Blog

  • Syria Earthquake: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার ‘বিস্ময় শিশু’

    Syria Earthquake: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার ‘বিস্ময় শিশু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের কবলে সিরিয়ার (Syria Earthquake) বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘর ছাড়তে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এর মাঝেই ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া এক আবাসনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাত। জানা গিয়েছে, শিশুটির জন্মও হয়েছে ভূমিকম্পের মধ্যেই। সেই শিশু প্রথম নিঃশ্বাসও নিয়েছে ধ্বংসস্তুপের নীচেই। যদিও শিশুটির মা এবং বাবার মৃত্যু হয়েছে। জন্ম থেকেই তাকে অনাথ করে দিয়েছে ভূমিকম্প। গোটা বিশ্ব তার নাম দিয়েছে, ‘বিস্ময় শিশু’।

    ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দুই দেশ 

    সোমবার ভোরবেলায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়া (Syria Earthquake)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনে ভেঙে পড়ে হাজার হাজার বহুতল। হাসপাতালগুলিতে শুধুই আহতদের আর্তনাদ। তিল ধারণের জায়গা খালি নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, দুই দেশে ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২০ হাজার। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম বারের জন্যে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। সব মিলিয়ে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা অন্তত ৮ গুণ বাড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    তুরস্ক সরকার আগামী এক সপ্তাহ জাতীয় শোক (Syria Earthquake) ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট রেজেপ তায়িপ এরেদোয়ান একটি বিবৃতিতে বলেন, “প্রত্যেকেই তাঁদের সর্বশক্তি দিয়ে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হয়েছেন। প্রবল ঠান্ডা, শীতের মরসুম এবং ভূমিকম্পের ভয়বহতার মধ্যে তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Repo Rate: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, কত বাড়ল জানেন?

    Repo Rate: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, কত বাড়ল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বুধবার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৬.৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে টানা ছ বার রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনাও হয়েছে। ৬ সদস্যের কমিটির ৪ জনই রেপো রেট বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। তার পরেই রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    রেপো রেট…

    গত ডিসেম্বরেই রেপো রেট (Repo Rate) ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তার পর দু মাস কাটতে না কাটতেই ফের তা বাড়ানো হল। গত মে মাস থেকে এ নিয়ে ২২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়াল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হল। চলতি আর্থিক বর্ষ তথা ২০২২-২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবর্ষে যদি বর্ষা ঠিকঠাক হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৩ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    গত বছর ডিসেম্বরে মনিটরি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর রেপো রেট (Repo Rate) ০.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার পর ফের ফেব্রুয়ারিতে মিলিত হয় মনিটরি পলিসি কমিটির। যদিও রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশই রয়েছে। উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাকে রেপো রেট বলা হয়। আবার বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। সাধারণত রেপো রেট বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে ঋণ শোধের প্রক্রিয়ায়।

    আরও পড়ুুন: শ্রদ্ধার হাড় গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে আফতাব! জানেন চার্জশিটে আর কী কী তথ্য উঠে এল?

    প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত মে মাস থেকে ছ বার বাড়িয়েছে রেপো রেট। সামগ্রিকভাবে এই সময়ের মধ্যে ২.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমবার আরবিআই ৪ মে রেপো রেট ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি করে। এরপরে ৮ জুন ০.৫ শতাংশ, ৫ অগাস্ট ০.৫ শতাংশ, ৩০ সেপ্টেম্বর ০.৫ শতাংশ এবং ৭ ডিসেম্বর ০.৩৫ শতাংশ রেপো রেট বাড়িয়েছিল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pataka Bidi: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    Pataka Bidi: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর দফতর ফের হানা দিল মুর্শিদাবাদের আরও এক বিড়ির কারখানায়। কিছুদিন আগেই তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের শিব বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এবার পতাকা বিড়ির (Pataka Bidi) কারখানায় হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ওই বিড়ি কারখানার মূল অফিসেও হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা।

    বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের সুতির অরঙ্গাবাদে পতাকা বিড়ি সংস্থার অফিসে  হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি ঢোকে এই কারখানায়। প্রথমেই পতাকা বিড়ির অফিসে প্রবেশ করেন তাঁরা। তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরো অফিস ঘিরে ফেলে। এরপরেই শুরু হয় তল্লাশি। অফিসে তল্লাশি চালানোর পর তল্লাশি চালানো হয় কারখানাতেও। 

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সুতিতে বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও বিড়ি কারখানায় হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। পাশাপাশি সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ও বিজলি বিড়ি কারখানাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই সময়। এবার অরঙ্গাবাদের পতাকা বিড়ি (Pataka Bidi) কারখানার পালা। সকাল সকাল এভাবে তল্লাশি শুরু হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  এলাকায়।

    জাকিরের কারখানা থেকে উদ্ধার কয়েক কোটি

    তল্লাশির পরে জাকির হোসেনের বিড়ি (Pataka Bidi) কারখানা থেকে নগদ প্রায় ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। ওই সময় মুর্শিদাবাদের মোট চারটি বিড়ি কারখানা থেকে মোট ১১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই টাকার প্রেক্ষিতে কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি বিধায়ক। সে কারণেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    আরও পড়ুন: তদন্তের নামে কোনও মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট  

    যদিও কেন্দ্রীয় বিভাগের এই অভিযানের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাকির (Pataka Bidi)। তাঁর দাবি, কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য ওই নগদ টাকা রাখা ছিল। বেআইনি কোনও টাকা নেই। এই ইস্যুতে জাকিরের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার মধ্যে বুধবার আবার আয়কর হানা হল মুর্শিদাবাদে। যদিও ওই বিড়ি কারখানার মালিকের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Milk Production: দুধ উৎপাদনে ভারত শীর্ষে, জানেন পরিমাণ কত?  

    Milk Production: দুধ উৎপাদনে ভারত শীর্ষে, জানেন পরিমাণ কত?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে শ্বেত বিপ্লব ঘটেছে আগেই। তার জেরে মিটেছে দুধের (Milk Production) প্রয়োজন। এবার জানা গেল সম্পূর্ণ এক ভিন্ন তথ্য। মঙ্গলবার লোকসভায় সেই তথ্য তুলে ধরলেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পারষোত্তম রুপালা। এদিন তিনি জানিয়ে দিলেন, বিশ্বে দুধ উৎপাদনে ভারত রয়েছে সবার শীর্ষে। এই গ্রহের ২৪ শতাংশ দুধ উৎপাদিত হয় এ দেশে। তিনি জানান, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন কো-অপারেট স্ট্যাটিসটিক্যাল ডেটাবেসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে দুগ্ধ উৎপাদনে ভারতের স্থান রয়েছে এক নম্বরে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিশ্বের ২৪ শতাংশ দুধ উৎপাদন হয়েছে ভারতে।

    দুধ উৎপাদন…

    গত আট বছরে দেশে যে দুধ উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, এদিন তাও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এ দেশে দুগ্ধ উৎপাদন (Milk Production) বেড়েছে ৫১ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতে দুগ্ধ উৎপাদিত হয়েছে ২২ কোটি টন। দুগ্ধ চাষিদের দিকেও যে বর্তমান সরকারের নজর রয়েছে, এদিন লোকসভায় তাও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, প্রাণিপালন দফতর চাষিদের কল্যাণের কথা ভেবে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ডেয়ারি সেক্টরে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল চাষিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই সব প্রকল্পে।

    কেবল দুধের উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, উৎপাদিত দুধের গুণমানের দিকেও নজর দিতে হবে বলেও মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল। সেজন্য ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট দুধের উৎপাদন, উৎপাদিত দুধের গুণমান, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য! অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হয় ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট। ২০২১ সালে পুনর্বিন্যাস করা হয় ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেয়ারি ডেভেলপমেন্টের। দুধ (Milk Production) এবং দুগ্ধজাত সামগ্রীর গুণমাণ বজায় রাখতেই এটা করা হয়। প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন ইত্যাদির দিকে বাড়তি নজর দেওয়াও লক্ষ্য ছিল ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর ডেয়ারি ডেভেলপমেন্টের। মন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল লাইভস্টক মিশন, সাব-মিশন অফ ফিড অ্যান্ড ফড্ডার ডেভেলপমেন্ট একটি আলাদা প্রকল্প। ফিড ও ফড্ডারের উৎপাদন বাড়াতেই এটা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sraddha Murder Case: শ্রদ্ধার হাড় গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে আফতাব! জানেন চার্জশিটে আর কী কী তথ্য উঠে এল?

    Sraddha Murder Case: শ্রদ্ধার হাড় গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে আফতাব! জানেন চার্জশিটে আর কী কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্টোন গ্রাইন্ডার ব্যবহার করে বান্ধবীর হাড় গুঁড়ো করেছিল আফতাব।  দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের সেই নৃশংস বিবরণ উঠে এসেছে পুলিশের চার্জশিটে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আফতাব পুণেওয়ালার বিরুদ্ধে ৬ হাজার ৬০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। আর সেই চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে হাড়হিম করা নানান তথ্য।

    হারপিক দিয়ে রক্ত সাফ

    চার্জশিট থেকে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর চিকেন রোল খেয়েছিল আফতাব। প্রেমিকার রক্ত সাফ করেছিল হারপিক দিয়ে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের পালঘরের তরুণী শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আফতাবের। সেই আলাপ পরে প্রেমে গড়ায়। বাড়ির অমতেই আফতাবকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেন শ্রদ্ধা। যার জন্য আপনজনদের ছেড়েছেন, সেই আফতাবের হাতেই খুন হতে হয় শ্রদ্ধাকে। ২০২২ সালের ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর প্রেমিক। তবে এই হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসে গত বছরের নভেম্বর মাসে। তিন মাস ধরে প্রেমিকার শরীরের ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে এসেছিল আফতাব। খুনের তিনমাস পরে সবশেষে ফেলেছিল শ্রদ্ধার মাথা। 

    আরও পড়ুন: শেষ হল পলিগ্রাফ পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতেই আফতাবের নারকো টেস্ট?

    চিকেন রোল অর্ডার

    ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করার পরে জোমাটো থেকে চিকেন রোল অর্ডার করেছিল আফতাব। তার আগে অবশ্য শ্রদ্ধার দেহ নিয়ে গিয়ে রেখেছিল বাথরুমে। ঘটনার দিন সন্ধে পৌনে ৮টার সময় ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে সামনের হার্ডওয়ার শপ থেকে একটি করাত, তিনটি ধারাল ছুরি এবং একটা হাতুড়ি কেনে সে। তারপর ঘরে ফিরে সেই সব ধারাল অস্ত্র দিয়েই একে একে শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করে পলিথিনে ভরে রাখে। খুনের পরের দিন ১৯ মে একটা দামী রেফ্রিজিরেটর কিনে সেখানে ভরে রাখে সেই সমস্ত পলিথিন। তারপর পরের চার-পাঁচ দিনে দিল্লির ছাত্তারপুর পাহারি এলাকার জঙ্গলে এক এক করে সেই দেহাংশ ছড়িয়ে আসতে থাকে আফতাব।

    আরও পড়ুন: খোশমেজাজে জেলবন্দি আফতাব! দিন কাটছে দাবা খেলে, বই পড়ে

    আফতাবের ফাঁসির দাবি

    শ্রদ্ধাকে খুনের পর একটি ডেটিং সাইটে অন্য এক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আফতাব। ওই মহিলা আফতাবের ফ্ল্যাটে এসে বেশ কয়েক বার রাতও কাটান। যখনই ওই মহিলা ফ্ল্যাটে যেতেন, সেই সময় ফ্রিজ পরিষ্কার করে রাখত আফতাব। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধার দেহাংশ রান্নাঘরে লুকিয়ে রাখত। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার হাড়গোড় গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো গুঁড়োও করেছিল আফতাব। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পলিগ্রাফ পরীক্ষা এবং নার্কো পরীক্ষার সময় এই বয়ান দিয়েছে আফতাব। সেই বয়ানই চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে। আফতাবের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন শ্রদ্ধার বাবা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Virginity Test: তদন্তের নামে কোনও মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

    Virginity Test: তদন্তের নামে কোনও মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্য খোঁজার নামে কোনও অভিযুক্ত মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা (Virginity Test) ‘অমানবিক’ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, তদন্তের মধ্যে ‘সত্য উদ্ঘাটনের নামে’ কোনও অভিযুক্ত বা আটক হওয়া মহিলার ভার্জিনিটি টেস্টে কুমারীত্ব যাচাই করার পদক্ষেপ অংসবিধানিক।    

    প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে সিস্টার অভয়া হত্যা মামলায় সিস্টার সেফির ভার্জিনিটি টেস্টের (Virginity Test) ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল হয়েছিল। সেই মামলা ওঠে দিল্লি হাইকোর্টে। সেই মামলা সম্পর্কেই এই পর্যবেক্ষণ। মামলাটিতে রায় দেন বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা। বিচারপতি জানান, এমন পরিস্থিতিতে এই টেস্ট সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ এর বিধিকে লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন, “অভিযোগের জেরে সত্য পর্যন্ত পৌঁছানোর নামে অনুচ্ছেদ ২১ এর অধিকারকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।” এই বিধিতে ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে সিস্টার সেফির মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সিস্টার সেফির বিরুদ্ধে যে ফৌজদারী মামলা চলছে তা শেষ হলে যাতে তিনি এই টেস্টের নিরিখে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন, তার অধিকার দিয়েছে কোর্ট। 

    উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে কেরলের কোট্টায়ামে খুন হন সিস্টার অভয়া নামে এক সন্ন্যাসিনী। তাঁর দেহ, সেই এলাকাতেই অবস্থিত সেন্ট পায়াস টেন্থ কনভেন্টের কুয়ো থেকে পাওয়া যায়।

    অভিযোগ কী ছিল?

    ১৯৯২ সালের ২৭ মার্চের সেই খুনকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছিল কেরল পুলিশের (Virginity Test)। ২০ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ ওই সন্ন্যাসিনীর মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সেই সময়। কীভাবে মারা গেলেন তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে সিস্টার সেফির। মামলার দায়িত্ব পায় সিবিআই। সেই সময় অভিযুক্তের ভার্জিনিটি টেস্ট করার অনুমতি দেয় আদালত। দেখা যায়, সন্ন্যাসিনী হওয়া সত্ত্বেও সেফি কুমারী নন। তদন্তে জানা যায়, ফাদার কোট্টুর সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তা অভয়া জানতে পেরে যান। আর তাতেই এই হত্যা বলে, সন্দেহ করা হয়। চলে তদন্ত। ফাদার কোট্টুকেও অভিযুক্ত করে আদালত।

    আরও পড়ুন: ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, কবে পাওয়া যাবে অ্যাডমিট?

    ২০২০ সালে এক বিশেষ সিবিআই আদালত সিস্টার সেফিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মূলত, সিস্টার সেফির ভার্জিনিটি টেস্টের ভিত্তিতেই, ফাদার কোট্টুরের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক প্রমাণ হয়েছিল আদালতে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সিস্টার সেফি। উচ্চ আদালত আপাতত তাঁর সাজা স্থগিত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। এর পাশাপাশি ২০০৯ সালে, তদন্ত চলাকালীন তার ভার্জিনটি টেস্ট (Virginity Test) করাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সিস্টার সেফি। এদিন সেই মামলারই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। যে ভার্জিনিটি টেস্টের ভিত্তিতে সিস্টার সেফিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআই আদালত, সেই প্রক্রিয়াটিই অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কাজেই, এই দিনের রায় কেরল হাইকোর্টে চলা মূল মামলার প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

         

  • Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য’, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে এক নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে (removing minor’s undergarment) তাকে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা ধর্ষণের অপরাধের সমান। সম্প্রতি একটি মামলায় এমনই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না থাকলেও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং অপরাধীর উদ্দেশ্য বিচার করেই এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী ঘটেছিল

    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৭ সালের মে মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক নাবালিকা একটি খেলনার দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে আইসক্রিম দেয়। তারপর অভিযুক্ত আরও আইসক্রিমের প্রলোভন দিয়ে ওই নাবালিকাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত নাবালিকাকে তার প্যান্ট খুলে ফেলতে বললে সে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপর অভিযুক্ত নাবালিকার পিছু ধাওয়া করে এবং তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে তার অন্তর্বাস খুলে দেয়। কিন্তু, মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে চলে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    নিম্ন আদালতের রায় বহাল

    সেই ঘটনায় অভিযুক্ত রবির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়। ২০০৮ সালে বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালত রবিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানারও নিদেশ দেন। জেলা ও দায়রা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করে রবি রায়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার দাবি, কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কিশোরীকে আদর করার জন্যই এমন কাজ করেছিল সে। সেই মামলাতেই অভিযুক্তের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারক জানিয়েছেন, অপরিচিত কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করেছেন মানে তিনি নাবালিকাকে ধষর্ণের উদ্দেশ্যেই তা করেছিলেন, এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ না পাওয়া গেলেও এই ঘটনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সমতুল্য অপরাধ। ফলে এই মামালয় নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBSE Board Exam: ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, কবে পাওয়া যাবে অ্যাডমিট?

    CBSE Board Exam: ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, কবে পাওয়া যাবে অ্যাডমিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে চলেছে সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা (CBSE Board Exam)। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৷ 
    সিবিএসই ২০২৩-এর সিডিউল অনুযায়ী দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার এই অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে সিবিএসই-এর অফিসিয়াল (CBSE Board Exam) ওয়েবসাইট cbse.gov.in. 

    দশম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হবে মার্চের ২১, ২০২৩ এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হবে এপ্রিল ৫, ২০২৩৷ পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০.৩০ থেকে আর তা চলবে ১.৩০ পর্যন্ত৷

    কী করে ডাউনলোড করবেন অ্যাডমিট কার্ড? 

    • অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য বোর্ডের ওয়েবসাইটে নিজেদের শংসাপত্র-সহ লগ ইন করতে হবে৷ 
    • এরপর নিজেদের স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীরা অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারে৷
    • সিবিএসই বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি স্কুল পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই ছাত্রছাত্রীদের হাতে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়৷ স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করার সময় পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যেকোনও একটি আইডি প্রুফ থাকা বাঞ্ছনীয়৷

    আরও পড়ুন: জোর করে নাবালিকার অন্তর্বাস খুলে দেওয়া ধর্ষণের সমতুল্য! অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের  

    ছাত্রছাত্রীদের সই করে নিতে হবে অ্যাডমিট কার্ড (CBSE Board Exam)৷ অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার পর অ্যাডমিট কার্ডে লেখা গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি পরীক্ষার্থীদের দেখে নিতে হবে৷ অ্যাডমিট কার্ডে লেখা নাম, রোল-নম্বর, সাবজেক্ট কোড-সহ অন্যান্য বিবরণ বিশদে জেনে নিতে হবে৷ কোনও ভুল-ভ্রান্তি থাকলে তা স্কুলকে জানাতে হবে৷ সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ডটিকে সাবধানে রাখারও কথা বলা হয়েছে৷ অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না৷     

    বোর্ডের প্রকাশিত সময়সূচী অনুযায়ী সিবিএসই (CBSE Board Exam) দশম শ্রেণির পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এবং ২১ মার্চ শেষ হবে। দশম শ্রেণির প্রথম পরীক্ষা হবে পেইন্টিং, তামাং, শেরপা, রাই, গুরুং এবং থাই বিষয়। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ৫ এপ্রিল। ৮০ নম্বরে নেওয়া হবে পরীক্ষা। ইংরেজি সাহিত্য ছাড়া পাঁচটি বিভাগে হবে পরীক্ষা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    Turkey: তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু মিছিল! ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুই কান্নার আওয়াজ। হা-হুতাশ! তুরস্ক, সিরিয়া জুড়ে শুধুই আর্তনাদ। পাথর সরালেই মিলছে একের পর এক দেহ। ঘুমের মধ্যে দিনের শুরুতেই চির-ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এই সংখ্যা কিছুই নয়। মৃত্যুসংখ্যা ৩২ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা।

    কোথায় শেষ কেউ জানে না!

    প্রাথমিক ভাবে যা মনে করা হয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে প্রাণহানি। আহতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা-সহ প্রায় ৭০টি দেশ তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্কের আদানা শহরে পৌঁছেছে ভারতের পাঠানো প্রথম দফার ত্রাণসাহায্য। সেই সঙ্গে পৌঁছেছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উদ্ধারকারী দল, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, চিকিৎসা সামগ্রী, ড্রিলিং মেশিন ইত্যাদি। সিরিয়াতেও গিয়েছে ভারতের ত্রাণসাহায্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফিরাত সুনেল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘তুর্কি ও হিন্দি… দুই ভাষাতেই ‘দোস্ত’ শব্দটি রয়েছে। তুর্কিতে একটা কথা আছে: বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।’’

    আরও পড়ুন: প্রবল ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল! কঠিন সময়ে তুরস্ক ও সিরািয়ার পাশে ভারত

    আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়

    ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, পাঁচ বার ভূমিকম্প ও আরও ১০০ বার ভূকম্পন-পরবর্তী কম্পনের (আফটার শক) জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হু-র ইউরোপ শাখার জরুরি বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ক্যাথরিন স্মলউডের কথায়, ‘‘আরও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছেই। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের পরে সব সময়েই এটা ঘটে থাকে। আর ঠিক তা-ই বিপর্যয়ের কয়েক সপ্তাহ পরে মৃত বা জখমের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যায়।’’ স্মলউড বলেন, ‘‘ভূমিকম্পের পরে যাঁদের আর ঘরবাড়ি নেই কিংবা ঘরে ফেরার অবস্থা নেই, তাঁরা এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন। এতেও বিপদ বাড়ছে। একটা ছোট আশ্রয়শিবিরে ঠাসাঠাসি ভিড়, শ্বাসজনিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল।’’ অচেনা মুখের ভিড়েই আশ্রয় খুঁজছেন পরিবার-হারিয়ে রাতারাতি একা হয়ে যাওয়া বহু মানুষ। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনের দেহ খুঁজে বেড়াচ্ছেন ধ্বংসস্তূপের তলায়। তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলের খবর এখনও জানাই যায়নি।

    আরও পড়ুন: তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫,০০০ ছাড়াল! তিন মাসের জন্য ১০ প্রভিন্সে ‘জরুরি অবস্থা’

    আরও সঙ্কটে সিরিয়া 

    সিরিয়ার অবস্থাও ভয়াবহ। হু-এর আধিকারিক অ্যাডেলেড মার্শাংয়ের বক্তব্য, এই বিপর্যয় সামলানোর জন্য তুরস্কের তা-ও কিছু সামর্থ্য আছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধে এমনিতেই বিপর্যস্ত সিরিয়া। অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে। কলেরার সংক্রমণ ছড়িয়েছে এ দেশে। খাদ্যাভাব, অপুষ্টি তো রয়েইছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। তার উপরে যোগ হল আরও একটি। অ্যাডেলেড জানান, দু’দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে। যার মধ্যে রয়েছে অন্তত ১৪ লক্ষ শিশু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • S400: এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম-এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত আসতে চলেছে ভারতে! জানালেন রাশিয়ার দূত

    S400: এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম-এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত আসতে চলেছে ভারতে! জানালেন রাশিয়ার দূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৫ টি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার চুক্তি সই করেছিল ভারত। তার তৃতীয় স্কোয়াড্রন দ্রুত ভারতে আসতে চলেছে। এটি প্রায় প্রস্তুত বলে জানালেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপোভ। এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম রাশিয়ার সবথেকে আধুনিক শক্তিশালী দূরপাল্লার মিসাইল সিস্টেম হিসেবে পরিচিত। 

    অত্যাধুনিক সক্ষমতা

    ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভারতকে (india) এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের তৃতীয় স্কোয়াড্রন সরবরাহ করবে রাশিয়া। প্রথম দুটি স্কোয়াড্রন আগেই ভারতে এসেছে। সেগুলি যথাক্রমে উত্তর ও পূর্ব সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্টে আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে উড়ে যাওয়া মানুষবিহীন আকাশযানের উপরও আঘাত হানতে সক্ষম এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়া থেকে আনায়, ভারতের ওপর না খুশি ছিল আমেরিকা। তবে তা পরে মেনে নেয় মার্কিন কংগ্রেস। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করতে রাজি ছিল না ভারত।

    আরও পড়ুন: ‘বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলি জনগণের সামনে তুলে ধরুন’, বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    গেম-চেঞ্জার

    প্রসঙ্গত, ভারত এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে। এস-৪০০-কে একটি গেম চেঞ্জার বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে চিন অন্যদিকে, পাকিস্তানকে রুখতে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনেকটাই সহায়ক হবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত। চিন এবং ভারত উভয়েই তাদের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর মোতায়েন করেছে। তবে চিনের তুলনায় ভারতীয় সিস্টেমের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে লালফৌজের অনুপ্রবেশের তৎপরতা ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন বছরে এস-৪০০ এর তৃতীয় স্কোয়াড্রন আসার খবর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share