Blog

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, থমথমে সাঁইথিয়া

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, থমথমে সাঁইথিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    Suvendu Adhikari: আজ বাঁকুড়ায় সভা শুভেন্দুর, আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তায় সিআরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য প্রশসানের অনুমতি না মিললেও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আজ, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা হচ্ছে বাঁকুড়ার রাইপুরে। আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে রাইপুরে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। । প্রথমে শুধুমাত্র সভার কথা বলা হলেও পরে কর্মসূচীতে বদল আনা হয়েছে। সভার আগে হবে মিছিলও।

    আজকের কর্মসূচি

    হাই কোর্টের অনুমতি পাওয়ার পর আজ, মঙ্গলবার বেলা  ২ টোয় শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়ায় রাইপুরের থানা গোড়া বাস স্ট্যান্ডে যাবেন। সেখান থেকে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিলে হাঁটবেন তিনি। মিছিল করে তিনি যাবেন দেড় কিলোমিটার দূরে রাইপুর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। মিছিলে হাঁটার পথে রাস্তায় থাকা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু ও সিধু কানহুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে মিছিল শেষ করে তিনি দলীয় সভা করবেন।  বিজেপির তরফে স্বাধীনতা সংগ্রামী আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাইপুরে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে করুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    আদালতের নির্দেশ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার এমনই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। পুলিশের দাবি, অন্যত্র গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জনিত ডিউটি থাকার কারণে ওই নির্দিষ্ট দিনে বিজেপির সভার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। তার উপর রাইপুর থানা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ভুক্ত হওয়ায় পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন ছাড়া সভার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সভার জন্য অন্য কোনও দিন এবং জায়গা ঠিক করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এরপরই, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বাঁকুড়ার রাইপুরে ওই সভায় পুলিশ কম থাকলে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। কত বাহিনী প্রয়োজন রাইপুর থানার সঙ্গে কথা বলে সিআরপিএফ-কে তা ঠিক করতে হবে। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও আজ থাকছেন ঝাড়গ্রামে। জেলার গোপীবল্লভপুরে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এছাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সভা করার পাশাপাশি তফসিলি উপজাতি সমাজের কোনও পরিবারের সঙ্গে এদিন মধ্যাহ্নভোজও সারতে পারেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্য, অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে রাজভবন অভিযান শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের। রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) পদত্যাগ চেয়ে রাজভবন অভিযান করল বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাকি বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপাল লা গণেশনের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান। সেখান থেকে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “দ্রুত অখিল গিরির পদত্যাগের নির্দেশ দিতে হবে। না হলে আগামী বিধানসভা অধিবেশনে প্রতিবাদ জোরাল হবে।”

    কী বলেন শুভেন্দু?

    এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “একজন মাতৃসমা মহিলার প্রতি কদর্য ভাষায় কী করে কথা বলতে পারেন? ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এখনও বরখাস্ত করা হয়নি অখিল গিরিকে। আমরা শনিবার থেকে রাজ্যপালকে মেইল করে বাধ্য হয়ে প্রায় ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক এখানে এলাম। আজ রাজভবনে এসে আমরা লিখিতভাবে একটা দাবি জানালাম। এটা আমাদের আবেদন নয়। আমাদের দাবি। মুখ্যমন্ত্রী যখন কিছু করেননি, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের অধিকার আছে, উনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। ইম্ফল, চেন্নাই বা দিল্লি যেখানেই থাকুন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন যেন মন্ত্রিসভার রাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্যাক করেন। একজন রাষ্ট্রপতিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতেই হবে। লিখিতভাবে জানিয়ে এসেছি। এটা না করলে বিজেপি, সামাজিক সংগঠন, সংবেদনশীল নাগরিক প্রত্য়েকে প্রতিবাদ করবে। বিধানসভার আগামী অধিবেশনের আগে যদি এই মন্ত্রী বরখাস্ত না হন, বিজেপির বিধায়করা শিষ্টাচার মেনে জোরাল প্রতিবাদ বিধানসভার ভিতরেও করবে। এটাও আমরা জানাতে চাই।”

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই, নন্দীগ্রামে এক অনুষ্ঠানে দেশের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে অখিল গিরি বলেন, “বলে দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভালো! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?” আর এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় বিজেপি।

    এরপরেই, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অখিল যে কথা রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বলেছে তা ঠিক হয়নি। ও অন্যায় করেছে। আমি দলের পক্ষ থেকে ও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি। দলের তরফ থেকে অখিলের মন্তব্যের নিন্দা করা হয়েছে। তাঁকে সতর্কও করা হয়েছে। শুধু রং দিয়ে সৌন্দর্য্য বিচার করা যায় না। বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে আমি খুবই সম্মান ও মর্যাদা করি। তিনি খুবই ভালো ও মধুর স্বভাবের মহিলা, তাঁকে খুবই পছন্দ করি আমি।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Aindrila Sharma: লড়াইয়ের অবসান, কাজে দিল না প্রার্থনা, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা

    Aindrila Sharma: লড়াইয়ের অবসান, কাজে দিল না প্রার্থনা, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মুহূর্ত অবধি চমৎকারের আশা করেছিল গোটা বাংলা। এ কদিনে যেন সকলের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিল ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma)। ঘরের মেয়েটি এ যাত্রায় বেঁচে যাক। জিতে যাক সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেম। প্রার্থনা করেছিলেন সকলে। সকলের এত প্রার্থনা শেষেও হল না শেষ রক্ষা। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষ হল ১৯ দিনের দীর্ঘ লড়াই। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল অবধি ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তারপর রবিবার দুপুর ১২ঃ৫৯- এ চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যায় হৃদযন্ত্র। 

    আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাটে প্রচার শুরু মোদির

    প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হয় অভিনেত্রীর। এরপরই তাঁকে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করা হয় অপারেশনও। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। মাঝে অবস্থার উন্নতি হলেও, গত বুধবার তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয় পর পর দু’বার। এরপর কাল রাতে আরও ১০ বার। শেষ লড়াই জেতা হল না ঐন্দ্রিলার।   

    এর আগেও একবার রটে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা আর নেই। কিন্তু বন্ধু সব্যসাচী জানান, খবরটি সত্যি নয়। এতে সবার আশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। আশা ছিল ‘মিরাকল’- এর। কিন্তু হল না কোনও মিরাকল। 

    ফিরে দেখা ঐন্দ্রিলার লড়াই

    এর আগে মারণ রোগ ক্যান্সার দু দুবার থাবা বসিয়েছিল শরীরে। প্রথমবার ২০১৫ সালে অস্থিমজ্জায় এবং দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে ডাই ফুসফুসে টিউমার রূপে। দু’বারই ক্যান্সারকে হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাক থামিয়ে দিল সব লড়াই। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর আত্মীয় ও অনুরাগীদের আশা জন্মাচ্ছিল, হয়তো এই বার চেতনা ফিরবে তাঁর। কিন্তু তারপরই আবার হার্ট অ্যাটাক। একবার নয়, বারবার। হাজার চেষ্টা করেও কোমা থেকে আর কোনওভাবেই ফেরানো গেল না তাঁকে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

      

  • Auto Expolsion: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!  

    Auto Expolsion: মেঙ্গালুরুতে যাত্রিবাহী অটোরিক্সায় বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলা!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) মেঙ্গালুরুতে শনিবার বিস্ফোরণ ঘটে একটি চলন্ত অটোরিক্সায় (Auto Expolsion)। সেটি নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, সাফ জানাল কর্নাটক পুলিশ। পুলিশের দাবি, গুরুতর কোনও ক্ষতির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই সন্ত্রাসের কাজটি করা হয়েছে। রবিবার কর্নাটক পুলিশের প্রধান প্রবীণ সুদ বলেন, পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্গা জ্ঞানেন্দ্রও বলেন, তদন্তের কাজে পুলিশকে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল…

    শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মেঙ্গালুরুর গারোদির কাছে আচমকাই একটি চলন্ত অটোয় বিস্ফোরণ (Auto Expolsion) হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় যাত্রিবাহী ওই অটোয়। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আর্ত চিৎকার করতে থাকেন অটোচালক, যাত্রী সবাই। পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় অটোচালক ও যাত্রীদের। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কর্নাটকের ডিজিপির দাবি, আপাতভাবে সাধারণ বিস্ফোরণের ঘটনা মনে হলেও, বাস্তবে তা নয়। তিনি বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। গুরুতর কোনও ক্ষতির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই সন্ত্রাসের কাজটি করা হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, এবার এটা নিশ্চিত। বিস্ফোরণটা একেবারেই হঠাৎ কোনও দুর্ঘটনা নয়। জঙ্গি হামলা, সাংঘাতিক ক্ষতির চেষ্টায় এই কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কর্নাটক রাজ্য পুলিশও এর গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু ছেলের সঙ্গে মেয়ের বাগদান, ইসলামপন্থীদের রোষের মুখে আমির খান

    কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অটো বিস্ফোরণে (Auto Expolsion) যিনি অগ্নিদগ্ধ হয়েছে, তিনি এখনও কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। পুলিশের তদন্তকারী দল সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। তিনি বলেন, আমরা পুরো ঘটনাটি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে জানিয়েছি। তারা মেঙ্গালুরুতে একটি দলও পাঠিয়েছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এক দু দিনের মধ্যে নিশ্চিত তথ্য পেয়ে যাব। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রেসারকুকার ও ব্যাটারি পাওয়া গিয়েছে। গুজব না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup 2022: আজ শুরু কাতার বিশ্বকাপ, ভারত থেকে কখন খেলা দেখা যাবে জানেন?

    FIFA World Cup 2022: আজ শুরু কাতার বিশ্বকাপ, ভারত থেকে কখন খেলা দেখা যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছরের অপেক্ষার অবসান। আজ, রবিবার শুরু হতে চলেছে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022)। এবার আয়োজক দেশ কাতার। এর আগেরবার বিশ্বকাপ হয়েছিল রাশিয়ায়, ২০১৮ সালে।

    কাতারই প্রথম…

    উল্লেখ্য যে, কাতারই প্রথম আরব দুনিয়ার কোনও দেশ, যারা আয়োজন করছে ফুটবল বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপ উপলক্ষে লাখো লাখো ক্রীড়াপ্রেমী ভিড় জমাবেন মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটিতে। এবার বিশ্বকাপে (World Cup) খেলছে ৩২টি দল। খেলা হবে ৬৪টি ম্যাচ। এই ৩২টি দেশের দলের মধ্যে থেকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হবে একটি মাত্র দেশকে। কাতারে যে ফুটবল মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, তা ভারত থেকে লাইভ দেখা যাবে বিকেল সাড়ে ৩টেয়, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, রাত সাড়ে ৮টায়, রাত সাড়ে ৯টায় এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়।  

    বিশ্বকাপের টেলিকাস্টিংয়ের ব্রডকাস্ট রাইটস কিনেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভায়াকম ১৮ মিডিয়া। খেলা সম্প্রচারিত হবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। এই চ্যানেলটি এসডি এবং এইচডি লাইভ ব্রডকাস্ট দেখাবে। ধারা বিবরণী শোনা যাবে ইংরেজি এবং হিন্দিতে। যাঁরা ফোন কিংবা ল্যাপটপে ফিফা ওয়ার্ড কাপের ম্যাচগুলি দেখতে চান, তাঁরা লাইভ ম্যাচ দেখতে পাবেন রিলায়েন্স জিও সিনেমা অ্যাপে।

    আরও পড়ুন: কাতারে বিশ্বকাপে বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, হতাশ সুরাপ্রেমীরা

    ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের (FIFA World Cup 2022) উদ্বোধনী ম্যাচটি হবে কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে। ভারতীয় প্রমাণ সময় অনুযায়ী কাতারে খেলা শুরু হবে রাত্রি সাড়ে ৯টায়। তার আগে হবে বিরাট জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিটিএসের জুং কুক এবং মরক্কো-কানাডিয়ান অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। গ্রুপ ম্যাচ শুরু হবে কাতার বনাম ইকুয়েডরের মধ্যে দিয়ে। এর পর থকে পর পর ম্যাচগুলি দেখা যাবে বিকেল সাড়ে ৩টেয়, সন্ধে সাড়ে ৬টায়, রাত্রি সাড়ে ৯টায় এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়। গ্রুপ স্টেজের শেষ আটটি ম্যাচ খেলা হবে ভারতীয় প্রমাণ সময় রাত্রি সাড়ে ৮টায়। গ্রুপ স্টেজের ম্যাচ শেষে জয়ী দলগুলি ১৬ রাউন্ডের খেলায় অংশ নিতে পারবে। এই রাউন্ডের খেলা শুরু হবে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকে। এখান থেকেই শুরু হবে নকআউট পর্বও। বিশ্বকাপের ((FIFA World Cup 2022)) কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে। এই খেলাগুলি হবে ভারতীয় প্রমাণ সময় রাত্রি সাড়ে ৮টা এবং রাত্রি সাড়ে ১২টায়। ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে হবে ফাইনাল খেলা। খেলা শুরু হবে রাত্রি সাড়ে ৮টায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

    Shraddha Walkar Murder: নিখোঁজ আফতাবের পরিবার, খুনে যুক্ত তারাও, দাবি শ্রদ্ধার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা (Shraddha Walkar Murder) মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক হাড় হিম করা তথ্য উঠে আসছে দিল্লি পুলিশের হাতে। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকাররের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ২৭ বছর বয়সী মেয়ের খুনে জড়িত রয়েছে আফতাবের পরিবারের সদস্যরাও। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আফতাবের পরিবারের সবাই নিখোঁজ। এখন আমার মনে হচ্ছে পরিবারও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেন, “যখন আমরা আফতাব-শ্রদ্ধার বিষয়ে জানতে ওদের বাড়ি যাই, ওরা আমাদের কোনও রকম সাহায্য করেনি।” দিল্লি পুলিশ কেন এখনও আফতাবের পরিবারকে জেরা করছে না, সে বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার। আফতাবকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে বিয়ার-সিগারেট খান আফতাব, দেখেন নেটফ্লিক্স

    অন্য একটি সাক্ষাৎকারে শ্রদ্ধার বাবা বলেন, “২০২১ সালে আমার শেষ বার শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা হয়। আফতাবের খারাপ আচরণের বিষয়ে সে কিছুই জানায়নি। কিন্তু আফতাবের মায়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক ভালো নয়, তা জানিয়েছিল। তারপরে আমার ছেলে আমাকে সবটা জানায়। আমি, আমার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বোন ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, আফতাবের ভাই আমাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয় নি।”

    জানা গিয়েছে, মেয়ের বিষয়ে জানতে শ্রদ্ধার পরিবার ভাসাইতে আফতাবের বাড়ি গেলে, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আফতাবের পরিবার আফতাবকে ফোন করে শ্রদ্ধার বাবাকে বলতে বলে, যাতে এই বিষয়ে তাদের জড়ানো না হয়। এরপরেই মানিকপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়, আফতাবের পরিবার নিখোঁজ। 

     



    মুসলিম প্রেমিকের হাতে খুন হিন্দু প্রেমিকা

    বাবা-মা কে ছেড়ে ভালবেসে ঘর ছেড়েছিলেন মহারাষ্ট্রের হিন্দু পরিবারের মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়েলকার। সম্পর্ক গড়েছিলেন এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে। আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়াতেই তাঁকে খুন (Shraddha Walkar Murder) করে আফতাব। পুলিশকে তাই জানিয়েছে সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বন্ধুর দাবি, লিভ-ইন ছেড়ে বিয়ের কথা বলতেই শ্রদ্ধাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর করে  আফতাব। তাতে মত দেয়নি শ্রদ্ধা। পরিবার ত্যাগ করলেও ধর্ম ছাড়তে হয়ত রাজি ছিলেন না তিনি। তাই এই পরিণতি। ধর্মান্তরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশও। 

    মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় পরিচয় হয় দুই যুবক-যুবতীর। সেখান থেকে প্রেম। ধর্মীয় ব্যবধানের কারণে শ্রদ্ধার বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ককে মেনে না নিলে তাঁরা দিল্লিতে চলে আসেন ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাব তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, গত ১৮ মে অভিযুক্ত আফতাব ও শ্রদ্ধার ঝগড়া চরমে পৌঁছয়। এই ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধা চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা যাতে তাঁদের ঝগড়া না শুনে ফেলে, সেই ভয়ে শ্রদ্ধাকে চুপ করাতে যায় আফতাব। শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরে। আর এতেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

    কিন্তু এরপর এই কাণ্ড লুকোতে যা করল আফতাব তা আরও হাড় হিম করে দেওয়ার মত ঘটনা। এরপরেই একটি ফ্রিজ কিনে আনে ও শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরোয় কেটে ফ্রিজারে রেখে দেয়। শুধু তাই নয়, গন্ধ যাতে না বের হয় তার জন্য ব্যবহার করা হত আগরবাতি, ধূপ এবং রুম ফ্রেশনার (Shraddha Walkar Murder)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পুরো একদিন লেগেছে শ্রদ্ধার দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরতে। আর এসব তার বাথরুমে করে। আবার তার ঘরের মেঝেও অনেকবার মুছেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার ২-৩ মাস পর্যন্ত তার কেটে রাখা মাথা রেখে দেয় ও তারপর ফেলে দেয়। রাত দুটো নাগাদ জঙ্গলে যেত। ঘণ্টাদুয়েক পরে ফিরে আসত। প্রায় ২০ দিন ধরে সেই কাজ করেছিল সে (Shraddha Walkar Murder)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BCCI: বিশ্বকাপে ব্যর্থ ভারত, চেতন শর্মা সহ গোটা নির্বাচক কমিটিকে ছাঁটল বোর্ড

    BCCI: বিশ্বকাপে ব্যর্থ ভারত, চেতন শর্মা সহ গোটা নির্বাচক কমিটিকে ছাঁটল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশাদারি দুনিয়ায় ব্যর্থ হলে তার দায় নিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তেমনি নিয়ম বোধহয় এবার চালু হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটেও! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গিয়ে হেরে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। তার দায় নির্বাচকদের ঘাড়ে চাপিয়ে গোটা নির্বাচক কমিটিকে ছেঁটে ফেলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, সংক্ষেপে বিসিসিআই (BCCI)। শুক্রবার বিকেলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সরাসরি ছেঁটে ফেলার কথা বলা হয়নি। তবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে নয়া নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে।

    বিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তি…

    শুক্রবার বিকেলে বোর্ডের (BCCI) ওয়েবসাইটে জাতীয় নির্বাচক চেয়ে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়েছে, পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্য পাঁচজন জাতীয় নির্বাচক আহ্বান করা হচ্ছে। যোগ্যতার মানদণ্ড ধার্য করা হয়েছে ভারতের হয়ে কমপক্ষে সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলা বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা, ১০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন, এমন প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। বোর্ডের কোনও ক্রিকেট কমিটিতে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন, এরকম কেউ আবেদন করতে পারবেন না। ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার অর্থ নির্দিষ্ট সময় পূরণ করার আগেই চেতন শর্মাদের ছেঁটে ফেলল বোর্ড।

    আরও পড়ুন: রোহিতদের পারফরম্যান্সে খুশি নয় বিসিসিআই! দলে একগুচ্ছ পরিবর্তনের সম্ভাবনা

    সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে চারজন সদস্য ছিলেন। এঁরা হলেন, চেতন শর্মা। তিনি উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি। ছিলেন হরবিন্দর সিং। তিনি ছিলেন মধ্যাঞ্চলের প্রতিনিধি। দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন সুনীল যোশী। আর পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন দেবাশিস মোহান্তি। পশ্চিমাঞ্চলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। কারণ আবে কুরুভিল্লার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর কাউকেই ওই পদে বসানো হয়নি। প্রসঙ্গত, বিসিসিআই যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সেখানেও পাঁচজনই চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচকদের মেয়াদ চার বছরের। বোর্ড (BCCI) চাইলে তার পরেও মেয়াদ বাড়ানো যায়। এই সময়সীমা পূরণ হওয়ার আগেই সরে যেতে হচ্ছে চেতন শর্মাদের। সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা যায়নি বলেই মত ক্রীড়াবিদদের একাংশের।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SSC Group D: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    SSC Group D: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে…’’। এবার এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) আরেক বিচারপতি। 

    হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের

    শুক্রবার, এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতির একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) এজলাসে। সেখানে গ্রুপ-ডি (SSC Group D) নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই (CBI)। সেই রিপোর্ট দেখে বিস্মিত বিচারপতি বলে ওঠেন, ‘‘সাদা খাতায় চাকরি! ব্ল্যাঙ্ক OMR শিটে চাকরি! ভয়ানক বড় দুর্নীতি।’’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে৷ এই দুর্নীতি কতটা গভীরে তা খুঁজে বার করা দরকার। কারণ এই দুর্নীতির ফলে ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যাবে!’’ 

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    এসএসসি দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এর আগে এই গ্রুপ ডি (SSC Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ২৯ সেপ্টেম্বর কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বলেছিলেন, ‘‘এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, গোটা হিমশৈল জলের নিচে আছে। ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোন পেশায় নেই। আমি জানিনা এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত।’’ সম্প্রতি, পর্ষদকে (School Service Comission) তুলোধনা করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।’’

    তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    এদিনও (SSC Group D) মামলার শুনানিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘‘এবার নিজের যোগ্যতায়ও যদি কেউ চাকরি পায়, তাহলেও ছাত্ররা শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।’’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্নও করেন, ‘‘দুর্নীতি ৭ না ১০ বছরের পুরনো কিছু জানা গিয়েছে? এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। এবার বুঝতে পারছি কেন এই অতিরিক্ত শূন্যপদ। দেখতে হবে এই দুর্নীতি কত বছরের পুরনো।’’ 

    আগামী ২৪ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷

  • Modi at Tech Summit: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    Modi at Tech Summit: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারত। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি সম্মেলনে (Modi at Tech Summit) এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ও প্রতিভার বিশ্বায়নকে নিশ্চিত করেছে। কীভাবে প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করতে হয় তা ভারত দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করেছি।”

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    বেঙ্গালুরু টেক সামিটে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একীকরণের সম্ভব হলে, তা একটি প্রধান শক্তি হয়ে ওঠে। মোদির কথায়, ভারতের উদ্ভাবন সূচকে বেঙ্গালুরু এক নম্বরে। বেঙ্গালুরু প্রযুক্তির আবাসস্থল। এটি একটি উদ্ভাবনী শহর। এই বছর বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন সূচকে ভারত ৪০ তম স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৫ সালে আমরা ৮১ তম স্থানে ছিলাম। ভারত ৮১,০০০ স্টার্টআপের আঁতুড় ঘর। ভারতে ইউনিকর্ন স্টার্টআপের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, আমরা এখন  এ বিষয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। আপনাদের বিনিয়োগ ও আমাদের উদ্ভাবন বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। আমি আপনাদের সকলকে আমাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন কীভাবে প্রযুক্তি ভারতে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করেছে। জন ধন যোজনা, আধার, ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। দেশে মোবাইল ও ডেটা বিপ্লবের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ৮ বছরে ব্রডব্যান্ড সংযোগ ৬ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮১ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭৫ কোটি হয়েছে। শহরগুলির তুলনায় দেশের গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে এক নতুন জনগোষ্ঠী প্রযুক্তির হাত ধরে তথ্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।” এই ঘটনাকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মানুষের হাতের স্পর্শে কীভাবে প্রযুক্তির প্রসার ঘটতে পারে, তা করে দেখিয়েছে আমাদের দেশ।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জন ধন যোজনা, আধার মোবাইল- এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটেছে। এই ব্যবস্থায় গ্রহীতাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রযুক্তির হাত ধরে ছোটখাটো ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলিও এখন বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হয়ে উঠছে। সরকারের এই সমস্ত প্রচেষ্টার ফলে দেশে দুর্নীতিও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মধ্যে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করতে অনলাইন টেন্ডার পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে।”    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

LinkedIn
Share