Blog

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি করার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।   

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করে বলেন, “কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা দলের লোকদের পাইয়ে দিতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করেছে তৃণমূল। ভুয়ো নথি বানিয়ে টাকা আত্মসাত্‍ করা হয়েছে।” গত ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে শুভেন্দু দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিওর এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় বেশি জবকার্ড রয়েছে। এমনকি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।   

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে বলে, “একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের হলফনামা পেশ করতে হবে।” কেন্দ্রের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর, কেন্দ্রের টাকা তছরুপ করা সংবিধান বিরোধী।” রাজ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, এই ধরনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এ বিষয়ে বলেন, “অভিযোগ গুরুতর। কেন্দ্রের টাকা যেভাবে ইচ্ছেমতো তছরুপ করা হয়েছে তা আইন বিরুদ্ধ। সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।” অ্যাডভোকেট জেনারেলের পাল্টা দাবি, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। মামলাকারী ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে আমরা হলফনামা দিয়ে সমস্ত বক্তব্য জানাতে চাই।” হলফনামা দেওয়ার জন্যে রাজ্যের আইনজীবী দুসপ্তাহের সময় চেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের জামিনের আবেদন খারিজ, কমপক্ষে আরও ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে পার্থ- সুবীরেশদের

    কী জানিয়েছে আদালত? 

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকেও নিজের বক্তব্য জানাতে বলে। ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।                  

     

  • China Protest: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

    China Protest: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনার গ্রাসে প্রতিবেশী দেশ চিন (China Protest)। দৈনিক  সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার। সংক্রমণে লাগাম দিতে ফের কোভিড নীতি আটোসাটো শি জিনপিং- এর সরকার। আর এতেই ক্ষেপে উঠেছে চিনা জনতা। বছরের পর বছর ঘরবন্দি হয়ে থাকতে রাজী নয় তারা। সরকারের কোভিড নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের নাগরিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ, বন্দিদশা থেকে মুক্তি চান সকলে। দেশজুড়ে রবিবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচী চলল। উঠল জিনপিং বিরোধী শ্লোগান। ‘‘লকডাউন চাই না, মুক্তি চাই।’’ জনরোষে কেঁপে উঠল, রাজধানী শহর বেজিং এবং শাংহাইয়ের রাজপথ। 

    সাধারণ মানুষের (China Protest) অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনও করোনা-শূন্য নীতি থেকে সরে আসেনি। অর্থাৎ, দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়ার পর্যন্ত কড়াকড়ি বন্ধ থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের রোজগারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।
     
     
    সম্প্রতি জিনঝিয়াং প্রদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ওই প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতলে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান দশ জন চিনা নাগরিক (China Protest)। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্দি থাকার জন্যই অনেকে আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আগুন লেগে যাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। চিনা প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শি জিনপিং- এর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে মানুষ।
     

    বেজিং- শাংহাইতে বিক্ষোভ 

     
    রবিবার বেজিং শহরের একটি নদীর ধারে প্রতিবাদ জানাতে অন্তত ৪০০ জন মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর (China Protest)। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান।
     
    শাংহাইতেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মানুষ (China Protest)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। ‘শি জিনপিং, ইস্তফা দাও’ বলে স্লোগান তুলতে শোনা গিয়েছে শাংহাইয়ের রাস্তায়। শনিবার গভীর রাত থেকে শাংহাইয়ের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার সকালে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বেলার দিকে ফের পথে নামেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Brussels Riot: মরক্কোর কাছে হার বেলজিয়ামের, হিংসা ছড়াল ব্রাসেলসে, আটক বহু

    Brussels Riot: মরক্কোর কাছে হার বেলজিয়ামের, হিংসা ছড়াল ব্রাসেলসে, আটক বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপে মজে রয়েছে পুরো বিশ্ববাসী। গতকাল ছিল বেলজিয়াম ও মরক্কোর ম্যাচ। খেলাতে হার জিত রয়েছেই, কিন্তু গতকাল এক অন্য দৃশ্যই দেখা গেল। এই হারই পরিণত হল দাঙ্গাতে (Brussels Riot)।

    অগ্নিগর্ভ ব্রাসেলস

    বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে মরক্কোর বিরুদ্ধে বেলজিয়াম ২-০ গোলে পরাজিত হওয়ার পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি। ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় দোকানে। ছোঁড়া হয় পাথর। সংঘর্ষের খবর আসতেই পুলিশ ব্রাসেলসের কিছু অংশ বন্ধ করে দেয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রায় বারো জনকে আটক করা হয়েছে ও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহার করা হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস (Brussels Riot)।

    আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচে জয় চাই! স্পেনের সঙ্গে ড্র করে নকআউটের আশা জিইয়ে রাখল জার্মানি

    কী ঘটে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিশ্বকাপে রবিবার বেলজিয়াম বনাম মরক্কোর ম্যাচে হেরে যায় বেলজিয়াম। মরক্কোর কাছে এই হার মেনে নিতে না পারায় শুরু হয় দাঙ্গা (Brussels Riot)। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।  ফুটবলপ্রেমীরা নিজেদের মধ্যেই বচসা, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, মরক্কোর বেশ কিছু সমর্থক জয়ের পরই দেশের পতাকা গায়ে পরে, উদযাপনের জন্য রাস্তায় নামেন। এদিকে, বেলজিয়ামের সমর্থকরাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ সেই মুহূর্তে উপস্থিত হয় এবং জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। বেলজিয়াম পুলিশের মুখপাত্র ভ্যান দে কেরে জানিয়েছেন, “সংঘর্ষের সময় পাইরোটেকনিক সামগ্রী, প্রজেক্টাইল, লাঠি ব্যবহার করা হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টিও হয়। এছাড়াও এই দাঙ্গাতে এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। শেষপর্যন্ত স্থানীয় সময় অনুযায়ী, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।”  

  • Kim Jong Un Daughter: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    Kim Jong Un Daughter: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার (North Korea) একনায়ক শাসক কিম জং উনের মেয়েকে (Kim Jong Un Daughter)। এবার প্রকাশ্যে এল তার ব্যক্তিগত জীবনও। নিউইয়র্ক পোস্টের (New York Post) প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিমের মেয়ে উপভোগ করে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত জীবন। জানা গিয়েছে, কিমের মেয়ের বয়স ন বছর। কাংওয়ান প্রদেশের ওয়াংসাংয়ে একটি সমুদ্র তীরবর্তী বিরাট ভিলায় বাস করে সে। পোস্টের রিপোর্ট বলছে, তার নাম জুই এই। একটি ছবিতে তাকে দেখা যাচ্ছে বাবার হাত ধরে রয়েছে সে। নভেম্বরের ১৯ তারিখে ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সেই মিসাইল পরীক্ষার সময় কিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়েও। পিয়ংইয়ং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারফিল্ড থেকে ওই আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মিসাইলটির পাল্লা হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি।

    মার-আ-লাগোর মতো…

    প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, যে এস্টেটে বাস করে কিমের মেয়ে (Kim Jong Un Daughter), সেটা মার-আ-লাগোর মতো। ভিলার ওই চৌহদ্দির মধ্যেই রয়েছে সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট, ফুটবল মাঠ, ওয়াটার স্লাইড এবং স্পোর্টস স্টেডিয়াম। সমুদ্র তীরবর্তী এই ভিলাটি ছাড়াও দেশে আরও ১৫টি প্রাসাদ রয়েছে কিমের পরিবারের। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেগুলি। সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যান কিমের পরিবারের সদস্যরা। এই সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়েই চলে গিয়েছে রেলপথ। সেই পথেই যাতায়াত করেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিমের মেয়ে সুন্দর জীবন যাপন করে। সে এবং তাই ভাইবোনেদের সাহায্য করতে অনেক ন্যানি এবং হাউসকিপার রয়েছে। তবে তারা বেশিরভাগ সময় কাটায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই। কিমের বাবাও ছিলেন ঠিক কিমের মতোই। কিমের বাবাও সন্তানদের প্রতি ভীষণ মনযোগী ছিলেন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ‘তেজস’-এর ভক্ত, আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট

    শুক্রবার কিমের মেয়ের (Kim Jong Un Daughter) সঙ্গে উৎক্ষেপণ পর্ব দেখতে হাজির ছিলেন তাঁর স্ত্রী রি সোল জু-ও। উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাডেন বলেন, এই প্রথম আমরা কিম জং উনের মেয়েকে কোনও অনুষ্ঠানে দেখলাম। তিনি এও জানান, কিমের মেয়ের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন সন্তানের জনক কিম। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Good Health Tips: হাজার চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? সকালে এই তিনটি ভুল করছেন না তো!

    Good Health Tips: হাজার চেষ্টা করেও ওজন কমছে না? সকালে এই তিনটি ভুল করছেন না তো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কীভাবে আপনার সকাল শুরু করবেন তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে কী করছেন, তা আপনার ওজনের উপরে বড় প্রভাব ফেলে। যদি আপনি স্ফীতভাব, ওজনবৃদ্ধি, বদহজম, প্রদাহ, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য চিন্তিত থেকে থাকেন, তবে তার জন্য আপনাকে আপনার কিছু বাজে অভ্যাস বন্ধ করতে হবে।

    অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে, ওজন কমানোর জন্য সব কিছুই তো করছেন আপনি, তবে কেন কমছে না ওজন? ওজন না কমার প্রধান কারণই হল আপনার কিছু বাজে অভ্যাস। আপনার পেটের মেদ কমানোর জন্য সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ওজন কমানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং ঘুম খুব দরকারি। কিন্তু আপনার সকাল সকাল কিছু ভুলের কারণেই ওজন কমানোর লক্ষ্য থেকে আপনি পিছিয়ে যেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে যেসব ভুলের জন্য আপনি নানা সমস্যায় ভুগছেন, সেগুলো হল-

    ১) ব্রেকফাস্ট না করা

    সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালের খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেটাবলিজম দ্রুত হয় এবং সারাদিন গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। আপনি যদি সকালের খাবার এড়িয়ে যান, তাহলে দিনের বেলা আপনার বেশি খিদে পাবে এবং এটা সেটা খেতে বেশি ইচ্ছা করবে। ফলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাবে। তাই ব্রেকফাস্ট পেট ভরে খাওয়া উচিত। আর সকালের খাবারে শর্করা কম যুক্ত ফল, প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবারগুলো বেছে নিন।

    ২) চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া

    ব্রেকফাস্টে চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সেরিয়াল বা অন্যান্য খাবার খেলে আপনার শরীরে এনার্জি পাবেন না। ডায়েটিসিয়ানদের মতে, উচ্চ চিনি এবং কম ফাইবারযুক্ত ব্রেকফাস্ট আপনার খিদে বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে বেশি করে খিদে পায় ও পরে এটা ওটা খাওয়ার ইচ্ছে বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে পরে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি বদহজম ও স্ফীতভাবের মত সমস্যাও দেখা যায়। সাধারণত প্যাকেজযুক্ত জুসে চিনির  পরিমাণ খুব বেশি থাকে, তাই জুসের পরিবর্তে ফল খাওয়া বেশি উপকারি।

    ৩) কফিতে ক্রিম ও চিনি যোগ করা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কফি বিপাক এবং হজমের জন্য দুর্দান্ত।  এক কাপ ব্ল্যাক কফি স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস দিয়ে পূর্ণ এবং এর ক্যাফিন আপনার দিন শুরু করার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারে। কিন্তু সমস্যাটি হয় তখনই যখন আপনি কফির মধ্যে চিনি বা ক্রিম অ্যাড করছেন। কারণ এতে ক্যালোরি বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি, বদহজমের মত সমস্যা দেখা দেয়।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘এত দামী উকিল রাখা কেন?’’, মমতার ‘‘মামলায় টাকা শেষ’’ মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘এত দামী উকিল রাখা কেন?’’, মমতার ‘‘মামলায় টাকা শেষ’’ মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এমন এক মন্তব্য করে বসলেন যে, যা নিয়ে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিতে গিয়ে বললেন, “মামলা লড়তে গিয়ে শূন্য হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের ভাঁড়ার।” আর এই মন্তব্যের পরেই সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সমস্যার সমাধান দিলেন।

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এর আগেই শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয় তদন্তের মধ্যেই নতুন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি বাধা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তাঁর কথায়, সরকারের বিভিন্ন কাজে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে বাধা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে নিয়োগ বা অন্যান্য কাজে সেই আইনি লড়াই চালাতেই সরকারের সব অর্থ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি বিধানসভায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আদালতের কাছেও আবেদন জানাব, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই আমরা লোক নিতে চাই বা রেশনের (দুয়ারে রেশন) মত প্রকল্প নিই, তখনই আদালতে যায়। আর স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে। আদালতে লড়তে লড়তেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’ কিন্তু এসব বলেও কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পেলেন না মমতা ব্যানার্জি। বরং সমালোচনা আরও বেড়ে গেল।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মন্তব্যে প্রশ্ন করেছেন সুকান্ত মজুমদার

    মামলা লড়তে লড়তে সরকারের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে যাচ্ছে, এই মন্তব্যে পরেই সুকান্তর (Sukanta Majumdar) প্রশ্ন, “রাজ্য সরকার কেন এত দামী উকিল নিচ্ছে? যখন মামলা দুর্বল হয়, তখনই তো দামী উকিল নিতে হয়।” শুক্রবার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গী হয়ে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে দলীয় কর্মসূচি সারেন সুকান্ত। সেখানেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। সুকান্তর দাবি, দুর্বল মামলায় লড়তে দামী দামী আইনজীবী নিয়োগ করছে রাজ্য। আর তাতেই বাড়ছে খরচ।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, ‘‘খুঁত রেখেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন। যাতে কেউ না কেউ আদালতে যান আর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। তা হলে রাজ্য সরকারকে আর মাইনে দিতে হবে না! মাইনে দেওয়ার টাকা কোথায়?’’

    তিনি কটাক্ষের সুরে আরও বলেন, ডিএ-র মত বিষয় সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার। কেনই বা তা নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। রাজ্য সরকারকে তাই তিনি পরামর্শ দেন, কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে, নয় সরকারী কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।

  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারামানিকে নোটিশ পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, শুক্রবার পাঠানো হয় নোটিশ। সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে তাঁদের বিয়ে নিবন্ধীকৃত হোক। এ ব্যাপারেই কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত জানতে চেয়ে নোটিশ (Notice) পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

    সময় মাত্র চার সপ্তাহ…

    সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি চলছে, ওই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলি। কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠানোর আগে তাঁরা প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতোগির কাছে এই আবেদনের নির্যাস শোনেন। তার পরেই পাঠানো হয় নোটিশ। চার সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল, তার একটি করেছিলেন জনৈক সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাং। এঁরা হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। আর দ্বিতীয় আবেদনটি করেছিলেন পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা এবং উদয় রাজ। আবেদনে বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি না দিলে সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার এবং জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দেশের শীর্ষ আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারাটি বাতিল বলে ঘোষণা করে। ওই ধারায় সমলিঙ্গ মানুষের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করা হত। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের চালু করা ওই ধারা ব্রিটেনেই বাতিল হয় তার ঠিক ১০২ বছর পরে। তবে ভারতে তা চালু ছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই ধারাটি বাতিল করেছিলেন, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    দেশের শীর্ষ আদালত ধারাটি বাতিল করলেও, সরকার এখনও এ ব্যাপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। সেই কারণেই থমকে রয়েছে সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি। যার জেরে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাংকে। একই কারণে সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিতে হয়েছে পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা ও উদয় রাজকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Aftab Poonawala: আট ঘণ্টা ধরে চলল পলিগ্রাফ টেস্ট, কী কী জিজ্ঞেস করা হল আফতাবকে?

    Aftab Poonawala: আট ঘণ্টা ধরে চলল পলিগ্রাফ টেস্ট, কী কী জিজ্ঞেস করা হল আফতাবকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Poonawala) নার্কো ও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু হয়েছে। গতকাল দিল্লির রোহিণীর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-এ প্রায় আট ঘণ্টা ধরে তার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়। এই টেস্ট চলাকালীন তাকে প্রায় ৪০টি প্রশ্ন করা হয়। শুক্রবার তাকে আবারও ডাকা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    বুধবারই তার (Aftab Poonawala) পলিগ্রাফ টেস্ট করার কথা ছিল, কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, আফতাব জ্বরে ভুগছে। আর সেই কারণে বুধবার তার পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা যায়নি। বৃহস্পতিবারের পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় সে সহযোগিতা করলেও অতিরিক্ত হাঁচির কারণে কিছু রেকর্ডিং পরিস্কার হয়নি। তাই আজও তাকে আবার পরীক্ষার জন্য ডাকা হতে পারে। এফএসএল সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষার রিপোর্ট জানা যাবে। প্রসঙ্গত, পলিগ্রাফ টেস্টের অপর নাম ‘লাই ডিটেক্টর’ টেস্ট অর্থাৎ অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, তা যাচাইয়ের পরীক্ষা।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    পলিগ্রাফ টেস্টে কী কী জিজ্ঞেস করা হল?

    বৃহস্পতিবার এই পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু হয় সকাল ১১টা ৫০ মিনিট থেকে এবং তার রক্তচাপ মাপা সহ বেশ কিছু প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে যে, আফতাবকে (Aftab Poonawala) প্রশ্নগুলো হিন্দিতে করা হলেও সে ইংলিশে উত্তর দেয়।

    ১) পলিগ্রাফ টেস্টের সময়, আফতাবকে তার শৈশব, তার বন্ধুবান্ধব ও লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

    ২) শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল, দিল্লি বা মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে কীভাবে তাঁদের দিন কাটত, এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়।

    ৩) এরপর শ্রদ্ধাকে খুন করার ব্যাপারে বিশদে জিজ্ঞেস করা হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, কী কারণে সে শ্রদ্ধাকে খুন করল, কখন সে এই অপরাধ ঘটালো, খুনের পর কীভাবে সে প্রমাণ লোপাট করল ইত্যাদি।

    ৪) শ্রদ্ধার সঙ্গে ডেটিং শুরু হওয়ার পর কী কী হয়েছিল এবং কেন সে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করার পর ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাও জিজ্ঞসা করা হয়।

    ৫) আফতাবের কাছে পলিগ্রাফ পরীক্ষায় জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি শ্রদ্ধার মোবাইল ফোনটি কোথায় ফেলেছে। সূত্রের খবর, তার উত্তর অনুযায়ী ফোনটির খোঁজ শুরু হয়েছে।

    ৬) শ্রদ্ধার দেহকে একাধিক অংশে কেটে ফেলার জন্য যে ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল আফতাব সে সম্পর্কেও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

    শ্রদ্ধা ও আফতাবের বন্ধুদের বয়ান রেকর্ড

    ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধা ও আফতাবের (Aftab Poonawala) বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ও তাঁদের বয়ান ১৬৪ ধারার অন্তর্গত রেকর্ড করেছে। উভয়ের বন্ধুরাই বলেছে যে শ্রদ্ধাকে আফতাব মারধর করত এবং তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল। পুলিশ শ্রদ্ধা ও আফতাবের বন্ধু, যিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। আবার শ্রদ্ধার এক বন্ধু রজত শুক্লা জানিয়েছেন, আফতাব সিগারেট দিয়েও শ্রদ্ধার গায়ে ছেঁকা দিত। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে এইসব তথ্যই পাওয়া গিয়েছে তাদের বন্ধুদের থেকে।

    উল্লেখ্য, এরই মধ্যে তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ আফতাবের (Aftab Poonawala) ফ্ল্যাট থেকে পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করে, যা ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ মনে করছে এই ছুরিগুলি দিয়েই আফতাব শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে। আবার পুলিশ শ্রদ্ধার চোয়ালে কিছু চুলের দাগ দেখতে পেয়েছে, যেটাকে ডিএনএ টেস্টে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, সম্ভবত আগামী সপ্তাহে আফতাবের নার্কো টেস্টও করা হবে।

  • Unemployment Percentage: দেশে ফের একপ্রস্ত কমল বেকারত্বের হার, কত হল জানেন?

    Unemployment Percentage: দেশে ফের একপ্রস্ত কমল বেকারত্বের হার, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একপ্রস্ত কমল দেশে বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage)। চলতি বছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (September) এই ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার ৯.৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭.২ শতাংশ। এক বছর আগে এই সময় দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৮ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকে শহরাঞ্চলে (Urban) ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (NSO) সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে…

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বেই বেড়ে গিয়েছিল বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage)। ভারতেও ছবিটা ছিল প্রায় একই রকম। তার পর গোটা বিশ্ব ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও, ভারত পেরেছে। দেশে বেকারত্বের লেখচিত্র হু হু করে নেমেছে। সম্প্রতি দেশে শ্রমশক্তির একটি সমীক্ষা করা হয়। পিরিয়ডিক লেবার ফোর্সের সার্ভে থেকেই জানা যাচ্ছে, দেশে বেকারত্বের হার ক্রমেই পড়তির দিকে।

    ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কেবল মহিলাদের মধ্যেই নয়, পুরুষদের মধ্যেও কমেছে বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage)। এক বছর আগে এই হার ছিল ৯.৩ শতাংশ। চলতি বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই ত্রৈমাসিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৬ শতাংশে। অথচ চলতি বছর জুন-জুলাই মাসেও এই হার ছিল ৭.১ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, পনের বছর কিংবা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে শ্রমশক্তির হারও বেড়েছে অনেকটাই। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই ত্রৈমাসিকে শ্রমশক্তির হার বেড়েছে ৪৭.৯ শতাংশ। এক বছর আগে এই হার ছিল ৪৬.৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দু দশক ধরে ভারতে বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage) ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যদিও করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে কয়েকটি ক্ষেত্রে এই হার কমে গিয়েছিল। এই ক্ষেত্রগুলি হল, ম্যানুফ্যাকচারিং, ইনফ্রাকস্ট্রাকচার, হসপিটালিটি, অটোমোবাইল এবং ইন্সুরেন্স। এই ক্ষেত্রগুলিতে কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে খুবই কষ্ট করতে হয়েছে সংস্থাগুলিকে।

    অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেকেই কাজ হারিয়েছিলেন। কর্মসংস্থানের হারও ছিল কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগকেই নিদারুণ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে এখন যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তার প্রমাণ ওই রিপোর্টেই বলেও অভিমত তাঁদের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mandal: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    Anubrata Mandal: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার (Cattle smuggling case) মামলায় জেলেই অনুব্রত। এবারও জামিন পেলেন না বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জেল হেফাজতের মেয়াদ ফুরনোয় তাঁকে শুক্রবার সকালে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। এদিন তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদনই জানানো হয়নি। ফলে সিবিআইয়ের (CBI) আবেদনে মান্যতা দিয়ে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলে থাকবেন। ওইদিন ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।

    এখনই দিল্লি নয়

    চলতি সপ্তাহে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত-মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। তাঁকে দিল্লি নিয়ে জেরা করতে নির্দেশ জারি করতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানি  হবে ১ ডিসেম্বর। তাই আপাতত দিল্লি যেতে হচ্ছে না অনুব্রতকে। অন্যদিকে শুক্রবার দিল্লিতে ইডি-র (ED) সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal )। এই নিয়ে ততীয়বার হাজিরা দিলেন তিনি। আগামী ২৮ নভেম্বর রাইসমিল মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে ইডি। 

    আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে টিকিট হাতিয়ে নেন কেষ্ট! আসল লটারি বিজেতার দাবিতে তোলপাড়

    আদালতে কী হল

    এদিন অনুব্রতকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবীর জামিনের আবেদন না জানানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে বাইরে বেরিয়ে আইনজীবীরা জানান, তাঁরা এবার জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন, তাই আর এখানে জামিনের আর্জি জানাননি। এদিকে এজলাসে আজ কেস ডায়রি অনুব্রতর হাতে তুলে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন‌ও করেন বিচারক। তবে এদিন বিশেষ একটা স‌ওয়াল-জবাব হয়নি। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরে হানা দিয়ে মূলত অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকার জেতার রহস্য ভেদ করতে উঠে পড়ে নামেন। আসল লটারির টিকিট যিনি জিতে ছিলেন অর্থাৎ সেই নুর আলির নানুরে বড় শিমুলিয়ার বাড়িতে হানা দেন। সেখান থেকে পাওয়া নথিতে সিবিআই আধিকারিকরা সন্তুষ্ট না হলে তাকে শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share