Blog

  • Bhangar Arms: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার হদিশ, ধৃত ২

    Bhangar Arms: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার হদিশ, ধৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar Arms)। বুধবার সারা রাতের তল্লাশি অভিযানের পরে ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। এই ঘটনায় নজরুল মোল্লা ও শামসুদ্দিন রহমান নামে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি 

    জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। নাটাপুকুর এলাকায় নজরুল মোল্লার বাড়ি (Bhangar Arms) পৌঁছে পুলিশ দেখে, বাবা-ছেলে মিলে বোমা বাঁধছে। এক কথায় হাতেনাতে তাদের ধরে পুলিশ। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশের হাতে আসে। উদ্ধার হয়েছে ১টি একনলা বন্দুক, ১টি কার্তুজ, ৫টি সকেট বোমা ও ১৫ কিলোগ্রাম বোমা বানানোর মশলা।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করুন ১৮৩ জনের ভুয়ো নিয়োগের তালিকা, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের    

    তল্লাশি অভিযান শেষ হলে, থানায় ফিরে নিয়ম মাফিক সাংবাদিক বৈঠক করেন কাশীপুর থানার ওসি। সামনে সাজিয়ে রাখেন উদ্ধার হওয়া সামগ্রী (Bhangar Arms)। তিনটি টেবিল ভরে রাখা হয় সেই সামগ্রী।  

    ধৃতদের বৃহস্পতিবার সকালে বারুইপুর আদালতে চালান করেছে কাশীপুর থানা (Bhangar Arms)। এই অস্ত্র কারখানার পিছনে মূল মাথাদের সন্ধান পেতে, এই দুজনকে হেফাজতে রাখতে চায় পুলিশ। এই সব বোমা ও অস্ত্র কাদের কাছে বিক্রি করা হত তাও জানার চেষ্টা চলছে।  

    অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দাবি (Bhangar Arms), ধৃত নবিরুল শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। এর আগে একাধিকবার সে আইএসএফ কর্মীদের হুমকি দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করা তার নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    Indian Expats: চলতি বছর প্রবাসীরা ভারতে কত ডলার পাঠাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে কিংবা মেয়ে। বিদেশে গিয়েছে চাকরি করতে। মাস গেলে রোজগার করছেন রাশি রাশি ডলার। তার একটা অংশ তাঁরা পাঠাচ্ছেন দেশে বাবা-মা কিংবা সংসারে। পৃথিবীর সব দেশেই এই চল রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে এই প্রবাসীরা (Indian Expats) ভারতে (India) যে টাকা পাঠাবেন, তার সম্মিলিত পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বিশ্বব্যাঙ্কের (World Bank) তরফেই এ খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

    বিশ্বব্যাঙ্ক…

    কারণ ভারতই সেই দেশ, যে দেশের প্রবাসীরা তাঁদের দেশে পাঠিয়েছেন সব চেয়ে বেশি ডলার। বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। তাতে বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে ২০২২ সালে এই বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ বেশি। যার জেরেই প্রবাসীদের মাধ্যমে চলতি বছরে দেশে ঢুকেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার। কেবল ভারতে এত ডলার ঢুকলেও, তা অন্যান্য কয়েকটি দেশের তুলনায় ঢের বেশি। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, চলতি বছর সাউথ এশিয়ান দেশগুলিতে পাঠানো মার্কিন ডলারের পরিমাণ ১৬৩ বিলিয়ন। বিশ্বব্যাঙ্কের বক্তব্য, এই প্রথম কোনও একটি দেশ এককভাবে প্রবাসীদের মাধ্যমে এক বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তুলবে। বিশ্বব্যাঙ্কের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ হলেও, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। প্রবাসীরা (Indian Expats) যে ডলার দেশে পাঠান, তা উন্নত করে ওই পরিবারের অর্থনীতিকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বস্তুত, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের কাছে এই আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আয়ের ফলে তাঁদের সংসারে দূর হয় দারিদ্র, খাবারে বৃদ্ধি পায় পুষ্টির মান। শুধু তাই নয়, এই আয়ের ফলে খাবারে পুষ্টির মান বাড়ায় জন্মের সময় শিশুর ওজনও বাড়ে। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। কারণ এ দেশে অর্থাভাবে স্কুলছুটের হার ক্রমবর্ধমান। আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একদিকে যেমন তাঁদের মজুরি বেড়েছে, তেমনি অন্যদিকে আমেরিকায় বেড়েছে লেবার মার্কেটও। কেবল আমেরিকা নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও বেড়েছে লেবার মার্কেট। গলফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে মুদ্রাস্ফীতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সব মিলিয়েই বেড়েছে দেশে ডলার পাঠানোর হার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Update: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতে অধরাই শীত

    Weather Update: তাপ বাড়ছে শহরের, ডিসেম্বরের শুরুতে অধরাই শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেও শহর কলকাতায় অধরাই শীত (Weather Update)। মেঘলা আকাশ থাকায় উত্তর-পশ্চিম বাতাস প্রবেশ করতে পারছে না রাজ্যে৷ কিছুদিন আগেও ঠান্ডার আমেজ থাকলেও, হঠাৎ তা উধাও৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ ডিগ্রি ৷ কলকাতা এবং তার আশপাশে এলাকায় আবহাওয়া খানিকটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে৷ জেলাগুলি থেকেও ঠান্ডার আমেজ হাওয়া। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কাল শুক্রবার থেকে ফের ফিরতে পারে শীতের আমেজ৷ হেমন্তেও, বসন্তের উত্তাপ পাচ্ছে রাজ্য৷ এখনও হাল্কা করে চালাতে হচ্ছে ফ্যান৷ 

    কিন্তু আবহাওয়ায় কেন এই পরিবর্তন?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই আবহাওয়ায় (Weather Update) এই পরিবর্তন৷ সপ্তাহের শেষে শীতের আমেজ ফিরবে৷ তবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার এই পরিবর্তন থেকে রেহাই পেয়েছে উত্তরবঙ্গ৷ তাপমাত্রার নিম্নগতি এখনও অব্যহত৷ উত্তরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ইতিমধ্যে জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে৷ পারদ দশ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে৷ চলতি মাসে তাই জমিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করবে উত্তরবঙ্গবাসী৷

    আরও পড়ুন: ‘‘পুরো হযবরল…’’, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    কলকাতায় কবে ফিরবে শীত?   

    আবহাওয়াবিদদের মতে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে শীত পড়ার (Weather Update) সম্ভবনা নেই৷ তবে চলে যাওয়া হাল্কা ঠান্ডার আমেজ আগামিকালই ফিরবে৷ ফের ২-৩ ডিগ্রি নামবে পার৷ বুধবার কলকাতা এবং তার আশপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি৷ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮০ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ৷ বৃহস্পতিবার দিনের আকাশ থাকবে রৌদ্রজ্জ্বল৷ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি ও ২১ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে৷ বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা জলীয় বাষ্পের জেরেই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর হাওয়া অফিস বলছে,  জলীয়বাষ্পের প্রবেশ বেড়েছে বঙ্গোপসাগরে, এইজন্যে শহরে মেঘলা আকাশ ছিল, সেই  কারণে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে কিছুটা বেড়ে গেছে। তবে হাওয়া অফিস এটাও আশ্বস্ত করছে, পরবর্তী দু-তিনদিনের মধ্যে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা ফের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চলে আসবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      
      
     

        
     

  • Iran: পরাজয়ে উচ্ছ্বাস! বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে হারের পর ইরানের রাস্তায় আনন্দোৎসব! কেন?

    Iran: পরাজয়ে উচ্ছ্বাস! বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে হারের পর ইরানের রাস্তায় আনন্দোৎসব! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্য উচ্ছ্বাস। ফুটবল বিশ্বযুদ্ধে দেশ হেরেছে আনন্দে ফেটে পড়লেন বহু ইরানবাসী! এমন ঘটনা ক্রীড়াজগতের ইতিহাসেই প্রায় নজিরবিহীন। প্রিয় দল হারলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর্থকরা। খেলার মাঠেই ওঠে জাতীয়তাবাদের সুর। সেখানে এ যেন উল্টো রাজার দেশ। ফিফা বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে ইরানের পরাজয়ের পর আনন্দে ভাসলেন বহু ইরানি। ইরানের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। হিজাব আইনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে দেশ। তার মধ্যেই, কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ ইরানবাসীরা দলের ওপর প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ। তাই আমেরিকার কাছে ইরানের হারের পর উল্লসিত হাজার হাজার মানুষ তেহরান সহ একাধিক শহরের রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    রানের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। হিজাব আইনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে দেশ। তার মধ্যেই, কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ ইরানবাসীরা দলের ওপর প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ। তাই আমেরিকার কাছে ইরানের হারের পর উল্লসিত হাজার হাজার মানুষ তেহরান সহ একাধিক শহরের রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকেন।

    এই উচ্ছ্বাসযাপনের ভিডিয়ো প্রবলভাবে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে দলের হারের পর কীভাবে বাজি ফাটানো তে মেতে উঠেছেন একদল ইরানবাসী।

    সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

    ইরানের সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাসের পিছনে রয়েছে অন্য একটি কারণ। সেপ্টেম্বরে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে হিজাব বিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ ইরান। ‘নীতি পুলিশে’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মুক্তকেশী তরুণীরা। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। কিন্তু থেমে নেই শাসকও। বিক্ষোভ দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে ইরানে। ওই আইনে বয়স সাত বছরের বেশি হলে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট নিয়মে পরতে হয় হিজাব। ‘নীতি পুলিশের’ দল হিজাব বিধি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে থাকে। সেই বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশির মারে মৃত্যু হয় তরুণী মাশা আমিনির। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদী মিছিল।

    আরও পড়ুন: যুবরাজের উপহার! মেসিদের হারিয়ে মূল্যবান গাড়ি পেলেন সৌদি ফুটবলাররা

    ইরান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ফুটবলাররাও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলা শুরুর আগে জাতীয় সংগীত (Iran National Anthem) গাইতেও  অস্বীকার করেছিল ইরানের ফুটবলাররা।  যদিও পরে সরকারের চাপে তাঁরা সবকিছু মেনে নেন। দল হেরে যাওয়ায় সরকার আর খেলার মাঠকে ব্যবহার করতে পারবে না এই আনন্দেই উচ্ছ্বাস করছেন বিক্ষোভকারীরা। 

  • Gujarat Election: বিজেপির রেকর্ড জয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে গুজরাট নির্বাচনের ফল

    Gujarat Election: বিজেপির রেকর্ড জয়, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির শিরোনামে গুজরাট নির্বাচনের ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ‘ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরি’- র সঙ্গে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রথম পাতার শিরোনামজুড়ে শুধুই গুজরাট নির্বাচন (Gujarat Election)। বৃহস্পতিবার, ১৫৬টি আসনে জিতে রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। গুজরাট মসনদের ক্ষমতা টানা সাতবার ধরে রাখল তারা। তবে এই জয় ১৯৬০ সালে রাজ্যে দল গঠনের  পর থেকে সবচেয়ে বড় জয়।  

    সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস, নিক্কেই এশিয়া, আল জাজিরা, ইন্ডিপেনডেন্ট, এবিসি নিউজের মতো বড় বড় সংবাদপত্র গুজরাট নির্বাচনের (Gujarat Election) ফলাফল নিয়ে খবর করেছে। ব্রিটিশ প্রকাশনা দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টিকে উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এটি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের স্থায়ী জনপ্রিয়তার লক্ষণ। 

    কী লিখেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি? 

    ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Election) বিজেপি নিজেদের জয়ের রথের চাকাকে থামতে দেয়নি। জাপানের নিক্কেই এশিয়া গুজরাটের এই জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তাকে কৃতিত্ব দিয়েছে। সংবাদপত্রটিতে লেখা হয়, “মোদি রাজ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রায় ১২ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।”

    জাপানি দৈনিকটি আরও লেখে, “মোদি রাজ্যে একাধিক প্রচার সমাবেশ করেছেন, বিজেপির প্রচারে তার উপস্থিতি বড় প্রভাব ফেলেছে। গুজরাটের অনেক বাসিন্দা এই বিষয়টিতে গর্বিত যে গুজরাটে জন্মগ্রহণকারী মোদি বিশ্ব স্তরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং বাসিন্দারা তাঁকে সমর্থন (Gujarat Election) করাটা দায়িত্ব মনে করেন।” যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লেখে যে, গুজরাটে রেকর্ড জয় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য একটি বড় উৎসাহ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় গুদাবর্তি আল জাজিরাকে বলেছেন, “গুজরাটে বিজেপির এই জয় (Gujarat Election) হিন্দু ভোটের গভীর একীকরণের প্রমাণ।”      

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি তার ব্যক্তিগত ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে গুজরাটের (Gujarat Election) জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ধন্যবাদ গুজরাট। অভূতপূর্ব নির্বাচনী ফলাফল দেখে আমি আবেগাচ্ছন্ন। মানুষ উন্নয়নের রাজনীতিকে আশীর্বাদ করেছেন এবং একই সঙ্গে এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে যে তারা এই উন্নয়নকে আরও বেশি গতিশীল দেখতে চান। আমি গুজরাটের জনশক্তিকে প্রণাম জানাই। সমস্ত পরিশ্রমী বিজেপি কর্মীদের আমি বলতে চাই- আপনারা প্রত্যেকেই একজন চ্যাম্পিয়ন! এই ঐতিহাসিক জয় আমাদের কর্মীদের ব্যতিক্রমী কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনোই সম্ভব হত না। আপনারাই আমাদের পার্টির আসল শক্তি।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Government Hospitals: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

    Government Hospitals: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি এলেন, দেখলেন ও বললেন! আর তারপরেই যত বিপত্তি! বিতর্ক যেন থামছে না। সরকারি হাসপাতাল (Government Hospitals) নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরে বিস্মিত ও আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বিরক্ত চিকিৎসক মহল থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সকলেই। 

    এসএসকেএম হাসপাতালের (Government Hospitals) ট্রমা কেয়ার কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তাণ্ডব চালায় এক রোগীর পরিজনেরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন ঢোকাতে হলেও হাত ফুলে যায়, রক্ত পরীক্ষা করাতে গেলেও যে ইঞ্জেকশন দিতে হয়, তাতে হাতে কালসিটে দাগ পড়ে যায়। ভয়ে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান না। এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। অনেকটাই দেরি হয়। সরকারি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা পেতেও অনেকটাই সময় লাগে। যা রোগীর পরিবারের কাছে বিরক্তিকর। 

    মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিতর্ক মাত্রা ছাড়িয়েছে। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের দাবি, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যদি সরকারি হাসপাতালে (Government Hospitals) চিকিৎসা পরিষেবা নিতে না পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? 

    রাজ্যের ৭৫ শতাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালের (Government Hospitals) উপরে নির্ভরশীল। এই ৭৫ শতাংশের মধ্যে ৫৫ শতাংশ কলকাতার বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করান। তার মানে এই সব জায়গায় ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না? সামান্য রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে কিংবা স্যালাইন দিতেই যদি মুখ্যমন্ত্রীর অসুবিধা হয়, তাহলে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য কাঠামো কি ভেঙে পড়েছে?

    দায় কার? 

    বিভিন্ন জনসভা কিংবা প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কথা বলেন। নিখরচায় চিকিৎসার কথা জানান। যদি সরকারি হাসপাতালে (Government Hospitals) সামান্য চিকিৎসাও না হয়, তাহলে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য খাদে এত বরাদ্দের বিজ্ঞাপন কেন? প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, সরকারি স্বাস্থ্য (Government Hospitals) ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজন মতো নিয়োগ করা হয় না। এই মূল সমস্যাগুলো সমাধান না করলে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি সম্ভব নয়। সেটা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। কিন্তু তারপরও কোনও অদৃশ্য কারণে বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধান হয় না। 
    চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তিতে দালাল চক্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজ্যের শাসক দলের একাংশও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালে (Government Hospitals) ভর্তির জটিলতা নিয়ে নানান কথা বললেও দালাল চক্র রুখতে সরকারের কড়া অবস্থান নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা কেন দিলেন না? সেই প্রশ্ন ও উঠছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু মহিলাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করার জের, আসাম মহিলা কমিশনের নোটিস বদরুদ্দিন আজমলকে 

    সর্বোপরি, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি স্বাস্থ্য (Government Hospitals) ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য অবহেলাকে স্পষ্ট করে দিলো, আরেকদিকে চিকিৎসক হেনস্থার ঘটনাকেও ইন্ধন জোগালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। সরকারি হাসপাতালে নূন্যতম পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া না হলে, তার দায় সরকার তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন না। তেমনি, পরিষেবায় কোনও ত্রুটি থাকলে স্বাস্থ্য কর্মী বা চিকিৎসককে নিগ্রহ করা যায় না। তার জন্য আইন আছে। মুখ্যমন্ত্রী কখনোই সেটা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে চাইছেন না। এতে রোগী পরিষেবা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bengal Tuberculosis: কেন্দ্রের পরিকল্পনা মতো চলতে ‘ব্যর্থ’ রাজ্য! বাড়ছে টিবি রোগীর সংখ্যা

    Bengal Tuberculosis: কেন্দ্রের পরিকল্পনা মতো চলতে ‘ব্যর্থ’ রাজ্য! বাড়ছে টিবি রোগীর সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে টিবি। করোনার থেকেও সে  শক্তিশালী। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ পেয়েও ঠিকমতো বাস্তবায়নের অভাবে রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়ছে। রাজ্যে বাড়ছে টিবি রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী দু’বছরের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা রোগ মুক্ত করতে হবে। এর জন্য রোগী চিহ্নিতকরণ এবং ঠিকমতো সম্পূর্ণ চিকিৎসা করানোর দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বাস্তবে, এর কোনওটাই করতে পারছে না রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

    বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরে নভেম্বর মাস পর্যন্ত টিবি আক্রান্ত হয়ে ২৭৩০ জন রোগী মারা গিয়েছেন। প্রায় ১ লাখের বেশি টিবি রোগীকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে, এটা লক্ষ্যমাত্রার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী চিহ্নিতকরণ সবচেয়ে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালে ৬৫ শতাংশ রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য দফতরে আসে না। ফলে, রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। ওই স্বাস্থ্য কর্তা জানান, চলতি বছরে ১৯,৫৮০ জন বেসরকারি হাসপাতালে টিবি চিকিৎসাধীন রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য দফতরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের আশঙ্কা, চিকিৎসাধীন ব্যক্তির সংখ্যাটা তার থেকেও অনেক বেশি। তাই তারা একাধিকবার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সমস্ত তথ্য যাতে দ্রুত স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়, সে বিষয়ে জানানোও হয়েছে।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে টিবির প্রধান চ্যালেঞ্জ অসম্পূর্ণ চিকিৎসা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসা সম্পূর্ণ করান না। তাই প্রাথমিকভাবে সুস্থ হলেও পরবর্তীকালে ফের আক্রান্ত হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা মারা যান। তাই রোগী চিহ্নিত করে রেকর্ড রাখার উপরে কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। শুধুমাত্র শহরের বড় হাসপাতাল নয়। গ্রামের একেবারে প্রাথমিক স্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই কাজ করার কথা বলেছে কেন্দ্র। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার টিবি মুক্ত ভারতের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার জন্য কেন্দ্র প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দও করেছে। প্রত্যেক রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি মাসে টিবি রোগীর হিসাব নির্ণয় করার জন্য। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য এ রাজ্যে টিবি সংক্রমণ বাড়ছে।

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সাত সবজি

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শুধু সাধারণ মানুষ নন, এই রোগে চিকিৎসকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ চিহ্নিত হচ্ছে না। নভেম্বর মাসে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের এক চিকিৎসক পড়ুয়া টিবি আক্রান্ত হয়ে মারা যান।স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুধুমাত্র কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৬ জন পড়ুয়া চিকিৎসক যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছেন। রোগী চিহ্নিতকরণের কাজ দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে করতে না পারলে এই রোগ মুক্তি সম্ভব নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    তবে টিবি মুক্তি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেসরকারি হাসপাতাল কেন সময় মতো তথ্য পাঠাচ্ছে না, যারা তথ্য পাঠাচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন স্বাস্থ্য দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? সরকারি হাসপাতালে যাঁরা যক্ষ্মা চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ চিকিৎসা করছে কি? সে বিষয় স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চিত করতে পারছে কি? এই কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। করোনা কালে টিবির বিষয়টি অবহেলা হয়েছিলো। কিন্তু এখন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

  • PM Awas Plus: আমতায় আবাস যোজনার বাড়ি সমীক্ষায় যাওয়া মহিলা আধিকারিককে ‘বেধড়ক মার’!

    PM Awas Plus: আমতায় আবাস যোজনার বাড়ি সমীক্ষায় যাওয়া মহিলা আধিকারিককে ‘বেধড়ক মার’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Plus) আওতায় হওয়া বাড়ির সমীক্ষার কাজে গিয়ে স্থানীয় বাধার সম্মুখীন হয়ে চলেছেন সরকারি আধিকারিক-কর্মীরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই এমন ঘটনা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটে গেছে বৃহস্পতিবার, হাওড়ার আমতায়। যেখানে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় হওয়া বাড়ির যাচাই করতে যাওয়া সরকারি মহিলা আধিকারিককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বাড়ির মালিক, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এই মর্মে, গোটা ঘটনার সম্পর্কে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয়েছে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সরকারি সমীক্ষাকারী (PM Awas Plus) দলের এক সদস্য জানান, উদাং-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁরা বাড়ি সমীক্ষার কাজ করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় শঙ্করী কাওলের বাড়িতে যাচাইয়ের কাজে গেলে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ আধিকারিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। সরকারি দলের অভিযোগ, বাড়ির লোকরা তাঁদের মোবাইল ও সরকারি নথি ছিনিয়ে নেন। দলের মহিলা সদস্য তথা আমতা-১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সোমদত্তা দাশগুপ্তকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় গলায় থাকা সোনার চেন। আরও দাবি, দলের অন্য সদস্যদেরও মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এমনকি, গলা টিপে ধরা হয় বলেও অভিযোগ। ওই সরকারি টিমের দাবি, তাঁদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও বিডিও গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন (PM Awas Plus) সমীক্ষক টিমের সদস্যরা। ঘটনার কথা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে মৎস্য দফতরের অধিকর্তা ও জেলাশাসককেও।

    আরও পড়ুন: ‘বেচাল দেখলেই ইমেল করুন’, কেন লিখলেন শুভেন্দু ?

    এই প্রথম নয়…

    বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি সমীক্ষা দলকে (PM Awas Plus) এভাবেই বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে খবর। তথ্য যাচাইয়ে গেলে সরকারি দলকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে, সমীক্ষা করতে গিয়ে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। অভিযোগ এসেছে গতকালই, আবাস যোজনা প্রকল্পে সমীক্ষা করার কাজ করতে গিয়ে সমীক্ষকরা বাধা প্রাপ্ত হয় পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া ১, পুঞ্চা, বরাবাজার প্রভৃতি ব্লকে। পুরুলিয়ার বরাবাজারের সিন্দ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা খুলতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। পুরুলিয়া ১ এর চাকলতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে সার্ভের কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    সরকারি হুঁশিয়ারিই সার

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Plus) ২০১৮ এর তালিকা যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এমনকি হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের। যে কারণে, গতকাল সমীক্ষার কাজ থেকে অব্যাহতি চাইলেন এই কাজে নিযুক্ত আশাকর্মী ও আইসিডিএসের কয়েকশো কর্মী। গ্রামীণ আবাস যোজনার (PM Awas Plus) অধীনে প্রাপকদের তালিকায় সমীক্ষা করতে গিয়ে কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে বুধবার জেলাশাসকদের নিয়ে বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি কেউ যদি বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে৷ কিন্তু, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও যে হুঁশ ফেরেনি, তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত।

  • Weather Update: শুক্রবার মরশুমের শীতলতম দিন! বড়দিনে কাঁপবে শহর?

    Weather Update: শুক্রবার মরশুমের শীতলতম দিন! বড়দিনে কাঁপবে শহর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শীতের ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত। প্রতিদিনই নামছে তাপমাত্রার পারদ। আজ, শুক্রবার আবার কিছুটা নামলো পারদ (Kolkata Temperature)। শুক্রবার এই মরশুমের এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। তাপমাত্রা ফের নামল ১৫.৬ ডিগ্রিতে। গত রবিবার তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রি ছিল। তার থেকেও কমে শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি। পাল্লা দিয়ে দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম হওয়ায় শীতের আমেজ বহাল থাকবে। কাল দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি। কোনও জলীয় বাষ্পের বাধা এখনও পর্যন্ত বাংলায় নেই। তাই উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড হয়ে শীতল হাওয়ার অবাধ প্রবেশ বহাল রয়েছে রাজ্যে। শনিবার থেকে কমবে শীতের আমেজ ( Kolkata Winter )। সোম মঙ্গলবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০ জন মহিলার তালিকায় নির্মলা সীতারমন

    বড়দিনে কাঁপবে কলকাতা

    ঘূর্ণিঝড় মন্দৌসের প্রভাব রাজ্যে পড়ছে না। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। পাশাপাশি সারা দিন ধরে শহরের আকাশ আংশিক ভাবে মেঘে ঢাকা থাকবে বলে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। যদিও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সঙ্গে বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। তবে মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর সামান্য করে বাড়বে তাপমাত্রা এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কিছুটা বাড়বে আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১৫ ডিসেম্বরের পরে শীতের স্থায়ি স্পেল আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকেই চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেই কনকনে শীত পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বড়দিন এবং নতুন বছরে বাঙালি জমিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবে বলেই দাবি হাওয়া অফিসের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Modi: ‘ভূপেন্দ্র যাতে রেকর্ড ভাঙতে পারে, তাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল নরেন্দ্র’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘ভূপেন্দ্র যাতে রেকর্ড ভাঙতে পারে, তাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল নরেন্দ্র’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি বলেছিলাম ভূপেন্দ্রই নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবেন। আর তার জন্য নরেন্দ্র মন-প্রাণ দিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করবে। আজ বলতে পারি, ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। কথাগুলি যিনি বললেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার দিল্লির দলীয় কার্যালয়ে গুজরাট নির্বাচনে (Gujarat Assembly Elections) বিজেপির (BJP) বিপুল জয় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    রেকর্ড জয়…

    অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ফের গুজরাটের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। গেরুয়া ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। মোদি-অমিত শাহের রাজ্যে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে পদ্ম শিবির। এ রাজ্যের বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। তার মধ্যে ১৫৬টিতেই জয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। যা রেকর্ড। গুজরাটে দলের এই ফলের কৃতিত্ব যাঁকে দিয়েছে বিজেপি, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বরাজ্যে টানা প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। যার ফলও ফলেছে হাতেনাতে। মোদিময় হয়ে উঠেছে গুজরাট। গুজরাটে দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই স্বীকার করে নিলেন নিজের পরিশ্রমের কথাও।

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, গুজরাটে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময়ই আমি বলেছিলাম নরেন্দ্র মোদির ২০০২ সালের রেকর্ড ভাঙতে হবে। আমি বলেছিলাম, ভূপেন্দ্রই নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবে। আর তার জন্য নরেন্দ্র মন-প্রাণ দিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করবে। আজ বলতে পারি, ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। গুজরাটে বিজেপির এই বিপুল সাফল্যের জন্য জনগণকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের (বিজেপি) ওপরে যে বিশ্বাস ও ভরসা রেখেছেন, তাতে আমি আপ্লুত।

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    গুজরাটের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, আজ, ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল নিজের আসনে দু লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে। চমৎকার ফল এটা। একটি বিধানসভা আসনে দু লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হওয়া অনেক বড় বিষয়। তিনি (PM Modi) বলেন, অনেক লোকসভা কেন্দ্রেও এত ব্যবধানে জয় পান না প্রার্থীরা। এদিন বিরোধীদেরও একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আপ এবং কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, আজকের রাজনৈতিক দলগুলি মানুষের মধ্যে বিভাজন করে। কিন্তু একটা বিষয় হল, আমাদের মাতৃভূমিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, একমাত্র বিজেপিই মাতৃভূমির স্বার্থে কাজ করে। তাই আজ ভারতের সিংহভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ বিজেপিই।

     

     

     

LinkedIn
Share