Blog

  • Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অনগ্রসর শ্রেণীর আসন পুনর্বিন্যাস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে করা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল আদালত।

    মামলাটি কী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত বছরের শেষ দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবং আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে। মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। মামলাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আসন পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়ে মামলা করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটমুখী বাজেট, কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এরপরেই এই মামলার শুনানি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আজ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আর এদিনই বেঞ্চ ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতাও জারি থাকল।

  • Drone Delivery: আকাশপথেই পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা! শহরে এবার ড্রোন পরিষেবা

    Drone Delivery: আকাশপথেই পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা! শহরে এবার ড্রোন পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অনেক উন্নত শহরের মতো কলকাতাতেও এবার আকাশপথেই ড্রোনে করে পৌঁছে যাবে ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের নমুনা এবং রিপোর্ট এমনকি রেস্তোরাঁর খাবারও। প্রাথমিকভাবে ১৫টি কেন্দ্র থেকে ১৪টি রুটে ড্রোন পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে কলকাতা ও হাওড়ার ১৪টি স্থানে ড্রোনে ওষুধ, ল্যাব নমুনা ও রিপোর্ট ও খাবার ডেলিভারি করা হবে। এর জন্য এগিয়ে এসেছে দিল্লির এক স্টার্ট-আপ সংস্থা টিএসএডব্লু টেকনিট স্পেস অ্যান্ড অ্যারো ওয়ার্কস (TSAW Technit Space and Aero Works)।

    কেমন হবে পরিষেবা

    সপ্তাহখানেক আগেই ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে।  হাওড়ার কদমতলা থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত একটি ড্রোন পাঠায় দিল্লির সংস্থা। মালবাহী ড্রোনের বাক্সে ভরা ছিল প্যাথলজিকাল ল্যাবের সংগ্রহ করা নমুনা। গাড়ি বা মোটরসাইকেলে সাধারণত এমন নমুনা পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে সড়কপথে দূরত্ব পড়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার। সময় লাগে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা। সেখানে ড্রোনে সরাসরি আকাশপথে দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। স্রেফ ১৫ মিনিটের মধ্যেই সেই পথ অতিক্রম করে মালবাহী ড্রোন। নির্বিঘ্নে পৌঁছে যায় নমুনা। শুধু তাই নয়। রিপোর্ট নিয়ে ফের হাওড়া কদমতলায় ফিরেও আসে। ১৫ মিনিটেই। 

    আপাতত কলকাতায় ৬০ মিটার এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার উচ্চতায় ড্রোন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে এটিসি। শুধুমাত্র ড্রোন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। ড্রোন ওড়ানোর সময় আগে থেকে তাদের জানাতে হবে। বিমান চলাচলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাঁরা সময় ও রুট স্থির করে দেবেন। তবে ফোর্ট উইলিয়াম, নবান্নের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে নো ফ্লাইয়িং জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একজন ব্যক্তি বা কোনও এক চিন্তাধারা দেশকে গড়তে বা ভাঙতে পারে না’’, বললেন ভাগবত

    রাজ্যের সব প্রান্তেই পরিষেবা! 

    টিএসএডব্লু-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিত শর্মা জানিয়েছেন, “শুধুমাত্র ওষুধ সরবরাহের জন্য একটি নির্দিষ্ট ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কলকাতা এবং হাওড়ার তীব্র যানজটের কথা মাথায় রেখেই আমরা আকাশপথে ওষুধ সরবরাহের সুবিধার কথা ভেবেছি।” প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবা হাওড়া থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই এই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। এর জন্য ইতিমধ্যেই আরও আটটি জায়গা চিহ্নিত করেছে তারা।অর্পিত শর্মা বলেছেন, “একমাসের মধ্যেই আমরা দক্ষিণ কলকাতার কালিকাপুরে ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস চালু করব। আমরা মূলত ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা। ড্রোন মারফৎ ওষুধ সরবরাহের এই পরিষেবা সফল হলে আগামী দিনে এফএমসিজি (ভোগ্যপণ্য) এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রেও ড্রোন পরিষেবা চালু করতে পারি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি একটি উচ্চ-পাল্লার ড্রোন চালু করব, যা কাছের শহরগুলি পর্যন্ত পরিষেবা দিতে পারবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ট্রেডমিলে তৈরি করা, কাঁচা কাজ’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: ‘ট্রেডমিলে তৈরি করা, কাঁচা কাজ’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই জ্বলন্ত ইস্যু, নেই মানুষের আকঙ্খা পূরণের ব্যবস্থা, নেই উন্নয়নের প্যাকেজ, নেই কর্মসংস্থানের কথা, বাংলার বাজেটে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থার প্রতিফলন, এমনটাই বলতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট পেশ করার পর এমনটাই বলে রাজ্য বাজেটের সমালোচনা করলেন শুভেন্দু। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, এই বাজেট ট্রেডমিলে তৈরি করা। ৩০ মিনিটেই যা শেষ হয়েছে। তাঁর কথায় “কাঁচা কাজ হয়েছে।”

    রাজ্য বাজেট নিয়ে কী কী বললেন শুভেন্দু?

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবারের বাজেটকে নিরর্থক অনুশীলন বলে বর্ণনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “এই বাজেটে পশ্চিমবঙ্গের যে সব জ্বলন্ত ইস্যু আছে, মানুষের যে আকঙ্খা আছে, তা পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়া অবস্থার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।” তাঁর কথায় বাজেটে অনেকগুলি ছিদ্রপূরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

    এছাড়াও তিনি বলেছেন, “কিছুটা ভোটমুখী করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজ্যে যে বিষয়গুলো সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেমন- রাস্তা, বিমানবন্দর, সেতু, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা বাজেটে রাখা হয়নি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করার কথা বলা হয়নি। চা বাগানে পাট্টা দেওয়ার কথা আবার বলা হয়েছে। কিন্তু পাট্টা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট উল্লেখ রাখা হয়নি। এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, জঙ্গল মহল, রাঢ়বঙ্গ ও উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলির জন্য কোনও প্যাকেজের ঘোষণা নেই। বাজেটে হোমগার্ড, জুনিয়র কনস্টেবল, আশা কর্মী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি। কয়েক লক্ষ এমন কর্মীদের বঞ্চনা করেছে সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের এ রাজ্যে কীভাবে কাজ দেওয়া হবে, তার কোনও উল্লেখ নেই। অর্থমন্ত্রী বললেন ডিএ বাড়াবেন। কবে বাড়াবেন, তার কোনও তথ্য নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুস্মান ভারত চালু করা হবে কি না, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন পরিষেবা পেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে কি না তা জানানো হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে শূন্যপদ রয়েছে, তা কীভাবে পূর্ণ করা হবে, ২ কোটির বেশি বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের দিশা কী হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীকেও কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। মমতা ব্যানার্জিকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘ট্রেড মিলে হাঁটতে-হাঁটতে ৩০ মিনিটে বাজেট তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ এদিন অর্থমন্ত্রীর রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘১৫ মার্চ ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তা থেকে বাঁচতেই এই ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে সরকার। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।’ ফলে রাজ্য বাজেটে কোন কোন বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ও তার সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কীভাবে বেকারত্ব দূর করা হবে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

  • Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র তলব নিউ আলিপুরের বাসিন্দাকে, উঠে এল তৃণমূলের নামও

    Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র তলব নিউ আলিপুরের বাসিন্দাকে, উঠে এল তৃণমূলের নামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিরাম বের হচ্ছে কয়লার ময়লা! কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) এবার দিল্লিতে তলব করা হল নিউ আলিপুরের জ্যোতিষ রায় রোডের এক বাসিন্দাকে। আগামী শুক্রবার তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এদিকে, কলকাতার গরচার গজরাজ নির্মাণ সংস্থার অন্যতম মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে দীর্ঘ জেরার সূত্রে তৃণমূলের এক প্রভাবশালীর নাম জানতে পেরেছে ইডি (ED)। অভিযোগ, এই সব নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমেই সাদা করা হয়েছে কোটি কোটি কালো টাকা।

    ইডি-র দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কয়লার (Coal Scam) টাকা পাচারে নয়া যে নির্মাণ সংস্থার নাম উঠে আসছে, তার সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে। ইডির দাবি, কালো টাকা সাদা করার নয়া পন্থাও আবিষ্কার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি গজরাজ নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পর ইডির অভিযোগ ছিল, রাজ্যের এক মন্ত্রী কয়লা পাচারের লভ্যাংশ পেয়েছেন। তাঁর সেই কালো টাকা নির্মাণ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সাদা করেছেন তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা ও তাঁর পরিবারের এক সদস্য। জানা গিয়েছে, কয়লাকাণ্ডে নিউ আলিপুরের যে নির্মাণ সংস্থার নাম উঠেছে, তার মালিক ও তাঁর পরিবারের সব সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খতিয়ান ও তাঁদের সব সংস্থার নথিপত্র সহ তলব করা হয়েছে। ইডির এক আধিকারিক বলেন, যে দিন থেকে ওই সংস্থা ও তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, সেই দিন থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত সমস্ত নথি ও আয়করের রিটার্ন জমা দিতে বলে তলবি নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    এদিকে, বুধবারই দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হন মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল। শনিবারই কলকাতার এই ধাবা মালিককে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তার জেরেই এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। তাঁর দাবি, গজরাজের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, গজরাজ গ্রুপের মোট ৩০টি কোম্পানি রয়েছে। কয়লা পাচারের (Coal Scam) টাকা ঘুরপথে এসেছে এই কোম্পানিগুলিতে। ইডি সূত্রে খবর, ৯ কোটি টাকা দিয়ে একটি গেস্ট হাউস কেনাবেচা চলছিল বালিগঞ্জে গজরাজ গোষ্ঠীর দফতরে। যদিও ওই গেস্ট হাউসের আসল দাম ১২ কোটি টাকা। চুক্তিপত্রে দেখানো হয় ৩ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এভাবেই সাদা করা হচ্ছিল কালো টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: ‘টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য’! বিধানসভায় অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আঁটা আকাশি রংয়ের মাস্ক। তার ওপর সাঁটা রয়েছে একটি ৫০০ টাকার নোট। বুধবার বিধানসভার (Assembly) অন্দরে এভাবেই প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির (BJP) বিধায়করা। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলের বিধায়করা যখন এই অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন বিধানসভায় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 

    বিজেপি…

    বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণের বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে হায় হায় স্লোগানও দেওয়া হয়। সেদিনের পর এদিন কার্যত নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (Suvendu Adhikari)। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য, ফলে আবাসন শিল্প উপকৃত হবে, রাজ্যের সামাজিক প্রকল্প বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তিনি বলেন, আমাদের ধারাবাহিকভাবে মানুষের জন্য করা নানা কাজ দায়িত্বশীল পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আমরা কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। এর পরেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। চন্দ্রিমা বলেন, এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকারের ৩.৭১ লক্ষ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শিবিরে অংশ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন ৯.০৬ কোটি মানুষ। এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য আমরা মাননীয়া রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দু বছর কোভিড পরিস্থিতি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাকা সত্ত্বেও, আমরা উন্নয়ন করেছি। ২০২২-২৩ সালের প্রথম অর্ধে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৯৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই একই সময়ে সেই মাত্রাকে অতিক্রম করে বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৪১ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।

    এদিন বাজেট পেশের শুরুতেই চন্দ্রিমা জানান, বাংলায় আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ হবে। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সহ দুয়ারে সরকারের একাধিক সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। কর্মসংস্থান এবং বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিয়েও বাজেটে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন তিনি। চন্দ্রিমা যখন এসব করছেন, তখন মুখে মাস্ক পরে তার ওপর ৫০০ টাকার নোট সাঁটিয়ে প্রতিবাদ করছেন বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিয়ে বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদেই মাস্কের ওপর ৫০০ টাকার নোট সেঁটে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এসেছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনারের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনারের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের নতুন তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডিজিপি বীরেন্দ্র। কিন্তু এই নিয়োগ অবৈধ। এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ,  একেবারে অবৈধভাবে এবং একপেশে নির্বাচন করা হয়েছে।

    রাজ্য বাজেট পেশ করার আগে বিধানসভার বৈঠকে তথ্য কমিশনার নিয়োগের ঘোষণাটি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে সব বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বৈঠক বয়কট করেন। এক প্রকার বিরোধীহীন বৈঠকেই রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয় ডিজিপি বীরেন্দ্রকে।

    আরও পড়ুন: স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল এসবিআই, ৪০০ দিনে হার ৭.১ শতাংশ

    বৈঠক বয়কটের পর তৃণমূল সরকারকে ট্যুইটারে একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি পূর্ণ। কী নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে তার নথি তাঁকে দেওয়া হয়নি। তথ্য কমিশনার নিয়োগের কোনও বিজ্ঞাপনও সংবাদ পত্রে দেওয়া হয়নি। কী করে এই নিয়োগ হল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ শাসক দল নিজের পছন্দ মত লোককে এই পদে বসিয়ে ক্ষমকার অপব্যবহার করেছে। 

    বৈঠক শুরু হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করে জানান, তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না। আজ, বুধবার বিধানসভায় অধ্যক্ষ্যের ঘরে, বেলা ১২টা এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিরোধী দলনেতা বৈঠক বয়কট করায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই হয় এই বৈঠক।

    রাজ্যপালকে চিঠি 

    এদিন বৈঠকে না যাওয়ার কারণ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। চিঠিতে শুভেন্দু জানান, মুখ্য তথ্য কমিশনার নির্বাচন ও নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে সরকারের তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম মানা হয়নি। সেই কারণেই, তাঁর আশঙ্কা, কোনও পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীকেই ওই পদে বসাতে চলেছে রাজ্য। তাই, এদিনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মাস ধরে খালি পড়েছিল রাজ্যের তথ্য কমিশনারের পদ। মোট ১৫ জন আবেদন করেছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়স না থাকায় ৫ জনকে আগেই বাদ দেওয়া হয়। তারপরে ১০ জনের মধ্যে শেষ বাছাইপর্ব হয়। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের নিয়ে এই পদের প্রার্থী বাছাই করেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) না থাকায় একক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কমিশনার বীরেন্দ্রকে এই পদে এদিন মনোনিত করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Male Contraceptive Pill: এবার আসছে পুরুষদের কনট্রাসেপটিভ পিল! সাময়িক বন্ধ শুক্রাণু নির্গমন, নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও

    Male Contraceptive Pill: এবার আসছে পুরুষদের কনট্রাসেপটিভ পিল! সাময়িক বন্ধ শুক্রাণু নির্গমন, নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে তাক লাগানো এক আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এযেন যুগান্তকারী আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের! এবারে তৈরি করা হল পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। সাধারণত মহিলাদের জন্যই এই গর্ভনিরোধক পিল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার থেকে বাজারে মিলবে পুরুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলও। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আবিষ্কার একটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে গোটা বিশ্বে।

    পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল

    নেচার কমিউনিকেশন জার্নালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা ও গবেষণা চালানো হয় এই বিষয়ের উপর, যে কীভাবে পুরুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না করে গর্ভনিরোধক পিল তৈরি করা যায়। অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে। এই পিলের ফলে তাঁর সঙ্গীর গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করতে সফলভাবে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে এই পিল বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল মডেলের উপরে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল ভালো আসায় পরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    পুরুষদের জন্য এই সুখবরটি গতকাল বা ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতদিন শারীরিক সম্পর্কে নিরাপদ থাকতে পুরুষরা ব্যবহার করতেন কন্ডোম নয়ত ভ্যাসেকটমি। তবে এবার আরও বিকল্প হিসেবে বাজারে আসতে পারে যুগান্তকারী পুরুষ গর্ভনিরোধক পিল। যা গবেষণার বিভিন্ন স্তরে সাফল্য পেয়েছে। এই পিল শুক্রাণু নির্গমন বন্ধ করে দিয়েছে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হল, এই ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

    ইঁদুরের উপর পিলের ট্রায়াল

    ওয়েইল কর্নেল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রিসার্চ টিমের অন্যতম লিডার ডঃ জোচেন বাক এবং ডাঃ লনি লেভিন দাবি করেছেন, এই আবিষ্কার যুগান্তকারী প্রমাণিত হবে ভবিষ্যতে। ২০০০ বছরেরও বেশ সময় ধরে পুরুষরা ব্যবহার করে আসছেন ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি ও কন্ডোম। কিন্তু এই পিল পুরুষদের জন্য শুরু হয়ে গেলে এটি একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ পিলের ব্যবহার পুরুষের স্বাস্থ্য ক্ষতি না করে, সঙ্গীর গর্ভধারণ রোধ করতে পারে বলে গবেষকদের দাবি।  

    সূত্রের খবর, বিজ্ঞানীদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না এমন কোনও পিল বানানোর, কিন্তু হঠাৎই তাঁরা একদিন অ্যাডেনাইলাইল সাইক্লেস (sAC) নামক এনজাইম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ও এর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেলুলার সিগন্যালিং প্রোটিন বিচ্ছিন্ন করার জন্য চ্যালেঞ্জ নেন। এটিতে বিজ্ঞানী বাকের দুই বছর লেগেছিল। এর পর তাঁদের তৈরি করা পিলটি ট্রায়ালের সময় ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায় এটি শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে। দু থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় থাকে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের পর তা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডক্টর মেলানির মতে, গর্ভনিরোধকটি গ্রহণের ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে। ফলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি একবার বাজারে শুরু হলে পুরুষদের জন্য দারুণ সুখবর হবে।

  • Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর চাকরি করেছি। স্কুলে নিজের শ্রম দিয়েছি। বেতন (Salary) ফেরত দেব কেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরি (Recruitment Scam) হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এর আগে চাকরি হারানো ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবারও ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। তবে এবার তাঁরা আদালতে গিয়েছেন বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ২ হাজার ৮২৩ জন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসএসসিকে বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ধরে নেওয়া বেতনও ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এই ১ হাজার ৯১১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও এসএসসিকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস, বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিনই চাকরি খোয়ান (Recruitment Scam) ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি স্টাফ। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mushrooms: মাশরুমে রয়েছে এত গুণ! ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

    Mushrooms: মাশরুমে রয়েছে এত গুণ! ১০ উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদ্যতালিকায় মাশরুমের (Mushrooms) আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। মাশরুম নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। এবং প্রতিনিয়ত এর নতুন নতুন গুণাবলী আমাদের সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাশরুমের ব্যাপক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। মাশরুম রান্না করাও সহজ।

    আজ আমরা আলোচনা করব মাশরুমের (Mushrooms) বেশ কিছু পুষ্টিগত গুণ নিয়ে

    ১.মাশরুমে (Mushrooms)থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ হল ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালগুলি থেকে শরীরকে বাঁচানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সেলেনিয়াম নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাশরুমে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। 

    ২. ভিটামিন-ডি এর ভাল উৎস হল মাশরুম (Mushrooms)

    ভিটামিন ডি-এর একটি উদ্ভিজ্জ উৎস হল মাশরুম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির মধ্যে মাশরুমকে বেশ কয়েকঘণ্টা রোদে রাখলে এটি আরও ভাল ভিটামিন ডি এর উৎস হবে। 

    ৩. হার্টের জন্য খুবই ভাল

    বাড়তি ওজন কম করতে মাশরুমের (Mushrooms) জুড়ি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য মাশরুম খুবই ভাল। মাশরুম কোলেস্টরল কম করে এবং রক্তচাপ কমায়।

    ৪. অন্ত্রের জন্য খুবই ভাল

    মাশরুমে (Mushrooms) থাকে বিটা গ্লুকান, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অন্ত্রকে ভাল রাখে।

    ৫. মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপযোগী হল মাশরুম (Mushrooms)। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এর জুড়ি নেই।

    ৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে

    বাড়তি ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য মহৌষধ হল মাশরুম (Mushrooms), অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ৭. চুল এবং ত্বকের জন্য ভাল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাশরুমে (Mushrooms) প্রচুর পরিমাণে তামা রয়েছে। তামা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও মাশরুম খুব উপকারী।

    ৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে মাশরুম (Mushrooms)।

    ৯. শরীরে অস্বস্তি কমায়

    মাশরুম (Mushrooms) খেলে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়না, অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ১০. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

    মাশরুমে (Mushrooms) পাওয়া যায় ভিটামিন বি৬, যা সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • SBI Fixed Deposit: স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল এসবিআই, ৪০০ দিনে হার ৭.১ শতাংশ

    SBI Fixed Deposit: স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল এসবিআই, ৪০০ দিনে হার ৭.১ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমানতকারীদের জন্যে সুখবর। স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল দেশের সব থেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI Fixed Deposit)।  প্রায় দু’মাস পরে আবার স্থায়ী আমানতের উপর বর্ধিত সুদের নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করল এসবিআই। বুধবার এসবিআই- এর তরফে জানানো হয়েছে, নয়া কর্মসূচিতে স্থায়ী আমানতের উপর সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত অর্থাৎ ২.৫ শতাংশ বাড়বে। 

    এই নয়া ব্যবস্থায় ৪০০ দিনের স্থায়ী আমানতে সুদের হার হবে ৭.১ শতাংশ। এসবিআই (SBI Fixed Deposit) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই লাগু হবে এই বর্ধিত সুদের হার। এই কর্মসূচি চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ২ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থানীয় আমানতের ক্ষেত্রে নয়া এই উচ্চ হারে সুদ দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ১৭৯৩ পদে কর্মী নিয়োগ করবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক, জানুন বিস্তারিত

    গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর কিছু নির্দিষ্ট স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়িয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক (SBI Fixed Deposit)। আদানির গোষ্ঠীকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের মাঝে স্টেট ব্যাঙ্কের এই ঘোষণা অত্যন্ত  ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, আদানি শিল্পগোষ্ঠী সঙ্কটে পড়লেও তাদের অন্যতম প্রধান আর্থিক সহায়ক স্টেট ব্যাঙ্কের বিপদের সম্ভাবনা নেই। এই ঘোষণায় সেই দাবিতেই শিলমোহর পড়ল।

    আদানি ও এসবিআই 

    উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর বড় ধাক্কা খেয়েছে আদানি গ্রুপ। শেয়ারের দর পড়ে যাওয়ায় মার্কিন সূচক থেকে বাদ গিয়েছে আদানির স্টক। এদিকে এসবিআই থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়েছে আদানি গ্রুপ। এসবিআই (SBI Fixed Deposit) যদিও এখন পর্যন্ত সেই ঋণ নিয়ে কোনও আশঙ্কা প্রকাশ করেনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। যদি ঋণ শোধ না করে আদানি গ্রুপ? সেক্ষেত্রে এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের ক্ষতির পরিমাণ কত হতে পারে? এসবিআই সূত্রে খবর, বর্তমানে বিপাকে পড়া আদানি গোষ্ঠীর কাছে এসবিআই -এর এক্সপোজারের পরিমাণ প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকা। তবে তা মোট প্রদেয় ঋণের মাত্র ০.৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ যা কিনা ১ শতাংশের চেয়েও কম। ব্যাঙ্কটির চেয়ারম্যান দীনেশ খাড়া এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমরা আদানি গ্রুপকে মূলত প্রজেক্টের জন্য ঋণ দিয়েছি। এগুলি বাস্তব সম্পদ এবং যার পর্যাপ্ত নগদ উৎপাদন রয়েছে৷ সংস্থাটি যথাযথ ভাবেই দায়িত্ব পালন করছে। ব্যাঙ্কের এক্সপোজার মোট লোন বুকের মাত্র ০.৮৮ শতাংশ।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share