Blog

  • Kolkata Weather: উধাও শীত! ৫ ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা, কেন ঊর্ধ্বমুখী পারদ?

    Kolkata Weather: উধাও শীত! ৫ ডিগ্রি বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা, কেন ঊর্ধ্বমুখী পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকাই বেড়ে গেল তাপমাত্রা। নেই আর শীতের আমেজও। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Kolkata Weather)। সোমবার থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে চলেছিল। গতকালও বেড়ে হয়েছিল ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু আজ এক লাফে ৫ ডিগ্রি বেড়ে গেল তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনেও তাপমাত্রা কমার কোনও পূর্বাভাস নেই, ফলে কনকনে শীত উপভোগ করার জন্য এখনও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে কলকাতাবাসীদের (Kolkata Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    এদিন সকালে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিস্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে (Kolkata Weather)। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দু’দিন তাপমাত্রা এভাবেই বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: কলকাতার তাপমাত্রা বাড়ল দুই ডিগ্রিরও বেশি! আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    কেন ঊর্ধ্বমুখী পারদ?

    বাধাহীন উত্তুরে হাওয়ার দাপটে টানা কয়েকদিন পারদ পতন হতেই যখন শীত নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছিল শহরবাসী, তখনই বেড়ে গেল তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তুরে হাওয়া বাধা পাওয়ায় নভেম্বরের শেষে শীতের আমেজে ভাটা পড়েছে। এছাড়াও শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুটি ঘূর্ণাবর্ত। যার মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এলাকায় রয়েছে। অন্যটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যা গাঙ্গেয় বঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বাতাস প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে (Kolkata Weather)।

    শহরে কবে শীত?

    আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ শুক্রবারের পর থেকে ফের কিছুটা হলেও পারদ পতন হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভাবনাই নেই রাজ্যে (Kolkata Weather)। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাপমাত্রা নামতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকেই ফের ফিরতে পারে শীতের আমেজ (Kolkata Weather)। উত্তরবঙ্গে বজায় থাকবে শীতের আমেজ।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ পতন! আজ কলকাতার শীতলতম দিন, ঠান্ডা পড়বে আরও

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • TET: পূর্ণমানের চেয়ে বেশি প্রাপ্ত নম্বর! ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের ব্রেক আপ নিয়ে বিতর্ক

    TET: পূর্ণমানের চেয়ে বেশি প্রাপ্ত নম্বর! ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের ব্রেক আপ নিয়ে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাপ্ত নম্বর পূর্ণমানের চেয়ে বেশি। প্রাথমিক টেটে (Primary TET) উলাট-পুরাণ। ডিইএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি ফাঁসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board)। এরই মধ্যে আবার নতুন করে বিতর্ক। পর্ষদের তরফে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর পূর্ণমানের চেয়েই বেশি। 

    আরও পড়ুন: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির

    পূর্ণমানের চেয়ে বেশি প্রাপ্ত নম্বর

     ২০১৪ টেট (TET) উত্তীর্ণ যাঁরা প্যানেলভুক্ত হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল,আদালত। সেই নির্দেশ মেনে নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করেছে পর্ষদ। সেখানেই বিভ্রান্তি দেখা গেল। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থাৎ, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক স্তর, ট্রেনিং, ইন্টারভিউতে কত নম্বর পেয়েছেন, তার বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ১০ শতাংশের মধ্যে ১০ পেয়েছেন, কেউ আবার ১০.৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। অর্থাৎ পূর্ণ মানের চেয়েও বেশি পেয়ে গিয়েছেন, বহু ছাত্রছাত্রী। কীভাবে সম্ভব এমন কাণ্ড? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গুজরাতসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস, প্রচার মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি

    ভুল স্বীকার পর্ষদের

     ভুল মেনে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ভুল সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে তারা। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “মাধ্যমিকের জন্য পাঁচ নম্বর বরাদ্দ থাকে। উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। টেটের জন্য পাঁচ নম্বর, ট্রেনিংয়ের জন্য ১৫ নম্বর, ভাইভার জন্য পাঁচ নম্বর, অ্যাপটিটিউডের জন্য পাঁচ নম্বর এবং এক্সট্রা কারিকুলামের জন্য পাঁচ নম্বর থাকে। মোট ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে হিসেব হয়। আদালতের নির্দেশে গতকাল আমরা তালিকা প্রকাশ করেছি। আমাদের নজরে এসেছে, উচ্চমাধ্যমিকে দশের থেকে বেশি কেউ কেউ দেখতে পাচ্ছি। বোর্ডের তরফে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ দশের থেকে বেশি তো কেউ হতে পারে না। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ভুল হয়েছে, প্রযুক্তিগত কোনও ভুল হতে পারে। সেটি আমরা ঠিক করার চেষ্টা করছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্লক প্রশাসনের থেকে বেশি সুযোগ পাচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটের আগে পঞ্চায়েতের সর্বনিম্ন স্তরের পুনর্বিন্যাস ও আসন সংরক্ষণ নিয়ম মেনে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাই এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।

    কী অভিযোগ শুভেন্দুর? 

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়ম হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে তপসিলি জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত তথ্যে গরমিল করার সুযোগ রয়েছে ব্লক প্রশাসনের। আর এই কাজ তারা করছে রাজ্যের শাসকদলকে সাহায্য করতে। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে জবাবও দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতেও সন্তুষ্ট নন বিরোধী দলনেতা।

    সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটি ট্যুইট করেছি। নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি দিয়েছিলাম। আমায় জবাবি চিঠি দেওয়া হয়ছে। কিন্তু সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত করতে চায় তাই রোস্টার দ্রুততর করতে গিয়েই এই গরমিল। আমরা আইনি পথে যাব।”

     



     

    সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আদালতেই জবাব দেবে বলে পাল্টা জানিয়েছে তারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kite Bird: ড্রোন শিকারে চিল! ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ‘অর্জুন’ নামক পাখিকে

    Kite Bird: ড্রোন শিকারে চিল! ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ‘অর্জুন’ নামক পাখিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেড়েছে ড্রোনের উৎপাত। প্রায়ই পাকিস্তানি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়। গতকালই এক পাকিস্তানি (Pakistan) ড্রোনকে (Drone) গুলি করে নামাল বিএসএফ। ফলে এবারে শত্রুপক্ষের ড্রোনদের শিকার করতে ভারতীয় সেনা ট্রেনিং দিচ্ছে এক চিলকে (Kite Bird)। এই চিল পাখিটির নাম অর্জুন। ভারতীয় সেনাবাহিনী সামরিক অভিযানের জন্য কুকুরের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত পাখির ব্যবহার শুরু করছে বলে জানালেন সেনা কর্মকর্তারা।

    ড্রোনের শিকারে চিল!

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনাবাহিনী উত্তরাখণ্ডের আউলিতে চলমান যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন যুদ্ধ অধ্যয়নের সময় শত্রু ড্রোনকে শিকার করতে এই পাখির ব্যবহার প্রদর্শন করেছে। এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে শনাক্ত করে সেগুলো ধ্বংস করা যায়।  আর এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কুকুর ও অর্জুন নামক চিল পাখিকে। শত্রুপক্ষের ড্রোন এদেশের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমে কুকুরটি ড্রোনের শব্দ শুনে সেনা জওয়ানদের সতর্ক করবে ও এরপর চিল ড্রোনটির অবস্থান জানাবে (Kite Bird)। জানা গিয়েছে, চিলের ব্যবহার করে শত্রুদের ড্রোন শিকার করতে এই ধরণের পাখিদের প্রথম ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত

    এই ধরনের পাখি নিরাপত্তা বাহিনীকে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় এলাকায় আসা ড্রোনের মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে (Kite Bird)। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোন জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে মাদক, বন্দুক এবং অর্থের চালান করেছে। আবার গত ২৪ নভেম্বর, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জম্মুর সাম্বা জেলায় একটি পাকিস্তানি ড্রোন দ্বারা ফেলে দেওয়া অস্ত্র এবং ভারতীয় মুদ্রার একটি চালান উদ্ধার করেছে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার উত্তরাখণ্ডের আউলিতে ভারত-আমেরিকার যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন “Yudh Abhyas 22”-এর ১৮ তম এডিশন শুরু হয়েছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলন, কৌশল এবং পদ্ধতি বিনিময়ের লক্ষ্যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই যুদ্ধ অভ্যাস ২২ পরিচালনা করা হয়।   

  • Indian Ocean: মালদ্বীপের পর এবার চিনের ডাকা ফোরামে যোগ দিল না অস্ট্রেলিয়াও

    Indian Ocean: মালদ্বীপের পর এবার চিনের ডাকা ফোরামে যোগ দিল না অস্ট্রেলিয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদ্বীপের (Maldives) পর এবার অস্ট্রেলিয়া (Australia)। মালদ্বীপ জানিয়েছিল আগেই। অতি সম্প্রতি জানাল অস্ট্রেলিয়াও। তারা সাফ জানিয়ে দিল চিনের নেতৃত্বে ভারত মহাসাগর (Indian Ocean) ফোরামের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে তারা যোগ দেয়নি। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২১ তারিখে বৈঠক হয়েছে ভারত মহাসাগর ফোরামের। চিনের নেতৃত্বে ভারত মহাসাগর ফোরামের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে অস্ট্রেলিয়া যোগ দেয়নি বলে ট্যুইট করেছেন ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয় হাইকমিশন। ট্যুইট বার্তায় ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয় হাইকমিশনার ব্যারি ও ফ্যারেল জানান, অস্ট্রেলিয় সরকারের কোনও আধিকারিকই কুনমিংয়ে চিনের নেতৃত্বে ভারত মহাসাগর ফোরামের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে যোগ দেয়নি।

    চিন-ভারত মহাসাগর ফোরাম…

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম চিন আহ্বান করেছিল চিন-ভারত মহাসাগর ফোরাম অন ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন শীর্ষক বৈঠকের। এই বৈঠকে আহ্বান করা হয়েছিল বিশ্বের উনিশটি দেশকে। তবে তাদের মধ্যে চিনের সব চেয়ে কাছের প্রতিবেশী দেশ ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ এই বৈঠকের আয়োজক দেশ ছিল চিন। তার সত্ত্বেও ডাকা হয়নি নয়াদিল্লিকে।

    তবে ভারত মহাসাগর ফোরামের ওই বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের কোনও প্রতিনিধি যোগ না দিলে কী হবে, সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড্ড ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। একইভাবে মালদ্বীপ সরাকারের কেউ যোগ না দিলেও, বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ হুসেন। তবে দুজনের কেউই চিনে যাননি। বৈঠকে তাঁরা যোগ দিয়েছেন ভার্চুয়ালি।

    আরও পড়ুন: ‘ফাঁসি হলেও আফসোস নেই, জন্নতে…’, পলিগ্রাফ টেস্টে কী বলল আফতাব?

    মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রক এটা ব্যাখ্যা করতে চায় এই বলে যে, মালদ্বীপের সরকার উল্লিখিত ফোরামে অংশ নেয়নি। নভেম্বরের ১৫ তারিখেই মালদ্বীপের তরফে চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা এই ফোরামে যোগ দেব না। মালদ্বীপ থেকে যাঁরা ওই ফোরামে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা মালদ্বীপ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেননি। উল্লেখ্য, প্রথম চিন-ভারত মহাসাগর ফোরাম অন ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন গঠন করেছিল চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি। এই এজেন্সির মাথায় রয়েছেন চিনের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী লু ঝাউহুই। এই লু ঝাউহুই অতীতে ভারত ও পাকিস্তানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিনাখাঁ (Minakhan) ও কেশপুরে (Keshpur) বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তভার নেবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    রাজ্য সরকার জানিয়েছে…

    এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মিনাখাঁ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কেশপুর নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে। সব শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।

    গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মামার বাড়িতে এসেছিল এক নাবালিকা। বল ভেবে মামার বাড়িতে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েছিল সে। আচমকাই সশব্দে ফেটে যায় বোমাটি। বসিরহাট জেলার মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ার ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছিল, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। নাম আবুল হোসেন গায়েন। ঘটনার পরে পরেই ঝুমা খাতুন নামে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরে পরে আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে যায় বম্ব স্কোয়াডের চারজনের এক প্রতিনিধি দল। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ঘরে। পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ওই সক্রিয় কর্মীকে। অভিযোগ ওঠে, এই প্রথম নয়, এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবুল হোসেন গায়েন।

    আরও পড়ুন: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    ওই ঘটনার পরের দিনই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। ঘটনায় জখম হন শেখ রফিক। তিনি প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনায় রফিকের ডান হাতের আঙুল উড়ে যায়। ঘটনায় নাম জড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার। যদিও শিউলি ঘটনার দায় চাপান সিপিএমের ওপর।

    তবে এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, সাঁইথিয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করবে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এদিকে, বীরভূমের মহম্মদবাজারের বিস্ফোরক পাচার ও বেলডাঙা বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনার তদন্তভারও ইতিমধ্যেই নিয়েছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Cow Smuggling: গরু পাচার মামলায় এবার ইডির নজরে রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসার! কারা তাঁরা?

    Cow Smuggling: গরু পাচার মামলায় এবার ইডির নজরে রাজ্যের পাঁচ আইপিএস অফিসার! কারা তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের পর গরু পাচার-কাণ্ডে (Cattle Smuggling) এবার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরকে তলব করতে পারে ইডি। হুমায়ুন কবীর একসময় মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার ছিলেন। সেই সময়কার কিছু তথ্য জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে ।

    একাধিক পুলিশ অফিসারকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, রাজ্যের ৫ আইপিএসকে তলব করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ডিসেম্বরের শুরুতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হতে পারে দিল্লিতে। তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও বীরভূমে (Birbhum) দায়িত্ব সামলানো প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদা সম্পন্ন ২ আইপিএস, ২ পুলিশ সুপার। পাঁচ আইপিএস অফিসারকে ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে দিল্লিতে (Delhi) ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে খবর।আসলে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম – দুই জেলাই সীমান্তবর্তী। এখান দিয়ে সর্বাধিক গরু পাচার হয়ে থাকে। এর আগেও একাধিক পুলিশ আধিকারীককে তলব করে জেরা করেছে ইডি। কোটেশ্বর রাও থেকে শুরু করে জ্ঞানবন্ত সিংকেও তলব করা হয়েছে। তারপরে ফের আরও পুলিশ অফিসারকে জেরা করতে চলেছে ইডি। গরু পাচারের সময় এই ৫ আইপিএস অফিসার মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে বড় পদের দায়িত্বে ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে থানার ওসি সকলেই জড়িত ছিলেন গরু পাচারের ঘটনায়।

    আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    হুমায়ুনকে নোটিস

    ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেশকিছু ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদে ছিলেন।  সেইসব ঘটনা সম্পর্কে তথ্য হুমায়ুন কবীরের কাছ থেকে পেতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ইডির নোটিসে হুমায়ুনকে হাজিরা দিতে হবে দিল্লিতে। তবে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ইডির কোনও নোটিস তিনি পাননি। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সিবিআইয়ের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া প্রাক্তন বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার, ব্যবসায়ী এনামুল হকের মতো হেভিওয়েটদের জালে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে এই চক্রের সঙ্গে কোনওভাবে পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।

  • Shantanu Sen: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    Shantanu Sen: ১.৩ লক্ষের র‌্যাঙ্ক নিয়ে পড়ছে আরজিকরে! ‘মেধাবী’ মেয়ের হয়ে সওয়াল শান্তনু সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলেঙ্কারির রথ যেন থামতেই চাইছে না। কখনও কয়লা, কখনও বালি আবার কখনও শিক্ষক নিয়োগ। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। সেই কেলেঙ্কারি আর স্বজন পোষণের তালিকায় নয়া সংযোজন এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া! রাজ্যের আরেক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ! 

    এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি

    তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেনের মেয়ে সৌমিলি সেন এবার আরজিকর হাসপাতালে এমবিবিএস কোর্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। অভিযোগ, এই ভর্তি কিন্তু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়নি। ডাক্তারিতে পড়ার সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় সৌমিলির নাম ছিল ১৩০০০০ নম্বরে। অর্থাৎ, একেবারে তালিকার শেষের দিকে। সেখানে কীভাবে তিনি আরজিকর হাসপাতালে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিট পরীক্ষার মেধা তালিকায় প্রথম পঞ্চাশের মধ্যে নাম না থাকলে কখনওই আরজিকর হাসপাতালের মত রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় না। সেখানে কীভাবে নিট তালিকায় এত পিছনে নাম থাকলেও সৌমিলি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেন? 

    একাংশের অভিযোগ, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শান্তনু সেন। তাছাড়া তিনি ওই এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তার ‘পছন্দের’ চিকিৎসকেরাই ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান পদে রয়েছেন। এর আগেও হাসপাতালের একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁর অঙ্গুলি হেলনে। এমনকি আরজিকরের কয়েক জন পড়ুয়া তৃণমূলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায়, তাদের রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। তাই এমন প্রভাবশালী নেতা, তাঁর প্রভাব খাটিয়েই মেয়েকে ওই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেছেন বলে অভিযোগ করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। 

    যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন। তার যুক্তি, এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। রাজনৈতিক ভাবে বিরোধী দল লড়াই করতে পারছে না। তাই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে। বিশেষত, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেছেন, কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। লড়াই করার ক্ষমতা নেই। তাই তাঁর মেয়েকে টার্গেট করা হয়েছে। 

    তিনি জানান, তার মেয়ে সৌমিলি স্কুলে প্রতি বছর প্রথম হত। একবারেই পরীক্ষায় বসে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেছেন। নিট পাশ না করলে কেউ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান না বলে সাফাই শান্তনুর। তিনি বলেন, “দরকার হলে মেয়ের সব সার্টিফিকেট দেখাতে পারি। দয়া করে কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। রাজনৈতিক লড়াই, রাজনৈতিক ভাবে করতে শিখুন। ” 

    শুধু মেয়ের ভর্তি নয়। প্রশ্ন উঠেছে শান্তনু সেনের দেওয়া বার্ষিক আয়ের হিসাব নিয়েও। বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, শান্তনু সেন বলেছেন, তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা। এ নিয়ে শান্তনু সেনকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, তিনি নিয়মিত রেডিওলজিস্ট হিসাবে প্র্যাকটিস করেন। আর এটাই তাঁর রোজগার।

    যদিও বিরোধীদের দাবি, পুরো দলটাই দুর্নীতি আর মিথ্যাচারে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যেগুলো দেখা যাচ্ছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

  • Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri)। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী। সেবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। এবারও তাঁর তির গিয়ে লাগল ভুল নিশানায়। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এই বিধায়ক নিশানা করলেন অশীতিপর নেতা শিশির অধিকারিকে (Sisir Adhikari)। মুগবেড়িয়ার সভা থেকে শিশিরকে ‘নেংটি মন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন অখিল। যার জেরে ফের একপ্রস্ত রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। একজন অশীতিপর নেতাকে এই ভাষায় আক্রমণ কতটা শোভনীয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    অখিল উবাচ…

    এদিনের সভায় অখিল বলেন, এই বিশ্বের অষ্টম এবং নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। রাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে। তিনি বলেন, আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কী মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলের নেংটি মন্ত্রী ছিলেন?

    আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    শিশিরের (Sisir Adhikari) আগে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল। একটি ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে হইচই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানায় পদ্ম শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত বলতে হয়, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি অখিলের। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি। অন্যায় করেছে অখিল গিরি। অখিলের ওই মন্তব্যের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের কুকথা রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর।

    কুকথায় পঞ্চমুখ অখিল!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Garia Bombing: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বোমাবাজি, গড়িয়া স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক

    Garia Bombing: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বোমাবাজি, গড়িয়া স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমাবাজি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে বোমাবাজি। একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে অস্ত্র, বোমা। এক বোমাবাজির রেশ কাটতে না কাটতেই এবারে ফের গড়িয়া স্টেশন এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটল (Garia Bombing)। গতকাল রাতে এই বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে গড়িয়ায়?‌

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ বোমাবাজির খবর পাওয়া যায় (Garia Bombing)। গড়িয়া স্টেশন এলাকার অন্তর্গত নবপল্লি অঞ্চলে মাঝরাতে বিকট আওয়াজ পান এলাকার মানুষজন। এরপর এদিন সকালে রাস্তায়ও তিনটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ (Garia Bombing)। ভয়ে-আতঙ্কে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে ও তিনটি বোমাই নিষ্ক্রিয় করা হয়।

    আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ার বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ করবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিশু উদ্যান ও প্রাথমিক স্কুলের পাশে একের পর এক বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা (Garia Bombing)। বোমা যেখানে পড়েছিল তার ৩ কিলোমিটারের মধ্যে খেয়াদা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত। খেয়াদার শান্তি পার্ক এলাকাতেই শিশুদের উপর বোমা ছুঁড়েছিল দুষ্কৃতীরা। ফের বোমা উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

    বোমাবাজির ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয় (Garia Bombing)। এর আগেও বহু জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধার করা হয়েছে তাজা বোমা। আর নির্বাচন সামনে থাকলেই শুরু হয় অস্ত্র উদ্ধার থেকে বোমাবাজির ঘটনা। ফলে এবারও এর অন্যথা কিছু হয়নি। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    আগের বোমাবাজির ঘটনা

    গত অক্টোবর মাসেও উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায়, বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় আরও এক শিশুর। সেই ঘটনার তিন দিন পরেই নরেন্দ্রপুর থানার দাসপাড়া এলাকাতেও বোমাবাজি হয়। দুপুরে মাঠে খেলতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় গুরুতর ভাবে আহত হয় পাঁচ জন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পারদ চড়ছে রাজনীতিরও (Garia Bombing)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share