Blog

  • DA: এবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোম-মঙ্গলে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    DA: এবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোম-মঙ্গলে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বকেয়া ডিএ (DA)-র দাবিতে দু দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতির (Strike) ডাক দিল সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামী সোম ও মঙ্গলবার কর্মবিরতি পালন করবে তারা। এদিকে, বিধানসভা (Assembly) অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে ৩০টি বামপন্থী ও সহযোগী সংগঠনের তরফে। পরে রাজ্যপালের কাছে পেশ করবে স্মারকলিপি। বুধবার বাজেট পেশ করেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই সময় ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। তাতে খুশি হয়নি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই কারণেই সোম ও মঙ্গলবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা।

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ…

    তাদের বক্তব্য, ডিএ বকেয়া রয়েছে ৩৯ শতাংশ। অথচ সরকারি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৩ শতাংশ। তাই তাঁরা যে এখনই আন্দোলনে রাশ টানবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারকে তাদের সমস্ত বকেয়া ডিএ (DA) মিটিয়ে দিতে হবে। বকেয়া টাকা না পেলে রাজ্যকে অচল করে দেওয়ার হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছিল যৌথ মঞ্চ।এবার দিল কর্মবিরতির ডাক। প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে গত সাত দিন ধরে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সামনে অনশনে বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এ নিয়ে ২১ দিন হতে চলল তাঁদের অবস্থান। তাঁদের সাফ কথা, দাবি না মেটা পর্যন্ত জারি থাকবে আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের যুক্ত কমিটি, ১২ জুলাই কমিটি সহ ৩০টি সংগঠনের যৌথমঞ্চের তরফে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ত্রিপাঠী বলেন, বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকার কর্মচারি সহ অবসরপ্রাপ্তদের মাত্র ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে। অথচ মহার্ঘ ভাতা পাওনা হয়েছে ৩৫ শতাংশ। তিনি বলেন, মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা কর্মচারিদের বঞ্চনার প্রকাশ। আমরা এই ঘোষণার তীব্র বিরোধী। তিনি বলেন, হকের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই। এছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। ইতিমধ্যেই আমরা সেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছি। অন্যরাও তাদের মতো করছে। আমরা চাই, এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ লাগাতার ধারাবাহিক সংগ্রাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগে বেনিয়ম ও কোটি কোটি টাকার লেনদেনে কুন্তলের যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি ইডির। তাই  আদালতের নির্দেশ মতো জেলে গিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরা করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কুন্তলকে জেরা

    বৃহস্পতিবার আলিপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, এর আগে কুন্তল যখন ইডির হেফাজতে ছিল, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর ইডি পায়নি। এরপরই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কুন্তলকে আদালতে তোলা হলে ইডির আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিচারককে জানান। তাঁরা আবেদন করেন, জেলে গিয়ে জেরার যেন অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর এদিন কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান ইডির আধিকারিকরা। গোপাল দলপতির বক্তব্যকে সামনে রেখে কুন্তলকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে সূত্রের খবর। সেটা রেকর্ডও করা হবে। পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গেলে তা কীভাবে যেত তাও কুন্তলকে জেরা করেই এদিন ইডি জানতে চাইতে পারে বলেই সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের একটি ডায়েরি তাদের হাতে এসেছে। যে ডায়েরির পাতায় পাতায় সাঙ্কেতিক অক্ষরমালা। টাকার হিসাবের পাশে নাম ও পদবির আদ্যাক্ষর লেখা বলেও দাবি সূত্রের। শুধু তাই নয়, প্রচুর গানের প্যারোডিও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। সেই ডায়েরির রহস্য ভেদ করতেও কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাশাপাশি কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে চাকরি চুরির টাকা যেত সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইডির জেরার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কুন্তল আর কার নাম বলেন সেটাই এখন দেখার। শাসকদলের আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Air India: আরও বড় হতে পারে এয়ার ইন্ডিয়ার চুক্তি, মোট ৮৪০টি বিমান কেনার সুযোগ থাকছে টাটাদের

    Air India: আরও বড় হতে পারে এয়ার ইন্ডিয়ার চুক্তি, মোট ৮৪০টি বিমান কেনার সুযোগ থাকছে টাটাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বড় আকার নিতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ঐতিহাসিক চুক্তি। এই অবধি ৪৭০ টি বিমান কেনার চুক্তি করা হলেও, সুযোগ থাকছে তার সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৩৭০ বিমান কেনার। এমনটাই জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক নিপুন আগরওয়াল। 

    গত মঙ্গলবারই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল যে তারা এয়ার বাসের কাছ থেকে ২৫০ টি এবং বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২২০ টি বিমান কিনতে চলেছে। এই চুক্তিকে রীতিমতো ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছিল টাটা গোষ্ঠীর এই বিমান সংস্থা। 

    কী জানাল এয়ার ইন্ডিয়া 

    নিপুন আগরওয়াল জানান, আরও ৩৭০টি বিমান কেনা যাবে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) কাছে মোট ৮৪০ টি বিমান কেনার সুযোগ থাকছে। আগামী ১০ বছরের সময় সীমায় এই বিমানগুলি কিনতে পারবে এয়ার ইন্ডিয়া।

    এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) চুক্তি অনুযায়ী, মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িংয়ের কাছ থেকে কেনা হবে ১৯০ টি B737Max, ২০ টি B787s এবং ১০ টি B777s। এছাড়াও ইঞ্জিন মেরামতির জন্যে দীর্ঘ মেয়াদী একটি চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চুক্তি করা হয়েছে সিএফএম ইন্টারন্যাশানালের সঙ্গে। রোলস রয়েস এবং জি এয়ারস্পেসের সঙ্গেও এয়ার ইন্ডিয়া একটি চুক্তি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ঠিক কবে থেকে এই বিমানগুলি ভারতে আসা শুরু করবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    এদিকে এয়ারবাসের (Air India) A350 বিমানও ২০২৩ সালের শেষের দিকে দেশে আসা শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, A321 বিমানগুলি পেতে এয়ার ইন্ডিয়ার আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। নিপুন আগরওয়াল এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগেই বেসরকারি করণের প্রক্রিয়া শুরু হয় এয়ার ইন্ডিয়ার। আর এরপর থেকেই ৮৪০টি বিমান কেনার পরিকল্পনা। টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়াকে বিশ্বমানের সংস্থা হিসাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। আর এটা তাঁরই পদক্ষেপ। এমনটাই জানান, ওই আধিকারিক। নিপুন জানান, ভারতের সঙ্গে যাতে বিশ্বের যে কোনও দেশের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে সেই উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

          

         

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আবারও প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ফের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সহ সাতজনকে পেশ করা হয় আদালতে। তার পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে ডেকে বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না।

    সিবিআইয়ের তদন্ত…

    এদিন আলিপুরে জেলা দেওয়ানি ও দায়রা আদালতে শুনানি ছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থের। তাঁর মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক বলেন, যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদেরও কিছু অধিকার থাকে। অনির্দিষ্টকাল ধরে তদন্ত চলছে তো আর বলা যায় না। আর কতদিন সময় লাগবে? এই সময় পার্থর আইনজীবী বলে ওঠেন, এ তো তারিখ পে তারিখের মতো চলছে।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) ছাড়াও সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এদিন শুনানি ছিল অন্যান্য অভিযুক্ত যেমন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের মামলারও। তখনই বিচারক তদন্তকারী অফিসারদের কাছে জানতে জান, চার্জশিটে লিখেছিলেন, বাকি অভিযুক্ত এবং প্রার্থীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। কিন্তু তাঁরা কোথায়? প্রায় দু মাস হয়ে গেল, আমি জয়েন করেছি। অনেক দিন তো হল। আমি জানি, এটা একটা বড় কাজ। প্রায় ৩৫০জন রয়েছেন। কিন্তু কারও স্টেটমেন্ট কি নেওয়া হয়েছে? কারও জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন? কোনও ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়েছেন? এর পরেই তদন্তকারী অফিসারদের ডেকে বিচারক বলেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। অন্তত একটা ১৬৪ (জবানবন্দি রেকর্ড) করান। তিনি বলেন, তদন্তে অগ্রগতি না হলে এভাবে অভিযুক্তদের আটকে রাখা যায় না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে।

    এই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই সূত্র পেতে সময় লাগছে। তাছাড়া, অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পরেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কীভাবে ওএমআর শিটে কারচুপি হবে, কোন ওএমআর শিট কার কাছে যাবে, সব ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, তদন্তে সরকারি কর্তাদের পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষের নামও উঠে এসেছে। প্রত্যেকেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। অপরাধের গুরুত্ব দেখে সবাইকে হেফাজতে নেওয়া দরকার। প্রমাণও রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    SSC Scam: এখনই বেতন ফেরাতে হচ্ছে না গ্রুপ ডি কর্মীদের, স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (SSC Scam)। তবে চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও নড়চড় হয়নি। এর আগেই ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চ। পাশাপাশি ওই অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের বেতন ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বেতন ফেরানোর নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের সম্পূর্ণ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। অর্থাৎ, চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও রয়েছে।

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম মজুমদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। তাঁদের দাবি ছিল, শ্রম যখন দিয়েছেন, তখন বেতন কেন ফেরাবেন? বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বেতন ফেরত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই স্থগিতাদেশ। ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।    

    ইতিমধ্যেই গ্রুপ ডি নিয়োগে কারচুপির কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে র অভিযোগে শিলমোহর পড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮

    এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন (SSC Scam)। পাশাপাশি এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তাঁরা, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, বেআইনি ভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, যে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। সেই নির্দেশ মেনে ওই দিনই ওই প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের ঘোষণা করে এসএসসি। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা (SSC Scam)। বুধবার ওই মামলায় বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করে নতুন আবেদন করা হয়। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Supreme Court: ‘দেশকে দুর্বল করতে সুপ্রিম কোর্টকে হাতিয়ার করছে ভারত-বিরোধী শক্তি’! বলছে সঙ্ঘ-পন্থী পত্রিকা

    Supreme Court: ‘দেশকে দুর্বল করতে সুপ্রিম কোর্টকে হাতিয়ার করছে ভারত-বিরোধী শক্তি’! বলছে সঙ্ঘ-পন্থী পত্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) ভারত বিরোধী শক্তি (Anti India Forces) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে আরএসএস (RSS)-পন্থী সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘পাঞ্চজন্য’য়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির করা দু-পর্বের একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তার জেরে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। তার পরেও বিজেপি বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন লিঙ্কের মাধ্যমে ওই ছবির স্ক্রিনিং করায়। সেই সব লিঙ্ক মুছে ফেলতে বারংবার আবেদন করা হয়। এ নিয়ে কেন্দ্রকেও নোটিশ পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়েই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে পাঞ্চজন্যয়।

    বিবিসির তথ্যচিত্র…

    বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে কেন্দ্রকে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের উল্লেখ করে ওই পত্রিকায় লেখা হয়েছে, দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে বলেই সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত বিরোধী শক্তি। তাদের পথ পরিষ্কার করতেই এসব করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র অসত্য ও কাল্পনিক এবং তা ভারতকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাঞ্চজন্যর। হিন্দি ভাষার ওই পত্রিকাটিতে এও বলা হয়েছে, ভারতীয়দের করদাতাদের টাকায় চলে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে ভারতীয় আইন অনুযায়ী। কিন্তু ভারত বিরোধীদের পথ পরিষ্কার করার চেষ্টায় এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়

    মানবাধিকারের নামে সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা প্রদান ও পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে ভারতের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাঞ্চজন্য। পত্রিকাটিতে এও লেখা হয়েছে, ভারতের গণতন্ত্র, উদারতাবাদ ও সভ্যতার মানদণ্ড ব্যবহার করছে…। এমন হতে পারে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করার অধিকার আসবে। গত সপ্তাহেই দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বিবিসির ওই তথ্যচিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, এই আবেদনের কোনও মেরিট নেই।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগারে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁরা জেরা (interrogated) করেন অনুব্রতকে।

    সকাল সকাল জেরা

    বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে শতাধিক বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তার পর এই প্রথম আসানসোল সংশোধনাগারে গেল সিবিআই। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হবে অনুব্রতকে। তার আগের দিনই তাঁকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করল কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে কিনা তা জানাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। 

    আরও পড়ুুন: দেশের হাল বদলাতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে, জানেন কী কী?

    কী জানতে চাইছে সিবিআই

    সম্প্রতি বীরভূম জেলা সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে তিনশোর বেশি বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থাটির আরও অভিযোগ, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেনও হয়েছে। প্রথমে ১৭৭ ও পরে ৫৪ টি অ্যাকাউন্টের পর ৩ ফেব্রুয়ারি নতুন ১১৫ টি অ্যাকাউন্টের নথি জমা করেছিল সিবিআই। এই অ্যাকাউন্টগুলি বাফার অ্যাকাউন্ট হিসাবে ব্যবহার করার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। তার বিস্তারিত তথ্য আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়।  কেন্দ্রীয় এজেন্সির সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই বেনামি অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। গরু পাচারের টাকা লেনদেনে এই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে। এমনিতেই গরুপাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কথা উঠে এসেছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nikki Haley: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি, বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ

    Nikki Haley: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি, বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি নিজেই ঘোষণা করলেন যে, রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তিনি। তাঁর কথাতে পরিষ্কার,  ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথে বাধা হয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী হতে তৈরি তিনি। জেতার ব্যাপারে আশাবাদীও তিনি। তিনি নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর এই প্রথম কোনও জনসভায় সামনে এলেন। সেখানেও ঘোষণা করলেন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    আগামী বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য রয়েছে, এমনটাই ঘোষণা করলেন রিপাবলিকান পার্টির নেত্রী নিক্কি হ্যালি। আমেরিকার নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মের আসার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন নিক্কি। তাতেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে নামার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেছেন, “এটা নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সময়। আর্থিক দায়িত্ব থেকে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং দেশকে আরও মজবুত করা এটাই সময়।”

    অন্যদিকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পও আগেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি ফের নামবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে। ফলে নিক্কি এই পরিস্থিতিতে নিজেকে ট্রাম্পের থেকে কমবয়সী এবং যোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কারণ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ৭৬। নিক্কি হ্যালি ৫১ বছর বয়সী।

    নিজেকে ভারতীয় বলে গর্বিত নিক্কি

    সেই ভিডিও বার্তায় নিক্কি আরও বলেছেন যে, “আমি ভারতীয় অভিবাসীর গর্বিত সন্তান। আমি কালো নই, আমি সাদা নই। আমি আলাদা।” আবার নিজের মায়ের প্রসঙ্গ এনেও নিক্কি বলেছেন, “আমার মা বলতেন, পার্থক্যগুলোতে মনোযোগ দেওয়া তোমার কাজ নয়, মিলগুলিতে মনোযোগ দেওয়া কাজ।”

    নিক্কির পরিচয় ও রাজনৈতিক জীবন

    তাঁর পুরো নাম, নিম্রতা নিক্কি রণধাওয়া। ১৯৭২ সালে জন্ম। বাবার নাম রণজিত সিং রণধাওয়া, মায়ের নাম রাজ কউর রণধাওয়া। ষাটের দশকে তাঁরা পাঞ্জাব থেকে কানাডা হয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে মাইকেল হ্যালিকে বিবাহ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অভিবাসী ভারতীয় দম্পতির গর্বিত সন্তান।’

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় দক্ষিণ ক্যারোলাইনার গভর্নরের দুবার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও সামলেছেন ৫১ বছরের নিক্কি হ্যালি। রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পের ঘোর সমালোচক হিসেবেই নিক্কি বেশি পরিচিত বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে ৩৯ বছর বয়সে গর্ভনর হয়েছিলেন নিক্কি হ্যালি। যা আমেরিকায় সবচেয়ে কমবয়সে গভর্নর হওয়ার নজির গড়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার প্রথম মহিলা গভর্নরও ইনি।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মূল পর্বে পৌঁছনোর আগে নিক্কি হ্যালিকে জিততে হবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারি। সেটা হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে। ফলে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন নিকি হ্যালি। আগামী মাস থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জেতার ব্যাপারেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। বুধবার বিবিসির (BBC) নাম না করে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ভুল তথ্য দিয়ে ভারতকে (India) খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। এ সবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ধনখড়।

    জগদীপ ধনখড়…

    এদিন নিজের বাসভবনে ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিসের কয়েকজন ট্রেনি অফিসারের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। সেখানেই পশ্চিমি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে উগরে দেন এক রাশ ক্ষোভ। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, গত শতাব্দীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল একজনের কাছে জনজীবন বিপর্যস্ত করে দেওয়ার মতো সমরাস্ত্র রয়েছে। কিন্তু পরে সেই দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। রাজনীতির কারবারিদের মতে, উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) আমেরিকা-ইরাক যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। ওই সময় আমেরিকা ও কিছু সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, ইরাকের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান সাদ্দাম হুসেনের কাছে ভয়ঙ্করতম যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। যদিও পরে তা ভুল বলে প্রমাণিত হত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিকৃত তথ্য নিয়ে এ বার ভারতবাসীকে সতর্ক করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। ওই ট্রেনি অফিসারদের কিছুটা উপদেশ দেওয়ার মতো করেই ধনখড় বলেন, সংবিধান ও জাতীয়তাবাদকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: দেশের হাল বদলাতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে, জানেন কী কী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দি মোদি কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দু পর্বের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট হিংসা নিয়ে ‘বিকৃত’ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে কেন্দ্র সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই মিথ্যা ও অবমাননামূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar) বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DMK councillor: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮

    DMK councillor: সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ডিএমকে কাউন্সিলর-সহ ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে কাপড় কাচা নিয়ে অশান্তির জেরে মৃত্যু হয় এক ভারতীয় সেনা জওয়ানের। এই ঘটনায় উত্তপ্ত তামিলনাড়ু। বুধবার সেই মামলায় ডিএমকের অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে (DMK councillor) গ্রেফতার করল পুলিশ। এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওই সেনা জওয়ানকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে। কৃষ্ণগিরি জেলার ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সে রাজ্যের শাসকদল ডিএমকের এক কাউন্সিলর এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী। গতকাল চিন্নাস্বামী নামের নাগোজনহল্লি পুরসভার ওই কাউন্সিলর-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কী জানা গিয়েছে? 

    স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রভু নামে ২৯ বছরের ওই সেনা জওয়ান এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে পুকুরে কাপড় কাচা নিয়ে ওই কাউন্সিলর (DMK councillor) এবং তাঁর সঙ্গীদের বচসা হয়। প্রাথমিক ভাবে বিবাদ মিটে গেলেও সেই রাতে চিন্নাস্বামী এবং তাঁর আট সঙ্গী মিলে প্রভু আর তাঁর ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করেন। এর পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই দুজন। সেই অবস্থায় ওই দুই ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন।

    আরও পড়ুন: চড়ল তাপমাত্রার পারদ, শিবরাত্রির আগেই বিদায় শীত
     
    মঙ্গলবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনার ওই জওয়ানের (DMK councillor)। প্রভুর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার চিন্নাস্বামী এবং তাঁর ছেলে-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর বিরোধী দলগুলি এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি আন্নামালাই বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিনের শাসনে রাজ্যে দুবৃত্তদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।”

    সেনা মৃত্যু প্রসঙ্গে এআইএডিএমকে মুখপাত্র কোভাই সাথিয়ান ক্ষোভ উগরে (DMK councillor) জানিয়েছেন, “শাসকদলের নেতার নেতৃত্বে সেনাকে খুন হতে হচ্ছে মানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা খুবই খারাপ। যদিও এরপরই প্রভুর ভাই প্রভাকরণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চিন্নাস্বামীর ছেলে রাজাপান্ডি-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক সেই অভিযুক্ত ডিএমকে কাউন্সিলরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share