Blog

  • Jagdeep Dhankhar: প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের প্রশস্তি, কী বললেন জানেন?

    Jagdeep Dhankhar: প্রধানমন্ত্রীর মুখে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের প্রশস্তি, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল। মাস চারেক আগে তিনি শপথ নিয়েছিলেন দেশের চতুর্দশতম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President)  হিসেবে। উপরাষ্ট্রপতিই পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। আজ, বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নয়া ভূমিকায় তাঁকে দেখল দেশ। এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমবারের জন্য পরিচালনা করলেন অধিবেশন। আর এদিনই রাজ্যসভার নয়া চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন…

    উপরাষ্ট্রপতি পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন ধনখড়। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলকে নিয়ে কাজ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস, আমাদের সকলকে নিয়ে উনি এগিয়ে যাবেন। ওঁর মার্গ দর্শনে আমরা সমৃদ্ধ হব।

    উপরাষ্ট্রপতির (Jagdeep Dhankhar) উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি একটি সাধারণ পরিবার থেকে এসেছেন। আপনি এখন যে মাইলফলকে পৌঁছেছেন, তা দেশের অনেক মানুষের জন্য একটি বিশাল অনুপ্রেরণা। একজন কৃষকের ছেলে এবং সৈনিক স্কুলের ছাত্র। আপনার মধ্যে কৃষক এবং জওয়ান উভয়ই রয়েছে। প্রধামনন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজি আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও সমাজের প্রান্তিক অংশ থেকে এসেছেন। এখন, আমাদের উপরাষ্ট্রপতি একজন কিষানপুত্র। তিনি বলেন, যেভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী পরম্পরার সঙ্গে দেশের গৌরব বাড়াতে অনেক বড় ভূমিকা নিয়েছেন, সেভাবেই কিষানপুত্র উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমাদের দেশের গৌরব বাড়াবেন, সাংসদদের অনুপ্রাণিত করবে। তাঁকে অনেক শুভেচ্ছা। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) যে আইনজ্ঞ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে আদালতের অনুভব করবেন না ধনখড়। তিনি বলেন, রাজ্যসভায় আপনি (উপরাষ্ট্রপতি) এমন অনেকের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন, যাঁর সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে আগে আপনার দেখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার ঠিক আগের দু বছর বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছেন ধনখড়। তখন তিনি বারংবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। এর পর উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হন তিনি। এনডিএ প্রার্থী ছিলেন তিনি। ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে জয়ী হন ধনখড়। তিনি পান ৫২৮টি ভোট। আর মার্গারেট আলভা পান ১৮২টি ভোট। ভোটদানে বিরত ছিলেন লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের মোট ৩৪ জন সাংসদ। অগাস্টের ১১ তারিখে উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    RBI: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রেপো রেট (Repo rate) বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। বুধবার বাড়ানো হয়েছে এই রেট। রেপো রেট বাড়ানো হয়েছে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট। বুধবার একথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানান, এর ফলে রেপো রেট বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়াল ৬.২৫ শতাংশে।

    ইএমআই…

    রেপো রেট বাড়ায় গাড়ি বা গৃহঋণে ইএমআই আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও। শক্তিকান্ত দাস জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট বৃদ্ধির বিষয়ে সায় দিয়েছেন মানিটারি পলিসি কমিটির ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই। সংখ্যাগরিষ্ঠরাই রেপো রেট বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছেন। এর পরেই বাড়ানো হয় রেপো রেট। এনিয়ে পঞ্চমবার সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    নানা কারণে সারা বিশ্বে বাড়ছে আর্থিক অস্থিরতা। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে গিয়ে রেপো রেট বাড়াল ভারতের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক (RBI)। আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। যার জেরে বৃদ্ধির হার গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫.৯ শতাংশে। এবার ফের একপ্রস্ত বাড়ল রেপো রেট। এর আগে মে মাসে রিজার্ভ ব্যঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়েছিল ৪০ বেসিস পয়েন্ট। পরে জুনে ফের তা বাড়ে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরেও রেপো রেট বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে। এর ফলে বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে বেড়েছে ২.২৫ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি, যা আরবিআইয়ের (RBI) বেঞ্চমার্ক ঋণের হার নির্ধারণের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়, গত অক্টোবর মাসে তা ৬.৭ শতাংশে পৌঁছায়। খুচরো মুদ্রাস্ফীতি এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরবিআইয়ের কমফর্ট লেভেল থেকে ৬ শতাংশের ওপর রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kolkata Medical College: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    Kolkata Medical College: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল। কলকাতা কিংবা আশপাশের জেলাই নয়, রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আর প্রায় দু’দিন সেই হাসপাতালের রোগী পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সে নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী কিংবা প্রশাসনিক প্রধানের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

    ছাত্র ভোটকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না, জানার পরেই বিক্ষুব্ধ হয় পড়ুয়ারা। নির্দিষ্ট সময়ে ছাত্র নির্বাচনের দাবিতে তারা অবস্থান শুরু করেন। আর এরপরেই জটিলতা তৈরি হয়।

    কখনও অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-চিকিৎসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা, আবার কখনও চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অবস্থানে বসেন কর্মরত নার্সেরা। আবার পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় রোগীর পরিজনদের। কিন্তু তারপরেও প্রশাসন চুপ! দিনভর সাধারণ মানুষের ভোগান্তির পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তাই অচলাবস্থা চলছেই মেডিক্যাল কলেজে। 

    কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের কিছু বহিরাগত নেতা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে হুমকি দেয়। অভিযোগ, পড়ুয়াদের হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হবে না, বিক্ষোভ করলে মারধর করা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

    মঙ্গলবার সকালে আউটডোর পরিষেবা শুরু হতেই পরিস্থিতি জটিল হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষেরা জানান, বিক্ষোভের জেরে তাদের পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে না। এমনকি জরুরি শারীরিক পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না। রোগীর পরিজনদের একাংশ অবস্থানরত পড়ুয়াদের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করলে পড়ুয়া ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার সারাদিন মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দফায় দফায় গোলমাল হয়। যার জেরে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। 

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জরুরি চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এমনিই রোগীর চাপ মারাত্মক। তাই এক জন রোগী কয়েক মাস অপেক্ষার পরে অস্ত্রোপচারের দিন নির্ধারিত হয়। ফলে, একদিন কাজ পরিষেবা বন্ধ থাকার জেরে কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসা থমকে গেল। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোনও রকম সমাধান সূত্র মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, নির্ধারিত সময়ে ছাত্র নির্বাচন না হলে আন্দোলন চলবে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে। কলেজ চত্বরে বহিরাগত তৃণমূল নেতাদের যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। তাদের সমস্যায় কেন তৃণমূলের বহিরাগত নেতারা মাথা গলাবে, এতে তাদের আপত্তি। স্বাস্থ্য ভবন থেকে ঠিকমত আশ্বাস না পেলে, তারা আন্দোলন চালাবেই। 

    যদিও কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মতই কাজ হবে। তিনি আলাদা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তবে, তৃণমূলের কোনও নেতা মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। 

    বিরোধীরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও নেই। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রীও অনুপস্থিত। দিনভর হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, একটা মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসন কার্যত পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ, তারপরেও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কী ভূমিকা কেউ জানতে পারল না। এতেই বোঝা যায়, এ রাজ্যের সরকারের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা কতখানি গুরুত্বহীন।

  • Parliament Session: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    Parliament Session: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Session)। অধিবেশন চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, চলতি অধিবেশনে ১৬টি নতুন বিল (New Bills) পাশ করাতে চায় কেন্দ্র (Center)। এদিকে, অধিবেশন শুরুর আগের দিন প্রথা মেনে হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক।

    বিরোধীদের অবস্থান…

    ওই বৈঠকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের পাশাপাশি ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহারের মতো নানা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে বিরোধীরা। বিরোধীদের তোলা সব বিষয় নিয়েই সংসদে আলোচনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র যে শীতকালীন অধিবেশনে (Parliament Session) ১৬টি বিল পেশ করতে চলেছে, সে ব্যাপারে লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে তালিকা পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর মধ্যে রয়েছে বহু রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি, জাতীয় ডেন্টাল কমিশন, বন সুরক্ষার মতো বিলও।

    বহু রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি বিল পাশ হলে এই জাতীয় সংস্থাগুলিতে আরও স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে বলে কেন্দ্রের ধারণা। স্বাধীনতার আগে প্রতিরক্ষার জন্য অনেক জমি ব্যবহার করা হত। এগুলি ওল্ড গ্রান্ট সাইট হিসেবে পরিচিত। সেই সব জমির আরও ভাল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে দ্য ওল্ড গ্রান্ট (রেগুলেশন) বিল ২০২২ আনা হবে।

    আরও পড়ুন: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    জাতীয় নার্সিং কমিশন সম্পর্কিত একটি বিলও চলতি অধিবেশনে (Parliament Session) পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে জাতীয় নার্সিং কমিশন প্রতিষ্ঠা ও ভারতীয় নার্সিং কাউন্সিল আইন ১৯৪৭ বাতিল করার একটি প্রস্তাবও আনার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট বিল। ক্যান্টনমেন্ট এলাকাকে আরও আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র দুটি বিল আনতে চলেছে। নর্থ ইস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি গঠনের জন্য একটি বিলও চলতি অধিবেশনে আনা হবে। তফশিলি উপজাতি সংক্রান্ত চারটি সংশোধনীও আনা হবে। জৈবিক সংশোধনী বিল, সামুদ্রিক জলদস্যুতা বিরোধী বিলও পেশ করা হবে। এদিন অধিবেশন (Parliament Session) শুরুর আগে চলতি বছর যে সব নেতা প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। এদিনই পেশ করা হতে পারে বেশ কিছু বিল। বহু রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি বিল, ২০০২ পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saket Gokhale: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    Saket Gokhale: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) নামে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেজন্য জাল করেছিলেন নথিও। অন্তত পুলিশের দাবি এমনই। তার জেরে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে (Saket Gokhale)। রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন নিজেই ট্যুইট করে সাকেতের গ্রেফতারির খবর জানান। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাকেত গোখলেকে। ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানান, গতকাল রাতে বিমানে নিউ দিল্লি থেকে জয়পুরে পৌঁছান সাকেত। জয়পুর বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। বিমানবন্দরে নামা মাত্রই সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো…

    সম্প্রতি গুজরাটের মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে সাকেত গোখলের করা একটি ট্যুইটকে ভুয়ো বলে দাবি করে পাল্টা ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। ট্যুইটে সাকেত (Saket Gokhale) দাবি করেছিলেন, মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাস্থলে যাওয়ার খরচ হয়েছিল ৩০ কোটি টাকা। আরটিআই থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অথচ এমন কোনও আরটিআই ফাইল হয়নি বলেই দাবি গুজরাট সমাচারের। সূত্রের খবর, আরটিআইয়ের পুরো বিষয়টিই সাকেত গোখলের বানানো। সূত্র আরও জানিয়েছে, আরটিআইয়ের উত্তর পেতে গেলে প্রায় দু মাস সময় লাগে।

    তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইটে আরও জানান, মরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে সাকেতের একটি ট্যুইটের জন্যই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে গুজরাট পুলিশের সাইবার সেল। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি লেখেন, এ সব করে তৃণমূল ও বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে আচমকাই ভেঙে পড়ে গুজরাটের মরবি সেতু। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩০জনেরও বেশি মানুষের। নভেম্বরের ১ তারিখে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষাৎ করেন দুর্ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ছিল, সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ ওঠে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও (Recruitment Scam)। শেষমেশ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য শিক্ষকদের’ নামের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার এই নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকায় নাম রয়েছে ৪০ জনের। তবে, এবার শুধু তালিকাই নয়। আদালতের নির্দেশে এই ৪০ জনের জমা দেওয়া ফাঁকা ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী নিয়ে বিতর্ক

    পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)-এর সার্ভারে দেখা যায়, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব হয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতেই বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও ৪০ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়।

    মামলার প্রেক্ষাপট

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘যাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে তাঁরা চাইলে মামলাও করতে পারেন। যদি তাঁরা মামলা করতে চান তো আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারেন। তাঁদের এই মামলায় যুক্ত করা হবে।

    প্রকাশ্যে তালিকা—

    এর আগে, ১৮৩ জনের নামের তালিকা একইভাবে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ করেছে কমিশন। এবার আদালতের নিয়ম মেনে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)।  

     

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Covid-19: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    Covid-19: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের তৈরি ভাইরাস কোভিড-১৯। বিস্ফোরক দাবি করলেন চিনের উহানের ল্যাবরেটরিতে কাজ করা মার্কিন বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু হাফ। ‘The truth About Wuhan’ বইতে ওই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, মার্কিন সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে ফান্ডিং করেছিল চিনে। সেখান থেকেই অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে। 

    হাফের দাবি

    মহামারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু হাফ তাঁর নতুন বই ‘The Truth About Wuhan’-এ দাবি করেছেন যে এই ঘটনার পিছনে মার্কিন সরকারের তহবিলও দায়ী। নিউ ইয়র্কের পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী হাফ ইকোহেল্থ অ্যালায়েন্স (EcoHealth Alliance) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। নিউ ইয়র্কের এই সংস্থা সংক্রমক রোগ নিয়ে কাজ করে। হাফ তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন যে চিনে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্যেই ভাইরাস নিয়ে কাজ চলছিল। যার ফলে গবেষণাগার থেকে কোনওভাবে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে এই ভাইরাস। কোভিড ১৯-এর সংক্রমণের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল উহানের ওই গবেষণাগার। যদিও চিন সরকার এবং সেই গবেষণাগারের গবেষকরা দাবি করেছেন, কোভিড ১৯ ভাইরাস সেখানে তৈরি করা হয়নি। হাফ তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন বায়োসেফটি, বায়োসিকিউরিটি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরও যা যা প্রয়োজন, বিদেশের গবেষণাগারগুলিতে তা ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলেই উহানের ল্যাব থেকে এই বিপদ ঘটেছে।  

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

    চিন-আমেরিকা দায় উভয়ের

    নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুসারে হাফের কথায়, চিন প্রথম থেকেই জানত এই ভাইরাস জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ার্ড এজেন্ট। ভয়াবহ বায়োটেকনোলজিকে চিনে ট্রান্সফার করার জন্য মার্কিন সরকারকেও দায়ী করতে হয়। হাফ বলেন,’আমি যা দেখেছি তাতে আমি ভীত। আমরা জৈব অস্ত্রের কারিগরি ক্ষমতা তুলে দিয়েছি ওদের হাতে।’২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইকোহেল্থ অ্যালায়েন্স (EcoHealth Alliance)-এ কাজ করেছেন অ্যান্ড্রু হাফ। তাঁর দাবি, ওই সংস্থা উহান ল্যাবকে একটি বিষয়ে সাহায্য করত। কী সেই কাজ? বাদুড়কে যে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করে, সেটি অন্য কোনও প্রজাতিকে যাতে আক্রমণ করতে পারে তার জন্য ওই ভাইরাসকে তৈরি করা। ভাইরাসটিকে সেভাবে সক্ষম করার জন্য কী ভাবে কাজ করতে হবে সেটা নিয়েই কাজ চলত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’! ভিজিল্যান্স অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’! ভিজিল্যান্স অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রত্যেকটি মামলায় একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এবারে শিক্ষা দফতরের একশ্রেণির কর্মীদের কাজের প্রতি অবহেলা দেখে কড়া পদক্ষেপ নিলেন তিনি। তিনি এদিন  মন্তব্য করেন, “কাজের নামে ‘বাবুগিরি’ দেখানো?” প্রশ্ন করেন, “কাজের নামে বাবুগিরি দেখানো অফিসারদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেন দেওয়া হবে?”

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আশা শ্রীবাস্তব জোড়াসাঁকোর মারোয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর তিনি অবসর নেন। ডিএ সহ বকেয়া পাওনা টাকার যাবতীয় নথি ডিআই কলকাতা শিক্ষা দফতরে পাঠান ওই প্রাক্তন শিক্ষিকা। ২০২০ সালে অক্টোবরের ২০ তারিখ ডিআই (কলকাতা) সেই নথি পাঠায় কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে। এরপর ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে সেই চিঠি পড়ে ছিল। বিলিং সেকশনে পড়ে ছিল বলে আদালতে (Calcutta High Court) জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    আর এরপরে আদালতে জানানোর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে বলা হয়, কোভিডের বাহানা দেওয়া যাবে না। করোনার সময়েও প্রচুর কাজ হয়েছে। ২০২০ সালে ৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত চিঠি পড়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, “কোর্ট নির্দেশ দিল, তারপরে এতদিনে চিঠি পাওয়া গেল?”

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে শিক্ষা দফতরের একশ্রেণির কর্মীরা

    বিচারপতি (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “যাঁরা নিজেদের দায়িত্বের কাজটুকুও করেন না। অনুভূতিহীন নিজের কাজে। এই ধরনের সরকারি কর্মীদের কেন বেতন কমিশন মেনে বেতন, ডিএ দেওয়া হবে? এদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নয় আদালত।”

    ভিজিল্যান্স গঠন হাইকোর্টের

    ফলে সরকারি অফিসারদের ‘বাবুগিরি’ খুঁজতে ভিজিল্যান্স গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভিজিল্যান্স কমিশনার প্রদীপ কুমার ব্যাসকে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিলেন তিনি। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’’, প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) নিয়োগ নিয়ে ফের হুঁশিয়ারির সুর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) গলায়। এবার সাড়ে ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কেবল তাই নয়, এদিন তিনি বলেন, ঢাকি সহ বিসর্জন কীভাবে দিতে হয় জানি। তবে ঢাকি বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যেদিন ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করব, সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জনের মানে বলব। তিনি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পায়নি মামলাকারীরা। 

    অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী…

    ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার ছিল ওই মামলার শুনানি। তাঁদের দাবি, সেই বছরের নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে দাবি মামলাকারীদের।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীদের নম্বর বিভাজন করে তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারী চাকরি প্রার্থীদের দাবি, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন। সেই তথ্য এদিন আদালতে পেশ করেন মামলাকারীরা। তাঁদের আরও বেশ কিছু নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ১৬ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    ২০১৪ সালে টেটের পর ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। অভিযোগ ওঠে, ফেল করে এমনকি পরীক্ষা না দিয়েও, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২৬৯জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের বেতনও বন্ধ করতে হবে। বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা যাতে কোনওভাবেই স্কুলে ঢুকতে না পারে, সেজন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! জারি লাল সতর্কতা, কী ব্যবস্থা নিল তামিলনাড়ু সরকার?

    Cyclone Mandous: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’! জারি লাল সতর্কতা, কী ব্যবস্থা নিল তামিলনাড়ু সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্দৌস’ (Cyclone Mandous)। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এই নাম দেওয়া হবে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় তেমন না পড়লেও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রভাব বেশি পড়বে বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। যা নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া (Weather) দফতর। তামিলনাড়ুর ১৩ টি জেলায় ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় ১৩ টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    নিম্নচাপের অবস্থান

    বর্তমানে নিম্নচাপ আকারে তা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া সূত্রে খবর, ৮ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Mandous) পরিণত হবে ও উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি হবে?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলকেও প্রভাবিত করবে এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Mandous)। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে বৃষ্টি শুরু হবে। এর পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির বেগ বাড়বে। ৮-৯ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘন্টায় ৫৫-৬৫ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। ৮ ডিসেম্বর নাগাদ ঝড়ের বেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৯০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। চেন্নাইয়ের পাশাপাশি পুদুচেরিতেও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের তরফে ৭-৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পুদুচেরিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    রেড অ্যালার্ট জারি ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ

    তামিলনাড়ুর ১৩টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চেন্নাই, নাগাপট্টিনাম, ভিলুপুরম, চেঙ্গলপাট্টু, কুড্ডালোর, কাঞ্চিপুরম, থিরুভাল্লুর, আরিয়ালুর, পেরাম্বলুর, কাল্লাকুরিচি, থাঞ্জাভুর, মায়িলাদুথুরাই, থিরুভারুর। ৮ ডিসেম্বর ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তামিলনাড়ুতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ছয়টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ-এর দলগুলিকে নাগাপট্টিনাম, থাঞ্জাভুর, তিরুভারুর, কুদ্দালোর, মায়িলদুথুরাই এবং চেন্নাইতে মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এনডিআরএফ-এর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে দেওয়া নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

    কোন দেশ এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ও এর অর্থ কী?

    কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে কোনও না কোনও দেশ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। সেই পর্যায়ক্রমেই ‘মন্দৌস’ নামকরণটি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি। যদি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে তার নাম হবে ‘মন্দৌস’। আরবি ভাষায় এর অর্থ হল টাকা বা ধন-দৌলতের বাক্স।

LinkedIn
Share