Blog

  • Foreign Language Courses: ভারতে বিদেশি ভাষা শিক্ষার সুযোগ

    Foreign Language Courses: ভারতে বিদেশি ভাষা শিক্ষার সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি ভাষা শিক্ষার (Foreign Language Courses) চাহিদা ভারতে বরাবরই রয়েছে। বৃহৎ এই পৃথিবীতে অঞ্চল, দেশ এবং সংস্কৃতি ভেদে ভাষার অভাব নেই। কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন থেকেই যায় কোন কোন বিদেশি ভাষা (Foreign Language Courses) আয়ত্ত করতে পারলে ভালো বেতনের কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে। ২০২২ সালে এসে কোন কোন বিদেশি ভাষা শিখলে আমাদের ভালো কেরিয়ার তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে বিদেশি ভাষার উপর দখল থাকলে বিদেশে কাজ পাওয়াও সহজ হবে। 

    আমরা এবার সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নিই কিছু বিদেশি ভাষার কোর্স (Foreign Language Courses) সম্পর্কে, যাতে একটি গাইডলাইন তৈরি হয়, আগ্রহী দের জন্য।

    এ বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ কথা বলে এই পাঁচটি ভাষায় English, Mandarin Chinese, Spanish, Arabic, French. ইংরাজি ভারতে বহু পঠিত ভাষা, সেজন্য আমরা এখানে ইংরাজি ছাড়া অন্য ভাষাগুলির বিষয়ে আলোকপাত করলাম।
     
    German এবং Japanese এই দুটি ভাষাও ভারতে খুব জনপ্রিয়। এর কারণ হলো জাপান এবং জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই উন্নত। ফলে এখানে বিভিন্ন বিষয়ে কেরিয়ার তৈরি করতে এই দুটি ভাষা শিখতেই হয়। বিগত কয়েক বছরে আরও কতগুলি ভাষার চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে ভারতবর্ষে, সেগুলি হল Portuguese, Italian, Korean এবং Russian.

    আমাদের দেশে যে দশটি বিদেশি ভাষা (Foreign Language Courses) শেখার উপর আগ্রহ সবথেকে বেশি রয়েছে, সেগুলি এক নজরে দেখে নেব।

    ১) ফরাসি

    ভারতে যে সমস্ত বিদেশি ভাষা (Foreign Language Courses) শেখার উপর চাহিদা রয়েছে, তাদের মধ্যে ফরাসি সবথেকে জনপ্রিয়। ভারতবর্ষের দিল্লি এবং অন্যান্য রাজ্যে এক লাখের উপর ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা ফরাসি ভাষা আয়ত্ত করার কাজে লেগে রয়েছে। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে। বিদেশি ভাষার (Foreign Language Courses) মধ্যে এটি অন্যতম যে ভাষাটি জানলে কর্পোরেট দুনিয়ার চাকরিতে সহজেই প্রবেশ করা যায়। অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজের ভাষা হিসেবে ফরাসি ব্যবহার করা হয়। ফ্যাশান, শিক্ষা, ডিজাইন, ব্যাঙ্কিং, ফাইন্যান্স, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট, ট্রাভেলিং, রিটেইলিং, লাক্সারি গুডস ইত্যাদি সেক্টরে এই ভাষার প্রচলন রয়েছে। অর্থাৎ কিছু সেক্টরে কাজ করার জন্য এই ভাষা শেখা অপরিহার্য। এই পৃথিবীতে ৩০টিরও বেশি দেশের মানুষ ফরাসি ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার প্রচলন পাঁচটি মহাদেশে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী যে সমস্ত ভাষা শেখার উপর মানুষের আগ্রহ সবথেকে বেশি রয়েছে, তাদের মধ্যে ফরাসি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ২) জার্মান

    ফরাসি এবং স্প্যানিশ ভাষার মতোই জার্মান ভাষাতেও অসংখ্য মানুষ বিশ্বব্যাপী কথা বলেন এবং এই ভাষা শিখলে কাজের সুবিধা রয়েছে, এমন ক্ষেত্র নেহাত কম নয়। ফরাসির পরে এটি হল দ্বিতীয় ভাষা যেটা শিখতে ভারতীয়দের আগ্রহ তুঙ্গে থাকে। এই ভাষার প্রতি আগ্রহ থাকার কারণ গুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হল

    i) ইউরোপের বেশিরভাগ মানুষের মাতৃভাষা হলো জার্মান। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডের অফিসিয়াল ভাষা হল জার্মান। 

    ii) অর্থনৈতিকভাবে জার্মানি দেশ হল খুব উন্নত। তাই জার্মান ভাষা শেখার আগ্রহ মানুষের বেশি থাকে। কারণ এই ভাষা শিখলে Volkswagen, BASF, Daimler, BMW, Bosch, Siemens প্রভৃতি কোম্পানিতে কাজ খুঁজে নেওয়া সহজ হয়। বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল প্রভৃতি ক্ষেত্রেও জার্মান ভাষার প্রচলন রয়েছে।

    iii) পাঁচশোর অধিক ভারতীয় স্কুল এবং কলেজে এবং আড়াইশোর বেশি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে জার্মান ভাষা পোড়ানো হয়।

    iv) ১৯৫৭ তে জার্মানি সরকার জার্মান ভাষা শিক্ষা প্রসারের জন্য কলকাতাতে ম্যাক্স মুলার ভবন তৈরি করে। 

    v) বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সেরার তালিকায় থাকে। তাই এই ভাষা শিখলে কদর অনেক বেড়ে যায়। জার্মানি বা অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা লাভের পরিকল্পনা থাকলে এই ভাষা শিখতে আর দেরি করা উচিত নয়।

    ৩) স্প্যানিশ

    সারা বিশ্বব্যাপী কুড়িটি এমন দেশ রয়েছে, যেখানে স্প্যানিশ ভাষায় (Foreign Language Courses) কথা বলা হয়। বিশ্বব্যাপী স্প্যানিশ ভাষার চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। ফ্রেঞ্চ এবং জার্মান ভাষার পরে এটি হল তৃতীয় ভাষা, যেটি শেখার আগ্রহ মানুষের যথেষ্ট থাকে। ট্রাভেল, ট্যুরিজম, জার্নালিজম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে স্প্যানিশ ভাষা ব্যবহৃত হয়। লিখিত এবং কথ্য স্প্যানিশ ভাষা যেকোনো ব্যক্তির কেরিয়ার তৈরিতে সম্পদ। বিপিওতে চাকরি, ভাষা শিক্ষক ইত্যাদি পেশাতেও কেরিয়ার তৈরি করা যায় এই ভাষা (Foreign Language Courses) জানা থাকলে। দক্ষিণ এবং মধ্য আমেরিকার সাথে ভারতবর্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্প্যানিশ মিউজিক, স্প্যানিশ ফুটবল লিগ এর অসম্ভব জনপ্রিয়তা রয়েছে পৃথিবীব্যাপী এবং ভারতবর্ষ তার বাইরে নয়। তাই স্প্যানিশ ভাষা এত গুরুত্বপূর্ণ।

    ৪) জাপানি

    বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত জাপানের উন্নত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নত দেশ হিসেবে জাপান পরিচিত। যদি ভাবেন কোন ভাষা শিখলে, সবথেকে বেশি বেতনের চাকরি পাবেন, তবে সেটা নিঃসন্দেহে জাপানি ভাষা। জাপানি ভাষার (Foreign Language Courses) উপর দখল একটি ভালো কেরিয়ার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ৫) মান্দারিন চাইনিজ 

    পৃথিবীব্যাপী কয়েক কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। পৃথিবীর অর্থনৈতিক মানচিত্রে চীন দেশের স্থান অত্যন্ত লক্ষণীয়। বিভিন্ন চাইনিজ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো বেতনের চাকরি পেতে এই ভাষা (Foreign Language Courses) কাজে লাগে। বর্তমান ভারতে চাইনিজ দোভাষী কাজের খুবই চাহিদা রয়েছে।

    ৬) রাশিয়ান

    রাশিয়ান ভাষা (Foreign Language Courses) শেখার আগ্রহ ভারতবর্ষে খুব বেশি। সারা পৃথিবীতে ৩০ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ভারত এবং রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বর্তমান। রাশিয়ান ভাষা শেখা থাকলে ইঞ্জিনিয়ারিং, তেল এবং গ্যাস তথা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রতে ভালো কাজের সুযোগ রয়েছে। রাশিয়ান ভাষা শেখা থাকলে, রাশিয়ান সাহিত্য ক্ষেত্রতেও কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। একটা সময় ছিল, যখন ভারতবর্ষের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ান ভাষা (Foreign Language Courses) শেখানো হতো। রাশিয়ান সরকার বর্তমানে তাদের ভাষার প্রসারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

    ৭) পর্তুগিজ 

    পর্তুগিজ ভাষার (Foreign Language Courses) ওপর দখল রয়েছে যাঁদের, তাঁদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে ফাইন্যান্স, ট্রাভেলিং, টেকনোলজি, আইটি, এডুকেশন প্রভৃতি ক্ষেত্রে। ভারতের দিল্লি এবং গোয়াতে এই ভাষা এখনও অনেকটা জনপ্রিয় রয়েছে। পৃথিবীর যে আটটি দেশে পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলা হয় তার মধ্যে ব্রাজিল এবং পর্তুগালের সাথে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন উন্নত হচ্ছে। বাণিজ্যিক সমেত অন্যান্য বিষয়েও সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে। তাই পর্তুগিজ ভাষা জানা থাকলে বিদেশে কাজ পাওয়া সম্ভব।

    ৮) ইতালিয়ান

    বিদেশী ভাষা শিখতে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাঁদের জন্য ইতালিয়ান ভাষাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাষার উপর দখল থাকলে Banco, Fiat, Benetton, Gucci, Lloyd, Ferrari, Marconi, Pinnacle প্রভৃতি কোম্পানিতে কাজ পাওয়ার সহজ হয়। কারণ এই সমস্ত কর্তৃপক্ষ ইতালিয়ান ভাষা যাঁরা জানে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। অন্যান্য ভাষার থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটা সহজ হয় ইতালিয়ান ভাষা শেখা।

    ৯) আরবি

    তেল সম্পদে পরিপূর্ণ এবং অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হল আরব দেশ। এদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কর্মসূত্রে আরব দেশ গুলিতে যান। কাতার, ওমান, কুয়েত প্রভৃতি দেশে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থায় কাজ করতে চাইলে আরবি ভাষা শেখা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্ত দেশগুলিতে বেতন প্যাকেজ খুবই ভালো।

    ১০) কোরিয়ান

    উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে অফিসিয়াল ভাষা হল কোরিয়ান। দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিকভাবে খুবই উন্নত। Hyundai, Posco, Lotte, Samsung, LG, Kia ইত্যাদি কোম্পানিগুলি আমাদের খুবই পরিচিত। এগুলো আন্তর্জাতিক কোরিয়ান কোম্পানি। কোরিয়ান নাটক, কোরিয়ান গান, কোরিয়ান পপ এগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই কোরিয়ান ভাষা জানা থাকলে ভালো কেরিয়ার তৈরি করা সম্ভব।

  • Gujarat Election: গুজরাটই পথ দেখাবে দেশকে! নির্বাচনী প্রচারে মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি হিমন্তের

    Gujarat Election: গুজরাটই পথ দেখাবে দেশকে! নির্বাচনী প্রচারে মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে (Gujarat Election) ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদিকে ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি জানালেন  বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Hemant Biswa Sarma)। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “যদি দেশে কোনও শক্তিশালী নেতা না থাকে তাহলে দেশে অরাজকতার সৃষ্টি হবে। একমাত্র মোদিই পারেন দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে। আর গুজরাটের মানুষ রাজ্যে ফের বিজেপিকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিকে এগিয়ে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    গুজরাটই পথ দেখাবে

    সামনেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Election)। সেই নির্বাচনের প্রচারেই গুজরাট গিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কচ্ছে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করার আর্জি জানান তিনি। গুজরাটে এ নিয়ে তিনটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়েছেন হিমন্ত। সুরাটেও সভা করেছেন তিনি। হিমন্ত বলেন, “গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে  বিজেপিকে বিপুল ভোটে জেতাতে হবে। গুজরাট নির্বাচন দেশের মানুষকে পথ দেখাবে। ” তাঁর মতে, দেশের এবং গুজরাটের সার্বিক বিকাশের জন্য কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সেই রাজ্যের মানুষ আবার BJP-কেই ভোট দেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াই

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে (Gujarat Election) ১৮২টির মধ্যে ৯৯টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এবার তারা ১৪০ আসনে জিতবেন বলেও নিশ্চিত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়ার জন্য লড়াই করছে। একইসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও নিশানা করেন তিনি। এই নির্বাচনের প্রচারে এখনও দেখা যায়নি রাহুলকে। তিনি এখন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে ব্যস্ত। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যখন যে রাজ্যে নির্বাচন হয় তখন সেই রাজ্যে থাকেন না রাহুল। রাহুল মাঠে নেমে লড়াই করতে ভয় পান বলেও কটাক্ষ করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    Baruipur: বারুইপুর হত্যাকাণ্ডে দিল্লির-শ্রদ্ধা খুনের ছায়া! বাবার দেহ টুকরো করল ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুইপুরে (Baruipur) হত্যাকাণ্ডে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-খুনের ছায়া। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক কষে  তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। 

    দেহ টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা

    পুলিশের দাবি, বারুইপুরের প্রাক্তন নৌসেনাকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে ও স্ত্রী। তারপর মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    গার্হস্থ্য হিংসার জের

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নৌসেনা থেকে অবসরের পর সারাক্ষণ নেশা করতেন উজ্জ্বল। তাঁর ছেলে জয় চক্রবর্তী পলিটেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করে। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোর্স ফি দেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ বাধে ছেলের। এর জেরে ছেলের গায়ে হাত তোলে বাবা। বাবাকেও ধাক্কা দেয় জয়। মাটিতে পড়ে যান উজ্জ্বল। স্ত্রী শ্যামলীর গায়েও হাত তোলেন উজ্জ্বল। তাঁকে আটকাতে গিয়ে তাঁর গলা টিপে ধরে ছেলে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জয়। জেরায় জয় জানিয়েছে, সে বুঝতে পারেনি বাবা মারা যাবেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারে তখন ভয় পেয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উজ্জ্বলবাবুর স্ত্রী শ্যামলী। বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, “ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”

    আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩২৫ জনের নিয়োগ করতে টাকা নিয়েছিলেন মানিক! ইডির হাতে নতুন তথ্য

    কীভাবে মিলল দেহ

    গত ১৭ নভেম্বর বারুইপুর –মল্লিকপুর সড়কের পাশে মদনমাল্য গ্রামের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বলবাবুর দেহ। দেহের হাত পা ছিল কাটা। দেহটি গোসাপ খাচ্ছিল। তাই দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। শ্যামলীদেবী দেহ সনাক্ত করেন। তিনি জানান ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেশা করতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে সময়ের কথা শ্যামলীদেবী বলছেন, তখন বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি উজ্জ্বলবাবুকে। এর পরই মা ও ছেলেকে লাগাতার জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জেরায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CV Anand Bose: আগামী বুধবার শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    CV Anand Bose: আগামী বুধবার শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বুধবার ২৩ নভেম্বর শপথ নেবেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলায় সাংবিধানিক সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নেবেন তিনি। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন রাজ্যপালকে শপথ গ্রহণের জন্যে ২১ নভেম্বর বা ২৩ নভেম্বর এই দুটি দিনের মধ্যে একটি দিন বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সিভি আনন্দ ২৩ নভেম্বর দিনটি বেছে নেওয়ায়, সেই দিনটিকে শপথ গ্রহণের জন্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামী মঙ্গলবারই কলকাতায় নামবেন সি ভি আনন্দ বোস। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান মিটে গেলেই তিনি রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।  

    কে এই সিভি আনন্দ বোস? 

    ১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি কেরলের কোট্টায়ামে জন্মগ্রহণ করেন সিভি আনন্দ বোস। ১৯৭৭ সালে আইএএস হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৮৫ সালে কোল্লামের কালেক্টর থাকার সময় নির্মিতি কেন্দ্র গঠন করেন। এই প্রকল্পে কম টাকায় পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয় জনগণকে। এই ভাবনা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দেশের সকলকে পাকা বাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘ম্যান অফ আইডিয়া’ হিসাবে পরিচিত তিনি। সরকারের বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে আনন্দের ভাবনা। ১৯৮৬ সালে এই আমলাই জেলা পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন আনন্দ।   

    এ ছাড়াও কেরল সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, জেনেভা এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন ও ফ্রান্সে ভারতের হয়ে  প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও অ্যাটমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন সিভি আনন্দ বোস। জাতিসংঘে তাঁর উদ্যোগ চারবার ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। ভারত সরকার তাঁকে জাতীয় বাসস্থান পুরস্কারে ভূষিত করে।  তিনি ‘শ্রী পদ্মনাভস্বামী’ মন্দিরের কোষাগার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিরও প্রধান ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

       

  • Zakir Naik: কাতারে হাজির সেই জাকির নায়েক, কেন জানেন?

    Zakir Naik: কাতারে হাজির সেই জাকির নায়েক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতারে (Qatar) পৌঁছলেন বিতর্কিত ইসলামিক (Islamic) ধর্মশিক্ষাদাতা জাকির নায়েক (Zakir Naik)। ভারতে (India) তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ এবং ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই কাতারেই চলছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ (FIFA World Cup 2022)। সেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই কাতারে হাজির জাকির নায়েক। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে তিনি ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়াবেন।

    তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’…

    ইসলাম সম্পর্কিত নানা বিষয়ে বিভিন্ন সময় ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে জাকিরকে। ১৯৯৪ সালে তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ গ্রন্থ নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রথম নজরে আসেন তিনি। নতুন সহস্রাব্দের গোড়া থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় জাকিরের ভিডিও। নানা সময় তাঁর নানা কথায় দেশে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের।

    ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই ফাউন্ডশনের সদস্যদের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়াতে উৎসাহিত করতেন তিনি। এর পর ভারত ছাড়েন জাকির। আশ্রয় নেন মালয়েশিয়ায়। বছর সাতান্নর জাকির ২০১৭ সাল থেকে রয়েছেন মালয়েশিয়ায়। ২০২০ সাল থেকে ভারতে তাঁর ভাষণ দেওয়া নিষিদ্ধ হয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছিল। এর ঠিক দু বছর আগে জাকির নায়েকের পাশপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে তিনি নিজেকে প্রবাসী ভারতীয় বলে দাবি করতে থাকেন। ট্যুইট বার্তায় ফিল্মমেকার জাইন খান লেখেন, আমাদের সময়কার একজন বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার কাতার এসে পৌঁছেছেন ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষে। 

    আরও পড়ুন: আজ শুরু কাতার বিশ্বকাপ, ভারত থেকে কখন খেলা দেখা যাবে জানেন?

    এই জাকির একবার তাঁর বক্তৃতায় আত্মঘাতী হামলাকে সমর্থন করেছিলেন। ইসলাম ধর্মগুরু সলমান ওয়ুধকে তিনি ইসলামের একজন বিরাট পণ্ডিত বলেও উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চরমপন্থা হিসেবে ইসলামে এরকম হামলা অনুমোদিত। এর পর তিনি প্যলেস্তাইনের উদাহরণ দেন। পাকিস্তানে বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি হিন্দু মন্দির। তখনও জাকির যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ইসলামিক দেশে মন্দির বানাতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: ‘আপনি তাঁদের সঙ্গে… ’, রাহুলকে কেন একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী, জানেন?

    PM Modi: ‘আপনি তাঁদের সঙ্গে… ’, রাহুলকে কেন একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) জন সমাবেশে গিয়ে ফের কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন গুজরাটের রাজকোট জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি আক্রমণ শানান রাহুলকে। রাহুল বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন ‘ভারত জোড়’ যাত্রায়। ওই পদযাত্রা চলাকালীন একবার রাহুলের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় সমাজকর্মী মেধা পাটকরকে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাহুলকে বেঁধেন মোদি।

    গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ডিসেম্বর মাসে দু দফায় ভোট হবে মোদি-অমিত শাহের রাজ্যে। প্রথম দফার ভোট ১ তারিখে, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ৫ তারিখে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে বিধানসভার মোট ১৮২টি আসনের প্রার্থীদের। এই ভোটের প্রচারেই তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন প্রধানমমন্ত্রী (PM Modi)। রবিবার সকালে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন মোদি। এদিন তাঁর তিনটি জনসভা করার কথা। এরই একটি হল রাজকোট জেলায়। এই সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোদি বলেন, কংগ্রেসের এক নেতাকে পদযাত্রা করতে দেখা গেল। তাঁর সঙ্গে এক মহিলাকেও দেখা গেল। এই মহিলাই নর্মদা বাঁধ প্রকল্পকে থমকে দিয়েছিলেন তিন দশক। তিনি বলেন, এই নর্মদা বাঁধ গুজরাটের লাইফলাইন। মোদি বলেন, সমাজ কর্মীদের আন্দোলনের জেরেই থমকে গিয়েছিল বাঁধ নির্মাণের কাজ।

    এদিন মেধা পাটকরকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ওই জনসভায়ই তিনি বলেন, গুজরাটের অপমান করেছেন উনি। মোদি বলেন, কংগ্রেস যখন ভোট চাইতে আসবে, তখন জিজ্ঞেস করবেন আপনি যখন একটা পদযাত্রা করেছিলেন তখন কয়েকজনের কাঁধে হাত রেখে হাঁটছিলেন। যাঁদের কাঁধে হাত রেখে হাঁটছিলেন, তাঁরা নর্মদা বাঁধের বিরুদ্ধে ছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    এদিনের জনসভায় মেধা এবং রাহুলকে নিশানা করেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাও। মেধাকে তিনি নর্মদা বিরোধী, গুজরাট বিরোধী এবং সৌরাষ্ট্র বিরোধী বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই সমস্ত মানুষ যদি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগ দেন, তাহলে তাঁর মানসিকতা কেমন, তা বোঝাই যায়! গুজরাটের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও রাহুলকে নিশানা করে বলেন, গুজরাটিদের যাঁরা জল দিতে অস্বীকার করেছিলেন, কংগ্রেস সাংসদ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CJI DY Chandrachud: ‘তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন…’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন, জানেন?  

    CJI DY Chandrachud: ‘তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন…’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন। তাই জামিন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হন। জেলাস্তরের বিচারকরা সচরাচর এটাই করেন। শনিবার একথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই জেলাস্তরের বিচারকদের মনোভাবের কথা তুলে ধরেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

    জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যা…

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নিয়ম করে তিনি তুলে ধরেছেন জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা। বারংবার তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় জেলাস্তরের আদালতগুলির বিচারকদের। এদিন ফের শোনা গেল সেই কথারই প্রতিধ্বনি।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, উচ্চ আদালতগুলি জামিনের আবেদনে ভরে উঠেছে। একেবারে তৃণমূলস্তরের বিচারকরা জামিন মঞ্জুর করতে সামগ্রিকভাবে অনিচ্ছুক থাকেন। কিন্তু কেন? এর কারণ এটা নয় যে, তাঁরা অপরাধের প্রকৃতি বুঝতে অপারগ। তিনি বলেন, আসলে জঘণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন দিলে নিশানা হয়ে যেতে পারেন, এই ভয় তাঁরা পান। এদিন বার কাউন্সিলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। নভেম্বরের ৮ তারিখে অবসর নেন তিনি।

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে, বম্বে হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে এইচসি দ্বারা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন ও তিনি ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও নিযুক্ত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aamir Khan: হিন্দু ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাগদান, ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে আমির খান

    Aamir Khan: হিন্দু ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাগদান, ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে আমির খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের হিন্দু প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে বাগদান সারলেন আমির খানের (Aamir Khan) কন্যা ইরা খান। গত মাসে এক সাইক্লিং ইভেন্টে নূপুর হাঁটু মুড়ে প্রোপোজ করেন ইরাকে৷ মুসলিম মেয়ের হিন্দু ছেলের সঙ্গে বাগদানের কারণে ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে পড়লেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। 

    নূপুর শিখর একজন তারকা জিম ট্রেনার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আমিরসহ, আমিরের দুই প্রাক্তন স্ত্রী। এছাড়াও সিলভার টাউনের আরও বেশ কিছু তারকা উপস্থিত ছিলেন বাগদানের অনুষ্ঠানে। এই বিশেষ দিনে ইরার পরনে ছিল স্ট্র্যাপলেস গাউন৷ খোলা চুল এবং বাহারি নেকপিসে অসাধারণ দেখাচ্ছিল ইরাকে৷ নজর কেড়ে নিয়েছে ইরার পায়ের লেসের সাদা জুতোও৷ তাঁর বাগদত্ত নূপুরও সেজেছিলেন পশ্চিমী ঘরানায়৷ 

    আরও পড়ুন: খরচ কমাতে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে জেট এয়ারওয়েজ

    আমির খান এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের দ্বিতীয় সন্তান হচ্ছে ইরা। গতকাল নিকট বন্ধু এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ইরার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিক নূপুর শিখরের বাগদান হয়। তাঁকে একটি লাল রঙের গাউনে দেখা যায় এই অনুষ্ঠানে, অন্যদিকে নূপুর স্যুট পরেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে আমিরের দুই প্রাক্তন স্ত্রী, রীনা দত্ত এবং কিরণ রাও উপস্থিত ছিলেন। আমির রীনার ছেলে আজাদ খানকে নীল রঙের স্যুট পরে দেখা যায় এই অনুষ্ঠানে। অন্যদিকে অভিনেতার বোন নিখত খান, বোনপো ইমরান খান, তাঁর কন্যা ইমারা মালিক খান, প্রমুখকে দেখা গিয়েছে। ১৮ নভেম্বর ছিল নূপুর শিখরের সঙ্গে ইরা খানের বাগ্‌দান অনুষ্ঠান।  

    সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে আমির 

    আমিরকন্যার বাগদান অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই আমির খানকে নিশানা করে ইসলামপন্থীরা। কেন একজন মুসলিম হয়ে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন হিন্দু পরিবারে তা নিয়ে অনেক কটুকথা শোনান ইসলামপন্থীরা। 

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের সম্পর্ককে শিলমোহর দেন ইরা৷ ভ্যালেন্টাইন্স ডে সপ্তাহ উদযাপনের সময় প্রমিস ডে উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে তিনি জানান নূপুরের সঙ্গে তাঁর প্রেমপর্ব৷ তার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানোর ছবিও শেয়ার করেছেন৷ নিজেদের ছবির পাশাপাশি শেয়ার করেছেন পরিবারের সদস্যদের ছবিও৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup 2022: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    FIFA World Cup 2022: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের খেলা (FIFA World Cup 2022) শুরু হতে বাকি মাত্র দু দিন। তার আগে ফিফা এবং কাতার যা ঘোষণা করল, তা শুনে মাথায় হাত সুরাপ্রেমীদের। শুক্রবার ফিফা এবং কাতার এক যোগে জানিয়ে দিল, সে দেশের আটটি বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের আশপাশে বিয়ার (Beer) বিক্রি করা যাবে না। ফিফার তরফে জানানো হয়েছে, আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে…

    কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র। ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে মদ্যপানের ক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাতারেও তা রয়েছে। তবে বিশ্বকাপ আয়োজকদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের একটি চুক্তি হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপ যতদিন চলবে, ততদিন কাতারে বিয়ার পান করার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তার পরেও হঠাৎ করে খেলা শুরুর মাত্র দু দিন আগে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা বুঝতে পারছেন না সুরাপ্রেমীরা। ঘটনাটিতে যে কাতারের শাসক পরিবারের সায় রয়েছে, তা জানা গিয়েছে সে দেশের মিডিয়া রিপোর্ট থেকেই।

    কাতার প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত ফিফার (FIFA)। কারণ এবার বিশ্বকাপের মূল স্পনসর একটি বিয়ার প্রস্তুতকারী সংস্থা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হওয়ার কথা ভাবছিলেন তাঁরা। কিন্তু কাতার প্রশাসনের আচমকা এক সিদ্ধান্তে এক লহমায় বদলে গেলে সব কিছু। যদিও আগে ঠিক হয়েছিল, খেলা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে স্টেডিয়াম এবং ফ্যান পার্কে বিয়ার বিক্রি করা হবে। কিন্তু কাতার প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে এখন আর তা হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন জগদীপ ধনখড়

    এক সময় জানা গিয়েছিল, ফ্যান পার্কে বিক্রি করা হবে বিয়ার। সেখানে এক গ্লাস বিয়ারের দাম ধার্য করা হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১০০ টাকা। এক গ্লাস বিয়ারের দাম ১১০০ টাকা হওয়ায় দাম বেড়েছিল অনুপানেরও। স্যালাডের দাম হয়েছিল ৯০০ টাকা। তুলনায় সস্তা গ্রিক স্যালাড। তার দাম ৫০০টাকা। এসব নিয়েও ক্ষোভ ছিল সুরাপ্রেমীদের একাংশের মনে। সেই ক্ষোভই এবার আরও বাড়ল বিয়ার নিষিদ্ধ হওয়ায়। জানা গিয়েছে, কেবল ফ্যান পার্ক নয়, বিয়ার মিলবে না হোটেলগুলিতেও।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share