Blog

  • US Visa: এবার মার্কিন ভিসা আবেদন করার ১৪ দিনের মধ্যেই মিলবে ইন্টারভিউয়ের ডাক!

    US Visa: এবার মার্কিন ভিসা আবেদন করার ১৪ দিনের মধ্যেই মিলবে ইন্টারভিউয়ের ডাক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরতে যাওয়াই হোক, কিংবা চাকরি বা ব্যবসার কাজে, চটজলদি পেয়ে যাবেন আমেরিকার ভিসা (US Visa)। ভিসা পেতে আর দিনের পর দিন অপেক্ষা করে পড়ে থাকতে হবে না। আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যেই যাতে ইন্টারভিউ পর্ব মিটিয়ে ফেলতে পারবেন পর্যটকেরা, ভারতীয়দের জন্য সেই ব্যবস্থাই করল আমেরিকার প্রশাসন।

    এবার থেকে ভিসার (US Visa) আবেদন করলে ১৪ দিনের মধ্যেই ডাকবে আমেরিকার দূতাবাস

    জানা গেছে, ভিসার (US Visa) জন্য আবেদন করার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য অন্ততপক্ষে ৫০০ দিন অপেক্ষা করে থাকতে হয় ভারতীয়দের। বিভিন্ন দূতাবাসের ক্ষেত্রে অপেক্ষার দিন বিভিন্ন হয়। তবে কোনোটাই  ৫০০ দিনের কম নয়। যেমন ধরুন আবেদনের সময় যদি ইন্টারভিউয়ের জন্য কলকাতার আমেরিকান কনস্যুলেটকে কেউ বেছে নেন, তা হলে তাঁর ডাক আসতে গড়ে ৫৮৯ দিন অপেক্ষা করতে হয়। আবার মুম্বইয়ে আমেরিকার দূতাবাস থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য তলব আসে গড়ে ৬৩৮ দিন পর। এটা শুধুমাত্র আমেরিকার জন্যই। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সময়সীমা খুবই কম।

    কী বলল মার্কিন দূতাবাস

    দিল্লিতে আমেরিকার দূতাবাস থেকে সম্প্রতি জানিয়েছে, ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া নির্ঝঞ্ঝাট করে তুলতে তাদের প্রশাসন বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ  করেছে। ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ব্যাঙ্ককে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসের পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে নজরও দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার এক ভিসা আধিকারিক জানিয়েছেন, ভিসা (US Visa) পাওয়ার লম্বা সময়ে রাশ টানতে বহু কনসুলার অফিসারকে ভারতে পাঠানো হচ্ছে।

     

    Do you have upcoming international travel? If so, you may be able to get a visa appointment at the U.S. Embassy or Consulate in your destination. For example, @USEmbassyBKK has opened B1/B2 appointment capacity for Indians who will be in Thailand in the coming months. pic.twitter.com/tjunlBqeYu

    — U.S. Embassy India (@USAndIndia) February 3, 2023

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Panchayat Election: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজ্য, কী অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা?

    Panchayat Election: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কাঁপছে রাজ্য, কী অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে বার বার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে রাজ্য। মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের ভয়ঙ্করতার কথা। এক সপ্তাহের মধ্যেই ২৪ পরগনার বাসন্তী এবং বীরভূমের মাড়গ্রাম বিস্ফোরণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য। শনিবারের মাড়গ্রামের বিস্ফোরণের মৃত্যু হয়েছে নিউটন শেখ এবং লাল্টু শেখের। এই দুই বিস্ফোরণের নেপথ্যেই রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

    আরও পড়ুন: অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    কিন্তু এখানেই কী ইতি ভয়ঙ্করতার? শেষ দুমাসের ঘটনাপ্রবাহ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তলানিতে এসে ঠেকেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। গত দুমাসে রাজ্যে ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিদের সক্রিয়তা। রইল শেষ কয়েকদিনে রাজ্যে ঘটা সেরকম কিছু ঘটনার তালিকা। যেখান থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় যে মারাত্মকভাবে বিপন্ন রাজ্যের ল অ্যান্ড অর্ডার।    

    সাম্প্রতিককালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া বোমা হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনাপ্রবাহ: 

    • ২৬ জানুয়ারি- মালদায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে রক্তাক্ত ছয় বছরের শিশু। 
    • ২২ জানুয়ারি- উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বোমার আঘাতে জখম ৩ শিশু, ইসলামপুরে গুলি, বোমাবাজি। 
    • প্রায় একই সময়ে ভাটপাড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজারে মাঠের পাশে বোমা উদ্ধার। ভাঙরে ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার।
    • ২০ জানুয়ারি- বীরভূমের মেলায় বোমাবাজি, সংঘাত থামাতে গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মী।
    • ৫-৭ জানুয়ারি- নিউটাউনের সশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ব্যক্তি। 
    • বাঁকুড়ায় ড্রেন থেকে উদ্ধার বন্দুক।
    • বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণে চোখ হারাতে বসেছে এক শিশু। 
    • ২৯ ডিসেম্বর- ভাঙ্গরে ৬ ব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধার। 
    • টিটাগরের স্কুলে বোমা থেকে বাঁচার প্রশিক্ষণ দেন স্কুলের শিক্ষকরা। 
    • ৬ ডিসেম্বর-  আসানসোল মুর্শিদাবাদ এবং কুলতলী থেকে একাধিক বন্দুক বোমা ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। 
    • ৩ ডিসেম্বর- পাঁশকুড়া থানার বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 
    • পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগরে টিএমসি বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ ২ জন তার বাড়িতে অবৈধ ভাবে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ঘটে, তাতে ৩ জন নিহত এবং ২ জন গুরুতর আহত হয়।
    • নভেম্বর- মিনাখাঁয় মজুত করা বোমা ফেটে প্রাণ গেল ৯ বছরের বাচ্চার। মামা স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
    • অক্টোবর- ভাটপাড়ায় বল ভেবে বোমাকে লাথি মেরে প্রাণ যায় ৬ বছরের শিশুর।

    এভাবে একের পর এক বিস্ফোরণে প্রশ্নের মুখে রাজ্যবাসীদের নিরাপত্তা। বিরোধীরা বার বার মমতা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। নিরাপত্তার বেহাল দশায় গোটা দেশের সামনে বার বার মুখ পুড়ছে রাজ্যের। কিন্তু এখনও একইভাবে নিষ্ক্রিয় রাজ্য পুলিশ। শুধুই কী পদার্থতা? নাকি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়ের পরিবেশ তৈরির ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা? পুরোটাই ধোঁয়াশা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
     

     

  • Jupiter: শনিকে টপকে সবথেকে বেশি উপগ্রহের মালিক এখন বৃহস্পতি

    Jupiter: শনিকে টপকে সবথেকে বেশি উপগ্রহের মালিক এখন বৃহস্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি (Jupiter)। এবার এই গ্রহের কক্ষপথে আরও ১২টি উপগ্রহের সন্ধান পাওয়া গেল। সম্প্রতি সেগুলির সন্ধান পেয়েছেন আমেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর শনির রেকর্ড ভেঙে দিল বৃহস্পতি (Jupiter)। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, বৃহস্পতিকে(Jupiter) কেন্দ্র করে এর কক্ষপথে ওই ১২টি উপগ্রহ ঘুরছে। এখন মোট ৯২টি উপগ্রহ হল বৃহস্পতির। অন্য দিকে, শনির কক্ষপথে ঘুরছে ৮৩টি উপগ্রহ। ফলে এত দিন উপগ্রহের সংখ্যার নিরিখে শনিই শীর্ষে ছিল। তবে এখন সৌরজগতে সবচেয়ে বেশি উপগ্রহ রয়েছে বৃহস্পতির (Jupiter)।

    আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিশা! ৮৮০ কোটি বছর পুরনো রেডিও-সংকেত ধরলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    কোন সংস্থা এই আবিষ্কার করল

    জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটনের ‘কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স’-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট শেপার্ডের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষণ দল বৃহস্পতির কক্ষপথে ওই ১২টি উপগ্রহ খুঁজে পেয়েছেন। আমেরিকার ‘মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার’ সম্প্রতি এই সম্পর্কে সবিস্তার তথ্যসম্বলিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে তারা বলছে, বৃহস্পতির (Jupiter) ওই উপগ্রহগুলি আকারে নাকি অনেকটাই ক্ষুদ্র। 

    আরও পড়ুন: উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! এর প্রভাব কী হতে পারে?

    জোভিয়ান জগত কী জানেন

    বৃহস্পতি (Jupiter), শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন— এই চারটি গ্রহমিলিত ভাবে জোভিয়ান জগৎ বলে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। চলছে অভিযানের প্রস্তুতিও। তার বছরখানেক আগে এই ১২টি

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    উপগ্রহের সন্ধান পাওয়াকে বড় সাফল্য মনে করছে নাসা। সবথেকে বড় কথা, এই উপগ্রহগুলি মানুষের বসবাসের উপযুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে ইউরোপা ক্লিপার মিশন হিসাবে পরিচিত নাসার ওই অভিযান।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Jhalda: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তলব ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে

    Jhalda: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের তলব ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে এল নয়া মোড়। এবারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তলব করলেন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যান শীলা। তাঁকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই ঝালদা পুরসভাকে নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে তপন কান্দু খুনের মামলায় শীলা চট্টোপাধ্যায়কে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    সিবিআই ক্যাম্পে হাজিরা শীলার

    শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছন শীলা। ঘণ্টা দু’য়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এই নিয়ে শীলা বলেন, “আমার কাছ থেকে ওনারা কিছু বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। যা ওনারা জানতে চেয়েছেন তা আমি জানিয়ে দিয়েছি।” তাঁর মতে, সিবিআই ভাল কাজ করছে। তপন হত্যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব থমকে গিয়েছিল। মাস তিনেক বাদে তা আবার নতুন করে শুরু হল ঝালদার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরকে তলব করায়।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টানাপোড়েন, আইনি লড়াই পড়ে ঝালদা পুরসভায় বোর্ড দখল করেছিল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সন হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৭-০ ভোটে জিতে বোর্ড দখল করে কংগ্রেস। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে থাকলেও তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। তবে আপাতত শীলা চট্টোপাধ্যায় আর চেয়ারপার্সনের পদে নেই। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁকে পদচ্যুত করেন মহকুমা শাসক। জানানো হয় পুরনির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে পর পর দল বদল করা যায় না। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ সর্দারকে চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়।

    এদিকে কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। এবং ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে পূর্নিমা কান্দুকে বসানোর নির্দেশ দেয়। এই পূর্ণিমা কান্দু ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। পুরভোটের কয়েকদিনের মধ্যেই খুন হয়েছিলেন তপন কান্দু। আদালতের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যাকারীরা। প্রাথমিক ভাবে ওই কাণ্ডের তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তৈরি করে জেলা পুলিশ। অবশ্য পরে কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলায় তদন্তভার তুলে দেয় সিবিআইকে।

  • Recruitment Scam: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    Recruitment Scam: কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) ইডির (ED) হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ করে টাকা। একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি কিংবা শিক্ষা দফতরের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছিল আলাদা রেট। রেট চার্ট তৈরি করত নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের চাঁইরা। নিয়োগ দুর্নীতির জন্য চক্রের মাথাদের তৈরি এহেন রেট চার্ট জেনে হতবাক ইডির আধিকারিকরাও। কেবল এঁদের থেকেই নয়, টাকা নেওয়া হয়েছে টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচ-সাত লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত বলেও জানা গিয়েছে। এই টাকা কখনও নগদে, কখনও আবার অনলাইনে পৌঁছাত এজেন্টদের কাছে। আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য নেওয়া হত ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। যাঁরা এক সঙ্গে টাকা দিতে পারতেন না, তাঁরা টাকা পাঠাতেন দফায় দফায়।

    ইডি…

    এদিকে, ইডির হাতে ধৃত হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া সাড়ে ছ কোটি টাকা কতজনকে দেওয়া হয়েছে, তার তালিকাও হাতে এসেছে ইডির। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তালিকায় কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও রয়েছে।  ইডি সূত্রে খবর, টেট দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের। কিন্তু তার সঙ্গে প্রায় ৫০ কোটি টাকার যে লেনদেনের হিসেব মিলেছে, সেই বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে আপার প্রাইমারি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশ ও স্কুলের গ্রুপ সি এবং ডি-র চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    ইডির দাবি, যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগকেই চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। একজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে অন্য চাকরি প্রার্থীরাও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসেন। ফলে এজেন্টদের মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থর ধৃত সঙ্গীদের কাছে পৌঁছে যেত সেই বিপুল পরিমাণ টাকা। চাঁইদের করা রেট চার্ট (Recruitment Scam) জানিয়ে দেওয়া হত চাকরি প্রার্থীদের। সেই মতো টাকা দিতেন চাকরি প্রার্থীরা। ওই টাকা কতজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছেছিল, তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Kanthi: স্বস্তি নেই নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতার, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবারে ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়ের উপর হস্তক্ষেপে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে অভিযুক্ত শুভদীপ গিরি চাইলে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন, নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা তৃণমূল ছাত্রনেতার

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেখানে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অস্বস্তিতে পড়লেন শুভদীপ গিরি।

    সিঙ্গল বেঞ্চে কী রায় দেওয়া হয়েছিল?

    জানুয়ারির শেষ দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণ করলেও জামিন দেওয়া যাবে না অভিযুক্ত শুভদীপ গিরিকে। সঙ্গে নির্দেশ, তাঁকে গ্রেফতারির সব রকম চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি যেন নিম্ন আদালতে জামিন না পান, তার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা। তার পরই আজ এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী ঘটেছিল?

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, শুভদীপ তাঁদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন। মোবাইলে একান্ত মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও তুলে রাখেন। কিন্তু পরে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হননি। মেয়েটি তাঁকে ওই সব একান্ত মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে মুছে দিতে বলে। অভিযোগ, এর পর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সেই ছবি মোছার অজুহাতে প্রাক্তন বান্ধবীকে দিঘার একটি হোটেলে ডাকেন তৃণমূল ছাত্রনেতা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের কন্যাকে ধর্ষণ করেন শুভদীপ। এই ঘটনার পর ১ নভেম্বর তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করেনি কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট ওই পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পর গত ১৯ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও শুভদীপকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পুলিশের তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি মান্থা। এর আগে এক তদন্তকারী পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, ‘‘আপনি সঠিক ভাবে তদন্ত করছেন না…। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করুন।” এছাড়া, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।

  • West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    West Bengal DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে, ডাক কর্মবিরতিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (West Bengal DA) দাবিতে ১০ দিন ধরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তার পরেও সুরাহা না হওয়ায় এবার মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি (President) ও প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister)। শুধু তাই নয়, মঞ্চের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত ট্রেউ ইউনিয়ন, কর্মী ইউনিয়নকেও। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এই ডিএ সরকারি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার। তা যেন দিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও রাজ্য সরকার গড়িমসি করে চলেছে। নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবিও তোলা হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।

    কর্মবিরতি…

    ইতিমধ্যেই মঞ্চের তরফে দু ঘণ্টার জন্য সমস্ত সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। তবে জরুরি পরিষেবা সচল রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি দু ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ না করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মঞ্চের তরফে। এসবেও কাজ না হওয়ায় এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করল মঞ্চ। প্রসঙ্গত, শহিদ মিনার ময়দানে ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্নায় বসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সরকারি কর্মী, আধা সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুরসভার কর্মী সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। যদিও পরে আরও একাধিক সরকারি কর্মী সংগঠনও যুক্ত হয়েছে এই মঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    এদিকে আন্দোলন আরও জোরালো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঞ্চ (West Bengal DA)। ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মীদের ওই ধরনা মঞ্চে ডাকা হবে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের। ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে ‘দাবি ব্যাজ’ পরে ক্লাস নেবেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ১০ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে হবে নাগরিক কনভেনশন। উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে কর্মবিরতি। এদিকে, ডিএ (West Bengal DA) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কর্মীদের বর্ধিত হারে ডিএ দিলে আর্থিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চেরে সেই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘কীভাবে তদন্ত এগোবে রোজ বলে দিতে হবে কেন?’’ সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে (Calcutta High Court) ফের মুখ পুড়ল সিবিআই- এর। সিবিআই আধিকারিকদের অপদার্থতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির প্রশ্নবানের মুখে কার্যত বোবা হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    কী বললেন বিচারপতি? 

    সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) । শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের অপদার্থতায় বিরক্তি প্রকাশ করে গত শুক্রবার তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার যেই অবস্থায় আদালতের কাজকর্ম বন্ধ হয়েছিল সোমবার সেখান থেকেই শুরু হল। বদলাল শুধু এজলাস। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার সিবিআই- এর কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু।

    আরও পড়ুন: জোরালো ভূমিকম্পে পর পর দু’ বার কেঁপে উঠল তুরস্ক! মৃত অন্তত ৩৬০

    এদিন নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বসু সিবিআইয়ের আইনজীবীকে (Calcutta High Court) প্রশ্ন করেন, “চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যারা টাকা দেওয়া-নেওয়া করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদালত কেন বার বার একে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছে?” বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে কার্যত  বাকরুদ্ধ হয়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।   
     
    এএরপর বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, “যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সিবিআই কী ভাবে তদন্ত করবে সেটা কেন বার বার আদালতকে বলে দিতে হবে? সিবিআই কী ভাবে কাজ করবে সেটা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে? এটা ভালো দেখায় না। কেন দুর্নীতিতে যুক্তদের প্রতি এত সদয় সিবিআই?”

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে সিবিআই (Calcutta High Court)। সাম্প্রতিককালে বার বার আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে ২ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তাতেও সিবিআই- এর ভূমিকায় অখুশি সিবিআই।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

          
     
      

     

  • Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আবারও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে অন্তত ১৪টি মন্দির ভাংচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙি উপজেলায় কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী ১৪টি মন্দিরে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে যাতে পরিস্থিতি অন্যদিকে গতি না নেয় তাই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    পুলিশ কী বলছে

    বালিয়াডাঙি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক খাইরুল আনাম বলেন, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে ধানতলা, চারোল, পরিয়া ইউনিয়ন এলাকার একাধিক মন্দিরে ভাঙচুরের খবর পেয়েছি আমরা। ঘটনার তদন্ত করছেন জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন। তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওইসব মন্দিরে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক মূর্তি ভাঙা হয়েছে, নাকি দেশের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, তা দেখছি আমরা। পুলিশ এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

    পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বলছেন

    বালিয়াডাঙি উপজেলার পুজো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ বর্মন বলেন, ধানতলার ৯টি, চারোলে ১টি এবং পরিয়া এলাকার ৪টি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এই মন্দিরগুলিতে হরিবাসার, কৃষ্ণ, মনসা, লক্ষ্মী, কালীর মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলির হাত, পা ও মাথা টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিছু কিছু ভাঙা টুকরো পুকুরে ফেলে দিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। 

    খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলার পুজো উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ। সিন্দুরপিণ্ডিতে হরিবাসার মন্দিরে তিনি বলেন, এই মন্দিরটি বিশাল বড় এবং ঐতিহ্যবাহী। অনেকেই নিয়মিত এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা খুবই মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর ঘটনা।

    ২০২২ সালে বাংলাদেশে হওয়া হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচারের খতিয়ান

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছরে সেদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে ১২৮টি মন্দিরে। ভাঙচুর হয়েছে ৪৮১টি প্রতিমা। ৭২টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেদেশে গত বছর ৩১৯টি সংখ্যালঘু পরিবার বা সংখ্যালঘুদের মন্দির লুঠ হয়েছে। ৮১৯টি বসতবাড়িতে হামলা হয়েছে। অগ্নি সংযোগ হয়েছে ৫১৯টি বাড়িতে। সংখ্যালঘুদের ১৭৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর হয়েছে।

    দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে ৪৪৫টি সংখ্যালঘু পরিবারকে। ১৫ হাজার ১১৫টি পরিবারকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৯১টি পরিবার। ১ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের ওপর মোট ৯৫৩টি সংগঠিত হামলা হয়েছে।  ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া বছরে সেদেশে খুন হয়েছেন ১৫৪ জন সংখ্যালঘু। দখল হয়েছে সংখ্যালঘুদের প্রায় ৯০ হাজার একর জমি।

    গত ১ বছরে বাংলাদেশে (Bangladesh) ১৫৪ জন সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন। তার মধ্যে ২৭ জনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ১৪ জনকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ৫৫ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে ৮৪৯ জনকে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২৪ জনকে। হামলার জেরে আহত হয়েছেন মোট ৩৬০ জন সংখ্যালঘু। এখনো ৬২ জন সংখ্যালঘুর কোনও খোঁজ নেই।

    ১ বছরে পদ্মাপাড়ে সংখ্যালঘুদের ৯০ হাজার একর জমি দখল হয়ে গিয়েছে। বসত থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৫৭২টি পরিবারকে। তার মধ্যে ৪৪৫টি পরিবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মোট প্রায় ২২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ কোটি ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে চাঁদা হিসাবে।

    এছাড়া সেদেশে অপহরণ করা হয়েছে ১২৭ জন সংখ্যালঘুকে। ১৫২ জনকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ৪০ জনকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Central DA: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    Central DA: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ফের বাড়ছে ৪ শতাংশ ডিএ, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। মার্চ মাসের শুরুতেই ফের ডিএ (Central DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ বেড়ে হতে পারে ৪২ শতাংশ। গত বছর অক্টোবরে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেবারও বেড়েছিল ৪ শতাংশ। কার্যকর হয়েছে ওই বছরের ১ জুলাই (July) থেকে। ফের বাড়বে ৪ শতাংশ। কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি (January) থেকে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল ও ১ জুলাই ৩ ও ৪ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এ বারেরটা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়বে ১১ শতাংশ। কেন্দ্র এবার ডিএ ঘোষণা করলে নয়া ব্যবস্থায় কেন্দ্রের সঙ্গে  এ রাজ্যের ডিএ-র ফারাক বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ।

    ডিএ…

    অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র বলেন, ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি শিল্পক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য উপভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএ (Central DA) ৪.২৩ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে দশমিকে ডিএ বাড়ায় না সরকার। তাই ডিএ ৪ শতাংশ বেড়ে হতে পারে ৪২ শতাংশ। তিনি জানান, অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ রাজস্ব প্রভাব সহ ডিএ বাড়ানোর একটি প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে।সূত্রের খবর, কেবল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদেরই নয়, ডিএ বাড়বে পেনশনভোগীদেরও। ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় নয়া হারে ডিএ দিতে শুরু করে কেন্দ্র। তার পর রীতি মেনে ফি বছর জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু বার ডিএ বাড়াতে থাকে। সেই মতোই জুলাইয়ের পর জানুয়ারি থেকে বাড়তে চলেছে ডিএ।

    আরও পড়ুুন: ‘ঈশ্বরের কাছে জাতি বর্ণের কোনও বিভেদ নেই’, রোহিদাসের জন্মবার্ষিকীতে বার্তা ভাগবতের

    জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ (Central DA) বৃদ্ধি কার্যকর হবে। বর্তমানে এক কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী ৩৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। এদিকে, তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মীদের ডিএ মেটানো হয়নি। এর পর আদালত অবমাননার অভিযোগে যখন ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইউনিটি ফোরাম নামে একটি সংস্থা, তখন পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share