Blog

  • TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    TET Agitation: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে কলকাতা (TET Agitation)। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এক্সাইড মোড় এবং রবীন্দ্রসদন চত্বর। এক্সাইড মোড়ে (Exide Crossing) ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রক্তও ঝরল চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের এখন একটাই দাবি, ‘আমাদের হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু দিন।’

    এদিন হঠাৎ দুপুর থেকেই রবীন্দ্র সদনের কাছে এক্সাইড মোড়ে জড়ো হতে থাকেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)৷ আগে থেকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়নি৷ আচমকাই সেই জায়গায় জমা হতে থাকে চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকে আবার মেট্রো করে এসে রবীন্দ্রসদন স্টেশনে নেমে জমায়েতে অংশ নেন। পরে ধীরে ধীরে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    রক্তারক্তি কাণ্ড

    এই গোলমালের মধ্যে মাথা ফাটল এক চাকরিপ্রার্থীর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ ফলে আজ বিক্ষোভে রক্তাক্ত হওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। আবার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিছু চাকরিপ্রার্থীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এক মহিলা আন্দোলনকারীকে (TET Agitation) অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়।

    প্রিজন ভ্যানের তলায় শুয়ে বিক্ষোভ

    এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ৷ অনেককে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়৷ আবার বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্রিজন ভ্যানের চাকার সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ (TET Agitation) দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, ‘হয় নিয়োগ দিন, নয় মৃত্যু৷’ কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে সেই জায়গা থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। এরপর প্রিজন ভ্যান ছাড়া, বাস থামিয়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দিতে দেখা যায় পুলিশকে।

    যান চালাচল অবরুদ্ধ

    আর এই ধুন্ধুমার (TET Agitation), রক্তারক্তি কাণ্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এজেসি বোস রোড, জওহরলাল নেহেরু রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা৷ ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। এদিন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে শিয়ালদা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল তাঁদের, কিন্তু পুলিশ তা বানচাল করতে পরিকল্পনায় বদল আনেন চাকরি প্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • T20 World Cup: ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রিটিশ-রাজে নৈশভোজ টিম ইন্ডিয়ার! কেন জানেন?

    T20 World Cup: ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্রিটিশ-রাজে নৈশভোজ টিম ইন্ডিয়ার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমিফাইনালে আগে চাপ কমাতে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। অ্যাডিলেডে আসার পথে বিরাট কোহলি রোহিত শর্মারা বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিয়েছিলেন সতীর্থদের জন্য। আসলে তাঁরা বোঝাতে চেয়েছিলেন দলে আমরা সবাই সমান। মঙ্গলবার প্র্যাকটিস শেষে কোহলিরা বেরিয়ে পড়েছিলেন নৈশ ভোজে।

    চাপ কমাতে রাজকীয় আহার:

    বিশ্বকাপ চলাকালীন প্র্যাকটিসের সময় আইসিসির দেওয়া খাবার নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অসন্তোষের খবর সামনে এসেছিল আগে। যদিও শুধু স্বাদ বদলের জন্যই নয় একটি বাসে চেপে ব্রিটিশ রাজ নামে এক রেস্তোরাঁয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের দল বেধে নৈশ ভোজে যাওয়ার পিছনে অন্য কারণ দেখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আসলে ২০০৭ সালে প্রথম ও শেষ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তারপর প্রাপ্তি শুধুই হতাশা। এবার রোহিত শর্মাদের সামনে খেতাব জয়ের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বাধা টপকাতে পারলেই ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবেন কোহলিরা। তবে এই পর্যায়ে লড়াই যে কখনোই সহজ হবে না সেটা বলার প্রয়োজন নেই। ইংল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী দল, তার ওপর খেলা অ্যাডিলেডে। তাই ক্রিকেটারদের চাপমুক্ত রাখাটাও জরুরী। সেই কারণেই বিসিসিআই- এর পক্ষ থেকে সেমিফাইনালের আগে কোহলিদের জন্য ব্রিটিশ রাজ রেস্তোরাঁয় নৈশ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুধু ক্রিকেটার কিংবা সাপোর্ট স্টাফ নয়, ছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। স্বাদ বদলের জন্য রোহিতরা চেখে দেখলেন চিকেন টিক্কা, কাশ্মীরি পোলাও, মটন রোগান জুস সহ আরও নানা পদ।

    আরও পড়ুন: আসছে লগান ২! ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালকে ঘিরে মিমের বন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায়

    একঘেয়েমি কাটানোও লক্ষ্য:

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগেই রোহিতরা অস্ট্রেলিয়ায় চলে এসেছিল। পরপর ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাঁদের। ছুটতে হয়েছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। ক্রিকেটের বাইরের জীবন উপভোগ করার সুযোগ হয়নি তাঁদের। প্রচন্ড ধকল নিতে হয়েছে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ-এর আগে এই নৈশ ভোজ কিছুটা হলেও ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাবে, তা দেখা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় যে কোনও দেশই। ভারতীয়দের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে কম খরচে তেল কিনছে ভারত। দেশের মানুষের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যতা।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনের পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল সংগ্রহ করে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।

    মস্কো সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড,ইকনমিক,সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল ও কালচারাল কো অপারেশন সংক্রান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন জয়শঙ্কর। দুদেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে খাদ্য ও শক্তিসম্পদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য ভারত  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার কথাও বলেছে।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

     মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’’রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভারভ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে অন্তত ৩০ বিলিয়নে স্পর্শ করাতে হবে। ডলারের পরিবর্তে রুপি-রুবেল বিনিময়ে বাণিজ্য প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় স্বার্থটা দেখছি তেমনটা নয়, জি ২০ অর্থনীতির অঙ্গ হিসাবে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করতে চাইছি। যুদ্ধ নয়, ভারত সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সঙ্কটের আবহে কত সস্তায় অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করতে পারে, তা নির্ধারিত করতেই জয়শঙ্করের এই সফর। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় জয়শঙ্কর এবং লাভরভ এই নিয়ে পাঁচ বার বৈঠক করলেন।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্য সরকারের ‘অদক্ষতায়’ বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation in West Bengal) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  মনসুখ মাণ্ডব্যকে (Mansukh Mandaviya) চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ ট্যুইটারে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

     

    সোমবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অদক্ষতার জন্যই রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আমি সম্মানীয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ মনসুখ মাণ্ডব্যজিকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি ৷ রাজ্য সরকারকে দিশা দেখানোর জন্য এবং আমজনতার সুবিধার্থে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছি ৷”

    আরও পড়ুন: ‘দুধ দিলে ক্ষীর পাবে, কিন্তু…’, কাকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত, জানেন?

    চিঠিতে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রাজ্য প্রশাসন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিরোধী নেতা। বিরোধী নেতার অভিযোগ, রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে। 

    চিঠিতে শুভেন্দু জানান, রাজ্য সরকারের কোষাগারে এই পরিস্থিতি সামলানোর যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু আরও লেখেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকাও মাইনে দিতে খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। তাই ড্রেন পরিষ্কার করার বা স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার মতো টাকা সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। 

    রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেন, যাতে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যে  কেন্দ্রের তরফ থেকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পাঠানো হয়। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছ থেকেও গোপন করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ (Quota) বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। আর্থিক অনগ্রসরদের (EWS) জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়। সুপ্রিম কোর্টের আগের শুনানিতে সরকারের হয়ে সওয়াল করতে উঠে এ কথা জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। যদিও আবেদনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সংবিধানের সাম্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করবে। আবেদনকারীদের দাবি খারিজ করে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।

    মঙ্গলবার অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। তার ঠিক একদিন আগে রায়দান হয় এই মামলার। এদিন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। এঁরা হলেন, ইউ ইউ ললিত, দীনেশ মহেশ্বরী, এস রবীন্দ্র ভাট, বেলা এম ত্রিবেদী এবং জেবি পার্দিওয়ালা। আদালত জানায়, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ কোনওভাবেই সাম্যের অধিকারের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়।

    জানা গিয়েছে, যে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার রায়দান হল, সেই বেঞ্চের তিন বিচারপতি সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সংরক্ষণের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বেলা এ ত্রিবেদী এবং জে বি পার্দিওয়ালা। সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। সংরক্ষণের বিপক্ষে মত দিয়েছেন বিচারপতি এস রবীন্দ্রও। তিনি এই আইনকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এই আইন সাম্যের মূল কাঠামোরও পরিপন্থী।

    আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে ইপিএফও পেনশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ল আরও চার মাস

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই চাকরি, শিক্ষা সহ বিভন্ন ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা করে মোদি সরকার। সংসদে বিল পাশ করে তা আইনেও পরিণত করা হয়। ২০১৯ সালে এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয় ৪০টি পিটিশন। ওই পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারায় শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়নি। প্রসঙ্গত, এতদিন এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। এবার এই সুযোগ পাবেন অনগ্রসররাও। এদিন রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ কোনওভাবেই অবৈধ নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Twitter: ‘‘ভুল হয়েছে, ফিরে আসুন…’’! বহু ছাঁটাই কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন ট্যুইটারের

    Twitter: ‘‘ভুল হয়েছে, ফিরে আসুন…’’! বহু ছাঁটাই কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন ট্যুইটারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের (Twitter) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক কাণ্ড ঘটেই চলেছে। প্রথমেই ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। সেই তালিকায় ছিল সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়াল। আর এরপরেই শুরু হয়েছে গণছাঁটাই। গত শুক্রবারই প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল আরেকটি ঘটনা। ছাঁটাই করা কর্মীদের মধ্যে কিছু জনকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যাদের ফের চাকরিতে ফিরে আসার জন্য বাছাই করা হয়েছে, তাঁদের ইমেল পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    প্রসঙ্গত, ইলন মাস্কের কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। তিনি ট্যুইটারের (Twitter) এমন পরিস্থিতির জন্য কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, কাজ করা সমস্ত লোকই খুবই প্রতিভাবান। যতই কঠিন সময়ের মধ্যে তাঁরা যাক না কেন ঠিক একটা রাস্তা তাঁরা খুঁজে নেবেন। তবে তিনি মনে করেন বহু মানুষ তাঁর উপর ক্ষুব্ধ, তাঁর কারণেই প্রত্যেকে এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছে। এর জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষমাপ্রার্থী। ফলে এমন ট্যুইট দেখেই ইলনের বোধদয় হয়েছে কিনা তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, কিছু কর্মীকে ভুলবশত ছাঁটাই করা হয়েছিল। তাঁদেরকেই আবার ফিরে আসতে বলা হচ্ছে। এছাড়া, যাঁদের ফিরে আসতে বলা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে এমন কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁদের কর্মদক্ষতা ভাল ভাবে যাচাই করা হয়নি। এছাড়াও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া খুব তাড়াহুড়োতে হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আবার ছাঁটাইয়ের পর শুক্রবার মাস্ক ট্যুইট করে বলেন, সংস্থার কাছে দ্বিতীয় কোনও বিকল্প নেই। এতে প্রত্যেক দিন ৪০ লাখ ডলার ক্ষতি হচ্ছে। চাকরিচ্যুত কর্মীদের তিন মাসের প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে, যা প্রয়োজনের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি বলে দাবি করেন ট্যুইটারের (Twitter) নয়া মালিক।

    সত্যিই কোনও ভুলবশত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছিল, নাকি ইলন তাঁর সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত হয়ে এমন করেছে নাকি জ্যাকের ট্যুইটের ফলে এমন সিদ্বান্ত, পুরো বিষয়টি নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।

  • T20 World Cup: ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল! সেমিফাইনালে লড়াই হবে সমানে সমানে, অভিমত রোহিতের

    T20 World Cup: ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল! সেমিফাইনালে লড়াই হবে সমানে সমানে, অভিমত রোহিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ভারত। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড (England)। গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ চারের টিকিট পাকা করলেও ইংল্যান্ডকে যথেষ্ট শমীহ করছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তিনি বলেছেন “ইংল্যান্ড খুবই শক্তিশালী দল। তাই সেমিফাইনালে লড়াই বেশ কঠিন হবে। তার জন্য মানসিক ভাবে আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মঞ্চে আমরা যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এখানকার পিচের চরিত্র একটু ভিন্ন। অ্যাডিলেডে আমরা একটা ম্যাচ খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হয়। উইকেটের দুপাশের বাউন্ডারি অন্য মাঠগুলির তুলনায় ছোট। তাই বোলিং এর সময় আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৭১ রানে হারায় টিম ইন্ডিয়া। যদিও এই ম্যাচের ফলের উপর ভারতের সেমিফাইনাল ভাগ্য শেষ পর্যন্ত জড়িয়ে থাকেনি। কারণ গ্রুপের অন্য ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডস। তখনই ভারতের সেমিফাইনালের টিকিট পাকা হয়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে শেষ চারে ওঠার পথ সহজ হয়ে যায় পাকিস্তানের। বাংলাদেশকে হারানোর সুবাদে বাবর আজমরা গ্রুপের দ্বিতীয় হয়ে সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেছে।

    আরও পড়ুন: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে জিতে গ্রুপ শীর্ষে ভারত, সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড

    ২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। এবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন বিরাট কোহলি। রানে ফিরেছেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের মুখে মুখে ঘুরছে একটাই নাম সূর্য কুমার যাদব। চলতি বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্স সাড়া ফেলে দিয়েছে ক্রিকেট মহলে। শুধু রানই করছেন না তিনি, তার শটের বৈচিত্র্যে বিস্মিত অনেকেই। রোহিত শর্মা এটা ভালোই জানেন যে যশ বাটলারের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড কিন্তু এত সহজে তাদের জায়গা ছাড়বেন না। তাই এখন থেকেই ফাইনাল নিয়ে ভাবতে রাজি নন তিনি । বরং সেমি ফাইনাল ম্যাচেই বাড়তি ফোকাসের ওপর জোর দিয়েছেন অধিনায়ক। রোহিতের কথায়, “আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই। এখন প্রত্যেকটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফাইনাল নিয়ে ভেবে শুধু শুধু চাপ বাড়িয়ে লাভ নেই। বরং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিভাবে আমরা সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরতে পারি, সেই চেষ্টাই আমাদের করতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)-এর যৌথ স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদও। দিল্লিতে মূল কার্যালয়ে তাঁকে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তার আগেই রবিবার বীরভূম পুলিশের হাতে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল (Tulu Mondal)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গরুপাচার মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা টুলুকে জেরা করতে না পারে, তাই আগেভাগে রাজ্য পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হল? 

    জানা গিয়েছে, বীরভূমে পাথরের বেআইনি কারবারের মুল হোতা এই টুলু মণ্ডল ৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে এর আগে কখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাহলে হঠাৎ এই সক্রিয়তা কেন? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল রাজ্যনীতি। যদিও এখনও কোনও মহল থেকেই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। 

    সম্প্রতি টুলু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই ও ইডি ৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের ৷ অনেকেই ধারণা করেছিলেন যেকোনও দিন আবারও টুলুকেও তলব করতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। আর তার আগেই এই গ্রেফতার। 

    সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় চরিচা গ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় এই পাথর ব্যবসায়ীর যোগ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে, আদালত এই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। এই টুলু মণ্ডলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্টতার কথা সর্বজনবিদিত। 

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    এই ব্যবসায়ী ব -কলমে পাথরের শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তুলত। তাঁর সিউড়ির বাড়ি সহ পৈতৃক ভিটে ,অফিসে এই কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা সারাদিন ধরে তল্লাশি চালায়। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে গতকালই, এই পাথর ব্যবসায়ী দিল্লি থেকে বীরভূমে ফিরেছেন। গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে রাত্রীবাস করেছেন বীরভূমে। জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জেলা নেতাদের সঙ্গে। অনুব্রতহীন জেলায় তৃনমুল এখন ছন্নছাড়া। তাই অনুব্রত যাতে অন্য কারো জবানবন্দিতে ফের বিপাকে না পড়েন, তার জন্যই কি মন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য পুলিশ? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন’, নিশীথের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে কেউ নিরাপদ নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার পর এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপিশুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কয়লা ও গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Case) তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায়ও রাজ্যকে একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    নভেম্বরের তিন তারিখে কোচবিহারে হামলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের সিতাইয়ে। নিশীথের কনভয় যখন এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একদল লোককে আচমকাই লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হতে দেখা যায়। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    এই ঘটনায়ই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কেউই নিরাপদ নন। এমন কী জনপ্রতিনিধিরাও। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। টাকা তোলে। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, দিল্লিতে গরু পাচার মামলা দায়ের করেছে ইডি। এতে অনেকে জড়িত। যদি প্রমাণিত হয়, তাঁদের তিহাড় জেলে পাঠানো হবে। বাংলায় যেসব সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান, তিহাড় জেলে তা মিলবে না। শুভেন্দুর তোপ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার  চোরেদের সরকার। এঁদের অনেকেই কয়লা ও গরু পাচার মামলা, পঞ্জি স্কিম এবং নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যে হাত দিয়ে চড় মেরেছেন, সেই হাত দিয়েই…’’ কাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথও। তিনি বলেন, যদি বাংলার সরকার কঠোর হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তাঁর প্রশ্ন, কেন আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তায় অত লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে? তিনি বলেন, আমরা (মন্ত্রীরা) পুলিশের বেঁধে দেওয়া রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি। সেই রাস্তায় যেতে গিয়ে কেন আমাকে হুমকির মুখে পড়তে হবে? বিশেষত, যখন রাজ্য সরকারের পুলিশ আমার কনভয় যাওয়ার রাস্তা ছকে দিয়েছে!

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ওই জনতার হাতে লাঠির পাশাপাশি পাথরও ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এগুলি নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। তিনি বলেন, কোনও মন্ত্রী তাঁদের সামনে আক্রান্ত হবেন, আর বিজেপির কর্মীরা তা বসে বসে দেখবেন, তা হবে না। এলাকার পরিবেশ কেন বিষিয়ে তোলা হচ্ছে? প্রশ্ন নিশীথের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T-20 World Cup: দক্ষিণ আফ্রিকার হার বদলে দিল সমীকরণ! টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত

    T-20 World Cup: দক্ষিণ আফ্রিকার হার বদলে দিল সমীকরণ! টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) ফের অপ্রত্যাশিত হার। নেদারল্যান্ডসের কাছে সুপার ১২-এর শেষ ম্যাচ হেরে ছিটকে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এর ফলে সেমি-ফাইনালে উঠে এল ভারত। ডাচদের হারালেই শেষ চার নিশ্চিত হত টেম্বা বাভুমার দলের। ফলে প্রোটিয়াদের অপ্রত্যাশিত পরাজয়ে আজ জিম্বাবোয়ে ম্যাচ খেলতে নামার আগেই ভারত চলে গেল সেমি-ফাইনালে। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে কে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছয় , সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

    আজকের দক্ষিণ আফ্রিকার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এই পরাজয়ে আরও একবার চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) ফাইনালে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিশালী দল যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে এটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে রবিবারের আগে খুব একটা খারাপ পারফরম্যান্স কিন্তু করেনি টেম্বা বাভুমার দল। শুধুমাত্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের হারতে হয়েছিল। কিন্তু, নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রোটিয়াদের এই পরাজয় বিশ্বকাপের পুরো খেলাটাকেই ঘুরিয়ে দিল। আজ, রবিবার সকালের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে প্রোটিয়াদের ১৩ রানে হারিয়ে দেয় টুর্নামেন্ট থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া ডাচরা (NED vs SA)। নিজেদের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও নিয়ে গেল তারা।

    রবিবার বিশ্বকাপের ( T-20 World Cup)  ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস তোলে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। ডাচদের প্রথম চার ব্যাটারই ভাল পারফর্ম করেন। তবে অকারম্যানের পারফরমেন্স নজরে আসার মত ছিল। মাত্র ২৬ বলে ৪১ করেন তিনি। তবেএর উত্তর দিতে এসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৫ রানেই আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চাপের মুখে কোনও প্রোটিয়া ব্যাটারই তেমনভাবে নজর কাড়তে পারেননি। এর ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা হারে ১৩ রানে।

    আজ যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যেত তবে, সেমিফাইনালে নিশ্চিত চলে যেত। সেক্ষেত্রে আজ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতকে জিততে হত। আবার পাকিস্তান (Pakistan) এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) কার্যত ছিটকে যেত বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে পুরোটাই বদলে দিল প্রোটিয়ারা। এই একই স্টেডিয়ামে আপাতত শুরু হয়েছে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ। তবে ভারত বনাম জিম্বাবোয়ে ম্যাচ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। 

LinkedIn
Share