Blog

  • POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    POK: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা ভারতীয় (India) ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই  উক্তি যিনি করেছেন, তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার একথা বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা আমজাদ। বিদেশি ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। দশা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় পাকিস্তান পুড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

    মির্জা বলেন…

    মির্জা বলেন, দেশে খাদ্য সংকট তীব্র। খাবার সংগ্রহ করতে পথে নেমেছেন বাসিন্দারা। বাজারে অমিল আটা-গম-ময়দা। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে এক দিনে গমের মূল্য বেড়েছে ১২০০ টাকা। দেশবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সরকার ময়দার ডিপোগুলো তালা দিয়ে রেখেছে। সেখানে ময়দাও নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি শহরে লোকজন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন ছাত্র, আইনজ্ঞ, নাগরিক সমাজ মায় মহিলারাও।

    জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েক দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন বাল্টিস্তানবাসী (POK)। গম সহ নানা খাদ্যশস্যের ওপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পাকিস্তান সেনা অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মির্জা বলেন, পাকিস্তানের যুব সমাজ আওয়াজ তুলেছে ভাঙা সম্পর্ক (ভারতের সঙ্গে) জোড়া লাগাও। তাঁরা চাইছেন, ঋণের ফাঁদে পড়ে থাকা দেশ থেকে বেরিয়ে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যোগ দিতে। গিলগিট বাল্টিস্তানে বসানো হয়েছে খালসা সরকার ট্যাক্স। তার জেরেও আন্দোলন হয়েছে আরও তীব্র।

    আরও পড়ুুন: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BSF: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

    BSF: ভারতের আকাশে ফের পাক ড্রোন, গুলি করে নামাল বিএসএফ, উদ্ধার চিনের তৈরি অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানি ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র, মাদক দ্রব্য পাচার করা হচ্ছিল ভারতে। তবে ব্যর্থ প্রচেষ্টা। বুধবার মধ্যরাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানি ড্রোনের সাহায্যে পাচার করা হচ্ছিল একাধিক চিনের তৈরি অস্ত্র। কিন্তু সেই অস্ত্র পাচারের আগেই দুষ্কৃতীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ (Border Security Force)। জওয়ানদের তৎপরতায় উদ্ধার হল একাধিক মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র। বিএসএফ (BSF) সূত্রের খবর, চিনের তৈরি পিস্তল, একাধিক ম্যাগাজিন সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৭ টি লাইভ রাউন্ড। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের উনচা টাকালা গ্রামে।

    পাকিস্তানি দুষ্কৃতিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ

    বিএসএফ সূত্রে খবর, গতকাল পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের উনচা টাকালা গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল একটি বিএসএফ দল। অন্ধকার কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে পাকিস্তানের দিক থেকে আসা একটি ড্রোনের শব্দ শুনতে পান জওয়ানরা। তারপর তাঁরা সেই ড্রোনের দিকে গুলি চালায়। গুলি চালানোর সময়, কিছু পড়ে যাওয়ারও শব্দ পেয়েছিলেন তাঁরা।

    বিএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, এলাকাটির প্রাথমিক তদন্তের সময়, টাকালা গ্রামের এক চাষজমিতে কাঠের ফ্রেম দিয়ে প্যাকেজ করা একটি সন্দেহজনক প্যাকেট উদ্ধার করেছে তাঁরা। সেই প্যাকেট থেকেই উদ্ধার করা হয় ৪টি চিনের তৈরি পিস্তল, ৮টি ম্যাগাজিন এবং ৪৭ রাউন্ড গুলি।

    বিএসএফ-এর বড় সাফল্য

    সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তের ৩,৩২৩ কিলোমিটার জুড়ে এখনও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস থেকে ভারত-পাক সীমান্তে পাকিস্তানি ড্রোনের উৎপাত বেড়েই চলেছে। এর আগেও গত বছরের অক্টোবরে, বিএসএফ পাঞ্জাবের গুরদাসপুর সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে প্রবেশকারী একটি ড্রোনকে দেখে গুলি চালিয়েছিল। তার আগে সেপ্টেম্বরেও, গুরদাসপুরের সীমান্তের কাছে পাকিস্তান থেকে আসা একটি ড্রোনের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছিল। ফলে বারবার পাকিস্তানি ড্রোন এ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও প্রত্যেকবারই বিএসএফ-এর জওয়ানরা দুষ্কৃতিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছে। এবারও তাই ঘটল। ফলে এটি এক বড় সাফল্য বিএসএফ-এর।

     
  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরের বুদগামে গুলির লড়াই, এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরের বুদগামে গুলির লড়াই, এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাফল্য। নতুন বছরে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল। নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হল ২ জঙ্গির। মঙ্গলবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জঙ্গির। তাদের লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে কাশ্মীর পুলিশ। মৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি একে সিরিজের রাইফেল এবং একটি পিস্তল। জানা গিয়েছে, এর আগে একটি এনকাউন্টার চলাকালীন তারা পালিয়ে গিয়েছিল।

    কাশ্মীরে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে বুদগাম জেলার আদালতের সামনে যৌথ টহল দিচ্ছিল সেনা জওয়ান ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ দল। তখন সেখানে একটি সন্দেহজনক গাড়ি দেখে এগিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। এরপরই তারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা বাহিনীও। সেই গুলিতেই প্রাণ হারায় দুই সন্ত্রাসবাদী। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, দুই জঙ্গিই লস্করের সদস্য। তাদের শনাক্তও করা হয়েছে। একজনের নাম আরবাজ মীর। অন্যজন শহিদ শেখ। দু’জনই পুলওয়ামার বাসিন্দা। দুজনেই কাশ্মীরি পোশাক ‘ফেরান’ পরেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে একটি এনকাউন্টার থেকে তারা পালাতে সমর্থ হলেও এবার খতম হল ওই দুই জঙ্গি। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    কাশ্মীর জোনের পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে, “নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী একটি সন্দেহভাজন গাড়িকে থামায়। গাড়ির ভিতর থেকে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথ দল। তাতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র ও কার্তুজ।”

    কাশ্মীরের এডিজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দুই জঙ্গিই অল্পের জন্য বাহিনীর হাত এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয়। কিন্তু মঙ্গলবার শেষরক্ষা হল না। পুলিশ মৃতদের কাছ থেকে একটি একে সিরিজের রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু তাজা কার্তুজও।

     

  • China Population: ছয় দশকে প্রথমবার কমল চিনের জনসংখ্যা, ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ?

    China Population: ছয় দশকে প্রথমবার কমল চিনের জনসংখ্যা, ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছয় দশকে এই প্রথমবার! ১৯৬১ সালের পর প্রথম রেকর্ডহারে চিনের জনসংখ্যা কমল। ফলে চলতি বছরেই ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই চিন ও ভারত জনসংখ্যার নিরিখে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলছিল। তবে এবারে খুব শীঘ্রই চিনকে ছাপিয়ে ভারতই হতে চলেছে বিশ্বের জনবহুল দেশ। আজ, মঙ্গলবার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চিনের জনসংখ্যা কমছে। দীর্ঘ ৬০ বছর পর রেকর্ড পতন হয়েছে জন্মের হারে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আগের বছর ১৪১ কোটির মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কমেছে।

    চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ নিম্নমুখী

    এদিন পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, চিনের জনসংখ্যা ২০২২ সালে ৮৫০,০০০ জন কমে ১.৪১১৭৫ বিলিয়ন হয়েছে। ইউএন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে এই জনসংখ্যা প্রায় ১০৯ মিলিয়ন কমে যাবে। আরও জানা গিয়েছে, গত বছর ওই দেশে জন্মহার প্রতি ১০০০ মানুষের মধ্যে ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সেটা ছিল ৭.৫২ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছর চিনের জন্মহার ছিল সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, ১৯৭৬ সালের পর চিনে মৃত্যুহারও সর্বাধিক হয়েছে। প্রতি হাজার জনে ৭.৩৭ শতাংশ। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল ৭.১৮ শতাংশ। ফলে গত ৬০ বছরে এই প্রথম বার এমন হারে কমেছে জনসংখ্যা। আবার চিনে গত বছর জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। তবে, ২০২২ সালে চিনে মৃত্যু হয়েছে বেশি।

    আরও পড়ুন: ‘দোষী’ আইনজীবীদের চিহ্নিত করে মামলা, বিচারপতি মান্থা বিক্ষোভকাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী?

    জানা গিয়েছে, চিনের জনসংখ্যা এমন হারে হ্রাস পাওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হল ‘ওয়ান চাইল্ড পলিসি’। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চিন। এটি ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছিল। এর পর ২০১৬ সালেই ‘এক সন্তান নীতি’ প্রত্যাহার করে দুই সন্তানের অনুমোদন দিয়েছিল চিন। কিন্তু তার পরেও জন্মহারের পতন অব্যাহত। এছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত খরচ আকাশছোঁয়া হওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানের জন্মে রাশ টেনেছেন। এক সন্তানের বেশি কেউ-ই চাইছেন না। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, এর পর করোনার ফলে চিনে জিরো কোভিড পলিসি চালু করা হলে এটিও জনসংখ্যা হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    জনসংখ্যা কমায় কী প্রভাব পড়তে পারে?

    চিনের এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েক জন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, চিনের জনসংখ্যা যদি ধীরে ধীরে কমতে থাকে, তা হলে তার উল্টো প্রভাব পড়বে। চিনের অর্থনীতির পাশাপাশি সারা বিশ্বের অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চিনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যা অনেকটা বেশি হয়ে পড়েছে। ফলে এমন একটি দিন খুব শীঘ্রই আসবে যখন চিনের গতি বাড়াতে কর্মক্ষম বয়সের পর্যাপ্ত লোক থাকবে না। অর্থাৎ জন্মহার কমে আসার ফলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকবলের অভাব দেখা দিতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

    প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৬০ সালে চিনে শেষবারের মত জনসংখ্যা কমেছিল। সেইবার চিন সম্মুখীন হয়েছিল আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের। এর পর দীর্ঘ ছয় দশক পর ফের জনসংখ্যা কমল চিনে।

  • Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে ফের বিয়ে করেছেন দাউদ ইব্রাহিম! এনআইএ-কে জানালেন ভাগ্নে

    Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে ফের বিয়ে করেছেন দাউদ ইব্রাহিম! এনআইএ-কে জানালেন ভাগ্নে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিয়ে করেছেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বের যত্রতত্র এই খবর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এবার তাতে শিলমোহর দিলেন দাউদের ভাগ্নে। প্রথম স্ত্রীও এখনও দাউদের (Dawood Ibrahim) সঙ্গেই থাকেন।   

    জাতীয় সংবাদমাদ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেশন অনুযায়ী, দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের ছেলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে এই তথ্য দিয়েছেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই এনআইএ এই তথ্য পেয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    কী জানা গেল? 

    জানা গিয়েছে, দাউদের (Dawood Ibrahim) দ্বিতীয় স্ত্রীও একজন পাকিস্তানি। এখনও সে দেশেই থাকলেও, সেখানে বাড়ি বদলেছেন দাউদ। পাকিস্তানে তিনি রয়েছেন জামাই আদরে। পাকিস্তান সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই নিরাপত্তা দিচ্ছে ভারতের এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীকে। করাচিতেই অন্যত্র দাউদকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

    তবে হাসিনা পার্কারের ছেলে আলি শাহের দাবি অনুযায়ী, দাউদ (Dawood Ibrahim) এবং তাঁর প্রথম স্ত্রীর এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। দাউদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত কয়েক বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল এনআইএ। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতে চার্জশিটও জমা দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে নাশকতার ছক! আরও চার জঙ্গির খোঁজ

    হাসিনার ছেলে আলি শাহের দাবি অনুযায়ী, প্রথম স্ত্রী মেহজবিনের উপর থেকে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার নজর সরানোর উদ্দেশ্যেই দাউদের এই দ্বিতীয় বিয়ে। আলি শাহ এনআইএর কাছে দাবি করেছেন, ২০২২ সালের জুলাই মাসে দুবাইয়ে তাঁর সঙ্গে দাউদের (Dawood Ibrahim) প্রথম স্ত্রী মেহজবিনের দেখা হয়। তখনই মেহজবিন তাঁকে দাউদের দ্বিতীয় বিয়ের খবরটি দেন। আলি শাহ জানিয়েছেন, এখনও হোয়াটসঅ্য়াপ কলের মাধ্যমে ভারতে দাউদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন মেহজবিন শেখ। দাউদ যে এখনও করাচিতেই থাকেন, তাও নিশ্চিত করেছেন আলি শাহ। মামার দ্বিতীয় স্ত্রী পাঠান সম্প্রদায়ের বলেও এনআইএকে জানিয়েছেন আলি।  

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আলির মা অর্থাৎ দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের। প্রায় সাত বছর আগে মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ীর মেয়ে আইশা নাগানিকে বিয়ে করেন আলি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    Jhalda: ঝালদা পুরসভা নিয়ে আদালতে ধাক্কা রাজ্যের, পূর্ণিমা কান্দুই অস্থায়ী চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝালদা (Jhalda) পুরসভা নিয়ে নাটকে নয়া মোড়। আদালতে মুখ পুড়ল রাজ্যের শাসক দলের। ঝালদা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পরে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারপার্সন করলে, তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই আপত্তির ভিত্তিতে গতকাল পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে যে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। তাতে আদালত তৃণমূলের সুদীপকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে।

    কাউন্সিলর (Jhalda) পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলা গ্রহণ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে আদালত। বিকেলে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদ সামলাবেন। সঙ্গে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

    গত ১৬ জানুয়ারি ১২টি আসন বিশিষ্ট ঝালদা (Jhalda) পুরসভার নির্বাচন হয়। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। তার পরদিনই এক নির্দেশিকায় মহকুমাশাসক শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন। প্রশাসনের যুক্তি, নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়যুক্ত হলেও পরে নিজেকে নির্দল ঘোষণা করেছেন তিনি। যা দলত্যাগবিরোধী আইন বিরোধী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।

    এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা (Jhalda) পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রবল তুষারপাত, ফের ভূমিধসের আশঙ্কা! আস্তে আস্তে বসছে জোশীমঠ    

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ঝালদাকাণ্ডে (Jhalda) এবার দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রশ্নে প্রশাসনকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু মুকুল রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “বিধানসভায় বিজেপি সেজে জনসমক্ষে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে ঘুরছেন গিরগিটিরা। এই বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের জোরে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে সুরক্ষিত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Teacher Transfer: শুধু শহর বা শহরতলি নয়, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে শিক্ষকদের! অভিমত হাইকোর্টের

    Teacher Transfer: শুধু শহর বা শহরতলি নয়, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যেতে হবে শিক্ষকদের! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘স্কুলে পড়ুয়া নেই। শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন আর আসছেন। এটা তো চলতে পারে না। কলকাতার শূন্য-ছাত্রের স্কুলের শিক্ষককে হাওড়ার ছাত্র-পূর্ণ স্কুলে যেতেই হবে। এ বার থেকে ওই আইন প্রয়োগ করা হোক।’’ শিক্ষক বদলি মামলায় শুক্রবার মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

    কী বললেন বিচারপতি

    কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদলি চেয়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের আবেদনের হিড়িক দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই বিষয়ে সরকারকে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি প্রসঙ্গে মতামতও জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রয়োজন পড়লে যে কোনও জেলার যে কোনও স্কুলেই যে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হতে পারে, আদালতের বক্তব্যে তা কার্যত স্পষ্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার শুনানি চলাকালীন, তিনি মন্তব্য করেন, “কোনও জঙ্গলের আইন চলতে পারে না। যত শিক্ষক বদলির মামলা আছে, এবার থেকে নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগ করেই হবে। যে যাঁর খুশি মতো কাজ করবেন, এটা সম্ভব নয়।” তাঁর নির্দেশ, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে প্রশাসনের যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা মানতে হবে।

    আরও পড়ুন: ১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি! এটা গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকেরই জয়, অভিমত অম্বিকেশ মহাপাত্রর

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শুক্রবার তাঁর এজলাসে মামলা চলাকালীন এ নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য চান। জানতে চান, কেন এমন কড়া গাইডলাইন হবে না, যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোথায় বদলি করা হবে। এদিন এজি আদালতে জানান, শিক্ষাদফতর চাইলে তা পারে। এরপরই আদালত জানায়, শিক্ষা দফতর নির্দেশ দেওয়ার সাতদিনের মধ্যে তা পালন করতে হবে। শিক্ষক যদি না পালন করেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে শিক্ষা দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Diabetes Tips: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ৫ সুপারফুড, যা আপনি খেয়ালই করেননি!

    Diabetes Tips: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ৫ সুপারফুড, যা আপনি খেয়ালই করেননি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস (Diabetes Tips) রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সকালে মর্নিং ওয়াকে গেলে বেশিরভাগ জনেরই ডায়াবেটিস রয়েছে, এমন কথা প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে ডায়েট মেনে চললে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এমনটাই দাবি করেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিককালে একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে কিছু খাদ্য আছে যেগুলি রক্তে শর্করাকে শোষণ করতে সাহায্য করে এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।

    এমনই কতগুলি খাদ্য নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব

    ১) রাগি আটা 

    রাগি আটাকে সুপারফুড বলা হয়েছে, কারণ এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে এবং গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ  (Diabetes Tips) করতে সাহায্য করে এবং এর মধ্যে থাকা ফাইবার শর্করার বিপাককে  দ্রুত করে।

    ২) জোয়ারের আটা

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন জোয়ার একটি গ্লুটেন মুক্ত শস্য, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণও যথেষ্ট থাকে। জোয়ারের গ্লাইসেমিক সূচক কম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি জোয়ার ঘটায় না।

    ৩) বার্লি

    পুষ্টিবিদরা বলছেন যে বার্লিতে থাকে BT Glucan, যা রক্তে শর্করার বৃদ্ধিকে রোধ করে  (Diabetes Tips) এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

    ৪) ওটস

    ডায়াবেটিস  (Diabetes Tips) রোগীদের জন্য ওটস খুবই ভালো মনে করা হয় এটি শর্করার বিপাককে অনেক বেশি দ্রুত করে, ওটস এর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে যা শর্করাকে হজম করাতে সাহায্য করে।

    ৫) বাজরা 

    বাজরা ভারতের খুব সহজেই পাওয়া যায়, এগুলো সাধারণত গৃহস্থের গবাদি পশুদের খাওয়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ডায়াবেটিস রোগীরা যদি এটি গ্রহণ করে তাহলে বাজরার মধ্যে থাকা ফাইবার শর্করাকে  দ্রুত  হজম করাতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    CBI: দুর্নীতির অভিযোগ! কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অমিত আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী এবং কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, নগদ টাকার বিনিময়ে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্তরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি কলকাতা এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার একজন ব্যবসায়ী, কলকাতা পুলিশের অজ্ঞাত পরিচয় আধিকারিক এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    কী জানা গেল? 

    সিবিআইয়ের একজন প্রবীণ আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল অর্থ তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ব্যক্তি রাঁচি হাই কোর্টের আইনজীবী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা (CBI) দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতবছর ঝাড়খণ্ডের ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে সেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত আইনজীবীর নাম রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি জনস্বার্থ মামলা প্রত্যাহারের জন্য সেই আইনজীবী এক ব্যবসায়ীর থেকে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই আইনজীবী ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে মনরেগা সংক্রান্ত মামলা লড়ছেন। এই মনরেগা মামলাতেই ইডি প্রাক্তন খনি সচিব পুজা সিংহলকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে মনরেগা মামলা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে চলা এক মামলাও লড়ছেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার ছেলে হলে…’’, ছাত্র-মৃত্যু মামলায় খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টরকে তিরস্কার বিচারপতির   

    এই পরিস্থিতিতে রাজীবকে কলকাতার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার (CBI) করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলেও চার্জশিটে জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ, “অভিযুক্ত আইনজীবী কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাঁচি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রথমে ব্যবসায়ীর কাছে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। আলোচনার পরে তিনি তাঁর দাবির পরিমাণ কমিয়ে কমিয়ে ৪ কোটি করেন। পরে ১ কোটি টাকায় রফা হয় মামলাটি। আরও অভিযোগ, এই এক কোটি টাকা দুই কিস্তিতে নেওয়ার কথা ছিল আইনজীবীর। সেই কিস্তি নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন রাজীব।  

    সিবিআই- এর (CBI) অভিযোগ, ধৃত অমিত আগরওয়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বেআইনি টাকা পাচার করত। হেমন্তের বিরুদ্ধে রাজীব যাতে মামলা লড়তে না পারে, তাই তাঁকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়। আর মিথ্যে মামলা সাজাতে অমিতকে সাহায্য করেন কলকাতা পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। আর তার জেরেই কলকাতা পুলিশের এই আধিকারিকদের এবং অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু!  তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু! তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছে। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসার পর আজ সকাল সকাল তাঁর জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পর জানা গিয়েছে, তাপস ও কুন্তলের সূত্র ধরেই এই দুর্নীতি মামলায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। ফলে শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি অফিসার আসেন বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। চলছে তল্লাশি। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের এই নেতাও।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তল ঘোষের নাম নেন। এর পর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরেই শান্তনু ব্যানার্জির নামও উঠে আসে এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নামও তাপসই দিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের ওই নেতাও।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে ইডির হানা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। একদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি।

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, হুগলির যুবনেতা কুন্তলের খুবই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলাগড়ের নেতা শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আজ সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাঁদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share