Blog

  • Tuberculosis: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা

    Tuberculosis: এক মিনিটেই সনাক্ত হবে টিবি, পোর্টেবল এক্সরে ডিভাইস বাজারে আনছে ভারতীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা (Tuberculosis) নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। একটি শীর্ষস্থানীয় বায়োটেক কোম্পানি ভারতের প্রথম পোর্টেবল এক্স-রে ডিভাইস চালু করতে প্রস্তুত। এই ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ে এক মিনিটেই সংক্রামক রোগ নির্ণয় করা যাবে।    

    পুনে ভিত্তিক সংস্থা মাইল্যাব ডিসকভারি (Tuberculosis) সলিউশন, ১৪ ফেব্রুয়ারি Qure.ai-এর সঙ্গে যৌথভাবে ঘোষণা করেছে , মেডিকেল ইমেজিংয়ের সাহায্যে এআই সফ্টওয়্যারের একটি এক্সরে প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে। এর ফলে যক্ষ্মা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ এবং ফুসফুসের সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: নতুন ফিচার আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ, এখন থেকে ফটো কোয়ালিটি পছন্দ করতে পারবেন ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরা

    মাইল্যাব এবং Qure.ai শীঘ্রই লঞ্চ করতে চলেছে হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে ডিভাইস (Tuberculosis)। এর ফলে টিবি রোগ নির্ণয় অনেক বেশি নির্ভুল এবং দ্রুত হবে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা- নিরীক্ষার পরই বাজারে উপলব্ধ হবে এই ডিভাইস। এর খরচ সাধারণ এক্স-রে পরীক্ষার মতোই হবে বলে জানা গিয়েছে৷

    ভারতের যক্ষ্মা পরিস্থিতি 

    সংস্থা দুটি জানিয়েছে, পালমোনারি টিবি রোগীদের খুব দ্রুত সনাক্ত (Tuberculosis) করা যাবে। এর ফলে ২০২৫- এর মধ্যে ভারত যক্ষ্মামুক্ত দেশে পরিণত হবে। এনটিইপি এর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হল তিনটি। এক, ২০২৫ সালের মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোগীর মৃত্যুহার কমানো, দুই, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে নতুন করে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দূর করা এবং তিন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে টিবি চিকিৎসায় রোগীর খরচ শূন্য করা। এই প্রকল্প ধাক্কা খায় ২০২১ সালে। কোভিডের কারণে যক্ষ্মা রোগীর রোগনির্ণয় প্রক্রিয়া খানিক বাধাপ্রাপ্ত হয়। তার নেতিবাচক ফলাফলও নজরে আসে।

    ২০১৯ সালে সারা দেশে রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষের আশপাশে। টিবি ইন্ডিয়া রিপোর্ট ২০২২–এর তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে টিউবারক্যুলোসিস রোগীর সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৯ লক্ষ ৩৩ হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ রোগীর সংখ্যায় প্রায় ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়া প্রাণহানির হারও বাড়ে। তবে লড়াই থেমে ছিল না। তারই ফলে যক্ষ্মা নির্মূলকরণের উদ্যোগে কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও মিলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PAFF: ‘আমাদের সম্পদ চুরি করলে হামলা হবে’, কাশ্মীরে লিথিয়াম ভাণ্ডার নিয়ে হুমকি পাফের

    PAFF: ‘আমাদের সম্পদ চুরি করলে হামলা হবে’, কাশ্মীরে লিথিয়াম ভাণ্ডার নিয়ে হুমকি পাফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) মিলেছে লিথিয়ামের (Lithium) বিপুল ভাণ্ডার। দিন তিনেক আগে উপত্যকায় মেলা এই সাদা সোনার ভাণ্ডারের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যেই হুমকি দিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গী পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF)। রীতিমতো চিঠি লিখে ওই জঙ্গি সংগঠন জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে যে সব সংস্থা লিথিয়াম উত্তোলন করে ব্যবসার কাজে লাগাবে, তাদের ওপর হামলা হবে। প্রসঙ্গত, এই জঙ্গি সংগঠন প্রায়ই নিরাপত্তা রক্ষী, রাজনৈতিক নেতা এবং ভিন রাজ্য থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কাজে আসা লোকজনকে হুমকি দেয়।

    জম্মু-কাশ্মীর…

    ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ভূতত্ত্ব সমীক্ষকরা জানান, জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসিতে প্রায় ৬ মিলিয়ন টনের লিথিয়াম ভাণ্ডার রয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানায়, দেশের মধ্যে এই প্রথমবার লিথিয়াম খনির সন্ধান মিলেছে কাশ্মীর উপত্যকায়। লিথিয়াম ও সোনা মিশ্রিত ৫১টি খনিজ ব্লক সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই পাফের (PAFF) তরফে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়, নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে একজোট হোন সকলে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, এই সম্পদ জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। এটা জম্মু-কাশ্মীরবাসীর কল্যাণের কাজে ব্যবহৃত হবে। কোনও কুৎসিত হিন্দুত্ব চোরকে আমাদের সম্পদ চুরি করতে দেওয়া হবে না। পরে এটা নিয়ে আমাদেরই হত্যা করবে। ভারতীয় কোম্পানি যারা জম্মু-কাশ্মীরের ঘোলা জলে মাছ ধরতে আসবে, তাদের কেবল জম্মু-কাশ্মীর নয়, ভারত মায় ভারতের বাইরেও প্রতিশোধ নেওয়া হবে। যারা আমাদের চেনে, তারা জানে আমরা যা বলি, তা করি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও একটি জায়গা থেকে চিঠিটি (PAFF) লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জইশের সঙ্গী এই সংগঠনটি উপত্যকার উন্নতি সাধন করবে এবং কোনও ভারতীয় সংস্থা যাতে তাদের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে নিয়ে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করবে। কেউ সে কাজ করলে তাদের ওপর হামলা হবেই। চিঠিতে ড্রোনের ছবিও দেওয়া হয়েছে। এই ছবি দিয়ে জঙ্গিরা বার্তা দিতে চাইছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন ঘটনার ওপর নজর রয়েছে তাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Allahabad: মহিলাদের বিরুদ্ধেও করা যেতে পারে গণধর্ষণের মামলা, সাফ জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট

    Allahabad: মহিলাদের বিরুদ্ধেও করা যেতে পারে গণধর্ষণের মামলা, সাফ জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র পুরুষ নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মত অপরাধে মামলা দায়ের করা যেতে পারে, এমনটাই জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের বেঞ্চ সোমবার একটি মামলায় এই রায় দিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির আইন পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি যাদব জানিয়েছেন, একজন মহিলা কখনও ধর্ষণ করতে পারে না অন্য মহিলাকে। কিন্তু সেই মহিলা যদি গণধর্ষকদের কাজকে প্রশ্রয় দেয়, তবে সে-ও সমান অপরাধে অভিযুক্ত হবে, গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হতে পারে তার বিরুদ্ধেও।

    মামলাটি কী?

    সূত্রের খবর, ২০১৫ সালের একটি এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। অভিযোগ, ১৫ বছরের এক মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তার বয়ান রেকর্ড করার পরে পুলিশ জানতে পারে, গোটা ঘটনায় এক মহিলাও জড়িত ছিল। তবে ঘটনার চার্জশিটে ওই মহিলার নাম ছিল না। তা সত্ত্বেও ৩৭৬ ডি ধারায় (ধর্ষণ-সহ যৌন অপরাধ) মামলার শুনানিতে ওই মহিলাকে তলব করা হয়।

    এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ওই মহিলা সুনীতা পাণ্ডের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, তাঁর মক্কেলকে ভুল করে আদালতে তলব করা হয়েছে গণধর্ষণের মামলায়। তাঁর মক্কেল একজন মহিলা। তাঁর পক্ষে অন্য মহিলাকে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়। ফলে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৬ ডি ধারায় কখনওই অভিযোগ আনা যায় না একজন মহিলার বিরুদ্ধে। তিনি আরও দাবি করেন, মহিলার পক্ষে যেহেতু ধর্ষণ করা সম্ভবই নয়, তাই গণধর্ষণের চার্জও আনা যায় না।

    বিচারপতির রায়

    অভিযুক্ত সুনীতার আইনজীবীকে পাল্টা জবাব দিতে সংবিধানের ৩৭৫ এবং ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৩৭৫ ধারায় স্পষ্ট করেই লেখা আছে, ধর্ষণ কেবল পুরুষরা করতে পারে, মহিলারা নয়। তবে ৩৭৬-ডি ধারা বলছে, কোনও মহিলা যদি গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সাহায্য করেছে বলে জানা যায়, তবে সে-ও সমান দোষে দোষী। এরপরেই বিচারপতি বলেন, “কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। তবে তিনি যদি এক দল লোকের সঙ্গে মিলে এই কাজটি (ধর্ষণ) করতে সহায়তা করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।” তিনি রায় দেওয়ার সময়ে ‘ব্যক্তি’ শব্দের উপর জোর তিনি জানান, ব্যক্তি বলতে এ ক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণ ভাবে কেবল পুরুষদের বোঝানো হয়নি। ‘ব্যক্তি’ বলতে কোনও মহিলা বা যে কোনও সংঘবদ্ধ দলও বোঝাতে পারে।

    ফলে সব দিক বিচার করে বিচারপতি রায় দেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের সাজাই দেওয়া হবে, কারণ তিনি একদল ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ষণের কাজে সাহায্য করেছেন।

  • PM Modi: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন মোদি

    PM Modi: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। চার বছর আগে ঠিক এই দিনে কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০জন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান। মঙ্গলবার সেই শহিদদেরই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এনিয়ে একটু ট্যুইটও করেন তিনি। তাতে লেখেন, আজকের দিনে পুলওয়ামায় যে বীরদের হারিয়েছি, তাঁদের স্মরণ করছি। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমরা কোনওদিন ভুলব না। তাঁদের সাহস আমাদের শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করে।

    সিআরপিএফ…

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরক ঠাসা একটি গাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর ওই কনভয়ে হামলা চালায়। শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। জখমও হন বেশ কয়েকজন জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে মাসুদ আজাহারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ।

    প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পুলওয়ামার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, আমি সেই সাহসী জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় তাঁদের জীবন দিয়েছেন। জাতি তাঁদের আত্মত্যাগকে ভুলতে পারবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের বীরত্ব ও অদম্য সাহস সব সময় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিন। এদিন এই নারকীয় ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল ভারতবাসী। বিশ্বজুড়ে উঠেছিল নিন্দার ঝড়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। তদন্তে উঠে আসে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের নাম। পাল্টা আঘাত করে ভারত। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ারস্ট্রাইক করে ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তানের বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি। ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর ফি বছর পুলওয়ামার শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    উনিশের ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর বাইশ সালের অক্টোবর মাসেও ফের রক্তাক্ত হয় উপত্যকা। পুলওয়ামা জেলায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন এক পুলিশ কর্মী। জখম হন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এক কর্মী। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে জানানো হয়, পুলওয়ামার পিঙ্গলানায় সিআরপিএফ ও পুলিশ যৌথভাবে নাকা চেকিং চালানোর সময় গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। শহিদ হন এক পুলিশ কর্মী। জখম হন সিআরপিএফের এক জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Raw Papaya Juice: কাঁচা পেঁপের রসে কী কী উপকারিতা আছে জানেন?

    Raw Papaya Juice: কাঁচা পেঁপের রসে কী কী উপকারিতা আছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁচা পেঁপের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। কাঁচা পেঁপের রস শরীরকে সুস্থ রাখতে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি জ্বর নিরাময়ে, পেটের সমস্যা দূর করতে, গ্যাস্ট্রিক এবং বদহজম দূর করতেও সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা একে ‘সুপারফুড’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে।

    হজমে সহায়ক

    গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধে কাঁচা পেঁপে সহায়ক। এটি হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি করে। বুকজ্বালা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানান সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে পাপাইন ও চিমোপাপাইন নামক এনজাইম এবং খাদ্য আঁশ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে  কেমোপেইন, প্যাপিন, পাইপাইন ও সাইমোপ্যাপিনের মতো উপাদান থাকে। এগুলো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

    কাঁচা পেঁপেতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যেমন—স্যাপোনিনস, টানিনস, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে আইজিএমের মাত্রা বাড়ায়। কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

    কাঁচা পেঁপেতে থাকা কারডেনোলিডস ও স্যাপোনিনস উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা উপাদান স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্বাস্থ্যকর হার্টবিট মেইনটেইনে কার্যকর।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    কাঁচা পেঁপেতে কম ক্যালোরি ও উচ্চ মাত্রায় খাদ্য আঁশ রয়েছে। তাই কাঁচা পেঁপে টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখে। এতে থাকা প্রয়োজনীয় এনজাইম প্রদাহ রোধে সহায়ক। কাঁচা পেঁপের জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত কাঁচা পেঁপের জুস খান। 

    ত্বকের জন্য উপকারী

    গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা পেঁপে ত্বকের জন্য উপকারী। এটি স্কিন আলসার প্রতিরোধে সহায়ক। ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে কাঁচা পেঁপে। সান ড্যামেজ, ব্রণ ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে কাঁচা পেঁপে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। কাঁচা পেঁপে মৃত কোষকে দূর করতে কার্যকরী। আর এতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতরেও পরিষ্কার করে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    কাঁচা পেঁপেতে গাজর ও টমেটোর চেয়েও অনেক বেশি ক্যারটিনয়েডস পাওয়া যায়। তাই এটি আমাদের শরীরের ক্যারটিনয়েড ও ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে পুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে হাঁপানি, অস্টিও আর্থারাইটিস, গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগের উপকারে এবং হার্টকে ভালো রাখতে অনেক কার্যকরী। তবে কাঁচা পেঁপে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে এলার্জি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে পরিমিত আহার শ্রেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: স্কুলে অবিলম্বে শরীরচর্চা ও এনসিসি চালু করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে যোগব্যায়াম, শরীরচর্চা এবং এনসিসির মত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং অবিলম্বে চালু করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ট্রেনিং থেকে বঞ্চিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এইসব গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনিং থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করতে পারে না, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন, বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। আজ আদালতের তরফে এই সমস্ত ট্রেনিং চালু করার নির্দেশ দেওয়া হল।

    কী ঘটেছিল?

    হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া হাইস্কুলে ২০০৮ সাল থেকে এনসিসির ট্রেনিং ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু ২০১১ সালের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে এই ট্রেনিংগুলো কেমন যেন উধাও হয়ে যায়। কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তন হয়। এরপর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসে৷ কেন্দ্র সরকার যোগব্যায়াম, শারীরশিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতার উপরও জোর দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল। এই মর্মে সমস্ত রাজ্যগুলিতে নির্দেশিকা পাঠায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গেও সেই নির্দেশিকা কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা রাজ্যের বেশ কিছু স্কুল বিরোধিতা করে এনসিসির ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। যার মধ্যে অন্যতম তেলেনিপাড়া ভদ্রেশ্বর হাইস্কুল রয়েছে। অভিযোগ, স্কুল পরিচালন কমিটি জানিয়ে দেয়, স্কুলে কোনও এনসিসি হবে না।

    হাইকোর্টে মামলা এনসিসি শিক্ষকের

    এরপর স্কুলের এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস আবেদন করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ডিআইকে। তাতেও টনক নড়েনি স্কুল কর্তৃপক্ষের। পরে সমস্ত অভিভাবকরা এবং এনসিসির শিক্ষক স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে সেই অভিযোগ পেয়ে ডিআইকে নির্দেশ দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ এনসিসির প্রোগ্রাম চালু করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এনসিসির শিক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

    এরপরেই বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ এভাবে এনসিসি ট্রেনিং বন্ধ করে দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতি অবিচার করছে। তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

    এই নিয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতিকে কলকাতা হাইকোর্টে তলবও করেন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পালন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং তারা আদালতেও হাজিরা দেননি। এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, হুগলির বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এনসিসি চালু করতে হবে ওই স্কুলে।

  • Hardik Pandya: ফের বিয়ের পিঁড়িতে হার্দিক পান্ডিয়া! আমন্ত্রিতের তালিকায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের সব সদস্যই

    Hardik Pandya: ফের বিয়ের পিঁড়িতে হার্দিক পান্ডিয়া! আমন্ত্রিতের তালিকায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের সব সদস্যই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেম দিবসে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। তবে পাত্রী কিন্তু নাতাশাই। আড়াই বছরের ছেলে অগস্ত্যকে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন হার্দিক-নাতাশা (Hardik Natasa Marriage)। উদয়পুরে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সারবেন যুগলে।

    আমন্ত্রিত কারা

    সোমবারই হার্দিক ও নাতাশার পরিবার রাজস্থান পৌঁছে গিয়েছে। বিমানবন্দরে হার্দিক, নাতাশা, ক্রুণাল ও তাঁর স্ত্রী পঙ্খুড়ি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দেখা গিয়েছে। হার্দিকের পরণে ছিল কালো পোশাক।

    মঙ্গলবার কাকভোরে মুম্বইয় বিমানবন্দরে ধরা দেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা এবং ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। একই রকমের দেখতে ‘A’ লেখা জ্যাকেটে বিমানবন্দরে ধরা দেন তারকা দম্পতি। হার্দিকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উদয়পুর যাচ্ছেন তাঁরা। বেলার দিকে রাজস্থানের বিমান ধরলেন সদ্য বিবাহিত আথিয়া শেট্টি ও কেএল রাহুলও। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সব সদস্যই। খবর, চলতি বছরের আইপিএলের পরে রিসেপশন পার্টির আয়োজন করতে চলেছেন তারকা জুটি।

    আরও পড়ুন: বাংলাকে সমর্থনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ সিএবির! টিকিট ছাড়াই ইডেনে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শকরা

    বিয়ের প্রস্তুতি

    ভারতীয় ক্রিকেটের বর্ণময় চরিত্র হার্দিক। লকডাউনের সময় তড়িঘড়ি আইনি বিয়ে করলেও মন ভরেনি। তাই সন্তান জন্মের আড়াই বছর পর মন মাতানো লোকেশনে, বিয়ের দামি পোশাকে বিদেশি বউয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। হিন্দু রীতিনীতি মেনে গায়ে হলুদ থেকে মেহেন্দি, সঙ্গীত কোনও কিছুই বাদ পড়বে না। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন লাইন ‘Dolce and Gabbana’র সাদা গাউনে বিয়ের দিন সাজবেন নাতাশা। বর-বধূর বেশে হার্দিক নাতাশাকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অনুরাগীরা। জানা গিয়েছে, ট্র্যাডিশনার রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর পশ্চিমী রীতিতেও বিয়ে করবেন হার্দিক-নাতাশা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, পার্থ দিলেন পিছিয়ে’’, আদালতে ইডি

    Recruitment Scam: ‘‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, পার্থ দিলেন পিছিয়ে’’, আদালতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন। এদিন পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে এমনটাই বললেন ইডির আইনজীবী। শুধু তাই নয়, পার্থকে কটাক্ষ করতে বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন ইডির আইনজীবী  ফিরোজ এডুলজি। এদিন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন করা হয়। আর জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, “পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যেমন বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন তেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।” আজ জামিনের আবেদন করা হলেও প্রত্যাহার করে নেন পার্থর আইনজীবী। রায়দান স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।

    বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ এনে পার্থকে খোঁচা ইডির আইনজীবীর

    মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই দু’টি তারিখের উল্লেখ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। প্রথমটি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। যে দিন জন্মেছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্য তারিখটি ১৯৫২ সালের ৬ অক্টোবর। যে দিন জন্মেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরই ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “ওই দু’দিন দু’জন মহান পুরুষ জন্মেছিলেন। এক জন বিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্য জন কুখ্যাত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এক জন শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অন্য জন ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।”

    পার্থর আইনজীবী কী বললেন?

    বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গের জবাবে আইনজীবী প্রশ্ন করেন, “বিদ্যাসাগর অসামান্য কাজ করেছেন ঠিকই। কিন্তু পার্থ কী করেছেন যে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিয়েছেন?” পার্থর জামিনের পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী জীবনকৃষ্ণ শ্রীবাস্তব দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৭২ বছর বয়স। তাঁর নানা অসুখ রয়েছে। তাছাড়া তিনি এখন আর প্রভাবশালী নন। ইডি তাঁকে এমন সব ধারায় অভিযুক্ত করেছে যার তদন্ত করার অধিকার ইডির নেই। সেই সব ধারা থেকে পার্থকে নিষ্কৃতি দিতে আদালতে আবেদন জানান তার আইনজীবী। তার পর তা প্রত্যাহারও করে নেন তিনি। এদিন শুনানিতে এই সময় আদালতে ভার্চুয়ালি ভাবে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং পার্থ।

    ইডির আইনজীবীর পাল্টা জবাব

    পার্থর আইনজীবীর এই সমস্ত কথা বলার পরই ইডির আইনজীবী ঈশ্বচন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ও তাঁকে কটাক্ষ করেন। এছাড়াও এডুলজি পার্থকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে বলেন, “প্রথম দিন থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রভাব খাটাচ্ছেন। যেদিন পার্থকে গ্রেফতার করা হয় সেইদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তিনি কতটা প্রভাবশালী সেটা বোঝাই যাচ্ছে।”

  • WhatsApp: উন্নতমানের ছবি পাঠানো যাবে ওয়েব ভার্সানে, নতুন ফিচার আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ

    WhatsApp: উন্নতমানের ছবি পাঠানো যাবে ওয়েব ভার্সানে, নতুন ফিচার আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে মেটা অধিকৃত হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) । সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে আরও একটি নতুন ফিচার। মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা মেটার আওতায় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এসেছে ২০১৪ সালেই। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন আপডেট এসেই চলেছে অ্যাপটিতে। যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার। 

    ইউজারদের প্রয়োজন এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। আর ঠিক এই কারণেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই মেসেজিং অ্যাপের। ফেসবুকের বহু ফিচারই এখন অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে।

    কী জানা গেল? 

    সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) সংস্থা একটি নতুন ফিচার নিয়ে কাজ চালু করেছে যেখানে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো ছবি হাই কোয়ালিটিরই থাকবে। এর আগেও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠানোর অপশন ছিল। তবে সেই ছবির গুণমানে ব্যাপক প্রভাব পড়ত। এবার সেই ছবির গুণমান সংক্রান্ত নতুন ফিচার লঞ্চ করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথমে একসঙ্গে ১০টি ছবি পাঠানো যেত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে একসঙ্গে ৩০টি ছবি পাঠাতে পারেন ইউজাররা।

    এতদিন হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) মাধ্যমে কোনও ছবি পাঠানো হলে তা কমপ্রেস হয়ে যেত। অর্থাৎ ছবির সাইজ ছোট হতো। খারাপ হত কোয়ালিটিও। যদি পিডিএফ ফরম্যাটে ইউজার ছবি পাঠান তাহলে তার  কোয়ালিটি জানা সম্ভব হবে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা একটি নতুন ফিচার নিয়ে কাজ চালু করেছে যেখানে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো ছবি হাই কোয়ালিটিরই থাকবে। 

    আপাতত এই ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ হলেই এই ফিচার লঞ্চ করবে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। একটি নির্দিষ্ট বাটন দেওয়া হবে। ইমেজ এডিটরে থাকবে এই বাটন। এখান থেকে ইউজাররা স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ইমেজ এবং এইচডি কোয়ালিটি ইমেজ বেছে নিতে পারবেন।   

    জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ অ্যান্ড্রয়েড বিটা এবং ডেস্কটপ বিটা অ্যাপের জন্য এই ফিচার লঞ্চ করতে চলেছে। হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কর্তৃপক্ষ আরও একটি নতুন ফিচার নিয়ে কাজ চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই ফিচারের সাহায্যে ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রে কল শিডিউলের সুবিধা পাবেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, পার্থ দিলেন পিছিয়ে’’, আদালতে ইডি    

    এই ফিচার চালু হয়ে গেলে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) দেখতে অনেকটাই গুগল মিট এবং মাইক্রোসফট টিমের মতো দেখতে লাগতে পারে। যেখানে আপনি মিটিং আগে থেকে শিডিউল করে রাখতে পারবেন। তার ফলে যাঁরা মিটিংয়ে যুক্ত হবেন তাঁরা আগেই প্রস্তুতি নেওয়ার সুবিধা পাবেন।

    জানা গিয়েছে এখনও ডেভলপমেন্ট স্তরে রয়েছে ওই ফিচারটি। পরবর্তী কোনও আপডেটে (WhatsApp) পাওয়া যাবে নতুন এই ফিচার। তবে কবে নাগাদ ফিচারটি আসবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক করে জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, ফিচারটি খুবই সরল হবে। কবে আসবে নতুন এই ফিচার, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ইউজাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Amit Shah: ‘গণনার দিন বেলা ১২টার আগেই বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে’, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    Amit Shah: ‘গণনার দিন বেলা ১২টার আগেই বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে’, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গণনার দিন বেলা ১২ বাজার আগেই বিজেপি (BJP) মেজরিটি পেয়ে যাবে। ত্রিপুরার (Tripura) ভোট নিয়ে এই আশাই ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। পুরো মেজরিটি নিয়ে বিজেপি যে ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসছে, সে ব্যাপারে আশাবাদী শাহ। আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হবে, সেসব পরিকল্পানই করা হচ্ছে বলেও জানান শাহ। সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি এও বলেন, ভোট গণনার দিন বেলা ১২টা বাজার আগেই বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে বিজেপির চলো পাল্টাই স্লোগান ক্ষমতায় আসার স্লোগান ছিল না। ত্রিপুরার পরিস্থিতি বদলানোই লক্ষ্য ছিল।

    ত্রিপুরা…

    টানা পঁচিশ বছর ধরে ত্রিপুরার ক্ষমতায় ছিল বামেরা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পালাবদল হয়। বামেদের হঠিয়ে ত্রিপুরার কুর্সিতে বসে বিজেপি। তার পর থেকে রাজ্যে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। প্রসঙ্গত, ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি লড়ছে ৫৫টি আসনে। বাকিগুলিতে লড়ছে জোট সঙ্গী আইপিএফটি। শাহ (Amit Shah) জানান, বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবে না জেনে জোট বেঁধেছে বাম এবং কংগ্রেস। এটা আমাদের দলের ভাল অবস্থায়ই বোঝাচ্ছে। তিনি বলেন, গত বারের চেয়ে এবার আমাদের ভোট আরও বাড়বে। আমাদের হারাতে পারবে না জেনেই হাত মিলিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। এ রাজ্যে মেজরিটি নিয়েই সরকার গড়ব আমরা।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলো পাল্টাই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরার পরিস্থিতি বদলাতে। বাম আমলে সরকারি চাকুরেরা পে কমিশন নির্ধারিত বেতন পেতেন না। আমরা সপ্তম পে কমিশন চালু করেছি। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় হিংসা বন্ধ হয়েছে আমাদের আমলে। সীমান্তে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় যে হিংসা নেই, এদিন তা মনে করিয়ে দেন শাহ। বলেন, ত্রিপুরা এখন হিংসা মুক্ত। ত্রিপুরার উন্নতির সময় এসে গিয়েছে। ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে কাজ করছে ডবল ইঞ্জিন সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। তিনি (Amit Shah) বলেন, এখন উত্তর-পূর্বে কাঙ্খিত শান্তি বিরাজ করছে। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিভিন্ন উপজাতির মানুষের প্রভূত কল্যাণ হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share