনাকালে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ছিল “Whole of Government” and “Whole of Society” এই প্রচেষ্টাতেই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে করোনার মতো ভয়ঙ্কর মহামারির। ২৯ মার্চ ২০২০ এর আগেই ১১টি গ্রুপ তৈরি করা হয় সম্পূর্ণ ব্য়বস্থাকে পরিচালনা করার জন্য, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল Drugs, Vaccination, Logistics ইত্যাদি।

    রেকর্ড পরিমাণ করোনার পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। মাণ্ডব্য বলেন, মোট ৯১ কোটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোদি সরকার সেসময় ৫২টি ল্যাবও তৈরি করেছিল করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলির বিষয়ে গবেষণা করার জন্য। এখনও অবধি ২২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

  • CBI ED: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে কি?

    CBI ED: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের (CBI ED) দুই শীর্ষ কর্তা। শুক্রবার শহরে এসেছেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র এবং সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা একই সঙ্গে শহরে হাজির হওয়ায় ছড়িয়েছে নানা জল্পনা।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। ওই দুর্নীতির নাটের গুরুকে খুঁজতে তদন্তে নামেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে জানা গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষকে। সম্প্রতি উঠে এসেছে রহস্যময়ী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তিনি গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বারংবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইডি এবং সিবিআই (CBI ED)। কখনও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কখনও আবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিশানা হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারির পর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে বাগদার রঞ্জনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তখনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাগদার রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে আর কী হবে? কিছুই হবে না। কিছুদিন আগেই আদালত সিবিআইকে প্রশ্ন করে, নিয়োগ দুর্নীতিতে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু বলেন, বারবার আদালতকে বলে দিতে হচ্ছে, সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে কাজ করবে। তার পরেই বিচারপতি সিবিআইকে নির্দেশ দেন, তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করুন। মামলা ঝুলে থাকলে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। শূন্যপদ থেকে যাবে।

    আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (CBI ED) বলেন, রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ সবের জেরেই কলকাতায় এসেছেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ আধিকারিক। সূত্রের খবর, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্জয় ও অজয়। ধৃতদের জেরায় কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়েও কথা বলতে পারেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Recruitment Scam: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?

    Recruitment Scam: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনের বিভিন্ন টুকরো। 

    বৃহস্পতিবার কুন্তল দাবি করেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী হলেন হৈমন্তী। পেশায় মডেল। হুগলির যুব তৃণমূল নেতার দাবি, সব টাকা নাকি আছে হৈমন্তীর কাছে। শুক্রবার জানা যায়, হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ায়। বাকসাড়া রোডের সেই বাড়ির সামনে শুক্রবার সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য। জানা গিয়েছে, এখান থেকে মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে হৈমন্তীর উত্থান প্রায় উল্কার গতিতে। তাই সকাল থেকে সকলের নজরে তাঁর এই বাড়িই। সকলেরই মনে কৌতূহল, কী করতেন হৈমন্তী? 

    জানা গিয়েছে, মডেলিংয়ে হাতেখড়ি হওয়ার পর হৈমন্তী অভিনেত্রী হিসেবে টলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় ছিলেন। বছর আটেক আগে গোপাল দলপতির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তারপর ঘনিষ্ঠতা, সেখান থেকে প্রেম, বিয়ে। হৈমন্তীর বাপের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, গোপাল দলপতির সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হৈমন্তী। কিন্তু পরে ডিভোর্স হয়ে যায়। এমনটাই জানিয়েছে তাঁর পরিবার।  তবে সিবিআই সূত্রে খবর, গোপালের সঙ্গে লিভ-ইন করতেন হৈমন্তী। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    হৈমন্তীর টলিপাড়ায় যোগ

    যতদূর জানা যাচ্ছে, পেশায় হৈমন্তী একজন মডেল। মডেলিং সহ দু’একটি অনামি সিনেমাতেও অভিনয় করেন হৈমন্তী। হৈমন্তীর টলিউড যোগ নিয়েও তথ্য মিলেছে। মডেলিং ছাড়াও বেশ কিছু ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোপাল ওরফে আরমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ‘জাল’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, দোলন রায় দের সঙ্গে ও অভিনয় জীবনে কাজ করেন হৈমন্তী। এই সিনেমায় সমীর কুমার পণ্ডিত নামের এক ব্যক্তি বিনিয়োগ করেছিলেন। হাওড়ার লোহার ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি আবার হৈমন্তীরই পরিচিত বলে জানা যাচ্ছে।

    এছাড়া, শোনা যায়, বাংলা ছবি ‘অচেনা উত্তম’-এ অভিনয় করেছিলেন হৈমন্তী। নার্সের চরিত্রের জন্য তাঁকে ভাবা হয়েছিল এই সিনেমায়। কিন্তু পরে এই সিনেমা নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। বাড়ির পাশের ডাস্টবিন থেকে নাকি একটি চিত্রনাট্যও (Script) পাওয়া গিয়েছে, যেখানে হৈমন্তীর চরিত্র সম্পর্কে লেখা। হৈমন্তী অভিনীত আরও একটি ছবি ‘আনটোল্ড লাভ’, একটি ছোট চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায় সেখানে।

    হৈমন্তীর টাকার উৎস কী?

    এদিকে, হৈমন্তী সম্প্রতি বেহালায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। মুম্বইয়ে কাজ খুঁজছিলেন। তবে সামান্য কাজ করে কীভাবে বেহালার মতো জায়গায় ফ্ল্যাট কিনলেন তিনি, টাকার উৎস কী, সেসব প্রশ্ন উঠছেই। কুন্তলের দাবি অনুযায়ী, গোপাল দলপতির কাছে নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা গিয়েছে। সেই টাকা মুম্বাইয়ে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কোম্পানির অ্যাকাউন্টে গিয়েছে।

    এখন হৈমন্তী কোথায়, কেউ জানেন না। তাঁর খোঁজ চলছে। তাঁকে পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট কাটবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। 

  • Sukanta Majumdar: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস! আজ ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন। এদিন ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা শেষের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষার প্রশ্ন ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ট্যুইট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই প্রশ্নপত্রের ছবি। পরীক্ষা শেষের আগেই কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই প্রশ্ন এল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। এ বিষয় খতিয়ে দেখার কথাও বলেছেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    শুক্রবার মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা চলাকালীনই ট্যুইটারে ‘ইংরেজি প্রশ্নপত্রের’ ৩টি পাতার ছবি পোস্ট করেন তিনি। সুকান্তের পোস্ট করা প্রশ্নপত্রের ছবি দেখে পরীক্ষা দিয়ে বেরোনোর পর কয়েক জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জানিয়েছে, এটি এ বারের ১৬ পাতার ইংরেজি প্রশ্নপত্রেরই ৩টি পাতা। পরীক্ষা চলাকালীন দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে ট্যুইটারে সুকান্ত লেখেন, ‘‘আজ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। সকল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এ বারের মাধ্যমিক পরিক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

    সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমার কাছে ১২টা ৪৮ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে এই প্রশ্নপত্র এসে যায়। ফলে এটি যে প্রশ্নপত্র ফাঁস, তা নিয়ে আমার কোনও দ্বিমত নেই।” এর পরেই তাঁর মন্তব্য,  “যদি বলা হয়ে থাকে, কোনও পরীক্ষার্থী ভিতর থেকে ছবি তুলে বার করেছে তবে তা তো মধ্যশিক্ষা পর্ষদেরই দেখা উচিত। কী করে সেটা সম্ভব হল? মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে তো মোবাইল নিয়ে ঢোকার নিয়ম নেই।” অনেকে আবার সুকান্তের ট্যুইট করায় এতে বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ করলে তিনি দাবি করেন ১২টা ৪৮-এ প্রশ্নপত্র পেলেও দেড়টার পরে যেহেতু পরীক্ষার্থীরা বাইরে আসতে পারেন, তাই সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে তিনি ট্যুইট করেছেন।

    ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ কাণ্ড ঘিরে একাধিক প্রশ্ন

    প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষার শেষেও পরীক্ষার্থীদের এই প্রশ্নপত্র বাইরে আনার নিয়ম নেই। প্রশ্নপত্রেই উত্তর লিখতে হয়। ফলে সুকান্ত কী ভাবে ‘প্রশ্নপত্র’ পেলেন? আবার সুকান্তর পোস্ট করার ‘প্রশ্নপত্রের’ পাতার ছবিতে একটি হাতের ছবি দেখা যাচ্ছে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, কোনও পরীক্ষার্থী গোপনে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি তুলল এবং পাঠাল— তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Rani Mukherjee: বাঙালি মায়ের সঙ্গে একটা গোটা রাষ্ট্রের লড়াই! গল্প হলেও সত্যি ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’র ঘটনা

    Rani Mukherjee: বাঙালি মায়ের সঙ্গে একটা গোটা রাষ্ট্রের লড়াই! গল্প হলেও সত্যি ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’র ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বাঙালি মায়ের সঙ্গে একটা গোটা রাষ্ট্রের লড়াই। মা, তাঁর সন্তানকে খাইয়ে দেন, নিজের সঙ্গে নিয়ে ঘুমোতে যান। সন্তানের মাথায় লাগান আশীর্বাদি টিকা, এটাই তাঁর অপরাধ। মায়ের কোল থেকে দুধের সন্তানকে কেড়ে নেয়ে রাষ্ট্র। লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ে জয় হয় মায়েরই। রানি মুখোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ছবি ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’র ট্রেলারেই ফুটে উঠেছে সেই ছবির গল্প। রানির তুখোড় অভিনয়শৈলী, ব্রেস্টমিল্ক পাম্প করে রাখার মতো করুণ ও অর্থবহ দৃশ্য সাড়া ফেলেছে। কিন্তু জানেন, এই ছবি, গল্প হলেও সত্যি। যে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই ছবি, তা জানতে ফিরে যেতে হবে ১২ বছর আগে। 

    সত্য কাহিনী

    ২০১১, স্বামী ও দুই ছেলে মেয়ের সঙ্গে নরওয়েতে গিয়ে সংসার বেঁধেছিলেন সাগরিকা ভট্টাচার্য। ২০১১, স্বামী ও দুই ছেলে মেয়ের সঙ্গে নরওয়েতে গিয়ে সংসার বেঁধেছিলেন সাগরিকা ভট্টাচার্য। হঠাতই একদিন নরওয়ের শিশু সুরক্ষা কমিশন তাঁর কোল থেকে কেড়ে নিয়ে যায় দুই সন্তানকে। তখন তাঁর ছেলে অভিজ্ঞানের বয়স মাত্র ৩। আর মেয়ে ঐশ্বর্যা তখন এক বছরের, দুধ খাওয়াও ছাড়েনি সে। নরওয়ে কর্তৃপক্ষের মনে হয়েছিল, সন্তানকে হাত দিয়ে খাওয়ানো মানে তাকে জোর করে খাওয়ানো, একজন সুস্থ বাবা-মা নাকি এমনটা করতেই পারেন না। এখানেই শেষ নয়, তিন বছরের পুত্র সন্তান কেন তার বাবার সঙ্গে শোবে? কেন নেই তার আলাদা বিছানা– এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, বাচ্চাদের জন্য নাকি ঘরে খেলার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এই ধরনের নানা অভিযোগে সাগরিকার থেকে সন্তান কেড়ে নিয়ে রাখা হয়েছিল সরকারি হেফাজতে।

    আরও পড়ুন: মহারাজের ভূমিকায় কে প্রায় নিশ্চিত! সৌরভের বায়োপিকের শ্যুটিং শুরু শীঘ্রই

    সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় স্বামী-স্ত্রীয়ের নিত্য ঝগড়া লেগে থাকত। সন্তানকে ফিরে পেতেই অনুরূপ ও সাগরিকা আলাদা হয়ে যান। বিদেশ মুলুকে একা লড়াই করেছিলেন সাগরিকা। অনেক টানাপড়েনের পর ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে ভারত সরকার। অবশেষে বাচ্চার কাকার কাছে তাদের দায়িত্ব ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় নরওয়ে। কিন্তু সন্তানকে নিজের কাছে ফিরে পেতে মরিয়া মা। ২০১৩ সালে প্রায় দুই বছর লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট মা’কে তাঁর দুই সন্তানের দায়িত্ব দেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সাগরিকা। মায়ের মমতা, ভালবাসা, বিশ্বাসের কাছে হার মানে সবকিছু সমাজ থেকে রাষ্ট্র।

    ফিরছেন রানি

    সাগরিকার এই লড়াইকেই পর্দায় নিয়ে আসছেন রানি মুখোপাধ্যায়। মর্দানি অবতার একেবারে দূরে সরিয়ে এই ছবিতে বাঙালি বউ ও মায়ের অবতারে দেখা যাবে রানিকে। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে রানির স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এই ছবি থেকেই বলিউডের পা রাখলেন অনির্বাণ। ছবিটি মুক্তি পাবে ১৭ মার্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajnath Singh: ‘‘তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, ২০৪৭ সালে ‘টপ ইকোনমি’ হবে ভারত’’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, ২০৪৭ সালে ‘টপ ইকোনমি’ হবে ভারত’’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমার মনে হয় ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশ তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, টপ ইকোনমি হবে ভারত (India)। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন (Viswa Bharati Convocation) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ব্রিটেন। সম্প্রতি ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে জায়গাটি দখল করে মোদির ভারত। দেশের অর্থনীতি যে ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে, এদিন সেকথাই প্রকাশ পেয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়।

    রাজনাথ বলেন…

    এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, বিশ্বভারতী এমন শব্দ, যেখানে বিশ্বও আছে, ভারতীও আছে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী তীর্থের থেকে কোনও অংশে কম নয়। পশ্চিমবঙ্গের একটা ধর্মীয় তীর্থস্থান যদি গঙ্গাসাগর হয়, তবে শিক্ষার তীর্থস্থান এই শান্তিনিকেতন। তফাত এটুকুই, গঙ্গাসাগরে দূর থেকে গঙ্গা এসে সাগরে বিলীন হয়। আর শান্তিনিকেতন থেকে পড়ুয়াদের রূপে বের হওয়া জ্ঞান গঙ্গা দূরে দূরে যায়, নিজেদের জ্ঞানে অনেক ক্ষেত্রকে সিঞ্চিত করে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী শিক্ষার মন্দির। গুরুদেবের জ্ঞানের মূর্ত স্বরূপ।  

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমি একদিনেই ফিরে যাই। কিন্তু বিশ্বভারতী ও গুরুদেবকে জানব বলে আমি একদিন অতিরিক্ত রেখেছি। তবে এটাও ঠিক, এক-দু দিনে বিশ্বভারতী বা গুরুদেবকে জানা সম্ভব নয়। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জীবনে যে কাজই করবেন, সেরাটা দিন। চেষ্টার কোনও শেষ হয় না। লক্ষ্যে পৌঁছতে সব সময় চেষ্টা করে যেতে হয়। কখনও নিরাশ হবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    দেশের প্রগতি যে ক্রমেই উন্নত হচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, এখন দেশ প্রগতির পথে এগোচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে নিজের ছাপ রাখছে। মেক ইন ইন্ডিয়া থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, এটা গুরুদেবের লক্ষ্যের পথে এগোনো। এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এভাবে এগোতে থাকলে সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমাদের দেশের অর্থনীতি অন্যতম দেশ হিসেবে শীর্ষে পৌঁছে যাবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশ তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, টপ ইকোনমি হবে ভারত। তিনি বলেন, কোনও কাজ করতে চাইলে বড় মনে কাজ করুন। কোনও ইগো রাখবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Panchayat: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    Panchayat: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৫৮ লক্ষ ভোটার বাড়ল। ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ১১.৫১ শতাংশ। নবান্ন সূত্রে খবর মার্চ মাসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সমন্বয় করে বিভিন্ন নির্দেশিকা পাঠাতে শুরু করেছে জেলায় জেলায়।

    ভোটার সংখ্যা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও তার আগে ভোটার সংখ্যা নিয়ে তথ্য জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গতবার সংখ্যাটি ছিল ৫ কোটি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ২জন। এবারে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১১৯জন। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ বছর রাজ্যে ৬৩ হাজার ২২৯টি আসনে পঞ্চায়েত ভোট হবে। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭৩০। জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা ৯২৮। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর পর রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষা পর্ব মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হতে পারে মনে করা হচ্ছে।

    ব্যালট বক্সে কিউআর কোড

    কমিশন সূত্রে খবর, ব্যালট বক্সে এবার আলাদা আলাদা কিউআর কোড রাখছে নির্বাচন কমিশন। জেলা ধরে, ব্লক ওয়াড়ি ট্র্যাকিং সিস্টেমকে আরও দৃঢ় করতেই এই কোড ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন দফতরে ব্যালট বাক্সে সেই কিউ আর কোড লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের সময় কোন বুথে কোন ব্যালট বাক্স পাঠানো হচ্ছে, সেই গতিবিধি জানতেই এই ব্যবস্থা। এতে স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    তিন দফায় ভোট!

    নির্বাচনের একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি মামলা আদালতে ঝুলে রয়েছে। সেই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না। তবে নবান্ন ও কমিশন কর্তাদের আশা, উচ্চমাধ্যমিক শেষ হওয়ার আগেই ওই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। বিজ্ঞপ্তি জারির অন্তত ২৪ দিন পর পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। সেই অনুযায়ী, এপ্রিলের একেবারে শেষে বা মে মাসের গোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। কমিশন ৩ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চাইছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য একটি দফা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য ২টি দফায় ভোট করাতে চাইছে কমিশন। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার চাইছে এক দফায় ভোট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share