Blog

  • Abhishek Banerjee: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    Abhishek Banerjee: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে ক্ষণিকের জন্য দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে আজ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। তাঁর এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের কথায়, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    কী লক্ষ্যে বৈঠক

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক। তাই নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে এই বৈঠক করতে চান তিনি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মানুষজন সব সামাজিক প্রকল্প পেয়েছেন কিনা এবং তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে কোনও কাজ বাকি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সকল সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য, পুরসভা এলাকার কাউন্সিলররা, দলীয় পদাধিকারী এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকটি হবে বজবজ–২ ব্লকে।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন ‘সাংসদ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রিতদের নমস্কার জানিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। সেটা ছিল ‘হাতেখড়ি’ পর্ব। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার কেউ বলছেন, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সময় থাকতে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়কে নিজের জায়গা ছাড়তে চলেছেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। বিজেপির নেতারা বলছেন, বিজেপির ভয়েই তা করছেন। অন্যদিকে বামেরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো কাউকেই বিশ্বাস করেন না, সেই কারণেই উত্তরাধিকার বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: বঙ্গে ফের বন্দে ভারত! ফেব্রুয়ারিতেই ছুটবে হাওড়া পুরী রুটে?

    Vande Bharat: বঙ্গে ফের বন্দে ভারত! ফেব্রুয়ারিতেই ছুটবে হাওড়া পুরী রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)! তবে এবার ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার জন্য নয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার জন্যও নয়, সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন কারণে বঙ্গবাসীর চর্চায় চলে এসেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কারণটি হল, হাওড়া (Howrah) নিউ জলপাইগুড়ির পর এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছুটতে পারে হাওড়া পুরীর (Puri) মধ্যে। রেলের একটি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। এও জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাস থেকেই হাওড়া থেকে নীলাচলের দিকে রওনা দিতে পারে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন।

    বন্দে ভারত…

    নববর্ষের প্রাক্কালে বঙ্গবাসীকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে চলতি বছরের প্রথম দিকে, হাওড়া থেকে ছেড়ে ট্রেনটি পৌঁছায় নিউ জলপাইগুড়ি। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে চালু করা হয় ট্রেনটি। মাত্র আট ঘণ্টায় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছায় এই ট্রেন। বোলপুরের পাশাপাশি ট্রেনটি দাঁড়াচ্ছে মালদহ টাউন ও বারসোই স্টেশনে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বিশ্বমানের যে কোনও ট্রেনকে টক্কর দিতে প্রস্তুত। ট্রেনটির পুরোটাই এসি চেয়ারকার। প্রতিটি আসনই ঘোরে ৩৬০ ডিগ্রি। ট্রেনের মধ্যেই রয়েছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    হাওড়া থেকে ট্রেনটি (Vande Bharat) কখন ছাড়বে, পুরীই বা পৌঁছবে ক’টায়, তা এখনও জানা যায়নি। তবে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, পাঁচ থেকে ছ ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছানো যাবে। হাওড়া থেকে ছেড়ে ট্রেনটির প্রথম স্টপেজ হতে পারে ভুবনেশ্বর। এছাড়াও আরও একটি স্টেশনে দাঁড়াতে পারে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন। বঙ্গবাসীর জগন্নাথ দর্শন আরও অনায়াস  করতেই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, শুক্রবার ফের হামলার শিকার হয় হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস। এদিন সব মিলিয়ে মোট তিনবার হামলা হয়েছে ট্রেনটিতে। দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে তৎপর আরপিএফ। হাওড়া পুরী রুটের ট্রেনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে রেল বিশেষ নজর দিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক ছেলেকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন সাংসদ বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বললেন, “বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।” কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ সংলগ্ন ময়দানে নাতি দেবদীপ অধিকারীর ক্লাব ‘আন্তরিকের’ সরস্বতী পুজো প্যাণ্ডেলের উদ্বোধন করতে এসে পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। অনুষ্ঠানে শিশির ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস এবং করে কাঁথি পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা। 

    সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বলেন, “রামচন্দ্র পণ্ডা এখন রাষ্ট্র নেতা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টে মামলা হবে। গত দেড় বছর ধরে কাঁথি শহরে পুলিশকে স্যালুট করে চলতে হয়। পুলিশের বড়ো বাবুটা ভালো কাজ করছেন। কেউ কোথাও অন্য পার্টি করলে তাকে ডেকে আনছেন থানায়। হাজিরা দিতে হচ্ছে। পয়সার তো একবারে বন্যা বইছে। কত টাকা ঘুষ নিয়েছেন? এরকম জিনিস কোথাও শুনিনি। আমি আগে কখনও দেখিনি। কিছু মানুষ টাকা দিচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তাঁকে লন্ডন থেকে এক সাংবাদিক ফোন করছিলেন। কলকাতার একটি জনপ্রিয় পেপারে কাঁথির ইতিহাস বেরিয়েছে। বুকটা ফেটে যায়৷ পবিত্র কাঁথি৷ শুভেন্দুকে কাঁথি জন্ম দিয়েছে। এখান থেকে গিয়ে বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।”

    কে এই রামচন্দ্র? 

    কাকে ‘রামচন্দ্র’ বললেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ?‌ নানা দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দু–সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ। সরাসরি নাম না করে নরেন্দ্র মোদিকে রামচন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “‌রামচন্দ্র এখন রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর (Sisir Adhikari) নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টি মামলা হয়।”‌

    আরও পড়ুন: ২০৪৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চাইছে ভারত

    এতদিন অবধি খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরেই ঝুঁকেছেন শিশির এবং তাঁর বাকি ছেলেরা। যদিও বাবা শিশির এবং ছেলে দিব্যেন্দু বারবার দাবি করে এসেছেন এখনও তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তাহলে কী এবার পাকাপাকিভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শিশির? জল্পনা এখন তা নিয়েই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sanghai Cooperation Organization: গোয়া এসসিও সামিটের চিঠি গেল চিন এবং পাকিস্তানেও, কেন জানেন?  

    Sanghai Cooperation Organization: গোয়া এসসিও সামিটের চিঠি গেল চিন এবং পাকিস্তানেও, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর মাঝ সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে হয়েছিল সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (Sanghai Cooperation Organization) ২২তম সামিট। চলতি বছর আয়োজক দেশ ভারত। এবার সামিট হবে গোয়ায়। চিন (China), পাকিস্তান (Pakistan), রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। পরে এই সংগঠনে যোগ দিয়েছে ইরান। মে মাসে গোয়ায় হবে এবারের সামিট। এর আগে ২০১৯ সালে শেষবার কিরগিজস্তানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এসসিও। অতিমারির কারণে এর পরের দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি। সমরখন্দে এসসিও সামিটে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এসসিও হল ৮টি এশিয় রাষ্ট্রের সম্মিলিত জোট, যা মূলত আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার লক্ষ্যে গঠিত।

    এসসিও সামিট…

    গোয়ার এসসিও সামিটে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে। সামিটে (Sanghai Cooperation Organization) মুখোমুখি হবেন ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীরা। সম্মেলন চিন সহ নটি দেশেরই প্রতিনিধি থাকার কথা। তবে চিনের বিদেশমন্ত্রী কুইন গ্যাং এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও। যদিও এঁদের দুজনের কেউ একজন সামিটে উপস্থিত হন তাহলে সেটা হবে এক দশক পরে পাকিস্তানের কোনও নেতার ভারতে আগমন। তবে ভুট্টো সামিটে যোগ দেবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি পাকিস্তানের তরফে।

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে যেদিন পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার ঠিক একদিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভুট্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত পরিচয় দিল উদারতার। কারণ কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অসভ্য বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। গত মাসেই মুম্বইয়ে হয়েছিল এসসিও (Sanghai Cooperation Organization) ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি পাকিস্তান। এসসিওর সব দেশ এন্ট্রি পাঠালেও, পাকিস্তান তা করেনি। তাই গোয়া সামিটে তারা যোগ দেবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় ওয়াকিবহাল মহল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাহাড় হাসছে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগান অনেকের মনকেই ভরিয়েছিল৷ আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু পাহাড় কী সত্যিই হাসছে? মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকালে বার বার রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে পাহাড়। বার বার রক্তাক্ত হয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং। আবার ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে দার্জিলিং- এর একাংশ। একদিকে, জিটিএ’র ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে জিটিএ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং৷ অন্যদিকে, পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি নামে কমিটিকে সামনে রেখে রীতিমতো পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে প্রচারে নামতে চলেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। শুধু পাহাড়ই নয়, পাহাড়-সহ তরাই, ডুয়ার্স এমনকি সমতলের কিছু অংশেও ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তা নিয়ে সমগ্র পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স ও সমতলে প্রচার – আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হবে দার্জিলিং? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে।  

    কী জানা গেল?  

    দিল্লিতে সেমিনারের পর দুদিন ধরে কালিম্পংয়ের ১০ মাইলে মারোয়ারী ভবনে পৃথক রাজ্যের উপর আলোচনা সভা ডেকেছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি ছাড়াও পাহাড়ের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই সভায় যোগদান করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সভাতেই বিমল গুরুং ঘোষণা করেছেন জিটিএ চুক্তি থেকে নিজেকে এবং গোর্খা (Gorkhaland) জনমুক্তি মোর্চাকে সরিয়ে আনবেন। বাতিল করবেন জিটিএ চুক্তি। আর বিমল গুরুংয়ের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এই সভাতে সিদ্ধান্ত হয় ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামবে দলগুলি। আর সেই দাবি জানিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের জিটিএ চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি পাঠাবেন বিমল গুরুং।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!  

    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাহাড়কে শান্ত করতে জিটিএ চুক্তি (Gorkhaland) করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই সময় বিমলের সঙ্গে একপ্রকার সমঝোতার রাস্তায় গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অধীনেই জিটিএ চুক্তিতে সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে কেন্দ্র, রাজ্যর সহমতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়। এরপর থেকে পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলেন বিমলই। কিন্তু পৃথক রাজ্যর দাবিতে ফের বিমল গুরুং সক্রিয় হতেই বদলে যায় সমীকরণ। ২০১৭ সালের আন্দোলনের পর বিমলের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে পাহাড়ের রাশ অনিত থাপার হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আর এরপরেই জিটিএ চুক্তিকে হাতিয়ার করেন বিমল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে যদি একপক্ষ অর্থাৎ বিমল গুরুং নিজেকে প্রত্যাহার করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে চুক্তি করতেও হতে পারে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস (Congress) ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি (Anil Antony)। আজ, বুধবার কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এর আগে অনিল অ্যান্টনি বলেছিলেন, বিবিসির (BBC) মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রভাবিত করবে।

    নরেন্দ্র মোদি…

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে সংবাদ সংস্থা বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রের দুটি অংশ। প্রথম অংশটি ইতিমধ্যেই সম্প্রচারিত হয়েছে। এবার বিবিসি যাতে দ্বিতীয় অংশ সম্প্রচার না করে, তাই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের উচ্চকক্ষের এক সদস্য। মঙ্গলবার মুক্তি পায় মোদিকে নিয়ে বিবিসির (BBC) তৈরি তথ্যচিত্র- ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চান। তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষমতায় আসার যাত্রাপথ তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে গুজরাট (Gujarat) হিংসার কথাও। ওই তথ্যচিত্রের সমালোচনায় ইতিমধ্যেই মুখর হয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রাংগার। তথ্যচিত্রটির দ্বিতীয় অংশটি যাতে সম্প্রচারিত না হয় সেজন্য বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল ব্রডকাস্টিং হাউস টিম দাভেইকে চিঠি লিখেছেন হাউস অফ লর্ডসের আর এক সদস্য ডলার অমর্ষি পপাট।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ভীষণভাবে একপেশে’, বিবিসিকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের সাংসদ

    বিদেশের এই প্রতিবাদের পাশাপাশি দেশেও শুরু হয়েছে সমালোচনা। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস ছাড়লেন একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, গতকালের ঘটনা বিবেচনা করে আমি বিশ্বাস করি যে কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে উপযুক্ত…আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশেষ করে কেরালা রাজ্য নেতৃত্ব ও ডঃ শশী থারুরকে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, বিজেপির সঙ্গে সমস্ত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, বিবিসি (BBC) ও প্রাক্তন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব জ্যাক স্ট্রের মতামতকে যেভাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর এবং এই ধরণের পদক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রভাবিত করতে পারে। অনিল বলেন, যারা ব্রিটিশ চ্যানেল ও ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশ সচিব জ্যাক স্ট্রের মতামতকে সমর্থন করে এবং মেনে চলে তারা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছে। কারণ ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের পিছনে ছিল জ্যাক স্ট্রে। তিনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে বড় মত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমি মনে করি এটি আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করবে। বিবিসির এই তথ্যচিত্র দেখানোর সিদ্ধান্তকে দেশদ্রোহিতা আখ্যা দিয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Naatu Naatu: ইতিহাস সৃষ্টি ‘আরআরআর’-এর! অস্কারে সেরা মৌলিক গানের নমিনেশন পেল ‘নাটু নাটু’

    Naatu Naatu: ইতিহাস সৃষ্টি ‘আরআরআর’-এর! অস্কারে সেরা মৌলিক গানের নমিনেশন পেল ‘নাটু নাটু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক! আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের এস এস রাজামৌলির জয়জয়কার। এবারে অস্কারেও মনোনীত হল পরিচালক এস এস রাজামৌলির ছবি ‘আরআরআর’-এর (RRR) নাটু নাটু (Naatu Naatu) গান। যা প্রকাশ্যে আসতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসতে শুরু করে টিম আরআরআর। প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতীয় ছবির গান হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতে নাটু নাটু।  গোল্ডেন গ্লোব সম্মানের পর এবার অস্কার জয়ের হাতছানি।

    ইতিহাস সৃষ্টি ‘আরআরআর’-এর!

    মঙ্গলবার ৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (95th Academy Awards) জন্য মনোনীত সিনেমাগুলির নাম ঘোষণা করা হয়। এবার মোট ২৩টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা স্ক্রিন প্লে, সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রী, সেরা গান, সিনেমাটোগ্রাফি, ইত্যাদি বিভাগ। আর এসএস রাজামৌলির এই ব্লকবাস্টার ছবির ‘নাটু নাটু’ গানটি ‘সেরা মৌলিক গান’-এর দৌড়ে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিতে সফল হয়েছে। ইতিহাস রচনা করে দেশে অভাবনীয় সম্মান এনেছে নাটু নাটু। 

    এস এস রাজামৌলি পরিচালিত এই ছবির গান ‘নাটু নাটু’-র ঝুলিতে এসেছে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডও। এই গানটির কম্পোজার এমএম কীরাবাণি এবং গায়ক কলা ভৈরব এবং রাহুল সিপলিগুঞ্জ। নমিনেশন জিতে নেওয়ার পর ইতিমধ্যেই ট্যুইট করা হয়েছে ‘আরআরআর’ টিমের তরফে। ছবির অফিসিয়্যাল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়- “আমরা ইতিহাস গড়েছি। অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি ৯৫তম অস্কারের আসরে নাটু নাটু গানটি সেরা মৌলিক গানের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, সেরা গানের বিভাগে নাটু নাটু গানকে ‘অ্যাপ্লস’, ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড’, ‘লিফট মি আপ’, ‘দিস ইজ লাইফ’-এর মত জনপ্রিয় চারটি গানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আগামী ১২ই মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে বসবে অস্কারের বার্ণাঢ্য আসর। 

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। বাড়ি ফেরার সময় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদে শুটআউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালবাগে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আলতাফ হোসেন। তাঁকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে বা তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন পেশায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানেই প্রধান নির্বাচিত হন আলতাব-ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি। প্রধান নির্বাচনের পর মঙ্গলবার রাতে একাই বাইক চালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, তখনই মুর্শিদাবাদ থানার আজিমসরা এলাকায় আলতাফ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: অধিকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন! অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    পুলিশ সূত্রে খবর, আলতাব হোসেনের পিঠে একটা গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলতাব। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার করা হয় আলতাফের। বের করা হয় গুলি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এরপর এদিন সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই তৃণমূল নেতা।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক আলতাব হোসেন ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত রানিনগর–১ ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক তিনি। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাংশের ধারণা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • IND vs NZ: ফের কিউইদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত, শুভমন-রোহিতের জোড়া শতরানে বাজিমাৎ

    IND vs NZ: ফের কিউইদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত, শুভমন-রোহিতের জোড়া শতরানে বাজিমাৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কিউইদের (IND vs NZ) বিরুদ্ধে শেষ হাসিটি হাসল ভারতই। ভারতের বেঁধে দেওয়া টার্গেট যে নিউজিল্যান্ড চেজ করতে পারবে না, তা আগে থেকেই জানা ছিল। আর হলও ঠিক তাই। কিউইদের ২৯৫ রানে অল আউট করল মেন ইন ব্লু। আর এরই সঙ্গে আইসিসি একদিনের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে চলে গেল ভারত। প্রথমে শুভমন গিল-রোহিত শর্মার জোড়া সেঞ্চুরির পর, শার্দূল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদবের আগ্রাসী বোলিং জয়কে আরও সহজ করে তোলে। আর এই দুই বোলারকে সঙ্গ দেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং উমরান মালিক। চার বোলারের দাপুটে বোলিং- এর সামনে ছিটকে গেল টম ল্যাথামের দল। ৯০ রানে ভারতের কাছে হেরে গেল নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরিতেও শেষ রক্ষা হল না।

    আগ্রাসী মেজাজে ভারত    

    চলতি বছর নিউজিল্যান্ডের আগে শ্রীলঙ্কাকেও (IND vs NZ) এভাবেই চুনকাম করেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কিন্তু খানিকটা হলেও অনিশ্চয়তা এনে দিয়েছে। বিস্ফোরক মেজাজে প্রথম উইকেটে ২১২ রান তুলে দেন রোহিত ও শুভমন। মনে করা হয়েছিল ফের একবার স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ হল ভারতের তারকাখচিত মিডল অর্ডার। ফলে শেষ ১৭৩ রান তুলতে ৮ উইকেট হারায় ভারতীয় দল। শেষে রুখে দাঁড়ান হার্দিক। আর তাই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান তুলতে পারল নীল জার্সি।     

    কিউইদের (IND vs NZ) বিরুদ্ধে আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। নিয়ম রক্ষার এই ম্যাচেও ঝড়ের বেগে ব্যাট করলেন রোহিত ও শুভমন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ্বিশতরান হাঁকানোর পরে আবারও চেনা ছন্দে শুভমান। শেষ চারটি ম্যাচের তিনটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলির নজির ভাঙলেন শুভমন। তবে সামান্য সময়ের ব্যবধানে আউট হয়ে যান দুই ব্যাটারই।

    আরও পড়ুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!   

    মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট (IND vs NZ) করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজ ব্যাটিং শুরু করেন রোহিতরা। ২০২০ সালে শেষবার শতরান করেছিলেন রোহিত। আর এবার  তিন বছর ও ১৬ ইনিংস পর ফের ৫০ ওভারের ফরম্যাটে শতরান করলেন তিনি। মাত্র ৮৪ বলে শতরান করেন তিনি। এই নিয়ে রোহিতের ঝুলিতে এল ৩০তম শতরান। কিন্তু তারপরেই তাল কাটল। ৮৫ বলে ১০১ রানে আউট হন রোহিত। ৩০তম শতরানে ছুঁলেন রিকি পন্টিং- এর রেকর্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Delhi Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির মাটি, কাঁপল উত্তরাখণ্ডও

    Delhi Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির মাটি, কাঁপল উত্তরাখণ্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Delhi Earthquake) কেঁপে উঠল দিল্লি-সহ উত্তরভারতের বেশ কিছু এলাকা। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন, পিথোরাগড় ও আলমোড়াও আজ দুপুরের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। কম্পন এতটাই জোড়ালো ছিল যে অনেকেই ভয়ে বাড়ি এবং অফিসের বাইরে বেরিয়ে আসেন। প্রায় ২৫ সেকেন্ড অনুভূত হয় কম্পন। এখনও অবধি ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর আসেনি।   

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, মঙ্গলবার দুপুর ২.২৮ মিনিটে ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপালের ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

     


      

    সম্প্রতি বার বার কেঁপেছে ভারত 

    এর আগে ৫ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে বেশ জোড়ালো ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। সেই সময় জম্মু-কাশ্মীরও কেঁপে ওঠে। তখন ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৯। সেই সময় ভূমিকম্পের উৎস ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল।   

    বছরের প্রথম দিনেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। পয়লা জানুয়ারি রাত ১১টা ২৮ মিনিটে, মেঘালয়ের নংপোহে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নংপোহ ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। এর আগে বছরের শেষে ২৭-২৮ ডিসম্বর রাতে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী থেকে নেপাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালের বাগলুং জেলায়। এরপর দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয় খুঙ্গার আশেপাশে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩।

    আরও পড়ুন: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর     

    প্রসঙ্গত, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) ভূমিকম্পের (Delhi Earthquake) ভিত্তিতে গোটা দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করেছে। দেশের ৫৯ শতাংশই ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। পঞ্চম জোনটি ভূমিকম্পের জন্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং সক্রিয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই জোনের রাজ্য এবং অঞ্চলগুলিতে ধ্বংসের সম্ভাবনা সর্বাধিক। পঞ্চম জোনের মধ্যে রয়েছে দেশের ১১ শতাংশ। চতুর্থ জোনে রয়েছে ১৮ শতাংশ। তৃতীয় ও দ্বিতীয় জোনে ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকি প্রবণ হল চতুর্থ ও পঞ্চম জোনের এলাকাগুলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share