Blog

  • T20 World Cup: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের জন্য বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    T20 World Cup: দলীয় সংহতির প্রমাণ! শামিদের জন্য বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন কোহলি-রোহিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের (England) মুখোমুখি হচ্ছে ভারত (India)। গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। তবে লড়াই যেহেতু ফাইনালে ওঠার তাই কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেটা ভালোই জানেন রোহিত শর্মারা। খেলাটি হবে অ্যাডিলেডে। যেখানে গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে বেগ পেতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে রোহিত শর্মারা সতর্ক এবং সতীর্থদের জন্য সহানুভূতিশীল। সোমবার তারই ছবি ধরা পরল ভারতীয় শিবিরে। বিরাট কোহলিরা বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন মহম্মদ শামিদের জন্য। পরপর ম্যাচ খেলার ফলে পেশারদের অনেক বেশি পরিশ্রম হয়েছে। তাই সেমিফাইনালের আগে দলের চার পেশারকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য কোহলিদের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: বোলারের মন বুঝে ব্যাট করার চেষ্টা করি! নিজের সাফল্যের রসায়ন সম্পর্কে কী বললেন সূর্য?

    আইসিসির (ICC) নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক দল বিমানের বিজনেস ক্লাসের চারটি করে টিকিট পায়। সাধারণত কোচ রাহুল দ্রাবিড়, ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, ভাইস ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল এবং আইকন ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট কোহলির এই সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো বিজনেস ক্লাসের টিকিট ইস্যু হয়েছিল তাদের নামে। কিন্তু তারা কেউই সেই সুবিধা ভোগ করলেন না। উল্টে যা করলেন তা নজিরবিহীন। বিজনেস ক্লাসের চারটি টিকিট তুলে দেওয়া হয় চার পেশার শামি, অর্শ্বদীপ সিং, ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। যাতে তাঁরা মেলবোর্ন থেকে অ্যাডিলেড যাওয়ার পথে বিমানে একটু ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসতে পারেন। ছোট্ট একটি ঘটনা হলেও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে ভারতীয় দলে সংহতি এবং সহানুভূতিশীলতার যে ছবি ধরা পড়েছে তা তারিফ যোগ্য। এর ইতিবাচক প্রভাব মাঠে পড়বে বলেই আশা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড শক্তিশালী দল! সেমিফাইনালে লড়াই হবে সমানে সমানে, অভিমত রোহিতের

    আসলে ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। আর সেটাই ছিল শেষ। তারপর একাধিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছে, ভারতের পারফরম্যান্স সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এবার রোহিত শর্মাদের ঘিরে অনেকেই আশাবাদী। তার একটা বড় কারণ দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি, সূর্য কুমার যাদব। রানে ফিরেছেন লোকেশ রাহুল। বোলিং বিভাগও দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতকে আরও দুটি বাধা টপকাতে হবে। তাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ রোহিত বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biswajyoti Banerjee) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বোলপুরের কাউন্সিলর। এর আগে বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ডেকেও জেরাও করেছে তাঁকে। এ বার ইডির নজরেও বিশ্বজ্যোতি।  

    ২০১১ সালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারক হিসেবে যোগ দেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এখন সেই বিশ্ব জ্যোতিই ৪৬ লক্ষ টাকার মালিক। কী করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টে যে টাকা লেনদেন হয়েছে, সবটাই হয়েছে সায়গল হোসেনের নির্দেশ মতো। এবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ময়দানে নেমেছে ইডি। 

    গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে তিহার জেলে রয়েছেন সায়গল। এই মামলাতে অনুব্রত কন্যাকেও দিল্লিতে ডেকে জেরা করেছে ইডি। টানা তিন দিন জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সুকন্যার বয়ানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। 

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    এক কালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি ওরফে মুন। এখন তিনি বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এ বার তাঁকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সোমবার সেই সংক্রান্ত চিঠিও বিশ্বজ্যোতির কাছে এসে পৌঁছেছে বলে খবর। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন, বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) হতে চলেছে আজ। আজকের চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। পরবর্তী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আবার তিন বছর পর দেখা যাবে, যা ১৪ মার্চ, ২০২৫। আজ চাঁদ একেবারে লালচে বর্ণ ধারণ করবে। কয়েক বছর অন্তর এই দৃশ্যের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ মেলে বিশ্ববাসীর। সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় থাকে এবং পৃথিবীর ছায়া যখন চন্দ্রের ওপর পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মতে, আজকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হলেও বিশ্ববাসী আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন। 

    ব্লাড মুন কী?

    আজকের চাঁদের রং লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ব্লাড মুন বলা হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পূর্ণগ্রাসের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশ ‘আম্ব্রা’ নামক জায়গায় প্রবেশ করে। এরপর চাঁদ যখন আম্ব্রার মধ্যে থাকে, তখন এটি একটি লালচে রং-এ পরিণত হয়ে যায়। এই ঘটনার কারণে চন্দ্রগ্রহণকে কখনও কখনও ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    কিন্তু জানেন কি চাঁদ কেন রক্তাভ বর্ণ ধারণ করে?

    সাধারণত পৃথিবীর ছায়া আম্ব্রা চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করে। নাসার বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রগ্রহণের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদে তখন একমাত্র সূর্যের আলো পৌঁছয় যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়। আর বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়ে রক্তিম হয়ে যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত বেশি ধুলো বা মেঘ থাকবে, চাঁদকে দেখতে তত বেশি লাল হবে। ফলে যে কারণে আমরা সকালে নীল রঙের আকাশ দেখি এবং সূর্যাস্তের সময় লাল আকাশ দেখি সেই একই ভাবে চাঁদের রংও লাল দেখায়। 

    প্রসঙ্গত, আজ গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) স্থায়ী হবে ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। কলকাতায় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। কলকাতায় চন্দ্রগ্রহণ ছাড়ছে সন্ধে ৬টা ১৯-এ।

  • Nabadwip: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প?

    Nabadwip: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ভারতবর্ষের মন্দির নগরী বলা হয়ে থাকে ‘বারাণসী’ কে। নবদ্বীপ ঘুরলে মনে হতেই পারে এ যেন বারাণসীর আরেকটি নতুন সংস্করণ। প্রাচীন বাংলার বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র ছিল নবদ্বীপ। প্রাচীন এই নগরীকে  বলা হতো ‘বাংলার অক্সফোর্ড’। বহুগুণী এবং পন্ডিত মানুষদের পান্ডিত্যে সমৃদ্ধ এই জনপদে জন্ম নিয়েছিলেন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। বাংলার সেন রাজাদের এই রাজধানী আক্রমণ করেন ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজী। লুন্ঠন, হত্যা ধর্মান্তরকরণের পরেও অক্ষত ছিল ঐতিহ্যবাহী এই নগরীর সাংস্কৃতিক পরিবেশ। হিন্দু ধর্মের শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈবদের পীঠস্থান বলুন বা তীর্থস্থান বলুন, সেটা নবদ্বীপ। পুণ্যতোয়া গঙ্গা নদীর স্রোতের ধ্বনি, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের রীতি দেখলে মনে হতেই পারে যেন ঋক বৈদিক যুগের কোনও নগরীতে আপনি উপস্থিত হয়েছেন।

    নবদ্বীপের  ‘রাস’ অতি জনপ্রিয়। রাস পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে গোটা নবদ্বীপ শহর সেজে ওঠে আলোর মালায়। চোখে পড়ে মণ্ডপের কারুকার্য। নবদ্বীপের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে অগণিত মানুষের সমাবেশ ঘটে। রাজ্য, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও অনেক মানুষ রাস উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। জনশ্রুতি রয়েছে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নবদ্বীপে প্রথম রাসযাত্রার সূচনা করেন। বলা হয়ে থাকে ‘রস’ থেকে ‘রাস’ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ আনন্দ বা দিব্য অনুভূতি। গোপিনীরা শ্রী কৃষ্ণের সাথে এই আনন্দ ভাগ করে নিতেন। পৌরাণিক এই ঘটনার স্মরণেই রাস যাত্রার উদ্ভব বলে বিশ্বাস রয়েছে। মূলত বৈষ্ণবীয় ভাবধারার এই রাস যাত্রা নবদ্বীপে আজ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মৃত্যুর পর রাসযাত্রার ওপরে বৈষ্ণবীয় ভাবধারার প্রভাব ক্ষীণ হতে থাকে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে থাকে ‘শাক্ত’ ভাবধারা। তাই নবদ্বীপে বর্তমান যে রাসযাত্রা সেটার উপর শাক্ত ভাবধারার প্রভাব সব থেকে বেশি। মদ ,মাংস ,আড়ম্বর এগুলি হলো বীরাচার বা শাক্ত ভাবধারার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। নবদ্বীপের রাসযাত্রায় এগুলো বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    জনশ্রুতি আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নবদ্বীপে শাক্ত রাসের প্রবর্তন করেন। একাধারে এই রাজার নামের সাথে বাংলায় প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার ইতিহাস যেমন সম্পর্কিত, একইভাবে রাসযাত্রার ইতিহাসও সম্পর্কিত। শক্তি, বীরাচার এবং রাজসিক গুণের আচরণ রাজা করবেন, একথাই তো স্বাভাবিক। মনে করা হয়, বৈষ্ণব ভাবধারার প্রভাব রাসযাত্রার উপর থেকে ক্ষীণ হতে শুরু করে যখন থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এখানে শাক্ত রাসের সূচনা করেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্র পোড়ামাতলায় ভবতারণ শিব ও ভবতারিণী শক্তিমূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। কথিত আছে, রাসযাত্রায় তিনি নবদ্বীপের পণ্ডিতকে প্রচুর দানধ্যান করতেন। রাসযাত্রার প্রথমদিকে নবদ্বীপে শুধুই পটপুজো হতো। কথিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নাটোর থেকে মৃৎশিল্পী নিয়ে আসেন। তারপর থেকেই রাসযাত্রায় মূর্তিপূজা হতে থাকে।

    গোবিন্দদাসের পদাবলীতে উল্লেখিত বৃন্দাবনে গোপিনীদের সঙ্গে কৃষ্ণ যখন রাসলীলায় মগ্ন, স্বর্গের দেবদেবীরা তখন তা দেখতে বৃন্দাবনে এসেছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস, রাসলীলা দেখার জন্য দেবদেবীরা এসেছিলেন নবদ্বীপেও। চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থানে রাস উপলক্ষে সাড়ে তিনশো দেবদেবীর পুজো হয়। পোড়ামাতলায় মহিষমর্দিনী মাতার পুজো হয়। রাসে কেবলমাত্র এই প্রতিমার পুজোই তিনদিন ব্যাপী দুর্গামন্ত্রে হয়। শতবর্ষ প্রাচীন ওলাদেবীতলার মুক্তকেশীর ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে ইলিশমাছ সহযোগে। খড়েরগোলার বিন্ধ্যবাসিনী অষ্টভুজার আরাধনা বৈষ্ণব মতে হয়ে থাকে। নবদ্বীপের রাসে শাক্তমূর্তি বেশী দেখা যায়। দেবী কালিকা কত বিচিত্র নামে পূজিতা হন এই রাসযাত্রায়—বামকালী, নৃত্যকালী, উড়ন্তকালী, মুক্তকেশীকালী, মহানিশাকালী, তোতাপুরীকালী ইত্যাদি। সাধক রামপ্রসাদের কালী ভাবনার পূর্ণ প্রতিফলন দেখা যায় ‘শবশিবার’ রূপকল্পনায়। এখানে ভূমিতে পরে আছে শব তার উপরে শায়িত আছেন শিব এবং সর্বোপরি দেবী মহামায়ার অধিষ্ঠান। দেবীর পাদস্পর্শে শব রূপান্তরিত হয়েছে শিবে। বড় বড় প্রতিমাগুলি নবদ্বীপ শহর পরিক্রমণ করে। রাসযাত্রার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এটি। বিশালাকার গৌরাঙ্গি মাতার শোভাযাত্রা দেখতে গোটা নবদ্বীপ শহরে ভিড় উপচে পড়ে। রাসযাত্রার এই কয়েকটা দিনে হিন্দু ধর্মের প্রধান দেব-দেবীদের একসাথে পুজো নবদ্বীপ শহরেই দেখা যায়।

  • Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই- এর কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption Case) সিবিআই-এর (CBI) কিছু সদস্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিকমতো কাজ করছেন না, এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁদের বদলে নতুন দলও গঠন করা হতে পারে বলেও জানান বিচারপতি। আজ সোমবার আড়াইটায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি হওয়ার কথা। সিবিআই এদিন তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে বিচারপতির কাছে। মনে করা হচ্ছে এই রিপোর্টে উঠে আসতে পারে একাধিক হেভি ওয়েটের নাম। আর এই শুনানির আগেই এমন মন্তব্য করলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

    যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও সিবিআই- এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ভরা এজলাসে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েওছেন আধিকারিকদের। এর আগেই একদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আসল অপরাধী কে তা সবাই জানেন, কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তিনি গ্রেফতার হবেন কিনা, তা জানা নেই।” বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি।  এর মাঝেই গত শুক্রবার হাইকোর্টের একটি শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করেন, “প্রাথমিকে যাঁরা জেলে গিয়েছেন, তাঁরা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ কি এর পিছনে আছেন? তদন্তের অভিমুখ কি অন্য কারও দিকে যাচ্ছে?” 

    আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আজও এই মামলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, তাঁদের একটা বড় সুযোগ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে বলেন, যাঁরা বেনিয়মে চাকরি পেয়েছিলেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা চিঠি লিখে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা ৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসিতে চিঠি পাঠাবেন। ৯ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়বেন। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। যদিও জানা গিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েননি।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
  • Gujarat Assembly Elections: অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে চান, গুজরাটের জন্য নয়া স্লোগানও বাঁধলেন মোদি

    Gujarat Assembly Elections: অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে চান, গুজরাটের জন্য নয়া স্লোগানও বাঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আড়াই দশক ধরে গুজরাটের (Gujarat) কুর্সিতে রয়েছে বিজেপি (BJP)। এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly Elections) বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বিজেপি। রবিবার গুজরাটে প্রচারে গিয়ে নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন গুজরাটের ভালসাদের কাপরাদা গ্রামে আয়োজিত এক দলীয় জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, দিল্লিতে বসেই আমি প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানতে পারছি, গুজরাটে বিজেপি সব রেকর্ড ভেঙে এবারও বিপুল ভোট জয়ী হবে। তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি আমার অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে। আমি গুজরাট বিজেপিকে বলেছি যে প্রচারের জন্য আমি যত বেশি সম্ভব সময় তোমাদের দিতে প্রস্তুত।  

    ডিসেম্বরে দু দফায় হবে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন (Gujarat Assembly Elections)। প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর। আর ৫ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। গুজরাট বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২টি। তার মধ্যে প্রথম দফায় হবে ৮৯টি আসনের ভোট। দ্বিতীয় দফায় হবে ৯৩টি আসনের নির্বাচন। রবিবাসরীয় প্রচারমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার আমি চাই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে। আমার চেয়েও ভূপেন্দ্রর (বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল) রেকর্ড বড় হোক আমি চাই। তিনি বলেন, এই ভোটে কেবল ভূপেন্দ্র আর নরেন্দ্র লড়ছেন না। এই ভোটে লড়ছেন গুজরাটবাসীও।

    আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি’, ‘বিভাজনকারী শক্তি’কে হুঁশিয়ারি মোদি-শাহের

    এদিনের জনসভায় বিজেপির জন্য নয়া স্লোগানও বেঁধে দেন প্রধানমন্ত্রী। সেটি হল, আমি এই গুজরাট বানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক গুজরাটি সে তিনিই আদিবাসী হোন কিংবা জেলে, তিনি শহরে বাস করুন বা গ্রামে, প্রত্যেকে আজ আত্মবিশ্বাসী। সেই কারণেই প্রত্যেক গুজরাটি বলেন, আমি এই গুজরাট বানিয়েছি। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে এই গুজরাট বানিয়েছেন তাঁরা। এদিনের সভায় নয়া স্লোগানটি উপস্থিত জনতাকে দিয়ে বার কয়েক বলিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই বলেন, যেহেতু প্রত্যেক গুজরাটি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, সেই কারণেই তাঁরা হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে এই স্লোগান দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি এই গুজরাট বানিয়েছি এই স্লোগানের প্রতিটি শব্দই আসছে গুজরাটের হৃদয় থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও ৫০ লক্ষের হদিশ! মণ্ডল পরিবারের পঞ্চম লটারি-জয়?

    Sukanya Mondal: সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও ৫০ লক্ষের হদিশ! মণ্ডল পরিবারের পঞ্চম লটারি-জয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লটারি জয় কেষ্ট কন্যার! পেল ৫০ লক্ষ টাকা! সিবিআই-এর হাতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) আরও একটি লটারি জেতার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে অনুব্রতর পরিবার মোট ৫টি লটারি জিতেছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতেই সুকন্যা এই লটারিটি জিতেছেন ও এতে পুরস্কার হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই এই তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।

    সিবিআই কী জানাল?

    গরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case)) তদন্ত করতে নেমেই সিবিআই এই মামলার সঙ্গে লটারি জেতার যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে। এর আগেও লটারি জেতার তথ্য উঠে এসেছে। আর এবারে আবার সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করে নতুন লটারি জেতার সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কারণ সিবিআই জানিয়েছে, সুকন্যার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চেক করে আরও ৫০ লক্ষ  টাকার হদিশ মিলেছে। যা লটারি বিজেতা হিসাবে পেয়েছিলেন সুকন্যা (Sukanya Mondal)। উল্লেখ্য, অনুব্রত ও সুকন্যার নামে আগেই চারটি লটারির হদিশ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    উল্লেখ্য, অনুব্রতের লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা জেতার তদন্ত করতে গিয়েই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! কিছুদিন আগেই তদন্তে উঠে আসে যে, একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার (Sukanya Mondal) অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। একবার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর একবার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ মোট ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। আর এরপরেই আজ পঞ্চমবারের জন্য লটারি জেতার খবর সামনে এসেছে।

    সিবিআই-এর সন্দেহ

    বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে (Sukanya Mondal), ফলে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? তাহলে কী এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আরও কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল কিনা? এছাড়াও লটারি জেতার পিছনে আসলে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, এ সব বিষয় খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, তাই রক্ষাকবচ গুরুত্বহীন! ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রক্ষাকবচ কার্যত প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট। ‘অন্য মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাই রক্ষাকবচের এখন খুব একটা গুরুত্ব নেই’, মন্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের। অনুব্রতকে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। যদিও শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইতিমধ্যেই গরু-পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন অনুব্রত তাই এই রক্ষাকবচের কোনও মানে হয় না। হাইকোর্টকে মামলার দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

    কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই নির্দেশকেই একপ্রকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে এই মামলায় অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় তারা, এই দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত হাইকোর্টের নির্দেশেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় একাধিকবার অনুব্রতকে ডেকে পাঠানো হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা। ভারতীয় অপরাধ আইনের ১৪০ ধারায় অনুব্রতকে নোটিসও পাঠানো হয়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। সেখানে অনুব্রতকে রক্ষাকবচ দেয়  আদালত।

    আরও পড়ুন: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    শুক্রবারে শীর্ষ আদালতে শুনানি

    অবনুব্রতর (Anubrata Mondal)আইনজীবী এদিন জানান, অনুব্রতর নামে ভুল এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দূরে তাঁকে ডাকা হয়।  তাই রক্ষাকবচ দিয়ে ঠিকই করেছে হাইকোর্ট। এর পাল্টা সিবিআই জানায়, অনুব্রত ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। আদালতের রক্ষাকবচ এখন কার্যকর নয়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে আদালত জানায়, অন্য একটি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। সিবিআই-এর হেফাজতে রয়েছেব তিনি। তাই রক্ষাকবচ ভিত্তিহীন।  আাদালতের তরফে জানানো হয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও  তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। এদিন শীর্ষ আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী আরও জানান,অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। তা নিয়ে ইতিমধ্যে আবেদনও জমা পড়েছে হাইকোর্টে। শীর্ষ আদালত দ্রুত সেই পিটিশনের শুনানির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • QS Asia University Rankings 2023: এশিয়ার সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের দখলে সাতটি, কোন কোন গুলি জেনে নিন 

    QS Asia University Rankings 2023: এশিয়ার সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের দখলে সাতটি, কোন কোন গুলি জেনে নিন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রাচীনতম নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ-বিদেশ থেকে বহু ছাত্র আসত বিদ্যা লাভ করতে। সাহিত্যচর্চা, বিজ্ঞান চর্চা, জ্যোতিষ চর্চা, চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনার রীতি এদেশে অনেক প্রাচীনকাল থেকে। এশিয়ার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ভারতের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, তাই আবার হয় নাকি! 

    কিভাবে তৈরি করা হয়েছে সেরা ১০০ তালিকা? 

    আমাদের মহাদেশের সেরা ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দেশের ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠাঁই পেয়েছে। রাজ্যের মধ্যে আছে খড়গপুর আইআইটি। ‘কোয়াককোয়ারেলি সাইমন্ডস’ (কিউএস) (QS Asia University Rankings 2023) নামের একটি  ব্রিটিশ সংস্থা এই তালিকা তৈরি করেছে। ‘কিউএস’ এর ব্যাপক নেটওয়ার্ক রয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে উচ্চ‌শিক্ষা ক্ষেত্রে। তারা এই তালিকা তৈরি করেছে বেশ কতগুলো মাপকাঠির ভিত্তিতে। ‘কিউএস’ এর বিবৃতি অনুযায়ী, প্রথমে তারা দেখেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি, জনপ্রিয়তা। দ্বিতীয়ত, তারা পর্যবেক্ষণ করেছে , ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত অধ্যাপক সংখ্যার উপর এবং তৃতীয় সূচক হিসাবে দেখা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের শতাংশ  কত রয়েছে। 

     কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠাঁই পেয়েছে এই তালিকায়

    ‘কিউএস’ তাদের এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে, ‘কিউএস এশিয়া রাঙ্কিংস ২০২৩’ (QS Asia University Rankings 2023)। এই কর্মসূচির ফলাফল হিসেবে যে তালিকা প্রকাশ করেছে তারা, সেখানে প্রথম স্থান অধিকার করেছে চিন। চিনের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, পি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে এক এবং তিন নম্বর স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সিঙ্গাপুরের ,ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর। ভারতের মধ্যে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে আইআইটি বম্বে। তালিকার ৪০ তম স্থানে রয়েছে এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছরই এই সংস্থা অর্থাৎ ‘কোয়াককোয়ারেলি সাইমন্ডস’ এই তালিকা প্রকাশ করে। ‘কিউএস এশিয়া রাঙ্কিংস ২০২২’ এর  তুলনায় দু ধাপ এগিয়ে এসেছে আইআইটি বম্বে। আবার গত বছরে যে তালিকা ছিল সেখান থেকে এক ধাপ নিচে নেমে এসেছে আইআইটি দিল্লি। এ বছরে আইআইটি দিল্লি এই তালিকায় ৪৬ তম স্থানে রয়েছে। গত বছরের ‘কিউএস এশিয়া রাঙ্কিংস ২০২২’ এ ৫৬ তম স্থানে ছিল বেঙ্গালুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি), এ বছরে দেশের এই নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চার ধাপ উঠে এসেছে এবং ৫২ তম স্থান অধিকার করেছে। এশিয়ার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আইআইটি মাদ্রাজ পেয়েছে ৫৩ তম স্থান। আমাদের রাজ্যের আইআইটি খড়গপুরের স্থান ৬১ তম। আইআইটি কানপুর রয়েছে ৬৬ নম্বরে অন্যদিকে দিল্লী ইউনিভার্সিটির স্থান ৮৫ তম।

LinkedIn
Share