Blog

  • Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যার দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2023)। বাগদাত্রী দেবী শ্বেত পদ্মের উপর আসন পেতে থাকেন। মাঘী পঞ্চমীতে তাঁর আরধনায় মাতে ছোট থেকে বড়রা। বিদ্যা বিনয় দান করে। ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখায়। কিন্তু বাংলায় এখন শিক্ষা বিক্রি হয়। অর্থের বিনময়ে শিক্ষক কেনা-বেচা হয়। বিদ্যাকে ছোট করে অর্থের বিনময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ বাংলার অলি-গলিতে।  অভিযোগ উঠেছে,অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। ফেল করেও শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই শহর কলকাতায় এবার সরস্বতী পুজোর থিমে কোথাও খাঁচায় বন্দি বাগদেবী কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

    দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী

    সাধারণত এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজোর থিমের মাধ্যমেই তুলে আনা হয় সাম্প্রতিক কালের আলোচিত-চর্চিত বিভিন্ন ঘটনাকে। বাংলায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচ্য বিষয় শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। তাই এবার শহরের বুকে সরস্বতী পুজোর থিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অভিনব এই থিমের নাম ‘বঙ্গে বিক্রি শিক্ষা’। কাকুড়গাছি রেল ব্রিজ সংলগ্ন এই পুজোর প্যান্ডেলে দেখা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যারের মডেল। সামনে টাকার ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। ঠিক যেমনটা ইডির তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল। এই প্যান্ডেলে দেখানো হবে, দাঁড়িপাল্লায় রাখা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি ও টাকা। অর্থের ভারে হেলে গিয়েছে সরস্বতী। খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে বইপত্র ও মা সরস্বতীকে। যার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এ রাজ্যে শিক্ষাকে বন্দি রেখেই অর্থের বিনিময় অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগামীর ভবিষ্যৎ।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    পৌষ পেরিয়ে বাংলার গায়ে এখন মাঘের আমেজ। স্কুলে স্কুলে বাণী বন্দনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এই ধরনের থিম এনেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যে অশিক্ষা বঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁর জন্য ধিক্কার জানানো হয়েছে। থিমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মডেল তৈরি করে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্মিলিত প্ল্যাকার্ড। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট দিল্লি পুলিশের, রয়েছে শতাধিক সাক্ষীর বয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walkar) খুন করায় অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা বর্তমানে জেল হেফাজতে। সূত্রের খবর, আজ তার বিরুদ্ধে ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিট প্রস্তুত করেছে দিল্লি পুলিশ। এই চার্জশিটে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রমাণ, তথ্য ও শতাধিক সাক্ষীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। আফতাব পুনাওয়ালার গ্রেফতারের প্রায় আড়াই মাস পরে দিল্লি পুলিশ চার্জশিট জমা করতে চলেছে আদালতে।

    ৩ হাজার পাতার খসড়া চার্জশিটে কী রয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁর আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদেরই বয়ান এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনের বেশি সাক্ষীর বয়ান রয়েছে এই চার্জশিটে। শুধু তাই নয়, এই হত্যা নিয়ে আফতাব কী কী তথ্য দিয়েছে, তার শ্রদ্ধাকে খুন করার স্বীকারোক্তিরও উল্লেখ রয়েছে। আফতাবকে গ্রেফতার করার পরে আফতাবের নারকো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে, সেই টেস্ট থেকে কী কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোও রয়েছে চার্জশিটে। এতে রয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট। সূত্রের খবর, সেই খসড়া চার্জশিট এখন নিরীক্ষা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তার পর তা জমা পড়বে আদালতে।

    আরও পড়ুন: আফতাবের ভয়েস স্যাম্পলিং টেস্ট! শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে দিল্লি পুলিশের হাতে রহস্যময় অডিও ক্লিপ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ মে আফতাবের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধাকে (Shraddha Walkar) খুন করার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরোয় কেটে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে আফতাবের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দিল্লির আদালতে আফতাব নিজেও স্বীকার করেছিল যে, রাগের মাথায় সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল।

    এর পর পুলিশ দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গল থেকে কিছু দেহাংশ, হাড়, চুল উদ্ধার করে। সেগুলি শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট করায় পুলিশ। শ্রদ্ধার বাবার সঙ্গে ডিএনএ মিলে যেতেই পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধারই। চার্জশিটে সেই ডিএনএ রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর।

    পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিলেও, তা প্রমাণ করতে মরিয়া পুলিশ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারে এই চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ার পর আর কী কী তথ্য প্রকাশ্যে আসে, তারই অপেক্ষায় দেশবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ISF: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    ISF: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে (Bhangar) অশান্তির রেশ এখনও পুরোপুরি মেলায়নি। তার মধ্যেই মিলল বোমা (Bomb) উদ্ধারের খবর। রবিবার সকালে ভাঙড়ের উত্তর গাজিপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বোমা। যেখান থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, তার কাছেই বাড়ি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন, আরাবুলের বাড়ির কাছে বোমা রেখে গেল কারা, তৃণমূলেরই লোকজন, নাকি যাদের সঙ্গে দিন কয়েক ধরে অশান্তি চলছে তৃণমূলের, সেই আইএসএফ (ISF)?

    বোমা…

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে উত্তর গাজিপুর এলাকার একটি জমিতে ব্যাগের ভিতরে বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে থাকতে দেখতে পান এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কাশীপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘিরে ফেলে এলাকা। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। বোমাগুলি যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার কাছেই বাড়ি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। ওই এলাকায় বোমাগুলি কারা রেখে গিয়েছিল, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের।

    আরও পড়ুুন: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে

    ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, তাঁরা এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে লাগিয়ে দেন আইএসএফের পতাকা। তার জেরে দু পক্ষে শুরু হয় সংঘর্ষ। তৃণমূলের পার্টি অফিসে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ঘটনার জের গড়ায় শনিবার ধর্মাতলা পর্যন্ত। এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা শেষে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ করেন আইএসএফ (ISF) কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে চেষ্টা করে। তখনই বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল এবং কাচের বোতল ছুড়তে থাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে জখম হয়েছেন ১৯ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভর্তি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাকিরা ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা (ISF) পুলিশের কিয়স্কে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভেঙেছে গার্ডরেলও। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষের জেরে ঘণ্টা দেড়েক ওই এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ফের শুরু হয় সন্ধে নাগাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Rajouri: রাজৌরি থেকে মাহভিশ মালিক রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাবার

    Rajouri: রাজৌরি থেকে মাহভিশ মালিক রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) অঞ্চলের বাসিন্দা মাহভিশ মালিক সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিষেবা পরীক্ষা (জেকেএএস) পাস করেছেন। রাজৌরির দারহাল ব্লকের পীর পাঞ্জাল পর্বতমালার একটি প্রত্যন্ত, বরফে ঢাকা ছোট শহরে, বড় স্বপ্ন নিয়ে বড় হচ্ছিল মেয়েটি। আজ স্বপ্নপূরণ হয়েছে। ছোট শহরের মেয়েটি উঁচু পদে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি পাস করেছে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর খুড়তুতো বোন, শাজিয়া বলেন, “আমরা ফলাফল নিয়ে অত্যন্ত খুশি। আমরা সবসময় ওর পড়াশোনার প্রতি কঠোর পরিশ্রম এবং দৃঢ়সংকল্প দেখেছি। দুর্গম অঞ্চল এবং কঠিন রাস্তা কখনোই ওর স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দুবার ড্রেনে ভেসে গিয়েও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল? 

    কী বললেন মাহভিশ?   

    বাবা-মা, শিক্ষক এবং বন্ধুদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়ে, মাহভিশ মালিক (Rajouri) বলেন, “ঈশ্বরের কৃপায় এবং বাবা-মার সমর্থনে, আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছি। আমি আমার নিজের শহরে আমার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছি এবং বাবা গুলাম শাহ বাদশা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং মাস্টার্স করেছি। আমি আমার মাস্টার্স শেষ করে ২০২১ সালে সরকারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম।”

    আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে একটুকরো চিন! চায়না টাউনে পালন চিনা নববর্ষ    

    মালিকের বাবা শাকিল আহমেদ তার মেয়ের (Rajouri) সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত। মেয়ের এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মোদির ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্লোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বলেন, “আমি আমার মেয়ের ফলে খুব খুশি। আজকাল মেয়েরা সত্যিই ছেলেদের চেয়ে ভাল করছে জীবনে। আমি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ স্লোগানটি প্রচার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    Kuntal Ghosh: অভিষেক থেকে ব্রাত্য অনেকের সঙ্গেই ছবি! বিএড কলেজ, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কে এই কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। তদন্তে অসহযোগিতার জেরেই হুগলির এই যুব তৃণমল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। কিন্তু আসলে কে এই কুন্তল। তাঁর সঙ্গে আর কার যোগাযোগ রয়েছে? যে কোটি কোটি টাকা কুন্তল নিয়েছেন বলে অভিযোগ তা কী সবটাই কুন্তলের পকেটে? না এর পিছনে রয়েছে আরও কেউ? প্রশ্নগুলো ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে কুন্তল

    হুগলির বলাগড়ের শ্রীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি কুন্তলের। বাবা স্বপন ঘোষ ছিলেন সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও কুন্তল নিজে যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। গ্রামে ভাল ছেলে বলেই পরিচিত। সমাজসেবা থেকে দান-ধ্যান করতে বারবার এগিয়ে এসেছিলেন কুন্তল। তাঁদের একটা সারের দোকান ছিল, অ্যালুমিনিয়ামের কারখানাও ছিল। স্বচ্ছল পরিবার। তবে এসব কিছুর পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির হাতছানি? এখন আর খুব বেশি বলাগড়ে থাকতেন না কুন্তল। এখন তিনি শহরের ছেলে। চিনার পার্কে দুটো ফ্ল্যাট! শিক্ষা ব্যবসায় নিজের নাম লিখিয়েছেন কুন্তল।

    নেতানেত্রীদের বৃত্তে

    ২০১১ সালে ধনেখালিতে একটি বিএড কলেজে পার্টনারসিপে ব্যবসা শুরু করেন কুন্তল। অনেকের মতে, ওটাই ছিল তাঁর শিক্ষা ব্যবসায় হাতেখড়ি। তারপর ধাপে ধাপে এগোতে থাকেন আরও বড় হওয়ার লক্ষ্যে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ বঙ্গের আরও কয়েকটি জেলার বিএড কলেজে তাঁর শেয়ার রয়েছে। তাছাড়া বলাগড়ে একটি ছোটদের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলও চালু করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে রাজনীতিতে উত্থান কুন্তলের। জেলার রাজনীতিতে তেমন পরিচিত নন তিনি। বেশিরভাগ সময় থাকতেন কলকাতা কেন্দ্রিক কর্মসূচিতে, নেতানেত্রীদের বৃত্তের মধ্যে। এই কুন্তলের সঙ্গেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে নানা ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িযে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠান মঞ্চে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যাচ্ছে যুব নেতাকে। একটি ছবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে কুন্তলকে। আবার কুন্তলের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকেও।

    আরও পড়ুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    কুন্তলের ফেসবুক পেজও ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যোতি বসুর জন্ম দিন থেকে জয়ললিতার মৃত্যু দিন, আরডি বর্মন, শৈলেন মান্না, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়—বিশেষ বিশেষ দিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেসবুক পোস্টার পোস্ট ছিল কুন্তলের রুটিন। আর সেসব পোস্টারে বিশিষ্টজনের সঙ্গে থাকত একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের ছবি অন্য দিকে হাতজোড় করা কুন্তলের ছবি। তাহলে এসবের পিছনেই কী ছিল দুর্নীতির চক্র? আর  কুন্তলের হাত ধরে টাকা পৌঁছে যেত অন্য কোথাও?কুন্তলের খুঁটি কী বাঁধা থাকত শহরের অন্য কোথাও? জল্পনা চলছে হুগলি থেকে কলকাতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক ফ্লাইটে বিপুল ছাড়, ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা?

    Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক ফ্লাইটে বিপুল ছাড়, ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিপুল ছাড়ের ঘোষণা করল ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। দেশের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য এয়ারলাইনের ডোমেস্টিক নেটওয়ার্ক জুড়ে ফ্লাইট টিকিটের উপর ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হচ্ছে৷ আজ থেকে শুরু হয়েছে এই অফার। চলবে ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ অবধি। এয়ারলাইনের অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট সহ সমস্ত এয়ার ইন্ডিয়া বুকিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে এই অফার৷ এই ছাড়ে দেশের মধ্যে ৪৯টি ডেস্টিনেশনে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট পাওয়া যাবে মাত্র ১৭০৫ টাকায়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একমুখী ভ্রমণের জন্যে প্রযোজ্য এই অফার। পরিবারের সঙ্গে স্বপ্নের ছুটি কাটাতে চাইলে এখনই লুফে নিন এই অফার।

    কোথা থেকে বুক করবেন? 

    আরও বিস্তারিত জানতে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন www.airindia.in অথবা বিমান সংস্থাটির কল সেন্টারে ১৮৬০ ২৩৩ ১৪০৭ – এই নম্বরে যোগাযোগ করুন। টাটা গ্রুপের সংস্থা, এয়ার ইন্ডিয়া ভারতের বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে অগ্রগামী। ১৯৩২ সালের ১৫ অক্টোবরে প্রথম ফ্লাইটের পর থেকে, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিস্তৃত ডোমেস্টিক নেটওয়ার্ক  তৈরি হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, সুদূর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং উপসাগরজুড়ে বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্কসহ অন্যতম আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এয়ার ইন্ডিয়া স্টার অ্যালায়েন্সের সদস্য, বৃহত্তম বৈশ্বিক এয়ারলাইন কনসোর্টিয়াম। সরকারী মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ হিসাবে থাকার পর ৬৯ বছর পর ফের এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা আসে টাটা গোষ্ঠীর হাতে।

    আরও পড়ুন: সংবাদসংস্থাগুলির কারণেই লাভ হচ্ছে বড় বড় কোম্পানিগুলির, আয়ের ভাগ দিতে হবে প্রকাশকদের, জানাল কেন্দ্র   
     
    সম্প্রতি বার বার বিতর্কে জড়িয়েছে টাটা গোষ্ঠীর এই বিমান সংস্থা (Air India)। প্রস্রাবকাণ্ডের পর খাবারে পাথর থাকার অভিযোগও উঠেছে এই এয়ারলাইনের বিরুদ্ধে। প্রস্রাবকাণ্ডের জেরে জরিমানাও করা হয়েছে এই সংস্থাকে। পাইলটকে সাসপেন্ডও করেছে ডিজিসিএ। এমতাবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবসায় ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কী ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টাটা গ্রুপ? আর তারই প্রথম পদক্ষেপ এই বিপুল ছাড়? এমনটা অনেকেই মনে করলেও টিকিট বিক্রি কিন্তু থামছে না। এমনকি টিকিট বিক্রির হার ছাপিয়ে যেতে পারে সমস্ত রেকর্ড, এমন আশাও রাখছে বিমান সংস্থাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    Chandan Mondal: হঠাতই উদয় ‘চন্দন’ এর! নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই জেরার জন্য নিজাম প্যালেসে বাগদার রঞ্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Teacher Recruitment Scam) সিবিআই জেরার সামনে চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal) ওরফে বাগদার রঞ্জন। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ আইনজীবীদের নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। নিজাম প্যালেসে ঢোকার মুখে এদিন সরাসরি সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের (Upen Biswas) নাম করে তিনি বলেন, ‘কাউকে চাকরি দিইনি। ভোটে উপেন বিশ্বাসকে সাহায্য না করায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

    কী বললেন চন্দন

    ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের মুখে উঠে আসে চন্দন মণ্ডলের নাম। চন্দনকে ‘বাগদার রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে বহু মানুষকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন চন্দন। এমনকী তাঁর সততার প্রশংসা করে তিনি বলেন, চাকরি না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। এর পরই আদালতে ওঠে বিষয়টি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চন্দনের বিরুদ্ধে FIR করে সিবিআই। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। কিন্তু এতদিন চন্দনকে সামনে আসতে দেখা যায়নি। শনিবার সেই চন্দনই এলেন নিজাম প্যালেসে। বললেন, ‘আমি সহায়তা করতে এসেছি। আমাকে উনি (পড়ুন উপেন বিশ্বাস) ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। যেহেতু উনি ওখানকার বিধায়ক ছিলেন। নির্বাচনের সময় ওনাকে সাহায্য করিনি তাই।’

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও এই মামলায় মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যে তাঁর পরিচয় রয়েছে সে কথা স্বীকার করেন চন্দন। কীভাবে চিনলেন প্রসন্নকে? সেই প্রশ্নের উত্তরে চন্দন বলেন, ‘উনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করতেন তাই চিনি।’ তবে কী ধরনের ব্যবসা করতেন তাঁরা, সেবিষয়ে খোলসা করেননি ‘রঞ্জন’। এর আগে একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হন চন্দন। সেদিন তিনি দাবি করেছিলেন, কোনও টাকা তিনি নেননি। কোনও চাকরিও দেননি। তিনি জানান, একজন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারা যুক্ত সেব্যাপারে কোনও ধারণা নেই তাঁর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • ISF: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে  

    ISF: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফের (ISF) তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। তৃণমূল (TMC) নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ। অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ (Police)। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং বোতল ছোড়েন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। এর পরেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল পাঠায় পুলিশ। অশান্তি থামে শনিবার সন্ধের দিকে।

    আইএসএফ…

    ২১ জানুয়ারি, শনিবার আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। এনিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আইএসএফের। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গেলে শান্ত হয় পরিস্থিতি।

    শনিবার দুপুরে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে সভা করে আইএসএফ (ISF)। বক্তৃতা দেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি। সভায় আসার আগে তাঁর গাড়িতে তৃণমূলের লোকজন ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে সভায় আসেন নৌসাদ। সভা শেষে আরাবুলের গ্রেফতারির দাবিতে পথ চৌরঙ্গী মোড়ে অবরোধ করেন আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে পুলিশ। তার পরেও কাজ না হওয়ায় অবরোধকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল এবং বোতল বৃষ্টি করতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে আইএসএফ বিধায়ককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে। বিক্ষোভকারীরা কার্যত তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন। লাঠি, বাঁশ নিয়ে পুলিশকে তাড়া করেন তাঁরা। পুলিশের গার্ড রেল ভাঙচুর করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে আসে পুলিশের বিশাল বাহিনী। তার পরেই ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পিছু হটেন বিক্ষোভকারীরা (ISF)। তাঁরা চলে যান জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে। ঘটনায় জখম হন কয়েকজন। ঘণ্টা দেড়েক ধরে অবরুদ্ধ থাকে ধর্মতলা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় যান চলাচল। যদিও ধর্মতলার চারমাথার মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জুতো, জলের বোতল, ইটপাটকেল, লাঠি, বাঁশ। তাণ্ডবের চিহ্ন হিসেবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তা যদি না হত, তাহলে সভা করতে এসে ইটপাটকেল, কাচের বোতল, লাঠি, বাঁশই বা বিক্ষোভকারীরা (ISF) পেলেন কোথা থেকে? পুলিশই বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতি নেয়নি কেন? সে প্রশ্নও উঠেছে।

       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
     
     

     

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, দুর্গাপুরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি

    Bengal BJP: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, দুর্গাপুরে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Poll 2024)। বাংলা থেকে পেতে হবে অন্তত ২৫টি আসন। সেজন্য প্রয়োজন সঠিক রণকৌশল। সেই কৌশল ঠিক করতেই দুর্গাপুরে বৈঠকে বসেছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। শুক্র ও শনিবার দু দিন ধরে চলছে ওই বৈঠক। দুর্গাপুরের একটি হোটেলে হচ্ছে ওই বৈঠক। বৃহস্পতিবারই রাজ্যে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পর হচ্ছে এই বিশেষ বৈঠক। বুথে বুথে কীভাবে সংগঠন তৈরি করা হবে, মূলত তা নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা এই বৈঠকে। বিধায়ক এবং সাংসদদের পাশাপাশি কেন্দ্রের পাঁচ পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের অন্য নেতারাও উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে। শুক্রবার হয়েছে দলের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক। আজ, শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মূল বৈঠক। এদিনের বৈঠকে প্রতিনিধি রয়েছেন দেড়শোরও বেশি।

    বিজেপি…

    এদিনের বৈঠকে যাওয়ার আগে এক সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বিজেপির (Bengal BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ওই দলের দেওয়া রিপোর্ট নিয়েও হয়েছে আলোচনা। সিএএ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর জনসভায় এই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই একই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। এদিন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বিজেপির (Bengal BJP) নজর রাঢ়বঙ্গের দিকেও। দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূম এই পাঁচ জেলার সংগঠনকে নিয়ে আগেও বৈঠক করেছে বিজেপি। এই বর্ধমানের মধ্যেই পড়ে দুর্গাপুর। রাঢ়বঙ্গে ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে রাঢ়বঙ্গের। বিজেপি সূত্রে খবর, বিশেষ বৈঠকের জন্য দুর্গাপুরকে বেছে নেওয়ার কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান। এই শহরে যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর। কেন্দ্রীয় নেতাদের যাতায়াতের সুবিধা বিস্তর। এদিন সুনীল বনসল দিল্লি থেকে বিমানে অন্ডালে এসে যোগ দেন বৈঠকে। তাছাড়া শহরে বিজেপির ভাল ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির এক নেতা বলেন, দুর্গাপুরে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের আয়োজনের পিছনে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই অঞ্চলে শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

LinkedIn
Share