Blog

  • Sukanta Majumdar: প্রবেশিকা না দিয়েই ডাক্তারি পড়ছেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের মেয়ে! বিস্ফোরক ট্যুইট সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: প্রবেশিকা না দিয়েই ডাক্তারি পড়ছেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের মেয়ে! বিস্ফোরক ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তনু সেনের পর এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নিশানায় তৃণমূলের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়কে মেয়ে কীভাবে কোনও প্রবেশিকা ছাড়াই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেন তা নিয়ে ট্যুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে পরপর দুটি ট্যুইট করেছেন সুকান্ত। সুকান্ত লেখেন, “প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ না হয়েও ডোনার কোটায় মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন বিধায়কের ছোট মেয়ে।” আরও প্রশ্ন করেন, “বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে কীভাবে মেডিক্যাল কলেজে ট্রান্সফার হল তাঁর?” কিছুদিন আগে, তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেনের মেয়ের আরজিকরে ভর্তি নিয়েও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন সুকান্ত। সেই বিতর্ক ঠাণ্ডা হতে না হতেই আরও এক অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: “বিচার না পেলে সেনায় ফিরব না”, প্রতিজ্ঞা নিহত জওয়ানের ভাইয়ের 

    এদিন পরপর দুটি ট্যুইট করেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। প্রথমটিতে তিনি লিখেছেন, বিধায়ক ডঃ সুদীপ্ত রায়ের মেয়ে সুবেশা বসু রায় কীভাবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০০২ সালে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত হলেন? একই সঙ্গে কনিষ্ঠ কন্যা শিল্পা বসু রায়ের কথাও উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। তিনি দাবি করেছেন, কোনও পরীক্ষা না দিয়েই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বিধায়কের মেয়ে। ‘ডোনার্স কোটা’য় পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

     

    শান্তনু সেনের মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও সে সময় প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইটেই এই প্রশ্ন তুলছেন তিনি। সুকান্তর প্রশ্ন ছিল, মেডিক্যালে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৭৩ র‌্যাঙ্ক থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেলেন শান্তনুকন্যা সৌমিলি সেন? এর উত্তরে শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, সুবর্ণ বনিকদের জন্য যে আসন সংরক্ষিত থাকে, তাতেই পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তাঁর মেয়ে। মেয়েকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন শান্তনু। তবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সুদীপ্ত রায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    Sukanta Majumdar: জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ থেকে আমজনতার দৃষ্টি ঘোরাতে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল (TMC)। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া এই কর্মসূচি জনতার ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দেবে। তা তো হয়ইনি, উল্টে মাঝমধ্যেই জনরোষের মুখে পড়ে লেজ গুটিয়ে পগার পার হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। ক্ষুব্ধ জনতার পাশে দাঁড়াতে এবার ‘পাড়ায় সুকান্ত’ কর্মসূচি হাতে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বালুরঘাটের সাংসদ। জানা গিয়েছে, তাঁর সংসদ ক্ষেত্রেই প্রথম যাবেন সুকান্ত। ঘুরবেন পাড়ায় পাড়ায়। শুনবেন জনতার অভাব-অভিযোগের কথা। কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের সুবিধাও যাতে তাঁর সংসদ ক্ষেত্রের বাসিন্দারা পান, তাও দেখবেন তিনি। এই কর্মসূচি যে তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত, তা জানিয়েছেন সুকান্ত নিজেই।

    সুকান্ত বলেন…

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, এই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে আমার মস্তিষ্ক প্রসূত। এই কর্মসূচি আমি শুধু আমার লোকসভার জন্য চালু করছি। আমার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনা, তাঁদের বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়া, অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সহ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলির সুবিধা যাঁরা পাননি, তাঁদের সুবিধা প্রদান করাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। এই কাজগুলো যে আগেও হত না, তা নয়। তবে এই সব ‘প্রাপ্য’ জনতার দরবারে পৌঁছে দিতেই তিনি নয়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে ব্যস্ততা বেড়েছে সুকান্তর। তা সত্ত্বেও জেলায় এলেই জনসংযোগে মন দেন সুকান্ত। বিজেপি নেতারা জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে জেলায় ফিরেছেন সুকান্ত। জেলায় তাঁর থাকার কথা তিন দিন। এই তিন দিনই তাঁর কর্মসূচি রাখা হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনমত ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে ভরতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল তৃণমূল। জেলায় জেলায় ওই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নানা সময় অপদস্থ হতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। কেন্দ্রীয় আবাসন প্রকল্প সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগের কৈফিয়ত দিতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটেছে তৃণমূল নেতাদের। তার জেরে ইদানিং আর ওই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে শোনা যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • DMK Leader: “বিচার না পেলে সেনায় ফিরব না”, প্রতিজ্ঞা নিহত জওয়ানের ভাইয়ের

    DMK Leader: “বিচার না পেলে সেনায় ফিরব না”, প্রতিজ্ঞা নিহত জওয়ানের ভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ভারতীয় সেনার খুনের অভিযোগে তামিলনাড়ুতে গ্রেফতার হয়েছেন সে রাজ্যের শাসক দল ডিএমকে কাউন্সিলর (DMK Leader)। কাপড় কাচাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিবাদ খুনে পৌঁছয়। মৃত্যু হয় প্রভু নামের ওই জওয়ানের। এবার তামিলনাড়ুর এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হলেন মৃত ওই জওয়ানের ভাই প্রভাকরণ। তিনিও ভারতীয় সেনায় কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যতদিন পর্যন্ত না তাঁর দাদার খুনের সুবিচার মিলবে, ততদিন কাজে যোগ দেবেন না তিনি।  

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রভু নামে ২৯ বছরের ওই সেনা জওয়ান এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পুকুরে কাপড় কাচা নিয়ে ওই কাউন্সিলর (DMK Leader) এবং তাঁর সঙ্গীদের বচসা হয়। প্রাথমিক ভাবে বিবাদ মিটে গেলেও সেই রাতে চিন্নাস্বামী এবং তাঁর আট সঙ্গী মিলে প্রভু আর তাঁর ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করেন। এর পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই দুজন। অচৈতন্য অবস্থায় প্রভুকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেই অবস্থায় ওই দুই ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। 

    মঙ্গলবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার ওই জওয়ানের (DMK Leader)। প্রভুর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার চিন্নাস্বামী এবং তাঁর ছেলে-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮ 

    কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ প্রভাকরণ (DMK Leader)। তিনি বলেন, “যতদিন না দোষীরা শাস্তি পায়, আমি ততদিন সেনায় ফিরব না। আমরা কোনও ভুল করিনি। ১৩ বছর ধরে সেনায় কাজ করছি। একমাসের জন্য বাড়িতে ফিরে এরকম ঘটনা দেখতে হল। শাসক দলের কাউন্সিলর হুমকি দিলেন, ভারতীয় জওয়ান হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারব না আমরা।”

    একই ঘটনা বার বার 

    তামিলনাড়ুর এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্যে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটার দাবি (DMK Leader) করলেন ভারতীয় সেনার আরও এক জওয়ান। হাবিলদার রঘু বহু বছর ধরে মাদ্রাস রেজিমেন্টে রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, গত জানুয়ারিতে কৃষ্ণগিরিতে, তাঁর বৌ-বাচ্চাকে এক দুষ্কৃতির হাত থেকে বাঁচাতে, ওই দুষ্কৃতির গায়ে হাত তুলতে হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই কৃষ্ণগিরিতেই খুন হয়েছেন প্রভু। রঘু দাবি করেন সাধারণ এক বচসাতেই, রাস্তা আটকে লোহার রড নিয়ে তাড়া করে ওই দুষ্কৃতি। রঘুর দাবি, পালিয়ে বেঁচে কৃষ্ণগিরি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ অভিযোগ নেয় নি। এরপর তিনি পুরো বিষয়টি এসপিকে জানান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Shivaratri: শিবরাত্রির ব্রততে কোন বিধি অবশ্যই মানতে হবে, কী কী করবেন না, জানেন?

    Shivaratri: শিবরাত্রির ব্রততে কোন বিধি অবশ্যই মানতে হবে, কী কী করবেন না, জানেন?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: পুরাণ অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শিব পার্বতী। ভক্তদের কাছে এই বিশেষ তিথির আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশ্বাস মতে, এইদিনে ভক্তিভরে শিব আরাধনা করলে জীবনে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি আসে। 

    শিবরাত্রির (Shivaratri) দিন কীভাবে শিব আরাধনা করবেন এবং কী কী বিধিনিষেধ মেনে চলবেন তা জেনে নিন

    হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ইংরেজির ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ও বাংলার ৫ ফাল্গুন ১৪২৯ শনিবার রাত্রি ৮:০৩ ঘটিকায় শিবচতুর্দশী শুভারম্ভ এবং আগামীদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিকাল ৪:১৮-তে মহা সমাপ্তি।

    অমৃতযোগঃ

    শাস্ত্র অনুযায়ী, অমৃতযোগ চলাকালীন লিঙ্গাভিষেক অত্যন্ত শুভ ফলপ্রদ! এ সময় লিঙ্গাভিষেক করলে পুত্র সন্তান প্রাপ্তি হয়, শুভ কাজে আসা সমস্ত বিঘ্ন কেটে যায়। জীবনে সাফল্য আসে। ছাত্ররা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হয়।

    এবছরে অমৃতযোগের শুভক্ষণগুলি হল

    রাত্রি  ০৮:৪৬-১১:১৮ (১৮ ফেব্রুয়ারি)
    রাত্রি  ০১:০০-০২:৪২ (১৯ ফেব্রুয়ারি)
    ভোর  ০৩:৩৩-০৫:১৫ (১৯ ফেব্রুয়ারি)
    সকাল  ০৭:৪২-১০:৪২ (১৯ ফেব্রুয়ারি)

    কী কী বিধি মেনে চলবেন

    পণ্ডিতরা বলছেন, শিবরাত্রির (Shivaratri) আগের দিন “সংযম” ব্রত পালন করা উচিত। সাত্ত্বিক আহার অর্থাৎ নিরামিষ ও হালকা খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। পবিত্র চিন্তা করা উচিত।

     শিবরাত্রির (Shivaratri) দিন কালো তিল ভেজানো জলে সূর্যোদয়ের পূর্বে স্নান করতে হবে, এই মন্ত্রটি পাঠ করে- “ওঁ ত্র্যম্বকং যজামহে সুগন্ধিং পুষ্টি বর্দ্ধনম্। উর্বারুকমিব বন্ধনান্মৃত্যোমুক্ষীয় মামৃতাৎ।।” স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে।

     স্নানের পর সারাদিন উপোস করে থাকতে হবে, তবে ব্রাহ্মণের বিধান অনুযায়ী তরল জাতীয় কিছু পান করা যেতে পারে ভোলানাথের মাথায় জল ঢালার আগে! তবে অনেকে নির্জলা উপোষ করে থাকেন। সারাদিন এই মন্ত্রটি পাঠ করে যেতে হবে “ওঁ নমঃ শিবায়”।

    শিবরাত্রির (Shivaratri) পূজা চারটি প্রহরে হয়, এবছরের প্রহরের সময়গুলি হল –

    প্রথম প্রহরের পূজা – ১৮ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪২ মিনিট। এই সময় দুধ দিয়ে অভিষেক করানোর বিধি দিচ্ছেন শাস্ত্রকাররা।

    দ্বিতীয় প্রহরের পূজা – ১৮ ফেব্রুয়ারি, রাত ৮টা ৪২ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৫০ মিনিট। এই প্রহরের পুজোতে দই দিয়ে অভিষেক করতে বলছেন পণ্ডিতরা। 

    তৃতীয় প্রহরের পূজা – ১৮ ফেব্রুয়ারি, রাত ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা ৫৮ মিনিট। ঘি দিয়ে অভিষেকের বিধান রয়েছে এই প্রহরের পুজোতে।

    চতুর্থ প্রহরের পূজা – ১৯ ফেব্রুয়ারি, রাত ২টা ৫৮ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ০৬ মিনিট। এই প্রহরের পুজোতে মধু দিয়ে অভিষেক করতে বলছেন পণ্ডিতরা।

    শিবপুজোর উপকরণ

    দুধ, দই, ঘি, মধু, সাদা-চন্দন, বেলপাতা, আকন্দ, ধুতুরা, অখণ্ড চাল, ভাঙ, সাদা ফুল, অপরাজিতা ফুল, মরশুমি ফল এবং বেল, প্রদীপ, কর্পূর, মিষ্টান্ন ইত্যাদি। পিতলের পাত্র ব্যবহার করবেন, অভিষেক করতে।

    কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করা যাবেনা

    ১)অভিষেকের জন্য স্টিল, তামা, লোহার পাত্র ব্যবহার করা যাবে না।
    ২)হলুদ, সিঁদুর, কুমকুম ব্যবহার করা যাবে না।
    ৩)তুলসী পাতা ব্যবহার করা যাবে না।
    ৪)ভাঙা চাল ব্যবহার করা যাবে না।
    ৫)শঙ্খ থেকে জল অর্পণ করা যাবে না।
    ৬)শঙ্খ বাজানো যাবে না।
    ৭)করতাল বাজানো যাবে না।
    ৮)উগ্র সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না।
    ৯)ডাব বা নারকেলের জল ব্যবহার করা যাবে না।

    উপবাস ভঙ্গঃ পূজা কার্যাদি পরিপূর্ণ করার পর ব্রাহ্মণের বিধান অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করে উপোস ভঙ্গ করা যাবে।

    সমগ্র নিয়ম সঠিকভাবে পালন করে পূজার কাজ করতে পারলে আপনার সমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ হবে এবং আপনি মহাদেবের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Birbhum: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    Birbhum: চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! নলহাটিতে উদ্ধার ত্রিপুরার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বচসার জেরে চলন্ত ট্রেন থেকে যুবককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের নলহাটিতে ট্রেন লাইনের ধার থেকে এক রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করল এলাকার মানুষজন। বৃহস্পতিবার নলহাটি থানার পাইকপাড়া থেকে মথুরা যাওয়ার পথে কাদিরপুর গ্রামে ওই রক্তাক্ত যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।  ওই যুবকের বাড়ি ত্রিপুরায়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঘটনার বিবরণ

    উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের নাম শিপুল নাথ। তার বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার পুরনো রাজবাড়ি থানার তেবাডিয়া গ্রামে। ওই যুবকের কথা অনুযায়ী, আগরতলা থেকে ট্রেনে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল আরও ৩ বন্ধু।  কামরায় তাদের সঙ্গে ছিল ৫ যুবক। তুচ্ছ কারণে তাদের সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা বেধে যায়। ক্রমেই তা বড় আকার নেয়। ট্রেনের মধ্যেই শুরু হয় হাতাহাতি। অল্প সময়ের মধ্যেই তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। আহত যুবকের অভিযোগ, “মারধর করে আমাদের ব্যাগ, টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। আমিও পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা আমাকে ধরে ফেলেয তারপর মারধর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়।” বাকি তিন বন্ধু কোথায় কীভাবে আছেন, এখনও জানেন না শিপুল।

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    পরপর এক ঘটনা

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও এহেন ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ভাইরাল হয়েছিল সেই ঘটনার ভিডিও। ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার আরও ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। গত বছর এপ্রিল মাসেই মোবাইল চিনতাইয়ে বাধা দেওয়াও এক যুবতীকে ট্রন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে নলহাটি থানার লোহাপুর রেল স্টেশনের কাছে। গুরুতর জখম হন ওই কলেজ ছাত্রী। গত বছর ১৫ অক্টোবর হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সজল শেখ নামে এক যাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়।  এই ঘটনার কয়েক দিন পর মুল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত বোলপুরের বাসিন্দা মন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি  রামপুরহাট সংলগ্ন আয়াস গ্রামের এক ব্যাক্তিকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ছিল। ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: পাকাপাকি শীতের বিদায়! ফেব্রুয়ারিতেই তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৩০ ডিগ্রি?

    Weather Update: পাকাপাকি শীতের বিদায়! ফেব্রুয়ারিতেই তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৩০ ডিগ্রি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই চড়তে শুরু করেছে উষ্ণতার পারদ (Weather Update)। বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে। কাল রাতের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেড়েছে দিনের তাপমাত্রাও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে শহর কলকাতা থেকে শুরু করে জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। ধীরে ধীরে চলে যাবে শীতের আমেজ।

    কী জানাচ্ছে মৌসম ভবন? 

    সকালের এই গায়ে চাঁদর নিয়ে ঘুমের দিন শেষ হতে চলেছে। মৌসমভবন জানাচ্ছে (Weather Update), ১৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে রাতের তাপমাত্রার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করবে। বাড়বে হাঁসফাঁস। এর মধ্যে ভয়ও ধরিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে আগামী তিন দিনের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা ছাড়াবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চলে যাবে শীতের অনুভূতিও।     

    দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও (Weather Update)। এদিকে, কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আজ কুয়াশার ভালোমতো দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, কলকাতা ছাডা়ও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী কয়েকদিন সকালের দিকে কুয়াশার সেই দাপট থাকবে। তবে বেলা বাড়লে রোদের আলোয় সরে যাবে কুয়াশার সেই চাদর।

    আরও পড়ুন: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে? 

    দক্ষিণবঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়ায় ভোর ও সকালের দিকে খানিক কুয়াশা দেখা যাবে ৷ জেলায় ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা (Weather Update) থাকলেও তা খুব একটা প্রকট হবে না। পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির ঘরে ঢুকে পড়বে। দুই বঙ্গেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন চলবে। ফলে বাংলা থেকে শীত বিদায় নিল। আসছে গ্রীষ্ম। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গজুড়ে। একমাত্র দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে রবিবার বা সোমবার নাগাদ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি এবং ১৮ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

  • BBC: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    BBC: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা তিনদিন! প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)-এর দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিসে ‘সমীক্ষা’ শেষ করে বেরোলেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে সার্ভে শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অবশেষে বিবিসির অফিস থেকে বের হলেন আয়কর বিভাগের কর্তারা। এই অভিযানকে তল্লাশি বলতে নারাজ আয়কর বিভাগ, তাদের দাবি, এটা রুটিন আর্থিক সমীক্ষা। অফিসের যাবতীয় ডিজিটাল নথি, ফাইল পরীক্ষা করা হয়েছে এই বিগত তিনদিনে।  বিবিসির অফিসে ১০ জন শীর্ষকর্তাও এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার এই ‘সমীক্ষা’র ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাবে আয়কর বিভাগ।

    বিবিসি-র ট্যুইট

    আয়কর বিভাগের ‘সমীক্ষা’ শেষের বিবিসি-র তরফে একটি ট্যুইট করা হয়। ট্যুইটে বিবিসি জানিয়েছে, ‘‘আয়কর বিভাগের কর্তারা দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাব। আশা করছি দ্রুত এর নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’’

    ট্যুইট বার্তায় আরও লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের কর্মী, যাঁরা এত ক্ষণ অফিসে রয়েছেন বা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদের খেয়াল রাখা আমাদের অগ্রাধিকারে রয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। আমরা ভারত এবং ভারতের বাইরের দর্শক-শ্রোতাদের খবর পরিবেশন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ সেখানে আরও লেখা রয়েছে, ‘‘বিবিসি একটি বিশ্বস্ত, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি, যাঁরা ভয় এবং পক্ষপাত ছাড়াই খবর পরিবেশন করেন।’’

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    আয়কর দফতর সূত্রে খবর, মূলত করফাঁকি ও ট্রান্সফার প্রাইসিং সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আয়কর আধিকারিকেরা সংস্থার কম্পিউটার ও ল্যাপটপে ‘শেল কোম্পানি’, ‘ফান্ড ট্রান্সফার’, ‘ফরেন ট্রান্সফার’-এর মতো শব্দগুলি খুঁজেছেন। পাশাপাশি, বিবিসির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈদ্যুতিন এবং কাগুজে নথির প্রতিলিপি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিবিসির ব্যবসায় বিদেশি মুদ্রার অনিয়মিত ট্রান্সফার ও লাভের হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে এই সমীক্ষা করা হয়। তবে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Non Bramhin Priest: তামিলনাড়ুর এই মন্দিরে পুজো করেন দুজন অব্রাহ্মণ পুরোহিত! জানেন কীভাবে?

    Non Bramhin Priest: তামিলনাড়ুর এই মন্দিরে পুজো করেন দুজন অব্রাহ্মণ পুরোহিত! জানেন কীভাবে?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মন্দিরে বিগ্রহের পুজো কী শুধু ব্রাহ্মণরাই করতে পারবে? এনিয়ে জোর চর্চা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। পুজো, যজ্ঞ, শাস্ত্র আলোচনা এসবই ব্রাহ্মণরা করতেন প্রাচীন ভারতে। তবে তা জন্মগত ছিল কি? বৈদিক সভ্যতায় সমাজের শ্রেণি বিভাগ ছিল গুণ, কাজ এবং আগ্রহের ভিত্তিতে। বলা ভাল পেশার ভিত্তিতে। পরবর্তী বৈদিক যুগ থেকে গুণ এবং কাজের ভিত্তিতে শ্রেণি বিভাগ আর থাকল না। পরিবর্তে তা হয়ে গেল জন্মগত।  অর্থাৎ ব্রাহ্মণের পরবর্তী প্রজন্ম হল ব্রাহ্মণ। ক্ষত্রিয়ের পুত্র ক্ষত্রিয়। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র গীতা, বৈদিক সাহিত্যের অন্যতম প্রধান গ্রন্থ। ভক্তদের বিশ্বাস গীতা হল ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মুখের বাণী। গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ত্রয়োদশ শ্লোকে বলা হচ্ছে, চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্মবিভাগশঃ অর্থাৎ সমাজে চারটি বর্ণ তৈরি করা হয়েছে গুণ এবং কর্মের ভিত্তিতে।

    তামিলনাড়ুর ঐতিহাসিক মন্দিরে পূজা-অর্চনা করেন অব্রাহ্মণ পুরোহিতরা (Non Bramhin Priest)

    ভারতবর্ষের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির হল তামিলনাড়ুর ভায়লুর মুরুগান মন্দির। এখানে ভগবান শিবের আরাধনা করা হয়। নবম শতাব্দীতে এই মন্দির চোলরাজারা স্থাপন করেন বলে জানা যায়। বর্তমানে মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত হলেন, এস প্রভু এবং এস জয়বালান। দুজনেই অব্রাহ্মণ (Non Bramhin Priest)। দেশের অন্যতম বিখ্যাত এবং প্রাচীন এই মন্দিরের পুরোহিত অব্রাহ্মণ (Non Bramhin Priest)! বলা ভাল তাঁরা ব্রাহ্মণের কাজ করে চলেছেন। যেমনটা ঠিক বৈদিক সভ্যতায় হত। জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ অগাস্ট ২৪ জন প্রশিক্ষিত পুরোহিতকে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন মন্দিরে পুজোর কাজে নিয়োগ করা হয়, যাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন অব্রাহ্মণ(Non Bramhin Priest)। সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ, পুজোর রীতি সবকিছুর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এঁরা। এঁদের প্রত্যেকের উপনয়নেরও ব্যবস্থা করা হয় মন্দিরের পক্ষ থেকে।

    কী বলছেন ভায়লুর মুরুগান মন্দিরের দুই অব্রাহ্মণ পুরোহিত (Non Bramhin Priest)

     ভায়লুর মুরুগান মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত ৩১ বছর বয়সী এস জয়বালন বলেন,  আমার পরিবারে পুজো পাঠের রীতি ছোট থেকেই দেখে আসছি। তখন থেকেই আমি লক্ষ্য বানিয়েছিলাম যে পুরোহিত হব। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর অবশেষে তা হতে পেরেছি। অন্যদিকে এই মন্দিরের অন্যতম অব্রাহ্মণ (Non Bramhin Priest) পুরোহিত ৩০ বছর বয়সী এস প্রভু একজন দর্জির পুত্র। তিনি বলেন,আমার কাছে এটা স্বপ্নের থেকে কম কিছু নয় যে ইতিহাস বিখ্যাত এই মন্দিরে আমি পুরোহিত হতে পেরেছি। ১৭ বছর বয়স থেকে আমি প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করি এই কাজে। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আমি শিখেছি পুজোপাঠ, সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ। শুধুমাত্র ভারতেই নয় সিঙ্গাপুরেরও অনেক মন্দিরে আমি পুজো করেছি। উপনয়ন, বিবাহ, অন্নপ্রাশনেরও কাজ করে থাকি আমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Tripura: ত্রিপুরায় উৎসবের মেজাজে ভোটের লাইনে আমজনতা! ভোট পড়ল ৮১ শতাংশ

    Tripura: ত্রিপুরায় উৎসবের মেজাজে ভোটের লাইনে আমজনতা! ভোট পড়ল ৮১ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়ল ৮১ শতাংশ। বিক্ষিপ্ত দু-একটা ঘটনা ছাড়া মোটের উপর ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। এদিন ত্রিপুরায় ভোটের লাইনে দেখা গেল বহু বয়স্ক ভোটারকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার শতায়ু ভোটারের সংখ্যা ৭৬৬। ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার। নতুন ভোটারের সংখ্যা ৯৪ হাজার, যাদের বয়স ১৮-১৯-এর মধ্যে। নতুনদের পাশাপাশি, বয়স্ক ভোটাররাও এবার ত্রিপুরায় অন্যতম ভোট ফ্যাক্টর। 

    বাধা-বিপত্তি

    ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৬টি আসনে জিতে গরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি পেয়েছিল ৮টি আসন। মাত্র ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা। এবারের নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৬টিতে লড়ছে বামেরা। জোটসঙ্গী কংগ্রেস লড়ছে ১৩টি আসনে। একটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নির্দল প্রার্থীর জন্য। মোট ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।বিজেপির শাসনে বিজেপি প্রার্থীকেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিপ্রা মোথার বিরুদ্ধে। গোলাঘাটি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী হিমানী দেববর্মা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

    ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন বলেন, “খুব ভাল উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় মোথা (তিপ্রা মোথা) অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছে।  আদিবাসী জায়গায় বুথগুলিতে ওরা জোর জবরদস্তি করার চেষ্টা করছে। তবে এতে তাঁরা সফল হবেন না। কোনও লাভ হবে না। সমাজ বিরোধীদের ওঁরা পোলিং এজেন্ট বানিয়েছেন।” বাম-কংগ্রেস জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ওদের জোটটা মানুষ খায়নি। ওরা কেন জোট করেছে তা ব্যাখ্যা করতে করতেই নির্বাচন এসে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা তো উন্নয়নের বার্তা নিয়ে, মোদির কথা নিয়ে মানুষের কাছে গিয়েছি। তবে ওঁরা মানুষের কাছে গিয়েছে, এই জোটটা কেন হল তা বোঝাতে।” 

    আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তায় ভোট শুরু ত্রিপুরায়! ২৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে

    এদিন সকালেই সকলকে দ্রুত ভোট দেওয়ার আবেদন জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “আমি ত্রিপুরার সকলকে ভোটারকে গণতন্ত্রের এই উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করছি। আপনাদের প্রত্যেকটি ভোট সুশাসন, উন্নয়ন ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Delhi Murder: দিল্লি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার প্রেমিকার ফোন

    Delhi Murder: দিল্লি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার প্রেমিকার ফোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিক্কি যাদব খুনের এবার বড় প্রমাণ এল তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিল গেহলটের কাছ থেকে নিক্কির ফোন উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Murder)। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “নিক্কির ফোনের পাসওয়ার্ডও জানে সাহিল। আশা করা হচ্ছে, ফোনের ভিতরে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে, যা আমাদের তদন্তে কাজে লাগবে।”

    তবে পুলিশ আশঙ্কা করছে, প্রেমিকাকে খুন করার পর তাঁর ফোন থেকে অনেক তথ্য মুছে দিয়েছেন সাহিল। সাহিলের ফোন আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আপাতত ওই দু’টি ফোনই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। দুটি ফোনেরই তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

    কী জানা গিয়েছে?   

    দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের পর আরও এক খুনের (Delhi Murder) ভয়ঙ্কতায় শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ধাবার ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধাবার মালিক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এবারও ঘটনাস্থল সেই দিল্লি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ভালোবাসার দিন, ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই। নিষ্ঠুরতা এখানেই শেষ নয়। লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ফ্রিজে রেখে অন্য এক মহিলাকে বিয়েও করেন যুবক। এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার ওই প্রেমিককে গ্রেফতার  করে দিল্লি পুলিশ।

    তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, যেহেতু সেদিনই বিয়ে ছিল সাহিলের এবং গোটা ঘটনাটিই (Delhi Murder) ঘটেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, তাই বেশ তাড়াহুড়ো করে পরিকল্পনা ছাড়া খুন করে সাহিল। জানা গিয়েছে, নিজের বিয়ের দিন কিছু দরকারি কাজ রয়েছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তারপরে লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কি যাদবকে ডেকে, গাড়ি করে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ফোনের চার্জারের কেবল গলায় পেঁচিয়ে খুন করে। ২২ বছরের নিকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, তাঁর দেহ টুকরো-টুকরো করে এক ধাবার ফ্রিজে সংরক্ষিত করে রাখেন ওই যুবক। ধাবাটি দিল্লি সীমান্তের বাইরে মিত্রাও গ্রামে। 

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সাহিল এবং হরিয়ানার ঝর্জ্ঝরের বাসিন্দা (Delhi Murder) নিক্কির মধ্যে বহুদিনের সম্পর্ক। ২০১৮ সালে উত্তমনগর এলাকায় একটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় থেকেই তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। গ্রেটার নয়ডায় একই কলেজে পড়াশোনা করতেন তাঁরা। কলেজের পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে লিভইন করতেন তাঁরা। করোনার লকডাউনে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেও লকডাউন উঠে গেলে ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। তখন দ্বারকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    সাহিল কখনও বাড়িতে নিক্কির কথা জানাননি। ফলে সাহিলের পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল বিয়ে। সাহিলের বিয়ের ঠিক আগের দিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি জানতে পারেন নিক্কি। মেনে নিতে পারেননি তিনি। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সাহিলের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর ঝামেলা হয়। সেই রাতে কাশ্মীরি গেটের কাছে একটি বাড়িতে ছিলেন তাঁরা।

    নিক্কিকে খুন করার পর ঘটনাটি (Delhi Murder) গোপন করতে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ওই ধাবার ফ্রিজে রেখে দেয় সাহিল। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় পরিবারের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়েও করেন। মঙ্গলবার ভ্যালেন্টাইন ডে-তেই তার কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসে এবং সাহিলকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share