Blog

  • PM Svanidhi Scheme: মেয়াদ বাড়ল পিএম স্বনিধি প্রকল্পের, কবে পর্যন্ত মিলবে সুবিধা, জানেন?

    PM Svanidhi Scheme: মেয়াদ বাড়ল পিএম স্বনিধি প্রকল্পের, কবে পর্যন্ত মিলবে সুবিধা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডরর্স আত্মনির্ভর নিধি প্রকল্পের (PM Svanidhi Scheme) মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র। মেয়াদ বেড়ে হল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, সরকার তৃতীয় লোন দেওয়াও চালু করল। লোন পেতে পারেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রথম দফায় মিলবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন। আর দ্বিতীয় দফায় পেতে পারেন ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এজন্য গোটা দেশেই চালু হয়েছে স্বনিধি সে সমৃদ্ধি প্রকল্প।

    আত্মনির্ভর নিধি…

    করোনা (Covid-19) অতিমারি পরিস্থিতিতে হকারদের (Street Vendor) মুখ থুবড়ে পড়া ব্যবসা ফের চাঙা করতে ২০২০ সালের ১ জুন একটি নয়া প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। নাম দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডরর্স আত্মনির্ভর নিধি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ধুঁকতে থাকা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন স্ট্রিট ভেন্ডররা। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নিতে পারবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে লক্ষ লক্ষ হকার এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।

    জানা গিয়েছে, চলতি বছর নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই সুবিধা পেয়েছেন ৩১.৭৩ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডর। তাঁরা প্রত্যেকে ১০ হাজার করে টাকা পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে আবার ৫.৮১ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডর পেয়েছেন ২০ হাজার করে টাকা। ৬ হাজার ৯২৬ জন স্ট্রিট ভেন্ডর তৃতীয় লোনের সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে পেয়েছেন ৫০ হাজার করে টাকা। ইউনিয়ন মিনিস্ট্রি অফ হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পিএম স্বনিধি প্রকল্পে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৪২ লক্ষ স্ট্রিট ভেন্ডরকে এই প্রকল্পে লোন দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের (PM Svanidhi Scheme) সব চেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই লোন নিতে গেলে কোনও সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয় না ঋণ-প্রাপককে। শুধু তাই নয়, এক বছরের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ সুদে গৃহীত লোন শোধ করলেই ভেন্ডরদের জন্য রয়েছে ভর্তুকির সুবিধা। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় লোন মিলতে পারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় মিলতে পারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই লোন শোধ হলে মিলতে পারে তৃতীয় দফার লোন। এতে মিলতে পারে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anti-Hijab Protests: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যুবককে ফাঁসি! ফের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে

    Anti-Hijab Protests: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যুবককে ফাঁসি! ফের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ এই প্রথম প্রতিবাদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করল ইরানের (Iran) প্রশাসন। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সি যুবক মহসিন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান প্রশাসন।

    যুবককের ফাঁসি,আরও ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড

    সেপ্টেম্বর থেকে ইরান অশান্ত। গত কয়েকমাস ধরেই মাশা আমিনি কাণ্ডে উত্তাল ইরান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশ নেওয়ার জন্য মহসিন শেকারি নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার ফাঁসি দিল ইরান সরকার। সেদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলির দাবি, বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই মহসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইরানের আদালতের দাবি, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন ওই ব্যক্তি। সেই জন্যই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    মহসিনের বিরুদ্ধে ইরান পুলিশের অভিযোগ– তিনি রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, শুধু তাই নয়, এক প্যারামিলিটারি কর্মীকে আহত করেছেন। কিন্তু, মহসিন শেকারিই শেষ বা একমাত্র নন, বরং তাঁকে দিয়েই হয়তো শুরু হল। এহেন ঘটনায় শঙ্কিত ইরানের মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাঁদের মতে, এবার প্রত্যেকদিন হিজাব বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করতে শুরু করবে ইরানের প্রশাসন। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না হলে ইরানের দমননীতি আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অনুমান। ইরান সরকার অন্তত পক্ষে আরও ১০-১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। এর আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি-ইজেই জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে গণ-বিক্ষোভের ঘটনায় যেসব বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সেইগুলি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ‘দ্রুত কার্যকর করা হবে’। 

    নতুন করে অশান্তি

    হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশগ্রহণের জন্য মহসিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরে নতুন করে অশান্তি ছড়াল ইরানে। রাজধানী তেহরান-সহ সে দেশের কয়েকটি শহরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ। তেহরানের সাত্তার খান স্ট্রিটে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দেশে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রচুর সংখ্যক আন্দোলনকারীদের কারাদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই আন্দোলনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ১২০০ ছাত্রকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mirabai Chanu: হারালেন অলিম্পিক সোনাজয়ীকে! কব্জির চোট নিয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো চানুর

    Mirabai Chanu: হারালেন অলিম্পিক সোনাজয়ীকে! কব্জির চোট নিয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো চানুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মীরাবাঈ চানুর (Meerabai Chanu) মুকুটে আরও একটি পালক। কব্জির চোট সত্ত্বেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতলেন দেশের অন্যতম এই মহিলা ভারোত্তোলোক। চলতি বছরে কলম্বিয়ার বোগোতায় বসেছিল ২০২২ বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এখানে স্ন্যাচ (৮৭ কেজি) এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক (১১৩ কেজি) মিলিয়ে মোট ২০০ কেজি ভারোত্তোলন করেন চানু। অন্যদিকে চিনা প্রতিযোগী হউ জিহুই যিনি অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন, তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৮ কেজি ভার বহন করে জিতে নিয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক। আর সোনার পদক জেতেন চিনের জিয়াং হুইহুয়া। স্ন্যাচে ৯৩ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৩ কেজি ওজন তুলে স্বর্ণপদক জিতে নেন তিনি।

    চোট নিয়েই বাজিমাত

    কব্জিতে চোট নিয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের এই ম্যাচে নামেন চানু। তবে নিরাশ করেননি মণিপুরের মেয়ে। বড় আসরে নামার সময় যে মানসিকতা বদলে ফেলেন চানু,তার প্রমাণ মিলল বিশ্ব মিটেও। ২০১৭ সালে বিশ্ব মিটে সোনা জিতেছিলেন চানু। এ বারও সেই লক্ষ্যই ছিল তাঁর। সামনে এশিয়ান গেমস। ২ বছর পর প্যারিস অলিম্পিক। ধারাবাহিক ভাবে সাফল্যের মধ্যে থাকতে চেয়েছিলেন ভারতীয় ভারোত্তোলক। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে ট্রেনিংয়ের সময় কবজিতে চোট পান। জাতীয় গেমসে চোট নিয়েই ইভেন্টে নেমেছিলেন চানু। বিশ্ব মিটে চানুদের ইভেন্টে সেরা ১১জন লিফ্টার নেমেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: আগামী তিন মাসে টানা ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার! শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা ইডেনেও

    বিশ্ব মিটে রুপো পাওয়া চানুকে নিয়ে টিমের হেড কোচ বিজয় শর্মা বলেছেন, ‘এই মিটের জন্য আমরা কোনও বাড়তি চাপ নিতে চাইনি। নিয়মিত ও যে ওজন তুলছিল, সেটাই তুলেছে এখানে। এ বার ট্রেনিংয়ে ওর ওজন বাড়ানো হবে। ধীরে ধীরে ও উন্নতি করবে। চোট থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব মিটে নেমেছে চানু। কারণ, ও এই টুর্নামেন্টটা মিস করতে চায়নি। এ বার ওকে কবজির পুরনো চোটটা সারিয়ে তুলতে হবে। পরের ইভেন্টের আগে ও অনেকখানি সময়ও পেয়ে যাবে সেটা করার।’

  • King Charles: ব্রিটেন রাজা তৃতীয় চার্লসের গুরুদ্বার পরিদর্শন, মেঝেতে বসেই করলেন প্রার্থনা

    King Charles: ব্রিটেন রাজা তৃতীয় চার্লসের গুরুদ্বার পরিদর্শন, মেঝেতে বসেই করলেন প্রার্থনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজা হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বহু মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি। তবে তিনি কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে গোটা ব্রিটেন জুড়ে সফর করছেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস (King Charles)। সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, এর আগে একাধিকবার সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। কিন্তু এবারে তাঁকে এক অন্য রূপেই দেখা গেল, তাও আবার একটি গুরুদ্বারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের নয়া রাজা চার্লস ইংল্যান্ডের লুটনের একটি গুরুদ্বার পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি সেখানকার সম্প্রদায়ের নেতা, স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাঁর আসাতে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিল গুরুদ্বারে উপস্থিত ভক্তরা।

    ব্রিটেন রাজার গুরুদ্বার পরিদর্শন

    মঙ্গলবার ব্রিটেন ভ্রমণ করতে গিয়ে প্রথমে যান পূর্ব ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের লুটনে। লন্ডন থেকে সামান্য দূরে এই লুটন নামক শহর, যেখানে তিনি (King Charles) জনসংযোগ করছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি পৌঁছে যান এক গুরুদ্বারে। লুটনে সেই নবনির্মিত গুরুদ্বারে প্রণাম করেন এবং ভক্তদের সঙ্গে মিশে যান তিনি। ইউনিয়ন জ্যাক এবং ‘নিশান সাহেব’-এর শিখ পতাকা ধরে তাঁকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন ধর্মের শিশুরা উপস্থিত ছিল। সূত্রের খবর সেদিন কিং চার্লসকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যাপক গুরচ রনধাওয়া, স্থানীয় শিখ ধর্মসভার সদস্য এবং বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অভ্যর্থনা জানান।

    শিখ ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানাতে রাজা চার্লস (King Charles) প্রার্থনা করার সময় তাঁর মাথায় একটি রুমাল পরেছিলেন এবং প্রার্থনা করার সময়ে তাঁকে মেঝেতে বসেই শিখ উপাসকদের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যায়। এমনকি গুরুদ্বারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিং চার্লসকে ‘নমস্তে’ বলতেও দেখা যায়। এরপর তিনি গুরুদ্বারের লঙ্গর পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন এবং সেখানকার লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/Cl1pKZaMOoP/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল এবং এই গুরুদ্বারের লঙ্গন থেকে প্রতিদিন ৫০০ জনকে খাবার পরিবেশন করা হয়। আবার এক স্থানীয় সম্প্রদায় টাউন হলের বাইরে প্রতি রবিবার লুটন শিখ স্যুপ কিচেন পরিচালনা করে ও এখান থেকে প্রায় ১৫০ টি খাবার পরিবেশন করা হয়।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেগুলির সবগুলির ওপরই স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। গুজরাটের ক্ষমতায় ফের ফিরতে চলেছে বিজেপি। তা নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না রাজ্য বিজেপিতে। তার ওপর শুভেন্দুর এই খবরে দৃশ্যতই খুশির হাওয়া বঙ্গ বিজেপিতে।

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক…

    রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। যদিও শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দুই। ১৯৫৬ ভোটে তিনি পরাস্ত করেন তৃণমূল নেত্রীকে। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, তার পর থেকে নানা ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে শুভেন্দুর নাম। দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। 

    আরও পড়ুন: পুলিশি হেনস্থার শিকার উস্তাদ রশিদ খান, শিল্পীর পাশে রয়েছেন শুভেন্দু

    এরই বিহিত চাইতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতে তাঁর আবেদন, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলেনতার (Suvendu Adhikari) কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এত এফআইআর দায়ের হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে হলফনামাও তলব করেছে হাইকোর্ট। ছ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই হলফনামা। রাজ্যের কাছ থেকে ওই হলফনামা পাওয়ার পরেই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অন্য কোনও সংস্থার হাতে এই মামলাগুলির তদন্তের ভার দেওয়া হবে কিনা। আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তিতে শুভেন্দু শিবিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Curd: সত্যিই কি শীতকালে দই খেলে অসুখ হয়? কিছু ভুল ধারণা ভাঙলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

    Curd: সত্যিই কি শীতকালে দই খেলে অসুখ হয়? কিছু ভুল ধারণা ভাঙলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা অনেকেই শীতকালে দই (Curd) খাওয়া এড়িয়ে চলি। মনে করি দই খেলে সর্দি-কাশি হয়। সত্যিই কি শীতে দই খেলে শরীর খারাপ হয়? কী বললেন বিশেষজ্ঞরা?

    টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যেগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। টক দই শরীরে ক্ষতিকর বর্জ্য জমতে দেয় না। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজম শক্তিও উন্নত করে। টক দই (Curd) খেলে বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এহেন উপকারী দইকে আমরা শীতকালে দূরেই সরিয়ে রাখি। 

    জেনে নিন দই নিয়ে এই ধারণাগুলি সম্পর্কে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ধারণা: শীতকালে দই খেলে সর্দি-কাশি হয়?

    সত্যতা: শীতকালেও দই (Curd) দিয়ে মিষ্টি মুখ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। দইয়ে প্রো-বায়োটিক উপাদান, ভিটামিন সি রয়েছে। এই দুই-ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে ঘরোয়া তাপমাত্রায় এনে তবেই খাবেন। ঠাণ্ডা দই খাবেন না। 

    ধারণা: রাতে দই খাওয়া ঠিক নয়। 

    সত্যতা: এটা ভুল ধারণা। রাতে সাইড ডিশ হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে দই। এটি বিশেষ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের ক্ষরণে সাহায্য করে। যা মস্তিষ্ককে শান্ত করে। এবং মস্তিষ্ক শান্ত হলে কিছু ভাবতে সাহায্য হবে। 

    ধারণা: সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে যে মায়েরা তাদের দই খাওয়া উচিত না। মা-বাচ্চা দুজনের শরীর খারাপ হতে পারে। 

    সত্যতা: এটিও একটি ভুল ধারণা। বুকের দুধের মাধ্যমে মায়ের শরীর থেকে শুধু পুষ্টিই পায় সন্তানরা। বুকের দুধে ইমিউনোগ্লোবিউলিন্স থাকে, তাই ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা নেই। দই- এ (Curd) ভিটামিন এবং প্রোটিন রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই মায়ের শরীরের ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও পূরণ করে।

    আরও পড়ুন: ২০২৩-এ রুপোলী জগতে পা রাখবেন এই তারকা সন্তানরা!

    ধারণা: বাচ্চাদের শীতে দই খাওয়া উচিত নয়।

    সত্যতা: দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তে শ্বেত রক্ত কনিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ঘরোয়া তাপমাত্রায় দই খেলে শিশুদের ঠাণ্ডা লাগার ভয় নেই। 

    ধারণা: ওজন কমাতে চাইলে দই এড়িয়ে চলুন।

    সত্যতা: এই ধারণাটিও সত্যি নয়। ওজন কমানোর জন্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড খাওয়াও জরুরি। লো ফ্যাট দুধ থেকে তৈরি দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, পটাশিয়াম এবং প্রোটিন রয়েছে। যা স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Cyber Attack: এইমসে সাইবার হানা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে লাল সতর্কতা!

    Cyber Attack: এইমসে সাইবার হানা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে লাল সতর্কতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এইমসের (AIIMS) সার্ভার হ্যাক করে রোগীদের বিপদে ফেলেছিল হ্যাকাররা। বিপদে পড়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। এবার নিশানায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আইসিএমআরের সার্ভার। সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এক দিনে কয়েক হাজার সাইবার হানা (Cyber Attack) হয়েছে আইসিএমআরের সার্ভারে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এইমসের সার্ভারে র‌্যানসামওয়্যার অ্যাটাক হয়েছিল। এই সাইবার অ্যাটাকের কারণে দিল্লির সার্ভার দশ দিনেরও বেশি বন্ধ ছিল। এখনও ম্যানুয়ালি চলছে এইমসের সব পরিষেবা। সংস্থার তরফে ডেটা ফিরে পাওয়ার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

    চিনা হ্যাকার…

    জানা গিয়েছে, গত দু দিন ধরে সিইআরটি-ইন এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট যার নেতৃত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (রিটায়ার্ড) রাজেশ পান্ত এইমসের সার্ভারগুলিতে ড্রাই রান চালাচ্ছে। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের মতে, এই যে সাইবার হানা (Cyber Attack), এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা হ্যাকারদের হাত। যাঁরা এইমসের সাইবার হানার সম্পর্কে পরিচিত, তাঁরা জানিয়েছেন, সাইবার হানার ফলে যেসব সার্ভার কোরাপ্টেড হয়ে গিয়েছিল, সেগুলিকে আইসোলেটেড করা হয়েছে। চলছে ওই সার্ভারগুলির সিস্টেম পরীক্ষার কাজ। এইমসের মতো ভিভিআইপি হাসপাতালে যাতে ফের এ রকম ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পূর্ণ সময়ের সাইবার সিকিউরিটি ডিভিশন থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তাঁরা। তা না হলে ফের সম্মুখীন হতে হবে এমন বিপদের। জানা গিয়েছে, দিল্লির এইমস কর্তৃপক্ষকে হায়ারআর্চিক্যাল কম্পিউটার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-ম্যাজিকে ভর করে টানা সপ্তমবার গুজরাট দখলের পথে বিজেপি

    ডিসেম্বরের ৪ তারিখে দিল্লির সফদারজং হাসপাতালেও হয়েছিল সাইবার হানা (Cyber Attack)। মিডিয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে এইমসের মতো এতটা ক্ষতি করতে পারেনি হানাদাররা। অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের নয়া রূপ হবে সাইবার হানা। সেই কারণে আমেরিকা, চিন এবং ফ্রান্স তাদের দেশের সরকারি ডেটা যাতে সুরক্ষিত থাকে, তাই সার্ভারগুলিতে এফেকটিভ ফায়ারওয়াল গড়ে তুলেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে সাইবার হানা হলেও, সুরক্ষিত থাকবে ডেটা। জানা গিয়েছে, এইমসের কম্পিউটার এবং আইটি আপগ্রেডেশনের পরিকল্পনার জন্য ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমা স্থির করা হয়েছে। এর মধ্যে আইটি ভেন্ডরদের কাছ থেকে আগ্রহ প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Taliban Horror: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা?  আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    Taliban Horror: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর তালিবানরা (Taliban Horror) দাবি করেছিল, আগের থেকে অনেকটাই বদল হয়েছে তাদের চিন্তা ভাবনায়। এবারের তালিবান সরকার হবে জনসাধারণের জন্যে। তবে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই ফিরে এল সেই ৯০- এর দশকের তালিবানি বিভীষিকা। আফগানিস্তানে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল তালিবান সরকার। বুধবার তালিবানের তরফে সরকারিভাবে ওই মৃত্যুদণ্ডের কথা জানানো হয়েছে। তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “ওই ব্যক্তির নাম তাজমির। ২০১৭-য় এক ব্যক্তিকে খুন করে সে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।” আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্তের ফারাহ অঞ্চলে প্রকাশ্যে ওই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, উপ প্রধানমন্ত্রী আব্দুল ঘানি বরাদর, এছাড়াও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিও।। ওয়াকিবহাল মনে করছে,  তালিবানরা যে শরিয়া আইন থেকে সরে আসেনি, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই বার্তাই দেওয়া হল। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে চাবুক মারার অভিযোগ উঠেছিল তালিবানদের বিরুদ্ধে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। 

    জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Taliban Horror) আরও বলেন, “অনেক ভেবেচিন্তেই মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তিনটি আদালত এই শাস্তির ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছে। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাবায়তুল্লা আখুনজাদা। তিনিই প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর দেন।” 

    আরও পড়ুন: কার দখলে গুজরাট, হিমাচল? আজ দুই রাজ্যে ভোট গণনা

    প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ডের সাজা যাকে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম তাজিমুর। তিনি আফগানিস্তানের হেরাটের বাসিন্দা। মুস্তাফা নামের এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে তাঁর জেলের সাজা হয়েছিল। খুন ছাড়াও মোবাইল ফোন এবং মোটর বাইক চুরির অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

    মুজাহিদের দাবি, খুনের পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। কবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, নয়ের দশকেও একই ভাবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিত তালিবানরা (Taliban Horror)। ফাঁসি ছাড়াও পাথর ছুড়ে মারার সাজারও প্রচলন ছিল।  

    আরও একবার বেলাগাম তালিবান 

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার আফগানিস্তান আক্রমণের পর ক্ষমতা হারায় তালিবানরা (Taliban Horror)। প্রায় ২০ বছর পর ২০২১-র অগাস্টে ফের আফগানিস্তানের মসনদ দখল করে তারা। এবার ক্ষমতায় আসার পর মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান সরকার। নরম পন্থায় সরকার চালানোর দাবিও করেছিল তারা। কিন্তু কথা রাখেনি তালিবানরা। ক্ষমতা দখলের পর বারবার তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক কড়া নিয়ম চাপানো হচ্ছে এবং তা ভঙ্গ হলেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। চুরির মতো ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে অবৈধ সম্পর্কের জন্য মহিলা ও পুরুষদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার মতো ভয়ঙ্কর শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। এছাড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পোশাক বিধি চালু করেছে তারা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদও করতে দেখা গিয়েছে আফগান মহিলাদের। সম্প্রতিই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিভাগের তরফেও আফগান সরকারকে জনসমক্ষে নাগরিকদের মারধর ও শাস্তি দেওয়া বন্ধ করার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে যে আদেও কোনও লাভ হয়নি তার প্রমাণ এই মৃত্যুদণ্ডই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Demonetisation: “নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গ ছিল”, আদালতে জানাল আরবিআই

    Demonetisation: “নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গ ছিল”, আদালতে জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটবন্দির (Demonitisation) সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সৈয়দ আবদুল নাজিরের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এরপরেই অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, যাবতীয় নথি মুখবন্ধ খামে আদালতকে দিতে হবে। এর আগে আরবিআইয়ের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নোটবন্দির প্রভাব সম্পর্কে সরকারকে অবগত করা হয়েছিল কিনা। আরবিআই কি সরকারকে জানিয়েছিল যে নোটবন্দির ফলে দেশের ৮৬ শতাংশ নোটই বাতিল হবে। এই আবহে এবার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। নোটবন্দি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ৫৮টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলির শুনানি চলছে। 

    আরও পড়ুন: এনজেএসি বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনসাধারণের রায়কে উপেক্ষা করেছে, রাজ্যসভায় বললেন ধনখড়

    আদালতে সওয়াল-জবাব 

    এস আব্দুল নজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চকে জবাবে আরবিআই এর পক্ষ থেকে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, “আড়ম্বরপূর্ণ শব্দ মনে হলেও, নোটবন্দি রাষ্ট্র গঠনের একটি বড় অংশ ছিল। অনেকের মতামত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কেও অবগত ছিলেন আধিকারিকরা। কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। সেটাই স্বাভাবিক।”

    শুনানির সময় এক পর্যায়ে বিচারপতি বি.ভি. নাগারথনা, আইনজীবী গুপ্তকে ব্যাংক এবং এটিএম-এর বাইরে দীর্ঘ লাইনের কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “গোটা দেশ অর্থাভাবে ভুগেছিল।”  

    আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট পি চিদাম্বরম বলেন, “প্রতিটি ব্যাংকের (Demonitisation) কেবল সীমিত নগদ টাকা ছিল, যা তাদের শাখাগুলির মধ্যে বিতরণ করতে হয়েছিল। এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল, ১০০ জন লোক তাদের নোট পরিবর্তন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু ১০১তম ব্যক্তিকে ফিরে আসতে হয়েছিল ব্যাংক থেকে।”

    এর উত্তরে গুপ্ত বলেন, “কিছু কষ্ট হয়তো হয়েছে। তা প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই আমাদের সবকিছু ঠিক করা ছিল। একদিন টাকা বের করে পরের দিন রিমানিটাইজ করা সম্ভব নয়। অযথা কারও টাকা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয়েছিল।” 

    তিনি আরও বলেন, “সকলকে একটি যুক্তিসঙ্গত সুযোগ এবং পুরোনো টাকা বদলে নেওয়ার যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। যখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে, নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুমও চালু ছিল।” 

    বিচারপতি নাগারথনা প্রত্যুত্তরে বলেন “নোট বদল (Demonitisation) করার শেষ দিন, ২০১৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বরও বহু লোক ৫০০-১০০০ টাকার নোট বদল করতে না পেরে ফিরে এসেছেন। কারণ ব্যাংকের বাইরে দীর্ঘ লাইন ছিল।” 

    গুপ্ত জবাবে বলেন, “সেই সময়ে ব্যাংকগুলি ২৪ ঘণ্টা কাজ করত। ব্যাংক অফিসাররা সিস্টেমটিকে সমর্থন করেছিলেন।” বিচারপতি নাগারথনা বলেন, “ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো অনেক লোকই হয়তো গৃহ সহায়ক এবং দিনমজুর ছিলেন, যারা পুরোনো মুদ্রায় বেতন পেয়েছিলেন এবং দিনের পর দিন তা বদল করার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন।”

    গুপ্ত যুক্তি দিয়ে বলেন, “পুরোনো নোটে বেতন দেওয়া অবৈধ ছিল (Demonitisation)। ৯ নভেম্বর থেকে, নতুন নোটগুলিই একমাত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।     

     

     

     

  • Amit Shah: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    Amit Shah: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ  দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উঠবে বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামগ্রিক অবনতির কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবেন সুকান্ত। পাশাপাশি ভূপতিনগর সহ রাজ্যে যে যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে সে সম্পর্কেও অভিযোগও জানাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জানা যাচ্ছে, দলের সাংগঠনিক বিষয়েও অমিত শাহর (Amit Shah) পরামর্শ নিতে পারেন সুকান্ত।

    শাহ-সুকান্ত আলোচনা

    বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি হাজির হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কথা ছিল, তিনি বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসবেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। বুধবার আচমকাই সুকান্ত মজুমদারের কাছে নির্দেশ এসেছে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে হবে। কী কারণে এই সাক্ষাতপর্ব তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনুমান, রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্তর সঙ্গে কথা হবে শাহের। আসন্ন নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে যে দুর্নীতি একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে তা স্পষ্ট। এছাড়া যেভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হচ্ছে তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেও হাতিয়ার করতে পারে বঙ্গ বিজেপি। সরকারি কর্মীদের ডিএ না পাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখছে বঙ্গ শিবির। সেই ইস্যুগুলি নিয়েই মূলত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    বিজেপি সূত্রে খূবর, গুজরাট ভোটের ফল প্রকাশের পর শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সুকান্ত। গুজরাট নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় বেশ কয়েকমাস পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। এবার ফের বাংলার ওপর জোর দিতে চাইছেন তাঁরা। তাই রাজ্যের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে ২ জনের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share