Blog

  • Kedarnath Temple: ভক্তদের জন্যে কবে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা? মহাশিবরাত্রিতে বড় ঘোষণা

    Kedarnath Temple: ভক্তদের জন্যে কবে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা? মহাশিবরাত্রিতে বড় ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবরাত্রির পুণ্য তিথিতে ভক্তদের জন্যে বড় ঘোষণা করল কেদারনাথ কর্তৃপক্ষ (Kedarnath Temple)। এদিনই জানিয়ে দেওয়া হল কবে থেকে ভক্তদের জন্যে খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে সাধারণের জন্যে খুলে যাচ্ছে মন্দিরের দরজা। এদিন এমনটাই জানালেন কেদারনাথ মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান অজেন্দ্র অজয়।

    কী জানা গিয়েছে? 

    তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কেদারনাথের (Kedarnath Temple) দরজা। সেদিন ভোর ৪টেয় ওঁঙ্কারেশ্বর মন্দিরে হবে মহাঅভিষেক পুজো। সেদিন ভোরেই সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালন হবে। যার পরই ভক্তদের জন্য খুলবে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। সকাল ৮ টায় আরতি হবে কেদারনাথ মন্দিরে। যারপর সারাদিন ধরেই চলবে পুজার্চনা।

     

    কেদারনাথের মতোই এপ্রিল মাসের শেষেই খুলে যাচ্ছে বদ্রীনাথের (Kedarnath Temple) দরজাও। আগামী ২৭ এপ্রিল সকালে ৭ টা ১০ মিনিটে পুণ্যার্থীদের জন্য দরজা খুলছে বদ্রীনাথের। গণনার পরে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলার কথা ছিল।

    মাঝে করোনা অতিমারীর জেরে চার ধামের দরজা ভক্তদের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গত বছর দরজা খোলার পর রেকর্ড সংখ্যক ভক্ত ভিড় করেছিলেন চার ধামে। প্রায় ৪৬ লক্ষ (Kedarnath Temple) ভক্ত ভিড় করেছিলেন এই চার ধামে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর বদ্রীনাথ ধামের দরজা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থেমেছিল চারধাম যাত্রা। 

    প্রসঙ্গত, গত বছর এক বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কেদারনাথ। রুদ্রপ্রয়াগে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে। কেদারনাথ ধামের (Kedarnath Temple) ২ কিলোমিটার আগে ভেঙে পড়ে যাত্রী বোঝাই হেলিকপ্টারটি। মৃত্যু হয় চালক এবং ছ জন যাত্রীর। অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতার অভাবে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

      

       

     

  • S Jaishankar: ‘এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে’, সোরসকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কেন জানেন?

    S Jaishankar: ‘এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে’, সোরসকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ-আদানি বিতর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিশানা করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের শিল্পপতি জর্জ সোরস (George Soros)। শনিবার তাঁকে একহাত নিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোরস সম্পর্কে তাঁর অভিমত, এই শিল্পপতি একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে, যিনি মনে করেন তাঁদের মতামত অনুযায়ী গোটা দুনিয়া চলবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই সব মানুষ চান তাঁদের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসুক। উল্টোটা হলেই গণতন্ত্র ত্রুটিযুক্ত বলে চিৎকার করতে থাকেন। জয়শঙ্কর বলেন, মিস্টার সোরস একজন বৃদ্ধ, একগুঁয়ে মানুষ। নিউইয়র্কে বসে যিনি ভাবেন তাঁর মতামত মেনেই গোটা বিশ্বের চলা উচিত। তিনি বলেন, এই জাতীয় লোক সম্পদ লগ্নি করেন তাঁদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার জন্য। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই সব লোক মনে করেন নির্বাচন ভাল, যদি তাঁরা যাকে ক্ষমতায় দেখতে চান, তিনি জয়ী হন। কিন্তু ভোটের ফল যদি উল্টো হয়, তখন তাঁরা গণতন্ত্রের দোষ ধরতে ব্যস্ত হন। জয়শঙ্কর বলেন, এসবই করা হয় মুক্ত সমাজের দাবির অছিলায়।

    জয়শঙ্কর…

    বর্তমানে জয়শঙ্কর রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, গত তিন দশকে ভারতে একটা বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনটা হল আমাদের বাণিজ্যের সিংহভাগ হচ্ছে পূর্বমুখী। বর্তমানে ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্যবসা হয় ভারতের পূর্ব দিকের দেশগুলির সঙ্গে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের বিদেশনীতিরও বড়সড় পরবর্তন হয়েছে। ভারত সম্পর্কে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে স্ট্র্যাটেজিক কনসেপ্ট বদলেছে, নয়া ভূরাজনৈতিক থেরাপি হয়েছে, কোয়াডের মতো নয়া মেকানিজমও হয়েছে।

    সোরসকে নিশানা করেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদীদের একটা অংশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ছোট করতে চাইছে, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ হানতে চাইছে। জর্জ সোরস তাদেরই কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত আগেও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। ভবিষ্যতেও করবে। স্মৃতি বলেন, আমি অনুরোধ করব দেশের সমস্ত মানুষ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে একযোগে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, গর্জে উঠতে।

    আরও পড়ুুন: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে এক সিকিউরিটি কনফারেন্সে সোরস বলেছিলেন, মোদি এ বিষয়ে (আদানিকাণ্ডে) এখনও নীরব। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে ও সংসদে তাঁকে জবাব দিতেই হবে। তিনি বলেন, এই ঘটনা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির রাশকে দুর্বল করবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দরজা খুলে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Cheetah: আরও ১২! আফ্রিকা থেকে দেশে এল এক ডজন চিতা, সংখ্যা বেড়ে ২০

    Cheetah: আরও ১২! আফ্রিকা থেকে দেশে এল এক ডজন চিতা, সংখ্যা বেড়ে ২০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামিবিয়া থেকে কয়েক মাস আগে আনা হয়েছিল ৮টি চিতা (Cheetah)। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা (Cheetah) আনা হল। ভারতে শনিবার এই চিতাগুলিকে নিয়ে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান IAF C-17 মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র – পৌঁছেছে। জানা যাচ্ছে এর পরে M-17 হেলিকপ্টারের চাপিয়ে ওই ১২ জন নতুন অতিথিকে নিয়ে যাওয়া হবে কুনো জাতীয় উদ্যানে এবং সেখানেই তাদের ঠাঁই হবে। সূত্রের খবর, মোট ১২টি চিতার মধ্যে স্ত্রী চিতা (Cheetah) রয়েছে ৫টি এবং বাকি ৭টি পুরুষ চিতা (Cheetah) বলে জানা গেছে। কুনো জাতীয় উদ্যানে নতুন চিতাদের কোয়ারেন্টাইন করার সময় হাজির থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব।

    কী বললেন  শিবরাজ সিং চৌহান 

    এদিন  শিবরাজ সিং চৌহান  কুনো জাতীয় উদ্যানে নতুন ১২টি চিতা (Cheetah) আনার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বলেন, কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতার সংখ্যা আবারও বাড়তে চলেছে। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে। তাঁর এই পরিকল্পনার জন্য এখন কুনো জাতীয় উদ্যানে মোট চিতার (Cheetah) সংখ্যা হল ২০।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    প্রজেক্ট চিতা কর্মসূচীর অধীনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আফ্রিকা থেকে চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল। সে সময় কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাগুলিকে রাখার সময় হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    আরও পড়ুন: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBDT: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    CBDT: ‘কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি’, সমীক্ষা শেষে বিবৃতি আয়কর দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর ফাঁকি দিয়েছে বিবিসি (BBC)! অন্তত এমনই দাবি আয়কর দফতরের (CBDT)। গত তিনদিন ধরে ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থার দিল্লি (Delhi) ও মুম্বইয়ের অফিসে সমীক্ষা চালায় আয়কর দফতর। তার পরেই রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে আয়কর দফতর জানিয়েছে, প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার নথি, ডিজিটাল ফাইল ও কর্মীদের বিবৃতি নেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সেগুলিতে দেখা গিয়েছে, সংস্থাটি কর ফাঁকি দিয়েছে এবং এই বিদেশি সংস্থাটি ভারতে তাদের আয় প্রকাশ করেনি। ভারতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের মাত্রা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

    বিবিসি…

    বিবিসির নাম না করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই গ্রুপটি ইংরেজি, হিন্দি সহ নানা ভারতীয় ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজও করে। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় কনটেন্ট করলেও যে আয় বা লাভ দেখানো হয়, তা যে ধরনের কাজ করা হয়, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমীক্ষার (CBDT) সময় দেখা গিয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে কর দেয়নি বিদেশি সংস্থা। ভারতে তাদের আয় যথাযথ প্রকাশ করেনি। একাধিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে। কর্মীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেটমেন্টও পাওয়া গিয়েছে। পরে তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। একাধিক চুক্তির ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে আয়কর দফতরের জারি করা বিবৃতিতে। আয়কর দফতর জানিয়েছে, এই সমীক্ষার মাধ্যমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে। সেই নথির ভিত্তিতেই এই বিদেশি সংবাদ সংস্থার আয়কর সংক্রান্ত কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    আয়কর দফতরের (CBDT) অভিযোগ, বিবিসির কর্মীরা তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা করার চেষ্টা করেছে। সংস্থার এই অবস্থান সত্ত্বেও তারা তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে এবং সংবাদ মাধ্যমটির নিয়মিত কার্যকলাপে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই তদন্ত চালানো হয়েছে বলেও দাবি আয়কর দফতরের।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে একযোগে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সমীক্ষা চলে টানা ৬০ ঘণ্টা।    

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: “এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কী হবে?” হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: “এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কী হবে?” হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই- এর ভূমিকা নিয়ে এবার হতাশার সুর শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) গলায়। শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বাগদার রঞ্জনের কথা প্রথম সামনে এনেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। গত বছর জুলাই মাসে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না। তারপরেও কেটে গিয়েছে বহু দিন। এতদিন পরে শুক্রবার সেই চন্দনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু সে কথা শুনেও খুশি হন নি  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে কী হবে? কিছুই হবে না। সাত মাস চুপ করে বসে ছিলেন। এখন কী হবে?”

    কী জানা গেল? 

    প্রসঙ্গত, গত বছর উপেন বিশ্বাস মুখবন্ধ খামে কিছু তথ্য তুলে দেন আদালতের কাছে। উপেন বিশ্বাসের দেওয়া সেই নোটের ওপর ভিত্তি করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানিয়েছিলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে ওই নোটে।

    আরও পড়ুন: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন উপেন বিশ্বাস। উপেন বিশ্বাস এদিন বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) আমাকে ডেকে জানতে চেয়েছিলেন, সিবিআই কীভাবে এত বড় দুর্নীতির তদন্ত করবে? সেই সময় আমি বিচারপতিকে সব জানিয়েছিলাম। এরপর সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার একবারই আমার সঙ্গে কথা বলেন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।”

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বারবার সিবিআই তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপেন বিশ্বাসের দাবি, যখনই কোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তখনই দেখা গিয়েছে সিবিআই কাউকে না কাউকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাতে এটা প্রমাণিত হয় না যে, সিবিআই কাজ করছে।    

    সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা থাকাকালীন উপেন বিশ্বাস বহু ঘটনার তদন্ত করেন। তাঁর হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    Karnataka: অযোধ্যার পরে এবার কর্নাটকেও গড়ে উঠতে চলেছে নয়নাভিরাম রামমন্দির, জানুন কোথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় চলছে রামমন্দির (Ram Temple) গড়ার কাজ। ২০২৪ সালের প্রথমেই সেই মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়ার কথা ভক্তদের জন্য। চোখ ধাঁধানো সেই মন্দির গড় উঠছে ভগবান রামের জন্মস্থলে। এ দেশে আরও একটি রামমন্দির গড়ে উঠতে চলেছে। এই মন্দিরটি অবশ্য হবে কর্নাটকে (Karnataka), রামভক্ত হনুমানের জন্মস্থানে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভগবান রামের ওই মন্দির গড়ে উঠবে ১৯ একর জমির ওপর। এই মন্দিরটিও হবে চোখ ধাঁধানো। শুক্রবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ঘোষণা করেন, রামনগর জেলায় তৈরি হবে এই মন্দির। ১৯ একর জমিতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে রামমন্দির তৈরির পরিকল্পনা করেছে কর্নাটক সরকার।

    অঞ্জনাদ্রি হিল…

    কর্নাটকের অঞ্জনাদ্রি হিলে রাম ভক্ত হনুমানের জন্মস্থান বলে লোকবিশ্বাস। সেই কারণেই এখানে হবে ভগবান রামের মন্দির। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে কর্নাটকের (Karnataka) এক মন্ত্রী প্রস্তাব দেন, এই অঞ্চলটিকে দক্ষিণের অযোধ্যা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তার পরেই রামমন্দির গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু করে কর্নাটক সরকার। শুধু রামমন্দির নয়, আগামী দু বছরে রাজ্যের বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরগুলি সংস্কার ও উন্নতি সাধন করতে চলেছে কর্নাটক সরকার। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। এদিন রাজ্য বাজেট পেশ করার সময়ই একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বেঙ্গালুরু (Karnataka) শহর থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অঞ্জনাদ্রি হিল। শোনা যায়, রামায়ণের সঙ্গে গভীর যোগ রয়েছে এই অঞ্চলের।

    আরও পড়ুুন: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও ভরপুর কোপ্পাল জেলার এই অঞ্জনাদ্রি হিল এলাকা। এখানেই শ্যুটিং হয়েছিল প্রায় লেজেন্ড হয়ে যাওয়া চলচ্চিত্র শোলের। এখানেই ভগবান রামের পাশাপাশি মন্দির গড়ে উঠবে ভক্ত হনুমানেরও। এর পাশাপাশি কৃষকদের জন্যও সুখবর দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সুদ-মুক্ত স্বল্প মেয়াদি ঋণ এতদিন দেওয়া হত ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এখন সেটা বেড়ে হল ৫ লক্ষ টাকা। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিলাদের জন্য রাজ্যের জনবহুল বাজারগুলিতে ২৫০টি শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী ডিএ (DA) দিতে পারবেন না। রাজ্যের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারবেন না। কোনও কিছুই যদি না পারেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রিত্বে থেকেও লাভ নেই। আপদ বিদায় হলেই বাংলার মানুষের মঙ্গল। শুক্রবার কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে বিধানসভায় বাজেট পেশ করতে গিয়ে তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যদিও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকা দাও বললেই হবে না, টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা থ্রি পার্সেন্ট ডিএ দিয়েছি। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্ত বলেন…

    সুকান্ত বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন, আমি জানি না। যদি ধরেই নিই কেন্দ্রে আবাস যোজনার টাকা বা ১০০ দিনের টাকা, যে টাকা এখন বন্ধ রয়েছে, সেই টাকার কথা বলছেন, তাহলেও প্রশ্ন, এই টাকায় কি ডিএ দেওয়া হয়?  তিনি বলেন, ডিএ তো দিতে হয় রাজ্য সরকারের নিজস্ব রোজগারের টাকা থেকে। এর পরেই সুকান্ত বলেন, উনি কর্মসংস্থানের জোগাড় করতে পারবেন না, রোজগার করতে পারবেন না, ডিএ দিতে পারবেন না, শুধু পদ অলঙ্কৃত করে থাকবেন! দরকার নেই এরকম আপদের। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপদ বিদায় হলেই বাংলার মানুষের মঙ্গল।  

    আরও পড়ুুন: মোদির ওপর বিবিসি-র বানানো তথ্যচিত্র ‘প্রচার সর্বস্ব ভিডিও’, তোপ ব্রিটিশ সাংসদের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য যে টাকা পেত, ২০২২ সালে সেটা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেকথা বলেন না। অথচ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী শুধু মিথ্যে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দু দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোম ও মঙ্গলবার ওই কর্মবিরতি পালিত হবে। অন্যদিকে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার বিধানসভার উদ্দেশে একটি মিছিলও শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠন। যদিও সেই মিছিল গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তা আটকে দেয় পুলিশ। প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের ৩০টি সংগঠন। মিছিল করে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়েছিল তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    Karachi Attack: ফের রক্তাক্ত করাচি! পুলিশ প্রধানের দফতরে তালিবান হানা, নিহত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার জঙ্গি হামলা করাচিতে। ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। এবার করাচির পুলিশ দফতরে তালিবান হানা। শুক্রবার রাতে একদল জঙ্গি হামলা চালায় করাচির পুলিশ প্রধানের দফতরে। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১০ জন। মৃতদের মধ্যে জঙ্গি ও দুই পুলিশকর্মীও রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানী শহরেও।

    হামলার বিবরণ

    করাচি পুলিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জন জঙ্গি সহ মোট ৯ জন মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, দুজন সাধারণ মানুষ সহ মোট ১৭ জন আহত হয়েছে যে ঘটনায়। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। গত রাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি হামলা চালায় বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। প্রথমে ৩জন সশস্ত্র জঙ্গি পুলিশ কর্তার দফতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। বোমা বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban)। যেসময় ওই হামলা চালানো হয় তখন সেখানে পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক ছিলেন। তবে কোনও শীর্ষ কর্তা এই ঘটনায় জখম হয়েছেন বা মারা গিয়েছেন বলে খবর নেই। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা জনসাধারণের বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সেখানে পাঠানো হয় আরও বেশি সংখ্যক বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    জঙ্গি দমনের বার্তা

    দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সংস্থায় জঙ্গিদের হানা বেড়েছে। কিছু সপ্তাহ আগেই পুলিশরা ব্যবহার করেন এমন একটি মসজিদকে টার্গেট করা হয়েছিল। সেখানে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল অনেক পুলিশ কর্মী-অফিসারকে। এবার জঙ্গিরা রাতের অন্ধকারে এভাবে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে হামলা চালানোয় বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। পুলিশ কোয়ার্টারে জঙ্গিহানা প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসকে মূল থেকে উপড়েই ফেলবে না। জঙ্গিদের মেরে যোগ্য ন্যায়বিচারও জোগাড় করে নেবে। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করতে সন্ত্রাসের দুষ্টকে দমন করতেই হবে।’ সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maha Shivratri: আজ মহাশিবরাত্রি, পবিত্র ব্রত পালনের নেপথ্য লৌকিক কাহিনী জানুন

    Maha Shivratri: আজ মহাশিবরাত্রি, পবিত্র ব্রত পালনের নেপথ্য লৌকিক কাহিনী জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ভক্তদের কাছে শিবরাত্রির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এইদিন দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন দেশবিদেশের ভক্তরা। তাঁদের বিশ্বাস এই বিশেষ তিথিতে মহাদেব সন্তুষ্ট হলে সকল মনস্কামনা পূরণ করেন। এই বিশেষ তিথিতে ভক্তরা একটি সারাদিনব্যাপী উপবাস পালন করে এবং বিশ্বজুড়ে শিব মন্দিরগুলিতে পূজা করা হয়। ভক্তরা সাধারণত শিবলিঙ্গে দুধ, বেলপাতা নিবেদন করেন এবং মোক্ষ প্রার্থনা করেন।
     বেশ কয়েকটি পুরাণে মহা শিবরাত্রির (Maha Shivratri) উল্লেখ পাওয়া যায়। মধ্যযুগীয় শৈব গ্রন্থগুলিতে শিবরাত্রির দিন উপবাস ও লিঙ্গরূপের শিবের পূজার কথা উল্লেখ রয়েছে।

    শিবরাত্রির ব্রত পালনের লৌকিক কাহিনী

    হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিবমহাপুরাণ (Maha Shivratri) অনুসারে এই রাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। আবার অন্য একটি পৌরাণিক আখ্যান মতে, এই রাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল।  এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তাঁর প্রতীক লিঙ্গ তথা শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপনাশ ও মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। 

    কিন্তু শিবরাত্রির ব্রত পালনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি প্রচলিত কাহিনী।  এই কাহিনী তিনজনকে কেন্দ্র করে শিব, যমরাজ এবং এক ব্যাধ।
    লৌকিক কথা অনুসারে, কাশীতে বাস করতেন এক ব্যাধ। এমনই একদিন শিকারে বেরিয়ে দিনভর অভুক্ত ছিলেন সেই ব্যাধ। ক্ষুধার্থ অবস্থায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এক গাছের নিচে। এদিকে যখন তাঁর ঘুম ভাঙল তখন সন্ধ্যা। হিংস্র জন্তুতে ভর্তি সেই জঙ্গল। প্রাণ বাঁচাতে উঠে পড়লেন একটি বেল গাছে। সেখানেই রাত্রিযাপন করেছিলেন ওই শিকারী।

    এদিকে ওই বেলগাছের নিচেই ছিল একটি শিবলিঙ্গ। গাছে ব্যাধের নড়াচড়ার ফলে ওই গাছ থেকে বেশ কয়েকটি বেলপাতা পড়েছিল শিবলিঙ্গে। আর ব্যাধ ছিলেন উপবাসী। দিনটি ছিল শিবরাত্রির দিন। পরের দিনে ব্যাধ বাড়ি ফিরে খেতে বসলে তাঁর বাড়িতে আসেন এক অতিথি। এদিকে ঘরে খাবার কম। তাই অতিথি সেবা করতে নিজের খাবারই সেই অতিথিকে নিবেদন করেছিলেন শিকারী। ফলে নিজের অজান্তেই পালন করে ফেলেছিলেন ব্রত।

    তারপর কেটে গিয়েছিল বহু বহু বছর। ব্যাধের মৃত্যুর সময় তাঁকে নিতে আসেন যমদূতেরা। এদিকে ব্যাধকে নিতে আসেন শিবদূতেরাও। দুই পক্ষের দূতদের মধ্যে বাধে লড়াই। অবশেষে যমদূতরা কৈলাসে যান দেবাদিদেবকে নালিশ করতে। তখন শিবপ্রহরী নন্দী যমদূতদের বলেন, যেহেতু ব্যাধ শিবচতুর্দশীর দিনে ব্রত পালন করেছিলেন তাই পুণ্যলাভ করেছেন। এই কারণেই যমদূতরা তাঁকে নিয়ে যেতে পারেন না। সমস্ত ঘটনা যমদূতরা জানিয়েছিলেন যমরাজকে। সব শুনে যমরাজ বলেছিলেন, শিব চতুর্দশীতে এই ব্রত যিনি পালন করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে রক্ষা পাবেন। আরও বলেছিলেন, সেই ব্রতপালনকারীর ওপরে থাকবে না যমের অধিকার।

    আবার হিন্দু পুরাণ অনুসারে, এই দিনে ভগবান শিব দেবী পার্বতীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ভগবান শিব পুরুষকে (মননশীলতা) মূর্ত করেছেন, যেখানে মা পার্বতীর প্রকৃতির (প্রকৃতি) ব্যক্তিত্ব রয়েছে। চেতনা এবং শক্তি উভয়ের মিলনের সাথে এটি সৃষ্টিকে সহজ করে তোলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Shiv Sena Party: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    Shiv Sena Party: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার,মুখ্যমন্ত্রীর পদ আগেই গিয়েছিল। এবার শিবসেনার (Shiv Sena) নাম ও দলের প্রতীক হারালেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ‘শিব সেনা’ নামটি, দলের চিহ্ন ‘তির ও ধনুক’-এই সবই ব্যবহার করতে পারবে একমাত্র শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী। রাজনীতিতে কোনও কিছুই পৈতৃক সূত্রে পাওয়া যায় না, তা যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করতে হয়। বিশেষ করে আম-জনতার ভরসা। 

    আসল শিবসেনা!

    আসল শিবসেনা কারা! এই নিয়ে গত বছরই মহারাষ্ট্রে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার  অন্দরে বিদ্রোহের সময় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দলের নাম ও চিহ্ন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের কাছে দুটি গোষ্ঠীই আবেদন করেছিল। তখন শিবসেনার চিহ্ন ও নাম- ফ্রিজ করে রাখার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে উপনির্বাচনের জন্য একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী দুটি তরোয়াল-একটি ঢাল চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করেছিল। অন্যদিকে উদ্ধব গোষ্ঠীর চিহ্ন ছিল মশাল।  দুপক্ষের লড়াই মীমাংসা করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বল ঠেলেছিল নির্বাচন কমিশনে। শুক্রবার সে ব্যাপারে বড় রায় দিল নির্বাচন সদন। তারা জানিয়ে দিল, উদ্ধবরা কোনওভাবেই শিবসেনার নাম ও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। বালাসাহেবের প্রতিষ্ঠা করা দলের প্রতীক তির-ধনুকের অধিকারও ছেলের কাছে রইল না। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    কমিশনের যুক্তি

    কমিশন বলেছে, উদ্ধবরা যেভাবে শিবসেনার নেতৃত্বে থেকে গিয়েছেন দিনের পর দিন তা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়নি। কমিশনের নিয়ম, প্রতিটা দলকেই নেতা বাছতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু উদ্ধবরা নেতৃত্বে থেকেছেন কোটা সিস্টেম তথা সংরক্ষণ ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে। যা কখনওই কাম্য নয়। একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর মুখপাত্র শীতল মাথরে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় দিন। আমরা বলছিলাম আমরাই আসল শিব সেনা। এখন প্রচুর শিবসৈনিক আমাদের সঙ্গে আসবেন কারণ দলের নাম-পরিচয় আমরা পেয়েছি।’ উদ্ধব ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘আজ নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তাতে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share