Blog

  • Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জেলায় জেলায় মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল, রিপোর্টের দিকে বিশেষ নজর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল তদন্তে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সোমবার অভিযানে দিল্লির ১১ জনের একটি দল। চার জেলায় গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে পরিদর্শনে বেরনোর আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপর জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে বেরিয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৪ জেলার সফর শুরু আজ উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে। মিড ডে মিল নিয়ে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেবে তাঁরা। অন্যদিকে এই ইনস্পেকশন নিয়ে উৎসাহী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কী রিপোর্ট জমা পড়ে সে দিকে নজর রাখবেন তিনি।

    মিড ডে মিলের পরিদর্শনে বেরল কেন্দ্রীয় দল

    সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ন’টার কিছুটা সময় পর তাঁরা বিকাশ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন। এর পর বিকাশভবনে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই তদন্তে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আজ উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে যাবেন। এর পর আরও ৩ টি জেলায় যাবেন তাঁরা। নজরে রয়েছে শিলিগুড়িও। তবে এই তালিকায় আরও বেশ কিছু জেলার সংযোজন করতে পারেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, সেটা জানা যাচ্ছে। ১১ জনের প্রতিনিধি দল কয়েকটি ভাগে বিভিন্ন জেলাতেও যেতে পারে বলে খবর। সূত্রের খবর, চার জেলা ঘোরার পর কলকাতা হয়ে এই টিম দিল্লি যাবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপারিশ পাঠাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    মিড ডে মিল নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিড ডে মিলের খাবারের গুণমান নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। কখনও শিশুদের খাবারে মিলেছে সাপ, কখনও আবার টিকটিকি, ইঁদুর। আবার আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে ট্যুইটে শুভেন্দু দাবি করেন, বগটুইয়ে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এর পরই রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতিতে কেন্দ্রীয় দল আসছে বলে জানান তিনি।

    এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কী রিপোর্ট দেয় সে দিকে তাকিয়ে থাকব। মিড ডে মিলের টাকা থেকে বগটুইতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা নয়। এটা ফাইনানসিয়াল ক্রাইম। বিডিও, ডিএমদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। অডিটের পর কেন্দ্র সরকার এমনটা করবে। আমি যখন অভিযোগ করেছি তখন তা প্রমাণের দায়িত্ব আমার। আমি প্রমাণ দেওয়ার পর নিশ্চয় কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নেবে।”

    ফলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্ত করার পর মিড ডে মিলের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অবশেষে কেন্দ্রকে কী রিপোর্ট দেয় তাঁরা, সেটার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

  • West Bengal Weather: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    West Bengal Weather: শীতের বিদায় এখনই নয়, বৃহস্পতিবার থেকেই ফিরবে শীত! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে পারদের ওঠা-নামা জারি। জানুয়ারির শুরুতেই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পেয়েছে রাজ্যবাসী। তারপর ধীরে ধীরে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। এরপর একেবারেই শীত বিদায় নিয়েছিল শহর থেকে। তবে ফের বিগত দু’দিনে তাপমাত্রা কমে গেল। রবিবারই শীতের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছিল। এর পর আজ সোমবার এক ধাক্কায় আরও কিছুটা পারদ পতন শহরে। আজ ভোর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে শিরশিরে ঠান্ডার ইনিংস শুরু হয়ে গেল৷ ফলে শেষবেলায় শীতের দাপুটে স্পেলের দেখা মিলতে পারে। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ শহরে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি নামল। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছল ১৫.৮ ডিগ্রিতে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

    আরও পড়ুন:মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এরপর মঙ্গলবার ও বুধবার তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়লেও, বৃহস্পতিবার বার থেকে তাপমাত্রা ফের ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। আগামী বৃহস্পতিবারের পর থেকে আবারও মিনি শীতের স্পেল আসতে চলেছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে শীতের স্পেল চলবে আগামী রবি থেকে সোমবার পর্যন্তই।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আগামী তিন দিন কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গে। মূলত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় বুধবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমেও হালকা বৃষ্টি ও পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হতে পারে। যদিও দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচ দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • U19 Women T20 World Cup: পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পেল! এতদিনে স্বপ্ন পূরণ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলার তিতাসের

    U19 Women T20 World Cup: পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পেল! এতদিনে স্বপ্ন পূরণ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলার তিতাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝুলনরা পারেননি , তিতাসরা পারলেন! দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়লাভ করল ভারত। এর আগে একাধিক চেষ্টায় ভারতের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এই প্রথম ভারতীয় মহিলা দল বিশ্বজয়ের স্বাদ পেল। আর সেই ম্যাচে সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন বাংলার মেয়ে চুঁচুড়ার তিতাস সাধু।  অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শুরু থেকেই তিতাসের আগুনে পেসের কাছে হার মানে ইংল্যান্ড। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিতাস। তাঁর পেস এবং সুইংয়ে শুরুতেই বেসামাল হয়ে যায় ব্রিটিশরা। প্রথম ওভারেই উইকেট নেন তিতাস। রবিবার আয়োজিত এই ম্যাচে ভারত ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয়। এই ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ড মাত্র ৬৮ রানে ধরাশায়ী হয়ে যায়। এরপর টিম ইন্ডিয়া ৩৬ বল বাকি থাকতেই জয়লাভ করে।

    মোদির ট্যুইট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের এই অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দলকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলকে। লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট দল অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। দেশের মেয়েদের এই সাফল্য আগামীদিনে ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। আগামী ভবিষ্যতের জন্য দেশের এই মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।’

    ম্যাচের সেরা তিতাস 

    ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে তিতাস বলেন, “সবকিছুই স্বপ্নের মতো লাগছে। এগুলো বাস্তবে ঘটছে বলে মনে হচ্ছিল না। প্রথম বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। দারুণ লাগছে। অবশেষে আমরা পেরেছি। বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি।” বিশ্বকাপে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে মোট ৬ উইকেট। মেগা ফাইনালে তাঁর গতিতে ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ। ম্যাচের পরে তিতাস বলেন, “অনেক দিন ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের মনে একটি পরিকল্পনা ছিল, আমরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। স্পিনাররা খুব ভালো ব্যাক আপ করেছে। আমরা এখানে ২টি ম্যাচ খেলেছিলাম এবং প্রতিপক্ষকে কোথায় বল করতে হবে তার একটি ভালো ধারণা ছিল। সেই অনুযায়ী খেলেই সাফল্য এল।”

    প্রথমবার টি২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সে বার মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের টি২০ বিশ্বকাপের (ICC U19 Women’s T20 World Cup) উদ্বোধনী সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হল শেফালি ভার্মার ভারত। এ বারও সেই দক্ষিণ আফ্রিকাতেই। এদিন তিতাস ছাড়াও বাংলার আরও দুই তারকা ক্রিকেটার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। উইকেটের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রিচা ঘোষ। একেবারে শেষের দিকে নেমে অপরাজিত থাকেন বাংলার আর এক কন্যা হৃষিতা বসু।

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ কন্যাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় তরুণীরা

    মেয়ের এই সাফল্য দেখে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু। তিনি বললেন,”আশা করেছিলাম যে আমার মেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে। সেই প্রত্যাশা এতদিনে পূরণ হল। ফাইনালে সঠিক জায়গায় বল রেখেছে ও।” মা ভ্রমর সাধু বলেন, “তিতাস সবে খেলা শুরু করেছে। ও ভালো পারফর্ম করেছে। আমরা সকলে খুব খুশি। তবে এখানেই শেষ নয়। ওর সামনে অনেক লম্বা রাস্তা রয়েছে। ও যেন ভালো খেলে সেটাই চাই।” আরও জানান, একজন ভারতীয় হিসেবে তিনি খুবই আনন্দিত। পাশাপাশি বলেন, “মেয়ে হিসেবে ভারতের এই জয়ে আমি বিশেষ খুশি। ভারতের মেয়েদের এর আগে বিশ্বকাপ ছিল না। এটাই ভারতের মেয়েদের জেতা প্রথম বিশ্বকাপ। যে কারণে আমি ভীষণ খুশি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    Migrant Workers: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের প্রকল্পে টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে সেই টাকা খরচ হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা খয়রাতি প্রকল্পে। তার জেরে রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ। হা শিল্প দশা। অগত্যা রুজির টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার দিন আনি দিন খাই পরিবারের রোজগেরে সদস্যরা (Migrant Workers)। তারপর তাঁদের অনেকেই ফিরছেন লাশ হয়ে। সংসারের রোজগেরে মানুষটার অকাল মৃত্যুতে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসছেন মৃতের পরিবার।

    দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকা…

    এই যেমন মালদহের হবিবপুরের তিন মণ্ডল পরিবার। রাজ্যে কাজ না পেয়ে গত বছর নভেম্বরে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালুকদার পাড়ার প্রেমকুমার মণ্ডল, রতন মণ্ডল এবং অলোক মণ্ডল কাজ করতে গিয়েছিলেন মিজোরামের (Mizoram) আইজল জেলায়। ২৬ জানুয়ারি গার্ডওয়ালের কাজ করার সময় ধ্বস নামে। মৃত্যু হয় তিন যুবকেরই। পরিবার সূত্রে খবর, তিনজনেরই ৩১ জানুয়ারি বাড়ির ফেরার কথা ছিল। সেজন্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য ৩১ জানুয়ারির আগেই বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। তবে কফিনবন্দি হয়ে। ঘটনায় কান্নার রোল গ্রামে। শোকস্তব্ধ গোটা তল্লাট।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। মৃতদের মধ্যে প্রেমকুমার ও রতন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই। তিনজনই বিবাহিত। অলোকের আবার আট মাসের এক শিশুপুত্রও রয়েছে। পরিবারের রোজগেরে সদস্যদের মৃত্যুতে অথৈ জলে তিন মণ্ডল পরিবার। মালদহ উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, রাজ্যে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে অকালে প্রাণ চলে যাচ্ছে জেলার ছেলেদের।

    অবশ্য এই প্রথম নয়। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে অকালে প্রাণ খুইয়েছেন এ রাজ্যে অনেক শ্রমিক (Migrant Workers)। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। মাস পাঁচেক আগে চেন্নাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন মালদহেরই রতুয়ার ছেদু মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর রতুয়া পূর্ব পাড়া গ্রামে। ছেদুও বাড়ি ফিরেছিলেন লাশ হয়ে।

    কম করুণ নয় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার রামগড় পূর্ব হাট পাড়ার কাহিনিও। মাস কয়েক আগে গুজরাটের জামনগর অডনার জেটিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন ওই পাড়ার বছর তেইশের যুবক মোহনলাল মহলদার। মাথায় রডের আঘাত লেগে ওপর থেকে সমুদ্রে পড়ে যান তিনি। সমুদ্র অবশ্য গিলে খায়নি তাঁকে। ফিরিয়ে দিয়েছিল। মোহনলালও বাড়ি ফিরেছিলেন কফিনবন্দি হয়ে। তরতাজা যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সে কি কান্না!

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    ইদে বাড়ি ফেরা হয়নি মুর্শিদাবাদের আরও একজনের। তিনি ইদুল হাসান। বছর বাহান্নর ইদুল জলঙ্গির ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। কেরলের প্রেম্বাবুর থানা এলাকায় জলের পাইপ বসানোর কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ইদের দিন কয়েক আগের এক সকালে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ইদুল। তিনিও ফিরেছিলেন লাশ হয়ে। ওড়িশায় কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদেরই সূতির ইন্দ্রনগর কলোনির বাসিন্দা রাজকুমার হালদারও। ওড়িশায় এক কন্ট্রাক্টরের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন তিনি। পরে বাড়ি ফেরে রাজকুমারের নিথর দেহ। বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্দন মহালদারও। নিথর দেহে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মহাবুল মিঞাও। কেরলের ত্রিশুরের পালাঘাট এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যু মিছিলের এই তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাঁচ শ্রমিকও। সিকিমের পেলিং স্কাইওয়াক এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই তো ডিসেম্বরে। প্রাণে বেঁচে ফেরেননি তাঁরাও।

    একের পর এক তরতাজা যুবক (Migrant Workers) রাতারাতি আকাশের তারা হয়ে যাওয়ার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। কখনও দাক্ষিণ্য বাবদ কিছু টাকা, কখনওবা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করে, কখনও আবার স্রেফ কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েই হাত ধুয়ে ফেলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর পরিবারের জলজ্যান্ত মানুষটাকে হারিয়ে চোখের জল সম্বল করে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন নিহতদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

    PFI: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের কোল্লাম জেলায়  আরএসএস (RSS) এবং বিজেপির (BJP) বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে এক ফল বিক্রেতাকে কাজে লাগিয়েছিল অধুনা নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। ১৭ জানুয়ারি ওই ফলওয়ালাকে গ্রেফতার করেছে   । ধৃতের নাম মহম্মদ সাদিক।

    এনআইএর রিপোর্ট…

    এনআইএর রিপোর্ট অনুসারে, পিএফআইয়ের সদস্যরা পেশায় ফল বিক্রেতা বছর চল্লিশের সাদিককে রিপোর্টার হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতারা, যাঁরা পিএফআইয়ের সম্ভাব্য টার্গেট, তাঁদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে পিএফআই নেতাদের দেবেন বলে কাজে লাগানো হয়েছিল তাঁকে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ১৭ জানুয়ারি কোল্লাম জেলায় হানা দেন এনআইএর তদন্তকারীরা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ সাদিককে। দুই সন্তানের জনক সাদিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। আরও তথ্যের জন্য তাঁকে লাগাতার জেরা করে চলেছেন তদন্তকারীরা।

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারীরা জেনেছেন, কেবল সাদিক নন, স্থানীয়দের মধ্যে আরও অনেককেই পিএফআই (PFI) নেতারা মৌলবাদে দীক্ষিত করেছিল। তাঁদেরকেই রিপোর্টার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছিল তারা। তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা বিভিন্নজনকে ভিন্ন ভিন্ন কাজ দিত। জানা গিয়েছে, সাদিক হাইস্কুল ছুট। ২০১২ সালে তিনি একাধিক পিএফআই নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এর পরেই মৌলবাদের ভাবধারায় দীক্ষিত করা হয় তাঁকে। যেহেতু তিনি ফল বিক্রেতা, তাই আরএসএস এবং বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয় তাঁকে। আরএসএস এবং বিজেপির কারা ওই এলাকার বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানে আসছেন কিংবা আসবেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতেই বলা হয়েছিল তাঁকে। ১৭ তারিখ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সাদিকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ডিজিটাল ডিভাইস এবং অন্যান্য নথিপত্র।

    এনআইএ জানিয়েছে, এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর ছক কষেছিল পিএফআইয়ের (PFI) কর্মীরা। তারা তরুণদের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর জন্য উৎসাহিতও করত। এর মধ্যে লস্কর-ই-তইবা, ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এবং সিরিয়ার মতো সংগঠনও রয়েছে। এই সংগঠনগুলি ভারতে ইসলামিক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করেছিল। সেই কারণেই তারা সন্ত্রাসমূলক নানা কাজ করছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়েছে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির (ED) হাতে। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্মতিক্রমেই বিক্রি হত প্রশ্নপত্র। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্রের খসড়া জেনে আগেভাগেই তা চাকরিপ্রার্থীদের জানিয়ে দিতেন ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তদন্তে নেমে ঠিক এমনই কিছু তথ্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নের মুখে

    ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক টেটসহ একাধিক চাকরির পরীক্ষার খসড়া প্রশ্নপত্র আগে থেকেই পৌঁছে যেত ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের কাছে। টাকার বিনিময়ে সেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্রি করতেন কুন্তল। প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হচ্ছে সেকথা জানতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কুন্তলের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে তাঁরা এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

    আরও পড়ুন: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    ইডির দাবি, যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাঁরা যাতে চাকরি পান, তার জন‌্য পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সাহায‌্য চেয়েছিলেন কুন্তল। পার্থর সঙ্গে কুন্তলের বেশ কিছু হোয়াটসঅ‌্যাপের চ‌্যাটে উঠে এসেছে এই তথ‌্য। কুন্তল যে স্কুলে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের খসড়া দেখেছেন, তা পার্থও জানতেন। এভাবে আগাম প্রশ্ন জেনে সেইমতো চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার জন‌্য তৈরি হতে বলতেন কুন্তল। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ সামনে আসার পর গোটা নিয়োপক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কেউ যদি প্রশ্নপত্র কিনে প্রস্তুত হয়ে এসে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন সেটা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। কোন কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন কুন্তল, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।

    গোপালই টাকা সাদা করত

    সম্প্রতি জেরায় কুন্তল জানিয়েছিলেন তিনি নিজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এরপরই হইহই পড়ে যায় সর্বত্র। কারণ কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম কেউ পার্থকে টাকা দিয়েছেন বলে মুখ খোলেন। কুন্তল জেরার মুখে বারবার  চিটফান্ড (Chitfund) কর্তা গোপাল দলপতির নাম নিয়েছেন। গোপাল নামে ওই ব‌্যক্তির কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন তাপস মণ্ডলও। কুন্তল ও তাপসের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলার ঘটনায় মূল লিঙ্ক গোপাল। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন গোপাল। কুন্তল ও তাপসের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে টাকা গিয়েছে গোপাল দলপতির কাছে। সেই বিপুল কালো টাকা সাদা করতে চিটফান্ড ও একাধিক বেসরকারি সংস্থায় লগ্নি করে গোপাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জিটিএ চুক্তি ‘অশ্ব ডিম্ব’, পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে পারে বিজেপিই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জিটিএ চুক্তি ‘অশ্ব ডিম্ব’, পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে পারে বিজেপিই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের জিটিএ (GTA) চুক্তিকে ‘অশ্ব ডিম্ব’ আখ্যা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই জিটিএ তৈরির সময় কেন্দ্র, রাজ্য এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। এই চুক্তি থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ফের দাবি জানাল পৃথক গোর্খাল্যান্ডের। এই দাবিতে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোর্চা। শুক্রবার শিলিগুড়ির দাগাপুরে মোর্চার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএকে কেন্দ্র করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার যে সমর্থন ছিল, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে তা প্রত্যাহার করা হল।

    শুভেন্দু উবাচ…

    এ প্রসঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যাতেই হাত দেবেন, সেটাই ব্যর্থ হবে। তা সে সুন্দরবন হোক, জঙ্গলমহল হোক, শিল্প হোক, কৃষি হোক, কর্মসংস্থান হোক কিংবা পাহাড়। পাহাড় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে ঢাক ঢোল বাজিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাহাড় হাসছে, জঙ্গলমহল হাসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু আজকে এগারো বছর পর ওই চুক্তি যে অশ্ব ডিম্ব ছিল, তা প্রমাণ হল।

    আরও পড়ুুন: আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে বিজেপিও, কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দু বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রধান স্টেক হোল্ডার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে। মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে বলেছেন, সেই চুক্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের যেসব বিষয় ছিল, তার একটাও রাজ্য সরকার কার্যকর করেনি। পাহাড়ের বঞ্চনা দূর করতে যে একমাত্র বিজেপিই পারবে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বিগত দিনে যেভাবে পাহাড়ের মানুষ বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে, আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ভরসা রাখুন। তিনি বলেন, একমাত্র বিজেপিই পারবে পাহাড়কে শান্ত রাখতে এবং উন্নয়ন ঘটাতে। সেই সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের বঞ্চনা দূর করতে। 

    এদিকে, রোশনের জিটিএ ছাড়ার ঘোষণার পর কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল। মোর্চার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন হামরো পার্টির চেয়ারম্যান অজয় এডওয়ার্ড। বিরোধিতা করেছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Fhosh)। প্রকৃত দোষীদের থেকে নজর ঘোরাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজ নতুন নতুন নাম আনছেন কুন্তল, দাবি ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে খবর, চিটফান্ড মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি গোপাল দলপতির কাছে কোটি কোটি টাকা যেত (Gopal Dalapati)। তার পর OSD মারফত সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। শুক্রবার জেরার মুখে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল নাকি এমনই দাবি করেছেন।

    কাকে আড়ালের চেষ্টা

    ইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি জেরার মুখে বারবার দুটো নাম করছেন কুন্তল। এক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়,  দুই গোপাল দলপতি। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, যে দু-জনের নাম কৌশলে বারবার টাকা লেনদেনে তুলে ধরতে চাইছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক, তাঁরা দুজনেই কিন্তু অনেক আগে থেকে জেলবন্দী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। আর গোপাল দলপতি চিটফাণ্ড মামলায় ২০২১ থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অর্থাৎ কুন্তুলের এই চাঞ্চল্য়কর দাবি নিয়ে যে দু-জনেরই আপাতত মুখ খোলার কোনও সুযোগ নেই!

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও গোপালের কথা বললেও হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়পাধ্যায়কে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব কুন্তল ঘোষ। শান্তনু কত টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে কুন্তল জানান, তিনি ঠিক বলতে পারবেন না। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যে লিস্টে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর, অ্য়াডমিটকার্ডের নম্বর সমস্ত বিশদে লেখা। শুধু নিজের জেলাই নয়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির অনুমান, জেনেবুঝেই শান্তনুর প্রসঙ্গে আড়াল করতে চাইছেন কুন্তল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • NIA: ছত্তিশগড়ে ফেরার মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    NIA: ছত্তিশগড়ে ফেরার মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে আবারও সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় সরকার। ফেরার এক মাওবাদী নেত্রীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল এনআইএ (NIA)।

    কোথা থেকে গ্রেফতার করা হল ওই নেত্রীকে

    ২০২১ সালে মাওবাদীদের অতর্কিত আক্রমণের মুখে ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জন পুলিশ কর্মীর এবং তার সঙ্গে জখম হয়েছিলেন আরও ৩০ জন। এই হামলার ঘটনাতেই সরাসরি যুক্ত ছিলেন ওই মহিলা বলে জানা যাচ্ছে।

    মাদকাম উঙ্গি আলিয়াস কমলা নামের ওই মহিলা নেত্রীকে গতকাল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার ভোপালপাটানাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাওবাদী হামলায় ২২ জন পুলিশকর্মীর মৃত্যুর এই ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছিল ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার তাররেম পুলিশ স্টেশনে। ২০২১ সালে ৫ জুন এই এফআইআর-কে পুনরায় নথিভুক্ত করে এনআইএ (NIA) ।

    এনআইএ (NIA) কী বলছে

     তদন্তের বিষয়ে এনআইএ (NIA) বলে যে, আমাদের কাছে সূত্র মারফত খবর আসে যে এক ফেরার মহিলা মাওবাদী নেত্রী লুকিয়ে রয়েছে বিজাপুর জেলার ভোপালপাটানাম এলাকাতে।

    তৎক্ষণাৎ এনআইএ-র (NIA) একটি বিশেষ প্রশিক্ষিত দল রায়পুর থেকে পৌঁছে যায় ওই নির্দিষ্ট এলাকায়, যেখানে ওই মাওবাদী মহিলা লুকিয়ে ছিলেন। এবং এই মহিলাকে সাফল্যের সঙ্গে ধরতে সক্ষম হয় এনআইএ (NIA)। এরপরেই ওই মহিলাকে এনাআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতে তোলা হয়।

    মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য মোদি সরকারের  

    প্রসঙ্গত মাওবাদী দমনে মোদি সরকারের এই সাফল্য গত ১০ বছর ধরেই চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে ১০ টি রাজ্যের ৭৬ টি জেলার ৩৩০ টি থানাতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল এবং ২০২১ সালে দেখা যাচ্ছে যে মাওবাদীদের প্রভাব রয়েছে ৮ টি রাজ্যের ৪৬ টি জেলায় ১৫১ টি থানাতে। গত ১০ বছরে মাওবাদী হিংসা ৫৫ শতাংশ কমেছে এবং মাওবাদীদের হাতে সাধারণ মানুষের হত্যার ঘটনা ৬৩ শতাংশ কমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • RSS: ফের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, যাবেন ইসকনে

    RSS: ফের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, যাবেন ইসকনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসপ্তাহের ভিতর ফের রাজ্যে সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। জানা যাচ্ছে গুয়াহাটি হয়ে নাগপুর ফেরার পথে কয়েকঘন্টার জন্য তিনি পা পশ্চিমবঙ্গে। ইসকন মন্দিরে এদিন পুজো দেওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন বলে সূত্রের খবর রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    কী কী কর্মসূচী রয়েছে তাঁর

    এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে সঙ্ঘ প্রধানের। এরপরেই ইসকন মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
    প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক বৈঠক ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৮ জানুয়ারি ছয়দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। সঙ্ঘের কাজের পরিসর এবং ধরন নিয়ে সেদিন বক্তব্য রাখেন মোহন ভাগবত। নেতাজীর দেখানো পথেই সংঘ হাঁটছে সে কথাও সেদিন বলেন মোহন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সফরে হুগলিতে যাওয়ার পাশাপাশি কলকাতায় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন। পাশাপাশি সংঘের দক্ষিণ, রাঢ় ও উত্তরবঙ্গের পদাধিকারী ও প্রচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দেওয়ার পরে শহর ত্যাগ করেছিলেন। কলকাতায় এসে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘দেশের কথা ভুলে ব্যক্তি উন্নতির কথা ভাবলে সর্বনাশ।  নেতাজি স্বাধীনতার লড়াই লড়েছেন, কারণ দেশ পরাধীন ছিল। কিন্তু তার পাশাপাশি, তিনি মানুষ গড়ে গিয়েছেন। নিজের মতো সহযোগী গড়ে তুলেছেন। সংঘ তাই করে। স্বামী বিবেকানন্দ যা বলে গেছেন, তার প্রবাহমানতা নিয়েই আরএসএস চলছে।’

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share