Blog

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিলও করতে পারবে না তৃণমূল (TMC)। মিছিল যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি…

    গত দু দিন ধরে শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চান সিবিআই তদন্তও। বুধবার হয় ওই মামলার শুনানি।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী আদালতে জানান, ভাসবাসার নাম করে ফুল নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে কর্মসূচি করা হচ্ছে। তখনই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হতে পারে আপনাকে তাঁরা ভালবাসে। শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে? তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তাহলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়বেটিস) হয়ে যেতে পারে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয়, তা কাঁথি থানাকে নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত না করার নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করা হয়। বিচারপতি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। পাকাতে থাকেন অশান্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    Meta & WhatsApp: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু, আরেক উচ্চপদস্থ কর্তার পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাঝে এবারে দুই উচ্চপদস্থ কর্তা নিজেই নিজেদের জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালেন (Meta & WhatsApp)। পদত্যাগ করলেন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ প্রধান অভিজিৎ বসু ও একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন মেটা ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর রাজীব আগরওয়াল। ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেন এই সংস্থার পাবলিক পলিসির প্রধান রাজীব আগরওয়াল। মেটার দুই বড় কর্তাই মঙ্গলবার তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়েছেন।

    কেন পদত্যাগ করলেন?

    ইনস্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ভারত সহ গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় (Meta & WhatsApp)। একদিন ভারতের হোয়াটসঅ্যাপের দায়ভার সম্পূর্ণ ছিল অভিজিৎ বসুর উপর। ফলে আচমকা তাঁর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা বিষয়ে জানা যায়নি। লিঙ্কডইন-এ অভিজিৎ বসু জানিয়েছেন, তিনি ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম কান্ট্রি হেড ছিলেন। তিনি এবার কোন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন, তা অবশ্য জানাননি তিনি। তবে অভিজিৎ জানান, আপাতত ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন তিনি। এরপর, ফের এই প্রযুক্তির জগতে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত অভিজিতের জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসা হবে।

    অন্যদিকে ভারতে মেটার প্রধান অজিত মোহনের ইস্তফার ২ সপ্তাহের মধ্যেই রাজীব আগরওয়াল পদত্যাগ করলেন। অজিত মোহন বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা স্ন্যাপ-এ যোগ দেবেন। স্ন্যাপ-এ এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। আর এই সুযোগের জন্যই তিনি মেটা ছেড়েছেন। ফলে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাজীবও অন্য এক সংস্থায় যোগ দেবেন বলেই এই চাকরি ছাড়লেন তিনি। তবে তাঁর থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বর্তমানে আপাতত রাজীবের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর শিবনাথ ঠুকরালের উপর (Meta & WhatsApp)।

    হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট অভিজিৎকে পরবর্তী কাজের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন (Meta & WhatsApp)। তাঁর হাত ধরেই যে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নয়া উচ্চতা অর্জন করেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। অভিজিতের কাজের ধারাকেই ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার কর্তব্য বলেও অন্যান্য কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন উইল।

    উল্লেখ্য, ট্যুইটারের পর দিন কয়েক আগেই গণছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে মেটাও। একসঙ্গে ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেন মার্ক জুকারবার্গ। ফলে মেটার খারাপ আর্থিক রিপোর্টের আবহে এই একের পর এক উচ্চপদস্থ পদত্যাগের ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ (Meta & WhatsApp)।

  • West Bengal Dengue: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    West Bengal Dengue: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কসবার বাসিন্দা রাজীব বসু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। সরকারি পরীক্ষাগার থেকে রক্ত পরীক্ষা করান। ডেঙ্গি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কয়েক দিন পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা হয়। বেসরকারি পরীক্ষাগার থেকে রক্ত পরীক্ষা করালে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক জানান প্রথম রিপোর্ট ভুল হওয়ায় ডেঙ্গি চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গিয়েছে। তার জন্যই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

    গিরিশ পার্কের বাসিন্দা বছর ২৬-র পৌষালী মিত্রের তিন দিন জ্বর থাকার পরে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু তারপরেও জ্বর কমছিল না। পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়, যে এরপরে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। তখন রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় পৌষালী ডেঙ্গি আক্রান্ত। প্লেটলেট তখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসকেরা তাঁদের জানান, ডেঙ্গি চিকিৎসায় অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট প্রথমে ঠিকমতো পাওয়া গেলে হয়তো ভোগান্তি কম হতো।

    দ্রুত রোগ নির্নয় জরুরি

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় দ্রুত রোগ নির্ণয় জরুরি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যেহেতু ডেঙ্গি চিকিৎসার কোনও টিকা নেই, কোনও বিশেষ ওষুধ নেই, মূলত নজরদারির মাধ্যমে ডেঙ্গি চিকিৎসা করে রোগীকে সুস্থ করা হয়, তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় জরুরি। তাহলে প্রথম থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্লেটলেট গণনা করে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখলে, রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটার আগেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু রাজীব বাবু বা পৌষালীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা অনেকটা দেরিতে শুরু হয়েছে। কারণ, রিপোর্ট বিভ্রাট।

    রাজীববাবু কিংবা পৌষালীর অবস্থা কোনও ব্যতিক্রম নয়। ডেঙ্গি রিপোর্ট নিয়ে একাধিক জায়গায় বিভ্রাটের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, টানা তিন দিন জ্বর থাকলে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্ত পরীক্ষা করানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময়েই রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। জ্বর কমছে না। বমি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসক ফের রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। তখন বেসরকারি পরীক্ষাগার থেকে রিপোর্ট করালে অনেকেরই সেই ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। 

    আরও পড়ুন: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    চিকিৎসকদের মত

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তির একাধিক ঘটনা ঘটছে। মূলত কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই অভিযোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক চিকিৎসক বলেন, “ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগে মানুষ প্রথমে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরসা করে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে মানুষের ভরসা মর্যাদা পাচ্ছে না। সরকার চাইছে যে ভাবে হোক ডেঙ্গি সংক্রমণের গ্রাফ কম দেখাতে। এটা যে কত বড় ক্ষতি হচ্ছে, সেটা এখনও  প্রশাসনের বোধগম্য হচ্ছে না।”

    ডেঙ্গি চিকিৎসা সময় মতো শুরু না করলে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই রিপোর্ট সময় মতো পাওয়া জরুরি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা সময় মতো না জানতে পারলে, শুধু রোগীর চিকিৎসায় দেরি হবে তাই না, আক্রান্তের থেকে অন্যদের মধ্যেও ডেঙ্গি সংক্রমিত হতে পারে। তাই বিপদ কমাতে ডেঙ্গি পরীক্ষা নির্ভুল হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তবে, ডেঙ্গিই শুধু নয়। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও এই রিপোর্ট বিভ্রাট হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার রিপোর্টও সরকারি পরীক্ষাগার থেকে করানোর পরে বেসরকারি পরীক্ষাগারে দ্বিতীয়বার করলেই দেখা যাচ্ছে নেগেটিভ রিপোর্ট পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। তাই ডেঙ্গির মতোই মশাবাহিত আরেকটি সংক্রামক রোগ বাড়ছে।

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারের তথ্য গোপনের প্রবণতার জেরেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। তারপরেও সরকারের হুঁশ ফিরছে না। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা একশো ছুঁতে চললো কিন্তু তারপরেও সরকারের ডেঙ্গি রোধে সক্রিয় ও স্বচ্ছ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

  • Data Science: পড়ুন ডেটা সায়েন্স, মাইনে মিলবে মোটা অঙ্কের

    Data Science: পড়ুন ডেটা সায়েন্স, মাইনে মিলবে মোটা অঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইটি (IT) সেক্টরে কাজের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। প্রয়োজন হল, নিজেকে ‘দক্ষ’ করে তুলতে হবে। পেশাদার হতে হবে। কম্পিউটার (Computer) সায়েন্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার, কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ ইত্যাদি কোর্স করে আইটি সেক্টরে অনেকেই চাকরি করেন। আজ আমরা আলোচনা করবো ডেটা সায়েন্স (Data Science)কোর্স নিয়ে। জানব এই কোর্সের খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়।

    কোর্সের খুঁটিনাটি…

    ডেটা সায়েন্স (Data Science)কোর্স আসলে কি?

    স্ট্যাটিসটিক্স, টুলস, বিজনেস নলেজ এসবের সংমিশ্রণ হল ডেটা সায়েন্স (Data Science)কোর্স। এই ক্ষেত্রে একজন দক্ষ কর্মী হতে উপরের বিষয়গুলিকে ভালভাবে আয়ত্ত করতে হবে।

    ফাইনান্স, মার্কেটিং, রিটেল আইটি, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডেটা সায়েন্টিস্টদের প্রয়োজন। ডেটা সায়েন্সের (Data Science) চাহিদা তাই পৃথিবী ব্যাপী বললেই ভাল হয়। যে কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই এই কোর্স করা যায়। একবিংশ শতাব্দীর ট্রেন্ডিং জব হিসেবে আইবিএম ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে ‘ডেটা সায়েন্স’ (Data Science)কে।

    ডেটা সায়েন্স (Data Science)কোর্সের গঠন:

    ডেটা সায়েন্স (Data Science)এর তিনটি অংশ।

    ১) মেশিন লার্নিং:  

    এর মধ্যে রয়েছে অ্যালগরিদম এবং ম্যাথমেটিক্যাল মডেলস।

    উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, এই সময়ে বিভিন্ন ট্রেডিং এবং ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমে টাইম সিরিজ ফোরকাস্টিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতীতের ডেটা দেখে, মেশিন আগামী মাসের বা আগামী বছরের প্রেডিকশন করতে পারে। এটাই হল মেশিন লার্নিং।

    ২) বিগ ডেটা:-

    প্রতিনিয়ত আমরা প্রচুর ডেটা তৈরি করি ক্লিক অর্ডার, ভিডিও ইমেজ, কমেন্ট আর্টিকেল ইত্যাদির মাধ্যমে। এই ডেটাগুলিকে সাধারণত বলে আনস্ট্রাকচারড ডেটা। এই ডেটাকে মাঝেমধ্যেই বলা হয় ‘বিগ ডেটা’। বিগ ডেটা টুলস এবং টেকনিক মূলত আন স্ট্রাকচার্ড ডেটাকে স্ট্রাকচার্ড ডেটাতে কনভার্ট করতে সাহায্য করে।

    ৩) বিজনেস ইন্টেলিজেন্স:

    প্রত্যেক ব্যবসায়ই প্রতিনিয়ত ডেটা তৈরি হয়। এই ডেটা অ্যানালিসিস করা হয়। তারপর ভিসুয়াল রিপোর্টে গ্রাফের মাধ্যমে দেখানো হয়।

    ভাল ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে দক্ষতা কি কি প্রয়োজন?

    মূলত তিনটি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে ডেটা সায়েন্টিস্টদের দক্ষতা।

    টুলস, টেকনিক্স এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা।

    ১) টুলস

    টুলসের মধ্যে রয়েছে

     In-depth knowledge in R,

    Python coding, MS Excel, Hadoop Platform, SQL database/coding, Technology এই গুলি, যা জানতে হবে।

    ২) টেকনিকস

    টেকনিকসের মধ্যে রয়েছে

    Mathematical Expertise,

    Working with unstructured data এই গুলি, যা একজন পেশাদার কর্মী হতে সাহায্য করবে।

    ৩) ব্যবসায়িক দক্ষতা

    এই পেশায় ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

     বেতন প্যাকেজ কেমন হয়?

    জব ট্রেন্ডিংয়ে দেখা যাচ্ছে, ৪৬ শতাংশ ডেটা সায়েন্টিস্টের বাৎসরিক বেতন ৬ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। ৮% ডেটা সায়েন্টিস্টের বাৎসরিক বেতন ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে।

    কীভাবে একজন ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে পারে

    যে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেটা সায়েন্স (Data Science) এর উপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করলেই ডেটা সায়েন্টিস্ট হওয়া যায়। এ জন্য ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। ইঞ্জিনিয়ারিং, অঙ্ক, অর্থনীতি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, পরিসংখ্যান ইত্যাদি শাখার গ্র্যাজুয়েটরা আবেদন করতে পারেন।

    কাজের সাথে যুক্ত আছেন যাঁরা, তাঁরাও এই কোর্স করতে পারেন। তবে নূন্যতম তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। software developers, testers, QA, networking professionals, system administrators, product and program management professionals,  IT support professionals-রা আবেদন করতে পারেন এই কোর্সের জন্য।

    এই কোর্সের সিলেবাসে কি রয়েছে?

    ডেটা সায়েন্সে(Data Science) যে যে বিষয়গুলি পড়ানো হবে সেগুলি হল-

    excel

    python programming

    SQL

    data visualisation

    machine learning

    statistics for data science

    data visualisation with tableau and Power BI

    specialisation of either advanced machine learning track or data analytics

    কোন কোন পদে চাকরি পাওয়া যাবে?

    ডেটা সায়েন্স (Data Science)কোর্স করলে নিম্নলিখিত এই পদগুলিতে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    data scientist

    data analyst

    data manager

    business analyst business intelligence specialist

    data science consultant analytics manager

    স্বল্পমেয়াদি কোর্স নাকি ডেটা সায়েন্স (Data Science)এর ফুল টাইম কোর্স। কোনটা ভাল?

    ফুল টাইম কোর্সটাই সবচেয়ে ভাল। যদি কেউ তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স করে থাকেন অথবা তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এই ক্ষেত্রে তাহলে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স একটি ভালো অপশন।

    আরও পড়ুন:‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    SSC Scam: ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে সুবীরেশের ‘নির্দেশেই’! একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ওএমআর শিটে যাদের নম্বর বদল হয়েছিল এমন একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে দাবি, ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে ৬৬৭ জন চাকরিপ্রার্থীর (SSC Scam)।

    সিবিআইয়ের তলব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাকরিপ্রার্থীদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক (SSC Scam)। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তন হওয়া একাধিক চাকরিপ্রাপকদের তলব করেছে সিবিআই। আজ ও আগামীকাল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের ২০ জন চাকরিপ্রাপকদের নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে এসে হাজিরও হয়েছেন। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সেটাও রেকর্ড করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।

    ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছিল কার নির্দেশে?

    গতকাল সিবিআই আদাতে দাবি করেছে, ৬৬৭ জনের নম্বর বদলের পিছনে হাত রয়েছে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত সুবীরেশই একসময় জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সময়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু গতকাল সিবিআই আদালতে দাবি করেন, সুবীরেশের ‘নির্দেশে’ই অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। আর এই বিষয়ে আদালতে প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    গতকাল, সোমবার এসএসসির নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে (SSC Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই-এর তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে, এসএসসি মামলায় বেআইনি ভাবে ৬৬৭ জন অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এরপর এই মামলার আরও তদন্ত করে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই ৬৬৭ জনের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। আর এরপরেই জানা গিয়েছে, ৬৬৭ জনের পরীক্ষার ওএমআর শিট বদলের পিছনের মূলচক্রী এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যই। তাঁর নির্দেশে এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানেই অযোগ্য প্রার্থীর নম্বর টাকার বিনিময়ে বদল করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দেওয়া এই তথ্যই নির্দেশনামায় তুলে ধরেছেন সিবিআই আদালতের বিচারক শেখ কালামউদ্দিন।

    আদালতে বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সিবিআই-এর উদ্দেশে গতকাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দেন আলিপুর কোর্টের বিচারক শেখ কালামুদ্দিন। তিনি প্রশ্ন করেন, যেসব অযোগ্য প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? ৬৭৭ জনের মধ্যে কেন শুধু ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে? বাকিদের কবে বয়ান রেকর্ড করা হবে? তদন্ত কি অনন্তকাল চলবে? আবার তদন্তের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেন বিচারক। আর এসবের পরেই সিবিআই-এর তলব অযোগ্য প্রার্থীদের।

  • Sukanta Majumdar:  ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে। তার আগে প্রস্তুতি সারছে বিজেপি৷ রণকৌশল তৈরি করতে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের কুশবসানের গৈতাতে পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল দলের তরফে৷ পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য স্থানীয় বিজেপি নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত। 

    ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘেউ ঘেউ করবেন না ডি.এ দিতে পারব না। পুলিশও ডিএ পাচ্ছে না পুলিশেরও একই অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী তখন ঘেউ ঘেউ করবেন না বলেছিলেন, কিন্তু পুলিশ যে ঘেউ ঘেউ করবে না শুনে ওই ঘেউ ঘেউয়ের মতো কামড়াতে শিখে গেছে।” তাঁর কটাক্ষ, “আপনারা হসপিটালে গেলে ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞেস করবেন, পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে? আর তৃণমূল নেতাদের দেখলে জিজ্ঞেস করবেন পুলিশ কামড়ালে যে ভ্যাকসিন নিতে হয় সেই ভ্যাকসিন কি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পাওয়া যাবে?”

    ডিসেম্বর ডেডলাইন হুঁশিয়ারি

    আবারও সুকান্ত মজুমদারের মুখে ফের শোনা গেল ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ (December Deadline) হুঁশিয়ারি। নারায়ণগড়ের সভা থেকে ফের ডিসেম্বর-ডেডলাইন হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের। বললেন, ‘‘এখন মাগুর মাছ বেরোচ্ছে, সিবিআই রোজ মাগুর মাছের ঝোল খাওয়াচ্ছে। যত নেতা আছে, যত চোর আছে… এখন হাল্কা ঠান্ডা, ডিসেম্বরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। তখন দেখবেন তৃণমূল কাঁপছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘টাইম আসছে গোটা তৃণমূল সরকার কাঁপবে। এই সরকারের আয়ু আর বেশিদিন নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে সাহস পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’-এর হুঁশিয়ারি। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলের গলাতেই শোনা গিয়েছে ডিসেম্বরের হুঁশিয়ারি। তৃণমূল সরকারের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ছ’মাস তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না৷ তার আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে তৃণমূলের।’’ সুকান্ত এর আগে বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তার একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে বিজেপি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিন্তাতেই রাখব। চিন্তার কিছু নেই। ডিসেম্বর হোক, জানুয়ারি হোক, ফেব্রুয়ারি হোক, ঠান্ডাও পড়বে, সরকার কাঁপবে।’’

    পুলিশকে করলেন সাবধান

    নারায়ণগড়ে পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনের প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত বললেন, ‘‘চাকরি বাঁচাতে যতটা করার করবেন, তৃণমূলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করবেন না।’’ তিনি এও বললেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করতে তৃণমূলের সঙ্গে যদি পুলিশ হাত মেলায় তা হলে আমাদের কর্মীরা আপনাদের তৃণমূলের কর্মী হিসেবে দেখবে এবং সেই মতো ব্যবহার করবে। তখন কোনও ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় আমরা নেব না।’’ পুলিশকে ‘সাবধান’ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের অবশ্য প্রশংসা করেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ওপর তলার পুলিশদের একাংশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anti Terror Agency: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    Anti Terror Agency: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুরে (Udaipur) রেল লাইনে বিস্ফোরণের (Railway Track Explosion) ঘটনায় এবার তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা রেল ট্র্যাকে গত রবিবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেললাইনের একাংশ। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রাই বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিল রেলকে। কিছুক্ষণ পরেই ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আসারওয়া-উদয়পুর এক্সপ্রেসের। তার আগেই ঘটে বিস্ফোরণ। এর পরেই ওই রুটের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    গতকালই নাশকতার বিষয়ে জানার পরেই তদন্তের নির্দেশ দেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (CM Ashok Gehlot)। এরপরেই তদন্তের ভার নেয় এনআইএ। এর আগে তদন্তের দায়িত্ব ছিল রাজস্থানের পুলিশের ওপর।

    রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই ব্রডগেজ রেললাইনের (Broad-gauge Railway Track)  উদ্বোধন করেছিলেন। তারপরই রবিবার রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাই অনেকেই একে নাশকতার ঘটনা বলেই মনে করছেন।

    কী ঘটেছে?

    রাজস্থান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল উদয়পুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ওধা ব্রিজের উপরে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইনে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরে ট্রেন চলচাল বন্ধ হয় যায় ওই রুটে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পরবর্তীতে রাজস্থান পুলিশের পাশাপাশি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া এনআইকেও। 

    রাজস্থান পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণ ঘটাতে খনিতে ব্যবহৃত ‘সুপারপাওয়ার ৯০’ ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বিকট শব্দ পান। তাঁরাই রেলের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান। তারপরে সেখানে পৌঁছায় ফরেন্সিক ও সন্ত্রাসদমন স্কোয়াডের সদস্যরা। একযোগে তদন্ত শুরু করে এটিএস (ATS), এনআইএ ও আরপিএফ (RPF)। উদয়পুরে বিস্ফোরণে নাশকতার ছক উড়িয়ে দিচ্ছে না এনআইএ ও অন্য তদন্তকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, রীতিমতো পরিকল্পনা করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
     
     

     

     
  • World Diabetes Day: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    World Diabetes Day: আপনি প্রি-ডায়াবেটিক হলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস (World Diabetes Day)। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হলেও ডায়েবেটিস থেকে আজও নিষ্কৃতি পায়নি মানবজাতি। একবার ডায়েবেটিস হলে তা থেকে মুক্তি নেই আজও। কিন্তু জীবনযাত্রায় বদল এনে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই রোগ। ডায়াবেটিস মূলত ২ প্রকার। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত কারণে হয়। যাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডায়াবেটিস থাকে, তাঁদের এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সব চাইতে বেশি। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মূল কারণ অনিয়মিত জীবন যাত্রা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কোনও রকম ডায়েট না মেনে চলা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা হল ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ। আর তাই এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় মেনে খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যাদের ডায়াবেটিস বর্ডার লাইনে, তাদের বলা হয় প্রি-ডায়াবেটিক। প্রি-ডায়াবেটিকরা মূলত খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করলে ডায়াবেটিক হওয়া আটকাতে পারেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক

    প্রি-ডায়াবেটিকদের কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ?

    ফলের রস: ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে ফল ভালো হলেও ফলের রস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ফলের রসে ফাইবারের পরিমাণ কমে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ফ্রুকটোজ সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। 

    প্যাকেজড খাবার: কোনও প্যাকেজড বা প্রসেসড খাবার মূলত স্ন্যাকস বা মাংস জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে, যেগুলি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভাল নয়। 

    শর্করা প্রধান খাবার: হোয়াইট ব্রেড, হোয়াইট রাইস, পাস্তা, বেকারির যেকোনও খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে একেবারেই ভালো নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এইসব খাবারগুলো খেলে।    

    জাঙ্ক ফুড: যেকোনও ডিপ ফ্রায়েড খাবার এড়িয়ে চলুন।   

    ফ্রোজেন ডেজার্ট: ইয়োগার্ট বিশেষ করে ফ্লেভারড ইয়োগার্ট একেবারেই খাবেন না। কারণ এর মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে।

    চর্বি জাতীয় খাবার: যেকোনও ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ফুল ফ্যাট মিল্ক ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। কারণ এই অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

    ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল: ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। 
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বিষয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এই নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত। কেন্দ্রকে সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানি

    জোর করে ধর্মান্তকরণ, লোভ দেখিয়ে বা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্র পদক্ষেপ নিই, অভিমত শীর্ষ আদালতের।  এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও মত আদালতের। ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।

    সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি  এম আর শাহ (MR Shah) এব হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চে। বেঞ্চ জানায়, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    কেন্দ্রের মতে

    এই বিষয়ে সলিসিটার জেনারেল (Solicitor General)  তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন, “দু’টি আইন আছে। একটি ওড়িশা সরকারের এবং অন্যটি মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ওই আইনে প্রতারণা বা জালিয়াতি, কিংবা অর্থের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিবেচনার জন্য দুটি আইনকে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়। শীর্ষ আদালত ওই আইনগুলির বৈধতা বহাল রেখেছে।” আদালতে তিনি জানান, যে আদিবাসী অঞ্চলে মাঝেমাঝেই জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু জোর করে ধর্ম পরিবর্তন কখনওই কাম্য নয়। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে মত জানানোর জন্য ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে ২৮ নভেম্বরে পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: বালিতে গিয়ে সুনক, মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, কেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share