Blog

  • Sagardighi By Election: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    Sagardighi By Election: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন দিলীপ সাহা। চলতি মাসের ২৭ তারিখ উপনির্বাচন হবে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে। ৭ ফেব্রুয়ারি এই কেন্দ্রে প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইতিমধ্যেই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এবার প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। 

    কেন উপনির্বাচন

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে জিতেছিলেন সুব্রত সাহা। তৃণমূলের এই প্রার্থী সেখান থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুব্রত সাহা। এবার এই আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে রয়েছেন। দেবাশিসকে হারানোর জন্য রাজ্যে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি এই কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে দাঁড়ানো দিলীপের মূল হাতিয়ার। 

    আরও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা

    দিলীপ সাহার পরিচয়

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন দিলীপ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নবগ্রাম কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে হারতে হয়েছিল বামেদের কাছে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসার কাজেও যুক্ত তিনি। রয়েছে একটি রাইস মিল।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি বামেরা। সেখানে বাম-কং জোট নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। কংগ্রেসের প্রতীকে এই কেন্দ্রে লড়ছেন ব্যারণ বিশ্বাস। সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ানের বাসিন্দা ব্যারণ এলাকায় বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবেই পরিচিত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৮ ফেব্রুয়ারি হবে জমা পড়া মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীপদ বাতিলের শেষ দিন। ২ মার্চ বেরোবে নির্বাচনের ফল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pathaan: পাঠানের জনপ্রিয়তায় মাত গোটা বিশ্ব, সিনেমা দেখতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা!

    Pathaan: পাঠানের জনপ্রিয়তায় মাত গোটা বিশ্ব, সিনেমা দেখতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর পর রুপোলী পর্দায় ফিরেও তিনি দেখিয়েছেন তিনি আজও বলিউডের ‘বাদশা’। আজও একই ভাবে তাঁর ভক্তরা তাঁর জন্যে পাগল। বলছি শাহরুখ খানের কথা। শাহরুখ খানের কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’ (Pathaan) বক্স অফিসে সুপারহিট। মাত্র সাত দিনে ৬৩৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ছবিটি। দেশ  মিলেছে ৩৯৫ কোটি টাকা। বিদেশ থেকে ছবিটি কামিয়েছে ২৩৯ কোটি টাকা। ছবিটি মুক্তির আগেই এর সফল হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। হাজার কোটি ছোঁয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। চার বছর পর সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় কামব্যাক করেছেন শাহরুখ। অ্যাকশন হিরোকে ফের বড় পর্দায় দেখতে সিনেমা হলে ছুটছেন অনুরাগীরা। শুধু এদেশেই নয়। শাহরুখের ছবির জনপ্রিয়তা পার করেছে কাটা তারও। বাংলাদেশ থেকে অগণিত ভক্ত এদেশে ছুটে আসছেন পাঠান দেখতে। কারণ, ওপার বাংলায় মুক্তি পায়নি পাঠান। তাতে কী? কিং খানের ভক্তদের কাটা তার আটকে রাখতে পারে? জানা গিয়েছে, এই ছবি দেখার জন্য ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা।

    আরও পড়ুন: কারচুপির অভিযোগে পড়েছে শেয়ারের দাম, ২০ হাজার কোটির শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনা বাতিল আদানি গোষ্ঠীর  

    পাঠানের (Pathaan) ওপার বাংলায় মুক্তি না পাওয়ার নেপথ্যে মূলত আইনি জটিলতা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিচালক অনন্য মামুন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আইনি জটিলতার জেরেই পাঠান মুক্তি পাচ্ছে না এখানে। দু’টি আইনে আটকেছে এই সিনেমা। প্রথমত, কোনও উপমহাদেশীয় ছবি আমাদের দেশে মুক্তি পায় না। দ্বিতীয়ত, ঢাকা এবং ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সিনেমা নয় এটি। যদি সেটা হতো, তাহলে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকত।” 

    কিন্তু সে বাঁধা মানতে নারাজ শাহরুখের বাংলাদেশি ভক্তরা। তাই তাঁরা ভারতের সিনেমাহলগুলিকেই বেছে নিচ্ছেন প্রিয় তারকাকে দেখতে। অজন্তা সিনেমা হলের মালিক শতদীপ সাহার ত্রিপুরাতেও একটি হল রয়েছে। যার নাম রূপসী সিনেমা। তিনি একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানিয়েছেন যে এক বাংলাদেশি পরিবারের সদস্যরা পাঠান (Pathaan) দেখার জন্য তাঁর আগরতলার সিনেমা হলে এসেছিলেন।

    পাকিস্তানে বেআইনি স্ক্রিনিং  

    প্রায় একই হাল আরও (Pathaan) এক প্রতিবেশি দেশের। পাকিস্তানেও মুক্তি পায়নি পাঠান। কারণ, চার বছর আগেই ভারতীয় ছবিকে নিষিদ্ধ করেছে তারা। কিন্তু তাতেও থামানো যায়নি শাহরুখ ভক্তদের। সেই দেশে বেআইনিভাবেই নাকি শাহরুখ খানের ছবির স্ক্রিনিং চলছে। ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাঠানের টিকিট! শাহরুখ এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবিটি দুর্দান্ত হয়েছে জানার পরেই নাকি ছবিটি দেখার জন্যে পাগল হয়ে যান পাকিস্তানি ভক্তরা। এরপর চোরা পথে ওই ছবি দেখার পদ্ধতি খুঁজে বের করা হয়। চড়া দামে টিকিটও বিক্রি হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Adani FPO: কারচুপির অভিযোগে পড়েছে শেয়ার দর, ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও প্রত্যাহার আদানি গোষ্ঠীর

    Adani FPO: কারচুপির অভিযোগে পড়েছে শেয়ার দর, ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও প্রত্যাহার আদানি গোষ্ঠীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে বিপাকে আদানি গ্রুপ। ক্ষতির মুখে গৌতম আদানির গোষ্ঠী (Adani FPO)। বিগত কয়েকদিনে শেয়ার বাজারে সজোরে ধাক্কা খেয়েছে আদানি গ্রুপ। এবার চাপের মুখে  আদানি গ্রুপ তুলে নিল ফলো-অন পাবলিক অফার (এফপিও)। শুধু তাই নয়, আদানি গ্রুপ অফ এন্টারপ্রাইজের তরফে জানানো হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের পুরো ২০ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।   

    গতকাল পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। আর এদিনই আদানি গোষ্ঠী (Adani FPO) তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা স্বস্তির কথা জানাল। আর এর মাঝেই কিছুটা স্বস্তির বিষয় আদানির এই বিবৃতি। আদানি গ্রুপ আগে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েকদিন আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল তার প্রভাব পড়ছিল শেয়ার মার্কেটে। তাই এই মুহূর্তে সেই শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি এখন স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদানি গ্রুপ। শুধু তাই নয়, আদানি গোষ্ঠীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই যাঁরা এফপিওতে লগ্নি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

    বিবৃতিতে কী জানাল আদানিরা?

    আদানি গোষ্ঠীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আদানিতে এফপিও (Adani FPO) প্রক্রিয়ার অংশ হতে চাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান। কিন্তু গত কয়েকদিনে শেয়ারের দাম যেভাবে পড়ছে তাতে সংস্থার মনে হয়েছে এমতাবস্থায় বিনিয়োগকারীদের কোনওরকম ঝুঁকিতে ফেলা ঠিক হবে না। তাই আপাতত প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়া যাঁরা ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করে ফেলেছেন তাঁদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া কীভাবে সম্ভব সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশপাশি সংস্থা আরও জানিয়েছে, শেয়ারের বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হয়। আদানিদের দাবি, তাদের সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্টই ভালো তাই সংশ্লিষ্ট কারও কোনও চিন্তা করার দরকার নেই। সংস্থার সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে অন্য পরিকল্পনাও বাতিল হচ্ছে না বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গেররিপোর্ট যে দিন প্রকাশিত হয়, ওই দিনই আদানি গোষ্ঠীর এফপিও (Adani FPO) বাজারে আসে। তার প্রভাব পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দরেও। আদানি গোষ্ঠী যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ভারতের উপর অযাচিত আঘাত হানা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India vs New Zealand: টি-২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রানে জয়ের নজির হার্দিকদের! আর কী কী রেকর্ড গড়ল ভারত?

    India vs New Zealand: টি-২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রানে জয়ের নজির হার্দিকদের! আর কী কী রেকর্ড গড়ল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৬৮ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল ভারত। ২০ ওভারের ক্রিকেটে এটাই ভারতের সব থেকে বড় রানে জয়। ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৪৩ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেটাই ছিল এত দিন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানে জয়ের নজির। যা বুধবার আমদাবাদে ভেঙে দিলেন হার্দিকরা। টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির মধ্যে ভারতের ১৬৮ রানে জয় রইল দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৭ সালে কেনিয়াকে ১৭২ রানে হারিয়েছিল তারা। কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের এই বিশাল জয় নজির তৈরি করল।

    ম্যাচের হাল-হাকিকত

    এদিন আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শুভমন গিলের দুরন্ত শতরানের সুবাদে টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে। গিল ১২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া রাহুল ত্রিপাঠী ৪৪, সূর্যকুমার যাদব ২৪ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৩০ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ১২.১ ওভারে মাত্র ৬৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত। ভারতের হয়ে হার্দিক ৪ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন। অর্শদীপ সিং ৩ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। উমরান মালিক ২.১ ওভারে ৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। শিবম মাভি ২ ওভারে ১২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন গিল।

    আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে মাঠেই নাচ শেফালিদের! ভাইরাল ভিডিও

    জয়ের হাফ-সেঞ্চুরি

    এই ম্যাচ জয়ের সুবাদে টিম ইন্ডিয়া ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ জয়ের হাফ-সেঞ্চুরি করল। এমন নজির আর কোনও দেশের নেই। ভারতই প্রথম দল, যারা এই কৃতিত্ব অর্জন করে। আর কোনও দেশ নিজেদের মাঠে ৫০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ জিততে পারেনি। 

    শুভমনের রেকর্ড

    দুরন্ত ইনিংস খেলে ম্যাচে ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েছেন শুভমন গিলও। আমেদাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২৬ রানের ইনিংসটিই ভারতীয়দের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ফরম্যাটে সর্বাধিক। এর আগে বিরাট কোহলি এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক স্কোরের নজির গড়লেন শুভমন। ভারতীয়দের মধ্যে কনিষ্ঠতম হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শতরানের ইনিংস খেললেন গিল।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    Recruitment Scam: ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখি কুন্তল-গোপাল-তাপস, জেরা করা হয় শান্তনুকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক নাম উঠে আসছে। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে। তাঁকে জেরা করেও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই নাম উঠে আসে গোপাল দলপতির। ইডি সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার গোপালকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরে যান তাপস মণ্ডল। সেখানেই কুন্তল, তাপস ও গোপালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই গোপাল তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থকে টাকা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করতেই ‘তাপসকে টাকা দেওয়া হয়েছে’ বলে চিৎকার শুরু করে দেন কুন্তল। ফলে ইডির অভিযোগ, তদন্তকারীদের লাগাতার বিভ্রান্ত করে বিপথে চালিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কুন্তল।

    ইডির মুখোমুখি জেরা কুন্তল, তাপস ও গোপালকে

    মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে আসেন গোপাল ও তাপস। রাত ১টা ২০ নাগাদ দু’জনে বের হন। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, গোপাল তা অস্বীকার করেন। উল্টে জানতে চান কার সামনে টাকা দিয়েছেন কুন্তল? তার কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না।

    অভিযোগ অস্বীকার গোপালের

    ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতারের পরে কুন্তল দাবি করেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থকে তিনি সাড়ে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন এবং সেই টাকা লেনদেনের অন্যতম সাক্ষী গোপাল। কিন্তু এই অভিযোগই অস্বীকার করেছেন গোপাল দলপতি। তিনি বলেছেন, পার্থের কাছে তিনি কোনও দিনই কোনও টাকা পৌঁছে দেননি। ইডি সূত্রে খবর, তার পরেই কুন্তল আচমকা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘গোপালদা, তুমি বলো। তাপস তোমার সামনেই আমার কাছ থেকে দশ কোটি টাকা নিয়ে কলেজ তৈরি করেছেন।’ কুন্তলের ওই দাবিও নস্যাৎ করে দিয়েছেন গোপাল।

    আরও পড়ুন: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭-এর টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে এমন কাজ, রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি

    এমনকী নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো আরেক যুব তৃণমূল নেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন গোপাল। এর পর ইডি-র তরফে জানানো হয়, ৭ দিনের মধ্যে গোপালকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ও পুরনো মামলার সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। তাপস ও কুন্তলের সামনে বসে গোপাল দাবি করেন, ২০১৬ সালে তাপস মারফত কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নির্দেশে তিনি নানা কাজ করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুন্তল বেশ কয়েক বার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট চার-পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই লেনদেনের নথিও তাঁর কাছে আছে।

    তাপস মণ্ডল কী বললেন?

    অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল মঙ্গলবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর দাবি করেন, গোপাল দলপতি তাঁর গ্রামের ছেলে। কিন্তু ৪ বছর পর দেখা হয়েছে। তিহার জেল থেকে গোপালের ছাড়া পাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে জেনে তিনিই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের কসবা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গোপালকে খুঁজে নিয়ে আসেন বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল।

    ফের তলব শান্তনুকে

    যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থ দিনও দীর্ঘ জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার প্রায় ৭ ঘণ্টা জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরোন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। বুধবার বেলা ১২টার কিছু পরে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন যুব তৃণমূল নেতা। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আবার বেরিয়ে আসেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলিই জমা দিতে ইডির অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন। সেগুলির বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বুধবার।

  • TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    TET Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে ২০১৭ টেটের ওএমআর শিট! কার নির্দেশে? রিপোর্ট তলব বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু তার আগেই নষ্ট করা হয়েছে ওএমআর শিট। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেই উত্তরপত্র। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কার নির্দেশে পুড়িয়ে ফেলা হল তা খতিয়ে দেখতে হবে ও এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আজই, বৃহস্পতিবার আদালতে তা জমা দিতে হবে৷ একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও সিনিয়র অফিসারকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    ২০১৭ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। গত বছর জানুয়ারিতে ফল প্রকাশ হয় সেই পরীক্ষার। প্রার্থীদের আরটিআই-এর জবাবে এপ্রিল মাস নাগাদ পর্ষদ ওএমআর শিটের কপিও দেয়। কিন্তু গতকাল জানা গেল সেই ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    সেই পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার মত বিস্ময়কর কথাা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯৫২ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার মামলার শুনানিতে জানা যায়, ওএমআর শিট প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কারণ তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। একথা জেনে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, কোন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হবে হবে? এরপরেই সিবিআইকে নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোন বৈঠকে ওএমআর শিট পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা তদন্ত করে জানাতে হবে সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোর মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথি একই সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে হবে পর্ষদকেও।

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, একাধিক শিক্ষাকর্তা এখন জেলে। সেই ঘটনায় দিনের পর দিন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এবার তাতে পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এল। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দি হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ওএমআর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তাঁর হাত রয়েছে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 

  • Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কান দিয়ে দেখেন। স্তাবকরা যা শোনান, তাই বিশ্বাস করেন, টিপ্পনি করেন।” এবারে বিশ্বভারতীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা। কারণ, বিশ্বভারতী প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” বুধবার বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের থেকে তিন পাতার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে শুরুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারির জবাবেই পালটা বিবৃতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বোলপুরে জনসভার মঞ্চ থেকে আরও একবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন তিনি। সেখানকার সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়া, কয়েক জন অধ্যাপক দেখাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভাব-অভিযোগের কথা তাঁকে জানান। এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, “শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারীরা কাঁদছেন। প্রতিবাদ করলে সাসপেন্ড বা রেস্ট্রিক্টেড করা হচ্ছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়িতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ করবেন, সেটা চলতে পারে না। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব বিশ্বভারতীর

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই বুধবার প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতী সম্পর্কে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। আরও লেখা হয়েছে, “বিশ্বভারতীতে এখন ৪৭৩ জন শিক্ষক, প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এবং ৭৫০ জন কর্মচারী বন্ধু আছেন। তার মধ্যে এক জন শিক্ষক এবং ছয় জন ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য শুনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ তিনি কান দিয়ে দেখেন। যে অধ্যাপক সম্পর্কে বললেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এটা সর্বৈব ভুল। তাঁকে শাস্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রস্তাবটা নিয়ে ওই অধ্যাপক মামলা করেছেন। অতএব ব্যাপারটা বিচারাধীন। মাননীয় কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। অতএব মুখ্যমন্ত্রী একটু বাড়াবাড়ি করলেন না কি?” আবার ছাত্রদের প্রসঙ্গ এনেও বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের সম্পর্কে যা মতামত দিয়েছেন তা তথ্যগত ভুল। সেই ছাত্রদের কেন পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এই বিবৃতিতে।

    গতকাল বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়েও কর্তৃপক্ষকে নিশানা করেছিলেন মমতা। ফলে তার উত্তরে আজ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওনার নিরাপত্তার জন্য বোলপুর শহরকে ঘিরে ফেলা হল। ওনার বাসস্থান, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কি দেওয়াল নেই? আরও জানাই এই দেওয়াল তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তিন যুগ আগে।”

    আবার এই বিবৃতিতে নাম না করে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একাধিক মন্ত্রী-উপাচার্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, “আজ আপনার মনোনীত মন্ত্রী ও উপাচার্য গারদের ভিতরে। কী করে হল? কারণ আপনি স্তাবকদের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেই বিধ্বস্ত। আপনার প্রিয় শিষ্য, যাঁকে না হলে আপনি বীরভূম ভাবতে পারতেন না। তিনিও জেলে। কবে বেরোবেন কেউ জানে না। আগে সাবধান করলে আপনি দুর্নাম থেকে বাঁচতে পারতেন। আপনি যদি সত্যি অর্থে মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হন, তবে এই কথাটা আপনার বোধগম্য হবে।”

    এর পর বিবৃতি শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গে এনে বলা হয়েছে, “বিশ্বভারতী একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা কারণ আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” এরপর ছাত্র-ছাত্রী, মাস্টার মশায়দের ভুল পথে চলার জন্য প্ররোচনা না দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয় এবং পরামর্শ দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী যেন তথ্য, প্রমাণ দিয়ে মত তৈরি করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ ‘চোখ দিয়ে দেখুন, কান দিয়ে নয়।’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে।

  • Union Budget: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’ নিয়ে জন দরবারে যাচ্ছে বিজেপি, জানুন বিশদে  

    Union Budget: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’ নিয়ে জন দরবারে যাচ্ছে বিজেপি, জানুন বিশদে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেট (Union Budget) হয়েছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে। মোদি সরকারের (PM Modi) এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই সেবার বাজেট পেশ হবে না, হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ। তবে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) যে বাজেট পেশ করেছেন, তাতে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। এবারের বাজেটকে তিনি ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন। সেই ঐতিহাসিক বাজেট নিয়ে এবার জনতার দরবারে হাজির হচ্ছে বিজেপি (BJP)। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে ১২ দিন ধরে দেশব্যাপী প্রচার শুরু করবে গেরুয়া শিবির।

    প্রচারে পদ্মশিবির…

    দলের একটি সূত্রের মতে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট নিয়ে দেশব্যাপী প্রচার করবে পদ্ম শিবির। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদিকে। ৪ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী অফিসার এবং অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানী সহ ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাজেট নিয়ে একটি সম্মেলন করবেন। এর পাশাপাশি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সভাপতি, মন্ত্রী, সাংসদ এবং বিধায়করা আগামী দু সপ্তাহ সারা দেশে সম্মেলন এবং জনসভা করবেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাজেট এবং এর সুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন।

    আরও পড়ুুন: “আমি অমৃতকাল বাজেটে বিশ্বাস করি”, বললেন শুভেন্দু, কী প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের?

    বিজেপির তৈরি এই কমিটিতে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, কিষান মোর্চার সভাপতি রাজকুমার চাহার, বিজেপি যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য সহ বহু হেভিওয়েট নেতাকে সদস্য করা হয়েছে। সুশীল মোদির বিবৃতি অনুসারে, এই কমিটি দিল্লিতে দলের সদর দফতরে প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৪ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, দলের সর্বভারতীয় পদাধিকারিরা সমস্ত রাজ্যের রাজধানী সহ ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। দেশের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বাজেট নিয়ে সম্মেলন করবেন।

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যে এই কর্মসূচির জন্য ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলের নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সব জেলায় সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। বাজেটের (Union Budget) বিষয়গুলি পৌঁছে দেওয়া হবে ব্লকস্তর পর্যন্ত জনগণের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Union Budget: কোন পথে আয়করে ছাড় ৭ লক্ষ টাকা বুঝতে পারছেন না? দেখে নিন

    Union Budget: কোন পথে আয়করে ছাড় ৭ লক্ষ টাকা বুঝতে পারছেন না? দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটের সবথেকে বেশি আকর্ষণ ছিল আয়কর নিয়েই। কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়কর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ছাড় ঘোষণা করবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের বরাবরই আগ্রহ থাকে। আর এবারের বাজটে ছিল একের পর এক চমক। কারণ আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই কেন্দ্রীয় সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। সেই কারণে এবারের বাজেটে সরকার আয়কর নিয়ে বড় কোনও ঘোষণা করতে পারে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল সকলের।

    ফলে সেই প্রত্যাশা মতই আয়করে বড় ছাড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছেন। জানিয়েছেন, বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে আয়করে ছাড় মিলবে। যা আগে ছিল ৫ লক্ষ টাকা। তাই এই বাজেটে মধ্যবিত্তরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু অনেকেই এখনও বুঝতে পারছেন না, এই আয়করে হিসাব করবেন কী করে? কাকে কত টাকা আয়কর দিতে হবে?

    নতুন আয়করের হার…

    শূন্য থেকে ৩ লক্ষ টাকা অবধি উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনও আয়কর দিতে হবে না।

    বার্ষিক ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে আপনাকে ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।

    ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।

    ৯ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।

    ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা অবধি উপার্জনের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কর দিতে হবে।

    ১৫ লক্ষ টাকার অধিক উপার্জনের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।

    কীভাবে আয়করের হিসাব করবেন?

    যদি আপনার বেতন বছরে ৭ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে আপনাকে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। যদি আপনার বার্ষিক আয় ৯ লক্ষ টাকা হয়, তবে ৩ লক্ষ টাকা অবধি আয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে কোনও আয়কর দিতে হবে না। এর পর বার্ষিক আয় থেকে ৩ লক্ষ বাদ দিলে থাকবে ৬ লক্ষ টাকা। ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আয়ের উপরে ৫ শতাংশ কর দিতে হবে। ফলে এই ৩ লক্ষ টাকার হিসাবে আপনাকে ১৫ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। এরপরের আয়করের ধাপ হল ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। এই ধাপে করের হার হল ১০ শতাংশ। এই ধাপে ৩ লক্ষ টাকার হিসাবে যদি ১০ শতাংশ কর দিতে হয়, ফলে ৩ লক্ষ টাকার হিসাবে ৩০ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। এবার মোট হিসাব মিলিয়ে দেখলে ১৫ হাজার, ৩০ হাজার যোগ করলে ৯ লক্ষ টাকার উপরে মোট ৪৫ হাজার টাকা দিতে হবে আয়কর। পুরনো আয়কর অনুযায়ী, ৯ লক্ষ টাকার উপরে কমপক্ষে ৬০ হাজার দিতে হত, যার অর্থ নতুন আয়করে কাঠামোয় কোনও লোকের ২৫ শতাংশ সঞ্চয় হতে পারে।

  • Union Budget: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    Union Budget: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের ওপর জোর দিয়ে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০২৩-২০২৪ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ১২.৯৫ শতাংশ। গতবারের ৫.২৫ লক্ষ কোটি থেকে তা বেড়ে হচ্ছে ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা!যার বড় অংশই ব্যয় হবে দেশে যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের কাজে। 

    কোন খাতে কত বরাদ্দ

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, এবার এই বাড়তি বরাদ্দের ফলে ভারত আগামী দিনে তার সেনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র কিনতে পারবে, কিনতে পারবে নতুন ফাইটার জেট, সাবমেরিন, ট্যাংক ইত্যাদি। অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনা এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার আধুনিকীকরণের জন্য এই অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উৎপাদনে বেসরকারি সংস্থা এবং স্টার্ট আপ সংস্থাকে সহায়তার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সুইডেনের প্রতিরক্ষা সমীক্ষা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামরিক ব্যয়ে আমেরিকা এবং চিনের পরেই ভারতের অবস্থান। এ বারও ভারতের সেই অবস্থান বহাল থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    এবারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের মধ্যে শুধু বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতেই বরাদ্দ হয়েছে ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকা।  রেভিনিউ এক্সপেন্ডিচার বাবদ বরাদ্দ হয়েছে ২.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা দফতরের পেনশন দেওয়ার খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১.৩৮ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছর আর্মড ফোর্সেস মডার্নাইজেশন বাজেটেও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেখানে ১.৫২ লক্ষ কোটি থেকে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকে ভারত সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় দেশের মাটিতে তৈরি হওয়া অস্ত্রশস্ত্রও কেনা হবে।

    আধুনিক অস্ত্রের চাহিদা

    দেশের নিরাপত্তার খাতিরে নানান ধরনের আধুনিক অস্ত্র কিনতে চায় প্রতিরক্ষা বিভাগ। বায়ুসেনা চায় নতুন ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট। দেশে নির্মিত ফাইটার জেটও কিনতেআগ্রহী বায়ুসেনা। ফ্রান্স থেকে ফাইটার জেট কিনতে চায় নৌসেনা। লাদাখ সীমান্তে চিনের মোকাবিলা করার জন্য  সেনাবাহিনী চায় লাইট ট্যাংক,আর্টিলারি গান-এর মতো আধুনিক অস্ত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share