Blog

  • Amit Shah: পদ্মাপারে হিন্দু নির্যাতন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন শাহ 

    Amit Shah: পদ্মাপারে হিন্দু নির্যাতন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন শাহ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে ‘No Money for Terror’ (NMFT) সম্মেলন। এখানেই উঠে এল বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindu) সমাজের  উপর হামলার কথা। বক্তা অমিত শাহ (Amit Shah)। সম্মেলন চলাকালীন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) আসাদুজ্জামান খানের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখানেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন এবং মন্দিরে মন্দিরে হামলার কথা তুলে ধরেন মোদি সরকারের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন কার্যত দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সে দেশে। 

     বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন 

    ছোট-বড় হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ভারত সহ একাধিক দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠনকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। নির্যাতিত হিন্দুদের ভারতে পালিয়ে আসার ঘটনাও ঘটছে। গত বছর দুর্গা পুজোর সময় বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর, মন্দিরে মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের উপর হামলা ভারত সরকার যে মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না,  এদিন অমিত শাহের (Amit Shah) পদক্ষেপই তার প্রমাণ। 

     No Money for Terror এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আসলে কী? 

    ‘No Money for Terror’  সম্মেলন প্রথম শুরু হয় ২০১৮ সালে। উদ্যোক্তা ছিল ফ্রান্স। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্যে হল সন্ত্রাস দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিকে একত্রিত করা। এ বছর এই সম্মেলন দিল্লিতে শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। মোট ৭৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং ১৫টি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবছর এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে। সম্মেলনে মোট প্রতিনিধি ৪৫০ জন। এমন আন্তর্জাতিক মানের সম্মেলনে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের উপর হামলার কথা তুলে ধরে অমিত শাহ (Amit Shah) বোঝাতে চাইলেন যে এই ধরনের হামলাও বিশ্বব্যাপী যে  আতঙ্কবাদ চলছে তারই অংশ, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। এছাড়াও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সীমান্ত সমস্যা, গরুপাচার সহ একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক এই  সম্মেলনে অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন ,” বিশ্বের মানুষের কাছে সন্ত্রাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর কিন্তু তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হল সন্ত্রাসে আর্থিক ফান্ডিং”।

  • Gujarat elections 2022:  সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    Gujarat elections 2022:  সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Elections 2022)। ফের তিন দিনের গুজরাট সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার সকালে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে (Somnath Temple) পুজো দিয়ে দেবতার আশীর্বাদ নেন তিনি। মোদি মোদি ধ্বনিতে ভরে ওঠে মন্দির চত্বর। পরে ভেরাভালের এক জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে প্রচারের বিউগলটি বাজিয়ে দিলেন মোদি। এদিনই সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে তিনটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ধোরাজি, আমরেলি ও বোটাদেতে সমাবেশেও অংশ নেন তিনি।

    নিজের রাজ্য গুজরাটে…

    শনিবারই নিজের রাজ্য গুজরাটে (Gujarat) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি যোগ দেন একটি রোড-শোয়ে। করেন র‌্যালিও। এ দুটিই হয় ভালসাদে। মোদি বলেন, বিজেপির সঙ্গে গুজরাটবাসীর সম্পর্ক কোনও দিন ভাঙবে না। তিনি বলেন, যাঁরা গুজরাটের অপমান করেন, তাঁরা এ রাজ্যে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাবেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সব মানুষদের সম্পর্কে সাবধান, যাঁরা গুজরাটকে কলঙ্কিত করতে চান। এবং আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি বলেন, এঁরা গুজরাট এবং গুজরাটিদের অপমান করতে চান। তাঁরা বিদেশেও আমাদের দেশের নাম খারাপ করার চেষ্টা করছেন। বিজেপি প্রার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী দোরে দোরে প্রচারও করতে চান বলে বিজেপির একটি সূত্রে খবর। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে তিনি প্রায় ৩০টি র‌্যালিতে অংশ নেন।

    কেবল প্রধানমন্ত্রী নন, রবিবার গুজরাটে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এদিন তিনি তাপি জেলার নিজার এবং নর্মদা জেলার দেদিয়াপাদায় গিয়েছেন। গুজরাটে ডিসেম্বরে ভোট (Gujarat elections 2022) হবে দু দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ৫ তারিখে। দু দফায় মোট ১৮২টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ২৮ তারিখে দেড়শোটিরও বেশি মিছিল করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এই মিছিলগুলি হবে প্রথম দফায় যে ৮৯ কেন্দ্রে ভোট হবে, সেগুলিতে। এই মিছিলগুলিতে অংশ নেবেন বিজেপির মহিলা নেতাদের পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এঁদের মধ্যে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্টরাও। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ৮ তারিখে হবে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা।

    আরও পড়ুন: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) এবার নজরে নবাবের রাজ্য! মুর্শিদাবাদ জেলার মোট ১৬ জন স্কুল সাব ইন্সপেক্টরকে (School Inspectors) কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, ২১ নভেম্বর, সোমবার দুপুর দুটোর মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    হাইকোর্টের নির্দেশে…

    হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় কেবল মুর্শিদাবাদ জেলার ২৮ জন শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ২৮ জন শিক্ষক যেসব স্কুলে চাকরি করতেন, সেই সব স্কুল যেসব স্কুল সাব ইন্সপেক্টরের এলাকার মধ্যে পড়ে, তাঁদের সবাইকে নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বড়ঞা উত্তর, বেলডাঙা পূর্ব, ভরতপুর, ধূলিয়ান, জলঙ্গি উত্তর, কান্দি, কান্দি পশ্চিম, খড়গ্রাম, খড়গ্রাম উত্তর, নবগ্রাম, নবগ্রাম পূর্ব, নওদা দক্ষিণ, সূতি ১, সদর পশ্চিম এবং সূতি সার্কেলের সাব ইনসপেক্টরদের ডেকে জেরা করবে সিবিআই। এই সব সার্কেলের সাব ইন্সপেক্টরের বয়ান রেকর্ডও করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব প্রয়োজনে ভিডিওগ্রাফি করে আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর।

    ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের চিঠি তাঁরা পেয়ে গিয়েছেন বলে জানান মুর্শিদাবাদের কয়েকজন স্কুল সাব ইন্সপেক্টর। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে, তাঁদেরই একজন বলেন, আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আমরা আইন অনুযায়ী হাজিরাও দেব। তবে দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত, তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, এটা এখন আইনি প্রক্রিয়া।

    আরও পড়ুন: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি আশিস মার্জিত বলেন, ২০১৮ সালে ২৬ জন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাঁরা যেসব সার্কেলে রয়েছেন, সেখানকার সাব ইন্সপেক্টরদের নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ২৬ জনের কথা বললে কী হবে, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলায়ই সব চেয়ে বেশি দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা বলেন, আমরা চাই, এই দুর্নীতিকাণ্ডে প্রকৃত তদন্ত হোক। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরা করা হয়েছে কয়েকজন আমলাকেও। এবার তলব করা হয়েছে স্কুল সাব ইন্সপেক্টরদের। এখন দেখার, কেউটে বের হয় কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi on Terrorism: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    Modi on Terrorism: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তাসবাদকে সমর্থন করাই কিছু দেশের বিদেশ নীতি। কোনও কোনও দেশ প্রত্যক্ষভাবে এই কাজ করছে। আর কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে যুক্ত দেশগুলির দোষ আড়াল করে সন্ত্রাসবাদে পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। কেউ আবার সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে এর মূল্য চোকাতেই হবে। ‘নো মানি ফর টেরর’- শীর্ষক বৈঠকে নাম না করে এভাবেই চিন এবং পাকিস্তানকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi on Terrorism)। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদি বলেন, “সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমান ক্রোধ এবং প্রত্যাঘাত প্রয়োজন।”    

    দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আয়োজিত তৃতীয় ‘নো মানি ফর টেরর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং’-এ ৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ থাকার কারণে এই বৈঠকে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। ইসলামাবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধেও। সুকৌশলে এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছে জিনপিং- এর দেশ।  

    আরও পড়ুন: কয়েদিকে আরামের মালিশ! জেলে সত্যেন্দ্র জৈনের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “জিরো টলারেন্স নীতি না নিলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া কঠিন।” মোদি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এটি মানবতা, স্বাধীনতা এবং সভ্যতার উপর আক্রমণ। এর কোনও সীমানা নেই। শুধুমাত্র একটি অভিন্ন, ঐক্যবদ্ধ এবং শূন্য-সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে পারে। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন নাম এবং রূপ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ভারতকে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। আমরা বহু প্রাণ হারিয়েছি। তবুও সাহসিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।” 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে বলেন, “আল কায়দার পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। তাদের দমন করা প্রয়োজন।”  

    সন্ত্রাসবাদের কারণে ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি 

    মূলত আর্থিক তছরুপ, মাদক পাচার, অপহরণের মুক্তিপণের টাকাই সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান দেয়। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে প্রতি বছর বিশ্ব জিডিপির ২-৫% অর্থ (২-৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক তছরুপে চলে যায়। মাদক পাচারে প্রতিবছর বেরিয়ে যায় প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।    

    বিগত কয়েক বছরে সন্ত্রাসবাদের কারণে ভারী মূল্য চোকাতে হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। ২০০০- ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের কারণে ৯০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ২০১৪ সালে। সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসআইএস- এর বাড়বাড়ন্ত হলে এক বছরেই বিশ্ব অর্থনীতি খোয়ায় ১১৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

    বিশ্ব অর্থনীতি ধুঁকলেও, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফোরবসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএসআইএস- এর বার্ষিক লেনদেন ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হামাসের ১ বিলিয়ন। কিছু কিছু সংগঠন ২০১৬-২০১৮- এর মধ্যে নিজেদের আয় দ্বিগুণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, হিজবুল্লার আয় ৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। তালিবানদের ৪০০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৮০০ মিলিয়ন হয়েছে। আলকায়দার আয় ১৫০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আফগানিস্তান, পুরো একটি দেশই এখন তালিবানদের হাতে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Data Protection Bill: ব্যক্তিগত ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষা বিলের নয়া খসড়া, জানেন জরিমানার পরিমাণ?  

    Data Protection Bill: ব্যক্তিগত ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষা বিলের নয়া খসড়া, জানেন জরিমানার পরিমাণ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হয়েছে ব্যক্তিগত ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষা বিলের (Data Protection Bill) খসড়া। শুক্রবার এটি প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে। গত পাঁচ বছর ধরে তৈরি করা এই খসড়া বিল নিয়ে জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিলের খসড়া নিয়ে মতামত দিতে পারবেন।

    গুণতে হবে জরিমানা…

    ডিজিটাল মাধ্যম ও ডেটা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্যই একাধিক নিয়ম আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই খসড়া বিলে। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল আইনে পরিণত হলে এবং সেই আইন লঙ্ঘন করলে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া বিলে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সে খসড়া বিল প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে প্রস্তাবিত জরিমানার পরিমাণ ধার্য করা হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা অথবা সংস্থার বার্ষিক লেনদেনের চার শতাংশ টাকা। এবার সেই জরিমানার পরিমাণ এক লপ্ত বেড়েছে বহু গুণ। প্রস্তাবিত নয়া বিলটি আসে ডেটা প্রোটেকশন বিলের (Data Protection Bill) পরিবর্তে। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ওই বিলটি প্রত্যাহার করে নেয় মন্ত্রক। নয়া খসড়া প্রস্তুত করেছে ভারতের ডেটা প্রোটেকশন বোর্ড।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    বর্তমান ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষা বিলে বলা হয়েছে, শিশু ও তার অভিভাবকরা পরস্পরের তথ্য দেখতে পারবে। ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি বা সাংবিধানিক যে কোনও একটি ভাষা ব্যবহার করা যাবে। প্রস্তাবিত নয়া বিলের খসড়ায় গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত রাখার ওপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ডিজিটাল বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে এটি (Data Protection Bill) চালু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাই প্রস্তুত হয়েছে খসড়া। নেওয়া হচ্ছে জনগণের মতামতও। নয়া এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া ডেটা ব্যবহার করতে পারবে না কোম্পানিগুলি। কোনও কারণে কোম্পানি যদি ডেটা নিয়ে অপব্যবহার করে, তাহলে বিলে বিধান রয়েছে জরিমানা ধার্য করার। প্রস্তাবিত বিলের খসড়ায় লেখা হয়েছে, সরকার চাইলে দেশের স্বার্থে এজেন্সিগুলিকে তার পরিধির বাইরে রাখতে পারে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Toll Tax: জাতীয় সড়কে টোল-ফি এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাচ্ছে, জানেন কত?

    Toll Tax: জাতীয় সড়কে টোল-ফি এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাচ্ছে, জানেন কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়কে টোল ফি কমছে অনেকটাই। ৪০ শতাংশ টোল ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিতিন গড়কড়ির (Nitin Gadkari) কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক। সড়কপথে কোথাও যাত্রা করলে টোল ট্যাক্সের (Toll Tax) জন্য  ভাল রকম টাকাই গুণতে হত এতদিন। গাড়ি অনুযায়ী আলাদা আলাদা টোল ট্যাক্স জমা দিতে হত। এবার পকেটের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভার সাংসদ পি উইলসন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পগুলোতে টোল ফি ৪০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। রাজ্যসভার এই সাংসদের আরও সংযোজন, “আমি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা বন্ধ করে, রেজিস্ট্রেশন বাবদ এককালীন টাকা নেওয়া হোক। তার উত্তরে পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, পাবলিক ফান্ডেড প্রকল্পগুলোতে টোল ফি ৪০ শতাংশ কমানো হবে।”

    কেন কমল টোল ট্যাক্স

    টোল ট্যাক্স (Toll Tax) সংগ্রহ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের পথে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। টোল সংগ্রহ পদ্ধতি সহজ করতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি (Modi) সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হল, ফাস্ট্যাগ (Fastag) ব্যবস্থা চালু। লাইন এড়িয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল সংগ্রহ করার জন্যই চালু হয়েছে এই পদ্ধতি। প্রিপেড থেকে টাকা সরাসরি জমা পড়ে টোল প্লাজায়। বাণিজ্যিক গাড়ি হোক বা ব্যক্তিগত গাড়ি, টোল ফি বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়, তা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এই প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের অগাস্ট মাসে রাজ্যসভার সাংসদ পি উইলসন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়িকে চিঠি লেখেন। যে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, সারা দেশে এক হাজারের বেশি টোল প্লাজা রয়েছে। সেখানে টোল দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। প্রতিবছরই বাড়ছে টোল ফি। এমনকী রাজ্য সরকারের বাসেও টোল নেওয়া হচ্ছে। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা বন্ধ করে, রেজিস্ট্রেশন বাবদ এককালীন টাকা নেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    টোল ট্যাক্স সংগ্রহ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ

    টোল ট্যাক্স (Toll Tax) সংগ্রহ পদ্ধতি আধুনিকীকরণের অন্যতম ব্যবস্থা হল স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম। এই আধুনিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে টোল ট্যাক্স সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার। বিষয়টি কেমন? কী ভাবে কাজ করবে? তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ব্যবস্থায় নজর রাখা হবে গাড়ির গতিবিধিতে। জাতীয় সড়কে কোনও গাড়ি যত কিলোমিটার যাবে তার উপর নির্ভর করে টোল ট্যাক্সের টাকা নির্ভর করবে। হাইওয়েতে যত বেশি গাড়ি চলবে টোলের পরিমাণও তত বাড়তে থাকবে। এর জন্য গাড়িটিকে স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের আওতায় থাকতে হবে। এখন জাতীয় বা রাজ্য সড়কে অথবা কোনও সেতুর মুখে টোল গেট থাকে। সেখানে ক্যাশ টাকা দিয়ে অথবা ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ হয়। আধুনিক এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে টোল গেটের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Goyal on India Economy: ‘৪৭ এর মধ্যেই ভারত হবে উন্নত দেশ, অর্থনীতির পরিমাণ কত হবে জানেন? 

    Goyal on India Economy: ‘৪৭ এর মধ্যেই ভারত হবে উন্নত দেশ, অর্থনীতির পরিমাণ কত হবে জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির (Indian Economy) উন্নতি যে ক্রমেই হচ্ছে, তা ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Goyal on India Economy)। শুক্রবার তিনি জানান, ভারত (India) অতি দ্রুত উন্নত দেশের জায়গায় ঠাঁই করে নেবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে এ দেশের অর্থনীতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    বেঙ্গালুরু টেক সামিট…

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার। তার পর থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার জেরে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধমুখী। ২৫তম বেঙ্গালুরু টেক সামিটে বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সেখানেই তিনি বলেন, কেন্দ্র ছোট শিল্প ব্যবসায়ীদেরও উৎসাহ দিচ্ছে। তাদেরও সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

    কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, বেঙ্গালুরু প্রাচ্যের সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে প্রচুর টেকনলজি কোম্পানি রয়েছে, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টার তৈরি হয়েছে। সেন্টার অফ এক্সসেলেন্স রয়েছে। ইনকিউবেটর সেন্টার এবং ভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল ফান্ডও রয়েছে। এর পরেই মন্ত্রী বলেন, কর্নাটক এবং বেঙ্গালুরুই আগামী দিনে ভারতের পতাকা-বাহক হয়ে উঠবে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ যে ক্রমেই উন্নতির শিখরে পৌঁছচ্ছে এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী। চলতি বছর জি ২০ সম্মেলন হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। আগামী বছর হবে ভারতে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে পীযূষ গোয়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত একটা সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে। এই সুযোগ হল, ভারত তার নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছে।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    করোনা অতিমারি পরিস্থিতির জেরে ব্যাপক অর্থসঙ্কটে ভুগছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেও হানা দিয়েছিল মারণ ভাইরাস। প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। সেই পরিস্থিতি থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (Goyal on India Economy) বলেন, করোনা অতিমারি পরিস্থিতির পরবর্তী কালে বিশ্বের অনেক দেশ মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় জেরবার। টোল খেয়েছে তাদের অর্থনীতি। কিন্তু এরকম এক ভয়ানক সমস্যাও কাটিয়ে উঠেছে ভারত (India)। এ দেশে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বেঙ্গালুরু দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Modi Anti-Terror Meet: সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল প্রত্যাঘাত প্রয়োজন, বললেন মোদি

    Modi Anti-Terror Meet: সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল প্রত্যাঘাত প্রয়োজন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল ক্রোধ ও প্রত্যাঘাত প্রয়োজন। নয়াদিল্লিতে (New Delhi) সন্ত্রাস বিরোধী এক কনফারেন্সে (Modi Anti-Terror Meet) যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, বিভিন্ন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা ঘটনাটি কোথায় ঘটল, তার ওপর ভিত্তি করে করা যায় না।

    সন্ত্রাসবাদ…

    সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) যে এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বের কাছেই মাথাব্যথার কারণ, তা নানা সময় বারংবার মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনও সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে ফের একবার অবহিত করিয়ে দেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বলির ক্ষতি যে অপূরণীয়, এদিন তাও একবার মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটা আঘাতও যে অনেক বেশি, তা আমরা মনে করি। যদি একটা প্রাণও বলি হয়, তা অনেক বেশি। তিনি বলেন, তাই আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না, যতক্ষণ না সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কনফারেন্স হচ্ছে ভারতে। তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব যখন সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে উদাসীন ছিল, তারও ঢের বেশি আগে থেকে আমাদের দেশ সন্ত্রাসের মুখোমুখি হয়েছে। মোদি বলেন, দশকের পর দশক ধরে নানা আকারে ভারতে আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। যদিও আমরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আঘাত হানতে হবে সন্ত্রাসে অর্থায়নের মূলে। তিনি বলেন, যে জায়গাটা সব সময় হুমকির, সেখানে কেউ চিরকাল থাকতে চাইবে না। এবং সেই কারণে এই সমস্ত মানুষের জীবিকা চুরি যাচ্ছে। তাই আমাদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন সন্ত্রাসে অর্থায়নের মূলে কুঠারাঘাত করা।

    তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে কাউকে আলাদা করে সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখনও কোনও কোনও সার্কেলে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করা হচ্ছে। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমতুল ক্রোধ ও প্রত্যাঘাত প্রয়োজন। বিভিন্ন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা ঘটনাটি কোথায় ঘটল, তার ওপর ভিত্তি করে করা যায় না। সন্ত্রাসবাদ মানবতা, স্বাধীনতা এবং সভ্যতার ওপর আঘাত, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • North 24 Pargana: বনগাঁয় তেলের খনি? সমীক্ষার কাজ শুরু ওএনজিসি-র

    North 24 Pargana: বনগাঁয় তেলের খনি? সমীক্ষার কাজ শুরু ওএনজিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরছে সুদিন? রাজ্যেই মিলবে তরল সোনার হদিশ? অন্তত এই আশায়ই বুক বাঁধছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বনগাঁর বাসিন্দারা। অনেক আগে থেকেই তৈল ভাণ্ডারের খোঁজে এই জেলারই অশোকনগরে অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছে ওএনজিসি (ONGC)। অশোকনগরের পর এবার বনগাঁয়ও (Bangaon)

    জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে…

    জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে সমীক্ষার কাজ শুরু করল এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেবল অশোকনগর এবং বনগাঁই নয়, এই জেলারই গাইঘাটায়ও ওএনজিসির তরফে তৈল ভাণ্ডারের খোঁজে চলবে অনুসন্ধান কার্য। দোরগোড়ার পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে ঘিরে আশার আলো দেখছে শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি দু পক্ষই।

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনারই (North 24 Pargana) নৈহাটি হাবড়া রাজ্য সড়কের পাশে অশোকনগরের বাইগাছিতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের প্ল্যান্ট তৈরির উদ্যোগ নেয় ওএনজিসি। জানা গিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে বেঙ্গল বেসিনের অঙ্গ হিসেবে ওই প্রকল্পে পাঁচশো কোটি টাকা লগ্নির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ওএনজিসি। অশোকনগরের ওই প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অনেক আগেই জানিয়েছিল ওএনজিসি। সেখানে আশার আলো দেখা দেওয়ায় এবার এই জেলারই বনগাঁয় জীবাশ্ম জ্বালানির অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বনগাঁর কালুপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তরল সোনার খোঁজে ড্রিলিং করছে ওএনজিসি। গত কয়েকদিন ধরেই চলছে অনুসন্ধান কাজ। ওএনজিসির তরফে জানানো হয়েছে, বনগাঁয় খনিজ তেলের ভাঁড়ার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন কয়েকটি জায়গায়ই জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজ করছে তারা। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা জানিয়েছে, বনগাঁ এবং গাইঘাটা তো বটেই, জেলার আরও কয়েকটি জায়গায় খনিজ তেলের খোঁজে চালানো হবে পরীক্ষা নিরীক্ষা।

    বনগাঁয় তৈল ভাণ্ডারের হদিশ মিললে হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এই আশায়ই বুক বাঁধছে তৃণমূল এবং বিজেপি। যে কালুপুরে শুরু হয়েছে খননকার্য, সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মুক্তি সরকার। তিনি বলেন, আমার পঞ্চায়েত এলাকায় খননকার্য শুরু করেছে ওএনজিসি। যদি এখানে খনিজ তেল পাওয়া যায়, তাহলে কালুপুর সহ গোটা বনগাঁয় উন্নয়ন হবে। একই সুর বিজেপি নেতৃত্বের গলায়ও। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় খনিজ তেল পাওয়া গেলে কর্মসংস্থান হবে। তাতে এলাকারও উন্নয়ন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    Cattle Smuggling: কেষ্ট-সুকন্যার পর এবার লটারি জয় এনামুলের! ৫০ লক্ষ টাকার খোঁজ পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) এবারে ষষ্ঠবারের জন্য লটারি জেতার হদিশ পাওয়া গেল। তবে এবারে অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে নয়, এবারে লটারি জিতেছে গরু পাচার মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। এদিন সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, এনামুলের নামে ২০১৭ সালে জেতা একটি ৫০ লক্ষ টাকার লটারির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত এনামুলের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর সেসময়ই এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

    এনামুলের লটারি জয়

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) তদন্তে নেমে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী এনামুল হক। আর এবারে এই মামলার তদন্ত করতে নেমে সিবিআই-এর হাতে এই তথ্য এসেছে। সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তিনি ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন। আর এই লটারির টাকা সেই গরু পাচারের টাকাই কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই কাজে ইডিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এনামুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ঘাঁটতে গিয়েই লটারির বিষয়টি নজরে আসে তদন্তকারীদের। ফলে লটারি জেতার তালিকায় অনুব্রত ও সুকন্যার পরে এবারে যোগ হল এনামুলের নামও।

    আবার সিবিআই মনে করছে, এনামুল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও আরও লটারির টিকিট থাকতে পারে। তাই এনামুলের পরিবারের সদস্যদের এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিবিআই আধিকারিকারা তদন্ত করে এনামুলের স্ত্রীর নামেও একটি লটারি টিকিটের হদিস পেয়েছে। তবে তা এখনও তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর (Cattle Smuggling Scam)।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    অনুব্রত ও সুকন্যার লটারি জয়

    এর আগেই অনুব্রতর দুটি ও সুকন্যার তিনটি লটারি জয় নিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল (Cattle Smuggling Scam)। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা আগেই সন্দেহ করেছিল যে, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশেই লটারির মাধ্যমে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হত। ফলে এবারে ষষ্ঠবারের লটারি জেতার হদিশ পাওয়ায় সিবিআই এই বিষয়টিকে আরও খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। আর বারবার লটারি জেতার পিছনে কী রহস্য রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আর এক্ষেত্রে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ইডিরও।

LinkedIn
Share