Blog

  • Indonesia: বিয়ের আগে সঙ্গম নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়! সরকারের নয়া আইন নিয়ে ক্ষোভ জনগণের

    Indonesia: বিয়ের আগে সঙ্গম নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়! সরকারের নয়া আইন নিয়ে ক্ষোভ জনগণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) নয়া আইনে বিয়ের আগে সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি নতুন ফৌজদারি আইন পাশ হল ইন্দোনেশিয়ার আইনসভায়। এর মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের অধীনে থাকাকালীন আনা বিধিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে৷ তিন বছরের মধ্যে নতুন এই বিধি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে৷

    নয়া আইনে যা রয়েছে

     নয়া আইন অনুযায়ী,বিয়ের আগে সঙ্গম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হিসাবে এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। নয়া এই আইন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রী ইয়াসোনা লাওলি এই আইনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন।  এই ধরনের আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তাতে কান দিতে নারাজ সরকার। এত দিন দেশে যে ফৌজদারি বিধি প্রচলিত ছিল, সেটিকে ঔপনিবেশিক বলেও কটাক্ষ করেন ইয়াসোনা লাওলি। নতুন আইনে অভিযুক্তের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়রা প্রশাসনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে। ইন্দোনেশিয়াতে সমকামী বিবাহ নিষিদ্ধ, তাই নতুন আইন আসার পর সমকামীরাও চরম সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    নয়া আইনের বিরোধিতা

    বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে শাস্তির বিধান পর্যটন শিল্পে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বালিতে যাওয়া পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না৷ এই আইনের একটি খসড়া ২০১৯ সালে পাস হওয়ার সময় সে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে। সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে আজ মঙ্গলবার আইনটি পাস হয়। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন এ আইন এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আইনের বিধিবিধান তৈরি করতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে বলে জানা গেছে। আইনটি ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে নতুন এ আইনের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    ICMR: আইসিএমআর-এর সাইটে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার বার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা! কিন্তু ব্যর্থ হ্যাকাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এইমস-এর পর এবারে হ্যাকিং-এর চেষ্টা আইসিএমআর-এও (ICMR)। তবে শেষপর্যন্ত সফল হয়নি হ্যাকাররা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একদিনে ৬ হাজার বার আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করতে চাইলেও ব্যর্থ হয় হ্যাকাররা। গত ৩০ নভেম্বর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ হাজার বারের বেশি আইসিএমআর-এর সাইটে হানা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল হ্যাকাররা। কিন্তু সাইট হ্যাক করতে কালঘাম ছুটল তাদের।

    আইসিএমআর-এর ওয়াবসাইটে হ্যাকারদের হানা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMR) সাইট এতবার হ্যাক করার চেষ্টা করা হলেও হ্যাকাররা ব্যর্থ হয়। কারণ ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য নিরাপদে রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের তথ্য পর্যবেক্ষণে রাখে NIC Data Center। এইসব ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য যে ফায়ারওয়াল দেওয়া হয় সেটাও নিয়মিত ভাবে আপডেট করে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার। সুতরাং, ওয়েবসাইটের ফায়ারওয়াল ছিল আপডেটেড। এ ছাড়াও সমস্ত নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাও যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়েছিল। তাই হ্যাকারদের হাজার প্রচেষ্টা বিফলে যায়। ফলে স্বস্তির খবর এটিই যে এতবার হ্যাকাররা তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার পরেও সবকিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের এক কর্তা জানিয়েছেন, হংকংয়ের একটি কালো তালিকাভুক্ত আইপি ঠিকানা থেকে ওই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত আইসিএমআর-এর ওয়েবসাইটের সুরক্ষা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই দিল্লি এইমস-এর ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল। খোয়াতে হয়েছিল প্রচুর তথ্য। ব্যাপক প্রভাব পড়ে পরিষেবায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে, টানা ১০ দিন সার্ভার বন্ধ রেখে ম্যানুয়ালি কাজ করা হয়। ফলে এইমসের সার্ভারে বেশ বড়সড় হ্যাকার হানা হয়েছিল। আবার গত ৪ ডিসেম্বর, দিল্লির এইমসের মূল ভবনের উল্টো দিকের সফদরজং হাসপাতালের সার্ভারও হ্যাক করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঠিক করে নেওয়া হয়।

    তবে যাইহোক, আইসিএমআর-এর (ICMR) ওয়েবসাইট এতটাই সুরক্ষিত যে, হ্যাকাররা ৬ হাজার বারের বেশি চেষ্টা করলেও তা বিফলে যায়। কোনও তথ্যই হাতিয়ে নিতে পারেনি হ্যাকাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ফের কমবে শীত? কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

    West Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ফের কমবে শীত? কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় (West Bengal Weather)। শীতের আমেজ বজায় থাকলেও কনকনে শীতের দেখা নেই কলকাতায়। আগামীকাল পর্যন্ত শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে। তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আজ কলকাতায় সামান্য নেমেছে পারদ। সকাল-সন্ধ্যা শীতের আমেজ বহাল থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ থেকে কমে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি থেকে সামান্য কমে ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ন্যূনতম ৪৮ শতাংশ, সর্বাধিক ৯১ শতাংশ। কলকাতায় আজ পরিস্কার আকাশ থাকবে। সঙ্গে থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। শীতের আমেজ বেশি টের পাওয়া যাবে ভোর ও রাতের দিকে৷ উত্তুরে হাওয়ার আধিক্যও থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রায় পরিবর্তন হবে?

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস-এর লক্ষ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ু উপকূলে হাজির হবে। ঝড়ের সরাসরি প্রভাব এ রাজ্যে পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুধু কিছুটা শীতের প্রকোপ কমবে। তাপমাত্রা কয়েকদিন সামান্য বাড়বে। আগামী পাঁচদিন পশ্চিমবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মূলত পরিস্কার আকাশ থাকবে। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে (West Bengal Weather)।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তাপমাত্রারও তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। আপাতত যেমন তাপমাত্রা আছে, তেমনই থাকবে। অর্থাৎ যেমন ঠান্ডা আছে, সেরকমই থাকবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আপাতত যা তাপমাত্রা আছে, সেটার থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে (West Bengal Weather)।

    সাধারণত কলকাতায় ঠান্ডা পড়ে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর থেকে। ফলে শীতের জন্য এখনও দেড় সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় আসার ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাঁকিয়ে শীত পড়তে এখনও দেরী (West Bengal Weather)।

  • Nirmala Sitharaman: ‘বড় মাছদের জালে তুলুন’, মাদক পাচার রুখতে দাওয়াই নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: ‘বড় মাছদের জালে তুলুন’, মাদক পাচার রুখতে দাওয়াই নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় মাছদের জালে তুলুন। রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা কর্তাদের একথা বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। আজ, মঙ্গলবার ওই অনুষ্ঠান হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিরাট পরিমাণে কোকেন আসছে দেশে। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, এর অর্থ কি ভারতের (India) মধ্যে দিয়ে এখন আর চোরাচালান হচ্ছে না? ভারতেই কেবল কোকেন সেবন বেড়েছে?

    নির্মলা উবাচ…

    এদিন মন্ত্রী রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান যাতে করে  এই মাদক পাচারের (Drug Trafficking) নেপথ্যে কারা রয়েছে সেই বড় চাঁইদের নাগাল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, মাদক পাচারকারী, যারা বিক্রি করছে, তাদের ধরছেন। কিন্তু পর্দার পিছনে থাকা বড় মাছদের ধরতে পারছেন কি?

    কেবল মাদকই পাচার হচ্ছে না, মাদকের সঙ্গে সঙ্গে সোনাও পাচার হচ্ছে। মাদক, সোনা পাচার রুখতে রাজস্ব গোয়েন্দাদের সক্রিয় হতে বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, প্রতি বছর ৮০০ কেজি করে সোনা ধরা পড়ছে। সাধারণত বলা হয়, আমদানি শুল্ক বাড়লে সোনা পাচার বাড়ে। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে আদৌ সম্পর্ক রয়েছে কিনা, নাকি সোনা পাচার নিজস্ব নিয়মে চলছে, তা দেখা দরকার।

    প্রসঙ্গত, রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৪০৫ কোটি টাকার সোনা আটক করা হয়েছে। পশ্চিম এশিয়া থেকে এখন সোনা আসছে মায়ানমার থেকে, মণিপুর দিয়ে। জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩ হাজার ৪৬৩ কেজি হেরোইনও বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ৮৩৩ কেজি। আর কোকেন উদ্ধার হয়েছিল ৩২১ কেজি।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, অপরাধ চক্র দ্রুত বদলাচ্ছে। তারা সোনা, মাদক পাচারের নতুন নতুন পন্থা বের করছে। তিনি বলেন, আপনারা ছোট ছোট ব্যবসায়ী, পাচারকারীদের ধরছেন। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কী যথেষ্ট? সীতারামণ বলেন, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হলে এটা যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন পাচারের নেপথ্যে যেসব বড় বড় চাই রয়েছে, তাদের ধরা। তিনি বলেন, যতক্ষণ না আপনারা কয়েকটা বড় মাথাকে ধরতে পারছেন, ততক্ষণ মানুষের মনে প্রশ্নটা থেকেই যাবে, কারা করাচ্ছে এসব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GST Collection: নভেম্বরেও বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    GST Collection: নভেম্বরেও বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর নভেম্বর মাসে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collection) পরিমাণ। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রকের তরফে শেয়ার করা হয় ডেটা (Data)। তাতেই দেখা গিয়েছে, জিএসটি (GST) সংগ্রহের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে যে পরিমাণ জিএসটি আদায় হয়েছে, এবার তার ১১ শতাংশ বেশি। এটি হল নবম মাস যখন জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছাড়াল ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার গণ্ডী।

    গ্রস জিএসটি…

    অর্থমন্ত্রকের তরফে শেয়ার করা হয় ডেটা থেকে এও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে গ্রস জিএসটি রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি রয়েছে ২৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এসজিএসটি রয়েছে ৩২ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা, আইজিএসটি রয়েছে ৭৭ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে থেকে জানা গিয়েছে, সরকার সিজিএসটিতে ৩৩ হাজার ৯৯৭ কোটি এবং এসজিএসটিতে ২৮ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা সেটেলড করেছে।

    আরও পড়ুন: বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন? দিতে হতে পারে জিএসটি, জেনে নিন নিয়ম

    নভেম্বরে কেন্দ্র ও রাজ্যের রেগুলার সেটেলমেন্ট সিজিএসটির (GST Collection) জন্য ৫৯ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। এসজিএসটির পরিমাণ ৬১ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। এই মাসেই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ দিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি মাসে পণ্য আমদানি বাবদ রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ২০ শতাংশ। ডোমেস্টিক ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৮ শতাংশ বেশি। জানা গিয়েছে, জিএসটি (GST) কাউন্সিলের ৪৮তম বৈঠকটি হবে ১৭ ডিসেম্বর। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। 

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর 

    প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেও ভারতের জিএসটি সংগ্রহের (GST Collection) পরিমাণ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পণ্য এবং পরিষেবা করের কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে গতমাসে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম মাসে বৃদ্ধি অব্যহত। আগের বছরের জুলাই মাস থেকে এ বছরের জুলাই মাসে ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি সংগ্রহ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিএসটি সংগ্রহ ছিল ১১, ৬৩৯৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BSF: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা! বিএসএফের গুলিতে খতম এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    BSF: ভারতে প্রবেশের চেষ্টা! বিএসএফের গুলিতে খতম এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে পাকিস্তানি ড্রোনের উৎপাত, অন্যদিকে পাকিস্তানিদের অনুপ্রবেশ দুই-ই বেড়ে চলেছে। এমনই এক ঘটনা ঘটল গতকাল গভীর রাতে। এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে হত্যা করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ানরা। সোমবার লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) পেরিয়ে রাজস্থান দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অপরাধে তাকে গুলি করে হত্যা করে রাজস্থান বিএসএফ (BSF)।

    পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে নিকেশ বিএসএফ জওয়ানদের

    ঘটনাটি ঘটে রাজস্থানের গঙ্গানগর হারমুখ চেকপোস্টের কাছে। ১৪ এস নামক ওই গ্রাম দিয়ে এর আগেও অনেক পাকিস্তানি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে প্রশাসনের ধারণা। সূত্রের খবর, গতকাল টহলদারির সময় বিএসএফ জওয়ানরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তি সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। জওয়ানরা বারবার তাকে সতর্ক করে ও সেখান থেকে সরে যেতে বলে। যদিও ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী তাতে কান দেয়নি। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলিতে মৃত্যু হয় অনুপ্রবেশকারীর।

    আরও পড়ুন: পাক হানাদারি রুখতে বিএসএফ-এর হাতে এল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন

    এক সিনিয়র বিএসএফ (BSF) কর্মকর্তা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ও বলেছেন, “সোমবার হারমুখ চেকপোস্টের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তান থেকে আসা এক অনুপ্রবেশকারীকে সতর্ক করে বিএসএফ জওয়ানরা। অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আসার জন্য এগোতে থাকে। তখনই তাকে গুলি করা হয় ও তল্লাশি অভিযানের সময় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছন, এলাকাটি ঘেরাও করা হয়েছে এবং তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ওই ব্যক্তি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিনি (BSF) বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে পাকিস্তান রেঞ্জারদের জানিয়েছি। তবে তারা অনুপ্রবেশকারীর পরিচয় যাচাই করতে ও তার মৃতদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে।” আরও জানানো হয়েছে, শেষপর্যন্ত পাকিস্তান মৃতদেহের পরিচয় দিতে অস্বীকার করলে শবদেহ দাহ করে দেওয়া হবে।  

    সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং মাদক চোরাচালনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই কাজে পাক ড্রোনেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে যেমন জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ করাতে মরিয়া তেমনি রাজস্থান এবং পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার প্রতিনিয়ত করে চলেছে পাকিস্তান। ফলে অনুপ্রবেশ নিয়ে নতুন করে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চলতি বছরে শীতের সময়েই আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। আর বাড়তি নজরের ফলেই গতকাল এই অনুপ্রবেশকারীকে খতম করতে সফল হল বিএসএফ (BSF)।

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার এমবিবিএসের (MBBS) মেধা তালিকা (Merit List) খারিজের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চলতি বছর যে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকাই বাতিল করে ফের নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশ আদালতের। দুঃস্থ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় সোমবার এই  মেধা তালিকা খারিজের নির্দেশ দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলার কারণ…

    মামলাকারী তিস্তা দাস নিট পাশ করেছিলেন। মেধাতালিকায় তাঁর নামও ছিল। তিস্তার তরফে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। তাই তাঁর মক্কেল যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেক দূরের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ৩ হাজার ৪১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ শতাংশ দুঃস্থদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ার কথা। কিন্তু করা হয়েছে মাত্র ২৩৪ জনকে। শতাংশের হিসেবে মাত্র ৬। তিস্তার আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) জানান, সংরক্ষণের এই নিয়ম না মানায় তাঁর মক্কেল যোগ্য হয়েও অনেক দূরের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সওয়াল জবাব শেষ এদিন বিচারপতি ওই তালিকাই খারিজ করে দেন।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত কিছু বলব না। তবে একথা বলতে পারি, যখন আমরা পড়াশোনা করেছি, তখন হাতেগোণা কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ, কয়েকটি মাত্র এমবিবিএসের আসন ছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১১ বছরে যে পরিমাণ মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন, তা দৃষ্টান্ত। প্রায় সাড়ে চার হাজার এমবিবিএস ডাক্তারি আসনও তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা চিকিৎসার জগতে যাওয়া বা মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং আদালতের (Calcutta High Court) সেই বিষয়টি দেখা উচিত। তিনি বলেন, কারণ একটা নির্দেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কিছুদিন আগেই বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটারে নিটের ফল নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, শান্তনু সেনের মেয়ে সৌমিলি নিট পাশ না করেই মেডিক্যাল পড়ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! বাংলায় আবহাওয়ার কি পরিবর্তন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় শীতের আমেজ বজায় থাকলেও কনকনে শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল নিম্নচাপ। নতুন করে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত যা নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতরের থেকেও জানানো হয়েছে, ধেয়ে আসছে মন্দৌস ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Mandous)। আগামীকাল, ৭ নভেম্বর থেকে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন ভাবে বাংলায় পড়বে না। কারণ এটির অভিমুখ দক্ষিণমুখী। ফলে এর প্রভাব দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেই বেশি পড়বে।  

    ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানডাউস’

    বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর নামকরণ করা হয়েছে মন্দৌস (Cyclone Mandous)। দুর্যোগ আরও ঘনীভূত হয়ে ৮ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, উপকূলে পৌঁছে গিয়ে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু ৭ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কারাইকালের উপর বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে, বলছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন:পারদ ওঠা-নামার মাঝেই নিম্নচাপের পূর্বাভাস, বাংলায় কি প্রভাব পড়বে?

    কলকাতার আবহাওয়া

    অন্যদিকে গতকালের তুলনায় আজ কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় ফের সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান ঠাণ্ডার আমেজ বজায় থাকবে। এরপর ২-৩ দিনের জন্য তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, তৈরি হতে পারে মেঘলা আকাশ, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজকের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দুদিন তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। দক্ষিণবঙ্গেও তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ৮ ডিসেম্বরের থেকে নিম্নচাপের (Cyclone Mandous) পরোক্ষ প্রভাব হিসাবে বাংলায় তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

  • Dominique Lapierre: প্রয়াত ‘সিটি অফ জয়’-এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

    Dominique Lapierre: প্রয়াত ‘সিটি অফ জয়’-এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশ্বখ্যাত লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের (Dominique Lapierre)। ইনি হলেন ‘সিটি অফ জয়’ উপন্যাসের লেখক। কলকাতা শহরের এক রিক্সাচালকের কষ্টের জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল এই বইটিতে। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আজ, তাঁর স্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

    ভারতের অনুরাগী ডমিনিক

    ভারত এবং বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিদারুণ। শুধু কলকাতাকে নিয়েই লেখেননি, ভারতের বড় অনুরাগীও ছিলেন এই ফরাসি লেখক। তাই তিনি কলকাতাকে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরেছিলেন। এই বইয়ের জন্য ২০০৮ সালে ডমিনিক ল্যাপিয়েরকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। তিনি ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর ভারতের প্রতি টান ছিল অগাধ। তাঁর (Dominique Lapierre) ভারত সম্পর্কে জ্ঞানও ছিল অনেক।

    আরও পড়ুন: পাশে বসে ‘বলিউড বাদশা’, জানতেই যা কাণ্ড করে বসলেন এই হলিউড সুপারস্টার

    তিনি (Dominique Lapierre) ১৯৮৫ সালে কলকাতাকে মাথায় রেখেই বই লিখেছিলেন, যাঁর নাম ‘City of Joy’। কলকাতার এক রিক্সাচালকের জীবনের উপর ভিত্তি করেই তাঁর এই লেখা। রিক্সাচালকের প্রতিদিনের কষ্টকে তুলে ধরেছিলেন তাঁর এই বইতে। তাঁর মানবিকতারও কোনও তুলনা নেই। এই বইয়ের থেকে যা উপার্জন হয়েছে, তার বেশির ভাগটাই এ দেশের কুষ্ঠ, পোলিও, টিবি রোগীদের উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। উল্লেখ্য, পরে এই গল্পের উপর ভিত্তি করেই ১৯৯২ সালে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছিল।

    ডমিনিক ল্যাপিয়েরের কিছু উপন্যাস

    ডমিনিক ল্যাপিয়ের (Dominique Lapierre) জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে, চ্যাটেইলনে। আমেরিকার লেখক ল্যারি কলিন্সের সঙ্গে তাঁর লেখা ছটি বইয়ের প্রায় ৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত হল “ইজ প্যারিস বার্নিং?” বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল, ‘অর আই উইল ড্রেস ইউ ই মোরিং’ (১৯৬৮), ও ‘জেরুজালেম’ (১৯৭২), ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট’ (১৯৭৫), ‘দ্য ফিফথ হর্সম্যান’ (১৯৮০)। তবে তিনি না ফিরে আসার দেশে চলে গেলেও, তাঁর নানা কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তো ছিলই, এবার শিক্ষকদের বদলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Corruption) উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বিচারপতির নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক বদলি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি এই  মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর? 

    সোমবার পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। স্কুল পরিদর্শক জানান, “বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি (Corruption) নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র – শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছেনা। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন।” এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পুরুলিয়ার সব স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষকের অনুপাতের হিসেব চেয়ে পাঠান।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ  

    স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পড়ুয়াদের কথা না ভেবেই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনেও কি দুর্নীতি (Corruption) রয়েছে? আদালতের পর্যবেক্ষণে বলে, এমন বদলির কারণে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অনেক স্কুল। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় যেখানে সরকারি স্কুলই ভরসা। সেখানে এমন চললে শিশুরা সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

    এদিন পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষক সোমনাথ মণ্ডলের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ জন ছাত্র আছে৷ সেখানে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জনকে অন্যত্র বদলির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ওই স্কুলে এখন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন ! এর পিছনে অন্য বিষয় (Corruption) আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার৷’’

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতি (Corruption) হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও শিক্ষক বদলির মামলায় শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ বার শিক্ষক বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share