Blog

  • Health Selection Committee: নিরপেক্ষ ব্যক্তি কাম্য! স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ন্যায্য নিয়োগের বার্তা হাইকোর্টের

    Health Selection Committee: নিরপেক্ষ ব্যক্তি কাম্য! স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ন্যায্য নিয়োগের বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ নিয়ে এবার সমস্যায় রাজ্য সরকার। জেলা স্তরে রাজ্যের গঠন করা ২৮ জনের মনোনয়ন কমিটি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির (CJI) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। আদালতের যুক্তি, গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাজ্য যে মনোনয়ন কমিটি গঠন করেছিল, তার  শীর্ষে কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা দরকার ছিল।

    মামলাকারীর দাবি

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী (Contractual Worker) নিয়োগে দুর্নীতি  (Corruption) হয়ে থাকতে পারে এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন পীযূষ পাত্র। আবেদনকারী দাবি করেছেন যে বিভিন্ন জেলায় গঠিত সমস্ত বাছাই কমিটিতে রাজনৈতিক নেতা, বিধায়ক বা শাসক দলের মন্ত্রীরা চেয়ারপারসন হিসেবে রয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতি ও অসদাচরণ ঘটতে পারে। শাসক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠদেরও নিয়োগ করা হতে পারে।

    রাজ্যের দাবি

    মামলাকারীর আবেদনের বিরোধিতা করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এসএস মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজনীতিবীদদের নিয়োগ বা নির্বাচন বোর্ডের মাথায় রাখতে কোনও বাধা থাকতে পারে না। বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেছেন এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আইন বিরুদ্ধ কাজ হয়েছে বলে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুই তরফের কথা শুনে আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে আবেদনকারীর দেওয়া তালিকাটিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে মন্ত্রী, বিধায়ক এবং শাসক দলের (টিএমসি) নেতারা ২৮টি স্বাস্থ্য জেলায় জেলা-স্তরের কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। আদালতের যুক্তি, একজন ছাড়া আর কেউ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নন। বিষয়টি যেহেতু চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত তাই ন্যায্য নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। এই বোর্ডে থাকা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একমাত্র ব্যক্তি হলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি একজন চিকিৎসক ও তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা স্বাস্থ্য পরিষেবার চেয়ারম্যান। এরপরই মঙ্গলবার আদালত এই কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি নতুন জেলা কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান করে নির্বাচন কমিটি নতুন করে গঠন করতে হবে। তাতেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব।

    আগের কমিটিতে যাঁরা ছিলেন

      জেলা চেয়ারপার্সন পদ
    আলিপুরদুয়ার মৃদুল গোস্বামী আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি
    বাঁকুড়া শুভাশিস বটব্যাল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, ছাতনা
    বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী
    বীরভূম চন্দ্রনাথ সিনহা তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রী
    বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা শ্যামল সাঁতরা তৃণমূল নেতা, বাঁকুড়া
    কোচবিহার  বিনয় বর্মণ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, মাথাভাঙা
    দক্ষিণ দিনাজপুর গৌতম দাস  প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক
    ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা শঙ্কর নস্কর তৃণমূল বিধায়ক, ফলতা
    দার্জিলিং জিটিএ শান্তা ছেত্রী তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভা
    ১০ দার্জিলিং এসএমপি গৌতম দেব  পর্যটন মন্ত্রী
    ১১ হাওড়া পুলক রায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী
    ১২ হুগলি দিলীপ যাদব তৃণমূল নেতা, পুরশুরা
    ১৩ জলপাইগুড়ি  মিতালি রায় তৃণমূল বিধায়ক, ফালাকাটা
    ১৪ ঝাড়গ্রাম চূড়ামণি মাহাতো তৃণমূল বিধায়ক, গোপীবল্লভপুর
    ১৫ কালিম্পং শান্তা ছেত্রী তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভা
    ১৬ মালদা ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তৃণমূল নেতা, মালদা
    ১৭ মুর্শিদাবাদ জাকির হোসেন তৃণমূল বিধায়ক, জঙ্গিপুর
    ১৮ নদিয়া কল্লোল খাঁ তৃণমূল বিধায়ক
    ১৯ নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা শেখ সুফিয়ান তৃণমূল নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট
    ২০ উত্তর ২৪ পরগনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী
    ২১ পশ্চিম বর্ধমান মলয় ঘটক আইনমন্ত্রী
    ২২ পূর্ব বর্ধমান স্বপন দেবনাথ তৃণমূল বিধায়ক, পূর্বস্থলি দক্ষিণ
    ২৩ পশ্চিম মেদিনীপুর অজিত মাইতি তৃণমূল বিধায়ক, পিংলা
    ২৪ পূর্ব মেদিনীপুর অখিল গিরি তৃণমূল বিধায়ক
    ২৫ পুরুলিয়া শান্তিরাম মাহাতো তৃণমূল নেতা, পুরুলিয়া
    ২৬ রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল বিধায়ক, রামপুরহাট
    ২৭ দক্ষিণ ২৪ পরগনা শুভাশিস চক্রবর্তী তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভা
    ২৮ উত্তর দিনাজপুর কানহাইয়া আগরওয়াল তৃণমূল নেতা, রায়গঞ্জ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Lalan Sheikh: লালন শেখের ‘রহস্যময়’ মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। কীভাবে সিবিআই-এর হেফাজতে মৃত্যু লালন শেখের, প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে। আজ, মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। জনস্বার্থ মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

    লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের

    বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh) কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর রহস্যময় মৃত্যু হয়। একদিকে সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে ‘খুন’ করা হয়েছে। ফলে এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার জন্যই হাইকোর্টে মামলা করা হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লালনের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব, বাড়ানো হল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা

    এদিন আাদালতে এ নিয়ে একটি বিশেষ আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই আর্জিতে ওই আইনজীবী আবেদন করেন, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির পর্যবেক্ষণে এই গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হোক। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানান তিনি। সব্যসাচীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আজ অথবা আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অন্যদিকে লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রামপুরহাটে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবার, এই ঘটনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিবিআই। কারণ লালনের মৃত্যুর পরে গতকাল রাতেই দিল্লির সিবিআই দফতর থেকে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় বগটুই তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের থেকে। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে আজ সকালেই রামপুরহাটে পৌঁছেছেন আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। ফলে তদন্ত শুরু হলেও পরে এই মামলা শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়াল। ফলে এই ঘটনায় আদালত থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার। 

  • Shalini Chouhan: ছাত্রী সেজে কলেজ- র‍্যাগিং- এর পর্দাফাঁস মহিলা পুলিশ অফিসারের

    Shalini Chouhan: ছাত্রী সেজে কলেজ- র‍্যাগিং- এর পর্দাফাঁস মহিলা পুলিশ অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছদ্মবেশে বাজিমাত। ডাক্তারি পড়ুয়া সেজে র‍্যাগিং রহস্যের সমাধান। এমনই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোরের এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে। তিন মাস ছাত্রী সেজে মেডিক্যাল কলেজের যত্রতত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। নাম শালিনী চৌহান (Shalini Chouhan)। বয়স ২৪ বছর। তাঁর ছাত্রীসুলভ চেহারায় কারোর বিন্দুমাত্রও সন্দেহ হয়নি। মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিন থেকে ক্লাসরুম, তাঁর যাতায়াত ছিল সর্বত্র। পরনে জিন্‌স, টপ। চালচলনেও আধুনিক ছোঁয়া। যেচেই কথা বলতেন কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে আড্ডা জমে উঠত মুহূর্তেই। কাঁধে থাকত ঝোলা ব্যাগ। তাতে থাকত ঠাসা বই।

    কেউ ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি এই তরুণী (Shalini Chouhan) আদতে ওই কলেজের কেউ নন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে তাঁর দূর-দূরান্তেও কোনও যোগাযোগ নেই। সংযোগিতাগঞ্জ থানায় কর্মরত শালিনীকে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি মামলার রহস্য সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর সিনিয়ররা। বাণিজ্যের ছাত্রী শালিনী। সদ্য পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। চাকরি পাওয়ার পরেই তাঁর কাঁধে এই গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে। এমজিএম কলেজে র‌্যাগিংয়ের ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন থানার অফিসার ইন চার্জ তেহজ়িব কাজ়ি এবং সত্যজিৎ চৌহান। তাঁদের মনে হয় এই কাজের জন্যে শালিনীই উপযুক্ত পছন্দ। তাঁর চেহারা, বয়স সবটাই ছাত্রী হিসেবে মানিয়ে যায়। কারোর সন্দেহও হবে না। তাঁরাই শালিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন,  সবসময় পাশে থেকেছেন। কোন কোন ছাত্রের উপর নজর রাখতে হবে, শালিনীকে তা বুঝিয়েও দিয়েছেন।

    এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে গত জুলাই মাসে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষের একদল ছাত্র র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। প্রমাণের অভাবে কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, পুলিশ তা শনাক্ত করতে পারছিল না। এরপরেই নেওয়া হয় এই অভিনব পন্থা। সংযোগিতাগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ বলেন, “মামলাটি বন্ধ করে দিতে হয় প্রমাণের অভাবে। আমাদের কাছে কোনও সূত্র, কোনও তথ্য ছিল না। তাই আমরা একটু অন্য ভাবে এই রহস্যের সমাধান করতে উদ্যোগী (Shalini Chouhan) হয়েছিলাম।”

    কী করে হল রহস্যের সমাধান? 

    শালিনী (Shalini Chouhan) ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে গল্প জমিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতেন। সুকৌশলে জেনে নিতেন প্রয়োজনীয়। তিনি যে গোয়েন্দা হতে পারেন, কারোর মনে সেকথা একবারও আসেনি। শালিনী জানিয়েছেন, এই কাজে তাঁকে প্রায়ই নানা মিথ্যা কথা বলতে হয়েছে। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে নিজের পরিচয় লুকোতে সফল হয়েছেন শালিনী। কাজটা যে মোটেই সহজ ছিল না তাও জানিয়েছেন তিনি।

    শালিনীর বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। তার এক বছরের মধ্যে মাকেও হারান শালিনী (Shalini Chouhan)। তারপর থেকেই পুলিশে চাকরি করার স্বপ্ন দেখতেন। শালিনীর সঙ্গে ছদ্মবেশে ছিলেন আরও কিছু পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, বললেন রাজনাথ

    কলেজের মোট ১১ জন ছাত্রকে চিহ্নিত করেছেন শালিনী (Shalini Chouhan)। তিনি বলেন, ‘‘আমি বসে বসে শুধু এই ১১জনকে দেখতাম। ওঁদের আচরণ ঔদ্ধত্যপূর্ণ। নিজেদের মধ্যে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা র‌্যাগিং করতেন।’’

    এই উচ্চবর্ষের পড়ুয়ারা জুনিয়রদের দিয়ে নানা রকম আপত্তিকর কাজ করিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ছদ্মবেশে অপরাধীদের শনাক্ত করতে না নামলে এই মামলার কোনও সুরাহা করা যেত না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-China Relations: সীমান্ত-সমস্যা দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরাবে! দাবি অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ তাপির গাওয়ের

    India-China Relations: সীমান্ত-সমস্যা দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরাবে! দাবি অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ তাপির গাওয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত এবং চিনের মধ্যে যা ঘটছে তা দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ককে ব্যাহত করছে। এই সমস্যার সমাধানে দুই দেশের সরকারকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, বলে দাবি করলেন অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ তাপির গাও।

    চিনের ক্ষতি বেশি

    সোমবার এক ভিডিওবার্তায় অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ তাপির বলেন,”আমি ৯ ই ডিসেম্বরের ঘটনা শুনে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। এর তীব্র নিন্দা জানাই। যদি পিএলএ ভবিষ্যতেও এমন কাজ করে, তাহলে ভারত-চিন সম্পর্ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ধরনের সীমান্ত সম্পর্কিত ঘটনা দুই দেশের জন্যই খারাপ। ভারত ও চিন সরকারের উচিত সম্পর্ক আরও ভালো করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ করা।” ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় ও চিনা সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সেনাই আহত হন। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর পূর্ব লাদাখে দুই পক্ষের মধ্যে ৩০ মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত স্থবিরতা চলছে। গত শুক্রবার এলএসি বরাবর ইয়াংটসের কাছে ফের সংঘর্ষ হয়।

    আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    বিজেপি সাংসদ তাপিরের দাবি, এই ঘটনায় ভারতীয় জওয়ানের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক চিনা সৈন্য আহত হয়েছে। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে এসেছিল চিন। কিন্তু তাতেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওই সংঘাতে যতজন ভারতীয় জওয়ান আহত হয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি চিনা আহত হয়েছে। চিনা সেনা ভাবতেই পারেনি যে ভারত এরকমভাবে প্রস্তুত থাকবে।  এর পরেই দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় বসে দুই দেশ। উভয়েই মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়। ইতিমধ্যে তা কার্যকরও হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান সংঘর্ষের সময়ও ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছিল।  আমেরিকা-সহ বিভিন্ন পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট চিনা সেনার নিহতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। যদিও তা প্রকাশ্যে শিকার করেনি বেজিং।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bhupendra Patel: মোদি-শাহ-র উপস্থিতিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল

    Bhupendra Patel: মোদি-শাহ-র উপস্থিতিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক জয় বিজেপির। গুজরাটে ইতিহাস সৃষ্টি করে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন বিজেপির ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। নির্ধারিত সূচি মেনেই সোমবার দুপুরে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত শপথবাক্য পাঠ করালেন ভূপেন্দ্রকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে এদিন এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

    শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কে কে উপস্থিত ছিলেন?

    এদিন গান্ধীনগরে নতুন সচিবালয়ের কাছে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত শপথবাক্য পাঠ করান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে (Bhupendra Patel)। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ গান্ধীনগরে বসেছিল চাঁদের হাট। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মত অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। আবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা ২০০ জন সাধু। উপস্থিত ছিলেন দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিরাও।

    আরও পড়ুন: আজ গুজরাটে মেগা শপথ! থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ ২০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আর কে কে শপথ নিলেন?

    এদিন ভূপেন্দ্রর (Bhupendra Patel) পরেই রাজ্যের সম্ভাব্য মন্ত্রীরাও শপথ নেন। প্রাথমিক ভাবে শপথ নিয়েছেন ১৭ জন। এদিন শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন জামনগরের রাঘবজি প্যাটেল, জাসদনের কুনভারজি বাভালিয়া, পারডি থেকে কানুভাই দেশাই, ভিসনগরের ঋষিকেশ প্যাটেল ও আরও কয়েকজন। গুজরাটে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনজন প্যাটেল, পাঁচজন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, একজন তপসিলি জাতি, তিনজন তপসিলি উপজাতি, একজন জৈন, দুজন ক্ষত্রিয় এবং একজন অন্য বর্ণের নেতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। 

    আবার এদিন জয়ী বিধায়কদের মধ্যে সোমবার শপথ নিয়েছেন হর্ষ সাংভি, জগদীশ বিশ্বকর্মা, পুরুষোত্তম সোলাঙ্কি, বাচুভাউ খাবাদ, মুকেশ পটেল, ভিখুসিন পারমার প্রমুখ। মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা প্রতিনিধি হিসাবে শপথ নিয়েছেন ভানুবেন বাবারিয়া।

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। গুজরাট বিধানসভার ১৮২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১৫৬ টি আসন। মোদি ম্যাজিকেই টানা সপ্তমবারের জন্য গুজরাটে সরকার গঠন করল বিজেপি। ভূপেন্দ্রর (Bhupendra Patel) আগে ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয় রূপানী। এরপর মাঝপথেই তাঁকে সরিয়ে ২০২১-এ মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ভূপেন্দ্রকে। আর তাঁকে সামনে রেখেই নির্বাচনের লড়াইয়ে নামে বিজেপি। ফলে ঐতিহাসিক জয়ের পরে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠেনি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।   

  • Narendra Modi: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি

    Narendra Modi: “যে নেতারা শর্টকাটের রাজনীতি করেন, তাঁরাই করদাতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা শর্টকাটের রাজনীতি করে, তারাই দেশ এবং করদাতাদের সব থেকে বড় শত্রু। এই নেতারা রাজনীতিতে আসেন শুধুই ক্ষমতা এবং সম্পদের লোভে। সরকারে আসেন মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে।” নাগপুরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    তিনি (Narendra Modi) আরও বলেন, “এইসব রাজনীতিকদের থেকে সাবধান থাকুন। উন্নয়নের গুরুত্বটা বুঝুন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছেন। ওরা দেশ গঠন করতে জানে না। যখন দেশ আগামী ২৫ বছরে উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতে চাইছে, তখন এই রাজনৈতিক দলগুলি দেশকে ধ্বংস করতে চাইছে।” 

    আরও পড়ুন: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    ৭৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন 

    নাগপুর-মুম্বই সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)৷ তার আগে নাগপুর মেট্রোতে সফর করেন তিনি৷ ফ্রিডম পার্ক থেকে খাপরি পর্যন্ত মেট্রো সফরে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর নাগপুর মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধনের পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাসও করেন নরেন্দ্র মোদি (PM in Nagpur)৷ 

    রবিবার নাগপুর রেলওয়ে স্টেশনে নাগপুর থেকে বিলাসপুরের সঙ্গে সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)৷ এটি দেশের ষষ্ঠ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, যার ফ্ল্যাগ-অফ করলেন তিনি৷ এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস ও রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। ৭৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধনে রবিবার মহারাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আজ গোয়ায় মোপা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ এদিন নাগপুর এবং অজনি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। স্টেশনগুলি যথাক্রমে প্রায় ৫৯০ কোটি এবং ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করা হবে।  

    অজনিতে সরকারি রক্ষণাবেক্ষণ ডিপো এবং নাগপুর-ইটারসিটি থার্ড-লাইন প্রকল্পের কোহলি-নারখের অংশটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন মোদি (Narendra Modi)। এই প্রকল্পগুলি যথাক্রমে প্রায় ১১০ কোটি টাকা এবং  প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নাগপুর মেট্রোর ফেজ-১- এর উদ্বোধন করেন। তিনি একটি মেট্রোর টিকিট কেটে ট্রেনে সফর করেন৷ সেখানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন৷ এছাড়াও তিনি বিদর্ভের একটি জনসভায় যোগ দেন তিনি৷ সেখানে তিনি ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচের রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আরজেডির গাড়িতে গরুপাচারে মদত মমতা পুলিশের”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার নিয়ে ফের মমতা সরকারের দিকে আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার একই অভিযোগের তির প্রতিবেশি রাজ্যের শাসকদল আরজেডির দিকেও। বিজেপি নেতার অভিযোগ, রাজ্য পুলিশের মদতেই গরুপাচার চলছে। 

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর?

    রবিবার একটি ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “মমতার পুলিশ রাজ্যের হাইওয়ে দিয়ে আসানসোল, রায়গঞ্জ ও বাঁকুড়ায় গরুপাচার করছে। বিহারের রেজিস্ট্রেশন করা দুটি গাড়ি আসানসোল দক্ষিণের নিউ এগরাগ্রামে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। ওই গাড়িগুলিতে আরজেডির প্রতীক লাগানোছিল।” উল্লেখ্য, চলতি বছরই বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙে ক্ষমতায় এসেছে আরজেডি-জেডিইউর মহাজোট। আরজেডি- তৃণমূলের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। এর আগে নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। বরাবরই আরজেডি এবং তৃণমূল বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর সেই আরজেডির প্রতীক লাগানো গাড়িতেই এরাজ্যে গরুপাচার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।   ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডল। তা সত্ত্বেও অবাধে চলছে পাচার।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করছেন শুভেন্দু। সীমান্তে গরুপাচার হলে তার দায় নিতে হবে বিএসএফকে। তৃণমূল নেতার কথায়, শুভেন্দু যদি গরুপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানেন তাহলে তা ট্যুইট না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো উচিত।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gujarat Oath: আজ গুজরাটে মেগা শপথ! থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ ২০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    Gujarat Oath: আজ গুজরাটে মেগা শপথ! থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ ২০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে টানা সপ্তমবারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। আজ, সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel)। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ গান্ধীনগরে চাঁদের হাট।

    কে কে থাকছেন

    বিজেপি সূত্রে খবর, গান্ধীনগরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিজেপি শাসিত রাজ্য ও জোট সঙ্গী রাজ্যের ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন এই মেগা শো-য়ে। তালিকায় রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান, কর্ণাটকের বাসবরাজ বোম্মাই, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। এছাড়াও ভূপেন্দ্র প্যাটেলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ২০০ জন সন্ন্যাসীর উপস্থিত থাকার কথা। বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডা, প্রবীণ নেতা বিএল সন্তোষ থাকতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: গোয়ায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দেওয়া হল নতুন নাম

    শপথ অনুষ্ঠান

    গুজরাটে রেকর্ড গড়ে ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৬টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। সাধারণত নির্বাচনের আগে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম তুলে ধরে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই সমস্ত জায়গায় বিজেপির মুখ হিসাবে তুলে ধরা হয়। গুজরাট ভোটের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে আগেই  ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে মসনদে ফিরলে ভূপেন্দ্র প্যাটেলই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও নির্বাচনী প্রচারে ‘নরেন্দ্র-ভূপেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিন সরকার’-এর পক্ষে সওয়াল করেন। সকলের বিশ্বাস অর্জন করেই রেকর্ড আসনে জয় পায় গেরুয়া শিবির। আজ, দুপুর ২টোয় গান্ধীনগরের হেলিপ্যাড ময়দানেই শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র। মেগা শপথগ্রহণের জন্য  তিনটি বিশাল মঞ্চ থাকবে। মধ্যের প্ল্যাটফর্ম হবে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার জন্য। বাকি দুটি করা হয়েছে অতিথিদের জন্য। মূল মঞ্চের ডানদিকের প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী ও ভিভিআইপিদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। বাম দিকে  রাজ্যের ২০০ জন সাধু বসবেন, যাদের অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Fake Currency: মথুরা পুলিশের জালে জাল নোট চক্র, চিনা যোগ?

    Fake Currency: মথুরা পুলিশের জালে জাল নোট চক্র, চিনা যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল পুলিশ (জিআরপি), মথুরা পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল জাল নোটের (Fake Currency) আন্তর্জাতিক চক্র। চিন থেকে আমদানি করা সরঞ্জাম দিয়ে নোট ছাপানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। চক্রের ‘কিংপিন’- কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    কী কী উদ্ধার হয়েছে? 

    মথুরা জিআরপি এবং বারাণসীর পুলিশ কমিশনারেটের যৌথ দল রবিবার মুকেশ ওরফে রৌনককে গ্রেফতার করেছে। মুকেশই এই চক্রের মাথা। পুলিশ এই ব্যক্তির মাথার দাম রেখেছিল ২৫,০০০ টাকা। বারাণসী থেকে গ্রেফতার করা হয় রৌনককে। গোয়েন্দারা ২১,০০০ টাকা মূল্যের জাল মুদ্রা (Fake Currency), অর্ধ-মুদ্রিত জাল নোট, জাল নোট ছাপার সরঞ্জাম এবং আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন৷

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জাল মুদ্রা (Fake Currency) ছাপানোর জন্য ব্যবহৃত উপকরণ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন, ল্যামিনেশন মেশিন, পাঞ্চিং মেশিন, বিভিন্ন  আকারের ফ্রেম স্লাইডার ইত্যাদি। চিনা সংস্থা  www.alibaba.com এবং  Guangzhou Bonedry Co. Ltd থেকে আমদানি করা হয়েছিল সরঞ্জামগুলি। চক্রটি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মালদা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। 

    ৯ ডিসেম্বর প্রথম এই মামলায় রৌনকের নাম সামনে আসে। সেই সময় মথুরা জিআরপি ১.৫ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের থেকেই পুলিশ রৌনকের নাম জানতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান’, বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির 

    মথুরার এসপি জিআরপি মুস্তাক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “জিআরপি একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং জাল মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় জড়িত গ্যাংয়ের নেতা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আটটি দল গঠন করে। দলগুলি ক্রমাগত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বারাণসী পুলিশের সহায়তায় শ্রীনগর থেকে রৌনককে গ্রেফতার করে। অভিযান চালানো স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে জাল মুদ্রার নোট এবং মুদ্রণের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।”  

    রৌনক মথুরা জিআরপির হেফাজতে রয়েছে  এবং বারাণসী পুলিশ জাল নোট তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। পুলিশ এখন মথুরায় যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Visva Bharati University: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

    Visva Bharati University: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)৷ নিরাপত্তারক্ষী ও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তিতে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর৷ পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে৷ পুলিশের সামনেই হেনস্থা করা হয়েছে পড়ুয়াদের। আর এরই মাঝে প্রায় ২১ দিন পর বাড়ি থেকে বের হলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটপে তিনি বাড়ির বাইরে আসেন৷ উপাচার্য বাইরে আসতেই শ্লোগান শুরু করেন পড়ুয়ারা৷ তখনই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ৷  

    নিজ বাসভবন থেকে উপাচার্য বেরোতে পারলেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) ঢোকার মুখে ফের পড়ুয়াদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল গেটে তালা লাগিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। ফলে মূল ফটকের বাইরে উপাচার্য সহ দেড়শো জন অধ্যাপক অধ্যক্ষকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

    কী ঘটেছে?  

    সম্প্রতি সোমনাথ সৌ নামে এক পড়ুয়াকে ভর্তি না-নেওয়া এবং বেশ কিছু পড়ুয়াকে গবেষণাপত্র জমা দিতে না-দেওয়ার অভিযোগে উপাচার্যকে ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) পড়ুয়ারা৷ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আটকে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা৷ এর পর তাঁকে কার্যালয় থেকে বেরতে দিলেও, গত ২১ দিন ধরে বাড়িতেই কার্যত গৃহবন্দি হয়েছিলেন উপাচার্য৷ এদিন সকালে বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষীদের সুরক্ষা বলয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন উপাচার্য৷ কিন্তু আন্দোলনকারীরা বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের৷ অভিযোগ উঠেছে ধর্না মঞ্চে ভাঙচুর চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা৷ সেখানে চেয়ার ও পড়ুয়াদের রাখা সাইকেলও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পালটা অভিযোগ, পড়ুয়ারাও নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে তেড়ে যায়৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়৷ পড়ুয়াদের অভিযোগ সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিতিতেই তাদের মারধোর করে নিরাপত্তারক্ষীরা৷ তাঁদের সামনেই দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়৷ কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ার অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত, বললেন জয়শঙ্কর

    কিছুক্ষণ পরেই সেখানে এসডিপিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়৷ উপাচার্য আপাতত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিতরে রয়েছেন৷ পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়৷ তবে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ তাঁদের (Visva Bharati University) দাবি, স্বৈরাচারী উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) পড়ুয়ারা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় উপাচার্য তাঁদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়ারা।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share