Blog

  • Coal Smuggling Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত রত্নেশের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Coal Smuggling Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত রত্নেশের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রত্নেশ বর্মাকে (Ratnesh Verma) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। এই রত্নেশ কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত লালার ঘনিষ্ঠ। সোমবার সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রত্নেশকে তোলা হয়েছিল আসানসোল সিবিআই আদালতে। ওই আদালতের বিচারক সেদিন রত্নেশকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ার পর ফের সোমবার তাঁকে তোলা হল আসানসোল আদালতে।

    রত্নেশ…

    জানা গিয়েছে, এদিন রত্নেশের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ তাঁর হয়ে জামিনের কোনও আবেদন করেননি। তার পরেই বিচারক রত্নেশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই আধিকারিকরা জেলে গিয়ে রত্নেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে আদালত জানিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের নরসমুদা খনি লাগোয়া এলাকায় বাড়ি রত্নেশের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনি কয়লা পাচারের পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। চুরি হওয়া কয়লা রত্নেশের সাহায্যেই মাফিয়ারা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। রত্নেশের নিজের লরি ছিল। বেআইনি কয়লা পাচারের জন্য অন্যান্য লরিও নিজের কাজে ভাড়া খাটাতেন।

    আরও পড়ুুন: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    জানা গিয়েছে, ভুয়ো চালান দিয়ে এই কয়লা পাচার করা হত। রত্নেশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, পাচারের পুরো কর্মকাণ্ডে লিংকম্যানের কাজ করতেন তিনি। এই মামলায় রত্নেশকে ফেরার ঘোষণা করেছিল বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। ২০১৯ ও ২০২০ সালেও রত্নেশের বিরুদ্ধে পর পর দুবার লুকআউট নোটিশ জারি হয়েছিল। অনেক দিন ধরেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৩১ জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ। সেই দিনই বিচারক তাঁকে জেলা পাঠান। পরবর্তীকালে ২ ফেব্রুয়ারি রত্নেশকে ফের আদালতে তোলা হলে সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর কাছ থেকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য এবং কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সোমবার রত্নেশকে ফের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল জেলে। এই জেলেই রয়েছেন গরু পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোবাইলের সাহায্যে জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন কেষ্ট, এমন অভিযোগ নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, ঠিক তখনই অন্য একটি মামলার শুনানিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলে বন্দিদের মোবাইল ব্যাবহার রুখতে রাজ্যের সব সংশোধনাগারে জ্যামার ও ফুল বডি স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ দিল আদালত (Kolkata High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ (Divison Bench) এই নির্দেশ দিয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ

    বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বন্দিদের কোর্ট থেকে ফিরিয়ে আনার পর আগে তাদের গোটা দেহ ওই মেশিনে তল্লাশি করতে হবে। মোবাইল সহ কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট যাতে জেলের ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে জেল দফতরকে। হাইকোর্টকে (Kolkata High Court) বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কারা দফতরের একাধিক অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের লিখিত নির্দেশ দিলেও পরে রাজ্যের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে আদালত।

    মাদক মামলা চলাকালীন নির্দেশ

    ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে জলঙ্গি থেকে  তাজবুল শেখ ও সুকুর মণ্ডল নামের দুই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মাদক মামলায় অভিযুক্ত ওই দুই যুবকের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে নজরদারি কড়াকড়ি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতে শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী রুদ্রদ্বিপ্ত নন্দী বলেন, তাজবুল ও সুকুর মাদক ব্যবসায় পারদর্শী। সংশোধনাগার (Jail) থেকে গোপনে ফোনের মাধ্যমে ওরা ব্যবসা চালায়। মাদক ব্যবসায় এক অভিযুক্তের সঙ্গেও দুই যুবকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি বাগচী এই তথ্য শুনে  হতবাক হয়ে পড়েন। এরপরই তিনি রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারে চার সপ্তাহের মধ্যে জ্যামার ও ফুল বডি ইলেকট্রনিক্স স্ক্যানার (Full Body Electronic Scanner) বসানোর নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    নির্দেশ প্রসঙ্গে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাম্প্রতিককালে একাধিক হেভিওয়েট নেতা জেলবন্দি রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কাজল শেখ। তাঁর দাবি ছিল, জেলে বসেই জেলা কন্ট্রোল করছেন অনুব্রত। এমনই এক পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলছেন, ‘নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা ভীষণভাবে দরকার। জেলের সাধারণ কয়েদিদের পরিবার যখন দেখা করতে যান, তখন তাঁদের একটু হয়ত হয়রানি হবে। কিন্তু জেলটাকে তো তামাশা হিসেবে নেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার এটিকে তামাশা বানিয়ে দিয়েছে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dhankhar Ananda Meeting: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    Dhankhar Ananda Meeting: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার উপ রাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Former West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar) বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor C V Ananda Bose)। ধনখড়ের সঙ্গে এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও আনন্দ বোসের বৈঠক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ধনখড়-আনন্দ সাক্ষাত

    সোমবার হলুদ গোলাপ নিয়ে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ধনখড় নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই সাক্ষাতের একটি ছবি  ট্যুইট করেছেন। যদিও তাঁদের মধ্যে ঠিক কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এটিকে সৌজন্য সাক্ষাত বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। রবিবার গভীর রাতে দিল্লিতে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এরপর বঙ্গভবনে ওঠেন তিনি। এরপরই প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। বর্তমান রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যে তাঁর অতীতের অভিজ্ঞতা কি শেয়ার করলেন ধনখড়? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিকি মহলে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যকে ভালভাবে বুঝতেই প্রাক্তনের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছেন আনন্দ বোস।

    সুকান্ত-আনন্দ সাক্ষাতের পর দিল্লি-যাত্রা 

    রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আর্জি নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যে হিংসা নিয়েও একাধিক অভিযোগ জানান তিনি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন সুকান্ত। তারপরই রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, নির্বাচনে হিংসার কোনও স্থান নেই। কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে এবং তার জন্যে সময়োচিত এবং সদর্থক পদক্ষেপ করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরালেন রাজ্যপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

    একই সঙ্গে দুর্নীতির প্রশ্নেও কড়া বার্তা শুনিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর সাফ কথা, দুর্নীতিকে কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হবে। রাজ্যপালের বক্তব্য, “আপনি যতই উঁচু পদে থাকুন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন।” সম্প্রতি রাজ্যপালের ইচ্ছাতেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও। এরপরই ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন আনন্দ বোস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়াতে চলেছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক। সোমবার ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করার কথা ঘোষণা করে এসএসসি।

    এসএসসির বিজ্ঞপ্তি

    দিন দু’য়েক আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশ বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ ডি-র পর এবার চাকরি বাতিল নবম-দশমের।  নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা এর আগে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ সালের নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০৫ জনেরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পথে। পর্যায়ক্রমে আরও অযোগ্য প্র্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৬: একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কমিশন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরির সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। অভিযোগ, চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন না। প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছিল, ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওএমআর শিটে কেউ পেয়েছেন ৪, কেউ পেয়েছেন ২৬, অথচ তাঁদের সকলকে ৫৩ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে।ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে এসএসসির পরীক্ষায় বসা ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল

    কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির কথা স্বীকার করার পরেই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, এসএসসি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল করুক। এই প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে শুরু করার নির্দেশও দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DA Protest: বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি, অনশন রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA Protest: বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি, অনশন রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতার (DA Protest) দাবিতে কর্মবিরতিতে অনড় রাজ্য সরকারের কর্মীরা। আজ, সোমবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই কর্মসূচি পেয়েছেন কো-অর্ডিনেশন কমিটি সমর্থন। কর্মবিরতির কথা জানিয়েই ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।     

    ২০০৯ থেকে এখনও পর্যন্ত এআইসিপিআই নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি মহার্ঘ ভাতা। এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতেই এই আন্দোলন। এছাড়াও শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিও জানানো হয়েছে। চলছে টানা অনশন। বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

    কী দাবি সরকারি কর্মীদের?   

    সংগঠনের সদস্যরা (DA Protest) জানিয়েছেন, “এ দিন অফিসে গিয়ে সই করলেও তাঁরা কোনও কাজ করবেন না। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।” এ দিন ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বহু সরকারি কর্মী যোগ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই দাবি বকেয়া ডিএ দিতে হবে ও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। যতদিন না বকেয়া টাকা না মিলবে, এই আন্দোলন চলবে।

    আরও পড়ুন: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    এই বিষয়ে বিজেপি সর্ব ভারতীয়সহ (DA Protest) সভাপতি বলেন, “সরকারি কর্মীদের কথা কেউ শোনেনি। একদিন না একদিন বিস্ফোরণ হবেই। রাজ্যের মানুষ একসময় ক্ষেপে যাবেন। আজ যদি এই কর্মচারিরা পেন ডাউন করেন তাহলে গোটা রাজ্যের কী হবে?”   

    কলকাতার বাইরে জেলাগুলিতেও একই চিত্র (DA Protest)। ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আসানসোল আদালত চত্বরে কর্মবিরতি পালন করা হয়। বারাসাত আদালতেও কর্মবিরতি চলে। বহরমপুরেও একই চিত্র।

    মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে পশ্চিমবঙ্গ আদালত কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে ডিএ (DA Protest) এর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ১৯ দফা দাবি জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা অভিযান এবং মার্চে আরও বড় আন্দোল কর্মসূচি নিতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। মিটিয়ে দিতে হবে যাবতীয় বকেয়া ডিএ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    SSC Scam: ঠিক কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি, পদ্ধতি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট জালিয়াতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর (SSC Scam) চাকরি। হাইকোর্টের নির্দেশে এই কর্মীদের চাকরি বাতিল করেছে এসএসসি।  কীভাবে হত ওএমআর জালিয়াতি? এখনও এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছিল গোয়েন্দাদের। কীভাবেই বা ধরা পড়লেন এই ভুয়ো শিক্ষকরা? কীভাবে এই জালিয়াতির হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা? শুরুতে বেগ পেলেও পরবর্তীতে গোয়েন্দারা ধরে ফেলেন কারচুপির পদ্ধতি। তদন্তকারীদের কাছ থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সব দুর্নীতির নেপথ্যে এক ফর্মুলা। সব চাকরি চুরিতেই এক ছকেই দুর্নীতি। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দালালের নিজস্ব ‘কোড’রয়েছে। কুন্তলের চাকরির কোড ২। পুরো বিষয়টাই হত ভীষণ নিয়ম মেনে। কুন্তলকে টাকা দিলে ওএমআর শিটে ২টি গোল দেওয়ার নির্দেশ থাকত। আরেক এজেন্টের কোড সাদা খাতা। কিন্তু সাদা খাতা জমা দিলে তো ফেল করার কথা। সেক্ষেত্রে, সাদা খাতা জমা চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হত। যার ফলে পরীক্ষার্থী পেয়ে যেতেন পাশ নম্বর। ওএমআর শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট হত সহজেই।

    আরও পড়ুন: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    রহস্যভেদ হল কীভাবে? 

    গাজিয়াবাদে নাইসার হার্ডডিস্কে সব ওএমআর শিটের তথ্য রয়েছে। সেখান থেকেই এই কারচুপির কথা জানতে পারে সিবিআই। ওএমআর ও সার্ভারের নম্বর মিলিয়ে দেখতেই পর্দাফাঁস।  তারপরেই সেই তথ্য হাইকোর্টকে দেয় আদালত।

    সব রাজ্য সরকারি চাকরিতেই একই ফর্মুলায় দুর্নীতি। কী সেই ফর্মুলা?

    • প্রত্যেক দালালের নিজস্ব ‘কোড’। 
    • কুন্তলের চাকরির কোড ২। 
    • কুন্তলকে টাকা দিলে ওএমআর-এ ২টি গোল। 
    • আরেক এজেন্টের কোড সাদা খাতা। 
    • সেক্ষেত্রে, সাদা খাতা জমা চাকরিপ্রার্থীর। 
    • ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে পাশ।
    • ওএমআর-এ শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট।

    এদিকে যে এজেন্টের মাধ‌্যমে কুন্তল ঘোষের টাকা মানিক ভট্টাচার্যর (SSC Scam) হাতে যেত, সেই এজেন্টের খোঁজ চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, রাজ‌্যজুড়ে এরকম প্রায় ৪০ জন এজেন্টের সন্ধান মিলেছে। যারা প্রভাবশালীদের হাতে দুর্নীতির টাকা তুলে দিতেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pravakaran: রাজীব গান্ধী হত্যায় যুক্ত প্রভাকরণ জীবিত! নয়া দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

    Pravakaran: রাজীব গান্ধী হত্যায় যুক্ত প্রভাকরণ জীবিত! নয়া দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তামিল টাইগার্স’-র (LTTE Chief) প্রাক্তন প্রধান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ (Prabhakaran)জীবিত বলে খবর। তামিল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্টের নেতা পি নেদুমারান (P Nedumaran) সোমবার সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন, বহাল তবিয়তে রয়েছে  প্রভাকরণ। এমনকি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে তার। উপযুক্ত সময় মতো সে প্রকাশ্যেও আসবে।

    প্রভাকরণ জীবিত

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রভাকরণের। উত্তর শ্রীলঙ্কার মুল্লিভায়াকালের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। সেই সময় তাঁর দেহ প্রকাশ্যে আনে তৎকালীন শ্রীলঙ্কা সরকার। মৃতদেহটি সনাক্ত করেছিলেন তৎকালীন আরেক এলটিটিই নেতা করুণা আম্মান। প্রভাকরণের জীবিত থাকার দাবি এই প্রথম নয়। বেশ কয়েক বছর আগেও LTTE প্রধান জীবিত আছেন বলে দাবি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার একজন তামিল জাতীয়তাবাদী নেতা। 

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    রাজীব গান্ধী হত্যার সঙ্গে যুক্ত

    শ্রীলঙ্কার বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। এটিই প্রভাকরণের ‘অন্তরাল’ ভেঙে সামনে আসার আদর্শ সময়, জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেদুমারান। তবে কখন কী ভাবে সে প্রকাশ্যে আসবে, সেটা স্পষ্ট নয়। যদিও একটি বিষয় নিয়ে ধন্দ নেই বর্ষীয়ান নেতার। ‘তামিল এলম’ তৈরির ব্যাপারে বিশদ পরিকল্পনা তৈরি প্রভাকরণের। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন তামিল জাতীয়তাবাদী নেতা আজও মনে করেন যে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রভাকরণে মৃত্যুর খবর বিশ্বাসযোগ্য নয়। এলটিটিই প্রধান সংঘর্ষ চলাকালীন পালিয়ে বেঁচেছেন বলে মনে করেন তাঁরা। ১৯৫৪ সালে ২৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার জাফনার উত্তরে অবস্থিত ভেলভেত্তিয়াথুরাই-তে জন্ম মৃত LTTE প্রধান ভেনুপিল্লাই প্রভাকরণের। তামিলদের প্রতি শ্রীলঙ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিদের বৈষম্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তামিলদের অধিকার রক্ষায় তৈরি করেছিলেন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (LTTE)।  ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা ঘটনায় প্রভাকরণের এলটিটিই-র হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Turkey Earthquake: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে চলছে দেদার লুটপাট, গ্রেফতার ৪৮

    Turkey Earthquake: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে চলছে দেদার লুটপাট, গ্রেফতার ৪৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ভোরে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে (Turkey Earthquake) কেঁপে ওঠে তুরস্ক। প্রভাব পড়ে সিরিয়াতেও। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। দুই দেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চারিদিকে শুধুই হাহাকার। আর এর মাঝেই এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল তুরস্ক। আর এরই মধ্যে চলছে দেদার লুটতরাজ। বিপর্যন্ত মানুষদের বোকা বানিয়ে জালিয়াতি এবং চুরির অভিযোগে গত ৬ দিনে মোট ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।      

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ হাতায় লুটতরাজের (Turkey Earthquake) অভিযোগে ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে তুরস্ক পুলিশ। অন্যদিকে গাজিয়ানটেপ এলাকায় এক ব্যক্তিকে ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করার চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরও ৬ জনকে।   

    সোমবারের ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দশটি এলাকায় আগামী তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট তায়ইপ এর্দোগান। এই অবস্থায় লুঠতরাজের অভিযোগে ৭ দিনের জন্যে আটক করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

    শনিবার ডিয়ারবাকির প্রদেশে ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট (Turkey Earthquake)। সেদিনই তিনি সাফ বলেন, লুঠতরাজের ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে যার অর্থ হল, লুঠপাট এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের জানা উচিত, রাষ্ট্র এই ধরনের অপরাধ কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    আফটারশক 

    এখনও বার বার আফটার শকে কেঁপে উঠছে তুরস্ক। গত রবিবারও এমনই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক (Turkey Earthquake)। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৭। ভূমিকম্পে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্কের শহর কাহরামানমারাস৷ এর পাশাপাশি আদিয়ামান, মালাটিয়া, দিয়ারবাকির শহরগুলিতেও ক্ষয়ক্ষতির ছবি সামনে এসেছে৷

    পৃথিবীর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম তুরস্ক৷ গত একশো বছরে এই অঞ্চলে এটিই অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প (Turkey Earthquake) বলে দাবি করা হচ্ছে৷ ১৯৯৯ সালে এই তুরস্কেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারান৷ তার মধ্যে ইস্তানবুলেই ১০০০ মানুষের মৃত্যু হয়৷ ২০২০ সালেও তুরস্কে দু’টি বড় ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা, আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা, আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর নির্বাচনী ক্ষেত্রের পুনর্বিন্যাস বাতিলের আর্জি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, আজ সেই আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা শুরু করে কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা এবং বিধানসভা ভাগ করা হয়, তাতে দেখা যায় জম্মুর ৪৩ এবং কাশ্মীরের ৪৭টি বিধানসভা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। লোকসভার আসনও পুনর্বিন্যাস করা হয় একই সময়ে। আর এই পুনর্বিন্যাস নিয়েই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের মামলা আজ খারিজ করা হল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে।

    কী ঘটেছে?

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করা হয়েছিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে – জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ চালিয়েছে কেন্দ্রে। এই কাজের জন্য প্যানেলও তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর মে মাসে সেই কাজ সম্পন্নও হয়েছে। পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০। এর মধ্যে জম্মুর আসন সংখ্যা ৪৩। অন্যদিকে ৪৭টি আসন রয়েছে কাশ্মীরে। পাশাপাশি, ভূস্বর্গের লোকসভা আসনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫। কিন্তু কেন্দ্রের এই পুনর্বিন্যাস নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। বিরোধীদের দাবি, পদ্ম শিবিরের রাজনৈতিক ফায়দার কথা মাথায় রেখে এই এলাকা পুনর্বিন্যাসের কাজ করেছে সরকার। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতের

    এর পরই পুনর্বিন্যাসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কাশ্মীরের দুই বাসিন্দা আবদুল গনি ও মহম্মদ আয়ুব। আসন পুনর্বিন্যাস করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কোনও কমিশন নিতে পারেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল এবং এএস ওকা মামলাটি খারিজ করে দেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০১৯-র জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সঙ্গে আবেদনকারীদের আর্জির কোনও যৌক্তিকতা নেই। আদালতের তরফে আরও জানানো হয়, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে। সেগুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস আইন, ২০১৯ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না সুপ্রিম কোর্ট। ফলে মোদি সরকারের আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তই বজায় থাকল।

  • ICC T20 World Cup: মাহির মতো ম্যাচ ফিনিশার হচ্ছেন রিচা! চাপের মধ্যে দুরন্ত ইনিংস বঙ্গতনয়ার

    ICC T20 World Cup: মাহির মতো ম্যাচ ফিনিশার হচ্ছেন রিচা! চাপের মধ্যে দুরন্ত ইনিংস বঙ্গতনয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের আদর্শ মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরজনের বিরাট কোহলি। রিচা ঘোষ ও জেমাইমা রড্রিগেজ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। যাঁদের হাত ধরেই মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে  সাত উইকেটে হারিয়ে যাত্রা শুরু করল ভারত। 

    ব্যাক টু ব্যাক দুটো বিশ্বকাপ

    কয়েক দিন আগেই ছোটদের ক্রিকেটে বিশ্বজয় করেছেন। মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরে শিলিগুড়িতে ফিরতেও পারেননি রিচা ঘোষ। কারণ, হরমনপ্রীত কৌরদের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ব্যাক টু ব্যাক দুটো বিশ্বকাপ খেলার কোনও ধকল বা ক্লান্তি নিজের পারফরম্যান্সে এতটুকু পড়তে দেননি রিচা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে ম্যাচ ফিনিশ করলেন বঙ্গতনয়া তা এখনও পর্যন্ত কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলা যেন রিচার কাছে ভাত-ডাল। 

    আরও পড়ুন: দুরন্ত বাংলার রিচা! পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু ভারতের মেয়েদের

    মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর আদর্শ। মাহির মতো ম্যাচ ফিনিশার হতে চান। একাধিক সাক্ষাৎকারে এই কথা শোনা গিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেট কিপার-ব্যাটার রিচা ঘোষের কাছ থেকে। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ম্যাচ উইনিং ইনিংসটা খেললেন বঙ্গতনয়া তারপর বলাই যায় ফিনিশার ধোনির মতো অনেকটা গুনই রপ্ত করে ফেলেছেন রিচা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাজঘর থেকে তৈরি হয়ে এসেছিলেন রিচা। দেখালেন, কী ভাবে অবলীলায় ম্যাচ বার করে নিয়ে যেতে হয়। বার বার তিনি ভরসা দিচ্ছেন হরমনপ্রীতদের।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রিচা যখন ব্যাট করতে নামেন তখন অধিনায়ক হরমনকে হারিয়ে চাপে ভারত। পাকিস্তানকে হারাতে ৩৯ বলে দরকার ছিল ৫৭ রান। সেখান থেকে জেমাইমাকে সঙ্গে নিয়ে দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি।  ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৫টি চার মেরেছেন। 

    জেমাইমার জেদ

    একদিকে থেকে যখন রিচা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছেন তখন অপরদিক থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জেমাইমা রড্রিগেজও। ৫৮ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। চার মেরে ম্যাচ জিতিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন জেমাইমা। ৩৮ বলে ৫৩ করে অপরাজিত থাকেন কোহলি অনুরাগী জেমাইমা।

LinkedIn
Share