Blog

  • G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    G20: জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারির মোকাবিলা করতে হবে একযোগে, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর ধরে জি ২০র (G20) সভাপতিত্ব করবে ভারত। এটা যে ভারতের কাছে সুবর্ণ সুযোগ, তা আগেই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে রয়েছে একাধিক চ্যালেঞ্জ – জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। এদের মোকাবিলা করতে বিশ্বকে সহযোগিতা করতে হবে।

    জি ২০…

    গত মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হয়েছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনেই আগামী জি ২০ সম্মেলনের দায়িত্ব পায় ভারত (India)। আগামী বছর হবে ওই সম্মেলন। বালির ওই সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। সেখানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ওই যুদ্ধ শুরু হয়। এখনও থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। বালির জি ২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে সদস্য দেশগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জি ২০ (G20) প্রেসিডেন্সি। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের এই যুগ, যুদ্ধের নয়।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা অনেক বড় বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। এগুলি হল, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ এবং অতিমারি। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে এগুলির মোকাবিলা করা যাবে না। এর সমাধান করতে হবে একযোগে কাজ করে। তাঁর এদিনের এই মন্তব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলা কথার প্রতিধ্বনি।  ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সেপ্টেম্বরে পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন খাদ্য, রাসায়নিক সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে অরাজনৈতিকরণের লক্ষ্যে এগোবে ভারত। ভারত এটা করবে কারণ তাতে বিশ্বে কমবে উত্তেজনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেমন আমাদের পরিবারের মধ্যে হয়, যাঁদের প্রয়োজন সব চেয়ে বেশি, তাঁদের সমস্যার সমাধানই আগে করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়বস্তুগুলি নিয়ে কেবল জি ২০ (G20) সদস্য দেশগুলির সঙ্গেই আলোচনা করা হবে, তা নয়। যাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না, তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করব। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গেও কথা বলব। গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিশ্বের নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা করব তাদের সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda Municipality: হাইকোর্টের রক্ষাকবচে স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা

    Jhalda Municipality: হাইকোর্টের রক্ষাকবচে স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের আগামী বুধবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঝালদা পুরসভার ৬ বিরোধী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শনিবার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের কথা। তার আগে পুলিশকে ব্যবহার করে শাসকদল কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবেদনকারীরা। 

    ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন

    চলতি বছর পুরভোটে দেখা যায় ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পাঁচজন করে কাউন্সিলর জয়ী হন। অপরদিকে দু’জন নির্দল কাউন্সিলর জেতেন। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর‌ই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu)। হাইকোর্টের নির্দেশে খুনের তদন্তভার পায় সিবিআই (CBI)। এর‌ই মাঝে তৃণমূল দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে ঝালদায় বোর্ড গঠন করে। কিন্তু উপনির্বাচনে তপন কান্দুর ওয়ার্ডে জিতে যাওয়ায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ফের পাঁচ হয়ে যায়। এরপরই তারা তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সুরেশ আগর‌ওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। গত ২১ নভেম্বর অনাস্থা ভোটে পুরবোর্ড হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। দুই নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    আগামী শনিবার,অর্থাৎ ৩ নভেম্বর নতুন বোর্ড গঠন হ‌ওয়ার কথা পুরুলিয়ার এই পুরসভায়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, কংগ্রেসি ও নির্দল কাউন্সিলরদের জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে আস্থা ভোটের আগে। যার ফলে বোর্ড গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হবে কংগ্রেস শিবির। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝালদা পুরসভার ৪ জন কংগ্রেসি ও ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। আরও ১ কংগ্রেস কাউন্সিলর আগেই রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন আদালত থেকে। আদালতের এই নির্দেশের ফলে আপাতত স্বস্তিতে ঝালদা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    Aftab Poonawalla: নারকো টেস্ট চলাকালীন অবচেতন মনে কী কী বলল আফতাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পলিগ্রাফ টেস্টের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নারকো পরীক্ষাও করা হল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawalla)। আর এই পরীক্ষা চলাকালীনই বেরিয়ে এল একের পর এক সত্য। এদিন সে আবার বলে, “হ্যাঁ, আমিই খুন করেছি শ্রদ্ধাকে।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল তাকে রোহিণীর বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় ও প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তার নারকো টেস্ট। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

    আফতাবের নারকো টেস্ট

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল আফতাবকে (Aftab Poonawalla) তিহার জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল প্রায় ৮টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ও তাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর তার নারকো টেস্ট শুরু হয় সকাল ১০টা নাগাদ। এরপর দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর ১টার দিকে ফের তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এফএসএল থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ এবং ফরেনসিক দল তার উত্তর সন্তোষজনক না মনে হয়, তবে আফতাবকে আরেকটি নারকো পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল পলিগ্রাফ পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতেই আফতাবের নারকো টেস্ট?

    নারকো টেস্টে কী কী বলল আফতাব?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নারকো পরীক্ষায় অবচেতন মনে শ্রদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আফতাব (Aftab Poonawalla)। পলিগ্রাফ টেস্টের মত এই টেস্টেও সে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। পরীক্ষার সময় আফতাব দাবি করেছে, রাগ ও ক্ষোভের বশেই সে শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পাশাপাশি সে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৭টি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, হত্যার পর সেই সব অস্ত্র সে কোথায় ফেলেছে, তাও জেরায় জানিয়েছে আফতাব। শ্রদ্ধার মোবাইল ও জামাকাপড় কোথায় ফেলেছে, তাও এদিন জানিয়েছে আফতাব।

    আরও জানা গিয়েছে, গতকাল আফতাবের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো ছিল ফলে পুনাওয়ালার নারকো পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সাগর প্রীত হুডা জানিয়েছেন, নারকো টেস্টের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ও  পরীক্ষার পরেও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তবে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র পলিগ্রাফ টেস্ট বা নারকো টেস্টই যথেষ্ট নয়, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, যদি তার পলিগ্রাফ এবং নারকো বিশ্লেষণের ফলাফল অনিশ্চিত হয়, তবে তারা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার ব্রেইন ম্যাপিং করাতে পারে। ফলে পুনাওয়ালার ব্রেন ম্যাপিং করার জন্য আদালতের অনুমতি চাইতে যেতে পারে তারা। পরে আর কোনও নারকো টেস্ট হয় কিনা আফতাবের (Aftab Poonawalla) বা টেস্ট হলেও নতুন কোন তথ্য সামনে বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।

  • Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    Abhijit Ganguly: মানিক-ছটা থেকে মুক্ত হতে পর্ষদের ২-৩ বছর সময় লাগবে! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharyee) আমলে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দুর্নীতি এবং মানিক ভট্টাচার্যের ছটা থেকে এখনই মুক্ত হতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পর্ষদের আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে। অভিমত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Abhijit Ganguly)। দুর্নীতির তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও বলেন বিচারপতি। সেই মতো বৃহস্পতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সিবিআই।

    কী বললেন বিচারপতি

    টেট দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আপাতত রয়েছেন জেল হেফাজতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই তাঁকে পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তার পর ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর কথা বলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    এদিন শুনানির সময় এক মামলাকারী দাবি করেন, টেটে নিয়োগের একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের পরীক্ষা নেওয়াই হয়নি। তার পরেও তাঁরা ওই পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এই অভিযোগ শুনে মন্তব্য করেন, ‘‘কেউ আর্জেন্টিনার জার্সি পরে আছে বলে নম্বর পেয়ে যাবে, ব্রাজিলের জার্সি পরলে নম্বর পাবে না, এটা হতে পারে না।’’ এই মন্তব্য করে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি। 

    সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharyee) হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে  জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনই জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। তবে মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় রক্ষাকবচের কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘রক্ষাকবচ খারিজ করার আবেদন জানান।’ 

  • Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    Subiresh Bhattacharya: তদন্তে সাহায্য করছেন না সুবীরেশ, অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরা করার পরামর্শ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কড়া নির্দেশ দিতে পারে আদালত। তদন্ত সাহায্য না করলে মানিক ভট্টাচার্য ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমন পরামর্শও দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ না খুললে দুজনকেই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আশ্বাস বিচারপতির। 

    বিচারপতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানতে চান, প্রেসিডেন্সি জেলে শেষ কবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ? কতক্ষণ জেরা করেছে? 

    আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। তিনি বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। জেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই জন্যেই সম্প্রতি তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি যুক্ত আছেন কিনা তার খোঁজও চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে গ্রুপ ডি মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে ৩৩০ জনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়েছে।

    বিচারপতি কী বলেন? 

    বিচারপতি আরও বলেন, “সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে তাকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করুন।আপনারা কোন পরিস্থিতিতে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিল্লি, অসম বা ভুবনেশ্বরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারেন? যেমন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে শিলং – এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।”  সিবিআই উত্তরে বলে, “সেটা বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।” বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ”সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে না নিলে তথ্য জানা সম্ভব নয়। জেলে কতক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন? আপনাদের  মাধ্যমে আমি সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে মুখ খোলার আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনি মুখ খোলেননি। আপনারা সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তারপর আমি তাকে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেব।” বিচারপতি আরও বলেন, ”একই ধরনের নির্দেশ মানিক ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রেও দিতে হবে।”

    মানিক ভট্টাচার্যের রক্ষাকবজের বিষয়ে সিবিআই প্রশ্ন করলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উত্তরে বলেন, “রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করুন । আমাকে কি আবার সিট পুনর্গঠন করতে হবে?”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

          

  • BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    BSF: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোন তৈরির ইতিহাসে নয়া সংযোজন। বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত। আর এবারে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরী করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ভারতে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন। এদিন বিএসএফ (BSF) থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে, তা অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় অনেক গুণ ভালো ও শক্তিশালী।

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন

    বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) থেকে বলা হয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনগুলি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক বহনকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। চলতি বছরে এই বিশেষ ড্রোন প্রায় ১৬ টির মত অনুপ্রবেশকারী ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

    বিএসএফ-এর (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, “ড্রোন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা সীমান্তে একটি অ্যান্টি-ড্রোন সেট আপ করেছি, তবে আমাদের এমন কোনও সেটআপ নেই যা পুরো পশ্চিমাঞ্চলকে কভার করে৷ আমরা অনেক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি৷ আগামী দিনে, আমরা এই নতুন প্রযুক্তিটি আরও অনেক এলাকায় ব্যবহার করতে পারি।”

    তিনি আরও বলেছেন, এমন ড্রোনও তৈরি করা হচ্ছে যা কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “টেকানপুরে, আমাদের টিয়ার-গ্যাস ইউনিট এই ধরণের ড্রোন তৈরি করেছে যেগুলি পাঁচটির মতো শেলও বহন করতে পারে, এবং শেলগুলিকে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তৈরি করা হয়েছে এবং কোনও সেনাবাহিনীদের দেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    বিএসএফ-এর (BSF) মতে যেসব ড্রোন সাধারণত ব্যবহার করা হয় তা চিনে তৈরি ও ব্যয়বহুলও। ফলে বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনের থেকে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন অনেক নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও এগুলো ভালোভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। তাই তারা এখন থেকে দেশের তৈরি ড্রোন তৈরিতেই বেশি নজর দিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো ঘন কুয়াশাতেও যাতে কাজ করতে পারে ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস শনাক্ত করতে পারে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই ড্রোনগুলো দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রায় ৫,৫০০ ক্যামেরা লাগাতে চলেছেন তাঁরা। আর এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, জাল টাকা পাঠানো হচ্ছে ভারতে। আকাশপথে তার মোকাবিলা করার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের অধরা থাকলেও এবারে অনুপ্রবেশকারী পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে আসতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন।

  • SARAS Telescope: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    SARAS Telescope: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সাপেক্ষে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশ। নিত্যনতুন গবেষণা চলছে মহাজাগতিক রহস্য উন্মোচনের জন্য। বিগ ব্যাং-এর ২০ কোটি বছর পরের সময়কালকে মহাজাগতিক ভোর বলা হয়। এবার এই সময়কালে তৈরি হওয়া আদি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করবে ভারতের শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ। যার পোশাকি নাম ‘সারস’ (SARAS Telescope)। বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রাচীন এই ছায়াপথগুলির এনার্জি আউটপুট, ভর ইত্যাদি নির্ণয় করবেন এই শক্তিশালী টেলিস্কোপটির সাহায্যে।

    আরও পড়ুন: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    টেলিস্কোপটি কোথায় রাখা ছিল এতদিন ? কোন কোন দেশ রয়েছে এই গবেষণায় ?

    The Shaped Antenna measurement of the background Radio Spectrum 3 সংক্ষেপে ‘সারস’ (SARAS) টেলিস্কোপটি তৈরি করেছে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। যাবতীয় ডিজাইনও তারাই করেছে। ২০২০-এর প্রথম দিকে এই টেলিস্কোপটি (SARAS Telescope) ছিল উত্তর কর্নাটকের দন্ডিগনহাল্লি হ্রদ  এবং সরাবতী নদীর উপর।

    আরও পড়ুন: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও এই গবেষণায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CSIRO), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামী প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত যারা গবেষণায় রত রয়েছে প্রথম প্রজন্মের বা আদি ছায়াপথগুলির ভর, এনার্জি আউটপুট প্রভৃতি বৈশিষ্টগুলি খুঁজে বের করার কাজে।

    আরও পড়ুন: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    ছায়াপথের মধ্যে এবং চারিদিকে হাইড্রোজেন পরমাণুর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে এই বিকিরণের তরঙ্গ ১৪২০ MHz. ব্রহ্মাণ্ড যত বিস্তৃতি লাভ করেছে ততটাই প্রসারিত হয়েছে এই বিকিরণ। পৃথিবীতে একেবারে নিম্ন তরঙ্গের Radio Band আসে, যেগুলির মাত্রা ৫০-২০০ MHz. এগুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয় FM এবং TV transmission এর কাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিশ্বকে পথ দেখাবে দেশ, আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা! বঙ্গের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বিশ্বকে পথ দেখাবে দেশ, আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা! বঙ্গের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করলেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, বাংলা দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    এদিন বাংলার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার অবদানের কথাও বলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্বকে পথ দেখাবে এই দেশ। আর দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। এই রাজ্যের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। বাংলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তরুন প্রজন্মের উপরেই।” করোনার সময় চিকিৎসক, নার্স থেকে প্রতিটি স্বাস্থ্য কর্মীর অবদানের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, “করোনাকালে প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন ওয়ান ম্যান আর্মি।” এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দেড়শত বর্ষপূর্তির উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীও। সিদ্ধার্থ নিয়োগী এই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তনী। তাঁদের পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। তাঁকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

    এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল হাসপাতালের কথাও বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “এই হাসপাতাল শুধু একটি মেডিক্যাল কলেজই নয়, বরং এই প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পত্তি। এই মেডিক্যাল কলেজেই প্রথম উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার করেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে নলজাতক দুর্গার জন্মের ইতিহাস সমৃদ্ধ এই প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।” 

    নয়া সম্পর্ক

    আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্যপাল বোস অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যপালের শপথগ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উনি ভাল লোক’। এরই রেশ ধরে রাজ্যপালের এই বক্তব্য রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রক্ষার বার্তা বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেধাবীদের স্কুটার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কুটার বিলি করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের হাতে ওই স্কুটার (Scooter) তুলে দেন তিনি। প্রয়াগ ভারতী প্রকল্পের অধীনে দেওয়া হয়েছে ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড। চলতি বছর সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৬ হাজার ৫২ জন। আর ছাত্রীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৪৮ জন।

    পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা…

    তবে মুফতে মেলেনি এই পুরস্কার। এজন্য পুরস্কার দাতাদের তরফে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল মাণদণ্ড। যেসব ছাত্র অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল থেকে ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তাঁদেরই হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্কুটার। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নম্বরের গণ্ডি ছিল ৬০ শতাংশ। এদিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় কামরূপ জেলায়। কামরূপ মেট্রোপলিটনের পড়ুয়াদের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অসম সরকারের এক আধিকারিক বলেন, বাকি পুরস্কার প্রাপকের হাতে স্কুটারের চাবি তুলে দেওয়া হবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে।

    এদিনের অনুষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক মাইলস্টোন তাঁদের জীবনে, যাঁরা ডাঃ বাণীকান্ত কাকাতি মেরিট অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেছেন। এটা সমাজের তরফে একটা উপহার এবং আশীর্বাদ তাঁদের, যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসম-মেঘালয় সীমান্তে মাফিয়া-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৬, বন্ধ ইন্টারনেট

    হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বিকাশের মূল মন্ত্র হয়ে উঠবে ডিজিটাইজেশন। তাই ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, এতে কী হবে, কোনও এক ব্যক্তি চাকরি খোঁজার চেয়ে অন্যদের চাকরি দেবেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা মেধাবী, তাঁদের সব সময় লক্ষ্য হওয়া উচিত আকাশছোঁয়া। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা যদি নিজেদের গ্রেড ৩ কিংবা গ্রেড ৪ এর চাকরিতে বেঁধে ফেল, তাহলে তা হবে তোমাদের মেধার অপব্যবহার। আগামী বছর থেকে মেধাবীদের ইলেকট্রিক স্কুটার দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। তাঁর মতে, এতে জ্বালানির খরচ কমবে। আরও একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানান হিমন্ত। তিনি জানান, যেসব ছাত্রী স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হবেন, তাঁদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share