Blog

  • CLAT Exam: আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চান? জেনে নিন সিএলএটি পরীক্ষার খুঁটিনাটি

    CLAT Exam: আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চান? জেনে নিন সিএলএটি পরীক্ষার খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটের ওপর গাউন চাপিয়ে, এজলাসে দাঁড়িয়ে সওয়াল জবাব করার সখ অনেকেরই থাকে। স্বাধীনতার আগে আবার বিলেত থেকে ‘ব্যারিস্টার’ ডিগ্রি নিয়ে আসাটা ছিল সামাজিক মর্যাদা ও প্রতিপত্তির অন্যতম মাপকাঠি। দেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে আইনের ডিগ্রির প্রতি আকর্ষণ আগের মতোই রয়েছে। সরকারি বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই রয়েছে যেখানে “আইন” পড়ানো হয়। তবে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি থেকে আইনের ডিগ্রি নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে বসতে হবে CLAT পরীক্ষায়। সম্পূর্ণ নাম Common Law Admission Test। এই পরীক্ষায় ভালো স্কোর করলে সুযোগ পাওয়া যায় দেশের নামী ২৫টি আইন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার। এছাড়াও কিছু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও CLAT স্কোরের ভিত্তিতে ভর্তি নেয়। বিভিন্ন Public sector গুলি, যেমন ONGC, Coal India, BHEL, Steel Authority of India, Oil India তে আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে সুযোগ পেতে CLAT স্কোর দেখা হয়। এই বছরের CLAT পরীক্ষা হবে ১৮ই ডিসেম্বর। অনলাইন ফর্মফিলাপ চলবে ১৩ই নভেম্বর অবধি।

    আরও পড়ুন: কেরলে ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তকরণ ও আইসিসে যোগদানের কথা বলবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

    কারা বসতে পারে এই পরীক্ষায়?

    CLAT এর মাধ্যমে স্নাতক স্তরে যারা আইন নিয়ে পড়তে চায়, তাদেরকে যে কোনো শাখায় অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল যেকোনও পরীক্ষায় পাশ করতে হবে এবং নূন্যতম ৪৫% নম্বর পেতে হবে‌। সংরক্ষিত ক্যাটাগরির  প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪০% নম্বর পেলেই হবে। অন্যদিকে  CLAT এর মাধ্যমে আইনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেতে, আইনের গ্রাজুয়েটরা ৫০% নম্বর পেলেই আবেদন করতে পারবে। সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪৫% নম্বর থাকলেই আবেদন যোগ্য। ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছাত্রীরাও এই পরীক্ষায় বসতে পারবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে। 

    পরীক্ষার বিষয় কী কী?

    ১৫০ নম্বরের এই পরীক্ষায় সময় পাওয়া যাবে ২ ঘণ্টা। এমসিকিউ ধাঁচে প্রশ্ন হবে। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে‌। নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে। প্রতিটি ভুলের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
    নিম্নলিখিত বিষয় গুলি থেকে প্রশ্ন আসবে। 

    ইংলিশ কমপ্রিহেনশন

    জেনারেল নলেজ এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স 

    লিগ্যাল রিজনিং

    লজিক্যাল রিজনিং

    কোয়ান্টেটিভ টেকনিক (ম্যাথ)

    দেশের সেরা আইন বিশ্ববিদ্যালয় গুলি দেখে নেওয়া যাক একনজরে :

    ১)ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্গালোর।
    ২) NALSAR ইউনিভার্সিটি অফ ,, হায়দ্রাবাদ।
    ৩) ন্যাশনাল ল ইনস্টিটিউট ইউনিভার্সিটি, ভোপাল।
    ৪) দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জ্যুরডিক্যাল সায়েন্সে্‌ কলকাতা।
    ৫) ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, যোধপুর।
    ৬) হেদায়েতুল্লাহ ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, রায়পুর।
    ৭) গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, গান্ধীনগর।
    ৮) ডক্টর রামমোহন লোহিয়া ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, লক্ষ্ণৌ।
    ৯) ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ এডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিস, কোচি।
    ১০) রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ল, পাতিয়ালা।
    ১১) চাণক্য ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, পাটনা।
    ১২) ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওড়িশা, কটক।
    ১৩) দামোদারাম সঞ্জীব্য ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, বিশাখাপত্তনম।
    ১৪) ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন ল, রাঁচি।
    ১৫) ন্যাশনাল ল স্কুল এন্ড জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি, গুয়াহাটি। 
    ১৬) তামিলনাড়ু ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, ত্রিচি।
    ১৭) মহারাষ্ট্র ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, মুম্বাই।
    ১৮) মহারাষ্ট্র ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, নাগপুর।
    ১৯) মহারাষ্ট্র ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, ঔরাঙ্গাবাদ।
    ২০) হিমাচল প্রদেশ ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, শিমলা।
    ২১)ধর্মশাস্ত্র ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, জব্বলপুর।
    ২২) ডঃ বি আর আম্বেদকর ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, সনিপথ।
    ২৩) ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, সিকিম।
    ২৪) ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, ত্রিপুরা।
    ২৫) ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, মেঘালয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • T-20 World Cup: আইসিসি সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করে! সমালোচকদের কড়া বার্তা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের

    T-20 World Cup: আইসিসি সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করে! সমালোচকদের কড়া বার্তা বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি ভারতকে কোনও বিশেষ সুবিধা দেয় না। বাংলাদেশ সমর্থক ও পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদির অভিযোগের যোগ্য জবাব দিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি (Roger Binny)। বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের সুরে সুর মিলিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি অভিযোগ তুলেছিলেন আইসিসি (ICC) ভারতের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে সেমিফাইনালে তোলার মরিয়া চেষ্টা করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। আফ্রিদির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিনি বলেন, “এটা একেবারে ঠিক নয়। আমি মনে করি না আইসিসি আমাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে। সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করা হয়। কোনওভাবেই একথা (পক্ষপাতিত্বের) বলা যায় না। অন্য দলগুলির থেকে আমরা বাড়তি কী সুবিধা পেয়েছি? সন্দেহ নেই ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় পাওয়ার হাউস। তবে আইসিসি সবাইকে সমান চোখে দেখে।”

    আরও পড়ুন: শেষ চারে যেতে গেলে জিততে হবে ভারতকে! না হলে নানান অঙ্ক, জেনে নিন কোন দল কোন জায়গায়

    প্রসঙ্গত, অ্যাডিলেডে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের কাছে পাঁচ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। শুরুতে বেঙ্গল টাইগাররা ভাল খেললেও, বৃষ্টির পরেই ঘটে ছন্দপতন। খেলা শেষে  ভিজে মাঠকে হারের অজুহাত হিসেবে খাড়া করে বাংলাদেশ শিবির। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা ভারতের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে বলে প্রাকারান্তরে দাবি তোলে পাক সংবাদমাধ্যমও। এবার সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন  ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট। আইসিসি ইভেন্টে ভারত গত কয়েক বছর ধরে ভালো খেলা সত্ত্বেও কি কারণে ট্রফি জিততে পারছে না? এর উত্তরে রজার বিনি বলেছেন, “আমি আশা করব, গত বারের বিশ্বকাপের ফলাফলটা একটা ব্যতিক্রম হিসেবে থাকবে। এই বছর অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপটা ভারতই জিতবে। আমরা শিরোপার অনেক কাছে এসেছি। শেষ কয়েকটি টি-২০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালেও পৌঁছেছি। সেই নির্দিষ্ট দিনটায় আমাদেরকে ভালো খেলতে হবে।”

    আরও পড়ুন: বিরাট রেকর্ড কোহলির! সচিনকে পিছনে ফেলে বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে জানেন?

    রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বিনি জানান প্রত্যেক অধিনায়কের খেলানোর ধরন আলাদা। কপিলদেব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট বা কোহলি প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে দল পরিচালনা করেছেন বা করেন। বিনির কথায়, “রোহিত একজন খুব অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ও একাধিক ম্যাচ খেলেছে। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সামনে পড়েছে। প্রত্যেকের খেলার ধরন আলাদা। ধোনি সম্পূর্ণ আলাদা। ওর সাথে এই ভাবে অন্য কাউকে তুলনা করা যায় না। কপিল দেব বা গাভাসকরেরও (সুনীল) খেলার ধরন আলাদা আলাদা ছিল। দু’জনেই দু’টি আলাদা পন্থায় দলকে চালিয়েছেন।”

     

  • Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামলা করে টাকা ও সময় দুই নষ্ট করছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য টাকা দিতে গেলেই যত সমস্যা। ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার শুধু সময় নষ্ট করছে, বকেয়া ডিএ দিতে পারবে না। এই সরকার দেউলিয়া সরকারে পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ হচ্ছে তাদের অধিকার, হকের টাকা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সঠিক  রায় দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস”।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ভাঁড়ার কার্যত শূন্য! জানেন ডিএ-মামলায় কী বলল রাজ্য সরকার?

    ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে যাবে, তা আগে থেকেই অনুমান করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন তাঁরা। আগে থেকেই তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হয়েছে। নিজেদের প্রাপ্য অধিকার পাওয়ার খাতিরে লড়াইয়ের জন্য তৈরি আছেন, বলে জানান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে  নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভিখারির সরকার, স্যাটে হেরেছে, সিঙ্গল বেঞ্চে হেরেছে, ডিভিশন বেঞ্চে হেরেছে, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। যাওয়ার কথাই ছিল। এর পিছনে কয়েক কোটি টাকা ধ্বংস হবে। তাতে রাজ্যের লক্ষ্য নেই। সরকারি কর্মীদের টাকা দিতে গেলেই সমস্যা।”

    আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, “দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে সরকার। উন্নয়নমূলক কাজে নজর না দিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থে  ব্যবহার করছে। বিজেপি সরকারে এলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-সহ সমস্ত বকেয়া একসঙ্গে মিটিয়ে দেওয়া হবে”। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা চলছে। একবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিপক্ষে রায় গিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তা সময় বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Byju-s Lionel Messi: আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বাইজুসের বাণিজ্যিক দূত মেসি! বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়

    Byju-s Lionel Messi: আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বাইজুসের বাণিজ্যিক দূত মেসি! বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভের মুখ দেখার জন্য সম্প্রতি এক-ধাক্কায় আড়াই হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বাইজুস ( BYJU’s)। তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন সংস্থার প্রধান। এই আবহেই নয়া চমক দিল বাইজুস। ফুটবলের মেগাস্টার লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর (Global Brand Ambassador) হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা করল তারা। সামনেই ফিফা বিশ্বকাপ। তার আগে বাজার ধরতেই এই সিদ্ধান্ত বাইজুসের। তবে এতগুলো কর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে মেসিকে বিপুল টাকা দিয়ে অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

    বাইজুস-এর ব্যবসা নীতি নিয়ে বিভ্রান্ত অনেকেই। লোকসানে ডুবে থাকা সংস্থা কীভাবে বিশ্বসেরা ফুটবলারের সঙ্গে হাত মেলায়? প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০২০-২১ সালে বিপুল লোকসানের রিপোর্ট প্রকাশ করে বাইজুস। তারপরেই বাইজু-র বিনিয়োগকারীরা সংস্থার খরচে রাশ টানার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসাবে জায়গা করে নেয় বাইজুস। সম্প্রতি ৫৫ মিলিয়ন ডলারের(৪৫৩ কোটি টাকা) বিনিময়ে ফের সেই চুক্তি রিনিউ করে সংস্থা। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে, তারও অন্যতম প্রধান স্পনসর বাইজুস। বাইজুসের বিজ্ঞাপনের অন্যতম প্রধান মুখ শাহরুখ খান। তাঁর সঙ্গেও যে কম টাকার চুক্তি নয়। শুধু খরচে রাশ টানার ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। যেভাবে একধাক্কায় একাধিক কর্মীকে বাইজুস ছেঁটে ফেলেছে, তার জেরে কর্মচারীদের আস্থায় জায়গা থেকে তাদের ভবিষ্যতে ভুগতে হতে পারে বলে অবশ্য আশঙ্কা অনেকের।

    দেশজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনায় সাহায্য করার অন্যতম বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠেছে বাইজুস। এডুকেশন ফর অল,তথা সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যদূত করা হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে। ভারতীয় কোনও সংস্থার এভাবে বিশ্বব্যাপী অভিযানের মাঝে লিওনেল মেসির মাপের ফুটবলারকে অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিয়োগ করা একটি বড় চমক। মেসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “সবাইকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলার বাইজুস-এর ভাবনার সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছি। ভাল পড়াশোনা পারে জীবনের গতিপথ বদলে দিতে। আশা রাখি বাইজুসের কাজ আরও মসৃণ হবে। খুদেরা ভবিষ্যতে নিজেদের শিখরে দেখার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যাবে।”

  • Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ-মুসলিম (Non Muslims) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাটে (Gujarat)। এবার ওই কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গেল দেশের অন্যত্রও। জানা গিয়েছে, দেশের নটি রাজ্যের ৩১ জেলার জেলাশাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ওই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৪১৪ জন শরণার্থী এসেছেন ভারতে। এঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।  

    দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম শুরু হয়েছে এভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act), ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন দেশ থেকে আসা যেসব শরণার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাস করছেন, তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও (Citizenship Act) পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম এই সমস্ত শরণার্থীদের দেওয়া যায়। তবে যেহেতু তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং সরকার এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি, এই আইনের আওতায় এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি কাউকেই।

    কোন কোন রাজ্য পেয়েছে ক্ষমতা?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ জেলার কালেক্টর এবং নটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এঁরা উল্লিখিত শরণার্থীদের শংসাপত্র দিতে পারবেন। যে রাজ্যগুলিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষমতা এখনও দেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • T20 WORLD CUP: ঝড়ো ব্যাটিং হার্দিকের! সংযমী বিরাট, ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য

    T20 WORLD CUP: ঝড়ো ব্যাটিং হার্দিকের! সংযমী বিরাট, ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে (T20 WORLD CUP) টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তুলল। দুরন্ত ব্যাটিং করলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও বিরাট কোহলি। তবে ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার লোকেশ রাহুল মাত্র ৫ রান করে আউট হন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ২৭ রানে তাকে ডাগ আউটে ফিরতে হয় জর্ডনের বলে আউট হয়ে। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সূর্য কুমার যাদব। তিনি ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। পর পর উইকেট হারাতেই রানের গতি মন্থর হয়ে যায় ভারতের। তবে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়ার যুগলবন্দী ভারতকে বড় ইনিংস খাড়া করতে সাহায্য করে। কোহলির সংগ্রহ ৪০ বলে ৫০ রান। অন্যদিকে ঝড় তোলেন হার্দিক। মাত্র ৩৩ বলে করেন ৬৩ রান। পন্থ (৬) রান আউট হন। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ ৪২ রান করলেই রেকর্ড গড়তেন বিরাট। তাঁর ব্যাট থেকে এদিন আসে সংযমী অর্ধশতরান। এর সুবাদে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন কোহলি। 

    এদিন টস-ভাগ্য সঙ্গ দিল না রোহিতের। ভারতের বিরুদ্ধে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিল ইংল্যান্ড। ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠালেন ব্রিটিশ অধিনায়ক জোস বাটলার। নিউজিল্যান্ডকে কার্যত একপেশে ম্যাচে হারিয়ে ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 WORLD CUP) ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান। এবার ভারতের সামনে ফাইনালে ওঠার লড়াই। প্রতিপক্ষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ধারে-ভারে ভারত অনেকটাই এগিয়ে। তবে খেলাটা ক্রিকেট আর ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি। তাই যেকোনও দিন, যে কেউ ম্যাচ বার করে নিতে পারে। 

    অপরিবর্তিত ভারতীয় দল

    ভারতীয় দল অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে যাঁরা খেলেছিলেন, তাঁরাই সুযোগ পেয়েছেন। দীনেশ কার্তিক নয়, ঋষভ পন্থেই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইংল্যান্ড দলের একাধিক তারকা থাকছেন না মহাযুদ্ধে। মার্ক উড, দাভিদ মালানের মত টি২০ স্পেশ্যালিস্টরা অনিশ্চিত চোটের কারণে। জনি বেয়ারস্টো তো বিশ্বকাপেই আসেননি। কার্যত ভাঙাচোরা দল নিয়েই ভারতের মোকাবিলা করতে হবে ইংরেজদের। অন্যদিকে, ভারতীয় দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। নেট অনুশীলনে রোহিত-কোহলি আহত হলেও ফিট হয়েই খেলতে নামছেন দুজনে।

    চলতি মহারণে ৫ ম্যাচের ৪টিতে জিতে ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে নেট রান-রেটের নিরিখে নিউজিল্যান্ডের কাছে পিছিয়ে পড়ায় অন্য গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা পাকা করে ইংল্যান্ড। উভয় দলের খেলাই নজর কেড়েছে। ফলে ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ব্যাট-বলে রুদ্ধশ্বাস হতে চলেছে বলেই মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। 

    বৃষ্টি এলে কী হবে

    চলতি বিশ্বকাপে (T20 WORLD CUP) বারবার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে বৃষ্টির জন্য ভারত ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ ভেস্তে গেলে পরদিন রিজার্ভ ডে-তে ওই খেলা হবে। নির্ধারিত দিনে প্রতি ইনিংসে ন্যূনতম ১০ ওভার খেলা সম্ভব না হলেই ম্যাচ গড়াবে রিজার্ভ ডে-তে। রিজার্ভ ডে-তেও ম্যাচ আয়োজন করা না গেলে, সুপার টুয়েলভের লিগ টেবিলে যে দলের অবস্থান ভাল, তারা ফাইনালের টিকিট হাতে পাবে। সেক্ষেত্রে গ্রুপ টুয়ের এক নম্বর দল ভারত ফাইনালে যাবে।

    আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তান

    ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ
    জোস বাটলার (ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার), অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মইন আলি, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডন, ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ।

    ভারতের প্রথম একাদশ
    লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি ও অর্শদীপ সিং।

  • Kolkata Police: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    Kolkata Police: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন ডিউটির শেষে আগ্নেয়াস্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে নিকটবর্তী কোনও থানায়। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিশ। ইন্টেলিজেন্স বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এই নির্দেশ দিয়ে বলেন, “অস্ত্র নেওয়া এবং জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ম মাফিক করা হচ্ছে না। বার বার নিয়ম ভাঙা হচ্ছে।” সূত্রমতে, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চেই সম্প্রতি প্রায় ২০টি আইন ভাঙার খবর সামনে এসেছে। 

    এক পুলিশ কর্তা বলেন, “যেসব পুলিশকর্মীদের ডিউটির জন্যে অস্ত্র দেওয়া হয়, তাদের ডিউটি শেষে দৈনিক সেই অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক পুলিশ কর্তাই সেই নিয়ম পালন করেন না।”

    একাধিক পুলিশ কনস্টেবল, অপহরণ, ডাকাতি, চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই বিষয়ে কড়াকড়ি শুরু করে কলকাতা পুলিশ।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে?

    গত পাঁচ মাসে কলকাতায় (Kolkata) অন্তত ১১ জন পুলিশ (Kolkata Police) কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে। ধৃত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে রয়েছে অপহরণ, প্রতারণা, চুরি এবং হেনস্থা করার মতো গুরুতর সব অভিযোগ। এই সব সমস্যায় পড়লে বিপদগ্রস্ত মানুষ যেখানে পুলিশের ভরসায় থাকেন, সেখানে পুলিশই অভিযুক্ত হওয়ায় রাজ্যজুড়ে হাসির ছররা!

    অপহরণ, প্রতারণা, চুরি এবং হেনস্থা করার মতো গুরুতর অভিযোগে যেসব পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই যে সাধারণ পুলিশ কর্মী, তা নন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যেমন ন জন কনস্টেবল রয়েছেন, রয়েছেন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, তেমনি রয়েছেন একজন অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইনসপেক্টরও।

    আরও পড়ুন: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?  

    ধৃত পুলিশ কর্মীদের অপরাধের ধরনও আলাদা। জনবহুল বাজার থেকে কাউকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে কোনও এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অপহৃত ব্যক্তিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার আগে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। যাঁরা সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দিতে চাননি, তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে কারও কারও বিরুদ্ধে।

    জানা গিয়েছে, সাদা পোশাক পরে অপরাধ (Crime by Police) করেননি গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কর্মীরা। অপরাধ করার সময় তাঁরা পরেছিলেন পুলিশের উর্দিই। যার অর্থ, পুলিশের পরিচয়েই অপরাধ করেছেন তাঁরা। পুলিশের পরিচয়ে তাঁরা প্রথমে শিকারের বিশ্বাস অর্জন করেছেন, পরে সব কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে ছেড়েছেন।

    আর এই  ঘটনাগুলি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বিভাগ। ডিউটিতে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপরাধের সংখ্যা কমাতেই এই সক্রিয়তা। 

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অনেক সময়ই দেখা যায় অনেক কর্মী ডিউটি ছাড়াও নিজের কাছে অস্ত্র রাখেন। এই প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যেকোনও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হতে পারে সেই অস্ত্র।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Interns: ইন্টার্নদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার নয়া নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক

    Interns: ইন্টার্নদের বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার নয়া নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে এমবিবিএস পড়ার সময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত হওয়া যাবে। ইন্টার্নদের (Interns) বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের এই নতুন নির্দেশিকায় হতবাক রাজ্যের চিকিৎসক মহল। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও পঙ্গু করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইন্টার্নরাও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে যুক্ত হতে পারেন। আর তার জেরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দেশের কোথাও এমন কোনও আইন নেই। এমনকি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও এমন নিয়ম নেই। পড়াচলাকালীন এমন কিছু করা আইনের বিরুদ্ধে বলেও উল্লেখ রয়েছে। তারপরেও স্বাস্থ্য দফতর কীভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    চিকিৎসকদের অভিমত 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালের পড়ুয়া কীভাবে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে চিকিৎসার কাজে যুক্ত হবেন? ইন্টার্নরা (Interns) স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর পান না। কারণ তখনও তাঁদের এমবিবিএস-র কোর্স সম্পূর্ণ হয় না। তাই তাঁরা কীভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রোগী পরিষেবা দেবেন? সেটা কি আদৌও বৈধ হবে? একজন চিকিৎসকের স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকলে, আইনত সে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কীসের ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দিলেন?

    রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রোগীর লম্বা লাইন। যে কোনও রোগের নিরাময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় কয়েক মাস। সরকারি হাসপাতালে কর্মী সঙ্কট চরম। চিকিৎসকের অভাবের জেরেই রোগীদের ভোগান্তি বাড়ে। প্রয়োজনের তুলনায় এ রাজ্যে চিকিৎসক কম। জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনের পরিষেবা ব্যহত হয় পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাবে। সরকারি হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা থেকে স্ত্রী রোগ কিংবা মেডিসিন, যে কোনও বিভাগেই রোগী পরিষেবা দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরাই (Interns)। তাঁরাই মূলত সব সময় হাসপাতালে থাকেন। এইরকম পরিস্থিতিতে সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের যদি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে চিকিৎসক সঙ্কট আরও বাড়বে। রোগীদের হয়রানিও বাড়বে। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা আরও ভেঙে পড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: জেলার মেডিক্যাল কলেজ কী শুধুই বিজ্ঞাপন? এসএসকেএমের নতুন রেকর্ডে নয়া বিতর্ক

    রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা এখন স্বাস্থ্য সাথী নির্ভর করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নতিতে নজর নেই। ফলে, সরকারি ক্ষেত্রে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। স্বাস্থ্য সাথীর বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। মানুষকে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। তারপরেও বেসরকারি হাসপাতালে ইন্টার্নদের (Interns) কাজ করার অনুমতি কেন, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই!

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছেও এ নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। এক কর্তা বলেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন। সেখানেও রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই ইন্টার্নরা সেখানেও কাজ শিখতে পারবে। এই ভাবনা থেকেই নতুন বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেকটাই কম। তারপরেও কেন এমন ভাবনা? সে নিয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

     

  • TET Agitation: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    TET Agitation: টেট বিক্ষোভকারীর হাতে কামড় পুলিশের! জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার আক্রান্তই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চেয়ে পুলিশের (Kolkata Police) কামড় খাওয়া চাকরিপ্রার্থীকেই, গ্রেফতার করল পুলিশ। টেট (TET Agitation) বিক্ষোভে আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল (Arunima Paul)-সহ আরও ৩০ জনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে। বুধবার এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। দিনভর চলে উত্তেজনা। বিক্ষোভ সরাতে চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮২ জন চাকরিপ্রার্থীকে। বুধবার রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে।

    কী ঘটেছিল এদিন

    বুধবার দুপুরে এক্সাইড মোড় থেকে একদল চাকরিপ্রার্থী দৌড়তে দৌড়তে, ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সামনে এসে পড়ে।  স্মারকলিপি জমা দিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। তাঁদের টেনে হিচড়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের (TET Agitation) অভিযোগ, ঠিক তখনই আচমকাই দৌড়ে এসে এক আন্দোলনকারীর হাতে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। প্রশিক্ষিত উর্দিধারী পুলিশ কর্মীদের এহেন আচরণে হতবাক প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও!অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ ওই আন্দোলনকারীই পুলিশকর্মীকে কামড়ে দিয়েছেন। পুলিশকর্মীর হাতে রয়েছে, কামড়ানোর দাগ! SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

    উদ্বিগ্ন অরুণিমার পরিবার

    টেট বিক্ষোভকারীদের (TET Agitation) কথায়, চিকিত্‍‍সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় যখন অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন সহযোদ্ধারা। অভিযোগ, প্রাথমিক পর্যায়ে অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিশ। অভিযোগ আরও বড়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, “একজন অফিসার বলেন ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব…” পরে অবশ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার। অরুণিমার গ্রেফতারির খবর জানতে পেরে চরম উৎকন্ঠায় তাঁর পরিবার। অরুণিমার শারীরিক অবস্থা নিয়েও চরম উদ্বিগ্ন তাঁর স্বামী, সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘হয় নিয়োগ দিন, নয়…’, টেট প্রার্থীদের বিক্ষোভে এক্সাইড মোড়ে ধুন্ধুমার, ঝরল রক্ত

    বিক্ষোভ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে

    সকালেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সল্টলেকের করুণাময়ীতে জমায়েতের (TET Agitation) ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। আটক বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিয়ালদা স্টেশনেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় শিয়ালদহে মোমবাতি মিছিল করেন টেট আন্দোলনকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • GSDP: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    GSDP: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক বিপর্যয়ের খাঁড়া অচিরেই কি নেমে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ওপর? সরকারি নথি সেই আশঙ্কারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমানে শাসক দল যেভাবে যথেচ্ছভাবে ঋণ নিতে শুরু করেছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যের সমগ্র অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    কেন এমন আশঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে?

    National Institute of Public Finance and Policy-র পরিচালিত একটি সমীক্ষা বলছে, প্রাক-কোভিড বছরে (২০১৯-২০ অর্থবর্ষ) ১৮টি রাজ্যের সম্মিলিত সরকারি ঋণের পরিমাণ রাজ্যগুলোর মোট জিডিপি বা জিএসডিপি-র (GSDP) ২০.৫৩ শতাংশ ছিল। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩.৫ শতাংশ। তবে, তার পর থেকে ধীরে ধীরে এই ঋণের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সংশোধিত হিসেব অনুযায়ী, এই সম্মিলিত ঋণের পরিমাণের গড় সামান্য বেড়ে ২৩.৬৬ শতাংশ হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা আরও সামান্য বেড়ে ২৩.৯৩ শতাংশ হতে পারে।

    এ তো গেল সম্মিলিত রাজ্যগুলোর কথা। এবার, এক-একটি রাজ্যের ওপর পৃথকভাবে নজর দিলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর সরকারি ঋণ-সম্পর্কিত বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, কীভাবে রাজ্যগুলো ঋণের বোঝায় জর্জরিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যকে তাদের সরকারি ঋণের পরিমাণ তাদের নিজ নিজ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GSDP) একটি নির্দিষ্ট শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।

    রাজ্যগুলোকে কী নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র?

    সেই শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা কত হবে তাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্যগুলোকে বলা হয়েছিল সরকারি ঋণের পরিমাণ তাদের নিজ নিজ রাজ্য জিডিপি বা জিএসডিপি-র (GSDP) ৩১.১ শতাংশের নীচে বেঁধে রাখতে। একইভাবে, ২০২১-২২ সালের জন্য এই ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৩০.৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ সালের জন্য তা ছিল ৩১.৩ শতাংশ। বাকি রাজ্যগুলো এই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেদের ঋণের পরিমাণ বেঁধে রাখতে সক্ষম হলেও, ২টি রাজ্যের পরিমাণ এই সীমা অতিক্রম করে। সেই ২ রাজ্য হল — পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব। 

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    পশ্চিমবঙ্গের ঋণের হাল-হকিকৎ কেমন?

    সরকারি খতিয়ান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ছিল জিএসডিপি’র (GSDP) ৩৫.৬৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ৩৭.০৫ শতাংশে। অনুমান, ২০২৬-‘২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে এই দুটি রাজ্যের ঋণ এবং জিএসডিপি-র অনুপাত প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যা আর্থিকভাবে আরও পঙ্গু করে তুলবে ভারতের এই রাজ্যকে। 

    রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার ২০,৫০০ কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করতে চলেছে। এরমধ্যে, অক্টোবরে ৪৫০০ কোটি, নভেম্বরে ৭০০০ কোটি এবং ডিসেম্বরে ৯০০০ কোটি। চলতি বছরে রাজ্য ঋণ নিচ্ছে ৭৩,২৮৬ কোটি। মোট ঋণ হবে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি কোটি টাকা। দেখা গিয়েছে, রাজ্য যত টাকা ধার করেছে, তার ৭১.৫৩ শতাংশ খরচ করেছে আগের ধার শোধ করতে।

LinkedIn
Share