Blog

  • Metro App: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! মেট্রো অ্যাপ এবার বাংলাতেও!

    Metro App: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর! মেট্রো অ্যাপ এবার বাংলাতেও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় মেট্রো রাইড কলকাতা অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে চলেছে মেট্রো রেলওয়ে (Metro App)। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, মোট ২,৪৮,৪৭০ জন যাত্রী গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করেছেন। এই অ্যাপটি সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি করেছে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে আরও দুটি ভাষায় এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    অতএব, যে যাত্রীরা ইংরেজিতে তেমন দক্ষ নন তারা এই অ্যাপের হিন্দি বা বাংলা সংস্করণ (Metro App) ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে এই উদ্যোগ এই অ্যাপটিকে আরও সুবিধাজনক ও জনপ্রিয় করে তুলবে।

    গত বছরের ৫ মার্চ এই অ্যাপটি লঞ্চ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের তাদের স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে বা একটি অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর-কোড ভিত্তিক টিকিট বুক করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন যাত্রীরা। ফলে খুব সহজেই মেট্রো স্টেশনে দীর্ঘ লাইন এড়ানো যায়।

    মেট্রো স্টেশনগুলিতে মেট্রো কর্মীরা এই নতুন অ্যাপ সম্পর্কে প্রায়ই প্রচার (Metro App) করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও অ্যাপটির প্রচার চালানো হয়। অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার প্রক্রিয়া মেট্রোয় শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগেই। তবে প্রথম তৈরি অ্যাপটির নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় সেটি বাতিল করে পরে মেট্রো রাইড কলকাতা নামে অ্যাপ চালু করা হয়। স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা হু হু করে কমতে থাকায় সম্প্রতি ওই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাত্রীদের উৎসাহিত করতে মেট্রোর পক্ষ থেকে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যাত্রীদের সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন অ্যাপের ব্যবহার আরও সরল করতে নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    যাত্রীদের লেনদেন সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রেখে ব্যবহারের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে (Metro App) অ্যাপটিকে ওটিপি নির্ভর করা হয়েছে। অ্যাপ থেকে স্মার্ট কার্ডের ব্যালান্স জানা ছাড়াও শেষ বার কোথায়, কখন সেটি ব্যবহার হয়েছে সেই তথ্যও মেলে। একই অ্যাপ থেকে একাধিক স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার সুবিধা রয়েছে। অ্যাপে ট্রেনের সময়, গুগল ম্যাপে স্টেশন দেখার সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Vivek Ramaswami: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানেন কে তিনি?

    Vivek Ramaswami: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US Prez Polls) নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ওই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিমরাত রনধাওয়া ওরফে নিকি হ্যালি। আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীও (Vivek Ramaswami) নামতে পারেন প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে। বছর সাঁইত্রিশের বিবেক লেখক। বড় একটি সংস্থার সিইও। ধনকুবের। রাজনৈতিক কর্মী। সব কিছু ঠিকঠাক চললে রিপাবলিকান দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারেন তিনি।

    বিবেক রামস্বামী…

    আমেরিকার দক্ষিণ পশ্চিম ওহাইওতে বড় হয়েছেন বিবেক। তাঁর বাবা ইঞ্জিনিয়র, জেনারেল ইলেকট্রিকের পেটেন্ট অ্যাটর্নি ছিলেন। মা জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিস্ট। ছোট থেকে পড়াশোনায় ভীষণ ভাল বিবেক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। পরে আইনবিদ্যা পাশ করেন মার্কিন মুলুকেরই ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৪ সালে ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ ফার্ম রোইভেন্ট সায়েন্সেস প্রতিষ্ঠা করেন। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা দাঁড় করান বিবেক। বর্তমানে সম্পদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্ট্রাইভের চেয়ারম্যানের পদেও রয়েছেন তিনি।

    ফোবর্স ম্যাগাজিনের ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবেকের (Vivek Ramaswami) মোট সম্পদের মূল্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রিপাবলিকানদের মতো পরিবেশ, সামাজিক ও শাসনব্যবস্থায় সরকারি নজরদারির বিরোধী তিনি। সামাজিক জাগরণ ও বিপুল ব্যবসায়িক বিনিয়োগে বিশ্বাসী। রিপাবলিকানদের নীতি মেনেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। বাজারে বিবেকের বইও রয়েছে। বইটির নাম ওক, আইএনসি: ইনসাইড কর্পোরেট আমেরিকাজ সোশ্যাল জাস্টিস স্ক্যাম। প্রসঙ্গত, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তার জেরে ক্রমেই বদলাচ্ছে ব্রিটেনের অর্থনীতির হাল। ব্রিটেনের পর এবার আমেরিকায়ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে চলেছেন দুজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। একজন নিমরাত রনধাওয়া ওরফে নিকি হ্যালি। অন্যজন বিবেক রামস্বামী (Vivek Ramaswami)। নিমরাত, বিবেক আদৌ শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে থাকবেন কিনা, কিংবা শেষ হাসি হাসবেন কিনা, তা বলবে সময়। তবে বিশ্বের একাধিক দেশে যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা, তা গর্বের বই কি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    Pakistan: পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি হানা, সরকারকেই দায়ী করলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্তাসবাদী হামলার কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি করাচিতে পুলিশের দফতরে জঙ্গি এবং পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই হয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। প্রায় চার ঘণ্টা চলে এই লড়াই।

    করাচি পুলিশে দাবি, গুলির লড়াইয়ে তিনজন জঙ্গি এবং চারজন পুলিশকর্মীর (Pakistan) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন ১৪ জন পুলিশ। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। এবার এই বিষয়ে পাকিস্তানকেই দায়ী করে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভেঙ্কটেশ প্রকাশ। প্রাক্তন এই ভারতীয় পেসারের দাবি, নিজেদের দোষেই এধরনের ঘটনা থেকে কোনওদিনই বেরিয়ে আসতে পারবে না পাকিস্তান। একটি ট্যুইট করে তিনি লেখেন, “জঙ্গিদের পুষলে এই পরিণতিই হয়। তবে সেই সমস্ত মানুষগুলোর জন্য খারাপ লাগছে যারা অসহায় ভাবে প্রাণ হারালেন। এর জন্য দায়ী সে দেশের সরকারই। কারণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়ায় না।”

     

    পাকিস্তান বিরুদ্ধে বারবারই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ (Pakistan) উঠে এসেছে। যদিও শাহবাজ শরীফের সরকার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। এবার একই অভিযোগে পাকিস্তান সরকারকে অভিযুক্ত করলেন ভেঙ্কটেশ। তার দাবি পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া এই ঘটনার দায় পাকিস্তান সরকারেরই।

    আরও পড়ুন: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়  

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পাক প্রশাসন। কারণ করাচি (Pakistan) পুলিশের ওই সদর দপ্তর এলাকায় রয়েছে পুলিশের কোয়ার্টারও। সেখানে বহু উচ্চপদস্থ অফিসার পরিবার-সহ বাস করেন। এমন এক হাই প্রোফাইল এলাকা কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও এই হামলায় ভয় পেয়েছে পাকিস্তান সরকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IAS Lalithalakshmi: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    IAS Lalithalakshmi: পশ্চিমবঙ্গের আমলার রামায়ণ ব্যাখ্যায় মুগ্ধ মোদি, নিয়ে গেলেন পিএমও-তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভাবধারায় বড় হয়েছেন। দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের বাসিন্দা, বাঙালি আমলাকে বিয়ে করে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। নিজেও তিনি ২০০৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার। অবসরে মীরার ভজন গান। করেন পুরাণ, উপনিষদ, মহাকাব্য চর্চা। সেই সব ভালো লাগা থেকেই ওঙ্কারনাথ মিশন আয়োজিত রামোৎসবে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। ‘প্রশাসনে রামায়ণ’-এর বিষয়ে তাঁর আধ ঘণ্টার ভাষণ ছিল। আর তা এতটাই ব্যতিক্রমী ছিল যে, মাত্র তিনশো দর্শকের সামনে দেওয়া রামায়ণের ব্যাখ্যা কয়েক দিনেই ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুগ্ধ হন তিনিও। খোঁজ পড়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার ভি ললিতালক্ষ্মীর (IAS Lalithalakshmi)। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় তাঁকে চলে যেতে হচ্ছে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও-র ডিরেক্টর হয়ে। যে বাংলায় আমলাদের দিল্লি যেতে হাজারো বাধা দেওয়া হয়, সেখানে পিএমও-র আগ্রহের কথা জেনে আপত্তি করার সাহস দেখায়নি নবান্ন।

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসন এবং আমলা মহলে বেশ চর্চা চলছে। অনেকের মতে, ২০১৪ সাল থেকে ললিতালক্ষ্মী (IAS Lalithalakshmi) এবং তাঁর আমলা স্বামীর কার্যত এ রাজ্যে বনবাস চলছিল। কারণ তাঁরা ‘চটি-আমলা’ ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রী এমন অফিসারকে খুঁজে সরাসরি পিএমও-তে নিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র আমলাদের অনেকেই খুশি। গরু-কয়লা-চাকরি চুরির রাজ্যে আমলা হিসাবে কাজ করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যে সব জুনিয়র আমলাদের সর্বভারতীয় স্তরে হাসি-মস্করার শিকার হতে হয়, তাঁরা এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন।

    তাঁর প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। আমলার জীবনে বদলি থাকেই। যখন আইএএস হই তখন স্বপ্ন ছিল একদিন নর্থ ব্লক-সাউথ ব্লকে বসে কাজ করব। সেই সুযোগ এসেছে। এই ঘটনা রাজ্যের আমলাদের দেশের প্রশাসনিক তন্ত্রের উপর আস্থা বাড়াবে।” তবে ললিতাদেবী যাই বলুন না কেন, তাঁর পিএমওতে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা এখন রাজ্য প্রশাসনে সবার মুখে মুখে। 

    জানা যাচ্ছে, ওঙ্কারনাথ মিশনের রামোৎসবে অযোধ্যা সাহিত্য উৎসবে উদ্যোক্তারা তাঁকে রামায়ণের উপর বলতে অনুরোধ করেছিলেন। ললিতাদেবী (IAS Lalithalakshmi) নিজেই ‘রামায়ণে প্রশাসন’ বিষয় নির্বাচন করেন। মাত্র ৩০০ দর্শকের সামনে যজুর্বেদ, ঈষপোনিষদ, বাল্মিকী, তুলসীদাস থেকে রামায়ণের আধুনিক ব্যাখ্যাকারদের তত্ত্ব থেকে তিনি উপস্থাপন করেন রঘুপতি রামের আমলে প্রশাসন কেমন ছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেন গান্ধীজি যে রামরাজ্য চেয়েছিলেন, সেই রামরাজ্য রামায়ণে কীভাবে বর্ণিত আছে। ৩০ মিনিটের সেই প্রবচন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যায় নরেন্দ্র মোদীর মোবাইলেও। তিনি পিএমও-র আধিকারিকদের ললিতালক্ষ্মীর খোঁজ করতে বলেন। জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু সিনিয়র আমলা দিল্লিকে জানান যে, এমন কোনও অফিসারের কথা তাঁদের জানা নেই। শেষ পর্যন্ত আরও খোঁজখবর নেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বিস্তারিতভাবে জানেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির কলকাতা ক্যাম্পাসের ডিরেক্টর ভি ললিতালক্ষ্মীর (IAS Lalithalakshmi) সম্পর্কে। শোনা যাচ্ছে, এ সব যখন চলছে তার বিন্দু-বিসর্গও টের পাননি রামায়ণের ব্যাখ্যাকার আমলা। 

    হঠাৎ একদিন পিএমও-র এক সিনিয়র কর্তা ফোন করে তাঁকে তাঁর কাজ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন দিতে বলেন। বলা হয়, রামায়ণে প্রশাসন বিষয় নিয়েও তাঁর কথা শোনা হবে। পিএমওতে গেলে সিনিয়র কর্তারা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) কথা শোনেন। পিএমও-র কর্তারা জানতেন, কীভাবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর ২৪ পরগনার এডিএম থাকাকালীন নির্বাচনে কারচুপি করতে উদ্যত এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় আমলা দম্পতিকে বসিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ১২ বছর কার্যত গুরুত্বহীন দফতরে রেখে একপ্রকার নির্যাতন চালানো হয় ললিতা ও তাঁর বাঙালি আইএএস স্বামীর উপর। ১০-১১ বার কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে আসতে চাইলেও তাঁকে যে ছাড়া হয়নি তাও পিওমও-র কর্তারা জানতেন।
     
    ঘণ্টাখানেকের সাক্ষাৎকারের পর পিএমও-র শীর্ষ কর্তারা জানতে চান, ললিতাদেবীর (IAS Lalithalakshmi) দিল্লি আসতে অসুবিধা আছে কি না? ফোন আসে নবান্নে। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ললিতাদেবী সাউথ ব্লকে কাজ করুন। ছাড়পত্র চায়। যে নবান্ন ১০-১১ বার ললিতাদেবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল, সেই নবান্ন তড়িঘড়ি এনওসি দিয়ে দেয়।
     
    ঘটনাচক্রে সাক্ষাৎকার পর্বে পিএমও-র এক কর্তা হালকাচ্ছলে ললিতাদেবীকে (IAS Lalithalakshmi) প্রশ্ন করেন, আপনি রামায়ণের ব্যাখ্যা করতে অযোধ্যা গিয়েছিলেন। রামরাজত্ব নিয়ে প্রবচন দিয়েছেন। আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের আমলামহলের কেউ এখনও ‘ভক্ত’ বলে ব্যঙ্গ করেননি? হাসির রোল ওঠে সেখানেই। আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ডিরেক্টর পদে যোগ দিচ্ছেন ললিতালক্ষ্মী। এ বছরই শেষ লগ্নে অযোধ্যায় প্রভু রামলালা গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা পাবেন। রামায়ণে প্রশাসনও প্রতিষ্ঠা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে, তাই বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে, তাই বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের মানসিকতার মধ্যে প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে। তাই ক্যাশলেস লেনদেন (Cashless Transactions) ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ায় এক আলোচনা সভায় কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর আরও দাবি, ক্যাশলেস লেনদেনে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। শনিবার রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্টে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আপনি যদি আমাদের ক্যাশলেস লেনদেনগুলির নির্দিষ্ট ইউপিআই আইডি দেখেন, আমি মনে করি আমরা বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সংখ্যক ক্যাশলেস লেনদেনে রেকর্ড করতে চলেছি। জয়শঙ্কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে ক্যাশলেস লেনদেনের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে।

    রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্ট…

    রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্টের আয়োজন করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনসটিটিউট এবং ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে। সিডনির ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল ওই আলোচনা সভার। ওই সভায়ই জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, মানুষের মানসিকতার মধ্যে প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে। তাই ক্যাশলেস লেনদেন ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তিনি জানান, ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষকে ক্যাশলেস লেনদেনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উৎসাহিত করি। তিনি বলেন, আমরা মানুষকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে উৎসাহিত করি। কখনও কখনও তা করি খরচ ছাড়াই। সোশিও-ইকনোমিক ডেলিভারির জন্য বর্তমানে যে বেসিক মেকানিজম হল ডিজিটাল গভনেন্স, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত যাতে একটা সোশ্যাল, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সিস্টেম গড়ে তুলতে পারে সে জন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি। স্কেল অফ ইনকামও বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছি।

    আরও পড়ুুন: উত্তরপ্রদেশে তৈরি কামান গর্জে উঠলে, উধাও হবে পাকিস্তান! বিস্ফোরক যোগী আদিত্যনাথ

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, জ্বালানি কাঠের বদলে সিংহভাগ ভারতবাসী এখন গ্যাসে রান্না করেন। আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। দরিদ্র এবং অসহায়দের প্রথমবার আমরা গ্যাস দিচ্ছি বিনামূল্যে। তিনি জানান, আমাদের  দেশের ৮০ মিলিয়ন মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের আবাস যোজনা রয়েছে। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৩০ মিলিয়ন মানুষকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভারতে যে পরিকাঠামোর বদল ঘটছে, তা আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাকস্ট্রাকচার পলিসির কারণেই এটা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nikki Yadav: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়

    Nikki Yadav: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিক্কি যাদব (Nikki Yadav) হত্যা মামলায় পরতে পরতে রহস্য। একের পর এক ভয়ঙ্কর তথ্য আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। এবার এই কাহিনীতে এল এক নয়া মোড়। নিক্কিকে নাকি ৩ বছর আগেই ২০২০ সালে বিয়ে করেছিল সাহিল। তাঁদের বিয়ের সার্টিফিকেট পুলিশের হাতে এসেছে। এরপরেই ফের নতুন করে সাহিল গেহলটকে জেরা শুরু করছে দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন জানা গিয়েছে যে, ২০২০ সালে মন্দিরে গিয়ে নিক্কিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল। বিয়ের কথা সাহিল তাঁর বাবা বীরেন্দর সিংহকেও জানিয়েছিলেন। তবুও তাঁকে ফের জোর করে বিয়ে দেন বীরেন্দর।

    কী জানা গিয়েছে? 

    পুলিশের দাবি, সাহিল জানিয়েছেন নিক্কিকে (Nikki Yadav) খুন করার কথা বীরেন্দরকে জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরেও সে দিন বিয়ে সেরে ফেলার জন্য ছেলেকে জোর করেছিলেন বীরেন্দর। দিল্লি পুলিশ বীরেন্দরকেও গ্রেফতার করেছে। বীরেন্দরের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনকেও। শুক্রবার আদালতে ওই ৫ জনকে পেশ করা হলে তাঁদের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যে মন্দিরে নিক্কি এবং সাহিল বিয়ে করেছিলেন, সেই মন্দিরের পুরোহিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কী হবে?” হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নবীন (Nikki Yadav) নামে দিল্লির এক পুলিশ আধিকারিকের যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নবীন সম্পর্কে সাহিলের মাসির ছেলে। এমনকি, খুনের প্রমাণ লোপাটে ওই পুলিশ আধিকারিক সাহিলকে সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    এই মামলায় সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনের নামও জড়িয়েছে (Nikki Yadav)। পুলিশের অনুমান, সাহিলের বাবার পাশাপাশি ওই চার জন মিলে নিক্কিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এএনআই সূত্রে খবর, বাগদান পর্ব সেরে ওই রাতেই সাহিল গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোন বার বার ফোন করছিলেন সাহিলকে। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁরা আন্দাজ করে নেন যে, সাহিল তাঁর প্রেমিকা নিক্কির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। সাহিলকে খুঁজতে গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন চার জন।

    সাহিল ফোন ধরে জানান, পশ্চিম বিহারের কাছে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হন ওই চার জন (Nikki Yadav)। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সাহিলের গাড়ির ভিতর রয়েছে নিক্কির মৃতদেহ। অভিযোগ, নিক্কির দেহ সরাতে সাহিলকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর দুই তুতো ভাইবোন এবং দুই বন্ধু। দেহ সরানোর পর আবার তাঁরা সাহিলকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। পুলিশের সন্দেহ রাগের মাথায় নয়, বরং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই নিক্কিকে খুন করেছিল সাহিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Bengal Weather: মেঘলা আকাশ! শহর ও শহরতলিতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, বাড়ল তাপমাত্রা

    Bengal Weather: মেঘলা আকাশ! শহর ও শহরতলিতে ঝিরঝিরে বৃষ্টি, বাড়ল তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা শিবরাত্রির যোগেই রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মেঘলা হয়ে রয়েছে আকাশ। তার মধ্যে কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে টিপটিপ বৃষ্টি। আবার কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে  মুষলধারে। মিনিট দশেক অসময়ের বৃষ্টিতে কয়েকজন খুশি তো কয়েকজন শীত শেষে এণন আবহাওয়ায় বেজায় চটেছেন। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর তো লেগেই রয়েছে। 

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি

    শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভেজে দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকা। অসময়ের বৃষ্টি তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দিয়েছে বেশ খানিকটা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, ক্যানিংয়ে শনিবার সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কমেছে দৃশ্যমানতা। কোথাও কোথাও তা ৮০ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে কুলতলি, সুন্দরবন লাগোয়া গোসাবায়। কলকাতায় শনিবার বেলার দিকে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ছিল শহরের একাধিক এলাকায়। সঙ্গে হাওয়াও বইছিল। ভোরের দিকে কুয়াশাও ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটেছে।

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্যে কবে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা? মহাশিবরাত্রিতে বড় ঘোষণা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ় এবং ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি একটি একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, যে কারণে রাজ্যে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। বৃষ্টি, মেঘলা আকাশের জন্যও দায়ী এই ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার কলকাতার কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরেও। রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে কলকাতায় দিনে বা রাতে ঠান্ডার অনুভূতি প্রায় থাকবে না বললেই চলে। দিনের তাপমাত্রা ছাপিয়ে যাবে ৩০ ডিগ্রির গণ্ডি। রাতের দিকে ২১ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে তাপমাত্রা। শনিবার শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের চেয়ে যা ৩ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • INDIA AUSTRALIA : অশ্বিন-অক্ষর জুটির দৌলতে ম্যাচে ফিরল ভারত! দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৬২ রানে

    INDIA AUSTRALIA : অশ্বিন-অক্ষর জুটির দৌলতে ম্যাচে ফিরল ভারত! দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৬২ রানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ম্যাচে ফেরাল অশ্বিন-অক্ষর জুটি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম দু’ঘণ্টার খেলা দেখে মনে হয়েছিল,আজই ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে নেবে অজিরা। ১৩৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। মনে হচ্ছিল, প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড নেবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অন্য কথা ভাবছিলেন অক্ষর ও অশ্বিন। ভারতের দুই অলরাউন্ডার ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললেন। দেখে মনে হল সম্পূর্ণ অন্য পিচে খেলছেন তাঁরা। পাল্টা আক্রমণের নীতি নিয়েছিলেন তাঁরা। দলের রানকে ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়ার রানের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ব্যাটার। শতরানের জুটি গড়লেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে শেষ হয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। ২৬২ রানে অল আউট হয়ে যান রোহিত শর্মারা। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বাধিক রান করেন অক্ষর প্যাটেল (৭৪)। অজিদের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছেন নাথান লিয়ঁ। 

    টপ অর্ডার ব্যর্থ

    দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে শুরু হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। নতুন বল হাতে ১টি উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা। উসমান খোয়াজার উইকেট হারায় অজিরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ৬১। আপাতত ৬২ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শুরুতে ভারতের ওপেনিং জুটি ভরসা দিয়েছিল ভারতকে। ভাল খেলছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। কিন্তু ঠিক যে ভাবে প্রথম টেস্টে রাহুল উইকেট দিয়েছিলেন সেই একই ভাবে এই টেস্টেও ১৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। ৩২ রানের মাথায় নাথান লিয়ঁর সামান্য নিচু হয়ে আসা বলে লাইন মিস্‌ করে বোল্ড হয়ে গেলেন রোহিতও। নিজের শততম টেস্ট খেলতে নেমে ব্যর্থ চেতেশ্বর পুজারা।

    আরও পড়ুন: বেফাঁস মন্তব্যের জের! মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে সরে গেলেন চেতন শর্মা

    কোহলি প্রথম থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। ঘরের মাঠে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রান করছিলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন শ্রেয়স আয়ার। কিন্তু শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা পিটার হ্যান্ডসকম্বের দুরন্ত ক্যাচ তাঁকে সাজঘরে ফেরায়। কোহলি-জাডেজা ভাল খেলছিলেন। দু’জনে মিলে দলের রানকে ১০০ পার করান। চা বিরতির আগে বিরাট ৪৪ রানের মাথায় আউট হলে চাপে পড়ে যায় ভারত। হাল ধরেন অক্ষর ও অশ্বিন। প্রথম টেস্টের পরে দ্বিতীয় টেস্টেও অর্ধশতরান করলেন অক্ষর। ইনিংসে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।  ৭৪ রান করে আউট হন অক্ষর। অশ্বিন করেন ৩৭ রান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Yogi Adityanath: উত্তরপ্রদেশে তৈরি কামান গর্জে উঠলে, উধাও হবে পাকিস্তান! বিস্ফোরক যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: উত্তরপ্রদেশে তৈরি কামান গর্জে উঠলে, উধাও হবে পাকিস্তান! বিস্ফোরক যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার অখণ্ড ভারতের হয়ে সওয়াল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। উত্তরপ্রদেশে তৈরি হতে চলা প্রতিরক্ষা করিডোরকে স্বাগত জানিয়ে যোগী বলেন, “একবার এখানে তৈরি কামান গর্জন করলে, পাকিস্তান নিজেই বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।” শুক্রবার বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের বান্দায় কালিঞ্জর মহোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিমত ব্যাক্ত করেন যোগী।  সম্প্রতি পাকিস্তানকে ‘পৃথিবীর বোঝা’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি। এদিনও যোগী জানান, এমনিতেই পাকিস্তানের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক, যত তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের ভুল বুঝে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হবে,তত তাদের জন্যই মঙ্গল। যোগী এদিন আরও বলেন, তিনি নিশ্চিত যে একদিন অখণ্ড ভারত (Akhand Bharat) তৈরি হবেই। 

    প্রতিরক্ষা করিডোর

    বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মত আদিত্যনাথের। উত্তরপ্রদেশের চিত্রকুট, বান্দা, ঝাঁসি, জালাউন, হামিরপুর, মাহোবা এবং ললিতপুর – এই সাতটি জেলা এর ফলে উপকৃত হবে। চিত্রকুট এবং দিল্লির মধ্যে ভ্রমণের সময় নেমে আসবে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায়। যোগী বলেন, “চিত্রকুটে একটি বিমানবন্দর আসছে। প্রতিরক্ষা করিডোর তৈরি করা হচ্ছে, এবং সেখানে তৈরি কামান যখন গর্জে উঠবে, তখন পাকিস্তান নিজে থেকেই উধাও হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুুন: মোদির ওপর বিবিসি-র বানানো তথ্যচিত্র ‘প্রচার সর্বস্ব ভিডিও’, তোপ ব্রিটিশ সাংসদের

    আগামী দিনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে প্রধান করিডর হয়ে উঠতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। এমনই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। যোগীরাজ্যে উপগ্রহ নির্মাণের হাব তৈরি করা হবে বলে শিল্পপতিদের একটি সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।  প্রতিরক্ষা করিডোরের স্বার্থে রাজ্যের ৭৫টি জেলায় বিনিযোগ হবে বলে দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি জৈব জ্বালানি, হাইড্রোজেন শক্তি, বৈদ্যুতিক যান, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সহ মোট ২৫টি খাতে এই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিরক্ষা করিডোরের জন্য ৩ হাজার ৭০০কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর (UPDIC) তৈরির জন্য ছয়টি নোড আগ্রা, আলিগড়, চিত্রকুট, ঝাঁসি, কানপুর এবং লখনউকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kedarnath Temple: ভক্তদের জন্যে কবে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা? মহাশিবরাত্রিতে বড় ঘোষণা

    Kedarnath Temple: ভক্তদের জন্যে কবে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা? মহাশিবরাত্রিতে বড় ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবরাত্রির পুণ্য তিথিতে ভক্তদের জন্যে বড় ঘোষণা করল কেদারনাথ কর্তৃপক্ষ (Kedarnath Temple)। এদিনই জানিয়ে দেওয়া হল কবে থেকে ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে সাধারণের জন্যে খুলে যাচ্ছে মন্দিরের দরজা। এদিন এমনটাই জানালেন কেদারনাথ মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান অজেন্দ্র অজয়।

    কী জানা গিয়েছে? 

    তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কেদারনাথের (Kedarnath Temple) দরজা। সেদিন ভোর ৪টেয় ওঁঙ্কারেশ্বর মন্দিরে হবে মহাঅভিষেক পুজো। সেদিন ভোরেই সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালন হবে। যার পরই ভক্তদের জন্য খুলবে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। সকাল ৮ টায় আরতি হবে কেদারনাথ মন্দিরে। যারপর সারাদিন ধরেই চলবে পুজার্চনা।

     

    কেদারনাথের মতোই এপ্রিল মাসের শেষেই খুলে যাচ্ছে বদ্রীনাথের (Kedarnath Temple) দরজাও। আগামী ২৭ এপ্রিল সকালে ৭ টা ১০ মিনিটে পুণ্যার্থীদের জন্য দরজা খুলছে বদ্রীনাথের। গণনার পরে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলার কথা ছিল।

    মাঝে করোনা অতিমারীর জেরে চার ধামের দরজা ভক্তদের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত বছর দরজা খোলার পর রেকর্ড সংখ্যক ভক্ত ভিড় করেছিলেন চার ধামে। প্রায় ৪৬ লক্ষ (Kedarnath Temple) ভক্ত ভিড় করেছিলেন এই চার ধামে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর বদ্রীনাথ ধামের দরজা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থেমেছিল চারধাম যাত্রা। 

    প্রসঙ্গত, গত বছর এক বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কেদারনাথ। রুদ্রপ্রয়াগে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে। কেদারনাথ ধামের (Kedarnath Temple) ২ কিলোমিটার আগে ভেঙে পড়ে যাত্রী বোঝাই হেলিকপ্টারটি। মৃত্যু হয় চালক এবং ছ জন যাত্রীর। অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতার অভাবে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

      

       

     

LinkedIn
Share