Blog

  • Short-Term Course Benefits: স্বল্পমেয়াদী কোর্সের এত চাহিদা কেন? এগুলো করার সুবিধা কী কী?

    Short-Term Course Benefits: স্বল্পমেয়াদী কোর্সের এত চাহিদা কেন? এগুলো করার সুবিধা কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথাগত ডিগ্রি থেকেও পেশাগত দক্ষতা আজকের দিনে খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। যে কোনও সংস্থা বা শিল্প, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। দক্ষতা বৃদ্ধির এই কোর্সগুলোই সার্টিফিকেট বা কিছু ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা কোর্স নামে পরিচিত। এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর (Short-Term Course Benefits) সুবিধা হল, এই কোর্সগুলো অনলাইনে করা যায়। 

    করোনা অতিমারির পরে, সারা বিশ্বব্যাপী অনলাইন কাজকর্মের উপর নির্ভরতা বেড়েছে। ইন্টারনেটের যুগে ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রামেই এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর সুবিধা (Short-Term Course Benefits) নেওয়া যায়। এগুলি হয়তো রেগুলার মোডে বা অফলাইনে ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রাম বা শহরে সম্ভব নয়। কিন্তু, অনলাইন মোড হওয়ায় মফস্বল বা প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়ারাও তাই আজকে পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজ, ওয়েব ডিজাইন, ডেটা সায়েন্সের বিভিন্ন কোর্সগুলো ঘরে বসে করতে পারছে।

    একজন পড়ুয়া বা পেশাদারের কাছে স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সগুলোর এত চাহিদা কেন? (Short-Term Course Benefits) আমরা এবার জানব।

    ১) ফ্লেক্সিবিলিটি

    এই স্বল্প মেয়াদের অনলাইন কোর্সগুলোর (Short-Term Course Benefits) সুবিধা হল এগুলো ফ্লেক্সিবল হয়। নির্দিষ্ট সময়সীমার বাঁধন থাকে না। স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সগুলোর আরও একটি সুবিধা হল, এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার অত বেশি বিধি-নিষেধ থাকে না। যে কোনও বয়সের মানুষই করতে পারেন। স্বল্পমেয়াদী এই কোর্সগুলো ছাত্ররা নিজেদের ছন্দেই শিখতে পারে। নিজেদের মনের মতো পরিবেশেই শেখা যায়। স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর সুবিধা, ডিগ্রির থেকেও এখানে বড় বিষয় হল দক্ষতা বৃদ্ধি। একেকজন ছাত্রের যে যেদিকে আগ্রহ থাকে সেই সমস্ত দিকগুলোতেই শিখতে পারে ছাত্ররা, এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে।

    ২) অল্প খরচ  

    এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোর সুবিধা হল (Short-Term Course Benefits) খুব কম খরচেই এগুলো করা যায়। যেকোনও প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে গেলে যা খরচ হয়, অনলাইন স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলো অবিশ্বাস্যভাবে তার থেকে অনেক কম খরচে করা যায়‌। সরকারি কলেজ ছাড়া যে কোনও প্রফেশনাল কোর্স, কোনও ডিগ্রি কলেজ থেকে করতে গেলে কেমন খরচ হয় সে তো আমরা সকলেই জানি।

    ৩) কোর্স মনিটরিং

    ছাত্ররা নিজেরাই এই স্বল্পমেয়াদী কোর্স ( Short-Term Course Benefits) মনিটরিং করতে পারবে। এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদি কোর্সগুলোতে পড়ুয়ারা যেহেতু নিজেদের কোর্স নিজেরাই মনিটরিং করে তাই নিজেদের ভুল-ত্রুটিগুলোও তারা নিজেরাই সংশোধন করতে পারে।

    ৪) ব্যবহারিক জ্ঞানে জোর

    ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রতি বেশি ফোকাস দেওয়া হয় এই সমস্ত স্বল্পমেয়াদি কোর্সগুলোতে (Short-Term Course Benefits)। এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলো করার সুবিধা এখানে থিওরির থেকে বেশি প্রাকটিক্যাল এর উপর জোর দেওয়া হয়। যা পড়ুয়াদের  দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এখন যেকোনও কাজে দক্ষতাটাই দেখা হয়। এই স্বল্পমেয়াদি কোর্সগুলো করার সুবিধা হল, এগুলো করার পরে আলাদাভাবে আর কোনও ট্রেনিং নিতে হয় না। কারণ এই কোর্সগুলো তৈরি হয় ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই।

    ৫) আধুনিক যুগ অনুযায়ী দক্ষতা

    NEW-AGE SKILLS বা আধুনিক যুগ অনুযায়ী দক্ষতার পাঠ পাওয়া যায়, এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলোতে (Short-Term Course Benefits)। ‘Future of Jobs Report 2018′ এর উপর সমীক্ষা করেছিল World Economic Forum. সেখানে দেখা যায় এই স্বল্পমেয়াদী কোর্সগুলো New age skill-এর পাঠ দেয়। যাতে সহজেই পড়ুয়ারা চাকরি পেতে পারে এবং পেশাদার হয়ে উঠতে পারে।

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Assam Madrasa: অসমের মাদ্রাসায় জিহাদি শিক্ষা! গ্রেফতার ২ শিক্ষক

    Assam Madrasa: অসমের মাদ্রাসায় জিহাদি শিক্ষা! গ্রেফতার ২ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি শিক্ষক (Teacher)। ছাত্রছাত্রীদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করাই তাঁর ব্রত। অথচ তিনি শিক্ষা দিতেন হিন্দুদের (Hindu) ধ্বংস করতে! পড়ুয়াদের শেখাতেন, যারা হিন্দুদের ধ্বংস করতে পারবে, তারা আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাবে। অন্ততঃ আসামের এক মাদ্রাসার (Assam Madrasa) এক পড়ুয়ার অভিযোগ এমনই। শুধু তাই নয়, ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক জিহাদির শিক্ষাও দিতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে।

    আসামের কাছাড় জেলায় রয়েছে স্বাধীন বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা। এই মাদ্রাসারই (Assam Madrasa) দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে সোনাই টাউন থেকে। ওই মাদ্রাসার বছর চোদ্দর এক পড়ুয়ার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দায়ের হয় এফআইআর। তার ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করে সোনাই থানার পুলিশ। সোনাই থানার পুলিশ আধিকারিক জোসেফ কেইভম বলেন, যে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁরা হলেন, বছর একান্নর আবদুর হুসেন লস্কর এবং বছর আঠাশের দিলওয়ার হুসেন মজুমদার।

    ছাত্রের অভিযোগ…

    সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসাম মাদ্রাসার (Assam Madrasa) ওই ছাত্র বলে, ওই দুই শিক্ষক প্রায়ই আমাদের বলতেন, যদি হিন্দুদের ধ্বংস করতে পার, তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ আশীর্বাদ পাবে। রাত্রি ১১টার স্পেশাল ক্লাসে যারা উপস্থিত থাকবে না, তাদের হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মাদ্রাসার ওই পড়ুয়া বলে, শারীরিক সমস্যার জন্য স্পেশাল ক্লাসে যেতে পারব না বলায় তাঁরা আমাকেও হত্যার হুমকি দেন। সে বলে, তাঁরা আমার রুমে ঢুকে ওষুধপত্র পুড়িয়ে দেন। নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। আমাকে একটি ঘরে বন্দিও করে রাখেন। পরে মাদ্রাসা থেকে ওই ছাত্রকে বাড়ি নিয়ে যান তার বাবা।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। স্বাধীন বাজার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এতিমখানার তরফে ফকরুল ইসলাম লস্কর বলেন, ছেলেটি অপরাধমূলক নানা কাজকর্ম করত। শিক্ষকরা তাকে সৎপথে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁরা ছড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, এটা একজন শিক্ষক করতেই পারেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    Anubrata Mondal: অ্যারেস্ট মেমোয় সই করছেন না কেষ্ট, ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লিতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) গ্রেফতার করে জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। ৫ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় ইডি। খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, অনুব্রতকে আজ আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ‘অ্যারেস্ট মেমো’-তে সই করেননি গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এর ফলে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনার জন্য সরাসরি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, দিল্লির ইডি আদালত থেকে কোর্টে হাজির করানোর ওয়ারেন্ট জারি করেই অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

    অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি কেষ্ট

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) যেহেতু সই করেননি, তাই তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ না করে, ইডির আধিকারিকরা অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আনতে দিল্লি যাচ্ছেন। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পর যা জানা গিয়েছে, তা হল, আজ সকালের মধ্যে ইডির আধিকারিকরা আদালতে পৌঁছে রিপোর্ট জমা দেবেন এবং তার ভিত্তিতেই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হবে। আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষই যাতে অনুব্রতকে দিল্লি পৌঁছে দেন, সেই আবেদন করবেন ইডির আইনজীবী। অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির আদালতে হাজির করানোর জন্য জারি করা হতে পারে “প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট।” তিনি গতকাল সই করে দিলেই এত কিছু করতে হত না ইডির আধিকারিকদের। তাঁরা সরাসরি দিল্লিতে জেরা করার জন্য নিয়ে যেতে পারতেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    গতকালের জেরার মুখে কী বললেন অনুব্রত?

    গরু পাচার মামলায় টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ইডি-র কাছে দাবি করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। আর তিনি এসবের সব দায়ভার চাপিয়ে দিলেন তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারির উপর। গতকাল একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও টাকার হিসেব নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে গিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। জমি সংক্রান্ত নথি নিয়েও জেরা করা হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর উত্তরে তিনি বললেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। সব জানেন মণীশ কোঠারি। তাঁর মেয়ে সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি এর দায়ও মণীশ কোঠারিরি ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।

    ইতিমধ্যেই মণীশের আয় ব্যয়ের ওপর নজর রেখেছেন তদন্তকারীরা। হিসাবরক্ষকের কোম্পানির নথি তলব করে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে মণীশকে। তদন্তকারীর সংস্থার দাবি, কোম্পানির ব্যালান্সশিট সার্টিফায়েড নয়। নথি জমা দিতে বোলপুর থেকে দিল্লি পৌঁছে যান মনীশের সহকর্মী। এবার অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই বয়ান মণীশের ওপর আরও চাপ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।

  • SSKM Fire: এসএসকেএমে আগুন নিভলেও অনিশ্চিত পরিষেবা, ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ মুখ্যসচিবের

    SSKM Fire: এসএসকেএমে আগুন নিভলেও অনিশ্চিত পরিষেবা, ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ মুখ্যসচিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে মহানগরীতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড (SSKM Fire)। আর এর রেশ কাটেনি এখনও। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ আগুন। ভয়াবহ পরিস্থিতি। গল গল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। রাত তখন দশটা, আর সেসময় এসএসকেএম হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে রেডিও ডায়াগনোসিস বিভাগের দোতালায় আগুন লাগে। গতকালের ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরপরেই মুখ্যসচিব ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    কীভাবে আগুন লাগে?

    শর্ট সার্কিট থেকেই সিটি স্ক্যান মেশিন এবং তার যন্ত্রাংশ থেকে আগুনের উৎপত্তি বলে প্রাথমিক অনুমান (SSKM Fire)। সেই ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত থাকায়, তা ফেটে আগুন আরও বাড়তে থাকে। আগুন লাগার পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানো কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। রোগীদের যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেখানে কোন রোগী ছিলেন না তবে, ধোঁয়ার কারণে আশেপাশের ওয়ার্ড থেকে রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কোন কোন পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে?

    আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের ৩টি ঘর। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সিটি স্ক্যান বিভাগের। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দেওয়ার পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে ইউএসজি, সিটি স্ক্যান ডিজিটাল এক্স রে-র মতো পরিষেবা। এমনকি এমার্জেন্সিতে ভর্তি হওয়ার জন্য টিকিট কাটার যে ব্যবস্থা আছে, তাতেও বিঘ্ন হতে পারে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।

    ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ

    ঘটনার দু’ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (SSKM Fire) আসলেও কীভাবে আগুন লাগল তার ফরেনসিক তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব দ্বিবেদী। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আসল কারণ কী, তাও এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি পুলিশ ও দমকলও আলাদা করে তদন্ত করবে জানা গিয়েছে। গতকাল ঘটনাস্থলে হাসপাতালে পৌঁছন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব নগরপাল এবং তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। আসেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষও।  

    রোগীদের নিরাপদে সরানো হয়েছে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অবস্থা খারাপ হওয়ায় জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলেন দমকলকর্মীরা (SSKM Fire)। রোগীদের সুরক্ষার জন্য নিউ ক্যাজুয়াল্টি বিভাগ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীকে অন্যত্র সরানোও হয়। রোগীদের নিরাপত্তার কারণে নিউ ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়।

    প্রশ্নের মুখে রাজ্য প্রশাসন

    এরই মধ্যে এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগার খবরে ফের শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। ২০১৬, ২০১৮-র পর আবার ২০২২। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ফিরে আসে সেই ৬ বছর আগের হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি। কোথায় গাফিলতি? কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড হাসপাতালে? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে (SSKM Fire)।

  • Anubrata Mondal: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    Anubrata Mondal: সিবিআই- এর পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ ঘণ্টার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে নিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করতে পারে ইডি। সায়গলের মতো অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে। শুক্রবারই দিল্লির পিএমএলএ কোর্টে অনুব্রতকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন জানাতে পারে ইডি। বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তিন গোয়েন্দা আসানসোলে সংশোধনাগারে ৫ ঘণ্টা জেরা করেন অনুব্রতকে। তারপরেই হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, এখনও ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এই মামলা যেহেতু পিএমএলএ, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা বেশ কিছু অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে অ্যারেস্ট মেমোতে অনুব্রত সই না করলে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। 

    জেরায় কী জানতে চান গোয়েন্দারা?

    আগেই খবর ছিল, বৃহস্পতিবার জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মতো এ দিন সকালেই ইডির তদন্তকারী দল আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গিয়ে জেরা করতে শুরু করে। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নিয়ে জেরা করে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চান গোয়েন্দারা। কিন্তু অনুব্রতর উত্তরে খুশি হননি গোয়েন্দারা। অনুব্রত গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেই এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, কেমন আছেন মন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত অগাস্ট মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতকে গ্রেফতার করার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনকে। এতদিন তিনিও আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। কিছুদিন আগেই একই ভাবে সায়গলকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে দিল্লি নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অনুব্রতকে ইডি গ্রেফতার করার পর অনেকেই মনে করছেন তাঁকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে। অনুব্রত-সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

    ইডি সূত্রে দাবি, যেহেতু অনুব্রতকে আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, তাই তাঁকে আসানসোলের আদালতেই পেশ করানো হতে পারে। সেখানে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন গোয়েন্দারা। সায়গলের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, অনুব্রতর বহু বেনামী সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে এখনও মুখ খোলেননি কেষ্ট মণ্ডল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Indian Air Force: আদালতে জয় মেয়েদের! বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসার পাবেন পুরো পেনশন

    Indian Air Force: আদালতে জয় মেয়েদের! বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসার পাবেন পুরো পেনশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে জয় ভারতীয় বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসারের। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার পরে মহিলাদের জন্য সমান হারে পেনশনের ব্যবস্থা করতে বায়ুসেনাকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বাহিনী থেকে অবসরের পর একজন কর্মী যে পেনশন পেয়ে থাকেন, ওই ৩২জন মহিলা অফিসারকে সেই হারে পেনশন দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  একই সঙ্গে আগ্রহী মহিলাদের ফের চাকরিতে পুনর্বহাল করার পক্ষেও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মামলা কী নিয়ে

    ৩২ জন প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসারকে শর্ট সার্ভিস কমিশনের অধীনে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগের পর থেকে তারা চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। যদিও বাহিনী তাদের দাবি মানতে অস্বীকার করে। পাঁচ বছর বাদে এই ৩২জন অবসর নিতে বাধ্য হন। যেহেতু শর্ট সার্ভিস কমিশনের অধীনে নিয়োগ, তাই নিয়ম অনুসারে তারা পেনশনের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। এরপর ওই ৩২ জন মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিক এই মামলা দায়ের করেছিলেন। বায়ুসেনার নিয়ম অনুযায়ী, মহিলারা সারাজীবন সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের অবসর নিতে হবে। আদালতে মামলাকারী এই ৩২ জন মহিলা আধিকারিক জানিয়েছিলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বায়ুসেনাতে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতের রায়

    বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,আগ্রহী ও সক্ষম থাকলে মহিলা আধিকারিকরাও সারাজীবন বায়ুসেনাতে কাজ করতে পারবেন। তাঁদের পুরোপেনশন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্তত কুড়ি বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পরে আধিকারিকরা যে হারে পেনশন পান, সেই হারেই মামলাকারীদের পেনশন দিতে হবে। আদালতের রায়ে খুশি ওই মহিলা অফিসারেরা। তাঁদের আশা, আগামী দিনে বায়ুসেনাতে যোগ দিয়ে সারাজীবন কাজ করতে পারবেন মেয়েরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Demonetisation: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Demonetisation: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত। এটি একটি বড় পরিকল্পনার অংশ। জাল নোট, কালো টাকা (Black Money), কর ফাঁকি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রুখতে করা হয়েছিল নোটবন্দি। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানাল কেন্দ্র।

    নোটবন্দি…

    ২০১৬ সালে নোটবন্দির (Demonetisation) সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের জেরে বাতিল হয়েছিল দেশের সমস্ত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। নোটবন্দির জেরে এটিএম, ব্যাঙ্কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যবাসীর একটা বড় অংশ। সমস্যায় পড়েন বহু সাধারণ মানুষ। এটিএম, ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে অসুস্থতার জেরে কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। কালো টাকা উদ্ধারের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে তখন সাফাই দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রর তরফে। নোটবন্দির (Demonetisation) জেরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরাও। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত দেশের সব চেয়ে বড় অপরাধ বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় ৫৮টি মামলা। ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এই মামলাগুলিকে পাঠিয়েছিলেন সাংবিধানিক বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘… আমাদের মনোভাব বদলানো প্রয়োজন’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন একথা, জানেন?

    ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় সরকার পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার সমস্ত নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার একত্রে শুনানি চলছিল। তাতে নোটবন্দির (Demonetisation) পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অত্যন্ত সচেতনভাবেই। তারা এও জানিয়েছিল, এনিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছিল। নোটবন্দি হওয়ার আগে এ ব্যাপারে নানা প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কেন্দ্র জানায়, নোটবন্দির এই সিদ্ধান্ত একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অঙ্গ। জাল নোট, কালো টাকা, কর ফাঁকি এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ মদত রুখতে করা হয়েছিল নোটবন্দি। এদিন যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে, সেই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এসএ নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপোন্না, ভি রামসুব্রহ্মনিয়ম এবং বিভি নাগারাথনা। ২৪ নভেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক (Bengal Dengue)। ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। আর এই পরিস্থিতিতে ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই নির্দেশিকা নিয়ে বৈঠকও হয়েছে নবান্নে।

    ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে ‘ফিভার ক্লিনিক’ পুরোদমে সচল রাখতে হবে (Bengal Dengue)। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাঁদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।

    হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের রক্ত পরীক্ষা করার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। যাতে চিকিৎসা যথাযথভাবে করা যায়। এর পাশাপাশি সহকারি সুপার পদমর্যাদার একজন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে। আবার কোনও ব্যক্তি যদি ডেঙ্গি সন্দেহে ভর্তি হন, তাঁকেও পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে (Bengal Dengue)।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, রক্তের রিপোর্ট দেখে যদি কিছু সংকটজনক মনে হয় ও রক্তে অস্বাভাবিক কিছু থাকলে দ্রুত সতর্ক করতে হবে চিকিৎসকদের। ডেঙ্গি (Bengal Dengue) নিয়ে যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে এক জন সহকারী সুপার।

    দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় নার্সিং পরিষেবার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Bengal Dengue)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। নার্সিং পরিষেবা যাতে যথাযথ থাকে সেটা বার বার পর্যালোচনা করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে।

    যেসব নার্সিং সুপাররা ডিউটিতে থাকবেন, তাঁদের ডেঙ্গি রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডেন্টকে জানাতে হবে (Bengal Dengue)। রোগীদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বারবার পর্যালোচনা করতে হবে।

    এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে কর্তৃপক্ষকে (Bengal Dengue)। হাসপাতাল চত্বরে বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে, হাসপাতালের দেওয়ালে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক পোস্টার রাখতে হবে (Bengal Dengue)। এছাড়া, হাসপাতালে পতঙ্গবিদদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। ব্লাড ব্যাংকে যথেষ্ট প্লেটলেট মজুত আছে কি না, তা-ও নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দফতর।

    এই সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব, এই ১৪ দফা নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সরকারি হাসপাতালগুলিকে (Bengal Dengue)।

  • Petrol Diesel Under GST: জিএসটির আওতায় আসছে পেট্রোল-ডিজেল? কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    Petrol Diesel Under GST: জিএসটির আওতায় আসছে পেট্রোল-ডিজেল? কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কি পেট্রোল ও ডিজেলও চলে আসবে জিএসটির আওতায় (Petrol Diesel Under GST)? সোমবার বিকেল থেকে এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এর কারণ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর একটি মন্তব্য। সোমবার তিনি বলেন, পেট্রোল (Petrol) ও ডিজেলকে (Diesel) জিএসটির (GST) আওতায় আনতে প্রস্তুত কেন্দ্র। একই সঙ্গে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে রাজি না-ও হতে পারে। কারণ মদ ও তেলের থেকে তাদের রাজস্বের একটি বড় অংশ আদায় হয়। মন্ত্রী বলেন, তবে যদি রাজ্য রাজি হয়, তাহলে আমরা প্রস্তুত।

    মন্ত্রী বলেন…

    পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওতায় (Petrol Diesel Under GST) নিয়ে আসা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসতে গেলে রাজ্যগুলিকে রাজি হতে হবে। তিনি বলেন, যদি রাজ্য পদক্ষেপ করে, তাহলে আমরা প্রস্তুত। মন্ত্রী বলেন, আমরা বরাবরই প্রস্তুত রয়েছি। অন্তত আমি এমনটাই বুঝেছি। তবে কীভাবে এটি লাগু করা হবে, তা অন্য বিষয়। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।

    হরদীপ সিং পুরী বলেন, এটা বোঝা কঠিন নয় যে তারা (রাজ্যগুলি) এ থেকে রাজস্ব আদায় করে। যে রাজস্ব পাচ্ছে, সে কেন সেটা ছাড়বে? তিনি বলেন, মদ ও জ্বালানি দুটি ক্ষেত্র যেখান থেকে তারা রাজস্ব আদায় করে। মন্ত্রী বলেন, এটা একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার যে মুদ্রাস্ফীতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ভারতের অনেক প্রতিবেশী দেশেই জ্বালানির দাম অত্যন্ত চড়া। তবে ভারতের প্রান্তিক এলাকায়ও জ্বালানি সহজলভ্য। তাঁর মতে, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের কারণেই এটা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অক্টোবরের জিএসটি সংগ্রহ প্রায় ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা, এযাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ

    ভারতে যে পেট্রোল ডিজেলের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী। বলেন, গত এক বছরে উত্তর আমেরিকায় জ্বালানির দর বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। আর ভারতে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ২ শতাংশ। তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও যদি কোনও উজ্জ্বল আলো দেখা যায়, তাহলে তা রয়েছে ভারতেই। এটা আমি বলছি না, বলছেন মর্গান স্ট্যানলি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share